× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Soft tone from first Iranian rulers in 43 years
google_news print-icon

৪৩ বছরে প্রথম ইরানি শাসকদের নরম সুর

৪৩-বছরে-প্রথম-ইরানি-শাসকদের-নরম-সুর
ইরানে চলমান বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরা। ছবি: সংগৃহীত
কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম-হোসেইন মোহসেনি এজেই-এর বক্তব্যে নরম সুরের বিষয়টি একদম পরিষ্কার। দেশটির কোনো জ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা বা শাসনব্যবস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার এমন নরম সুরে বক্তব্য দেয়ার নজির গত ৪৩ বছরে নেই।

ইরানে ইসলামি বিপ্লবের ৪৩ বছরের মধ্যে এই প্রথম নরম সুর বের হলো দেশটির বিচার বিভাগের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের কণ্ঠ থেকে। বিচার বিভাগের প্রধান কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত গোলাম-হোসেইন মোহসেনি এজেই বলেছেন, কোনো ভুল করে থাকলে তারা সংশোধনে যেতে প্রস্তুত।

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে শব্দচয়নের ক্ষেত্রে সোমবার খুবই সতর্ক ছিলেন এজেই। তবে মাত্র দিন কয়েক আগেই বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান বলেন, ‘আমি প্রস্তুত। চলুন কথা বলি, আমরা যদি ভুল করে থাকি, সেগুলো সংশোধন করতে পারি।’

অবশ্য আলোচনার এই প্রস্তাব দিতে তিনি সম্ভবত দেরি করে ফেলেছেন। সাধারণ বিক্ষুব্ধ ইরানিরা তাকে বিশ্বাস করছে না।

২০১৭ সাল থেকেই ইরানের বিচার বিভাগ হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে জেলে পাঠিয়েছে এবং অনেকেই ন্যায়বিচার পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হাজারও মানুষ মারা গেলেও সে সংক্রান্ত মামলা এখনও অন্ধকারে রয়ে গেছে।

এজেই-এর সোমবারের বক্তব্যে পরিবর্তনটি একদম পরিষ্কার। ইরানের কোনো জ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা বা শাসনব্যবস্থার উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তার এমন নরম সুরে বক্তব্য দেয়ার নজির নেই।

৪৩ বছরে প্রথম ইরানি শাসকদের নরম সুর
ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম-হোসেইন মোহসেনি এজেই

একই দিনে চলমান ইস্যুতে কথা বলার অনুমতিপ্রাপ্ত ধর্মীয় নেতারা সংস্কারবাদী দৈনিক ইতেমাদকে বলেছেন, কর্মকর্তাদের (সরকারি) বাবার মতো আচরণ করতে হবে এবং তাদের সন্তানদের বুঝতে হবে।

অন্যদিকে সংস্কারপন্থি ব্যক্তিত্ব জালাল জালালিজাদেহ রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম নামহ নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে সরকারকে দ্রুত জনগণের সঙ্গে সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বর্তমান বিক্ষোভে জনগণ তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে চায়, যা ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পরপরই কেড়ে নেয়া হয়েছিল। নৈতিকতা পুলিশ তখন থেকে লাখ লাখ নারীকে রাস্তায় অপমান করে আসছে।

জালালিজাদেহ সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘তারা (কর্তৃপক্ষ) জনগণের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে ব্যর্থ হলে সমাজ আরও দ্বিমুখী হয়ে উঠবে এবং এটি কারও স্বার্থ রক্ষা করবে না।’

তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, শাসকদের নিজেদের জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে, তাদের ভোট ও মতামতকে সম্মান করতে হবে এবং তাদের দাবি শুনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের নতুন প্রজন্মের চাহিদা আগের প্রজন্মের চাহিদার থেকে আলাদা।

কী চান ইরানিরা

ইতেমাদ পত্রিকা ইরানি সমাজবিজ্ঞানী আসিফ বায়াতকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘বর্তমান বিক্ষোভে জনগণ তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে চায়, যা ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পরপরই কেড়ে নেয়া হয়েছিল। নৈতিকতা পুলিশ তখন থেকে লাখ লাখ নারীকে রাস্তায় অপমান করে আসছে।'

প্রায় এক দশক আগে হওয়া আরব বসন্তের কথা তুলে ধরে আসিফ বায়াত বলেন, ‘ইরানে সরকার ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মধ্যে ব্যবধান তিউনিশিয়া বা মিসরের মতো অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে বেশি।’

৪৩ বছরে প্রথম ইরানি শাসকদের নরম সুর
মাহসার মৃত্যুতে বিক্ষোভ হয়েছে ইরানের বাইরেও

তিনি ইরানে চলমান বিক্ষোভকে একটি সর্বব্যাপী আন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে সামাজিক শ্রেণি ও জাতি নির্বিশেষে সব ইরানি একত্রিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘তিউনিশিয়া ও মিসরের জনগণের মতো ইরানের জনগণও চায় সরকার তাদের মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুক।’

বায়াতের মতে, ইরানের আন্দোলনের সঙ্গে অন্য আরব দেশের আন্দোলনের মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আর তা হলো, ইরানে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরা।

এর আগে কুর্দি নারী মাহসা আমিনিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ গ্রেপ্তার করে। ইরানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তেহরানে ঘুরতে আসা মাহসাকে একটি মেট্রো স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সঠিকভাবে হিজাব করেননি।

পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়েই মাহসা অসুস্থ হয়ে পড়েন, এরপর তিনি কোমায় চলে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। পুলিশ মাহসাকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরিবারের অভিযোগ গ্রেপ্তারের পর তাকে পেটানো হয়।

মাহসার মৃত্যুর পর রাস্তায় বিক্ষোভের পাশাপাশি ফেসবুক ও টুইটারে #mahsaamini এবং #Mahsa_Amini হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চলছে প্রতিবাদ।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর সঙ্গে এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে বালুচ কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনা ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের চাবাহার শহরের পুলিশপ্রধানের হাতে ওই কিশোরী ধর্ষণের প্রতিবাদ জানাতে সেখানেও চলছে প্রবল বিক্ষোভ। কেবল ওই প্রদেশেই এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৯০ জন।

ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পরই নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। দেশটির ধর্মীয় শাসকদের কাছে নারীদের জন্য এটি ‘অতিক্রম-অযোগ্য সীমারেখা’। বাধ্যতামূলক এই পোশাকবিধি মুসলিম নারীসহ ইরানের সব জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের নারীদের জন্য প্রযোজ্য।

৪৩ বছরে প্রথম ইরানি শাসকদের নরম সুর
ইরানে চলমান বিক্ষোভে কণ্ঠস্বর নরম হয়েছে শাসকশ্রেণির

হিজাব আইন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য চলতি বছরের ৫ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি আদেশ জারি করেন। এর মাধ্যমে ‘সঠিক নিয়মে’ পোশাকবিধি অনুসরণ না করা নারীদের সরকারি সব অফিস, ব্যাংক এবং গণপরিবহনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গত জুলাইয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #no2hijab হ্যাশট্যাগ দিয়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। দেশটির নারী অধিকারকর্মীরা ১২ জুলাই সরকারঘোষিত জাতীয় হিজাব ও সতিত্ব দিবসে প্রকাশ্যে তাদের বোরকা ও হিজাব সরানোর ভিডিও পোস্ট করেন।

এদিকে চলমান আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন তেল শ্রমিকরা।

তেল কোম্পানিতে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের সংগঠন সোমবার বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা আগে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলাম, আমাদের সচেতন এবং সাহসী কর্মীরা জনগণের ওপর দমনপীড়ন ও হত্যার মুখে নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকবেন না। তারা জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।

‘এটি শুরু হয়ে গেছে। আমরা সারা দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

আরও পড়ুন:
ইরানে নারী অধিকার দমনে চরিত্রহননের পুরোনো কৌশল
মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করা ইরানি পুলিশ সদস্য কারা?
আঘাতে নয়, মাহসার মৃত্যু অসুস্থতায়: ইরানি চিকিৎসক সংগঠনের দাবি
ইরানি নারীদের পাশে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
পুরো ইরানে সমাবেশের ডাক তেহরানের শরিফ ইউনিভার্সিটির

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Government concerned about obstructing womens football Press Wing

নারীদের ফুটবলে বাধার ঘটনায় উদ্বিগ্ন সরকার: প্রেস উইং

নারীদের ফুটবলে বাধার ঘটনায় উদ্বিগ্ন সরকার: প্রেস উইং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন। শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’

দেশে সম্প্রতি নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‌‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

এতে উল্লেখ করা হয়, কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন।

‘শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।

‘প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।’

আরও পড়ুন:
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধারণা পুলিশের
হিন্দু নারীকে ধর্ষণের দাবিটি মিথ্যা: রিউমার স্ক্যানার
‘মিস পেনাল্টি’ খেতাব পেয়ে যা বললেন এমবাপ্পে
সদরঘাটে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার মায়ের মৃত্যু, মেয়ে ঢামেকে 
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The KSRM Tenth Golf Tournament was organized in the spectrum

বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো কেএসআরএম দশম গলফ টুর্নামেন্ট

বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো কেএসআরএম দশম গলফ টুর্নামেন্ট এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন। ছবি: কেএসআরএম
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট।

এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন।

টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সবুজে আচ্ছাদিত গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম এনডিসি, পিএসসি।

কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।

‘আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম।

‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ-মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল মোমেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মবিনুর রহমান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকে।

টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র‌্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

আরও পড়ুন:
আলোচনা ‘চূড়ান্ত’ পর্যায়ে, ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির আশা
জাহাজটিকে অন্য কোথাও সরিয়েছে জলদস্যুরা: কবির গ্রুপ 
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, ২৩ নাবিক জিম্মি
কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি
পঞ্চমবারের মতো ভবিষ্যৎ স্থপতিদের জন্য অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন কেএসআরএমের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Jhalkathi District Sports Association Ad Hoc Committee Approval

ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন

ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ের পাশে রাখা নির্মাণসামগ্রী। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।

ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।

এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।

গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‌‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ী হত্যা: জড়িতরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ
ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ধারণা পুলিশের
স্কুলের পাশে ইটভাটা, ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পরিবেশ কর্মকর্তার
ধাক্কা দিয়ে পথচারীর সঙ্গে প্রাণ হারালেন বাইক চালকও

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Inauguration of 51st Aga Khan Gold Cup Golf Tournament

৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট উদ্বোধন তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার। ছবি: নিউজবাংলা
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।

তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।

টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন:
বিমান ও গল্ফহাউসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
গলফের প্রসারে গলফহাউসের সঙ্গে এমওইউ বিমানের
জমকালো আয়োজনে এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্টের পর্দা নামল
এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফের বর্ণিল উদ্বোধন
বর্ণিল আয়োজনে চলছে বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্ট

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The army chief is confident of taking the countrys sports arena to the peak of development

দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নেয়ার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের

দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নেয়ার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ফাইল ছবি
আইএসপিআর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সভায় ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন:
বিএমএ-র ‘হল অব ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত হলেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ১১ দিনের সফরে সেনাপ্রধান
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
সেনাবাহিনী পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর: সেনাপ্রধান 

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Top terrorists out on bail under surveillance DMP Commissioner

জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নজরদারিতে রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নজরদারিতে রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।

রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’

তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।

‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’

ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Army Chief inaugurated the plantation at Kurmitola Golf Club

কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণের উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণের উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে শনিবার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
লেফটেন্যান্ট তানজিমের আত্মত্যাগ সেনাবাহিনী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে: সেনাপ্রধান
আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করছে: সেনাপ্রধান
১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে সহায়তা করা হবে: সেনাপ্রধান
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সেনাপ্রধানের
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ সেনাপ্রধানের

মন্তব্য

p
উপরে