পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ছয় সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। হেলিকপ্টারটি বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছিল। একপর্যায়ে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি।
ডিরেক্টর জেনারেল ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্সের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার মঙ্গলবার টুইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একটি সামরিক বিবৃতিতে আঞ্চলিক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল সরফরাজ আলীসহ হেলিকপ্টারে থাকা ছয়জনই নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
হেলিকপ্টারটি বেলুচিস্তানে বন্যা-দুর্গতদের সাহায্য প্রচেষ্টার অংশ ছিল, যেখানে জুন থেকে বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় সামরিক বাহিনী আর কোনো বিস্তারিত জানায়নি।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলী, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ অন্যান্য সিনিয়র রাজনীতিবিদরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
পাকিস্তান বর্তমানে বেলুচিস্তান এবং পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের একটি জেলা রাজনপুরসহ দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে বন্যাদুর্গতদের সরিয়ে নিতে হেলিকপ্টার এবং নৌকা ব্যবহার করছে।
বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যায় সারা দেশে জুন থেকে কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পর থেকে সামরিক বাহিনী সমর্থিত উদ্ধারকর্মীরা পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারী ও শিশুসহ আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কা বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘পাবলিক ইউটিলিটি কমিশন অব শ্রীলঙ্কা’ (পিইউসিএসএল) বিদ্যুতের দাম ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে।
পিইউসিএসএল চেয়ারম্যান জনকা রথনায়েক বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘৯ বছরে সব পণ্য এবং পরিষেবার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমদানি করা তিন ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানির খরচ বেড়েছে আড়াইশ শতাংশের বেশি।
‘আমরা বিদ্যুতের হার স্থিতিশীল রাখতে পেরেছি। ৯ বছরে এক মেট্রিক টন কয়লার দাম ১৪৩ ডলার থেকে বেড়ে ৩২১ ডলার হয়েছে। লঙ্কান মুদ্রায় তা বেড়েছে ৫৫০ শতাংশ। এক লিটার ডিজেলের দাম ১২১ থেকে ৪৩০ রুপি (শ্রীলঙ্কান মুদ্রা) হয়েছে। এই বৃদ্ধির পরিমাণ ২৫৫ শতাংশ। এক লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম ২০১৩ সালে ছিল ৯০ রুপি। যা এখন মিলছে ৪১০ রুপিতে।
রথনায়েক বলেন, ‘নতুন শুল্ক সংশোধনের পরও ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যদিও সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের দাবি, সামগ্রিক খরচের ওপর মাসিক ফি নেয়া অন্যায্য।
‘তাই পিইউসিএসএল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের মোট খরচ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ বাদ দিয়ে নেট খরচের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট চার্জ নির্ধারণ করা হবে।
‘এসব বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।’
এর আগে গত ৪ আগস্ট ডিজেল ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারযোগ্য এলপি গ্যাসের দাম কমায় শ্রীলঙ্কা সরকার। তার এক সপ্তাহের মাথায়ই বিদ্যুতের দাম ৭৫ শতাংশ বাড়াল রনিল বিক্রমাসিংহ নেতৃত্বাধীন সরকার।
আরও পড়ুন:ভারতের আপত্তির মুখে চীনা জাহাজের নির্ধারিত সফর পিছিয়ে দিতে দেশটিকে অনুরোধ করেছে শ্রীলঙ্কা। গত সপ্তাহেই সামরিক জাহাজটিকে আসার অনুমতি দিয়েছিল কলম্বো। লঙ্কান সরকার বলছে, প্রতিবেশী ভারতের কূটনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে তারা।
ইউয়ান ওয়াং ৫ সামরিক জাহাজটি বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে পৌঁছানোর কথা। অঞ্চলটির ইজারা নিয়ে সেখানে বন্দর নির্মাণ করেছিল চীন। জাহাজটি এখন পূর্ব ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছে।
ইউয়ান ওয়াং ৫-কে চীনের সর্বশেষ প্রজন্মের স্পেস-ট্র্যাকিং জাহাজগুলোর একটি হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিদেশি নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এটি স্যাটেলাইট, রকেট এবং আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
পেন্টাগন বলছে, পিপলস লিবারেশন আর্মির স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্স এসব জাহাজ পরিচালনা করছে।
নয়াদিল্লির আশঙ্কা, তাদের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী চীন, হাম্বানটোটাকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করবে। ১.৫ বিলিয়ন ডলারে নির্মিত বন্দরটি এশিয়া থেকে ইউরোপে প্রধান শিপিং রুটের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১২ জুলাই পাঁচ দিনের জন্য জাহাজটিকে আসার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সোমবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, পরিস্থিতি বিবেচনায় হাম্বানটোটা বন্দরে উল্লিখিত জাহাজের পরিদর্শন পিছিয়ে দেয়ার জন্য তারা চীনা দূতাবাসে যোগাযোগ করেছে।
ভারত গত মাসের শেষ দিকে বলেছিল, জাহাজটির পরিকল্পিত সফর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নয়াদিল্লি তার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ অবশ্যই রক্ষা করবে। শ্রীলঙ্কা সরকারের কাছে মৌখিক প্রতিবাদ জানায় ভারত।
জাহাজ নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘তৃতীয় কোনো দেশকে লক্ষ্য করে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। শ্রীলঙ্কাকে চাপে রাখার জন্য কিছু দেশের তথাকথিত ‘নিরাপত্তা উদ্বেগ’ একেবারেই অযৌক্তিক।
‘শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত। এ অবস্থাকে পুঁজি করে শ্রীলঙ্কার স্বাভাবিক বিনিময় ও সহযোগিতায় হস্তক্ষেপ করা নৈতিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনাকারী মৌলিক নিয়মের পরিপন্থি।’
দুই বছর আগে হিমালয় সীমান্তে সশস্ত্র সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় এবং চার চীনা সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে দেশ দুটির সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়। চীন এবং ভারত দুই দেশই শ্রীলঙ্কায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ভারত চলতি বছর অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি সাহায্য করেছে শ্রীলঙ্কাকে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সহায়তা পেতে নিজেদের অবকাঠামো ঋণ পুনর্গঠনে চীনের চুক্তি শ্রীলঙ্কার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিগত তামিল বিদ্রোহীদের সঙ্গে গৃহযুদ্ধের সময় শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন করেছিল চীন। ২০০৯ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কাকে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে বেইজিং।
আরও পড়ুন:আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশে বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) জ্যেষ্ঠ নেতা ওমর খালিদ খোরাসানি।
স্থানীয় সময় রোববার চালানো ওই হামলায় টিটিপির আরও দুই সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনটির মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, হামলায় নিহত টিটিপি নেতার প্রকৃত নাম আবদুল ওয়ালি মোহমান্দ। আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মোহমান্দ অঞ্চল টিটিপির সাবেক প্রধান ছিলেন তিনি।
সোমবার এক বিবৃতিতে টিটিপির নেতারা বলেছেন, পাকতিকা প্রদেশের বার্মাল জেলার কাছে রোববার সন্ধ্যায় ওমরকে বহনকারী গাড়িতে হামলা হয়। এতে দুই সঙ্গীসহ তিনি নিহত হন।
টিটিপি ঘটনাটি তদন্তের জন্য আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে তাগিদ দিয়েছে। সংগঠনটির ভাষ্য, ওমরকে হত্যায় জড়িত থাকতে পারে ‘গুপ্তচররা’।
ওমর ছাড়া নিহত অপর দুজন হলেন মুফতি হাসান ও হাফেজ দৌলত খান। ২০১৪ সালে আইএসে যোগ দেয়া কিছু টিটিপি নেতার মধ্যে ওই তিনজনও ছিলেন।
পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা, পশতু সালিশি বৈঠক এবং ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকে টিটিপি প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন নিহত ওমর।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে।
‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’ স্লোগানে কমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে সোমবার এই অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
এরপর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন নিয়ে দেখানো হয় একটি প্রামাণ্য তথ্যচিত্র।
এদিনের আলোচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবন নিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সানজিদা জেসমিন। এ ছাড়া এই আলোচনায় অংশ নেন শেখ রাসেলের বাল্যবন্ধু উন্নয়নকর্মী, গবেষক ও প্রতিবেশী নাতাশা আহমেদ এবং কলকাতার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান কমিশনের কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং কাউন্সিলর (কনস্যুলার) বশির উদ্দিন।
নাতাশা আহমেদ বলেন, ‘মানুষকে আপন করে নেয়ার এক অদ্ভুত গুণ ছিল বঙ্গমাতার। শুধু পরিবার নয়, আশপাশের সবাইকে নিজের করে নিতেন বঙ্গমাতা।’
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব সম্পর্কে এতদিন তেমন কিছু জানা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতিতে তার নীরব যে ভূমিকা তার গুরুত্ব অপরিসীম।’
কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব পরস্পরের পরিপূরক ও অবিচ্ছেদ্য। বাঙালি জাতির ত্রাণকর্তা হয়ে ওঠার নেপথ্য সারথি বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে গেছেন তিনি।’
বঙ্গমাতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন:আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গ্রেপ্তার পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার ঘনিষ্ঠ মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দিন কাটছে কারাগারে। মাঝেমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া বেশ অলস সময় কাটছে তাদের।
কর্তৃপক্ষ অবশ্য সাবেক মন্ত্রীর ছোটখাটো আবদার মেটাতে কার্পণ্য করছে না। আলুর চপ আর বেগুনি খেতে চেয়েছিলেন তিনি। সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অন্যদিকে, শুয়ে-বসে দিন পার হচ্ছে অর্পিতার।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, প্রেসিডেন্সি কারাগারে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই এখন যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সোমবার দুপুরে কারা অফিসে এক আইনজীবীর সঙ্গে মিনিট পনেরো কথা বলেন তিনি।
কারাগার সূত্র জানিয়েছে, সকালে চা এবং মাখন টোস্ট খেয়েছেন পার্থ। দুপুরে ভাত-ডাল-তরকারি। বিকেলে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পার্থের সেল পরিদর্শনে গেলে তিনি তাদের জানান, তেলেভাজা খেতে চান।
আপত্তি ছিল কারাগারের চিকিৎসকদের। কিন্তু সাবেক মন্ত্রী আপত্তি শুনতে নারাজ। তার আগেই তিনি খবর নিয়ে জেনেছিলেন, গরম গরম চপ আর বেগুনি তৈরি হচ্ছে কারা ক্যান্টিনে। শেষে চিকিৎসকরা অনুমতি দেন।
সূত্র বলছে, এদিন ক্যান্টিন থেকে দুটি আলুর চপ, দুটি বেগুনি এবং অল্প মুড়ি দেয়া হয় পার্থকে।
কারা ক্যান্টিন থেকে নিজের টাকায় কোনো খাবার কিনে খেতে পারেন বিচারাধীন বন্দিরা। পার্থের খাবারের ক্ষেত্রে অবশ্য চিকিৎসকদের নানা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চিকিৎসকদের বেঁধে দেয়া খাদ্যতালিকা অনুসারেই তাকে খাবার দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তবে কারা চিকিৎসকদের মতে, এক দিন তেলেভাজা খাওয়া যেতে পারে। তাতে তেমন শারীরিক অসুবিধা হওয়ার কোনো কারণ নেই।
সোমবার সকালে চিকিৎসকেরা পার্থকে পরীক্ষা করতে গেলে তিনি জানান, কোমরে ও হাঁটুতে যন্ত্রণা হচ্ছে। তার সেই বক্তব্যের ভিত্তিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে চিঠি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক কারা কর্মকর্তা।
এদিকে পার্থের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সোমবার আলিপুর মহিলা জেলে স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করেছেন। তিনি অধিকাংশ সময়ই শুয়ে-বসে কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত একটি মানি লন্ডারিং কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরই মধ্যে ২৩ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সদ্য সাবেক শিল্পমন্ত্রী পার্থ এবং তার সহযোগী অর্পিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের আগের দিন অর্পিতার একটি ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি রুপি এবং পরে আরেকটি ফ্ল্যাট থেকে ২৯ কোটি রুপি ও পাঁচ কেজি স্বর্ণের গহনা জব্দ করে ইডি। অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে সব মিলিয়ে ৫০ কোটি রুপি জব্দ করা হয়।
এমন প্রেক্ষাপটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হয়। তৃণমূল সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেন।
মন্ত্রী পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা উদয়ন সংঘের পূজার মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন। নাকতলা পার্থ চ্যাটার্জির পূজা বলে সুপরিচিত। এ ছাড়া সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর আইনি উপদেষ্টা ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
তার কাছে বিপুল পরিমাণ রুপি কোথা থেকে এলো তদন্তকারীদের সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই মডেল। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে গচ্ছিত টাকার সঙ্গে শিক্ষক দুর্নীতি মামলার কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন ইডির তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর নদনাপুরেশ্বরর সিভান মন্দির থেকে ১৯৭১ সালে নিখোঁজ বা চুরি হয়ে গিয়েছিল হিন্দু দেবী পার্বতীর ১২ শতকের প্রতিমা। এর ৪৮ বছর পর ২০১৯ সালে মন্দির কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিগ্রহটির খোঁজে নামে পুলিশ। সে অনুসন্ধানে সাফল্য এসেছে সম্প্রতি।
তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই থেকে বিমানপথে ১৩ হাজার ৯৯৮ কিলোমিটার দূরের নিউ ইয়র্কে পার্বতীর দেখা পেয়েছে পুলিশ।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক নিলাম প্রতিষ্ঠান বোনহ্যামসের নিউ ইয়র্ক শাখায় খোঁজ মিলেছে প্রাচীন ভাস্কর্যটির। এর পরিপ্রেক্ষিতে তামিলনাড়ু পুলিশের প্রতিমা শাখা একে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে মন্দির থেকে পাচার কিংবা চুরি হয়ে যাওয়া প্রতিমা ও প্রত্নবস্তু ফিরিয়ে আনতে জোর তৎপরতা শুরু করে ভারত।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুই শতাধিক মূল্যবান মূর্তি ভারতে ফেরত আনা হয়েছে।
তামিলনাড়ুর একটি মন্দির থেকে ৪০ বছরের বেশি সময় আগে চুরি হওয়া ব্রোঞ্জের তিনটি ভাস্কর্য ২০২০ সালে ভারতকে ফেরত দেয় যুক্তরাজ্য।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে ফেরত আসা উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ছিল ব্রোঞ্জের নটরাজ প্রতিমা। এ বিগ্রহে দেবতা শিবকে নৃত্যরত ভঙ্গিতে দেখা যায়।
৯০০ বছরের পুরোনো ভাস্কর্যটির দাম উঠেছিল ৫১ লাখ ডলার। ২০০৮ সালে সেটি কিনেছিল ন্যাশনাল গ্যালারি অফ অস্ট্রেলিয়া।
সর্বশেষ নিউ ইয়র্কে সন্ধান পাওয়া পার্বতী নদনাপুরেশ্বরর সিভান মন্দির থেকে হারিয়ে যাওয়া পাঁচ প্রতিমার একটি। এর উচ্চতা ৫২ সেন্টিমিটার। মাথায় তার মুকুট।
পুলিশ জানিয়েছে, দাঁড়িয়ে থাকা পার্বতীর দাম উঠেছে ২ লাখ ১২ হাজার ৫৭৫ ডলার।
আরও পড়ুন:ভালোবাসা শুধু যে অন্ধ তা-ই নয়, বরং কখনও কখনও হয়ে ওঠে যেন এক অন্ধগলি। এ গলি দিয়ে রওনা হলে আর ফেরার পথ আবিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কমই। ব্যাপারটি কী আসলেই এমন?
অন্তত ‘সহমরণের পথে যাত্রা করা’ ভারতের এক প্রেমিক যুগলকে দেখলে এমনই মনে হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে প্রাণঘাতী রোগ এইডসে আক্রান্ত প্রেমিকের রক্ত স্বেচ্ছায় নিজের শরীরে নিয়েছেন প্রেমিকা।
ভালোবাসার প্রমাণ দিতেই নাকি ওই কিশোরী এ কাণ্ড করে বসেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম।
আসামের সুয়ালকুচি জেলার এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রেমিককে। আর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রেমিকাকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে।
ফেসবুকে পরিচয়ের পর তিন বছর ধরে এই প্রেমের সম্পর্ক তাদের। বেশ কয়েক বার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েও গিয়েছিল ১৫ বছর বয়সী প্রেমিকা। তবে পরিবার বারবারই ফিরিয়ে আনে তাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় এইডসে আক্রান্ত প্রেমিকের রক্ত ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শরীরে নিয়ে নেন ওই কিশোরী। এমন কাণ্ডে প্রেমিক যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছে তরুণীর পরিবার।
চিকিৎসকরা বলছেন, এইডসে আক্রান্ত কোনো রোগীর রক্ত শরীরের বহন করলে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকে। ওই তরুণীরও মৃত্যুঝুঁকি আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এইডস আক্রান্ত প্রেমিকের রক্ত নিজের শরীরে নেয়া তরুণীর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ পক্ষে আবার কেউ কেউ বিপক্ষে মন্তব্য করছেন এ নিয়ে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য