× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
The busyness of Durga Puja begins in Kumartuli
google_news print-icon

দুর্গাপূজার ব্যস্ততা শুরু কুমারটুলিতে

দুর্গাপূজার-ব্যস্ততা-শুরু-কুমারটুলিতে-
দুর্গাপূজা উপলক্ষে চাঙা হয়ে উঠেছে মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গের কুমারটুলি। ছবি: নিউজ বাংলা
নদিয়ার কৃষ্ণনগরের মোহন দাস কুমারটুলির বিখ্যাত মৃৎশিল্পী সুবল পালের কারখানায় ৭০০ টাকা ডেইলি রোজে কাজ করেন। করোনার জন্য বিগত দুই বছর কাজ ছাড়া বাড়িতে বসে ছিলেন। প্রচণ্ড অর্থকষ্টে ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছেন। এবার আগের মতো সাড়ম্বরে পূজা হচ্ছে। হাতে কাজের চাপ থাকায় খুশি তিনি। 

ভারতে টানা দুই বছর করোনাভাইরাস মহামারির পরে এ বছর দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে

আবার চাঙা হয়ে উঠেছে মৃৎশিল্পের জন্য বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গের কুমারটুলি।

দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ১ অক্টোবর ষষ্ঠী। দুর্গা প্রতিমার চাহিদা মেটাতে আর সময়মতো ক্রেতার হাতে মূর্তি তুলে দিতে কুমারটুলির প্রতিমাশিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা এখন মগ্ন প্রতিমার কাজে, তুলির টানে।

কুমারটুলির প্রতিমাশিল্পীর হাতে তৈরি দুর্গা প্রতিমার নামডাক বিশ্বজুড়েই। শুধু রাজ্যের মধ্যে নয়, ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখান থেকেই দুর্গা প্রতিমা যায়।

বিদেশে দুর্গা প্রতিমা বিক্রি করে ভালো দাম পান এখানকার মৃৎশিল্পীরা।

অর্থনৈতিক সমীক্ষকদের মতে, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে প্রায় ৫০ হাজার কোটি রুপির ব্যবসা হয়। কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের সেখানে একটা বড় অবদান থাকে।

করোনাভাইরাস মহামারির জন্য গত দুই বছর বিশ্বের কোথাও সেভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন হয়নি। কিন্তু এবার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় এ বছর আবার দুর্গোৎসব উদযাপনে মেতেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাঙালিরা।

দুর্গাপূজার ব্যস্ততা শুরু কুমারটুলিতে
প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কুমারটুলির মৃৎশিল্পী

দেশে-বিদেশে দুর্গা প্রতিমার চাহিদা মেটাতে কুমারটুলির মৃৎশিল্পের বাজার এখন তুঙ্গে। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যেও যায় কুমারটুলির দুর্গা প্রতিমা।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রচুর মানুষ এখানে কাজ করে তাদের সংসার প্রতিপালন করেন। সারা বছর এখানে মূর্তি তৈরির কাজ চলে। দিনপ্রতি ৫০০ থেকে হাজার ১ হাজার ২০০ টাকা মজুরি পান এর সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা।

কোনো কোনো প্রতিমা তৈরির কারখানায় শ্রমিকদের মাসিক বেতনেরও ব্যবস্থা আছে। সেখানে আট হাজার থেকে ৩০-৪০ হাজার রুপি বেতন পান অনেকে।

নদিয়ার কৃষ্ণনগরের মোহন দাস কুমারটুলির বিখ্যাত মৃৎশিল্পী সুবল পালের কারখানায় ৭০০ টাকা ডেইলি রোজে কাজ করেন। করোনার জন্য বিগত দুই বছর কাজ ছাড়া বাড়িতে বসে ছিলেন।

প্রচণ্ড অর্থকষ্টে ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছেন। এবার আগের মতো সাড়ম্বরে পূজা হচ্ছে। হাতে কাজের চাপ থাকায় খুশি মোহন।

মোহন বলেন, 'এবার আগের মতো প্রতিমা তৈরির কাজের চাপ রয়েছে। দুটো পয়সা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারব। ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফোটাতে পারব। আমি খুশি। মার কাছে প্রার্থনা করি, সবাই যেন পূজার আনন্দে মেতে উঠতে পারে।'

শুধু কুমারটুলির কারখানায় নয়, কলকাতার বিভিন্ন প্যান্ডেলে গিয়েও কাজ করতে হয় প্রতিমাশিল্পীদের। পূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি।

সময়মতো উদ্যোক্তাদের হাতে দুর্গা প্রতিমা তুলে দিতে এবার কাজের চাপে শিল্পীরা খাবার, অন্য কাজকর্মের সময় ঠিকমতো না পেলেও সবাই ভীষণ খুশি। আগের মতোই আবার সরগরম কুমারটুলির পোটো পাড়া।

কুমারটুলির বিখ্যাত প্রতিমাশিল্পী কৌশিক ঘোষের তৈরি দুর্গা প্রতিমা মূলত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। এ বছর তার তৈরি ৩৪টি প্রতিমা বিদেশে গেছে। নিউজ বাংলাকে কৌশিক ঘোষ বলেন, ‘কলকাতায় এ বছর আমার কোনো প্রতিমা নেই । আমার তৈরি সমস্ত দুর্গা প্রতিমা বিদেশে যায়। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডা, জাপান, সিঙ্গাপুর, দুবাইসহ অনেক দেশে এবার ৩৪টি ঠাকুর (প্রতিমা) গিয়েছে। গত দুই বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য বেশি প্রতিমার অর্ডার ছিল না। অল্প কিছু পাঠাতে পেরেছিলাম। এবার আবার স্বাভাবিক চাহিদা অনুযায়ী ঠাকুর তৈরি হয়েছে। আমরা খুশি।’

ফাইবার গ্লাসের বিশেষভাবে তৈরি এসব প্রতিমা জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেই জাহাজে করে পাঠানো হয়েছে বিদেশে।

সাধারণত প্রতিমা পৌঁছতে তিন-চার মাস সময় লেগে যায় বলে জানান কৌশিক।

দুর্গাপূজার ব্যস্ততা শুরু কুমারটুলিতে
কুমারটুলির প্রতিমা বিদেশেও রপ্তানি হয়

পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেছেন কুমারটুলির প্রখ্যাত প্রতিমাশিল্পী সুবল পাল । ২০ বছর ধরে বিদেশে ঠাকুর পাঠান তারা।

নিউজবাংলাকে সুবল পাল বলেন, ‘খুবই আর্থিক এবং মানসিক দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি আমরা। করোনার দুঃসময়টা শেষ হওয়া দরকার। এখন এই যে এত বড় একটা উৎসব, যেটাকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়, সকলের রুটিরুজির ব্যবস্থা হয়, সেখানে দাঁড়িয়ে পুজোটা ভালো হওয়া খুব দরকার ছিল।

‘যে বাঙালিরা বিদেশে পুজো করেন সেখানে এ বছর অনেক ভালোভাবে পূজা হচ্ছে। অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি চলছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে জাহাজে করে ইউএসএ, লন্ডন, অস্ট্রেলিয়া ও মাদ্রিদে ঠাকুর পাঠিয়েছি। কলকাতায় তিনটি সর্বজনীন মণ্ডপে এবং তিনটি ঘরোয়া প্রতিমা রয়েছে আমার।’

সাইবার গ্লাসের তৈরি এইসব প্রতিমার দাম এক লাখ থেকে শুরু করে ৫-১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ওঠে ।

কলকাতার দুর্গা পূজাকে ইউনেসকো কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটির স্বীকৃতি দেয়ায় দুর্গোৎসব এবার অনেক আড়ম্বরপূর্ণ হবে বলে জানিয়ে সুবল পাল বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু পূজা নয়, একটা উৎসব, এটা একটা আর্ট ফেস্টিভ্যাল। এই দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ তাদের সারা বছরের রুটিরুজির ব্যবস্থা করেন।’

আরও পড়ুন:
সিঁদুররাঙা মুখে দেবীকে বিদায়ের প্রস্তুতি
মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরছেন দেবী দুর্গা
নির্বিঘ্নে পূজা করুন, পাশে আছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী
মণ্ডপে মণ্ডপে মহানবমীর উৎসব
পশ্চিমবঙ্গে দেবীর আসনে মুসলিম কন্যা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Five injured in attack on foreign Muslim students going to Taraweeh prayer in India

গুজরাটে ‘তারাবির নামাজ পড়ায়’ হামলা, আহত ৫ বিদেশি ছাত্র

গুজরাটে ‘তারাবির নামাজ পড়ায়’ হামলা, আহত ৫ বিদেশি ছাত্র ভারতের গুজরাটের হোস্টেলটিতে শনিবার রাতে হামলাকারীরা ল্যাপটপ, ফোন ভেঙে ফেলার পাশাপাশি বাইকের ক্ষয়ক্ষতি করেন বলে জানান আফগানিস্তানের এক ছাত্র। কোলাজ: এনডিটিভি
দেশি ছাত্রদের ভাষ্য, নামাজের জন্য জড়ো হওয়ার পরপরই লাঠি ও ছুরি হাতে একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক হোস্টেলে ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালান এবং কক্ষ ভাঙচুর করেন।

ভারতের গুজরাটের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে শনিবার রাতে বিদেশি মুসলিম ছাত্রদের ওপর উচ্ছৃঙ্খল লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, রমজানে তারাবির নামাজ পড়ায় এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ছাত্ররা। ওই হামলায় আহত হন পাঁচ ছাত্র।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, হামলায় আহত ছাত্ররা আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের।

গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি গুজরাটের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিদেশি ছাত্রদের ভাষ্য, আহমেদাবাদে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে মসজিদ নেই। এ কারণে তারা হোস্টেলের ভেতর তারাবির নামাজ পড়তে জড়ো হন।

তাদের অভিযোগ, নামাজের জন্য জড়ো হওয়ার পরপরই লাঠি ও ছুরি হাতে একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক হোস্টেলে ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালান এবং কক্ষ ভাঙচুর করেন।

তারা আরও জানান, হোস্টেলের নিরাপত্তারক্ষী উচ্ছৃঙ্খল লোকজনকে আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

আফগানিস্তান থেকে ভারতে পড়তে যাওয়া এক ছাত্র বলেন, উচ্ছৃঙ্খল লোকজন স্লোগান দিতে থাকেন এবং ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করেছেন যে, হোস্টেলের ভেতর তাদের নামাজ পড়ার অনুমতি কে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তারা কক্ষের ভেতরেও আমাদের ওপর হামলা চালান। তারা ল্যাপটপ, ফোন ভেঙে ফেলেন এবং বাইকের ক্ষয়ক্ষতি করেন।’

ওই ছাত্র বলেন, আহত ছাত্রদের একজন করে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তুর্কমেনিস্তানের। বাকি দুজন আফ্রিকার দুটি দেশের।

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ আসার পর উচ্ছৃঙ্খল লোকজন পালিয়ে যান। আহত ছাত্ররা হাসপাতালে আছেন এবং তারা দূতাবাসকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।’

হায়দরাবাদের এমপি ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হস্তক্ষেপ করবেন কি না, তা জানতে চেয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে তিনি লিখেন, ‘কী লজ্জার। মুসলিমরা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মচর্চা করলেই আপনাদের ভক্তি ও ধর্মীয় স্লোগান চলে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির রাজ্য। শক্ত বার্তা দেয়ার জন্য তারা কি হস্তক্ষেপ করবেন?’

আরও পড়ুন:
নাটোরে আদালত চত্বরে যুবককে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার ৫
মৌলভীবাজারে আসামি ধরতে গিয়ে আহত ৪ পুলিশ
মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা প্রত্যাহার শুরু
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল মোদি সরকার
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে দুই-এক দিনের মধ্যে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
India Lok Sabha election date announced

লোকসভা ভোটের দিন-তারিখ ঘোষণা

লোকসভা ভোটের দিন-তারিখ ঘোষণা ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
সাত ধাপে অনুষ্ঠেয় ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।

লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ভারত। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এ ভোটগ্রহণ আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন।

শনিবার ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার এ ঘোষণা দেন।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন।

আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় (১৯ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, লক্ষদ্বীপ, আন্দামান নিকোবার, বিহার, সিকিম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম ও অরুণাচলপ্রদেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

দ্বিতীয় দফায় (২৬ এপ্রিল) ভোট হবে কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, আসাম, মণিপুর ও ত্রিপুরায়।

তৃতীয় দফায় (৭ মে) জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ছত্তিসগড়, গোয়া, দাদরা-নগর হভেলি ও দমন-দিউয়ে নেয়া হবে ভোট।

চতুর্থ দফায় (১৩ মে) মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ভোটগ্রহণ হবে।

পঞ্চম দফায় (২০ মে) ভোট হবে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রে।

ষষ্ঠ দফায় (২৫ মে) দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভোট হবে।

সপ্তম দফায় (১ জুন) হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুসহ একাধিক রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে ওই সময়ের মধ্যে।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা উচিত।

রাজিব কুমার বলেন, ভুয়া খবর প্রচার আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ (৩) (বি) ধারা প্রতিটি রাজ্যের নোডাল অফিসারদের বেআইনি বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষমতা দিয়েছে।

২০১৯ সালের নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারা জয় পায় ৩০৩টি আসনে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পায় ৩৫৩ আসন। ওই নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৯ সালের পর ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল এত বেশি ভোট আর পায়নি।

ওই নির্বাচনে মাত্র ৫২ আসনে জয় পেয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট জিতেছিল ৯৮ আসনে।

আরও পড়ুন:
নির্বাচনের আগে পেট্রল ডিজেলের দাম কমাল ভারত
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল মোদি সরকার

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Lok Sabha election date announced today

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা শনিবার

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা শনিবার ভারতে একটি নির্বাচনের কেন্দ্রে ভোটারদের সারি। ছবি: এনডিটিভি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসিআইয়ের পোস্ট করা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে অনুষ্ঠেয় চার বিধানসভা নির্বাচনের তারিখও আজ ঘোষণা করা হবে। 

ভারতে চলতি বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে শনিবার বিকেলে।

দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) শুক্রবার এ তথ্য জানায় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসিআইয়ের পোস্ট করা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে অনুষ্ঠেয় চার বিধানসভা নির্বাচনের তারিখও আজ ঘোষণা করা হবে।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সময় থেকে নির্বাচনি আচরণবিধি কার্যকর হবে।

এর আগে ২০১৯ সালে সাত ধাপে ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন হবে। এর চার দিন পর ফল ঘোষণা করা হয়।

এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে যেসব রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, সেগুলো হলো অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা ও সিকিম। এর বাইরে চলতি বছরের শেষের দিকে ভোট হওয়ার কথা আছে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও সিকিমে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Pakistani President Zardari will not take salary

বেতন নেবেন না পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি

বেতন নেবেন না পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। ছবি: দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সচিবালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বেতন না তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। দেশে দূরদর্শী আর্থিক ব্যবস্থাপনায় উৎসাহ দিতে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে মঙ্গলবার বেতন না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি।

দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সচিবালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বেতন না তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। দেশে দূরদর্শী আর্থিক ব্যবস্থাপনায় উৎসাহ দিতে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয় কোষাগারকে চাপমুক্ত রাখাটা জরুরি মনে করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। এ কারণে তিনি বেতন না নেয়াটাকে বেছে নিয়েছেন।

গত ১০ মার্চ পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন আসিফ আলি জারদারি।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নেয়া মহসিন নাকভিও তার মেয়াদকালে বেতন না তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মঙ্গলবার নাকভি লিখেন, চ্যালেঞ্জিং সময়ে সম্ভাব্য সব উপায়ে জাতির সেবা দিতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানে সরকার গঠনে ঐকমত্য, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ-প্রেসিডেন্ট জারদারি
ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেব না: ইমরান
ইসলামাবাদ হাইকোর্টে তিন মামলায় আপিল করবেন ইমরান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ
পিপিপির সমর্থনে নওয়াজের দলই সরকার গঠন করছে!

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Indias troop withdrawal from Maldives begins

মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা প্রত্যাহার শুরু

মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা প্রত্যাহার শুরু মালদ্বীপে ভারতীয় সেনা। ছবি: সংগৃহীত
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করে ভারত। ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করাই ছিল এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য।

ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে অবশেষে মালদ্বীপ থেকে সৈন্য ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে ভারত। ১০ মার্চ ২৫ জন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে, বাকিদের মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানা গেছে।

মালদ্বীপভিত্তিক দৈনিক মিহারুর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

দুপক্ষের সমঝোতা অনুসারে যদিও ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরুর কথা ছিল আগামী ১০ মে। কিন্তু তার আগেই সৈন্যদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে নয়াদিল্লি।

ভারত মহাসাগরের পূর্ব-পশ্চিম শিপিং রুটের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের প্রভাব বজায় রেখেছিল ভারত।

মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করে ভারত। ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করাই ছিল এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য।

মালদ্বীপকে তার সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণে দুটি হেলিকপ্টার ও একটি প্লেন দিয়েছিল ভারত। সেগুলো পরিচালনায় সাহায্য করতেই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ৮৯ জন সেনা পাঠায় নয়াদিল্লি।

এর পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি, মালদ্বীপের জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়ার কাজও কছিলেন ওই সেনারা।

কিন্তু ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতি মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন দেশটির অন্যতম নেতা ও চীনপন্থী রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মুইজ্জু। এরপর গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মালদ্বীপ থেকে নিজ সেনা সদস্যদের ফিরিতে নিতে ভারতকে আহ্বান জানান তিনি।

সেই সঙ্গে সময়সীমা বেঁধে দেন যে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে তার সব সেনা মালদ্বীপ থেকে ফিরিয়ে নিতে হবে। পরে এ বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সময়সীমা ১০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেন তিনি।

ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত দিক থেকে নয়াদিল্লির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল মালদ্বীপ। তবে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদিকে এই সম্পর্কে শীতলতা এসেছে, অন্যদিকে বেড়েছে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

গত জানুয়ারিতে চীন সফরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। সেখানে বেইজিংয়ের সঙ্গে মালদ্বীপের অবকাঠামো, জ্বালানি, সমুদ্র গবেষণা ও কৃষি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষ করে এসেছেন তিনি।

অন্যদিকে ভারত গত মাসে ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে নৌবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করবে দেশটি।

মালদ্বীপ থেকে লাক্ষাদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।

মালদ্বীপ বা ভারতের কর্তৃপক্ষগুলো থেকে এখন পর্যন্ত সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যায়নি। তবে মিহারু দাবি করেছে, মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুন:
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল মোদি সরকার

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Modi government has implemented the controversial citizenship law

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল মোদি সরকার

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল মোদি সরকার কোলাজ: নিউজবাংলা
পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সিএএ-এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই অনলাইনে হবে। সেখানে আবেদনকারীদের শুধু জানাতে হবে তারা কবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।’

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। দেশটির সংসদে এ বিষয়ক একটি বিল পাস হওয়ার চার বছর পর তা কার্যকর করা হচ্ছে।

সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএএ কার্যকর করার কথা জানায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাস করে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তা দেবে ভারত। তবে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, কেবল তারাই পাবেন এ সুবিধা।

আনন্দবাজার অনলাইনের খবরে বলা হয়, আইনে পরিণত হলেও প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে সিএএ আইনে ধারা-উপধারা যুক্ত হয়নি। ফলে বাস্তবে এ আইন কার্যকরও হয়নি।

ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের ছয় মাসের মধ্যে আইনের নির্দিষ্ট ধারা-উপধারা যুক্ত করতে হয়। অন্যথায় লোকসভা কিংবা রাজ্যসভার নির্দিষ্ট কিছু কমিটির কাছ থেকে আইনটি পাস করতে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়।

সে সময় সংসদের দুই কক্ষেই পাস হওয়ার পর ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও সিএএ বিলে অনুমোদন দিয়েছিলেন। আইনটি কার্যকর করতে ২০২০ সাল থেকে সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে আসছিল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে বিজেপি সরকারকে কটাক্ষও করছিল বিরোধী দলগুলো।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশটিতে সিএএ কার্যকর হবে। শুধু তা-ই নয়, শিগগিরই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি কথা জানান তিনি।

তবে সম্প্রতি মতুয়া অধ্যুষিত নদীয়া এবং উত্তর চব্বিশ পরগনার সভায় এসে সিএএ নিয়ে মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবশ্য বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, ‘ভোটের আগেই সিএএ কার্যকর হচ্ছে। ভোট ঘোষণার এক-দুদিন আগে হলেও এটি কার্যকর হবে।’

এর আগে পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সিএএ-এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই অনলাইনে হবে। সেখানে আবেদনকারীদের শুধু জানাতে হবে তারা কবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।’

সিএএ কার্যকর করা নিয়ে দীর্ঘ দিন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যেই টালবাহানা চলছিল। করোনা মহামারীর আগে থেকেই ভারতের নানা প্রান্তে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনে ভারতজুড়ে শতাধিক মানুষ হারান।

বিজেপি সরকারের বিরোধী দলগুলোই প্রধানত এ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী দলশাসিত রাজ্যগুলো ‘ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে’ এ আইন কার্যকরের ঘোর বিরোধী।

এখন পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি ভারতের নির্বাচন কমিশন। তার আগেই সিএএ কার্যকর করল দেশটির সরকার।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Shakibs sisters name came up in the betting investigation
ইন্ডিয়া টুডে ও আজ তাক-এর  প্রতিবেদন

বেটিং তদন্তে উঠে এল সাকিবের বোনের নাম

বেটিং তদন্তে উঠে এল সাকিবের বোনের নাম
বাংলাদেশে প্রচলিত ‘11wicket.com.bd’ নামে একটি অনলাইন বেটিং অ্যাপে বিনিয়োগ করেছেন সাকিবের ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস রিতু। অ্যাপটির অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী ভারতীয় বাজিকর সুরুজ চোখানি ভারতে আটক রয়েছেন। জেরার মুখে জান্নাতুলের নাম প্রকাশ করেছেন তিনি।

বেটিংয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবারই জড়িয়েছে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম। এবার এমন এক কাণ্ডে যুক্ত হলো তার বোনের নামও।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও আজ তাক-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রচলিত ‘ইলেভেন উইকেট ডট কম’ (11wicket.com.bd) নামে একটি অনলাইন বেটিং অ্যাপে বিনিয়োগ করেছেন সাকিবের ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস রিতু।

অ্যাপটির অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী হলেন ভারতীয় বাজিকর সুরুজ চোখানি। তার সঙ্গেই অংশীদার ছিলেন জান্নাতুল। সুরুজ চোখানি বর্তমানে ভারতে আটক রয়েছেন। সে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ইডির জেরার মুখে জান্নাতুলের নাম প্রকাশ করেছেন তিনি।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইডি জানায়, গিরিশ তালরেজা এবং সুরাজ চোখানি নামে আরও দু’জনকে তারা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশে ‘ইলেভেন উইকেট ডট কম’ অ্যাপে বিনিয়োগ করেন চোখানি, যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন সাকিবের বোন।

ইডি আরও জানায়, চোখানি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে টিবরেওয়ালস শেয়ারে কয়েক শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কাঠমান্ডুতে ক্যাসিনোতেও বিনিয়োগ রয়েছে তার। দুবাইয়ে হাওয়ালা অপারেটর হরি শঙ্করের খুবই ঘনিষ্ঠ এই চোখানি।

ভারতের ছত্তিশগড় পুলিশের নথিভুক্ত এফআইআর-এর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। এক পর্যায়ে বিশাখাপত্তম পুলিশ এবং অন্যান্য রাজ্যের দায়ের করা এফআইআরগুলোও তদন্তের আওতায় আনে তারা।

ইডি দাবি করেছে, কালো টাকা পাচারে মহাদেব অ্যাপের হাত রয়েছে। বেআইনি বেটিং কারবারে এই অ্যাপ যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া ইডি জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া গিরিশের লোটাস ৩৬৫ ব্যবসায় অংশীদারত্ব ছিল মহাদেব অ্যাপের একটি সহায়ক সংস্থার। রতন লাল জৈন ওরফে আমন এবং সৌরভ চন্দ্রকর নামে দুই ব্যক্তি অংশীদার ছিলেন। পুনেতে ওই সংস্থার অফিস ছিল। প্রতি মাসে ওই শাখা থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা লেনদেন করা হতো। ওই শাখায় তল্লাশির সময় এক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

এছাড়া হরিশঙ্কর টিবরেওয়াল বেটিং ওয়েবসাইট ‘স্কাইএক্সচেঞ্জ’-এর জন্য বেআইনি বেটিং অপারেশনে মহাদেব অনলাইন বুকার প্রচারকারীদের সঙ্গে অংশীদারত্বও করেন।

এসব সংস্থা থেকে ভারত এবং ভারতের বাইরে বেশ কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইডি।

এর আগে মামলার সঙ্গে জড়িত আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, মহাদেব অনলাইন বেটিং এবং গেমিং অ্যাপ মামলায় অর্থ পাচারের তদন্তে নিতিন তিব্রেওয়াল এবং অমিত আগরওয়াল নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ইডি।

ইডি জানায়, মহাদেব অ্যাপ একটি হাই-প্রোফাইল কেলেঙ্কারি যা একটি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন গেম যেমন- পোকার, তাস গেম, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, ফুটবল এবং ক্রিকেটের ওপর এই অ্যাপে অবৈধ জুয়া খেলা হয়। এই অ্যাপ দৈনিক ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে বলে জানা গেছে।

এই প্ল্যাটফর্মটি নতুন ব্যবহারকারীদের নথিভুক্ত করতে, আইডি তৈরি করতে এবং বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটি অবৈধ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অর্থ পাচার করতে ব্যবহার করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে