× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
India Pakistan silence on Rushdie issue
google_news print-icon

রুশদি ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানে নীরবতা

রুশদি-ইস্যুতে-ভারত-পাকিস্তানে-নীরবতা
ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক সালমান রুশদি। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে শুক্রবার সকালে সালমান রুশদি ছুরি হামলার শিকার হন। অস্ত্রোপচারের পর তার অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত রুশদির ওপর হামলা নিয়ে নীরবতা পালন করছেন ভারত ও পাকিস্তানের বিশিষ্টজনরা।

ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক সালমান রুশদির ওপর সন্ত্রাসী হামলায় গোটা বিশ্বের বুদ্ধিজীবী-লেখকরা যখন স্তম্ভিত, তখন প্রায় নিরুত্তাপ ভারতীয় উপমহাদেশ।

যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত রুশদির ওপর হামলা নিয়ে নীরবতা পালন করছেন পাকিস্তানের বিশিষ্টজনরা।

রুশদির জন্ম ভারতের মুম্বাইয়ে হলেও দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে শুক্রবার সকালে সালমান রুশদি ছুরি হামলার শিকার হন। অস্ত্রোপচারের পর তার অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে।

৭৫ বছর বয়সী রুশদি তার উপন্যাস দ্য স্যাটানিক ভার্সেসের জন্য হত্যার হুমকি মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন। বইটির বিরুদ্ধে মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অবমাননার অভিযোগ রয়েছে।

স্যাটানিক ভার্সেস লেখার জন্য ৩৩ বছর আগে ইরানের তৎকালীন প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি তার ও তার বইয়ের প্রকাশকদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। রুশদির ওপর শুক্রবার হামলার প্রশংসা করেছেন খামেনি।

গার্ডিয়ান লিখেছে, পাকিস্তানে ধর্মীয় অবমাননা খুব সংবেদনশীল ইস্যু। অনেক সময় এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণ না হলেও বড় ধরনের সহিংসতা ঘটে।

পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসির ২০১১ সালে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে তার নিরাপত্তারক্ষীর হাতে নিহত হন। তাসির ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি আসিয়া বিবি নামে একজন খ্রিস্টান নারীকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

একজন মুসলিম নারীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আসিয়া আঘাত করেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশদির ওপর হামলার প্রতিবাদ করলে বা এ ইস্যুতে কথা বললে পাকিস্তানে হত্যার হুমকির আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বলছেন না।

পাকিস্তানের লেখক ও ঔপন্যাসিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছে গার্ডিয়ান, তবে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।

অলাভজনক সংবাদ সংস্থা রাইজ নিউজের প্রতিষ্ঠাতা ভ্যানগাস একটি টুইটে লিখেছেন, ‘কেউ কেউ এখনও সালমান রুশদির উপর টুইট করবেন কিনা তা নিয়ে ভাবছেন। আপনি নিজেকে একজন লেখক, সাংবাদিক এবং কর্মী বলছেন, অথচ সহিংসতার নিন্দা করার সাহস আপনার নেই। আপনার নীরবতাই সবকিছু বলে দিচ্ছে। আপনি যেই হোন না কেন বিবেকবান হলে আপনি সহিংসতাকে কখনও উৎসাহ জোগাবেন না।’

সিরিল আলমেদা নামের একজন সাংবাদিক বলেছেন, ‘ইরানি ফতোয়ার ধোঁয়াশার মধ্যে অনেকেই ভুলে গেছেন, রুশদির বিরুদ্ধে প্রথম বিক্ষোভগুলোর কিছু হয়েছিল পাকিস্তানে। তবে সালমান তাসিরের হত্যাকাণ্ড সেই বিষয়টিকে বহুগুণে ছাড়িয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আসিয়া বিবির ঘটনা ধর্মান্ধতার একটি ঢেউ তুলেছে। এটি সমাজকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, আজ (পাকিস্তানের) ভোটের বিচারে সবচেয়ে বড় দলগুলোর মধ্যে একটি দল ব্লাসফেমি আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের এজেন্ডা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অল্পসংখ্যক কর্মী বা লেখক কথা বলার সাহস রাখেন।’

রুশদির ওপর হামলা নিয়ে পাকিস্তানের মতোই নীরব ভারত। ভারতই প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৮৮ সালে দ্য স্যাটানিক ভার্সেস নিষিদ্ধ করে।

রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় ভারত সরকার বা দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি।

স্যাটানিক ভার্সেস বইটি বের হওয়ার সময় কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। তারা দ্রুত বইটি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন নটবর সিং। রুশদির ওপর হামলার পর শনিবার তিনি বইটির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কারণে সে সময় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।’

নটবর সিং ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, “তখনকার প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বইটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আমার মতামত জানতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, ‘সারা জীবন আমি বই নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করে এসেছি। তবে যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কথা আসে, তখন রুশদির মতো একজন মহান লেখকের বইও নিষিদ্ধ করা উচিৎ।”

রাজীব গান্ধী সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে নটবর সিং বলেন, ‘পুরো মুসলিম বিশ্ব তখন জ্বলে উঠছিল। আমাদের বিপুল সংখ্যক মুসলিম নাগরিক রয়েছে। তা ছাড়া এই সময়ে বইটিতে যা আছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। রক্ষণশীল মুসলিম গোষ্ঠী এবং আলেমরা বইটি না পড়া সত্ত্বেও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তারা বই নিষিদ্ধের দাবিতে রাস্তায় প্রতিবাদের অংশ হিসাবে কপিগুলো পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।’

বর্তমান ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি সে সময় ওই সিদ্ধান্তের কারণে রাজীব গান্ধীকে অভিযুক্ত করেছিল। দলটি বলেছিল, মত প্রকাশের স্বাধীনতার তোয়াক্কা না করে মুসলিম ভোটের জন্য কংগ্রেস সরকার বইটি নিষিদ্ধ করেছে।

রুশদি ক্ষুব্ধ হয়ে রাজীব গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন।

কয়েক দশক পরে এখন ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। সে সময় প্রতিবাদ করলেও এই সময়ে এসে বিজেপি সরকার রুশদির ওপর হামলা নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

কিছু রক্ষণশীল মুসলিম গোষ্ঠীও রুশদির উপর হামলার বিষয়ে বিবৃতি না দেয়াকে বেছে নিয়েছে। বিজেপি সহিংস কর্মকাণ্ডকে সমর্থনের অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কায় গোষ্ঠীগুলো চুপ থাকছে।

রুশদি ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ উপন্যাস দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। শুধু যুক্তরাজ্যেই বইটির ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল।

১৯৮৮ সালে দ্য স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাস লেখার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছিলেন এই লেখক।

দ্য স্যাটানিক ভার্সেস রুশদির চতুর্থ উপন্যাস। এই বই লেখার কারণে রুশদিকে ৯ বছর আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল।

দ্য স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশের পর সহিংসতায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন, যার উপন্যাসটির জাপানি ভাষায় অনুবাদকও রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
কথা বলতে পারছেন রুশদি
রুশদির হামলাকারীর নামে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
রুশদির হামলাকারী হাদি ছিলেন ‘ধর্মপ্রাণ’, শিখছিলেন বক্সিং
রুশদির ওপর হামলার প্রশংসায় আয়াতুল্লাহ খামেনি
রুশদির ওপর হামলায় স্তম্ভিত তসলিমা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The wealth of the richest candidate in Indias second phase election is Rs 622 crore

ভারতে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন: শীর্ষ ধনী প্রার্থীর ৬২২ কোটি রুপির সম্পদ

ভারতে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন: শীর্ষ ধনী প্রার্থীর ৬২২ কোটি রুপির সম্পদ ভেঙ্কটরমন গৌড়া। ছবি: এনডিটিভি
লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে কম সম্পদ নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন নাগোরাও পাটিল। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার সম্পদ রয়েছে ৫০০ রুপি এবং কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই।

ভারতের ১৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে ভারতের ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল।

দ্বিতীয় দফার ভোটে সবচেয়ে বেশি ও সবচেয়ে কম সম্পদ নিয়ে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের তথ্য দিয়ে শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হলেন কর্নাটকের কংগ্রেস প্রার্থী ভেঙ্কটরমন গৌড়া। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা অনুযায়ী, ৬২২ কোটি রুপি সমমূল্যের সম্পদ রয়েছে তার। তিনি এ নির্বাচনে এইচডি কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন।

দ্বিতীয় ধনী প্রার্থী হলেন কংগ্রেসের ডিকে সুরেশ। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৯৩ কোটি রুপি। ডিকে সুরেশ বেঙ্গালুরু গ্রামীণ আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন।

তৃতীয় ধনী প্রার্থী হলেন বিজেপি নেত্রী এবং অভিনেত্রী হেমা মালিনী। তিনি মথুরা লোকসভা আসন থেকে লড়ছেন। তার সম্পদের পরিমাণ ২৭৮ কোটি রুপি। মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় শর্মা চতুর্থ ধনী প্রার্থী, তার সম্পদের পরিমাণ ২৩২ কোটি রুপি।

সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে কম যাদের

লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে কম সম্পদ নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন নাগোরাও পাটিল। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার সম্পদ রয়েছে ৫০০ রুপি এবং তার কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই।

এরপরেই আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজেশ্বরী কেআর। তিনি কেরালার কাসারাগড় আসন থেকে লড়ছেন। তার সম্পদের পরিমাণ ১০০০ রুপি।

২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লোকসভায় ৩৫৩টি আসন পায় এনডিএ, যেখানে বিজেপির একক আসনের সংখ্যা ৩০৩টি।

ভারতে এবার ১৮তম লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে, যার ব্যাপ্তিকাল ৪৪ দিন। দেশটিতে মোট সাত দফায় এ ভোট হবে। লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট ১ জুন।

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ ৫ জুন
উপজেলা ভোটে প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
ভোটের মাঠে উপজেলা প্রতি থাকছে ২-৪ প্লাটুন বিজিবি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
We are ashamed to see the progress of Bangladesh Pakistan PM

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত
শাহবাজ শরিফ বলেন, “যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়।

দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

তিনি বলেছেন, “যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমি লজ্জিত হই। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনও অনেক পিছিয়ে আছে।”

সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে, কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গত বুধবার সিন্ধ সিএম হাউসে একটি মতবিনিময় সভা করেন শাহবাজ শরিফ।

সে সভায় মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শাহবাজ শরিফ বলেন, “আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম...তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।”

এদিকে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গেও ব্যবসাবিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সঙ্কটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

এ ছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার’ জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শাহবাজ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Russia vetoes proposal to ban nuclear weapons in space

মহাকাশে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো

মহাকাশে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বুধবার ভোটাভুটির পর তার বক্তব্যে রাশিয়ার উদ্দেশে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘কেন? আপনি যদি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে কেন এমন একটি প্রস্তাব সমর্থন করবেন না? আপনি কী লুকাতে পারেন? এটা বিস্ময়কর এবং এটি লজ্জাজনক।’

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অপরদিকে রাশিয়া ও চীনের উত্থাপিত সংশোধনী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে পরিষদ।

মস্কো স্যাটেলাইট ধ্বংস করতে সক্ষম এমন একটি পারমাণবিক ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সমর্থিত উদ্বেগের মধ্যে বুধবার এমন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।

রাশিয়ার অ্যাম্বাসেডর ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জাতিসংঘের খসড়াটিকে একটি ‘নোংরা প্রদর্শনী’ এবং প্রস্তাবের সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তৈরি করা ‘খামখেয়ালি চাল’ বলে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ফেব্রুয়ারিতে নিশ্চিত করে বলেন, রাশিয়া স্যাটেলাইট বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন করছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্র পরে সিএনএনকে জানায়, এই অস্ত্র বিস্ফোরিত হয়ে ব্যাপক শক্তির তরঙ্গ তৈরি করে স্যাটেলাইটকে ধ্বংস করতে পারে।

জাতিসংঘে ভোটাভুটির আগে যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, ওই প্রস্তাবে ভেটো দিলে বুঝতে হবে রাশিয়া কিছু গোপন করার চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বুধবার ভোটাভুটির পর তার বক্তব্যে এসব দাবির প্রতিধ্বনি করেন।

প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘কেন? আপনি যদি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে কেন এমন একটি প্রস্তাব সমর্থন করবেন না? আপনি কী লুকাতে পারেন? এটা বিস্ময়কর এবং এটি লজ্জাজনক।’

ভোটাভুটির সময় চীনের অনুপস্থিতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বেইজিং দেখিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী বিস্তার রোধ ব্যবস্থাকে রক্ষা করার পরিবর্তে তারা বরং রাশিয়াকে তাদের অংশীদার হিসেবে রক্ষা করবে।’

থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘বুধবারের ভোটে অনুপস্থিতি বিদ্যমান অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বাধ্যবাধকতার ওপর অতিপ্রয়োজনীয় আস্থা পুনর্নির্মাণের একটি সত্যিকারের সুযোগ হারানো।’

যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের খসড়া প্রস্তাব ৬০টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে আন্তঃআঞ্চলিক সমর্থন পেয়েছে।

জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপনের জন্য পরিকল্পিত পারমাণবিক অস্ত্র বা গণবিধ্বংসী অন্যান্য অস্ত্র তৈরি না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Free beer in India to attract polling booths
ভারতের লোকসভা নির্বাচন

ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’

ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’ প্রতীকী ছবি
ভোটারদের ভোটের মাঠে আকৃষ্ট করতে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে ব্যাঙ্গালুরুর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ভোট দেয়ার পুরস্কার হিসেবে সেখানে হোটেল, ট্যাক্সি পরিষেবা এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রণোদনা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। দেশের নাগরিকদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি।

দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে নাগরিকদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে অনেক কোম্পানি বিনামূল্যে খাবার থেকে শুরু করে ফ্রিতে ট্যাক্সি পর্যন্ত অফার করেছে।

প্রতিবারই কম ভোটার উপস্থিতির জন্য খবরের শিরোনাম হয় কর্ণাটক রাজ্যের শহর বেঙ্গালুরু। তাই ভোটারদের ভোটের মাঠে আকৃষ্ট করতে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ভোট দেয়ার পুরস্কার হিসেবে সেখানে হোটেল, ট্যাক্সি পরিষেবা এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রণোদনা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এসব সুবিধার মধ্যে ফ্রি বিয়ার, বিনামূল্যে ট্যাক্সি রাইড এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মতো সুবিধাকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করছে বিবিসি।

এছাড়া আঙুলে ভোটের কালি দেখাতে পারলে অনেক হোটেল ক্রেতাদের বিনামূল্যে খাবার খাওয়াবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।

বুধবার নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন না করার শর্তে স্থানীয় হোটেল মালিক সমিতিকে ফ্রিতে বা বিশেষ ছাড়ে খাবার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

এ বিষয়ে ব্যাঙ্গালুরুর হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি পিসি রাও ডেইলি মিররকে বলেন, ‘ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে হোটেলগুলো বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে। কেউ কেউ বিনামূল্যে কফি, ডোসা দেবে। আবার কেউ কেউ গরমে ভোটারদের জুস খাওয়াবে। কিছু হোটেল তো খাবারের ওপর বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।’

ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটক রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে দক্ষিণ ব্যাঙ্গালুরুতে। সেবার ওই নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারদের ৫৩.৭ শতাংশ নাগরিক ভোট দিয়েছিলেন।

ব্যাঙ্গালুরুর জনপ্রিয় পার্ক ‘ওয়ান্ডারলা’ ভোটারদের জন্য টিকিটে বিশেষ মূল্যছাড় দিয়েছে। অন্যদিকে ভোট দিয়ে আসা প্রথম পঞ্চাশ জন ক্রেতাকে বিনামূল্যে বিয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ‘ডেক অফ ব্রুস’ নামের একটি পানশালা।

স্থানীয় রাইড শেয়ার অ্যাপ ‘ব্লু-স্মার্ট’ ভোটকেন্দ্রের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোটারদের রাইডে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। এছাড়া ‘র‌্যাপিডো’ নামের ট্যাক্সি শেয়ারিং কোম্পানি ভোটারদের বিনামূল্যে রাইড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

মিস্টার ফিলি’স নামের একটি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ প্রথম ১০০ জন ভোটারকে বার্গার ও মিল্কশেকের ওপর ৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘এটি আসলে নাগরিকদের ভোটের গুরুত্ব বোঝানো এবং আমাদের গণতন্ত্র উদযাপনের উপায়।’

তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এই উদ্যোগটি ব্যাঙ্গালুরুর নাগরিকদের মধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও পরিবর্তন আনতে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।’

উল্লেখ্য, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম দফা নির্বাচনে সব রাজ্যে গড়ে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হবে।

এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে সাত ধাপে, চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হবে আগামী ১ জুন এবং ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Iran and Russia agree to strengthen security cooperation

নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারে ইরান-রাশিয়া সমঝোতা

নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারে ইরান-রাশিয়া সমঝোতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: এপি
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এসএনএসসি) সচিব আলি আকবর আহমেদিয়ান ও তার রাশিয়ার সমকক্ষ নিকোলাই পাত্রুশেভ এমওইউতে সই করেন।

নিরাপত্তা খাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে একটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেছে রাশিয়া ও ইরান।

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বুধবার নিরাপত্তা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের আন্তর্জাতিক বৈঠকের ফাঁকে এমওইউটি সই করে দুই দেশ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এসএনএসসি) সচিব আলি আকবর আহমেদিয়ান ও তার রাশিয়ার সমকক্ষ নিকোলাই পাত্রুশেভ এমওইউতে সই করেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, কৌশলগত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করবে তেহরান ও মস্কো।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক গভীরতর করেছে ঘনিষ্ঠ ও কৌশলগত দুই মিত্র ইরান ও রাশিয়া।

সেন্ট পিটার্সবার্গে গত ২৩ এপ্রিল থেকে নিরাপত্তা বিষয়ে ১২তম আন্তর্জাতিক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠক শুরু হয়, যা শেষ হবে ২৫ এপ্রিল। এতে অংশ নেন ১০৬টি দেশের প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে দেয়া ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগ্রহী যেকোনো অংশীদারের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতায় প্রস্তুত মস্কো।

আরও পড়ুন:
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না
ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত
ইরানের তেল বাণিজ্যে লাগাম টানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The US is secretly sending long range missiles to Ukraine

গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস পরীক্ষা। ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস সরবরাহ করেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।’

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে ইউক্রেন, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র গোপনে সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

বিবিসি বৃহস্পতিবার জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনুমোদিত ৩০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অংশ। চলতি বছরের মার্চে সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়। এপ্রিলে অস্ত্রগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য অন্তত একবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ছয় হাজার ১০০ কোটি ডলার সহায়তার প্যাকেজে সই করেছেন বাইডেন।

ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে বিভিন্ন সময়ে ওয়াশিংটনকে তাগিদ দিয়ে আসছিল কিয়েভ, তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এর আগে ইউক্রেনকে মধ্যমপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমস তথা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেয়া হয়েছিল।

ইউরোপের দেশটিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিতে রাজি হচ্ছিল না বৈশ্বিক পরাশক্তিটি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিতে বাইডেন ফেব্রুয়ারিতে সবুজ সংকেত দেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস সরবরাহ করেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।’

আরও পড়ুন:
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Mass graves found in two Gaza hospitals

গাজার দুই হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান

গাজার দুই হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘গাজা শহরের আল শিফা মেডিক্যাল সেন্টার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল ধ্বংস এবং ইসরায়েলিরা চলে যাওয়ার পর ওইসব স্থাপনার আশপাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবরে আমি আতঙ্কিত।’

ইসরায়েলি সৈন্যরা অভিযান চালিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা গাজার দুটি প্রধান হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। সেসব গণকবরের স্পষ্ট, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বস্ত তদন্তকারীদের অবশ্যই স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। গাজার প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য আরও সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘গাজা শহরের আল শিফা মেডিক্যাল সেন্টার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল ধ্বংস এবং ইসরায়েলিরা চলে যাওয়ার পর ওইসব স্থাপনার আশপাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবরে আমি আতঙ্কিত।’

এই হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দায়মুক্তির বিদ্যমান পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এতে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’

ভলকার তুর্ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে হাসপাতালগুলো বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী। আর যুদ্ধে অংশ নিতে অক্ষম এমন বেসামরিক নাগরিক, বন্দি ও অন্যদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা যুদ্ধাপরাধ।’

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল হাসপাতালগুলোতে গণকবরের খবরকে অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইসরায়েলি সরকারের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন।

আরও পড়ুন:
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার
ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের
ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে

মন্তব্য

p
উপরে