× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Port workers strike in UK to demand higher wages
google_news print-icon

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে যুক্তরাজ্যে বন্দর শ্রমিকদের ধর্মঘট

মজুরি-বাড়ানোর-দাবিতে-যুক্তরাজ্যে-বন্দর-শ্রমিকদের-ধর্মঘট
ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন শ্রমিকরা। ছবি: রয়টার্স
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানো শুরু করলে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতেই প্রভাব পড়তে শুরু করে। খাদ্যসংকটসহ নানা সংকটে পড়ে বিভিন্ন দেশ।

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৃহত্তম একটি কনটেইনার বন্দরের শ্রমিকরা।

স্থানীয় সময় রোববার থেকে তারা এই কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সাফোকের ফেলিক্সস্টো বন্দরটির দুই হাজার শ্রমিক এ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। বছরে এই বন্দরে জাহাজ আসে দুই হাজারের বেশি, খালাস হয় ৪০ লাখের বেশি কনটেইনার।

নৌপথ দিয়ে যুক্তরাজ্যে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়, তার অর্ধেকই আসে এ বন্দরে। রেলওয়ে শ্রমিকদের ধর্মঘটের মধ্যেই কনটেইনার শ্রমিকদের এমন বিক্ষোভে পণ্য পরিবহনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে দেশটিতে।

বন্দর, ট্রেনের পর ডাক কর্মীরা চলতি মাসের শেষ দিকে চার দিনের ধর্মঘটের পরিকল্পনা করেছেন। বিক্ষোভের মুখে পড়েছে টেলিকম জায়ান্ট বিটির মতো প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি কর্মবিরতির কর্মসূচিতে গেছেন অ্যামাজন কর্মীরাও।

শ্রমিক ইউনিয়নের জাতীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা বব মর্টন বলেন, শ্রমিকদের এই বিক্ষোভ বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হবে, যুক্তরাজ্যজুড়ে সাপ্লাই চেইনেও বড় প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এটা তো প্রতিষ্ঠানেরই তৈরি।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ আছে, কিন্তু তার পরও তারা তা করছে না।

তবে ফেলিক্সস্টো বন্দরের মূল প্রতিষ্ঠান সিকে হাচিসন হোল্ডিং লিমিটেডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধর্মঘটের কর্মসূচি হতাশজনক। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপদ এবং ভালো বেতন দিয়ে থাকে। অপ্রয়োজনীয় কর্মসূচিতে কেউই লাভবান হবে না।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানো শুরু করলে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতেই প্রভাব পড়তে শুরু করে। খাদ্যসংকটসহ নানা সংকটে পড়ে বিভিন্ন দেশ।

এ অবস্থায় ৪০ বছরের মধ্যে গত মাসে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি হয় যুক্তরাজ্যে। একই সঙ্গে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দামও।

আরও পড়ুন:
খরচ কমাতে যুক্তরাজ্যে স্কুলে সপ্তাহে ৪ দিন ছুটির চিন্তা
যুক্তরাজ্যে জানুয়ারিতে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শঙ্কা
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রইল বাকি দুই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Putin will agree on a months ceasefire?

এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন?

এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কোলাজ: ইউএনবি
সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক মাসের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন সম্মতি দেওয়ার পর এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বর্তমানে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির সুযোগটি কাজে লাগাবেন, নাকি তা প্রত্যাখ্যান করবেন?

সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক মাসের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে জানান, শিগগিরই রাশিয়া-ইউক্রেনকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেওয়া হবে।

ইউক্রেন প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, যদি রাশিয়াও শান্তির হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে এতদিনের চলমান যুদ্ধ বন্ধ হতে খুব বেশি দেরি নেই। কিন্তু রাশিয়া যদি এ প্রস্তাব মেনে না নেয়, তাহলে শান্তি আলোচনায় অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়ার রাজি হওয়া না হওয়া বহুমুখী হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি অবধি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়ে এসেছেন, কোনো ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগ্রহ তার নেই। যদি শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করতেই হয়, সেটি হতে হবে স্থায়ী সমাধান।

বর্তমানে যুদ্ধে অনেকটাই কোণঠাসা ইউক্রেন। রাশিয়ার সেনারা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তা ছাড়া পুতিন বারংবার বলেছেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন। এ পরিস্থিতিতে পুতিন ট্রাম্পের মন রাখবেন নাকি যুদ্ধ চালিয়ে ইউক্রেনে জয়ের পথেই হাঁটবেন তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

মূলত, ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। বিশেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারি পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের একান্ত ফোনালাপ এবং এরপর একের পর এক রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকানদের বৈঠকই চলমান যুদ্ধের আশু সুরাহার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন কূটনীতিকরা।

রাশিয়ার পদক্ষেপ এখনও স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।

সৌদিতে বৈঠকের পর বেশ কৌশলের সঙ্গে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত না জেনে কোনো মন্তব্য জানানো হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না বলেই রাশিয়া এমন কৌশলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন কিছু বিশ্লেষক।

রুশ-আমেরিকানদের সাপে-নেউলের সম্পর্কের বাইরে গিয়ে ট্রাম্প-পুতিন সখ্য কিন্তু বিশ্ব পাড়ায় মোটেই অজানা নয়। তবে এ সখ্যই সব নয়। এর বাইরে আছে ইউক্রেনের খনিজের প্রতি ট্রাম্পের চোখ আর কিয়েভের ভূমির ওপর পুতিনের লোভ।

শেষ কয়েক দিনের যুদ্ধে ভালোই এগিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর কুরুস্কের বেশির ভাগ এলাকা এখন রাশিয়ার দখলে।

দর কষাকষিতে কুরুস্ককে নিজেদের হাতে রাখতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। তবে দিন দিন তা কঠিন হয়ে উঠছে তার সেনাদের জন্য।

আবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নজিরবিহীন বাকবিতণ্ডা এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করার অভিযোগ নিয়ে আমেরিকা ত্যাগের মতো ঘটনা এতদিন জেলেনস্কিকে ভালোই ভুগিয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, শান্তি চুক্তির প্রতি যতদিন না আগ্রহ দেখাবে ইউক্রেন, ততদিন বন্ধ থাকবে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই বর্তমান বাস্তবতাকে মেনে নিতে হচ্ছে জেলেনস্কির।

প্রশ্ন হলো পুতিন কেন আপস করবে? বাইডেন প্রশাসনের সময়ে হাজারখানেক নিষেধাজ্ঞার ভারেও নতজানু না হওয়া পুতিন কেন এত সহজে রাজি হবে যুদ্ধবিরতিতে?

এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি এস পেশকভের সাক্ষাৎকারে।

পেশকভ জানান, জেদ্দার আলোচনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ও পর্যবেক্ষণ করছে মস্কো। এখনই হলফ করে কিছু বলা না গেলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের আরেক দফা ফোনালাপের পর রাশিয়া নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে।

প্রথমবার ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপে ইতোমধ্যে দখলকৃত ইউক্রেনের ভূমি নিয়ে ফয়সালা, কোনোভাবেই ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান করতে না দেওয়ার ওয়াদা এবং পূর্ব-মধ্য ইউরোপে ন্যাটোর হম্বিতম্বি কমিয়ে আনার ব্যাপারে পুতিন জোরালো দাবি তুলেছেন বলে খবর পাওয়া যায়।

চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের জানান, আবারও পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এপির নিশ্চিত করা এ তথ্য থেকেই চূড়ান্ত দরকষাকষির আভাস পাচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এর আগে ট্রাম্প বেশ কয়েকবার তার বক্তব্যে আভাস দিয়েছেন, এ চুক্তিতে ইউক্রেনকে ছাড় দিতে হবে। এতদিন ইউক্রেন ছাড় দিতে রাজি না থাকলেও এবার বাধ্য হয়েই আপসের পথে হাঁটতে হতে পারে দেশটি।

রুশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক এলিয়া গ্রাশ্চিনেকভ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাদা চোখে এ চুক্তিতে কারও বিজয় হয়নি মনে হলেও রাশিয়া কৌশলগত বিজয় নিশ্চিত করেই চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মতি দেবে।’

রাশিয়া কৌশলগত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এ কথা উঠে এসেছে মস্কোর সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেও। বলা হয়েছে, রুশ প্রতিনিধিরা জেদ্দায় না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান জন র‍্যাটক্লিফ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রুশ প্রশাসনের সঙ্গে।

ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ গত মাসেও রাশিয়ায় পুতিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন এবং আগামীতেও তার রাশিয়া সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।

এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো। তা হলো এ পুরো আলোচনায় ইউরোপকে তোয়াক্কাই করছে না ট্রাম্প প্রশাসন।

ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ঘটনায় এরই মধ্যে দুই ভূখণ্ডের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল। ন্যাটো নিয়েও ট্রাম্প খুশি নন। শপথ নিয়েই দাবি জানিয়েছেন ন্যাটোর বাজেট বাড়ানোর।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিত।

এদিকে ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ড আদায় চেষ্টার ইস্যুতেও ইউরোপের সঙ্গে কয়েক দফা মন কষাকষি হয়েছে ট্রাম্পের। সব মিলিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে ভেঙে রাশিয়ামুখী হওয়াকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কংগ্রেস সদস্য ভালো চোখে না দেখলেও এটাই এখন বাস্তব।

এ বাস্তবতাকে পুঁজি করেই রুশ কূটনৈতিক বিশ্লেষক স্যামুয়েল শ্যারাপ বলেন, ‘ওয়াশিংটনের সঙ্গে বর্তমানে মস্কোর সম্পর্ক যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যকার উষ্ণতার বিচার-বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে তা মস্কো মেনে নিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’

শুরুতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের পথ রচিত হলেও পরবর্তী সময়ে হয়তো এ এক মাসের যুদ্ধবিরতিই স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের সূচনা করবে এবং তিন বছর ধরে চলা এ সংঘাতের অবসান হবে বলে মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকের।

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: ট্রাম্প
সৌদির এক সিদ্ধান্তে বন্ধ হবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প
গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনবে, আশা পুতিনের
মুক্তিযুদ্ধে মীমাংসিত বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ হলে অগ্রগতি বাধা পাবে: ড. কামাল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
France and UK proposal for a month in Ukraine

ইউক্রেনে এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের

ইউক্রেনে এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ছবি: এএফপি
মাখোঁ বলেন, ‘আগামী সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের মাটিতে ইউরোপীয় সেনা থাকবে না।’

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ রবিবার বলেছেন, লন্ডনে সংকট নিয়ে আলোচনার পর ইউক্রেনের আকাশ, সমুদ্র ও জ্বালানি অবকাঠামোতে এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন।

প্যারিস থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ফ্রান্সের লে ফিগারো সংবাদপত্রের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, এ ধরনের যুদ্ধবিরতি, প্রাথমিকভাবে অন্তত স্থল যুদ্ধকে অন্তর্ভুক্ত করবে না।

তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হবে।

মাখোঁ আরও বলেন, ‘আগামী সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের মাটিতে ইউরোপীয় সেনা থাকবে না।’

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ওয়াশিংটনের পরিবর্তনশীল অগ্রাধিকার ও রাশিয়ার সামরিকীকরণের প্রতিক্রিয়া জানাতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ৩ থেকে ৩.৫ শতাংশের মধ্যে বৃদ্ধি করা উচিত।

তিনি সংবাদপত্রটিকে বলেন, ‘তিন বছর ধরে, রাশিয়ানরা তাদের জিডিপির ১০ শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয় করেছে।

‌‘তাই আমাদের পরবর্তী সময়ে কী হবে তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ফ্রান্সের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়রু
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সে রেলওয়েতে ভয়াবহ হামলা
ফ্রান্সে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট, ভোটে শীর্ষে বামপন্থিরা
ম্যাক্রোঁ দ্বিতীয় দফায় উগ্র ডানপন্থীদের পরাজিত করতে চান
ফ্রান্সে নির্বাচন: বুথফেরত জরিপে এগিয়ে কট্টর ডানপন্থিরা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
May be meeting with Putin soon Trump

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প কুশল বিনিময় করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: ইউএনবি
ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সত্যিই ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব শিগগিরই তার বৈঠক হতে পারে।

ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সত্যিই ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।

তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করেন যখন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আগামী দিনে সৌদি আরবে প্রাথমিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পাম বিচ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘সময় নির্ধারণ করা হয়নি, তবে খুব শিগগিরই তা হতে পারে।’

ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বার্ষিকী ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে।

আগামী দিনে সৌদি আরবের রাজধানীতে রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় রুবিও একটি উচ্চস্তরের আমেরিকান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।

এয়ার ফোর্স ওয়ানে উড্ডয়নের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, তার দল রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য’ আলোচনা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে তার রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ দলভুক্ত রয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট বলেন, উইটকফ সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন।

পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।’

পুতিন পুরো ইউক্রেন দখল করতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এটাই ছিল তার কাছে আমার প্রশ্ন।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি তিনি চালিয়ে যেতে চান তাহলে আমার জন্য একটা বড় সমস্যা হতো।

‘আমি মনে করি তিনি এটি শেষ করতে চান এবং তারা দ্রুত এটি শেষ করতে চান।জেলেনস্কিও এটি শেষ করতে চান।’

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: ট্রাম্প
দক্ষিণ আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ
আলাস্কায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০
কানাডাকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের
মেক্সিকো, কানাডা ও চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Putin agrees to meet the Ukraine war to stop the war Trump

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প কুশল বিনিময় করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: ইউএনবি
ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এ যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’

ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সৌদি আরবে এ বৈঠক হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।

এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গেল তিন বছর ধরে চলা আমেরিকান নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছেন তিনি।

অ্যাসোসিয়েটে প্রেসের খবরে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বুধবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এ যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’

এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা হবে বলে জানান ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনও সমানভাবে অংশীদার হবে কি না, সে বিষয়ে তার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা শান্তি অর্জনের পথে রয়েছি। আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শান্তি চান।

‘আমিও শান্তি চাই। আমি কেবল দেখতে চাই, লোকজনের প্রাণহানি হচ্ছে না।’

পুতিনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জনগণ সত্যিকার অর্থে জানেন না। কিন্তু আমি মনে করি, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, তিনিও এ যুদ্ধের অবসান দেখতে চান। কাজেই সেটা ভালো এবং আমরা এ যুদ্ধ বন্ধের দিকে যাচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব।’

ওই সময় শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান ট্রাম্প। বৈঠকটি সৌদি আরবে হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার মাধ্যমে এ আভাসই দেওয়া হচ্ছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটন ও মস্কো একটি চুক্তি পৌঁছাতে একমত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিয়েভও যে পরিপূর্ণ একটি অংশীদার হবে বলে মনে করত জো বাইডেন প্রশাসন, সেখান থেকে সরে এসেছে ওয়াশিংটন।

ইউক্রেনও এ যুদ্ধের সমান অংশীদার হতে যাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘খুবই চমৎকার প্রশ্ন। আমি মনে করি তারাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান।’

এ ছাড়া ইউক্রেন যে পশ্চিমাদের সঙ্গে আরও ঘেঁষতে চাইছে, সে প্রত্যাশায় আরেকটি আঘাত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেট হেগসেথ।

ব্রাসেলসে ন্যাটোর প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সদস্য হওয়া বাস্তবসম্মত নয়।’

পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‌‘হেগসেথ যে কথা বলেছেন, সেটিই সত্য বলে আমি মনে করি।’

ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা এ সামরিক জোটের সদস্য হওয়া অপরিহার্য।

আরও পড়ুন:
কানাডাকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের
মেক্সিকো, কানাডা ও চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে ৬ আরোহীসহ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার জন্য ওবামা, বাইডেনের নীতিকে দুষলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ: নদী থেকে উদ্ধার ১৮ মরদেহ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Putin hopes a cease fire in Gaza will bring long term stability

গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনবে, আশা পুতিনের

গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনবে, আশা পুতিনের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া চুক্তি সম্পর্কে পুতিন বলেন, ‘আমরা আশা করি এটি মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি এবং (মধ্যপ্রাচ্য) অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

তার ভাষ্য, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের একটি ‌‘সামগ্রিক সমাধান’ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া চুক্তি সম্পর্কে পুতিন বলেন, ‘আমরা আশা করি এটি মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি এবং (মধ্যপ্রাচ্য) অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে।’

তিনি ক্রেমলিনে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে আলোচনার সময় উল্লেখ করেন, ‘একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের একটি সামগ্রিক সমাধানের প্রচেষ্টা দুর্বল না করা গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও পড়ুন:
আমার প্রশাসন চাপ না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতো না: ট্রাম্প
গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনে দরকার হাজার কোটি ডলার: ডব্লিউএইচও
গাজায় সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ ইসরায়েল: হামাস
গাজায় বিমান হামলার সময় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুতি
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ২৮

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Tulips resignation in the face of criticism

সমালোচনার মুখে পদত্যাগ টিউলিপের



সমালোচনার মুখে পদত্যাগ টিউলিপের যুক্তরাজ্যের সদ্য সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: রয়টার্স
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টিউলিপকে লেখা স্টারমারের একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পাশাপাশি আমি এটাও স্পষ্ট করে বলতে চাই, স্বাধীন উপদেষ্টা হিসেবে স্যার লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসেবে আপনার বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন ও আর্থিক অনিয়মের কোনো অভিযোগের ঘটনা পাননি।’

সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ নিজেই এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

টিউলিপ এক্স হ্যান্ডেলে (সাবে টুইটার) তার পদত্যাগের কথা জানান। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রের ছবিও পোস্ট করেন।

পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেন, অভিযোগ পর্যালোচনার পর ব্রিটিশ সরকারের ইনডিপেনডেন্ট এথিকস অ্যাডভাইজর (স্ট্যান্ডার্ডস ওয়াচডগ) স্যার লাউরি ম্যাগনাস নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসেবে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেননি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টিউলিপকে লেখা স্টারমারের একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পাশাপাশি আমি এটাও স্পষ্ট করে বলতে চাই, স্বাধীন উপদেষ্টা হিসেবে স্যার লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, তিনি মন্ত্রী হিসেবে আপনার বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন ও আর্থিক অনিয়মের কোনো অভিযোগের ঘটনা পাননি।’

তিনি মন্ত্রী থাকলে সরকার তার কাজে মনযোগ দিতে পারবেন না এমন কথা উল্লেখ করে টিউলিপ বলেন, ‘এ কারণে আমি আমার মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।

গত আগস্টে শেখ হাসিনা গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশে ৯টি অবকাঠামো প্রকল্প থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। তাতে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকেরও নাম আসে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ওই অভিযোগ তদন্ত করছে।

দুদকের এ তৎপরতা আলোচনায় আসার পর যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

২০১৩ সালে শেখ হাসিনার মস্কো সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের সময় টিউলিপ সিদ্দিকও উপস্থিত ছিলেন। বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ গণমাধ্যম তার সে ছবি ওই সময় ফলাও করে প্রচার করে।

কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি বেইডনকসহ বেশ কয়েকজন বিরোধীদলীয় নেতা টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়মিত খবর ও সম্পাদকীয় প্রকাশ হতে থাকে।

এর মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সম্পত্তি টিউলিপের ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এ প্রেক্ষাপটে টিউলিপ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা (ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস) লাউরি ম্যাগনাসের কাছে চিঠি (রেফারেল) লিখেন।

মন্ত্রীদের আচার-আচরণ, নীতিনৈতিকতা বিষয়ে ম্যাগনাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিয়ে থাকেন।

প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, পেনশনমন্ত্রী এমা রেনল্ডস টিউলিপ সিদ্দিকের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাজ্যে গেলে গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু 
ইরান-রাশিয়ার ওপর ইইউ ও ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞা
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্যের রূপকল্প দেবেন, আশা যুক্তরাজ্যের
শেখ হাসিনার আশ্রয় নিয়ে জল্পনা-কল্পনা, নিয়ম স্পষ্ট করল যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যে ছুরি হামলায় ৩ শিশু নিহত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A Saudi citizen killed two people by driving a car at a Christmas market in Germany

জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি উঠিয়ে দুজনকে হত্যা সৌদি নাগরিকের

জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি উঠিয়ে দুজনকে হত্যা সৌদি নাগরিকের হামলার ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। ছবি: এএফপি
জার্মানির সংবাদমাধ্যম জানায়, হামলাকারী সৌদি নাগরিক তালেব (৫০) একজন চিকিৎসক। ২০০৬ সাল থেকে জার্মানির স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মানসিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত তিনি। কালো রঙের ‘বিএমডব্লিউ’ গাড়িটিতে তিনি একাই ছিলেন।

জার্মানিতে ক্রিসমাসের মার্কেটে গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে দুজনকে হত্যা ও ৬৮ জনকে আহত করেছেন এক সৌদি নাগরিক।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জাক্সেন আনহাল্ট অঙ্গরাজ্যের মাগদেবুর্গের একটি ব্যস্ততম বাজারে এ হামলা হয়।

ওই সময় স্থানীয় লোকজন বড়দিনের জিনিসপত্র কেনায় ব্যস্ত ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের সামান্য দূরে গাড়ি থামিয়ে ওই সৌদি নাগরিককে আটক করে।

জার্মানির মাগদেবুর্গ থেকে এএফপি এসব তথ্য জানায়।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, মাগদেবুর্গ শহরটি বার্লিন থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। নিহত দুজনের মধ্যে এক শিশুও ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার সময় এলাকার ব্যস্ততম মার্কেটে পথচারীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেন এক ব্যক্তি। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন প্রাণ হারান। আহত হন অনেকে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে।

হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে নামে এবং ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরে গাড়ি থামিয়ে হামলাকারীকে আটক করে।

জার্মানির সংবাদমাধ্যম জানায়, হামলাকারী সৌদি নাগরিক তালেব (৫০) একজন চিকিৎসক। ২০০৬ সাল থেকে জার্মানির স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মানসিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত তিনি। কালো রঙের ‘বিএমডব্লিউ’ গাড়িটিতে তিনি একাই ছিলেন। পুলিশ তাকে পেছনে দুই হাত বেঁধে নিয়ে যায়।

এই হামলার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর, দেশটির স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।

হামলার ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। হামলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছেন কমিউনিটির নেতারা।

আরও পড়ুন:
জার্মানিতে উৎসবে ছুরি হামলায় তিনজন নিহত
ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পেল সৌদির আল-ফাও অঞ্চল
সৌদিতে আগুনে চার বাংলাদেশি নিহত, নওগাঁয় পরিবারে মাতম
সৌদিতে প্রথমবার ভ্রমণ: মাথায় রাখবেন যেসব বিষয়
চলতি বছর হজে ১৩ শতাধিক মৃত্যু

মন্তব্য

p
উপরে