ভারতের বেঙ্গালুরুতে রোববার থেকে টানা বৃষ্টিতে শহরের অনেক স্থান পানিতে ডুবে গেছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) এর স্থানীয় অফিস বলেছে, শেষবার এমন প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে। এরই মধ্যে অনেক স্কুলে সরাসরি ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে দুই দিনের প্রবল বর্ষণে প্লাবিত হওয়ার পর বুধবার সকালে বেশ কয়েকটি স্থানে পানির স্তর নেমে গেছে ও জলাবদ্ধতায় সড়কে দীর্ঘ যানজটের পর এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
কিন্তু আরও বৃষ্টির পূর্বাভাসে উদ্বিগ্ন শহরের বাসিন্দারা।
আবহাওয়া বিভাগ শহরে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে এবং মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনার বিষয়ও জানিয়েছে।
বেঙ্গালুরু শহরের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা শোমিয়া বিশ্বাস, যিনি ৫ বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে আছেন। নিউজবাংলাকে তিনি জানিয়েছেন, এর আগে এ শহরে এমন বৃষ্টি তিনি দেখেননি। তবে জলাবদ্ধতার জন্য তিনি ড্রেনেজ-ব্যবস্থার ভঙ্গুর দশাকে দায়ী করেছেন।
শহরের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের বাসায় থেকে কাজ করতে বলছে এবং স্কুলগুলোও অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে।
আপাতত আরও অনেকের মতো ব্যাংক কর্মকর্তা শোমিয়াও বাড়ি থেকেই অফিস করছেন। তবে এতেও বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বিদ্যুৎবিভ্রাট।
কর্ণাটকের মন্ত্রী অশ্বথনারায়ণ আজ বিকেলে বেশ কয়েকটি আইটি কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন, শহরে রেকর্ড বৃষ্টির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব সমস্যার মধ্যে পড়ছে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব বন্দিতা শর্মা, বেঙ্গালুরু নাগরিক সংস্থার মুখ্য কমিশনার তুষার গিরি নাথ, শহরের পানি কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের কর্মকর্তারাসহ পুলিশ কমিশনার।
জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কাজ করছে।
শহরের জলাবদ্ধতার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২৩ বছর বয়সী আখিলা নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
স্কুলের প্রশাসনিক বিভাগে কর্মরত আখিলা স্কুটারে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার স্কুটার পিছলে পড়ায় তিনি একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ধরে ভারসাম্য রাখতে চেষ্টা করেন। সে সময় বৈদ্যুতিক শকে তার মৃত্যু হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ শহরের জলাবদ্ধতার প্রধানতম কারণ। তবে রাজ্য সরকার এখন বেশ তৎপর। শহর থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্যে এরই মধ্যে ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপি এবং দখল অপসারণের জন্য আরও ৩০০ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে।
তবে এমন পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের আগের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।
আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।
এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।
এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।
৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের শাংলা জেলার বিশাম এলাকায় মঙ্গলবার গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় চীনের পাঁচ নাগরিকসহ কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মালাকান্দ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ আলি গান্দাপুরের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার দুসু এলাকার ক্যাম্পে যাওয়ার পথে চীনের প্রকৌশলীদের গাড়িবহরে বিস্ফোরকভর্তি গাড়িটি উঠিয়ে দেয় আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী।
তিনি আরও বলেন, ‘হামলায় চীনের পাঁচ নাগরিক ও তাদের পাকিস্তানি চালক নিহত হন।’
হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্তে নামায় এ পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ইসলামাবাদে চীনা দূতাবাস গিয়ে রাষ্ট্রদূত জিয়াং জ্যায়দংয়ের কাছে শোক প্রকাশ করেন।
এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘চায়না-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডরের (সিপিইসি) শত্রুরা আরও একবার এ ধরনের কাপুরুষোচিত কাজ করে একে ব্যাহত করার চক্রান্ত করেছে, কিন্তু অশুভ অভিলাষ পূরণে কখনই সফল হবে না তারা।’
আরও পড়ুন:বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।
তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।
দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।
যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।
তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ভারতের বিহার রাজ্যের সুপাল এলাকায় শুক্রবার নির্মাণাধীন সেতু ধসে একজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মরিচা এলাকার কাছে সকাল সাতটার দিকে এ ধসের ঘটনায় নির্মাণাধীন স্থাপনা এলাকাটিতে বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসলীলার কেন্দ্রে রূপ নেয়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও স্বেচ্ছাসেবীরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ধারণা, ধ্বংসস্তূপের নিচে ৩০ জন শ্রমিক আটকা থাকতে পারেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোসি নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৮৪ কোটি রুপি।
এর আগে বিহারের ভাগলপুরে একইভাবে ধসে পড়েছিল নির্মাণাধীন একটি সেতু, যা নিয়ে কথার লড়াই শুরু হয় রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বিরোধীদের।
ভাগলপুরের ঘটনায় গঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন চার লেনের সেতুটি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।
আরও পড়ুন:ভারতের গুজরাটের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে শনিবার রাতে বিদেশি মুসলিম ছাত্রদের ওপর উচ্ছৃঙ্খল লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, রমজানে তারাবির নামাজ পড়ায় এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ছাত্ররা। ওই হামলায় আহত হন পাঁচ ছাত্র।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, হামলায় আহত ছাত্ররা আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের।
গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি গুজরাটের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিদেশি ছাত্রদের ভাষ্য, আহমেদাবাদে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে মসজিদ নেই। এ কারণে তারা হোস্টেলের ভেতর তারাবির নামাজ পড়তে জড়ো হন।
তাদের অভিযোগ, নামাজের জন্য জড়ো হওয়ার পরপরই লাঠি ও ছুরি হাতে একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক হোস্টেলে ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালান এবং কক্ষ ভাঙচুর করেন।
তারা আরও জানান, হোস্টেলের নিরাপত্তারক্ষী উচ্ছৃঙ্খল লোকজনকে আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
আফগানিস্তান থেকে ভারতে পড়তে যাওয়া এক ছাত্র বলেন, উচ্ছৃঙ্খল লোকজন স্লোগান দিতে থাকেন এবং ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করেছেন যে, হোস্টেলের ভেতর তাদের নামাজ পড়ার অনুমতি কে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা কক্ষের ভেতরেও আমাদের ওপর হামলা চালান। তারা ল্যাপটপ, ফোন ভেঙে ফেলেন এবং বাইকের ক্ষয়ক্ষতি করেন।’
ওই ছাত্র বলেন, আহত ছাত্রদের একজন করে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তুর্কমেনিস্তানের। বাকি দুজন আফ্রিকার দুটি দেশের।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ আসার পর উচ্ছৃঙ্খল লোকজন পালিয়ে যান। আহত ছাত্ররা হাসপাতালে আছেন এবং তারা দূতাবাসকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।’
হায়দরাবাদের এমপি ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হস্তক্ষেপ করবেন কি না, তা জানতে চেয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে তিনি লিখেন, ‘কী লজ্জার। মুসলিমরা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মচর্চা করলেই আপনাদের ভক্তি ও ধর্মীয় স্লোগান চলে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির রাজ্য। শক্ত বার্তা দেয়ার জন্য তারা কি হস্তক্ষেপ করবেন?’
আরও পড়ুন:লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ভারত। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এ ভোটগ্রহণ আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন।
শনিবার ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার এ ঘোষণা দেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন।
আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় (১৯ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, লক্ষদ্বীপ, আন্দামান নিকোবার, বিহার, সিকিম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম ও অরুণাচলপ্রদেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় দফায় (২৬ এপ্রিল) ভোট হবে কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, আসাম, মণিপুর ও ত্রিপুরায়।
তৃতীয় দফায় (৭ মে) জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ছত্তিসগড়, গোয়া, দাদরা-নগর হভেলি ও দমন-দিউয়ে নেয়া হবে ভোট।
চতুর্থ দফায় (১৩ মে) মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ভোটগ্রহণ হবে।
পঞ্চম দফায় (২০ মে) ভোট হবে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রে।
ষষ্ঠ দফায় (২৫ মে) দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভোট হবে।
সপ্তম দফায় (১ জুন) হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুসহ একাধিক রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে ওই সময়ের মধ্যে।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা উচিত।
রাজিব কুমার বলেন, ভুয়া খবর প্রচার আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ (৩) (বি) ধারা প্রতিটি রাজ্যের নোডাল অফিসারদের বেআইনি বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষমতা দিয়েছে।
২০১৯ সালের নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারা জয় পায় ৩০৩টি আসনে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পায় ৩৫৩ আসন। ওই নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৯ সালের পর ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল এত বেশি ভোট আর পায়নি।
ওই নির্বাচনে মাত্র ৫২ আসনে জয় পেয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট জিতেছিল ৯৮ আসনে।
আরও পড়ুন:ভারতে চলতি বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে শনিবার বিকেলে।
দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) শুক্রবার এ তথ্য জানায় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসিআইয়ের পোস্ট করা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে অনুষ্ঠেয় চার বিধানসভা নির্বাচনের তারিখও আজ ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সময় থেকে নির্বাচনি আচরণবিধি কার্যকর হবে।
এর আগে ২০১৯ সালে সাত ধাপে ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন হবে। এর চার দিন পর ফল ঘোষণা করা হয়।
এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে যেসব রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, সেগুলো হলো অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা ও সিকিম। এর বাইরে চলতি বছরের শেষের দিকে ভোট হওয়ার কথা আছে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও সিকিমে।
মন্তব্য