× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Ships settle in dried up rivers
google_news print-icon

শুকিয়ে যাওয়া নদীতে মিলছে জাহাজ, বসতি

শুকিয়ে-যাওয়া-নদীতে-মিলছে-জাহাজ-বসতি
সার্বিয়ায় দানিয়ুব নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তলদেশে দেখা গেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ডুবে যাওয়া একটি জার্মান যুদ্ধজাহাজ। ছবি: বিবিসি
ইউরোপে নদী এবং বেশ কিছু হ্রদ শুকিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন সময় নদীর তলদেশে সমাহিত জাহাজসহ নৌযান, পলিতে ঢাকা বসতি ও গ্রাম জেগে ওঠেছে।

ইউরোপে চলমান খরা আর দাবদাহে অস্থির জনজীবন, নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে অনেককে। সেই সঙ্গে তীব্র দাবদাহ সইতে না পেরে মারাও যাচ্ছেন শীত প্রধান মহাদেশটির অনেক বাসিন্দা।

সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে অভিন্ন নদী এবং বেশ কিছু হ্রদ শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে নৌযানগুলো চলাচলে বড় ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। দ্রুত পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন সময় নদীর তলদেশে সমাহিত জাহাজসহ নৌযান, পলিতে ঢাকা বসতি ও গ্রাম জেগে ওঠেছে।

সার্বিয়ায় দানিয়ুব নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তলদেশে দেখা গেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ডুবে যাওয়া দুটি জার্মান যুদ্ধজাহাজ। ১৯৪৪ সালে প্রাহভো শহরের কাছে নাৎসী জামার্নির যুদ্ধজাহাজের একটি বহর সেখানে ডুবে যায়। এই দুটি জাহাজ সেই বহরে ছিল। জাহাজ দুটিতে গোলাবারুদ ও অস্ত্র পাওয়া গেছে।

শুকিয়ে যাওয়া নদীতে মিলছে জাহাজ, বসতি

যুক্তরাজ্যের ডার্বিশায়ারে ডারওয়েন্ট ভিলেজের একটি গির্জার ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। ১৯৪০ সালে এই গ্রামটি তলিয়ে যায়। ছবি: বিবিসি

ধারনা করা হচ্ছে বহরের আরও জাহাজের ধ্বংসাবশেষ সেখানে দেখা যেতে পারে।

ইতালির পো নদীর তলদেশে অবিস্ফোরিত গোলা উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ছোড়া এসব গোলা উদ্ধারের সময় প্রায় তিন হাজার মানুষকে তীর থেকে নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। জার্মান বাহিনীর ডুবে যাওয়া একটি বার্জও দেখা গেছে পো নদীতে।

রোম শহরের টিবার নদীর পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সেখানে ভেসে ওঠেছে নেরু সাম্রাজ্যের সময় নির্মিত সেতুর ধ্বংসাবশেষ।

যুক্তরাজ্যের ডার্বিশায়ারে ডারওয়েন্ট ভিলেজের একটি গির্জার ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। ১৯৪০ সালে এই গ্রামটি তলিয়ে যায়।

আরও পড়ুন:
এমন দাবদাহ ২০৬০ পর্যন্ত: জাতিসংঘ
যুক্তরাজ্যে বুঝেশুনে পানি খরচের তাগিদ
সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় যুক্তরাজ্যে পুড়ছে বাড়ি
বিশ্ব ফুটছে দাবদাহে
যুক্তরাজ্যে তীব্র গরমে গলে গেছে রানওয়ে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Khalistani leader threatens to attack World Cup in India

ভারতে বিশ্বকাপে খালিস্তানি নেতার হামলার হুমকি

ভারতে বিশ্বকাপে খালিস্তানি নেতার হামলার হুমকি নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ম্যাচে হামলার হুমকি দিয়েছে শিখস ফর জাস্টিস নেতা গুরপতবন্ত পান্নুন। কোলাজ: নিউজবাংলা
আগামী ৫ অক্টোবর গুজরাটের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপের এবারের আসরের পর্দা উঠবে। ওই ম্যাচের দিনই স্টেডিয়ামে হামলা চালানো হবে বলে এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন এসএফজে নেতা গুরপতবন্ত পান্নুন।

আগামী সপ্তাহে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩। বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ভারতসহ অংশ নেয়া সবগুলো দেশ ও ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে এ নিয়ে উত্তেজনা, পরিকল্পনার শেষ নেই। বিশ্বকাপ উপলক্ষে চারদিকে সাজ সাজ রব। এরই মাঝে উড়ে এলো ভারতে হামলার হুমকি।

কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা এবং কথিত খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামে ওই হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ভারতে নিষিদ্ধ শিখ সম্প্রদায়ের সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)।

আগামী ৫ অক্টোবর গুজরাটের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপের এবারের আসরের পর্দা উঠবে। ওই ম্যাচের দিনই স্টেডিয়ামে হামলা চালানো হবে বলে এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন এসএফজে নেতা গুরপতবন্ত পান্নুন।

পান্নুনের ওই অডিও ক্লিপটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।

ওই বার্তায় তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘৫ অক্টোবর থেকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ নয়, বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ কাপ শুরু হতে চলেছে।’

হরদীপ হত্যাকাণ্ডে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি দায়ী করে তিনি বলেছেন, ‘দিল্লি খালিস্তান হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার জন্য আপনি দায়ী এবং শিখ ফর জাস্টিস এই হত্যার প্রতিশোধ নেবে। আহমেদাবাদে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আইসিসি বিশ্বকাপ আমাদের লক্ষ্য।

‘তোমাদের বুলেটের বদলে আমাদের ব্যালট চলবে। হিংসার জবাব আমরা ভোটের মাধ্যমে দেব।’

ভারতের শিখ ধর্মাবলম্বী ও খালিস্তান আন্দোলনের প্রতি সহমর্মী জনগণকে শিখদের স্বাধীন রাষ্ট্র খালিস্তান কায়েম হওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্বকাপ বর্জনের আহ্বানও জানিয়েছেন পান্নুন।

কানাডাভিত্তিক একজন আইনজীবী মনে করা হয় পান্নুনকে। ২০২০ সালে ভারত সরকার তাকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেয়। এমনকি সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাকে ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায়ও রাখা হয়েছিল।

শিখস ফর জাস্টিসের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। এসএফজের কানাডা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন হত্যার শিকার হওয়া নিজ্জর। পান্নুনের দল ‘এসএফজে’র মতাদর্শ প্রচারের দায়িত্বে ছিল নিহত নিজ্জরের সংগঠন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’। এই দুই সংগঠনই ভারতে নিষিদ্ধ।

ভারতে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি ‘খালিস্তান’ নামে শিখদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সোচ্চার।

ভারতে পান্নুনের বিরুদ্ধে ১৬টি ফৌজদারি মামলা চলছে। সম্প্রতি পাঞ্জাবে তার বেশ কিছু সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

বিশ্বকাপ আয়োজন উপলক্ষে এমনিতেই দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ভারত। বিশ্ব ক্রিকেটের মহা আয়োজন শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে এমন হুমকি বার্তা পেয়ে তাই নড়েচড়ে বসেছে দেশটির সরকার।

গুজরাটের যে স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সেটির নামকরণ করা হয়েছে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে। আবার নরেন্দ্র মোদি নিজেও গুজরাটের বাসিন্দা। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আক্রোশ থেকে এমন হামলার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কূটনীতিকরা।

ইতোমধ্যে গুজরাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সতর্কতা আরও জোরদার করা হয়েছে। সরকারি সূত্রের বরাতে ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, এনআইএ ওই অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করছে।

ওই বার্তায় এ-ও বলা হয়, ভারত নাকি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে অপমান করেছে। এসএফজে এর বদলা নেবে। ভারতকে ফল ভোগ করতে হবে।

‘আমরা পরামর্শ দিচ্ছি অটোয়াতে ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দিন, নয়ত রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিন।’

এ কথায় পান্নুনের সংগঠনের সঙ্গে কানাডা সরকারের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।

গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের ভ্যাঙ্কুভার শহরের একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) কাছে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর। দুই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী ৪৬ বছরের নিজ্জরকে গুলি করে হত্যা করেন।

শুরু থেকেই কানাডা সরকারের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘হাত’ রয়েছে। পরে পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে প্রথম ভারতের এজেন্টদের জড়িত থাকার ব্যাপারে সরাসরি অভিযোগ তোলেন ট্রু়ডো। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কারও করে ট্রুডো সরকার।

তবে ভারত কানাডার এ অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘কানাডা যে অভিযোগ করেছে, কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, এ অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা মনে করি, তাদের অভিযোগ পক্ষপাতপূর্ণ।’

এমনকি কানাডা খালিস্তানপন্থী আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলেও অভিযোগ ভারতের। গত ২০ সেপ্টেম্বর বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং দুষ্কৃতি নেটওয়ার্কে জড়িত ৪৩ জনের তালিকা কানাডা সরকারকে পাঠিয়েছে ভারত। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা অনেকেই কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কানাডায় বহু ভারতীয় বাস করেন। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ। তার মধ্যে অন্তত ১৪ লাখ ভারতীয় রয়েছেন। উচ্চশিক্ষা কিংবা চাকরির সূত্রে ভারত থেকে তারা কানাডায় গেছেন।

কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়র সংখ্যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৩.৭ শতাংশ। কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেই শিখ ধর্মাবলম্বী। সেখানে ৭ লাখ ৭০ হাজার শিখ রয়েছেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ।

ভারতে শিখদের অনুপাত কানাডার চেয়েও কম। ভারতের মোট জনসংখ্যার বিচারে শিখদের সংখ্যা মাত্র ১.৭ শতাংশ।

কানাডার সরকার গঠনে তাই শিখদের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। কানাডার রাজনীতিতেও তারা যথেষ্ট সক্রিয়। কানাডার হাউস অব কমন্সে ১৮ জন শিখ সাংসদ রয়েছেন, শতাংশের বিচারে যা ভারতের চেয়েও বেশি। তাই ট্রুডো বা কানাডার সব রাজনৈতিক দলই শিখদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Half of the residents of Nagorno Karabakh have left

নাগোর্নো-কারাবাখ ছেড়েছেন অর্ধেক বাসিন্দা

নাগোর্নো-কারাবাখ ছেড়েছেন অর্ধেক বাসিন্দা নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকা ছাড়ছে বহু মানুষ। ছবি: সিএনএন
হাজার হাজার আর্মেনিয়ান এ ছিটমহল ছেড়ে আর্মেনিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। এখনও পরিবার নিয়ে এলাকা ছাড়ছে বহু মানুষ।

বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকা আজারবাইজানের দখলে যাওয়ার পর থেকে অসংখ্য জাতিগত আর্মেনীয় ওই এলাকা ছেড়েছেন।

গত কয়েকদিনে এলাকাটি ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এতই বেশি যে, তা মোট বাসিন্দাদের অর্ধেক বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে সিএনএন।

হাজার হাজার আর্মেনিয়ান এ ছিটমহল ছেড়ে আর্মেনিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। এখনও পরিবার নিয়ে এলাকা ছাড়ছে বহু মানুষ।

আর্মেনিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, আজারবাইজান ছিটমহলকে আর্মেনিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী একমাত্র সড়ক থেকে ১০ মাসের অবরোধ তুলে নেয়ার পর বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৭ হাজার শিশুসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে।

এ এলাকায় এক লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ানের বাস ছিল। আর্মেনিয়ার সরকার যুদ্ধের কারণে বাস্তুহারা মানুষকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর থেকেই তারা এলাকা ছাড়তে শুরু করেন।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ওই এলাকায় জাতিগত নিধন চলছে।

আজারবাইজান গত সপ্তাহে বলেছে, নাগর্নো-কারাবাখের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। আজারবাইজানের সীমানার মধ্যে অবস্থিত এলাকাটি কয়েক দশক ধরে নিজস্ব একটি সরকারের অধীনে স্বায়ত্তশাসিতভাবে পরিচালিত হয়েছে।

দেশটি বলছে, কেউ যদি আজারবাইজানীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করে তবে তারা এই অঞ্চলে থাকতে পারে।

তবে অনেকেই এই ঘোষণার পক্ষে মত না দিয়ে বরং বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদের মতে, কেউই এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নাগোর্নো-কারাবাখ দক্ষিণ ককেসাস এলাকার একটি পাহাড়ি এলাকা। এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তবে তিন দশক ধরে এটি জাতিগত আর্মেনিয়ানরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

এই ছিটমহলের প্রতি আর্মেনিয়া এবং তাদের মিত্র রাশিয়ার সমর্থন ছিল। বছরের পর বছর ধরে সেখানে শত শত রুশ সেনা ছিল।

গত সপ্তাহে আজারবাইজানের সেনারা আক্রমণ চালালে রাশিয়ার পাঁচজন শান্তিরক্ষী এবং ২০০ জন জাতিগত আর্মেনিয়ান এবং কয়েক ডজন আজারবানি সেনা নিহত হন।

আর্মেনয়িয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে সেখানে এটাই চলছে এবং এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, কারণ এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানানোর চেষ্টা করছি।

আজারবাইজান বলেছে, তারা জাতিগত আর্মেনিয়ানদেরকে ‘সমান নাগরিক’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।

মানুষের ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে আর্মেনিয়ার সীমান্তে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।

আর্মেনিয়ার গোরিস শহরে যেসব শরণার্থীরা এসে আশ্রয় নিয়েছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। এই শহরটি কারাবাখের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

এক ব্যক্তি বলেন, আমি আমার সারা জীবন আমার মাতৃভূমির প্রতি উৎসর্গ করেছি। এভাবে পালিয়ে আসার চেয়ে তারা যদি আমাকে মেরে ফেলতো তাহলে বেশি ভালো হতো।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Why do the Chinese consider marriage a death trap?

বিয়েকে কেন ‘মৃত্যুফাঁদ’ ভাবছেন চীনারা

বিয়েকে কেন ‘মৃত্যুফাঁদ’ ভাবছেন চীনারা প্রতীকী ছবি
বিয়েতে আগ্রহ হারিয়েছেন চীনের বাসিন্দারা। তার চেয়ে বরং লিভ ‍টুগেদার বা সিঙ্গেল থাকতে চান তারা। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেছেন, বিয়ের আরেক নাম হলো মৃত্যু।

বিয়ে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই মানুষের, কোথাও কোথাও তো বছরের কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বিয়ের ‘মৌসুমও’ হয়ে ওঠে কয়েকটি দিন। চীনেও আছে এমন এক সময়। তবে এবার সে মৌসুম উযদাপনে সাড়া মেলেনি।

বছরের সপ্তম মাসের সপ্তম দিনে ওক্সি ফেস্টিভল নামে এক উৎসব হয় চীনে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের মতোই হয় এর আয়োজন। আয়োজনের দিনে অনেক তরুণ-তরুণী বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। তবে এ বছরের আয়োজন উদযাপনে আয়োজকরা বরং ক্ষতির মুখেই পড়েছেন।

এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, বিয়েতে আগ্রহ হারিয়েছেন চীনের বাসিন্দারা। তার চেয়ে বরং লিভ ‍টুগেদার বা সিঙ্গেল থাকতে চান তারা। কেউ কেউ তো বলেই ফেলেছেন, বিয়ের আরেক নাম হলো মৃত্যু।

আল জাজিরা বলছে, গত ২২ আগস্ট ওক্সি ফেস্টিভলের দিনে সিচুয়ান প্রদেশের মিয়ানয়াং শহরের একটি বিবাহ নিবন্ধন অফিস বিবাহ নিবন্ধন সরাসরি সম্প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ওই দিন সে এলাকায় বিয়ে করতে আসেন খুব জুটিই।

শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। বিয়ে নিবন্ধন হলের অনুষ্ঠানের পরিবর্তে লাইভে দেখানো হয় শহরের মনোরম দৃশ্য।

এ ঘটনাটি নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে। বিয়েতে অনাগ্রহের পেছনের কারণও বেরিয়ে আসছে অনেক।

বিয়েতে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার নানা উৎসাহমূলক পদক্ষেপ নিলেও কয়েক বছর ধরে চীনে বিয়েতে আগ্রহ কমছে মানুষের।

এক হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে বার্ষিক প্রায় সাড়ে ১ কোটি ৩৫ লাখের মতো বিয়ে হয়েছে চীনে, অথচ গত বিয়ের বিয়ে হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ।
এসব পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করে, চীনের বাসিন্দারাও পরে বিয়ে করছেন। বিবাহবিচ্ছেদের হার বাড়ছে এবং সিঙ্গেল থাকতে চাওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।

চীনা তরুণরা মনে করছেন, বিয়ে তাদের আধুনিক জীবনের সঙ্গে বেমানান। সাংহাইয়ের বাসিন্দা বছর বয়সী ইউ ঝাং আল বলেছেন, ‘চীনে বিয়ে এক প্রকারের মৃত্যু।’

পেশায় ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এই যুবক বলেন, দুই বছর ধরে আমি আমার প্রেমিকার সঙ্গে এক সঙ্গে আছি। আমরা প্রায়ই বিয়ের কথা আলোচনা করেছি। তবে সবসময় একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি- বিয়ে করার চিন্তা করলে দেখি সেটি আমাদের সুখের চেয়ে চাপই বেশি দেয়।

চীনের বিবাহযোগ্য অনেকে মনে করেন, দুটি পরিবারের এক হওয়ার পাশাপাশি বিয়ের মাধ্যমে একটি বাড়ি কিনে সংসারও শুরু করতে হয়। এই মুহূর্তে, এই তিনটি লক্ষ্য অবাস্তব বলে মনে হচ্ছে।

বিয়েতে আগ্রহ বাড়াতে প্রচারণা চালাচ্ছে চীন। এ লক্ষ্যে গত মে মাসে ২০ টিরও বেশি চীনা শহরে ঘোষণা করা নতুন পদক্ষেপ। ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি কাউন্টি গত মাসে ঘোষণা করেছে, পাত্রীর বয়স ২৫ বা তার কম হলে তারা আর্থিক পুরস্কার পাবেন।

এ ছাড়া কর্মকর্তারা জনসাধারণকে ‘সঠিক বয়সে’ বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করেছেন। সাম্প্রতিক টিভি শো এবং ফ্যাশন শোতে বিয়ের গুরুত্ব তুলে ধরা হচ্ছে।

গুয়াংজু শহরের জেসিকা ফু বিশ্বাস করেন, বিয়ের প্রতি যে মনোযোগ দেয়া হয়েছে তা দেশের জন্মহার বাড়ানোর সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গে যুক্ত। তবে কোনো কিছুতেই সংকট কাটছে না।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের চীনা ও এশিয়ান স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার প্যান ওয়াংয়ে মতে, ব্যক্তিগত পছন্দের আবির্ভাব চীনা সমাজে বিয়ের গতিপথ বদলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিবাহিত জীবন আজ অনেকগুলি জীবনধারার বিকল্পগুলোর মধ্যে একটি মাত্র।

আরও পড়ুন:
অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে সেই শিক্ষক
ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের দিনক্ষণ, নিজ বাড়িতে কিশোরীর মরদেহ
চুপিসারে বিয়ে সারলেন ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Ethnic Armenians are leaving Nagorno Karabakh

নাগোর্নো-কারাবাখ ছাড়ছে জাতিগত আর্মেনীয়রা

নাগোর্নো-কারাবাখ ছাড়ছে জাতিগত আর্মেনীয়রা নাগোর্নো-কারাবাখ ছাড়ছেন জাতিগত আর্মেনিয়ানরা। ছবি: রয়টার্স
নাগোর্নো-কারাবাখ দক্ষিণ ককেসাস এলাকার একটি পাহাড়ি এলাকা। এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তবে তিন দশক ধরে এটি জাতিগত আর্মেনিয়ানরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকা আজারবাইজানের দখলে যাওয়ার পর থেকে হাজার হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ানরা ওই এলাকা ছাড়ছেন।

গত সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজারের মতো বাসিন্দা ওই ছিটমহলটি ছেড়ে আর্মেনিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে বিবিসির মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ এলাকায় এক লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ানের বাস ছিল। আর্মেনিয়ার সরকার যুদ্ধের কারণে বাস্তুহারা মানুষকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর থেকেই তারা এলাকা ছাড়তে শুরু করেন।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ওই এলাকায় জাতিগত নিধন চলছে।

বিবিসি বলছে, নাগোর্নো-কারাবাখ দক্ষিণ ককেসাস এলাকার একটি পাহাড়ি এলাকা। এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তবে তিন দশক ধরে এটি জাতিগত আর্মেনিয়ানরা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

এই ছিটমহলের প্রতি আর্মেনিয়া এবং তাদের মিত্র রাশিয়ার সমর্থন ছিল। বছরের পর বছর ধরে সেখানে শত শত রুশ সেনা ছিল।

গত সপ্তাহে আজারবাইজানের সেনারা আক্রমণ চালালে রাশিয়ার পাঁচজন শান্তিরক্ষী এবং ২০০ জন জাতিগত আর্মেনিয়ান এবং কয়েক ডজন আজারবানি সেনা নিহত হন।

আর্মেনয়িয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে সেখানে এটাই চলছে এবং এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, কারণ এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানানোর চেষ্টা করছি।

আজারবাইজান বলেছে, তারা জাতিগত আর্মেনিয়ানদেরকে ‘সমান নাগরিক’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।

স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী গেগহাম স্টিপানিয়ান এক্স-এর (সাবেক টুইটার) মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছেন, কারাবাখের প্রধান শহর স্টেপানাকার্টের একটি পেট্রোল স্টেশনে বিস্ফোরণে ২০০ বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

তবে বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।

মানুষের ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে আর্মেনিয়ার সীমান্তে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।

রোবববার আর্মেনিয়ার গোরিস শহরে যেসব শরণার্থীরা এসে আশ্রয় নিয়েছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। এই শহরটি কারাবাখের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

এক ব্যক্তি বলেন, আমি আমার সারা জীবন আমার মাতৃভূমির প্রতি উৎসর্গ করেছি। এভাবে পালিয়ে আসার চেয়ে তারা যদি আমাকে মেরে ফেলতো তাহলে বেশি ভাল হতো।

ভেরোনিকা নামে এক নারী জানান, দ্বিতীয় বারের মতো শরণার্থী হয়েছেন তিনি। ২০২০ সালের লড়াইয়ের সময় প্রথমবার শরণার্থীতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Nupur Sharma again in public before the elections in India

ভারতে ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে নূপুর শর্মা

ভারতে ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে নূপুর শর্মা ২০১৫ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন নূপুর শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নূপুর শর্মার সঙ্গে কাশ্মীর ফাইলস সিনেমার পরিচালকের যুগলবন্দি বিজেপির নতুন কোনো রাজনৈতিক কৌশল কিনা- তাই এখন দেখার বিষয়।

অনেক দিন পর আবার প্রকাশ্যে এলেন মহানবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বহিষ্কার হওয়া বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা।

সোমবার ভারতের আরেক বিতর্কিত বলিউড চলচ্চিত্র ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর মুক্তি পেতে যাওয়া নতুন চলচ্চিত্র ‘ভ্যাকসিন ওয়ার’-এর প্রচারে দেখা গেছে বিজেপির সাবেক ওই মুখপাত্রকে। কোভিডের সময় ভারতের ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে নির্মিত হয়েছে এ চলচ্চিত্রটি।

চলচ্চিত্রটির প্রচারে গিয়ে নূপুর শর্মা বলেন, ‘এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমি সে সকল বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা এ করোনা টিকা তৈরি করেছেন। কারণ এর জন্যই আমরা ভারতীয়রা আজ বেঁচে আছি।’

ভারতে ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে নূপুর শর্মা
বিবেক অগ্নিহোত্রীর সঙ্গে নূপুর শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

নূপুর শর্মা ও পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীকে একসঙ্গে দেখার পর থেকেই বেশ জোরেশোরে আলোচনা শুরু হয়েছে বলিউড ও ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে। দ্য কাশ্মীর ফাইলস চলচ্চিত্রটি দিয়ে এ পরিচালক আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন এবং একাধিক ইস্যুতে ধারাবাহিক বিতর্কিত মন্তব্য করতে থাকেন।

আরও পড়ুন: কে এই নূপুর শর্মা

দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এ বিবেক অগ্নিহোত্রি ‘সরাসরি বিজেপির ভাষায়’ কথা বলেছেন বলে ওই সময় মন্তব্য করেন বিজেপি বিরোধীরা। চলচ্চিত্রটিতে কাশ্মীরে অত্যাচারিত মুসলমানদেরকেই উল্টো অত্যাচারী হিসেবে দেখানো হয়।

ওই সময় বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মুসলমান জনগোষ্ঠী ছাড়াও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী মানুষ চলচ্চিত্রটিকে বয়কট করে। অন্যদিকে বিজেপি নেতারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের চলচ্চিত্রটি দেখার নির্দেশ দেন।

ভারতে ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে নূপুর শর্মা

আগামী বছর ভারতের জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে কাজ শুরু করেছে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো। কট্টর ধর্মীয় দল হিসেবে পরিচিত বিজেপির নির্বাচনের আগে ধর্মের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। তবে মনিপুর ইস্যু, মুদ্রাস্ফীতি, বিরোধীদের জোট ও সম্প্রতি কানাডায় শিখ নেতা নিজ্জর হত্যার ঘটনায় পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল হওয়ায় বেশ চাপে রয়েছে ক্ষমতাশীন বিজেপি। এমতাবস্থায় সামনের নির্বাচনের বৈতরণী উতরানোর জন্য বিজেপিপন্থী হিসেবে পরিচিত শিল্পীদের কাজে লাগাতে পারে তারা বলে ধারণা করছেন অনেকে।

২০২২ সালে মহানবীকে নিয়ে খুবই আপত্তিকর মন্তব্য করেন এই নূপুর শর্মা। সেই মন্তব্য ঘিরে ভারতে রীতিমতো দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়, বিশেষত আরব বিশ্বের প্রবল চাপে কট্টর দল হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত নূপুর শর্মাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হয় বিজেপি। এরপর থেকেই তাকে বাইরে দেখা যায়নি।

নূপুর শর্মার সঙ্গে এ পরিচালকের যুগলবন্দি বিজেপির নতুন কোনো রাজনৈতিক কৌশল কিনা- তাই এখন দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন:
নূপুর সমর্থকদের টার্গেটে বিচারকও
নূপুর সমর্থকদের ব্যক্তিগত আক্রমণে বিচারক
নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ
নূপুর শর্মাকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলল আদালত
নূপুর শর্মা ‘নিখোঁজ’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Padma hilsa has set the Kolkata market on fire

কলকাতার বাজারে আগুন ধরিয়েছে ‘পদ্মার ইলিশ’

কলকাতার বাজারে আগুন ধরিয়েছে ‘পদ্মার ইলিশ’ বাংলাদেশের ইলিশের প্রতি অন্যরকম আকর্ষণ অনুভব করেন পশ্চিমবঙ্গের জনগণ। ছবি: সংগৃহীত
সোমবার বাংলাদেশ থেকে ইলিশ যাওয়ার খবরে সাড়া পড়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে। অনেক গৃহকর্তা গিন্নিকে খুশি করতে ব্যাগ হাতে ছুটেছিলেন বাজারে। আশা ছিল, পদ্মার ইলিশ নিয়ে ঘরে ফিরে বউকে বড়মুখ করে বলবেন, ‘দেখ গিন্নি, কী এনেছি!’ কিন্তু সেই আশা তো পূরণ হয়নিই। বরং, গোমড়া মূখে বাজার থেকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে বেশিরভাগ ক্রেতাকে।

নিজেদের দেশের ইলিশ, নিজেরাই খেতে পারি না। সব বিদেশে চলে যায়। ঘাটে, আড়তে গিয়েও বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যায় না। যা-ও দুই একটা পাওয়া যায়, দাম শুনে ফিরে আসতে হয়। ঢাকায় বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া গেলেও তা কেনার সামর্থ্য নেই বেশিরভাগ মানুষের।

রপ্তানি সিন্ডিকেটের কাছে জেলেরাও অসহায়। আড়তদার বা ঘাট বাজারের বাইরে কারও কাছে ইলিশ বিক্রি করতে পারেন না তারা। এমনকি পরিবারের জন্য বাড়িতে ইলিশ নিয়ে যাওয়াটাও জেলেদের জন্য কষ্টসাধ্য।

ইলিশের প্রাপ্যতা ও দেশের জাতীয় মাছটির দাম নিয়ে এমন নানা অভিযোগ দেশবাসীর। দেশে আগুন দামে ইলিশ কিনতে হয়, অথচ আমাদেরই ইলিশ তুলনামূলক কম দামে উঠছে প্রতিবেশী দেশের মানুষের পাতে- এমন অভিযোগও বিস্তর। তবে এ বছর অন্তত কম দামে প্রতিবেশীরা ইলিশ খাওয়ার অভিযোগটা ধোপে টিকছে না। ইলিশের দামে পশ্চিমবঙ্গের ক্রেতাদেরও হাত পুড়ছে- এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে।

কলকাতার মাছ বাজারগুলোতে ইলিশের চড়া দাম নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, “মানিকতলা বাজারে পা রাখতেই মন ভাল হয়ে গেল গৃহস্থদের। মাছ বিক্রেতার ঝুড়ির দিকে তাকিয়ে মুখে হাসি ফুটল। বড় আকারের ইলিশগুলো দেখে মন ভাল হওয়ারই কথা। তাও আবার পদ্মার ইলিশ বলে কথা। বাড়িতে নিয়ে যেতে পারলে পাড়ায় গল্প করা যাবে- আজ পদ্মার ইলিশ দিয়ে ভাত খেলুম।

“এমন বিশ্বাস নিয়েই হাতিবাগানের এক বাসিন্দা বললেন- দেখার পর থেকেই ব্যাগে ভরে নিতে ইচ্ছে করছিল। তখন বিক্রেতাদের হাঁক কানে আসছিল। কেউ বলছেন- একদম রাজশাহী! আবার কেউ বলছেন- পদ্মা থেকে জ্যান্ত ধরে আনা।

“কিন্তু পদ্মার ইলিশের কাছে যেতেই দামটা উড়ে এল কানে। আর তা শুনেই মুখটা নিমেষে কালো হয়ে গেল গৃহকর্তার।”

কলকাতার বাজারে আগুন ধরিয়েছে ‘পদ্মার ইলিশ’

সোমবার বাংলাদেশ থেকে ইলিশ যাওয়ার খবরে সাড়া পড়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে। অনেক গৃহকর্তা গিন্নিকে খুশি করতে ব্যাগ হাতে ছুটেছিলেন বাজারে। আশা ছিল, পদ্মার ইলিশ নিয়ে ঘরে ফিরে বউকে বড়মুখ করে বলবেন, ‘দেখ গিন্নি, কী এনেছি!’

কিন্তু সেই আশা তো পূরণ হয়নিই। বরং, গোমড়া মূখে বাজার থেকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে বেশিরভাগ ক্রেতাকে। অন্তত হিন্দুস্তান টাইমসের ওই প্রতিবেদন থেকে তাই জানা যাচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, বাংলাদেশের ইলিশের দামের আঁচে হাতে ছ্যাঁকা খেয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। শুকনো মুখে পরে পুকুরে চাষ করা রুই-কাতলা নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাদের।

কলকাতায় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে বাংলাদেশের রুপালী ইলিশ। তার পরও বাংলাদেশ থেকে আরও ইলিশ চায় পশ্চিমবঙ্গের ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

এ ব্যাপারে অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, বাঙালির কাছে পদ্মার ইলিশ লোভনীয় খাবার। দুর্গাপুজার সময় যাতে নাগালের মধ্যে পর্যাপ্ত মাছ থাকে, আমরা সেই চেষ্টা করব।

আরও পড়ুন:
পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি
বরিশাল থেকে রাতেই ভারতের পথে ১৯ টন ইলিশ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Italian mafia boss Denaro has died

ইতালির ‘মাফিয়া বস’ দেনারো মারা গেছেন

ইতালির ‘মাফিয়া বস’ দেনারো মারা গেছেন মাত্তিও মেসিনা দেনারো
অসংখ্য খুন, অপহরণ, বোমা হামলার আসামি এই সংগঠিত অপরাধীচক্রের ‘বস’ নাকি একবার গর্ব করে বলেছিলেন, তার হাতে নিহতদের দিয়ে ‘একটা কবরস্থান ভরে ফেলা যাবে।’

৩০ বছর ধরে পালিয়ে থাকার পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ইতালির সেই মাফিয়া বস মাত্তিও মেসিনা দেনারো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

সেন্ট্রাল ইতালির ল আকিলার সান সালভাতোর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বরাতে সোমবার জানিয়েছে সিএনএন।

দেনারো দেখতে কেমন, সেই তথ্যই ছিল না পুলিশের হাতে। তবে শেষ পর্যন্ত গত জানুয়ারিতে ধরা পড়েন ইতালির মাফিয়া সংগঠন কোসা নস্ট্রার কথিত এই প্রধান।

অসংখ্য খুন, অপহরণ, বোমা হামলার আসামি এই সংগঠিত অপরাধীচক্রের ‘বস’ নাকি একবার গর্ব করে বলেছিলেন, তার হাতে নিহতদের দিয়ে ‘একটা কবরস্থান ভরে ফেলা যাবে।’

ইতালির কর্তৃপক্ষ কীভাবে সর্বোচ্চ স্তরের মাফিয়া সিন্ডিকেটগুলোকে ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে তার এক জীবন্ত প্রতীক ছিলেন এই মাত্তিও মেসিনা দেনারো।

তার অনুপস্থিতিতেই আদালতে বিচার হয়েছিল মেসিনার এবং ২০০২ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৯৩ সাল থেকে অনেক চেষ্টা করেও পুলিশ তাকে ধরতে পারছিল না।

সিসিলির একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর এখন বেরিয়ে আসতে থাকে, এতদিন সবার চোখ ফাকি দিয়ে পালিয়ে ছিলেন তিনি।

এই মাফিয়া বসকে যখন পালেরমো শহরের একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তিনি ভুয়া নাম-পরিচয়ে ওই ক্লিনিকে কেমোথেরাপি নিতে এসেছিলেন।

নিরাপত্তা বাহিনীর ১০০ জনেরও বেশি সশস্ত্র সদস্যের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং একটি গোপন স্থানে নিয়ে যায়।

মন্তব্য

p
উপরে