× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
After 20 years of attacks the United States is now providing financial aid to Afghanistan
google_news print-icon

২০ বছর যুদ্ধের পর সেই আফগানিস্তানেই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২০-বছর-যুদ্ধের-পর-সেই-আফগানিস্তানেই-অর্থ-সহায়তা-দিচ্ছে-যুক্তরাষ্ট্র
আফগানিস্তানে শিশুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনা। ছবি: সংগৃহীত
তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সালে যে আফগানিস্তানে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এত বছর পর এসে সে দেশে ৩২৭ মিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বহু বছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে এখন সেই আফগানিস্তানেই বড় অঙ্কের অর্থ সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘পুরোনো বন্ধু ও শত্রু’ তালেবান সরকারের সঙ্গে এর মাধ্যমে সম্পর্কের নতুন রসায়ন শুরু হচ্ছে দেশটির।

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সালে যে আফগানিস্তানে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এত বছর পর এসে সে দেশে ৩২৭ মিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে আফগান নাগরিকদের জন্য এই অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স

দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে শেষ পর্যন্ত গত বছরের ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে নিজেদের শেষ সৈন্য ও কূটনীতিককে কাবুল থেকে তুলে নিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন টুইটারে লিখেছেন, ‘মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে প্রায় ৩২৭ মিলিয়ন ডলার অর্থ পাঠাচ্ছে। জরুরি সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে এই অর্থ দেয়া হচ্ছে। আফগান জনগণের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করছি আমরা।’

জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসী বিভাগের মাধ্যমে ১১৯ মিলিয়ন ডলার এবং মানবিক সহায়তা বিভাগের মাধ্যমে ২০৮ ডলার দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থ আফগানিস্তানের জনগণের জন্য ব্যয় হবে। নগদ অর্থ, আবাস নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য, বাস্তুচ্যুতদের সহায়তা ও নারীর ওপর সহিংসতা রোধে কাজে লাগানো হবে। এই অর্থের কিছু অংশ আফগানিস্তানের প্রতিবেশী পাকিস্তানেও সহায়তা হিসেবে ব্যয় হবে বলে জানানো হয় এতে।

এর আগে আফগানিস্তানে ফ্রিজ হওয়া অর্থ দেশটিকে নতুন করে গড়ে তুলতে ব্যবহার করা হবে বলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের ১৫ আগস্ট আশরাফ গনিকে হটিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসে তালেবান। এই তালেবানের সঙ্গে একসময় বৈরী সম্পর্কেই দেশটিতে হামলা শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসি বলছে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা চারটি বিমান ছিনতাই করে। দুটি বিমান দিয়ে আঘাত করা হয় নিউ ইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ারে, একটি আঘাত করে ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে, আরেকটি বিধ্বস্ত হয় একটি মাঠে।

যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আফগানিস্তানের তখনকার শাসক তালেবানের কাছে ওই হামলার জন্য দায়ী করে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে চান। তালেবান তাকে দিতে অস্বীকার করায় অপারেশন এন্ডুরিং ফ্রিডম শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

আফগানিস্তান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক বছরে বিশেষ করে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর আরো কয়েকটি দেশে যুদ্ধ করতে গেছে। এতে একদিকে যেমন সামরিক অভিযানের ব্যাপারটি ব্যয়বহুল, অন্যদিকে বহু সৈন্যকেও এসব যুদ্ধে প্রাণ দিতে হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুধু আফগানিস্তান যুদ্ধেই দেশটির খরচ হয়েছে কয়েক হাজার কোটি ডলার। নিহত হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য।

অবশেষে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনামলে যুদ্ধকবলিত বিভিন্ন দেশ থেকে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং এ বিষয়ে আফগানিস্তানের তালেবানের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছান।

এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ‘বন্ধু হয়ে ওঠা’ আফগানিস্তান থেকে গত বছর সেনা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। এবার দেয়া হচ্ছে আর্থিক সহায়তাও।

আরও পড়ুন:
মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চায় না আফগানরাই, তালেবান মন্ত্রীর দাবি
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ৬ মৃত্যু
নারী বিষয়ে তালেবানকে চ্যালেঞ্জ করুক মুসলিম বিশ্ব: আমেরিকার দূত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
A major attack would have left Israel with nothing
আইআরজিসির বার্ষিক প্যারেডে ইরানের প্রেসিডেন্ট

বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না

বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না বুধবার আইআরজিসি বার্ষিক প্যারেডে ভাষণ দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: সংগৃহীত
১৩ই এপ্রিল ইসরাইলে ইরানের চালানো হামলা প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট রাইসি বলেন, “ওই অপারেশনের পরে বিশ্ববাসী দেখেছে যে, ‘ট্রু প্রমিজ’ ইহুদি রাষ্ট্রের মিথ্যা আধিপত্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

ইসরাইলে ইরানের হামলাকে ‘সীমিত আকারের’ বর্ণনা করে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, যদি ইরান বড় কোনো হামলা করতে চাইত, তাহলে ইহুদি শাসকগোষ্ঠীর (ইসরাইল) কিছুই অবশিষ্ট থাকত না।

বুধবার তিনি ইরানের রেভলুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) বার্ষিক প্যারেডে দেয়া ভাষণে এ সতর্কতা উচ্চারণ করেন।

রাইসি বলেন, ‘এই হামলার জবাবে ইসরাইল যদি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আক্রমণও চালায়, তাহলে তার জবাব হবে বিশাল ও কঠোর।’

ইসরাইল-ইরান সংকট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যখন একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের হুমকি বিরাজ করছে, সে সময়ই এই হুংকার দিলেন ইব্রাহিম রাইসি।

সিরিয়ায় গত ১ এপ্রিল ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো।

হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটিতে কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। এ হামলায় সাত বছর বয়সী এক ইসরায়েলি শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে। এর বাইরে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ওই হামলার পর আন্তর্জাতিক মহল থেকে বার বার বিরত থাকার আহ্বান জানানো হলেও জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইসরাইল।

শনিবারের ওই হামলার প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। তিনি জানান, ওই হামলার নাম দেয়া হয়েছে ‘ট্রু প্রমিজ’। একইসঙ্গে ইসরাইল থেকে সম্প্রতি যে হুমকি দেয়া হচ্ছে তার জবাব কঠোর ও অগ্নিঝরা হবে বলে পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

১৩ই এপ্রিল ইসরাইলে ইরানের চালানো হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওই অপারেশনের পরে বিশ্ববাসী দেখেছে যে, ‘ট্রু প্রমিজ’ ইহুদি রাষ্ট্রের মিথ্যা আধিপত্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

ভাষণে ইসরাইলি মিত্রদের উদ্দেশে বলেন, ‘যেসব দেশ এই নিষ্ঠুর ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে, তারাও তাদের জাতির কাছে লজ্জিত হবে।’

আরও পড়ুন:
ইরানের তেল বাণিজ্যে লাগাম টানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত
ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস
ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করা হয়েছিল: ইরান

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
More than 50000 Russian soldiers were killed in the Ukraine war

ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত

ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছরে ৫০ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে। ছবি: বিবিসি
বিবিসি বলছে, সামগ্রিক মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-অধিকৃত দোনেস্ক ও লুহানস্কে মৃতের সংখ্যা এই হিসাবে নেয়া হয়নি। সেটি হিসাবে নিলে রাশিয়ার পক্ষে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হবে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে দুই বছরে ৫০ হাজারের বেশি সেনা সদস্য হারিয়েছে রাশিয়া। এক প্রতিবেদনে এমনটা দাবি করেছে বার্তা সংস্থা বিবিসি। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মৃত সেনাদের তথ্য সংগ্রহ করে আসছেন বিবিসির প্রতিবেদকরা।

রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে। এরপর থেকে বিবিসি রাশিয়া, স্বাধীন মিডিয়া গ্রুপ মিডিয়াজোনা ও স্বেচ্ছাসেবীরা মৃতের সংখ্যা গণনা করে আসছে। এই পরিসংখ্যান তৈরিতে কবরস্থানে সেনাদের কবর, বিবিসির অফিসিয়াল রিপোর্ট, সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ওপেন সোর্স থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।=

বিবিসি অনুসন্ধান অনুসারে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে ২৭ হাজার ৩০০ জনের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে। তবে সেনা নিহতের সংখ্যা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি রাশিয়া।

বিবিসি বলছে, সামগ্রিক মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রুশ কর্তৃপক্ষের দেয়া সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যা আট গুণ বেশি। যদিও বিবিসির বিশ্লেষণে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-অধিকৃত দোনেস্ক ও লুহানস্কে মৃতের সংখ্যা হিসাবে নেয়া হয়নি। সেটি হিসাবে নিলে রাশিয়ার পক্ষে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হবে।

অন্যদিকে বিবিসি ও মিডিয়াজোনার সঙ্গে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবীরা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া জুড়ে ৭০টি কবরস্থানে নতুন সামরিক কবর গণনা করছেন। কবরস্থানগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হয়েছে।

ছবি এবং ভিডিও থেকে বোঝা যায় যে এই নতুন কবরগুলোর বেশিরভাগই ইউক্রেনে নিহত রুশ সেনা ও অফিসারদের।

রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (রুসি) স্যামুয়েল ক্র্যানি-ইভান্স বলেন, ‘২০২২ সালে যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়া জটিল সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য তার পেশাদার ও অভিজ্ঞ সেনাদের ব্যবহার করতে সক্ষম হয়।

‘যুদ্ধের মধ্যে সেই অভিজ্ঞ সেনাদের অনেকের মৃত বা আহত হওয়ায় তাদের স্থানে অল্প প্রশিক্ষণ বা সামরিক অভিজ্ঞতা আছে এমন স্বেচ্ছাসেবক, বেসামরিক এবং বন্দিদের ব্যবহার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পেশাদার সেনারা যা করতে পারে, বিকল্প সেনারা তা করতে পারে না।’

আরও পড়ুন:
ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা এলেই পারমাণবিক যুদ্ধ: পুতিন
‘ইউক্রেনের ৬৫ যুদ্ধবন্দি’ নিয়ে রাশিয়ার সামরিক বিমান বিধ্বস্ত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Highest rainfall in 75 years kills at least 1 in Emirates

আমিরাতে ৭৫ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, নিহত অন্তত ১

আমিরাতে ৭৫ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, নিহত অন্তত ১ ছবি: রয়টার্স
গত ২৪ ঘণ্টায় আমিরাতের আবুধাবি প্রদেশের ওমান সীমান্তে অবস্থিত আল আইন শহরে ২৫৪ মিলিমিটার (৮ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ৭৫ বছরে অর্থাৎ ১৯৪৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এটিই দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

মরুভূমির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত কয়েকদিন ধরে চলছে তীব্র বৃষ্টিপাত ও ঝড়। এ ঘটনায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও বন্যায় স্থানীয় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া বন্যার কবলে পড়ে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।

দেশটির জাতীয় আহওয়া কেন্দ্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আমিরাতের আবুধাবি প্রদেশের ওমান সীমান্তে অবস্থিত আল আইন শহরে ২৫৪ মিলিমিটার (৮ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ৭৫ বছরে অর্থাৎ ১৯৪৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এটিই দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

মঙ্গলবার দিনের শেষভাগে বৃষ্টিপাত কমে এলেও বুধবার সকাল থেকেই জলাবদ্ধতার কারণে দুবাই বিমানবন্দরের কার্যক্রমে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বেশ কিছু ফ্লাইট স্থগিত রাখা হয়।

আমিরাতে ৭৫ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, নিহত অন্তত ১

বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের অন্যতম দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তাদের ফ্লাইট শিডিউল উল্লেখযোগ্য আকারে বিঘ্নিত হয়েছে। অসংখ্য ফ্লাইটকে ভিন্ন দেশে অবতরণ করতে বলা হয়েছে বা আগমন বিলম্বিত করা হয়েছে।

দুবাই ছাড়তে আগ্রহী যাত্রীদের বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে ফ্লাইট শিডিউল সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে বলা হয়েছে।

বিমানবন্দরের প্রাতিষ্ঠানিক এক্স অ্যাকাউন্টে জানানো হয়, ‘অত্যন্ত বৈরি পরিবেশে আমরা বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, আরব আমিরাতের ৭০ বছর বয়সী এক নাগরিক মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন। দেশের উত্তরের রাস আল খায়মাহ প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় তার গাড়িটি ডুবে যায়।

আরব আমিরাতের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারী বৃষ্টিপাতে দেশের কিছু অংশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির কথা জানানো হয়েছে, যার মধ্যে আছে ধসে পড়া সড়ক ও দালান। এগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

এদিকে প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে ওমানে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Suu Kyi was kept under house arrest in prison

কারাগারে গরম বেশি, গৃহবন্দি সু চি

কারাগারে গরম বেশি, গৃহবন্দি সু চি অং সান সু চি
সামরিক কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র জানান, গরম আহাওয়ার কারণে দেশটির বয়স্ক কারাবন্দিদের ‘প্রয়োজনীয় যত্ন’ নেয়া হচ্ছে।

কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে।

বুধবার এক সূত্র এএফপিকে এ কথা জানিয়েছে।

সামরিক কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র জানান, গরম আহাওয়ার কারণে দেশটির বয়স্ক কারাবন্দিদের ‘প্রয়োজনীয় যত্ন’ নেয়া হচ্ছে।

এক্ষেত্রে ৭৮ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ীর ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ সাময়িক বা সাজা হ্রাসের অংশ কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি অভুত্থানে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা। আটক করা হয় সু চি সহ বেশ কিছু নেতাকে।
অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়।

জান্তা সরকার এরই মধ্যে বেশ কিছু মামলায় গোপনে বিচারকাজ শেষ করে কয়েক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে অং সান সু চির।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The US is considering new sanctions on Iran

ইরানের তেল বাণিজ্যে লাগাম টানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের তেল বাণিজ্যে লাগাম টানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ দেখাচ্ছেন ইসরায়েলের এক সেনা সদস্য। ছবি: রয়টার্স
ইয়েলেন বলছেন, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে ইরানের ওপর। তাদের তেল বাণিজ্যেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রভাব ফেলবে।

ইসরায়েলে ইরান সরাসরি হামলা চালানোর পর পশ্চিমাসহ অনেক দেশই বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। আরোপ করা হয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞা। এবার যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর আরও কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে কথা বলেন বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে।

ইয়েলেন বলছেন, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে ইরানের ওপর। তাদের তেল বাণিজ্যেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে, আমি পুরোপুরি আশা করি যে, আমরা আগামী দিনে ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দেব।’

ইয়েলেন বলেন, ‘আমরা আমাদের নিষেধাজ্ঞার পূর্বরূপ দেখি না। তবে আমার কাছে ইরানের সন্ত্রাসী অর্থায়ন ব্যাহত করার সব বিকল্প আছে।’

তিনি বলেন, আগেও ট্রেজারি এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট তেল রপ্তানি করার ক্ষমতা হ্রাস করে ইরানের ‘অস্থিতিশীল’ আচরণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে।

ট্রেজারি সেক্রেটারি বলেন, ‘স্পষ্টতই, ইরান কিছু তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আরও কিছু করার আছে। আমি আমাদের প্রকৃত নিষেধাজ্ঞার কার্যক্রমের পূর্বরূপ দেখাতে চাই না, তবে অবশ্যই আমরা সমাধান করতে পারি।’

গত শনিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রথম বারের মতো সরাসরি হামলা চালানো শুরু করে ইরান। শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করে এই হামলা হয়।

এই হামলায় একটি সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে আহত হয়েছে এবং একটি সামরিক স্থাপনা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই হামলার পর পরই প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে নানা পক্ষ।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত
ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
If Israel attacked the response would be within seconds Iran

ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান

ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি। ছবি: সংগৃহীত
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেছেন, ইরান এবার জবাব দেয়ার জন্য ১২ দিন অপেক্ষা করবে না; এমনকি, এক ঘণ্টাও দেরি করবে না।

ইরানের জবাবের পর ইসরায়েল যে পাল্টা হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তার প্রতি আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবার আক্রমণ চালায়, তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার জবাব দেবে ইরান।

মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাঘেরি বলেন, ‘ইসরায়েলের যেকোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তেহরানের পাল্টা আক্রমণ হবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। ইরান এবার জবাব দেয়ার জন্য ১২ দিন অপেক্ষা করবে না; এমনকি, এক ঘণ্টাও দেরি করবে না।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সকে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ফজল শেকারচি। তিনি বলেন, ইরান প্রমাণ করেছে যে তারা যুদ্ধবাজ নয় ও যুদ্ধের বিস্তার চায় না। তবে ইসরায়েল যদি প্রতিশোধ বা উসকানিমূলক কোনো আগ্রাসন চালায়, তবে ইরান আরও শক্তিশালী জবাব দেবে।

গত শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান। দামেস্কে ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।

ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েল ঠিক কী পদক্ষেপ নেবে, তা নির্দিষ্ট করেননি জেনারেল হারজি। তাছাড়া কবে, কখন ইসরায়েল এই জবাব দেবে, তার কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি। ইসরায়েলের মিত্ররা ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে তারা এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সক্ষমতা ইরানের আছে

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর ইরানকে সরাসরি সমর্থন দেয়নি চীন। তবে এবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই যা বললেন, তাতে দেশটি ইরানের পক্ষে আছে বলেই মনে হতে পারে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইরানের। এ অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, তারা সেটি দেখছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ সময় ওয়াং ই বলেন, ইরান নিজেদের প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের চিন্তা করে হামলা করেছে বলে জানিয়েছে। সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রকাশিত চীনের বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক দেশগুলোতে হামলা না করার দিকে যেভাবে ইরান জোর দিয়েছে তাতে সমর্থন দিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ওয়াং ইকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা নিয়ে ইরানও চিন্তিত। এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা করছে। এই উত্তেজনা যাতে আর না বাড়ে সে জন্য তারা সব করতে রাজি।

ইরানের হামলার পর সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফাহিয়ান আল সৌদের সঙ্গেও কথা বলেন ওয়াং ই। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে রিয়াদের সঙ্গে কাজ করতে বেইজিং প্রস্তুত বলে জানান তিনি। এমনকি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়েও কাজ করবে চীন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে একজন কমান্ডারসহ ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সাত কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ হামলার জবাবে গত রোববার ভোরে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের হামলায় খুব সামান্যই ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান সহায়তা করেছে।

ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েল কী করে, তা দেখতে উদগ্রীব পুরো বিশ্ব। তবে এখনই ইসরায়েলকে কিছু না করার পরামর্শ দিয়েছে পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। উত্তেজনা না বাড়ানোর জন্য সোমবার ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্রগুলো আহ্বান জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ইসরায়েলকে সংযত থাকতে বলেছেন।

আরও পড়ুন:
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত
ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস
ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করা হয়েছিল: ইরান

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
13 more members of Myanmar Army and BGP are in Bangladesh

মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে

মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে প্রতীকী ছবি
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে নতুন করে ১২ জন এবং দুপুরে আরও একজন পালিয়ে আসেন।

মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে মিয়ানমারের সেনা ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে গত ৩ দিনে মিয়ানমার থেকে মোট ২৯ জন বাংলাদেশে এসেছেন।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে নতুন করে ১২ জন এবং দুপুরে আরও একজন পালিয়ে আসেন। এর মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে একজন, রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুজন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

এই ১৩ জনের সবাই দেশটির বিজিপি ও সেনা সদস্য, তবে কোন বাহিনীর কত জন সদস্য, তা নিশ্চিত করতে পারেননি এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো জমা নিয়ে বিজিবি নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। পরে তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এর আগে সোমবার দুপুরে বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ২ সেনা সদস্য বাংলাদেশে আসেন। এছাড়া রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আসেন বিজিপির আরও ১৪ জন সদস্য।

১১ বিজিবি হেফাজতে আগে থেকেই ১৮০ জন আশ্রিত রয়েছে। এ নিয়ে আশ্রিতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০৯ জনে।

ওই ১৮০ জনের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে এদেশে আসেন। তার আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

এ ছাড়াও কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের ১৮০ সেনা ফিরে যাবে, তবে এখনই নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এবার বাংলাদেশে আশ্রয় মিয়ানমারের ২৯ সীমান্তরক্ষীর

মন্তব্য

p
উপরে