× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Why didnt Pelosi fire China in Taiwan?
google_news print-icon

কী কারণে পেলোসি তাইওয়ানে, চীনের জ্বলুনি কেন

কী-কারণে-পেলোসি-তাইওয়ানে-চীনের-জ্বলুনি-কেন
তাইপেতে প্রেসিডেন্ট ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ছবি: রয়টার্স
স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ নয় তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দেখে চীন। তবে বিদেশি কোনো দেশের কর্মকর্তার তাইওয়ান সফরকে দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতির অংশ মনে করে বেইজিং।

স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে সফরকারী যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এমন পরিস্থিতিতে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে তাইওয়ানকে নিজের অঞ্চল হিসেবে দাবি করা চীন।

বেইজিংয়ের কঠোর প্রতিক্রিয়া ও হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে স্বশাসিত দ্বীপটিতে মঙ্গলবার পূর্বঘোষিত সফর শুরু করে দিয়েছেন ন্যান্সি পেলোসি। এরই মধ্যে তিনি দেখা করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ও দ্বীপটির পার্লামেন্টের স্পিকারের সঙ্গে।

পেলোসির সফর পরিকল্পনা ঘোষণার পরপরই কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে দেয় বেইজিং।

চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা কেন বাড়ল

স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ নয় তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দেখে চীন। তবে বিদেশি কোনো দেশের কর্মকর্তার তাইওয়ান সফরকে দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতির অংশ মনে করে বেইজিং।

এর ফলেই পেলোসির তাইওয়ান সফরে নড়েচড়ে বসেছে চীন। দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক হুমকি। এরই মধ্যে সামরিক অভিযানের ঘোষণাও দিয়ে দিয়েছে চীন।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন ‘এক-চীন নীতি’তে বিশ্বাসী, যেখানে চীন এককভাবে স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃত আর তাইওয়ান হচ্ছে চীনের একটি অঞ্চল। তবে স্বশাসিত অঞ্চলটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের অঘোষিত সম্পর্ক ও সামরিক বন্ধন অব্যাহত থাকবে।

অন্যদিকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের উদ্দেশ হচ্ছে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের আদর্শিক বাধ্যবাধকতার অংশ। গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের পক্ষে সহযোগিতা ও সমর্থন দেখিয়ে একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতীক চীনকে পরোক্ষভাবে হুঁশিয়ারি দেয়া।

পেলোসি কেন তাইওয়ানে

ন্যান্সি পেলোসি কয়েক দশক ধরে গণতন্ত্র উদ্ধারে জড়িত আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছেন। তার এই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অংশ হিসেবে ১৯৯১ সালে চীনের তিয়ানমেন স্কয়ারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পেলোসিসহ কয়েকজন আইনপ্রণেতা একটি ব্যানারে গণতন্ত্রের মুক্তির পক্ষে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা দেন। সেই সময় চীনের নিরাপত্তা বাহিনীর রোষে পড়েছিলেন তারা।

দুই বছর আগে, ১৯৮৯ সালে সেই তিয়ানমেন স্কয়ারে একটি গণতান্ত্রিক মুক্তির আন্দোলন সামরিক বাহিনী দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় বেইজিং সরকার।

সাবেক এই আইনপ্রণেতা এমন একটি সময় তার সফর পরিকল্পনা করেছেন যখন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজারো মানুষ গণতন্ত্র মুক্তি নাকি স্বৈরতন্ত্রের পতাকাতলে রয়ে যাবেন বলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন।

তার নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফর করে। সফরে পরাশক্তি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ যুদ্ধ ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের প্রতি সমর্থনও জানান তারা।

পেলোসির তাইওয়ান সফরকে দেখা হচ্ছে গণতন্ত্র প্রসারের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানানোর প্রক্রিয়া হিসেবে।

তাইওয়ান সফরের আগে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয় পেলোসির একটি মতামত। ‘তাইওয়ানের পাশে অবশ্যই দাঁড়াতে হবে’ শীর্ষক এই মতামতটিতে বলা হয়, ১৯৭৯ সালের আইন অনুযায়ী তাইওয়ানের পক্ষে থাকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘আমেরিকা ও আমাদের মিত্রদের সুস্পষ্ট বার্তা দেয়া উচিত যেকোনো স্বৈরশাসকের পথ রুখে দেয়ার শক্তি রয়েছে আমাদের।’

তবে সেই মতামতে পেলোসি স্বৈরশাসক হিসেবে সরাসরি চীনের নাম উল্লেখ করেননি।

চীন-তাইওয়ান সংকটের শুরু

১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যায় তাইওয়ান। চীন এই দ্বীপটিকে তার অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিলেও সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে তা পুরোপুরি দখলে নেয়নি। তখন থেকেই তাইওয়ান স্বশাসিত দ্বীপ হিসেবে পরিচিতি পায়।

সাম্প্রতিক সময়ে চীন আরও বেশি কূটনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়িয়েছে তাইওয়ানের ওপর। তাইওয়ান চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্রিত হয়ে বৃহত্তম ও একক চীন গঠন করবে, বেইজিংয়ের এমন প্রস্তাব ২০১৬ সালে নাকচ করে দেন স্বশাসিত দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট জাই ইং-ওয়েন। এর পরই তাইওয়ানের প্রতি ফের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে পারমাণবিক শক্তিধর ও বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন।

তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

জো বাইডেন প্রশাসন ও ন্যান্সি পেলোসি জানিয়ে দিয়েছেন ‘এক-চীন নীতি’তে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

চীন মনে করছে, আমেরিকার রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্বের তাইওয়ান সফর উসকে দিতে পারে স্বশাসিত দ্বীপটির স্বাধীন হবার স্বপ্নকে। দীর্ঘদিনের অস্থায়ী ও কার্যত স্বাধীন সত্তাটি পরিবর্তিত হয়ে বেইজিংয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন দেশের মর্যাদা।

চীনের প্রতিক্রিয়া

এবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থানে সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান পরিচালনা করবে বেইজিং।

আরও পড়ুন:
অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের পাশে উত্তর কোরিয়া
যুক্তরাজ্যকে আমেরিকার তালে নাচতে মানা করল বেইজিং
তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ পেলোসির
তাইওয়ানে সামরিক অভিযানের ঘোষণা চীনের
এবার তাইওয়ানকে ঘিরে আমেরিকার রণসজ্জা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The US is secretly sending long range missiles to Ukraine

গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস পরীক্ষা। ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস সরবরাহ করেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।’

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে ইউক্রেন, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র গোপনে সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

বিবিসি বৃহস্পতিবার জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনুমোদিত ৩০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অংশ। চলতি বছরের মার্চে সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়। এপ্রিলে অস্ত্রগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য অন্তত একবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ছয় হাজার ১০০ কোটি ডলার সহায়তার প্যাকেজে সই করেছেন বাইডেন।

ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে বিভিন্ন সময়ে ওয়াশিংটনকে তাগিদ দিয়ে আসছিল কিয়েভ, তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এর আগে ইউক্রেনকে মধ্যমপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমস তথা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেয়া হয়েছিল।

ইউরোপের দেশটিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিতে রাজি হচ্ছিল না বৈশ্বিক পরাশক্তিটি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিতে বাইডেন ফেব্রুয়ারিতে সবুজ সংকেত দেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস সরবরাহ করেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।’

আরও পড়ুন:
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
House of Representatives passes and26 billion aid bill for Israel

ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে

ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে তেল আবিবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি
বিলে ইউক্রেনের জন্য ছয় হাজার ৮৪ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে ফুরিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র, মজুত ও স্থাপনায় পুনঃঅর্থায়নের জন্য। এতে ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন তথা দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যার মধ্যে ৯১০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে মানবিক প্রয়োজন মেটাতে।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেন ও ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধে থাকা ইসরায়েলের জন্য ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলার সহায়তার বিল পাস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস তথা প্রতিনিধি পরিষদে।

রিপাবলিকান পার্টির কট্টর অবস্থানে থাকা আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও স্থানীয় সময় শনিবার দুই দলের সমর্থনে পাস হয় ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে নিরাপত্তা সহায়তার প্রস্তাবিত আইনটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিলটিকে পাঠানো হয়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে। দুই মাসের বেশি সময় আগে একই ধরনের একটি বিল পাস হয়েছিল উচ্চকক্ষে।

বিলটি নিয়ে ভোটাভুটির জন্য প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান পার্টির স্পিকার মাইক জনসনকে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতা মিচ ম্যাককনেল।

প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া বিলটি মঙ্গলবার বিবেচনায় নেয়ার কথা রয়েছে সিনেটের। ওই দিন বিকেলে এ নিয়ে প্রাথমিক ভোট হওয়ার কথা আছে।

আগামী সপ্তাহে বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে রূপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিলে ইউক্রেনের জন্য ছয় হাজার ৮৪ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে ফুরিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র, মজুত ও স্থাপনায় পুনঃঅর্থায়নের জন্য।

এতে ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন তথা দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যার মধ্যে ৯১০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে মানবিক প্রয়োজন মেটাতে।

বিলটিতে ৮১২ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে তাইওয়ানসহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য।

আরও পড়ুন:
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা আহত
২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ছোড়া হয়েছে গাজায়: জাতিসংঘের দূত
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A young man set himself on fire outside the court during Trumps trial

ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের

ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।  ছবি: এএফপি
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে নিজ গায়ে আগুন দিয়েছেন এক যুবক।

নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যে আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে, তার বাইরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন এক ব্যক্তি। আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।

সম্পর্ক গোপন রাখতে পর্নো তারকাকে দেয়া ঘুষের মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচারিক কার্যক্রম চলছিল এ আদালতে। ওই ব্যক্তি যখন নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন, ট্রাম্প তখন ভেরতেই ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, তিনি ট্রাম্পকে লক্ষ্যবস্তু করে এমনটা করেননি।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্যক্তি প্রথমে নিজের শরীরে তরল জ্বালানি ঢালেন, এর পর আগুন ধরিয়ে দেন সবার সামনেই।

ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মধ্যেই এ মামলায় ট্রাম্পের বিচার চলবে।

আরও পড়ুন:
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বাল্টিমোরে সেতু ধস: নিখোঁজ দুই শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় শ্রমিক
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Preparing to respond to Israeli attacks Iran tells US to withdraw

ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতি: যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলল ইরান

ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতি: যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলল ইরান সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের সাত সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা পোড়ান বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি বলেন, ওয়াশিংটনকে পাঠানো এক লিখিত বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফাঁদে না পড়তে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান।

সিরিয়ায় কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতির মধ্যে ইহুদি রাষ্ট্রটির মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলেছে ইরান।

অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রধান প্রক্সি হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে শনিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি বলেন, ওয়াশিংটনকে পাঠানো এক লিখিত বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফাঁদে না পড়তে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান।

তিনি আরও বলেন, লিখিত বার্তায় বলা হয়েছে, হামলার শিকার হতে না চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সরে যাওয়া।

জামশিদি আরও বলেন, চিঠির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না হানতে বলা হয়েছে ইরানকে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বার্তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি অথবা আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের যেকোনো হামলার ‘উল্লেখযোগ্য’ প্রতিক্রিয়ার জন্য উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার পাশাপাশি প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বাল্টিমোরে সেতু ধস: নিখোঁজ দুই শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় শ্রমিক
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The United States was shaken by the earthquake

যুক্তরাষ্ট্র কাঁপল ভূমিকম্পে

যুক্তরাষ্ট্র কাঁপল ভূমিকম্পে
নিউ ইয়র্ক সিটি এবং আশেপাশের এলাকায় ভবনগুলো কেঁপে উঠেছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প।

স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে দেশটির নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে ৪ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

নিউ ইয়র্ক সিটি এবং আশেপাশের এলাকায় ভবনগুলোও কেঁপে উঠেছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নিউ জার্সির হোয়াইট হাউস স্টেশন থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে ভূমিকম্পের আঘাত হানার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bidens Ultimatum to Netanyahu to Protect Gaza Civilians

গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় নেতানিয়াহুকে আলটিমেটাম বাইডেনের

গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় নেতানিয়াহুকে আলটিমেটাম বাইডেনের গাজার রাফাহতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত দুজনের স্বজনের আহাজারি। ছবি: আহমাদ হাসাবাল্লাহ/গেটি ইমেজেস
রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহুকে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি ও বিদেশি ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের রক্ষা করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। অন্যথায় উপত্যকার শাসক দল হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে সমর্থনের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন লাগাম টানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা শুরুর প্রায় ছয় মাস পর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সত্যিকার অর্থে আলটিমেটাম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহুকে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি ও বিদেশি ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের রক্ষা করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। অন্যথায় উপত্যকার শাসক দল হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে সমর্থনের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন লাগাম টানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যার ইসরায়েলি সামরিক কৌশল পাল্টাতে যুক্তরাষ্ট্রের মাসের পর মাস আহ্বান এবং ইসরায়েলের হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাত খাদ্য সহায়তা কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত বার্তা দিলেন বাইডেন।

গত সোমবার বিমান হামলা চালিয়ে সাত খাদ্য সহায়তা কর্মীকে হত্যার পর সেটি ভুল ছিল বলে স্বীকার করে ইসরায়েল।

এদিকে বাইডেনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর কাছে ঠিক কোন ধরনের পদক্ষেপ চায় এবং সেসব পদক্ষেপ না নিলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা নিয়ে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়া ধীর করে দেয়া কিংবা জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দেয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছে।

আরও পড়ুন:
নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় নিরস্ত্র দুজনকে হত্যার পর মরদেহ বালুচাপা দিল ইসরায়েল
গাজাবাসীকে সমর্থনে কখনও ইতস্তত বোধ করবে না ইরান: আয়াতুল্লাহ
গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১
‘ভেটো না দেয়ায়’ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চটেছে ইসরায়েল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The US is arming Israel despite its conflict with Netanyahu

নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে শুক্রবার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলার পর ঘটনাস্থলে ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স
আল জাজিরা শনিবার জানায়, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার লাগাম টানতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেও ইসরায়েলকে আরেক দফা বোমা ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আল জাজিরা শনিবার জানায়, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার লাগাম টানতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেও ইসরায়েলকে আরেক দফা বোমা ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

নতুন এ চালানে প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র যাবে ইসরায়েলে, যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমান ও বিমান থেকে ছোড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বোমা।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ার মধ্যেই অস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দিল ওয়াশিংটন।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরত থাকার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হঠাৎ বাতিল করেন নেতানিয়াহু। সেই বৈঠকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল অভিযানের পরিকল্পনার বিষয়ে পর্যালোচনার কথা ছিল।

গত প্রায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের দৃশ্যত বিরামহীন হামলায় বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে রাফাহতে। এ মানুষগুলোর নিরাপত্তার প্রশ্নে যেকোনো ধরনের হামলার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
উত্তর গাজায় বিমান থেকে খাদ্য সহায়তা ফেলল যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় যুদ্ধ চলবে: নেতানিয়াহু
ক্ষুধায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকা শিশু বাড়ছে গাজায়: ডব্লিউএইচও
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসর-সৌদি যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন

মন্তব্য

p
উপরে