কলম্বিয়ার এক সময়ের বামপন্থী গেরিলা নেতা গুস্তাভো পেত্রো দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেত্রোর শপথের মধ্যে দিয়ে প্রথম কোনো বামপন্থী নেতা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন।
সশস্ত্র বামপন্থী গোষ্ঠী এম-নাইন্টিনের সাবেক এই সদস্য দেশটির রাজধানী বোগোতার বলিভার প্লাজায় রোববার বিকেলে শপথ নিয়েছেন এবং শপথ অনুষ্ঠানে তিনি বৈচিত্রের এই দেশটিতে বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ, বিদ্রোহী ও অপরাধী গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
এর আগে গত ১৯ জুন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন গুস্তাভো পেত্রো।
৬২ বছর বয়সী এই সিনেটর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রোদোলফো হার্নান্দেজও তার জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
নির্বাচনে পেত্রোর বিজয়ের পর হার্নান্দেজ বলেছিলেন, ‘কলম্বিয়ার নাগরিকরা আমাকে ছাড়া অন্য একজনকে বেছে নিয়েছেন, তবুও আমি ফল মেনে নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, গুস্তাভো পেত্রো ভালো জানেন কীভাবে দেশ পরিচালনা করতে হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার আপসহীন সংগ্রাম সম্পর্কে আমার বিশ্বাস রয়েছে।’
পেত্রোর রানিংমেট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ যিনি একজন ‘সিঙ্গেল’ মা এবং সাবেক গৃহকর্মী, তিনি দেশটির প্রথম আফ্রিকান বংশোদ্ভূত নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কুকুর আবারও কামড়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে। এবার যে কুকুরটি এক কর্মীকে কামড়েছে, সেই কুকুরটি এর মধ্যদিয়ে এমন ঘটনা ঘটাল ১১তম বার।
সর্বশেষ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেটে সার্ভিস এজেন্টের কর্মীকে বাইডেনের দুই বছর বয়সী জার্মান শেফার্ড কমান্ডার কামড়ে দিয়েছে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সির প্রধান অ্যান্টনি গুগলিয়েলমি মঙ্গলবার বিবৃতিতে বলেছেন, রাত 8টার দিকে একজন সিক্রেট সার্ভিস ইউনিফর্মড ডিভিশনের পুলিশ অফিসারকে কামড় দিয়েছে কমান্ডার। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত ওই কর্মীর অবস্থা এখন ভালো বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, কমান্ডার হোয়াইট হাউসে এবং ডেলাওয়্যারে কমপক্ষে ১১টি কামড়ের ঘটনায় জড়িত। ২০২২ সালের নভেম্বরের এক ঘটনায় এই কুকুরের কামড়ে আহত একজন কর্মকর্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
গত জুলাইয়ে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বাইডেন পরিবারের পোষা প্রাণীদের জন্য নতুন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে বাইডেন পরিবারের আরেক জার্মান শেফার্ড মেজরও হোয়াইট হাউসে কামড়ে দিয়েছিল বেশ কয়েকজনকে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ডেলাওয়্যারে তার পৈতৃক বাড়িতে ছিল এই মেজর। সময়ের পরিক্রমায় বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিন বছর বয়সী কুকুরটিকে নিয়ে আসেন হোয়াইট হাউজে।
১৮ একরের এই কমপ্লেক্সে এসে বিচরণের বিশাল জায়গা পায় মেজর ও কমান্ডার। কিন্তু নতুন পরিবেশকে আপন করে নিতে পারেনি এই দুই প্রাণী। এর প্রমাণ মিলছে হোয়াইট হাউজের কর্মীদের কামড়ে দেয়ার ঘটনায়।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে করা জালিয়াতির মামলায় ব্যবসা ও ব্যাংক সংক্রান্ত প্রতারণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করা হয়েছে।
আল জাজিরার মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার সময় বছরের পর বছর ধরে জালিয়াতি করেছেন ট্রাম্প।
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল জেমসের করা ওই মামলার রায় দেন বিচারক আর্থার এনগোরন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, প্রেসিডেন্ট ও তার কোম্পানি ব্যাংক, বিমাকারী ও অন্যান্যদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। অর্থায়ন নিশ্চিত করতে ট্রাম্প তার সম্পদ ও নেট মূল্যকে কাগজপত্রে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করেছেন।
এনগোরন জানান, শাস্তি হিসেবে ট্রাম্পের কিছু ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এ ছাড়াও ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে।
ট্রাম্পের কোনো মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে রায়ের বিষয়ে মন্তব্য জানাননি, তবে ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে বলে আসছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি।
এনগোরন আরও জানান, ট্রাম্প নিজের সম্পদকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছেন। তার কোম্পানি ও প্রধান নির্বাহীরা বারবার বার্ষিক আর্থিক বিবৃতিতে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ট্রম্পের এসব কর্মকাণ্ড সীমা অতিক্রম ও আইন লঙ্ঘন করেছে।’
চলতি বছর ২ অক্টোবর থেকে একটি নন-জুরি ট্রায়াল শুরু করা হবে, যা ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে বলে জানান এনগোরন।
এর আগে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বিচারককে মামলাটি বাতিল করতে বলেছিলেন। তাদের দাবি, জেমসকে আইনি মামলা করার অনুমতি দেয়া হয়নি। কারণ ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে জনগণের ক্ষতি হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
জেমস একজন ডেমোক্র্যাট। তিনি এক বছর আগে ট্রাম্প ও ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের নামে মামলা করেন।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের জুনে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিখ নেতা নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতের নয়াদিল্লির যোগসূত্র থাকতে পারে, এমন তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর কনাডায় শিখ বংশোদ্ভূতরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু করেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক সপ্তাহ আগে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জানান, কানাডার কাছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।
এ ঘটনার জেরেই কানাডার টরন্টোতে সোমবার প্রায় ১০০ বিক্ষোভকারী একটি ভারতীয় পতাকা পোড়ান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি কার্ডবোর্ডের প্রতিকৃতিতে জুতা দিয়ে আঘাত করেন। পরে ওই সময় প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারী ভ্যাঙ্কুভার কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হন।
অন্যদিকে অটোয়ায় রাজধানীর ভারতীয় হাইকমিশনারের (দূতাবাস) সামনে ১০০ জনেরও কম লোক জড়ো হন। তারা ওই সময় ‘খালিস্তান’ চিহ্নিত হলুদ পতাকা উড়ান, যা ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলকে শিখদের জন্য একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত করার জন্য তাদের সমর্থনকে নির্দেশ করে।
অটোয়ায় বিক্ষোভকারী রেশমা সিং বলিনাস বলেন, ‘আমরা জাস্টিন ট্রুডোর কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে নিরপরাধ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে কানাডার উচিৎ ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা’
কানাডায় প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার শিখ বসবাস করেন। তাদের নিজ রাজ্য পাঞ্জাবের বাইরে অন্যকোনো অঞ্চলে বসবাস করা এটাই শিখদের সর্বোচ্চ জনসংখ্যা।
এদিকে শিখ নেতা নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের।
আরও পড়ুন:গুয়াতেমালায় ভারি বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে ও নদীর স্রোতে বাড়িঘর ভেসে যাওয়ায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন প্রায় ১২জন।
গুয়াতেমালার ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন ফর ডিজাস্টার রিডাকশন এজেন্সির (কনরেড) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার নারাঞ্জো নদীর পানিতে গুয়াতেমালা শহরের একটি সেতুর নিচে থাকা কমপক্ষে ছয়টি বাড়ি ভেসে যায়।
আল জাজিরার মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা কুকুর ও উদ্ধারকারী দলগুলো ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশু রয়েছে। তাকে আংশিকভাবে কাদায় চাপা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এখনও নিখোঁজ ১২জনের মধ্যে ধারণা করা হচ্ছে আটজন শিশু ছিল।
বাসিন্দারা জানান, ভারি বৃষ্টির কারণে নদী সমতল বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূমিধস হয়েছে। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এ জাগায় বসবাস করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।
ইসাউ গোঞ্জালেজ নামের এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘নদীর পানিতে বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। জিনিসপত্র ভেসে গেছে ও মানুষজন নিখোঁজ হয়েছে।’
গুয়াতেমালায় বর্ষা মৌসুম চলে মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চলতি বছর সেখানে ভূমিধসে ইতোমধ্যেই অন্তত ২৯ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার আর্মি টেকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম তথা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন কবে নাগাদ ক্ষেপণাস্ত্রটি পাবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি প্রতিবেদনে।
রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে শত্রুপক্ষের বিমানঘাঁটি, রেলপথ ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবারহের পথগুলোতে শক্তিশালী হামলা চালাতে পারে, এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র অনেকদিন ধরেই বাইডেন প্রশাসনের কাছে চেয়ে আসছে ইউক্রেন।
যদিও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফরকালেও সরাসরি এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করতে দেখা যায়নি দুই দেশের নীতিনির্ধারকদের।
জেলেনস্কির সফরকালে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। গেন্টাগনের এ বিষয়ে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেয়া হতে পারে এ রকম গুঞ্জনের পর চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে যুদ্ধের সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘন হিসেবে জানায়।
রাশিয়া আরও জানায়, এমনটি হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে বলে মনে করবে তারা।
ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনবিসিকে সরাসরি কিছু না বললেও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টও কয়েক দিন আগে করা তাদের এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দেয়া হতে পারে বলে জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আলোচনা হওয়া ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পর্কে জানা যায়, এটি ৩৬০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে যেকোন স্থাপনায় গভীর ও শক্তিশালী আঘাত হানতে পারে।
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে নয়াদিল্লির এজেন্টদের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার তদন্তে ভারত সরকার কানাডার সঙ্গে কাজ করবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার কাছে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। এ ঘটনার পর নয়াদিল্লি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো যে অভিযোগগুলো তুলেছেন, সেগুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ তদন্তে কানাডার সঙ্গে ভারতের কাজ করা জরুরি। আমরা জবাবদিহি দেখতে চাই।’
এ বিষয়ে ট্রুডো বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে চাই। আশা করি তারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবে, যাতে আমরা তদন্তের গভীরে যেতে পারি।’
বিবিসির বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ট্রুডো ভারতের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘কানাডার মাটিতে কানাডীয় নাগরিক শিখ নেতা নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় সরকারের এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।’
কানাডার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী প্রমাণ সংগ্রহ করেছে, সে সম্পর্কে ট্রুডো কোনো তথ্য দেননি, তবে কানাডার সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যের ওপর আস্থা না থাকলে ট্রুডো প্রকাশ্যে কথা বলতেন না।
শিখ নেতা নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ঘিরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কানাডা খালিস্তানপন্থি আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে তাদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ ভারতের।
ভারত গত বুধবার বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং দুষ্কৃতি নেটওয়ার্কে ৪৩ জন জড়িত বলে তাদের তালিকা কানাডা সরকারকে পাঠিয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা অনেকেই কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:চীনকে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অস্তিত্বের জন্য ‘হুমকি’ উল্লেখ করে ভারতীয়-আমেরিকান রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিকি হ্যালি দাবি করেছেন, বেইজিং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে শুক্রবার তিনি এ কথা বলেন।
হ্যালিকে উদ্ধৃত করে শনিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন আমেরিকাকে পরাজিত করার জন্য অর্ধশতাব্দী পার করেছে। কিছু ক্ষেত্রে চীনা সামরিক বাহিনী এরই মধ্যে আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর সমকক্ষ হয়ে গেছে।
রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকা বিবেক রামাস্বামী ওহাইওতে চীন সম্পর্কে বৈদেশিক নীতি নিয়ে আলোচনার দুই দিন পর উল্লিখিত কথা বলেন হ্যালি।
সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পর হ্যালি ও রামাস্বামী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।
নিকি হ্যালির অভিযোগ, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাজগুলো বাগিয়ে নিচ্ছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসংক্রান্ত গোপনীয়তাগুলোও নিয়ে গেছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি। বর্তমানে দেশটি ওষুধ থেকে শুরু করে উন্নত প্রযুক্তি শিল্পের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, অল্প সময়ের মধ্যে চীন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ থেকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে চলে গেছে।
হ্যালি বলেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টির উদ্দেশ্য স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিতে তারা অত্যাধুনিক বিশাল সামরিক বাহিনী গড়ে তুলছে, যা এশিয়া ও তার বাইরেও আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য