ইউক্রেনের সেনারা রাশিয়ার দখলকৃত খেরসন অঞ্চলের কিছু অংশ ফিরিয়ে নিতে আক্রমণ শুরু করেছে।
ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের দায়িত্বে থাকা রুশ কমান্ডার সের্গেই সুরোভিকিন এরই মধ্যে জানিয়েছেন, বেসামরিক নাগরিক ও রুশ সেনাদের জন্য খেরসনের পরিস্থিতি ‘খুব কঠিন’ হয়ে উঠেছে।
রাশিয়া বলছে, এরই মধ্যে লড়াই চলতে থাকা খেরসনের অঞ্চলগুলো থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু হয়েছে।
১০ অক্টোবর ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়া রুশ বিমান বাহিনীর জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে চেচনিয়া ও সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করার। তবে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের দায়িত্ব পাওয়ার শুরুতেই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে পুরো ইউক্রেনে হামলা চালানোর চমক দেখালেও অল্প সময়ের মধ্যেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন তিনি। সুরোভিকিন নিজেও তা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেছেন, বেসামরিক বাসিন্দা (খেরসন অঞ্চলের) ও রাশিয়ার সেনাদের উভয়ের জন্যই খেরসনের পরিস্থিতি ‘খুব কঠিন’।
তবে একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রুশিয়া ২৪-কে বলেছেন, ‘রুশ সেনাবাহিনী খেরসনের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানান্তর নিশ্চিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘শত্রুরা রুশ সেনা অবস্থানে আক্রমণ করার চেষ্টা ত্যাগ করছে না।’
সুরোভিকিন জানান, পূর্ব ইউক্রেনের কুপিয়ানস্ক, লেম্যান শহর, মাইকোলাইভ ও ক্রিভি রিহ-এর মধ্যবর্তী উত্তর খেরসন এলাকায় রুশ সেনা অবস্থানে ক্রমাগত হামলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের এলাকার পরিস্থিতিকে উত্তেজনাপূর্ণ বলা যেতে পারে।’
খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার মনোনীত প্রধান ভ্লাদিমির সালদো জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আক্রমণের ঝুঁকির কারণে কর্তৃপক্ষ কিছু বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সালদো এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউক্রেনের সেনারা একটি বড় আকারের আক্রমণের জন্য তাদের বাহিনীকে তৈরি করছে।’
তিনি সাধারণ মানুষদের সামরিক এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যেখানে সামরিক বাহিনী কাজ করে, সেখানে বেসামরিক মানুষদের জন্য কোনো স্থান নেই। রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে দিন।’
যদিও লড়াইয়ের শুরুর থেকেই ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয় পক্ষই বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
খেরসন হলো চারটি আংশিক-অধিকৃত ইউক্রেনীয় প্রদেশের একটি, যা রাশিয়া গণভোটের মাধ্যমে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছে। যদিও পশ্চিমারা এর স্বীকৃতি দেয়নি। এটি রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে স্থলপথে যুক্ত হওয়ার একমাত্র পথ।
এই অঞ্চলে রুশ বাহিনী গত কয়েক সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার পিছিয়ে গেছে। অথচ অভিযানের শুরুর দিকে রাশিয়া প্রায় বিনা বাধায় খেরসন দখল করে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শাসক গোষ্ঠী হামাস সরকারের প্রধান রাহী মুস্তাহাসহ আরও দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে দখলদার ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, গাজায় হামাস সরকারের প্রধান রাহী মুস্তাহা এবং হামাস কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ ও সামি ওদেহকে লক্ষ্য করে তিন মাস আগে হামলা চালানো হয়। এখন তারা নিশ্চিত হয়েছে যে ওই হামলায় উল্লিখিত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম টাইমস অফ ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।
আইডিএফ জানায়, যখন হামলা চালানো হয় তখন এই তিনজন গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি সুড়ঙ্গে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি বাহিনী আরও দাবি করেছে, যে সুড়ঙ্গে গাজার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেটিতে অনেক সুযোগ-সুবিধা ছিল এবং দীর্ঘদিন অবস্থান করার মতো রসদ সেখানে মজুদ রাখা ছিল।
হামাসের যোদ্ধাদের যেন মনোবল না ভাঙে সেজন্য এতদিন হামাস এই তথ্য গোপন রেখেছিল বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় গত বছরের ৭ অক্টোবর। দীর্ঘ এক বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। এর মধ্যে হামাসের যোদ্ধা, কর্মকর্তা ছাড়াও নারী-শিশুসহ হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ রয়েছেন।
যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল জানিয়েছিল, গাজা থেকে হামাসকে তারা পুরোপুরি নির্মূল করে দেবে। তবে এখন পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েল তাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। দখলদার রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে আজও পূর্ণোদ্যমে লড়ে যাচ্ছে হামাস।
আরও পড়ুন:মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে আসছেন শুক্রবার।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশে এটিই প্রথম বিদেশি সরকারপ্রধানের উচ্চ পর্যায়ের সফর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সদস্য, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাসহ ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল থাকবে।
তিনি জানান, ঢাকায় এক দিন অবস্থানকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
উপদেষ্টা জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করায় দ্রুত এ সফরের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা হতে পারে যেসব বিষয়ে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আনোয়ারের সফরের সময় দুই সরকারপ্রধানের আলোচনায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় প্রাধান্য পাবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ চলমান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চাইবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সকল বিষয়ে আলোচনা করব এবং আশা করব আসিয়ান সদস্য হিসেবে মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।’
২০২৫ সালে আসিয়ানে মালয়েশিয়ার সভাপতিত্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোতে আরও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রত্যাশা নিয়েও আলোচনা হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ বা অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে দেশটিতে প্রবেশে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সরাসরি নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনে ইসরায়েল বুধবার এমন পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছে, ‘যিনি ইরানের ভয়াবহ আক্রমণের সরাসরি নিন্দা জানাতে পারেন না, তিনি ইসরায়েলের মাটিতে পা রাখার যোগ্য নন।
‘গুতেরেস এখন পর্যন্ত ৭ অক্টোবর হামাসের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা ও যৌন সহিংসতার নিন্দা করেননি। তিনি হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলেও ঘোষণা দেননি।’
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘হামাস, হিজবুল্লাহ, হুথি ও ইরান বৈশ্বিক সন্ত্রাসের মূল কেন্দ্র। তিনি এমন একজন মহাসচিব যিনি এদের মতো সন্ত্রাসী, ধর্ষক ও হত্যাকারীদের সমর্থন দেন। তাকে জাতিসংঘের ইতিহাসে একটি কলঙ্ক হিসেবে স্মরণ করা হবে।
‘অ্যান্তোনিও গুতেরেস থাকুন বা না থাকুন, ইসরায়েল নিজের নাগরিকদের রক্ষা করতে এবং জাতীয় মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।’
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল লেবাননে বিমান হামলার পর স্থল অভিযান শুরুর পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। গত সাত মাসের মধ্যে ইসরায়েলে ইরানের চালানো এটি দ্বিতীয় হামলা। হিজবুল্লাহ ও হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ইরান।
আরও পড়ুন:লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের মাত্রা বৃদ্ধির মধ্যে মঙ্গলবার ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে। দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে বেজেছে বিমান হামলার সাইরেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, হামলায় নিহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের আকাশসীমায় আর কোনো হুমকি দেখছে না সেনাবাহিনী।
তিনি ইসরায়েলের জনগণের উদ্দেশে বলেন, তারা এ মুহূর্তে নিরাপদ। চাইলে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যেতে পারেন তারা।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ জানায়, তেল আবিব এলাকায় সামান্য আহত হয়েছেন অন্তত দুজন মানুষ।
এর আগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সতর্ক করে বলেছিল, ইরান থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্ভাবনা প্রবল।
ওই সতর্কবার্তায় জনগণকে নিরাপদ কক্ষগুলোতে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানায়, গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা, চলতি বছর হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জবাবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসমাইল হানিয়া, হাসান নাসরাল্লাহ ও (আইআরজিসি গার্ডস কমান্ডার) নিলফরোশানের শাহাদাতের জবাবে আমরা দখলকৃত ভূখণ্ডের (ইসরায়েল) প্রাণকেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছি।’
আরও পড়ুন:কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদী সানে তাকাইচিকে রান-অফ ভোটে পরাজিত করার কয়েকদিন পর জাপানের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিগেরু ইশিবা মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্ট কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। টোকিও থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
সংখ্যাগরিষ্ঠ রক্ষণশীল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) নেতা ইশিবা নিরাপত্তা পলিসি বিষয়ে তার গভীর জ্ঞানের জন্য পরিচিত।
সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং একটি এশিয়ান ন্যাটো গঠনে ইশিবার আহ্বান বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। তবে তিনি চীনের বিষয়ে তার কথায় সতর্ক।
ক্ষমতাসীন দল শিগেরু ইশিবাকে নেতা নির্বাচিত করার পর শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমি জাপানের ভূখণ্ড রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।
‘জাপান চায় আমরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করি এবং এই অঞ্চলে কীভাবে শান্তি স্থাপন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা শুরু করি।’
চীন ও রাশিয়ার জাপানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের পর উত্তেজনা চলছে। একটি জাপানি যুদ্ধজাহাজও গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাত্রা করে।
ইশিবা এবার একজন জাতীয়তাবাদীর বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার আগে তার এলডিপি’র নেতৃত্ব পেতে চার বার ব্যর্থ হন। এর মধ্যে একটি চেষ্টা ছিল তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিনজো আবের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক ইউ উচিয়ামা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ইশিবা তার ‘আবের অধীনে এলডিপি নীতির স্পষ্টভাষী সমালোচনা’ দিয়ে দলের হেভিওয়েটদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন।
কিন্তু সম্প্রতি তিনি ‘তহবিল কেলেঙ্কারি এবং অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে এলডিপির একটি নতুন অধ্যায় সূচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন’, যা তার পক্ষে কাজ করতে পারে।”
৬৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ দুর্যোগ প্রতিরোধের দায়িত্বে একটি সরকারি সংস্থা প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করেছেন।
উল্লেখ্য, জাপান এটি ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ এবং এটি প্রায়ই টাইফুন ও ভারী বৃষ্টিপাতের শিকার হয়।
ইশিবা বলেছেন, ২৭ অক্টোবর তিনি সাধারণ নির্বাচন ডাকতে চান।
নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত অবস্থায় ৯৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৩১ জন।
সোমবার দেশটির পুলিশ জানায়, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী কাঠমান্ডু। শহরটিতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সূত্র: সিনহুয়া/ইউএনবি
নেপালের ৮০টি জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে ৪৭টি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ভৌত অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সেচ সুবিধা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার আনুমানিক পরিমাণ তিন কোটি ২৬ লাখ ডলার।
জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শুক্র ও শনিবার টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগে জলবিদ্যুৎ ও সঞ্চালন প্রকল্পে আনুমানিক তিন বিলিয়ন রুপি (২২.৫ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে নদী নিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্পে আনুমানিক ১.৩৫ বিলিয়ন রুপি (১০.১ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হয়েছে।
কর্মকর্তা আরও জানান, বন্যায় ৬২৫.৯৬ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ১১টি চালু জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য চালু বিদ্যুৎকেন্দ্রও বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, যা দেশের চালু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট সক্ষমতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়াও নির্মাণাধীন ১৫টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।
তবে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজ দ্রুতগতিতে শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্যা ও ভূমিধসে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হবে এবং নিহতদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
উদ্ভূত দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে দেশের সব স্কুল-কলেজ তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
ভারত ভ্রমণে ভিসার জন্য জমা দেয়া ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ঢাকায় দেশটির হাইকমিশন।
সোমবার ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে সূত্রের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে ভিসার দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং হুমকিমূলক ই-মেইল দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। ওই সময়ের মধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করা বাংলাদেশিদের পাসপোর্টগুলো ভারতীয় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসিনা সরকারের পতনের পর দু’দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় হাইকমিশন। অবশ্য উভয় দেশের সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
ভিসা পরিষেবা স্থগিত করার পর এক পর্যায়ে সীমিতসংখ্যক জরুরি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াকরণ শুরু করে ভারতীয় হাইকমিশন। এর মধ্যে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি, স্টুডেন্ট এবং তৃতীয় দেশে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ডাবল-এন্ট্রি ভিসা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আর এ কারণে হতাশাগ্রস্ত আবেদনকারীদের অনেকেই ব্যাপকভাবে হাইকমিশনে ই-মেইল করছেন, এমনকি কিছু ই-মেইলে ভাঙচুরের হুমকিও রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভিসা আবেদন কেন্দ্রের সদস্যরা প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো জনগণের অসন্তোষ প্রকাশের স্থানে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, বাংলাদেশ ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিসা আবেদনকারী দেশ। শুধু ২০২৩ সালেই প্রায় ১৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা ইস্যু করে ভারত, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লাখ ভিসা ইস্যু হয়েছিল চিকিৎসার উদ্দেশ্যে।
তবে দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে সাবধানতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে হাইকমিশন। অস্থায়ী ভিসা প্রদানে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কারণ ভিসার অপব্যবহারের কিছু ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসা ভিসায় ভ্রমণকারীরা স্বাস্থ্যসেবার জন্য নয়, অন্য উদ্দেশ্যে ভারত ভ্রমণ করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক মিশনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। তাই বাংলাদেশিরা প্রায়ই ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে ভিসার জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল।
এদিকে দুর্গাপূজা ঘনিয়ে আসায় পশ্চিমবঙ্গে পূজা উৎসবে যোগ য়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভিসার আবেদন বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য