ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিজেদের র্যামন বিমানবন্দর ফিলিস্তিনিদের ব্যবহার করতে অনুমতি দেয়ার পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলি বিমানবন্দর ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের নিজেদেরই একটি বিমানবন্দর থাকা উচিত ছিল।
এই সপ্তাহে দক্ষিণ ইসরায়েলের র্যামন বিমানবন্দর হয়ে সাইপ্রাসে গেছে ফিলিস্তিনিদের বহনকারী একটি চার্টার্ড বিমান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনি পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুসা রাহাল বলেন, ‘আমাদের জাতীয় দায়িত্ব হলো র্যামন বিমানবন্দর দিয়ে ভ্রমণ না করা এবং আমরা ফিলিস্তিনিদের সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দেই।’
ইসরায়েলের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই মাসের প্রথম দিকেই জানিয়েছিল, অধীকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের জন্য র্যামন বিমানবন্দর থেকে তুরস্কের ইলাত শহরে যাওয়া একটি বিশেষ ফ্লাইট দেবে।
তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কয়েকটি বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের সমস্যার সমাধান করবে না।
ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরগুলো বিশেষ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করতে পারত না।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ইসরায়েলের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের বিমানবন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দেয়।
ফিলিস্তিনিরা বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী জর্ডানের বিমানবন্দর ব্যবহার করে আসছে, তবে সীমান্ত ক্রসিংয়ে সময়ক্ষেপণ ও ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ ফিলিস্তিনিদের।
পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে বর্তমানে অব্যবহৃত কালান্দিয়া বিমানবন্দরের কথা উল্লেখ করে ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেছেন, ‘দখলদাররা যদি ফিলিস্তিনিদের জন্য সহজ করতে চায়, তাদের জেরুজালেম বিমানবন্দর খুলে দিক।’
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েলের দখলকৃত বিমানবন্দরটি ২০০০ সালে বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবে বাস উল্টে আগুন ধরে অন্তত ২০ ওমরাহ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির আসির প্রদেশের এ দুর্ঘটনায় আরও ২৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-খাবারিয়া বলছে, আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় বিকেল ৪টার দিকে একটি সেতুর ওপর বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়। বাসের যাত্রীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশে মক্কায় যাচ্ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রেক কাজ না করায় সেতুর এক পাশে গিয়ে ধাক্কা খায় বাসটি। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
সৌদি প্রেসের তথ্যানুযায়ী, ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আকাবা শারের সড়কটি প্রায় ৪০ বছর আগে পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন:
সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চীনের মধ্যস্থতায় সাম্প্রতিক মতৈক্যের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে রোববার এক পোস্টে আমন্ত্রণের বিষয়টি জানান ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির রাজনীতিবিষয়ক ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি।
তিনি বলেন, এক চিঠিতে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সফরের আমন্ত্রণ জানান সৌদি বাদশাহ।
টুইটে জামশিদি লিখেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসিকে দেয়া চিঠিতে সৌদি আরবের বাদশাহ বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যকার চুক্তিকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি তাকে (ইরানের প্রেসিডেন্ট) রিয়াদ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’
তিনি লিখেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান।
ইরানের জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সালমানের আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন রাইসি।
শিয়া ও সুন্নি দ্বন্দ্বের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বীর ভূমিকায় ছিল সৌদি আরব ও ইরান। চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের পর সে শত্রুতা কমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সর্বশেষ বাদশাহ সালমান যে চিঠি দিয়েছেন, তাকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
টানা কয়েক দিন বড় পরিসরে আলোচনার পর গত ১০ মার্চ ইরান, সৌদি আরবকে নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয় চীন।
এ চুক্তির আওতায় মধ্যপ্রাচ্যের বড় দুই শক্তি কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপনের পাশাপাশি দূতাবাস ও মিশনগুলো দুই মাসের মধ্যে ফের চালু করতে সম্মত হয়।
আরও পড়ুন:কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের আলোচনায় এই সমঝোতা হয়েছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে একটি বিবৃতিতে জানায়, তিন দেশের আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে সৌদি আরব ও ইরান।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব ও ইরানের ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান চীনে একটি বৈঠকে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক একটি চুক্তি করেছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে উভয় দেশে পুনরায় দূতাবাস চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে তেহরান ও রিয়াদ কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অতীতে বেশ কয়েক দফা উভয় দেশের কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন।
ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সঙে লড়াই করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী।
আরও পড়ুন:দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় কমপক্ষে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, আহত দুজনের অবস্থা গুরুতর।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, একটি বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে ইসরায়েলের বাহিনী। সে বাড়িতে রকেট হামলা চালানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, বেশ কিছু সামরিক যানের সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টার প্রবেশ করছে জেনিন শহরে।
ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনের হুওয়ারা গ্রামের কাছে অবৈধ বসতির বাসিন্দা দুই ভাইয়ের ওপর গুলি চালানো এক ফিলিস্তিনি রয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতির দুই বাসিন্দাকে যে বন্দুকধারী খুন করেছিলেন, তাকে ‘নির্মূল’ করেছেন সেনারা।
পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক সারা খাইরাত জানান, জেনিনে তল্লাশি অভিযানের দিন সন্ধ্যায় নাবলুসের দক্ষিণে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে একই ধরনের তৎপরতা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
আরও পড়ুন:দখলকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রকেট ছুড়েছে গাজা উপত্যকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। এর জবাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুধবার গভীর রাতে গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলে বোমা ছোড়া হয় ইসরায়েলি বিমান থেকে। ওই অঞ্চলে ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী দেখা যায়।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের সেদেরত ও অ্যাশকেলন শহরে রকেট ছোড়া হয়। সেসব এলাকায় বেজে ওঠে সাইরেন।
রকেট হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ফিলিস্তিনের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমপক্ষে আটটি রকেট ছোড়া হয় গাজা থেকে। অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশটিকে লক্ষ্য করে ছোড়া রকেটের সংখ্যা ছয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঁচটি রকেটকে আটকে দেয়। আরেকটি রকেট পড়ে জনবসতিহীন এলাকায়।
রকেট ছোড়ার দায় স্বীকার করেনি ফিলিস্তিনের কোনো সংগঠন।
গাজা থেকে রকেট ছোড়ার আগে উপত্যকাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদ নাবলুসে বুধবার ইসরায়েলি অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একে ‘বড় অপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দেয়। অভিযানে প্রাণহানির বদলা নেয়ার ঘোষণাও দেয় সংগঠনটি।
অন্যদিকে হামলার নিন্দা জানিয়ে হুঁশিয়ারি দেয় উপত্যকার শাসক দল হামাসও।
আরও পড়ুন:দখলকৃত পশ্চিম তীরে শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিরস্ত্র এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, নাবলুসের দক্ষিণে হুওয়ারা শহরের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গুলিতে ২৬ বছর বয়সী আবদুল্লাহ সামি কালালওয়েহ নিহত হন।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র আহমাদ জিব্রিল স্থানীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফাকে জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গুরুতর আহত হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই কালালওয়েহর মৃত্যু হয়।
ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, কালালওয়েহের মৃত্যুতে এ বছর এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আট শিশু ও বয়স্ক এক নারীসহ ৩৬ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এ সময়ে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এক শিশুসহ ইসরায়েলি ছয় বেসামরিক এবং ইউক্রেনের এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, সন্দেহভাজন একজন হুওয়ারা এলাকায় সেনা ঘাঁটি সংলগ্ন সামরিক ফাঁড়ির দিকে হেঁটে যাওয়ার পর বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, কালালওয়েহ এক সেনাকে আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন। ওই স্থানে থাকা আরেক সেনা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
ফিলিস্তিনি ওই যুবক নিরস্ত্র ছিলেন বলে স্বীকার করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
এর আগে শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত পশ্চিম তীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সব কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে পরিচালনা করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি এক বিবৃতিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানগুলোতে নিয়ম মেনে বলপ্রয়োগের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন:দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে শুক্রবার ইহুদি বসতিতে সম্প্রদায়টির উপাসনালয় সিনাগগের কাছে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে বৃহস্পতিবার শরণার্থী ক্যাম্পে দেশটির সেনাদের তল্লাশির সময় ৯ জন নিহত হওয়ার পরের দিন বন্দুক হামলার ঘটনাটি ঘটে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে পূর্ব জেরুজালেমের হামলাকারী নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম জানায়, বন্দুকধারীর গুলিতে আহত ১০ জনকে তারা চিকিৎসা দিচ্ছে, যাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
হামলাস্থল ইসরায়েলের অবৈধ বসতি নেভে ইয়াকুব থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জেমস বেইজ জানান, তার কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, সিনাগগের সামনে গাড়ি থেকে বেরিয়ে গুলি চালান বন্দুকধারী, যাতে কমপক্ষে সাতজন প্রাণ হারান।
পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজনের ইতোপূর্বে নিরাপত্তা লঙ্ঘনজনিত কোনো রেকর্ড নেই।
তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো পক্ষ।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থার মতে, গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ১৪ বছরের এক কিশোর রয়েছে।
সিনাগগের কাছাকাছি জায়গার বাসিন্দা ১৮ বছর বয়সী ম্যাটানেল আলমালেম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি অনেক গুলির শব্দ শুনেছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য