× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
What are the consequences of Iran protests?
google_news print-icon

ইরান বিক্ষোভের পরিণতি কী?

হিজাব
মাহসা আমিনির মৃত্যু কেন্দ্র করে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে উত্তাল ইরান। ছবি: সংগৃহীত
আরব বসন্তের সময়ের মতোই ইরানের বর্তমান বিক্ষোভ নেতৃত্বহীন। নেতৃত্বহীন বিক্ষোভের একটি দিক হলো, এখানে এমন কোনো গ্রুপ নেই যারা আরও মানুষকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাতে পারে। এমন কেউ নেই যারা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও কৌশলের সমন্বয় করতে পারে। স্বতঃস্ফূর্ততা একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হতে পারে, তবে একে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা কঠিন।

নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে টানা বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৬ জন।

বিক্ষোভ দমনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ব্লকসহ ইন্টারনেটে ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে এর পরও একের পর এক শহরে ছড়িয়ে পড়ছে সহিংস প্রতিবাদ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক নিবন্ধে এই বিক্ষোভের সম্ভাব্য পরিণতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ব্লুমবার্গের অপিনিয়ন কলামিস্ট ববি ঘোষের নিবন্ধটি ভাষান্তর করা হয়েছে নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

পুলিশি হেফাজতে কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যু কেন্দ্র করে ইরানে টানা বিক্ষোভ তৃতীয় সপ্তাহের দিকে গড়াচ্ছে। সময় যতই যাচ্ছে, ততই দমন-পীড়ন তীব্র করছে শাসকগোষ্ঠী।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান পশ্চিমা প্রতিপক্ষদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘ইরানে বড় কোনো ঘটনা ঘটছে না।’

তবে ইরান যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে শাসকগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান বর্বরতাকে চাপা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের নেতৃস্থানীয় শক্তিগুলো ক্রমাগত এর নিন্দা জানাচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এখন প্রশ্ন হলো, বিক্ষোভকারীরা ইরানের অভ্যন্তরের অন্য গোষ্ঠীগুলোকে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে রাজি করাতে পারবে কি না।

চোখের সামনে ঘটা প্রমাণগুলো অস্বীকারে ইরানিদের রাজি করাতে না পেরে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির শাসকেরা এখন প্রোপাগান্ডার পথ বেছে নিচ্ছে। তারা প্রচার করছে বিক্ষোভগুলো নিছক ‘দাঙ্গা’, ইরানের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা দুর্বল করে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্ররোচনায় এগুলো ঘটানো হচ্ছে।

তবে ইরানি জনতা বোকা নয়। যোগাযোগমাধ্যম ব্ল্যাকআউটকে ফাঁকি দিয়ে তারা অব্যাহত বিক্ষোভের কথা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। গোটা বিশ্ব জানে, মাহসা আমিনির হেফাজতে মৃত্যুতে প্রতিবাদে প্রথম যারা রাস্তায় নেমেছিলেন তারা এখন ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির ডালপালা ছেঁটে, এমনকি শিকড় উপড়ে ফেলার আহ্বান জানাচ্ছেন।

বিক্ষোভে তাদের স্লোগান শুধু প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বিরুদ্ধে নয়, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি এবং তার ছেলে মোজতবাও এখন ক্ষোভের লক্ষ্য। মোজতবাকে অনেকেই পর্দার নেপথ্যের শক্তি বলে মনে করেন।

আশঙ্কা ছিল, রাশিয়া ও ইউক্রেন সংঘাতের কারণে ইরানের দিকে বিশ্বের মনোযোগ নাও পড়তে পারে। তবে সেটি ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। পশ্চিমা নেতারা তেহরানের শাসনব্যবস্থাকে চেপে ধরেছেন।

ক্র্যাকডাউনে জড়িত দেশটির নৈতিকতা পুলিশ এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। ইরানিদের ইন্টারনেট পরিষেবায় সাহায্য করতে বাইডেন প্রশাসন ইলন মাস্কের স্টারলিংকের মতো সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে।

তবে ইরানের শাসকগোষ্ঠী প্রচলিত হাতিয়ারের ওপর নির্ভরতা যদি হারিয়েও ফেলে, তার পরও তাদের দমন-পীড়নের ভয়ংকর ব্যবস্থাগুলো বেশ নির্ভরযোগ্য। নিয়মিত পুলিশ এবং বাসিজ মিলিশিয়া থেকে শুরু করে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের প্রতিবাদ আন্দোলন দমনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তাদের হাতে ২০১৯ সালে এক হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান, এর মাধ্যমে সে বছর তুমুল বিক্ষোভ দমন করা হয়।

আর সেটা ঘটেছিল কথিত মধ্যপন্থি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সময়ে। এবার বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট রাইসির কাছ থেকে আরও বেশি নিষ্ঠুরতার শিকার হতে পারেন। রাইসি এর আগে বিচারক থাকার সময়ে অসংখ্য মানুষকে ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দিয়েছেন।

প্রতিবাদ এগিয়ে নিতে বিক্ষোভকারীদের আন্তর্জাতিক মনোযোগের চেয়েও বেশি প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ সমর্থন। এই সমর্থন রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার ভেতর এবং বাইরে- দুই দিক থেকেই পেতে হবে।

রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার ভেতর থেকে সমর্থন পাওয়ার বিষয়টি অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। অন্তত স্বল্প সময়ের মধ্যে শাসন​​ব্যবস্থায় ফাটল ধরার কোনো লক্ষণ নেই। তথাকথিত মধ্যপন্থি রুহানি এবং তার সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফের মতো ব্যক্তিদের বেশির ভাগই দুই সপ্তাহ ধরে নিশ্চুপ।

দেশটির কয়েক ডজন গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহর (শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় নেতা) মধ্যে কেবল হোসেইন নুরি হামাদানি মৃদু ভাষায় সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকারকে উচিত জনগণের দাবির কথা শোনা।

অন্যদিকে বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম-হোসেন মহসেনি এজেই সতর্ক করে বলেছেন, যেসব জনব্যক্তিত্ব বিক্ষোভকে সমর্থন করবেন তাদের অবশ্যই সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আরব বসন্তের সময় তিউনিসিয়া ও মিসরের মতো ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীও বিক্ষোভকারীদের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দমনের পাশাপাশি তারা শাসকগোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে পাল্টা বিক্ষোভের মঞ্চায়ন করছে। নিজস্ব মিডিয়া আউটলেট ব্যবহার করে সরকারপন্থি সেই বিক্ষোভ প্রচারও করা হয়।

চলমান বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আশা হয়ে দাঁড়াতে পারে আন্দোলনে দেশটির সংগঠিত শ্রমিকদের সংহতি। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে বেশ কয়েকটি শ্রমিক ইউনিয়ন গত দুই বছরে শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। তারা এখনও নারীদের নেতৃত্বে চলমান বিক্ষোভে যোগ দেয়নি।

শিক্ষকদের একটি ইউনিয়ন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, তবে তার প্রভাব খুব একটা পড়েনি। ইউনিয়নগুলোর সাড়া না পাওয়ার কারণ হতে পারে তারা আগের আন্দোলনের ব্যর্থতার জন্য নিরাশায় ভুগছে। এখন যারা রাস্তায় প্রতিবাদমুখর, তাদের বেশির ভাগ তরুণ ও বেকার। এই বিক্ষোভকারীদের সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়েও ইউনিয়নগুলো সন্দিহান।

রাইসি এবং খামেনির সঙ্গে মতভেদ আছে শাসকগোষ্ঠীর ভেতরের এমন নেতারাও একইভাবে অপেক্ষা করছেন। তারা দেখতে চান, আগের বিক্ষোভকারীদের চেয়ে এবারের আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বেশি দিন টিকে থাকার শক্তি রাখেন কি না।

ইরানের অভিজাত শ্রেণির মধ্যে সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বিভেদ দেখা দিয়েছিল ২০০৯ সালে। বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিবাদে ‘গ্রিন মুভমেন্ট’ নামে দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়। ওই আন্দোলন ব্যাপক জনসমর্থন পেলেও নিরাপত্তা বাহিনী শেষ পর্যন্ত দেশটির সর্বোচ্চ নেতার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ দমন করে।

সেবারও প্রাণ হারান বহু মানুষ। আন্দোলনের নেতাদের গৃহবন্দি করা হয় এবং সেই বন্দিদশা আর শেষ হয়নি।

আরব বসন্তের সময়ের মতোই ইরানের বর্তমান বিক্ষোভ নেতৃত্বহীন। ফলে শাসকগোষ্ঠী কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এটি দমনের সুযোগ পাচ্ছে না।

তবে নেতৃত্বহীন বিক্ষোভের আরেকটি দিক হলো, এখানে এমন কোনো গ্রুপ নেই যারা আরও মানুষকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাতে পারে। এমন কেউ নেই যারা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও কৌশলের সমন্বয় করতে পারে। স্বতঃস্ফূর্ততা একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হতে পারে, তবে একে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা কঠিন।

বিক্ষোভকারীদের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো, নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুক ও গুলির মুখেও নিজেদের সাহস ধরে রাখা এবং রাস্তায় টিকে থাকা। সেই সঙ্গে তারা প্রার্থনা করতে পারেন, এই অনমনীয় দৃঢ়তা শ্রমিক ইউনিয়নগুলোকেও যুক্ত হতে উৎসাহিত করবে। এরপর শাসকগোষ্ঠীর ভেতর থেকেই তাদের পক্ষে সরব হবেন অনেকে।

এমন ঘটনা ঘটাতে মহাকাব্যিক সহ্যসীমার প্রয়োজন পড়বে। সেই ঘটনার দৃশ্যায়ন হবে নির্মম, কিন্তু বিশ্ব তা থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখতে পারবে না।

আরও পড়ুন:
বিশ্ববাসীকে বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ইরানি অস্কারজয়ীর
উত্তাল ইরানে ইলন মাস্কের ভূমিকা কী
হিজাববিরোধীরা সমুচিত জবাব পাবে: ইরানি প্রেসিডেন্ট
মাহসার মৃত্যুতে কেন এভাবে বিস্ফোরিত ইরান
মাহসা আমিনির ২৩তম জন্মদিনে কবরে ফুল আর কেক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Another 120 people from Libya have been brought back home

লিবিয়া থেকে আরও ১২৩ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

লিবিয়া থেকে আরও ১২৩ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

লিবিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করা আরও ১২৩ অনিবন্ধিত বাংলাদেশি নাগরিককে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব বাংলাদেশির সবাই বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে (ইউজেড ০২২২) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

উল্লেখ্য, প্রত্যাগতদের অধিকাংশই মানবপাচারের শিকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সমন্বিত উদ্যোগে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হয়েছে।

দেশে ফেরার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম-এর প্রতিনিধিরা তাদের স্বাগত জানান ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধিকাংশ বাংলাদেশি সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর উদ্দেশে অনিবন্ধিতভাবে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। লিবিয়ায় অবস্থানকালে তাদের অনেকেই মানব পাচারকারীদের দ্বারা অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।

সরকারি কর্মকর্তারা এসব অভিবাসীকে পরামর্শ দেন, যেন তারা অন্যদের এই ধরনের বিপজ্জনক ও অবৈধ পথে বিদেশ গমনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করেন এবং ভবিষ্যতে এমন যাত্রা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।

পুনর্বাসন সহায়তার অংশ হিসেবে আইওএম প্রত্যেককে নগদ ৬ হাজার টাকা, জরুরি খাদ্য সহায়তা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে লিবিয়ার বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটক থাকা অন্যান্য বাংলাদেশির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কাজ চলছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম যৌথভাবে এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Russia hopes to progress on ceasefire at a meeting in Saudi

সৌদিতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রগতির আশা রাশিয়ার

সৌদিতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রগতির আশা রাশিয়ার সুউচ্চ দুই ভবনের মাঝে সৌদি আরবের পতাকা। ছবি: এএফপি
সৌদি আরবে সোমবার ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকান আলোচকরা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কিথ কেলগ হোটেলকক্ষের মধ্যে ’শাটল কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইউক্রেনে তিন বছর ধরে চলা সংঘাত বন্ধে সৌদি আরবে সোমবার অনুষ্ঠেয় আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন রাশিয়ার একজন আলোচক।

তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এ বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র পৃথকভাবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার উভয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

মস্কো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত পূর্ণ ও নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। এর পরিবর্তে রাশিয়া শুধু জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর বিমান হামলা বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে।

সেই প্রস্তাব সত্ত্বেও উভয় পক্ষই আলোচনার আগে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া শহরে রাশিয়ার হামলায় একটি পরিবারের তিনজন নিহত হয়, যা ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা রবিবার ভোরে জানায়, রাশিয়া কিয়েভে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এগুলো ভবনগুলোতে আঘাত করেছে এবং আগুন লেগে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, শত্রুদের বিশাল আক্রমণে শহরের বেশ কয়েকটি জেলায় ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে এবং সাতজন আহত হয়েছেন।

সৌদি আরবে সোমবার ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকান আলোচকরা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কিথ কেলগ হোটেলকক্ষের মধ্যে ’শাটল কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন রাশিয়ার সিনেটর গ্রেগরি কারাসিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তত কিছুটা অগ্রগতি আশা করছি।"

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা মঙ্গলবার
ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তি চুক্তিতে রাজি হবে রাশিয়া, আশা ট্রাম্পের
এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন?
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Netanyahu dismisses the chief of Israeli intelligence agency Shin Bette

ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু


ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের বরখাস্তকৃত প্রধান রোনেন বার। ছবি: এএফপি
বারের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার শিন বেতের প্রধান হিসেবে তাকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার এক বছর আগেই তাকে পদ থেকে বরখাস্ত করল।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্ত করার কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ঘিরে রোনেন বারের ব্যর্থতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, তাকে আর বিশ্বাস করা যায় না।

জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ইসরায়েল সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইএসএ পরিচালক রোনেন বারকে বরখাস্তে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রোনেন বারের উত্তরসূরি নিযুক্ত হওয়ার পর অথবা ১০ এপ্রিলের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করবেন।

এর আগে গত রবিবার নেতানিয়াহু বলেন, তার ওপর আস্থার অভাব রয়েছে। তাকে এ পদে রাখা যাবে না। তাই বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বার ১৯৯৩ সালে শিন বেতে যোগ দিয়েছিলেন।

বারের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার শিন বেতের প্রধান হিসেবে তাকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার এক বছর আগেই তাকে পদ থেকে বরখাস্ত করল।

ইসরায়েলে হামাসের হামলা চালানোর আগে থেকেই রোনেন বারের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। গত ৪ মার্চ হামাসের হামলার ওপর শিন বেতের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন প্রকাশের পর সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে।

আরও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
ইসরায়েলি হামলায়, গাজায় নারী-শিশুসহ নিহত ৪ শতাধিক
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত কমপক্ষে ৩২৬
ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Former President of the Philippines Duterte arrested at the ICC warrant

আইসিসির পরোয়ানায় ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গ্রেপ্তার

আইসিসির পরোয়ানায় ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গ্রেপ্তার ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ছবি: ইউএনবি
ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ফিলিপাইন সরকার তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, হংকং থেকে দেশে আসার পর আইসিসির নির্দেশে পুলিশ দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে সাবেক এ প্রেসিডেন্টের চালানো অভিযানে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে।

আইসিসি দুতার্তের শাসনামলে মাদক নির্মূলের নামে চালানো অভিযানে হত্যাকাণ্ডগুলোকে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছে। এর মধ্যে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণাঞ্চলের শহর দাভাওয়ের মেয়র থাকার সময় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে ২০১৯ সালে ফিলিপাইনকে রোম সংবিধি থেকে প্রত্যাহার করে নেন দুতার্তে।

দুতার্তে প্রশাসন ২০২১ সালের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক আদালতের তদন্ত স্থগিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। আইসিসির আদালত হলো সর্বশেষ অবলম্বন।

আইসিসির আর বিচার করার এখতিয়ার নেই—এমন যুক্তি দিয়ে সে সময় তার প্রশাসন বলেছিল, ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে একই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।

আরও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ভূমিকম্পে মৃত ৪, আহত ৬০
ফিলিপাইনে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক অক্সফোর্ড জালিয়াতের
ফিলিপাইনে নোবেলজয়ী সাংবাদিকের সাইট বন্ধের নির্দেশ
ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন প্রেসিডেন্টকন্যা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Attack at Trumps Golf Resort

ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা

ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। ছবি: ইউএনবি
টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। রিসোর্টের সবুজ মাঠে লাল রং দিয়ে লেখা হয়েছে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়’।

স্কটল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরাতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনপন্থি ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন‘ নামের একটি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে সংগঠনটি।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে জানানো হয়, ট্রাম্পের গাজা নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও পরিকল্পনার কারণে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি মানুষ ও তাদের সমর্থকরা। এরই জেরে এ হামলা ঘটিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সংগঠনের সদস্যরা।

টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। রিসোর্টের সবুজ মাঠে লাল রং দিয়ে লেখা হয়েছে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়’।

সংগঠনটির কর্মীরা জানান, ট্রাম্প গাজাকে নিজের সম্পত্তির মতো মনে করে, যা খুশি তাই করতে পারে না। তারই প্রতিবাদ এটা।

তারা বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে চাই, আমাদের প্রতিরোধ থেকে তার নিজের সম্পত্তিও নিরাপদ নয়।’

ফিলিস্তিনিনের এই হামলাকে ট্রাম্প ‘শিশুসুলভ, অপরাধমূলক’ কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তার পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের নিন্দা সাবেক প্রতিরক্ষাপ্রধানদের
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করল ইসরায়েল
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায়, ধারণা ট্রাম্পের
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trumps proposal to discuss Khamenei on the nuclear program

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে খামেনিকে আলোচনার প্রস্তাব ট্রাম্পের

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে খামেনিকে আলোচনার প্রস্তাব ট্রাম্পের ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোলাজ: বাসস
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আলোচনায় না বসলে সামরিক অভিযানের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ ঢেলে সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ উদ্যোগ পৌঁছেছে ইরানের দ্বারপ্রান্তেও।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আলোচনায় না বসলে সামরিক অভিযানের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের নেতাদের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির উদ্দেশে বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন। কারণ, এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’

একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে।

যদিও ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। তারা জানিয়েছে, এমন কোনো চিঠির বিষয়ে অবগত নয় তারা।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ট্রাম্পের চিটি পাঠানোর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তিনি শুক্রবার এএফপিকে বলেন, শক্তি প্রয়োগ করলে তারা পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না।

আরও পড়ুন:
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প
দক্ষিণ আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ
কানাডাকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
China will increase fuel oil imports from Iran

ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন

ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন জ্বালানি তেলের স্থাপনার পাশে ইরানের পতাকা। ছবি: বাসস
কয়েকজন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানান, চীন তেল ট্যাংকারগুলোতে পরিবর্তন এনেছে যাতে সেগুলো আর নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকে। এর ফলে রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে তেল বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারবে বেইজিং। ফলে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই দুই দেশ থেকে চীন বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারবে।

ইরান ও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন।

নতুন টার্মিনাল ও জাহাজ চালু হওয়ায় মার্চ থেকে চীন তেল আমদানি বৃদ্ধি করবে বলে খবর পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি সত্ত্বেও চীন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ‘অয়েল প্রাইস’ নামের ওয়েবসাইট।

অয়েল প্রাইসের তথ্য অনুযায়ী, ইরান ও রাশিয়া থেকে চীনের তেল আমদানি দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ওয়েবসাইটটির উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া শনিবার এ খবর জানায়।

কয়েকজন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানান, চীন তেল ট্যাংকারগুলোতে পরিবর্তন এনেছে যাতে সেগুলো আর নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকে। এর ফলে রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে তেল বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারবে বেইজিং। ফলে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই দুই দেশ থেকে চীন বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারবে। এ আমদানি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।

নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকা চীনা তেল ট্যাংকারগুলো এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

ইরান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর
চীনে ভূমিধস: নিখোঁজ ২৯
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি চীনের অর্থনীতিকে চাপে ফেলতে পারে
চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৫৩, আহত ৬২
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা বাইডেনের: প্রতিবেদন

মন্তব্য

p
উপরে