× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Why did Iran explode like this after Mahsas death?
google_news print-icon

মাহসার মৃত্যুতে কেন এভাবে বিস্ফোরিত ইরান

মাহসার-মৃত্যুতে-কেন-এভাবে-বিস্ফোরিত-ইরান-
ইরানজুড়ে বিক্ষুব্ধদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন মাহসা আমিনি। ছবি: সংগৃহীত
ইরানের কট্টরপন্থি শাসকদের প্রতি ক্ষোভের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অর্থনীতি, দুর্নীতি ও সামাজিক বিধিনিষেধ নিয়ে ব্যাপক হতাশা এই অস্থিরতার সঙ্গে মিশে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভের ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পেটাচ্ছেন।

ইরানে ‘সঠিকভাবে’ হিজাব না করার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মারা যাওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তুমুল বিক্ষোভ।

রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮০টি শহর এখন অগ্নিগর্ভ। পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান বিক্ষোভে ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন হাজারের বেশি।

১৯৭৯ সালে দেশটিতে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে নারীর পোশাক ইস্যুতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ এটি।

ইরানে ১৯৭৯ সালের ওই বিপ্লবের পরই নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। দেশটির ধর্মীয় শাসকদের কাছে নারীদের জন্য এটি ‘অতিক্রম-অযোগ্য সীমারেখা’। বাধ্যতামূলক এই পোশাকবিধি মুসলিম নারীসহ ইরানের সব জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের নারীদের জন্য প্রযোজ্য।

মাহসার মৃত্যুতে কেন এভাবে বিস্ফোরিত ইরান
মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। ছবি: সংগৃহীত

নারীর জন্য কঠোর পোশাকবিধি দেখভালের দায়িত্বে আছে ইরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ ইউনিট, ফারসি ভাষায় যার প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘গাস্ত-ই এরশাদ’। নিবর্তনমূলক ভূমিকার কারণে এই ইউনিট দীর্ঘদিন ধরেই অত্যন্ত অজনপ্রিয়। মাহসার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে ‘নৈতিকতা পুলিশ’-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে। পাশাপাশি দেশটির শাসকগোষ্ঠীর প্রতিও বিপুলসংখ্যক মানুষের অনাস্থার প্রকাশ ঘটেছে এবার।

বিক্ষোভের বেশ কয়েকটি কারণ বিশ্লেষণ করেছেন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক গোলনার মোতিভেলি। তার প্রতিবেদনটি ভাষান্তর করা হয়েছে নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।


১. বিক্ষোভের কারণ কী?

তাৎক্ষণিক কারণ ছিল ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু। ১৬ সেপ্টেম্বর এ খবর প্রকাশিত হয়। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার তথ্য অনুসারে, মাহসা কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে পরিবারের সঙ্গে তেহরানে ভ্রমণে এসেছিলেন।

গাস্ত-ই এরশাদ-এর একটি দল তাকে আটকের সময় দাবি করে, মাহসার পোশাক ‘সঠিক নয়’। সংস্কারপন্থি শার্গ সংবাদপত্রের বিবরণ অনুসারে, মাহসার ভাই এ সময় পুলিশের কাছে তার বোনকে সতর্ক করে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। তবে পুলিশ তা কানে নেয়নি। মাহসাকে একটি মিনিভ্যানে জোর করে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

তার মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, মাহসা একটি চেয়ারে বসা ও সেখান থেকে মেঝেতে পড়ে যাচ্ছেন। তেহরানের পুলিশ বাহিনী বলেছে, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। তবে পরিবারের দাবি, মাহসার আগে কোনো শারীরিক বা স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল না এবং কর্তৃপক্ষ তাকে মারধরের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

২. ক্ষোভ কতটা তীব্র?

ইরানের বিভিন্ন শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। তারকা, রাজনীতিক ও খেলোয়াড়রা সোশ্যাল মিডিয়াতে পুলিশের নিন্দার পাশাপাশি গাস্ত-ই এরশাদ-এর সমালোচনা করেছেন। তরুণীরা মাসহার প্রতি সংহতি জানাতে তাদের মাথার হিজাব খুলে ফেলেছেন ও পুড়িয়ে দিচ্ছেন।

ইরানের কট্টরপন্থি শাসকদের প্রতি ক্ষোভের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অর্থনীতি, দুর্নীতি ও সামাজিক বিধিনিষেধ নিয়ে ব্যাপক হতাশা এই অস্থিরতার সঙ্গে মিশে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভের ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পেটাচ্ছেন।

৩. বিক্ষোভকারীদের দাবি কী?

বিক্ষোভকারীরা ৯ বছর বয়স থেকে সব নারীর জন্য বাধ্যতামূলক হিজাবের আইনকে বদলাতে চান। এই পোশাকবিধি অনুযায়ী নারীদের জনসমক্ষে চুল সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখতে হয় এবং লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয়।

এ আইন ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর কার্যকর হয়। ওই বছর নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি পশ্চিমপন্থি শাহকে হটিয়ে ইরানের ক্ষমতায় বসেন। তবে তার সরকার দ্রুত দেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও বিপ্লবী নারী কর্মীদের মধ্যে অজনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

মাহসার মৃত্যুতে কেন এভাবে বিস্ফোরিত ইরান
ইরানে নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভে অসংখ্য পুরুষও যোগ দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

বছরের পর বছর ধরে নারীরা ধীরে ধীরে অনুমোদনযোগ্য পোশাকের সীমানা বাড়িয়েছেন। খোলা ও লেগিনসের সঙ্গে ঢিলেঢালা শাল ও পোশাক বেশিরভাগ শহরে সাধারণ পোশাক হয়ে উঠেছে। মাহসাকে যখন আটক করা হয় তার পরনেও ছিল তেমন একটি পোশাক।

৪. হিজাব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কি এই প্রথম?

১৯৭০ দশকের শেষে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই পোশাকবিধির বিরোধিতা দেশটির কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত সুশীল সমাজের একটি বৈশিষ্ট্য ছিল। তবে ২০১৭ সালের শেষের দিকে তেহরানের পাবলিক ইলেকট্রিকাল কেবিনেট ও বেঞ্চে বেশ কয়েকজন নারী তাদের মাথার স্কার্ফ খুলে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার পর থেকে ভিন্নমত আরও জোরালো হয়।

তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশকে আগ্রাসীভাবে তাদের মাটিতেও ঠেসে ধরে রাখতেও দেখা গেছে। ওই বছরের আগস্টে সেপিদেহ রাশনো নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাশনো এক ধার্মিক, চাদরে ঢাকা ব্যক্তির সঙ্গে তর্ক করছিলেন, যিনি এক তরুণীকে তার পোশাকের জন্য হয়রানি করছিলেন।

এ দৃশ্য জাতীয় টিলিভিশনে প্রচার হওয়ার পর রাশনোকে টিভিতে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। রাশনোর চেহারা ছিল ফোলা ও তাকে মারধরের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল।

৫. কর্তৃপক্ষ কীভাবে জবাব দিয়েছে?

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সহজাত প্রবৃত্তি হলো, অনুমোদনহীন জমায়েতকে বেআইনি দাবি করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়ে গেলে দাঙ্গা পুলিশ সাধারণত লাঠি ব্যবহার করে বা শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে।

সাদা পোশাকধারী, স্বেচ্ছাসেবী মিলিশিয়ারাও বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ করে এবং পরে তাদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করার জন্য প্রায়ই ছবি তুলে রাখে। তবে মাহসাকে নিয়ে বিক্ষোভের মাত্রা কিছুটা ভিন্ন।

ইরানি পার্লামেন্টের প্রধান (একজন কট্টরপন্থী ও সাবেক পুলিশ কমান্ডার, যিনি ১৯৯০ এর দশকের শেষ দিকে বিক্ষোভকারীদের মারধর করার জন্য অভিযুক্ত) গাস্ত-ই এরশাদ আইন সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মাহসার বাবা-মাকে তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মাহসার মৃত্যুতে কেন এভাবে বিস্ফোরিত ইরান
তেহরানের রাস্তায় বিক্ষোভের সময় হিজাব খুলে পুড়িয়ে দিচ্ছেন এক নারী। ছবি: সংগৃহীত

৬. আগের প্রতিবাদগুলো কী নিয়ে ছিল?

সরকারের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল ২০০৯ সালের গ্রিন মুভমেন্ট। ওই বছর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের পুনর্নিবাচনে জালিয়াতির অভিযোগে ওই বিক্ষোভ হয়। রাজনৈতিক ইস্যুতে তেহরানে একের পর এক সমাবেশ ও মিছিল হতে থাকে এবং তাতে যোগ দেন লাখ লাখ মধ্যবিত্ত ইরানি।

এই বিক্ষোব দমনে বহু মানুষকে হত্যা করা হয় ও শতাধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন। ইন্টারনেট ব্যবহারে দেয়া হয় বিধিনিষেধ। তবে এরপরও বিক্ষোভ চলমান ছিল:

  • মে, ২০২২: দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানে একটি ১০ ​​তলা ভবন ধসে পড়ার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ভবনটির অনুমতি দিয়েছিলেন এক সরকারি কর্মকর্তা। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হন।

    জানুয়ারি, ২০২০: ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী ভুল করে একটি যাত্রীবাহি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এতে বিমানের ১৭৬ আরোহী মারা যান। নিরাপত্তা সংস্থার অদক্ষতা ও রাষ্ট্রের দোষ লুকানোর প্রচেষ্টায় জনগণের মাঝে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে।

  • নভেম্বর, ২০১৯: জ্বালানিতে ভর্তুকি দিতে থাকা সরকার হঠাৎ করেই পেট্রলের দাম বাড়িয়ে দেয়। ইরানিরা সে সময় আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া নিষেধাজ্ঞার অধীনে ছিল। বিক্ষোভকে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করে।

  • ২০১৭ সালের শেষদিক: অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় হতাশা প্রকাশ করতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এটি শেষ পর্যন্ত গড়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলনে।

  • তেল সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশে আরবদের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা পারস্য ইরানে সংখ্যালঘু। খুজেস্তানে চলমান দুর্নীতি ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নিয়মিত বিষয়। নিরাপত্তা বাহিনী সেগুলো ক্রমাগত দমন করছে।

৭. ইরানে বিরোধীদের অবস্থান কেমন?

ইরানে কোনো সংগঠিত বিরোধী দল নাই। মানুষ ব্যক্তিগতভাবে নেতৃত্বের সমালোচনা করে। তবে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াতে তার প্রতিফলন ঘটে খুবই কম। ইরানে একমাত্র ইসলামি প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধকে সমর্থন করা রাজনৈতিক দলগুলোই কাজ করতে পারে।

ধর্মনিরপেক্ষ, কমিউনিস্ট ও ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের প্রচারক দল সেখানে নিষিদ্ধ। ইরানের রাজনীতিবিদদের মোটামুটিভাবে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:

চরম রক্ষণশীল: যেমন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি, মধ্যপন্থি বা বাস্তববাদি রক্ষণশীল: যেমন সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বা আলি লারিজানি। আর রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির মতো সংস্কারপন্থি।

সংস্কারপন্থিরা বিশ্বাস করেন, রাজনৈতিক ব্যবস্থাটি আরও উন্মুক্ত হওয়া উচিত। তবে চার বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালে করা পারমাণবিক চুক্তি বাতিল এবং ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে তাদের জনপ্রিয়তা এবং প্রভাব কমেছে।

৯. বর্তমান ব্যবস্থার রক্ষাকবচ কী?

খামেনি ইরানের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী শাখা ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এটি তার অবস্থানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছে।

অর্থনীতি ও পররাষ্ট্র নীতিসহ রাষ্ট্রের সমস্ত বড় সিদ্ধান্তের পিছনে চূড়ান্ত কর্তৃত্ব খামেনির। তিনি বেশ কয়েকটি বড় ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের ডি ফ্যাক্টো প্রধান। এ ফাউন্ডেশনগুলো দেশের কিছু বৃহত্তম সংগঠন ও পেনশন তহবিল পরিচালনা করে।

সামরিক শক্তি ও অর্থনৈতিক প্রভাবের এই একত্রীকরণ ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে রাজনীতিতে একটি শক্ত দখল বজায় রাখতে সাহায্য করছে। ইরানের সমস্ত প্রধান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম থেকে বিচার বিভাগ- সবই সর্বোচ্চ নেতার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত বা রাজনৈতিকভাবে তার সঙ্গে সংযুক্ত।

গত বছরের রাইসির নির্বাচনের পর থেকে ইরানের রাষ্ট্র ও সরকারের সমস্ত কিছু কট্টরপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা ইসলামিক মতাদর্শকে কঠোরভাবে রক্ষা করছে।

আরও পড়ুন:
মাহসা আমিনির ২৩তম জন্মদিনে কবরে ফুল আর কেক
উত্তাল ইরানের এক শহর নিরাপত্তা বাহিনীর হাতছাড়া
ইরানে পোশাকের স্বাধীনতার বিক্ষোভে মৃত্যু বেড়ে ৫০

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Russia hopes to progress on ceasefire at a meeting in Saudi

সৌদিতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রগতির আশা রাশিয়ার

সৌদিতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রগতির আশা রাশিয়ার সুউচ্চ দুই ভবনের মাঝে সৌদি আরবের পতাকা। ছবি: এএফপি
সৌদি আরবে সোমবার ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকান আলোচকরা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কিথ কেলগ হোটেলকক্ষের মধ্যে ’শাটল কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইউক্রেনে তিন বছর ধরে চলা সংঘাত বন্ধে সৌদি আরবে সোমবার অনুষ্ঠেয় আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন রাশিয়ার একজন আলোচক।

তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এ বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র পৃথকভাবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার উভয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

মস্কো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত পূর্ণ ও নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। এর পরিবর্তে রাশিয়া শুধু জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর বিমান হামলা বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে।

সেই প্রস্তাব সত্ত্বেও উভয় পক্ষই আলোচনার আগে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া শহরে রাশিয়ার হামলায় একটি পরিবারের তিনজন নিহত হয়, যা ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা রবিবার ভোরে জানায়, রাশিয়া কিয়েভে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এগুলো ভবনগুলোতে আঘাত করেছে এবং আগুন লেগে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, শত্রুদের বিশাল আক্রমণে শহরের বেশ কয়েকটি জেলায় ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে এবং সাতজন আহত হয়েছেন।

সৌদি আরবে সোমবার ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকান আলোচকরা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কিথ কেলগ হোটেলকক্ষের মধ্যে ’শাটল কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন রাশিয়ার সিনেটর গ্রেগরি কারাসিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তত কিছুটা অগ্রগতি আশা করছি।"

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা মঙ্গলবার
ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তি চুক্তিতে রাজি হবে রাশিয়া, আশা ট্রাম্পের
এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন?
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Netanyahu dismisses the chief of Israeli intelligence agency Shin Bette

ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু


ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের বরখাস্তকৃত প্রধান রোনেন বার। ছবি: এএফপি
বারের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার শিন বেতের প্রধান হিসেবে তাকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার এক বছর আগেই তাকে পদ থেকে বরখাস্ত করল।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্ত করার কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ঘিরে রোনেন বারের ব্যর্থতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, তাকে আর বিশ্বাস করা যায় না।

জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ইসরায়েল সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইএসএ পরিচালক রোনেন বারকে বরখাস্তে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রোনেন বারের উত্তরসূরি নিযুক্ত হওয়ার পর অথবা ১০ এপ্রিলের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করবেন।

এর আগে গত রবিবার নেতানিয়াহু বলেন, তার ওপর আস্থার অভাব রয়েছে। তাকে এ পদে রাখা যাবে না। তাই বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বার ১৯৯৩ সালে শিন বেতে যোগ দিয়েছিলেন।

বারের মেয়াদ আগামী বছর শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২১ সালের অক্টোবরে পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার শিন বেতের প্রধান হিসেবে তাকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার এক বছর আগেই তাকে পদ থেকে বরখাস্ত করল।

ইসরায়েলে হামাসের হামলা চালানোর আগে থেকেই রোনেন বারের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। গত ৪ মার্চ হামাসের হামলার ওপর শিন বেতের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন প্রকাশের পর সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে।

আরও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
ইসরায়েলি হামলায়, গাজায় নারী-শিশুসহ নিহত ৪ শতাধিক
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত কমপক্ষে ৩২৬
ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Former President of the Philippines Duterte arrested at the ICC warrant

আইসিসির পরোয়ানায় ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গ্রেপ্তার

আইসিসির পরোয়ানায় ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গ্রেপ্তার ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। ছবি: ইউএনবি
ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ফিলিপাইন সরকার তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, হংকং থেকে দেশে আসার পর আইসিসির নির্দেশে পুলিশ দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করেছে। অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে সাবেক এ প্রেসিডেন্টের চালানো অভিযানে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে।

আইসিসি দুতার্তের শাসনামলে মাদক নির্মূলের নামে চালানো অভিযানে হত্যাকাণ্ডগুলোকে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছে। এর মধ্যে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণাঞ্চলের শহর দাভাওয়ের মেয়র থাকার সময় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে ২০১৯ সালে ফিলিপাইনকে রোম সংবিধি থেকে প্রত্যাহার করে নেন দুতার্তে।

দুতার্তে প্রশাসন ২০২১ সালের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক আদালতের তদন্ত স্থগিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। আইসিসির আদালত হলো সর্বশেষ অবলম্বন।

আইসিসির আর বিচার করার এখতিয়ার নেই—এমন যুক্তি দিয়ে সে সময় তার প্রশাসন বলেছিল, ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে একই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।

আরও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ভূমিকম্পে মৃত ৪, আহত ৬০
ফিলিপাইনে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক অক্সফোর্ড জালিয়াতের
ফিলিপাইনে নোবেলজয়ী সাংবাদিকের সাইট বন্ধের নির্দেশ
ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন প্রেসিডেন্টকন্যা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Attack at Trumps Golf Resort

ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা

ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। ছবি: ইউএনবি
টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। রিসোর্টের সবুজ মাঠে লাল রং দিয়ে লেখা হয়েছে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়’।

স্কটল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরাতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনপন্থি ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন‘ নামের একটি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে সংগঠনটি।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে জানানো হয়, ট্রাম্পের গাজা নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য ও পরিকল্পনার কারণে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনি মানুষ ও তাদের সমর্থকরা। এরই জেরে এ হামলা ঘটিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সংগঠনের সদস্যরা।

টার্নবেরি রিসোর্টটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি রিসোর্টের দেয়ালে লাল রং দিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। রিসোর্টের সবুজ মাঠে লাল রং দিয়ে লেখা হয়েছে ‘গাজা বিক্রির জন্য নয়’।

সংগঠনটির কর্মীরা জানান, ট্রাম্প গাজাকে নিজের সম্পত্তির মতো মনে করে, যা খুশি তাই করতে পারে না। তারই প্রতিবাদ এটা।

তারা বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে চাই, আমাদের প্রতিরোধ থেকে তার নিজের সম্পত্তিও নিরাপদ নয়।’

ফিলিস্তিনিনের এই হামলাকে ট্রাম্প ‘শিশুসুলভ, অপরাধমূলক’ কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তার পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের নিন্দা সাবেক প্রতিরক্ষাপ্রধানদের
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করল ইসরায়েল
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায়, ধারণা ট্রাম্পের
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trumps proposal to discuss Khamenei on the nuclear program

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে খামেনিকে আলোচনার প্রস্তাব ট্রাম্পের

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে খামেনিকে আলোচনার প্রস্তাব ট্রাম্পের ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোলাজ: বাসস
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আলোচনায় না বসলে সামরিক অভিযানের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ ঢেলে সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ উদ্যোগ পৌঁছেছে ইরানের দ্বারপ্রান্তেও।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আলোচনায় না বসলে সামরিক অভিযানের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের নেতাদের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির উদ্দেশে বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন। কারণ, এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’

একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে।

যদিও ট্রাম্পের এই দাবি অস্বীকার করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। তারা জানিয়েছে, এমন কোনো চিঠির বিষয়ে অবগত নয় তারা।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ট্রাম্পের চিটি পাঠানোর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তিনি শুক্রবার এএফপিকে বলেন, শক্তি প্রয়োগ করলে তারা পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না।

আরও পড়ুন:
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প
দক্ষিণ আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ
কানাডাকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
China will increase fuel oil imports from Iran

ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন

ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন জ্বালানি তেলের স্থাপনার পাশে ইরানের পতাকা। ছবি: বাসস
কয়েকজন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানান, চীন তেল ট্যাংকারগুলোতে পরিবর্তন এনেছে যাতে সেগুলো আর নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকে। এর ফলে রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে তেল বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারবে বেইজিং। ফলে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই দুই দেশ থেকে চীন বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারবে।

ইরান ও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন।

নতুন টার্মিনাল ও জাহাজ চালু হওয়ায় মার্চ থেকে চীন তেল আমদানি বৃদ্ধি করবে বলে খবর পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি সত্ত্বেও চীন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ‘অয়েল প্রাইস’ নামের ওয়েবসাইট।

অয়েল প্রাইসের তথ্য অনুযায়ী, ইরান ও রাশিয়া থেকে চীনের তেল আমদানি দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ওয়েবসাইটটির উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া শনিবার এ খবর জানায়।

কয়েকজন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানান, চীন তেল ট্যাংকারগুলোতে পরিবর্তন এনেছে যাতে সেগুলো আর নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকে। এর ফলে রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে তেল বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারবে বেইজিং। ফলে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই দুই দেশ থেকে চীন বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারবে। এ আমদানি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।

নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকা চীনা তেল ট্যাংকারগুলো এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

ইরান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর
চীনে ভূমিধস: নিখোঁজ ২৯
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি চীনের অর্থনীতিকে চাপে ফেলতে পারে
চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৫৩, আহত ৬২
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা বাইডেনের: প্রতিবেদন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Pakistan based terrorist group

ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর

ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর স্থানীয় সময় শনিবার সকালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ছবি: বাসস
গত বছরের ২৬ অক্টোবর সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশের তাফতান কাউন্টির গোহার কুহ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য নিহত হন। ওই হামলারও দায় এ সংগঠন স্বীকার করে।

ইরানের সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশের চবাহার কাউন্টিতে ইসলামি বিপ্লবী হাউজিং ফাউন্ডেশনের সদরদপ্তরে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জয়শুল আজল।

স্থানীয় সময় শনিবার সকালে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী হাউজিং ফাউন্ডেশন সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য আবাসন তৈরি এবং হাউজিং ইউনিট নির্মাণ করে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি এ খবর জানায়।

পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসলামি বিপ্লবী হাউজিং ফাউন্ডেশনের দপ্তরে সাউন্ড বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে।

প্রাদেশিক প্রসিকিউটর মেহদি শামসাবাদি জানান, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

তিনি জানান, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনীগুলো এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

বিস্ফোরণে ভবনটির একাংশের ক্ষতি হয়েছে।

পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ইরানের সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশে বিগত বছরগুলোতে সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় অনেকবার সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। যেসব গোষ্ঠী এসব হামলা চালিয়েছে, তাদের সঙ্গে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সম্পর্ক রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশের তাফতান কাউন্টির গোহার কুহ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য নিহত হন। ওই হামলারও দায় এ সংগঠন স্বীকার করে।

আরও পড়ুন:
জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের বিবৃতি
পাকিস্তানে ফিরতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’ মালালা
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা বাইডেনের: প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ষবরণ উৎসবে ট্রাক নিয়ে হামলা, নিহত ১৫
বাগেরহাটে মার্চ ফর ইউনিটির গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষে আহত ২০

মন্তব্য

p
উপরে