× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Learn from Sheikh Hasina Pakistani bureaucrats
google_news print-icon

শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখুন: পাকিস্তানি আমলা

শেখ-হাসিনার-কাছ-থেকে-শিখুন-পাকিস্তানি-আমলা
১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের তুলনায় ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ছিল, কিন্তু এখন পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ ধনী। পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ অংশে এক কোটি বেশি জনসংখ্যা ছিল। আর এখন পাকিস্তানের ২৩ কোটি জনসংখ্যার তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের রপ্তানি ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে নিবন্ধ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের পত্রিকা দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ‘টেকঅ্যাওয়ে ফ্রম বাংলাদেশ’স লিডারশিপ’ শিরোনামে মঙ্গলবার প্রকাশিত নিবন্ধটির লেখক সাহেবজাদা রিয়াজ নূর। কেমব্রিজ থেকে স্নাতকোত্তর সাহেবজাদা রিয়াজ নূর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্য সচিব ছিলেন। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি ভাষান্তর করা হয়েছে।

বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, যার কৃতিত্ব দেশটির নেতৃত্বকে দেয়া যেতে পারে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন, এই সেতুকে দেশের ‘গর্ব ও সামর্থ্যের প্রতীক’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

শেখ হাসিনা ১৯৯০ এর দশক থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যা এবং পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। তিনি রাজনৈতিক প্রভাবের সঙ্গে অর্থনৈতিক নীতির ভারসাম্যের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা তার বাবার সমাজতান্ত্রিক এজেন্ডা থেকে বাজারভিত্তিক পুঁজিবাদী প্রবৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেন। তিনি অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলো থেকে শিখেছেন, যাদের অর্থনৈতিক সাফল্যের ভিত্তি চারটি। এই ভিত্তিগুলো হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক উন্নয়ন, রপ্তানিকেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাণিজ্য উদারীকরণ এবং আর্থিক সংযম।

একটি সম্মেলনে এক অর্থনীতিবিদ যখন তাকে বাণিজ্য উদারীকরণের সুবিধা সম্পর্কে বলছিলেন, শেখ হাসিনা থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বাণিজ্য উদারীকরণের বিষয়ে আমাকে বোঝাতে হবে না। আমি যখন যুগোস্লাভিয়া সীমান্তবর্তী ইতালির শহর ত্রিয়েস্তে আমার পদার্থবিদ স্বামীর সঙ্গে থাকতাম, তখন দেখেছি, সীমান্ত সপ্তাহে তিন বার খোলা থাকছে এবং দুই পাশ থেকে মানুষ যাতায়াত করছে, পণ্য কিনছে এবং আবার ফিরে যাচ্ছে।’

এতে এটিই প্রমাণ হয়, রাজনীতিবিদরা সাধারণত যেসব বিষয়ে আকৃষ্ট হন, তার পরিবর্তে শেখ হাসিনা অর্থনীতির দিকে আন্তরিকভাবে মনোনিবেশ করেছিলেন।

১৯৭১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে জবাবদিহির অভাব এবং সামরিক শাসনের প্রভাব থাকলেও ২০০৯ সাল থেকে সেনাবাহিনী অন্তরালে রয়েছে। বেসামরিক সরকারগুলোর ঘন ঘন পা পিছলে পড়া এবং সরকারগুলোর সামান্য বৈধতা বা অবৈধতার অভিজ্ঞতা পেয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির গণতান্ত্রিক ইতিহাস মোটেই নিষ্কলঙ্ক নয় এবং এখানকার সরকার দুর্নীতি ও অদক্ষতার বিষয়ে জনসাধারণের সমালোচনা বারবার এড়িয়ে গেছে।

দেশ শাসনে অল্প অভিজ্ঞতা থাকার পরেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক দূরদর্শী এবং দৃঢ় প্রত্যয় ধারণ করেছেন। তিনি মনে করেছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিই দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের একমাত্র উপায়।

বিরোধীদেরকে বলপূর্বক নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ থাকলেও ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে দেশটি ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ছিল, কিন্তু এখন পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ ধনী।

পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ অংশে জনসংখ্যা ১ কোটি বেশি ছিল। আর এখন পাকিস্তানের ২৩ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি ৪৭ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের ২৮ বিলিয়ন ডলার।

পাকিস্তানের ১ হাজার ৫৪৩ ডলারের তুলনায় বাংলাদেশে এখন মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলার। বাংলাদেশে ২০২২ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪১১ বিলিয়ন, পাকিস্তানে তা ৩৪৭ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশ, পাকিস্তানে আগে যা ছিল ১২-১৫ শতাংশ। পাকিস্তানে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ২১ শতাংশ হয়েছে, সমনে এই হার আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া, পাকিস্তানি রুপির তুলনায় বাংলাদেশি টাকা অনেক শক্তিশালী। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর উচ্চ অংশগ্রহণের পাশাপাশি সাক্ষরতার হার অনেক বেশি।

পাকিস্তানে রাজনৈতিক দলগুলো এখনও নিজস্ব স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বারবার কারসাজির ফলে শক্তিশালী, গণতান্ত্রিক এবং পরিবারতন্ত্রবহির্ভূত রাস্তায় রাজনৈতিক দলগুলোর পথচলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

এটা অনস্বীকার্য যে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন, শক্তিশালী বেসামরিক প্রতিষ্ঠান এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। পাকিস্তান উত্তরাধিকার সূত্রে একটি রাষ্ট্র পেয়েছে, যেখানে শক্ত রাষ্ট্র কাঠামোর ভেতরে একটি দুর্বল বুর্জোয়া জনগোষ্ঠী গ্রহিতা-দাতার সম্পর্কে বিন্যস্ত।

শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখুন: পাকিস্তানি আমলা
সাহেবজাদা রিয়াজ নূর

দেশটি অনিবার্যভাবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ও কর্তৃত্বমূলক গোষ্ঠীর মাধ্যমে পরিচালিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কৃষি এবং ব্যবসায়িক আয়কে করের আওতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। প্রচুর শিল্প-কারখানা যেকোনো ধরনের শুল্ক থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত। আমাদের পার্লামেন্টে আধিপত্য ভূস্বামীদের, ফলে কৃষি আয়করের বিষয়টিকে নাকচ করে দেয়ার বিষয়টি আশ্চর্যজনক নয়। তবে এর ফলে কৃষি ও শিল্প খাতে কম করের কারণে সামগ্রিক কর জালটি ছোট থেকে গেছে।

পাকিস্তানে ১৯৫৮ সাল থেকে সরকারের সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা জনগণের ক্ষমতায়নের পরিবর্তে সামন্ত শক্তিকে বাড়িয়েছে। পাকিস্তান যে উন্নয়নের পথ অনুসরণ করেছে, তা কেবল সুবিধাভোগী, ধনী এবং অভিজাতদের পক্ষে গেছে। এসব গোষ্ঠীর এখন রাষ্ট্রের প্রতি ন্যায্য ভূমিকা পালন করা উচিত।

বাংলাদেশের উদাহরণ অনুসরণ করে পাকিস্তানি নেতৃত্বকে অবশ্যই জাতীয় লক্ষ্য হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথ অনুসরণ করতে হবে এবং আঞ্চলিক শান্তির পাশাপাশি সাংবিধানিক শাসনকে এগিয়ে নিতে হবে।

কার্যকর প্রতিরক্ষার সঙ্গে আপস না করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ বিনিয়োগ করতে হবে। আঞ্চলিক বাণিজ্য উদারীকরণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে ভারত, ইরান, চীন, আফগানিস্তান এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। এ ছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধির মডেল তৈরির ক্ষেত্রে উচ্চ-মূল্য-সংযোজিত পণ্যের উপর ফের জোর দেয়া উচিত।

পাকিস্তান তুলনামূলক সস্তা শ্রমের যে সুবিধা ভোগ করছে সেটিকে উন্নত দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার দিকে নিয়ে যেতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে নারীদের জন্য শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের জন্য একটি নিরাপদ এবং অনুকূল আইনি পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কৃষি আয়ের উপর একটি ন্যায্য কর আরোপের শক্তিশালী প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন। ধনী শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের যথাযথ অবদান রাখতে হবে। বড় করপোরেট ও প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোকে করের আওতায় আনতে হবে।

পাকিস্তানের নেতৃত্ব বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। তবে প্রধান পদক্ষেপটি হওয়া উচিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারের বিষয়টি অনুসরণ করা, যা প্রতিরক্ষা এবং গণতন্ত্র উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন:
আরও দুই মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত
রেমিট্যান্সের পর অর্থনীতির চাপ কমাচ্ছে রপ্তানির উল্লম্ফন
ইমরান খানের পিটিআই নিয়েছিল নিষিদ্ধ বিদেশি অনুদান
পাকিস্তানে বন্যায় ১৩৬ মৃত্যু, ইরানে ৬৯
অনিবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা আমানতে সুদ বাড়ল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Import export started after five consecutive days with Benapole

বেনাপোল দিয়ে টানা পাঁচদিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু

বেনাপোল দিয়ে টানা পাঁচদিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু পেট্রাপোল থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে পণ্যবাহী ট্রাক। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে আবারও এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’

টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর এলাকায়।

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় গত বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখেন বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা।

সোমবার সকালে বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান আমদানি-রপ্তানি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে আবারও এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

‘ভারতের বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তবে টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার কারণে পণ্য বোঝাই হাজার হাজার ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে। এতে করে বেনাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।’

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাঁচ দিন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বেনাপোল দিয়ে আট দিনে ভারতে গেল ৪৩৪ টন ইলিশ
বেনাপোল দিয়ে এলো দু’লাখ ৩১ হাজার পিস ডিম
দুর্গাপূজায় বেনাপোলে ৯-১২ অক্টোবর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারত থেকে এলো আমদানির ১৪ হাজার কেজি ডিম
বেনাপোল দিয়ে কমেছে আমদানি বেড়েছে রপ্তানি বাণিজ্য

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Three people won the Nobel Prize in Economics for their research on the economic prosperity of the state

রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে গবেষণায় অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনজন

রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে গবেষণায় অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনজন অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ড্যারন আচেমোগলু, সাইমন জনসন ও জেমস রবিনসন। ছবি: নোবেল প্রাইজ আউটরিচ
সাইটে উল্লেখ করা হয়, নোবেলজয়ী তিনজন উদ্ভাবনী গবেষণা করেছেন, যাতে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলা বিষয় উঠে এসেছে।

বিভিন্ন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করে ২০২৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন অর্থনীতিবিদ।

নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, এবার অর্থশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে ড্যারন আচেমোগলু, সাইমন জনসন ও জেমস রবিনসনকে। তারা প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে গড়ে ওঠে এবং সমৃদ্ধিতে কীভাবে প্রভাব রাখে, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন।

সাইটে উল্লেখ করা হয়, নোবেলজয়ী তিনজন উদ্ভাবনী গবেষণা করেছেন, যাতে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলা বিষয় উঠে এসেছে।

তিনজনের গবেষণার বিষয়ে সাইটে আরও বলা হয়, সমৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানের প্রভাব নিয়ে তাদের অন্তর্দৃষ্টি অনুযায়ী, গণতন্ত্র সহায়ক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন:
জাপানের ‘নিহন হিদানকিও’ পেল শান্তিতে নোবেল 
সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান ক্যাং
প্রোটিন নিয়ে গবেষণায় রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন
কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণায় পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন দুজন
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা বিকেলে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Despite the import the price of eggs is not falling behind the syndicate

আমদানি সত্ত্বেও ডিমের দাম কমছে না, নেপথ্যে সিন্ডিকেট

আমদানি সত্ত্বেও ডিমের দাম কমছে না, নেপথ্যে সিন্ডিকেট ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আসা ডিমের চালান। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোলের খুচরা ডিম ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, ‘সিন্ডিকেট ডিমের দাম নির্ধারণ করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ডিমের বাজার চড়া। এসএমএসের মাধ্যমে সিন্ডিকেট চক্র এর দর নির্ধারণ করে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ডিমসহ সব কিছুর দাম অনেক বেশি।’

ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ডিম আমদানি সত্ত্বেও বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব নেই। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে দেশের বাজারে ডিমের দাম কমছে না।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমগুলো সাদা রঙের এবং এসব ডিম সাধারণত কিনে থাকেন বেকারি ব্যবসায়ীরা। সাধারণ ভোক্তারা বাদামি রঙের ডিম বেশি পছন্দ করেন। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকার উপরে।

আমদানি করা পণ্য সাধারণত পাইকারি বাজারে দাম কমাতে প্রভাব রাখে। তবে এবার ডিমের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

রোববার যশোরের বেনাপোল ও নাভারণ বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকাররা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ১৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে। ভারত থেকে ডিম আমদানি হলেও পাইকারি বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

সাদা ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাদা ডিমের দাম কিছুটা কম থাকায় বেকারিতে এর চাহিদা একটু বেশি থাকে। অন্যদিকে সাধারণ ভোক্তার কাছে বাদামি রঙের ডিমের চাহিদা একটু বেশি। তাই সাদা ডিম আমদানি হলেও ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম কমছে না।

বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিনয় কৃষ্ণ জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সাদা ডিমের দাম কম থাকায় বেকারিতে এর চাহিদা বেশি। কিন্তু দেশে বাদামি ডিমের চাহিদা বেশি। বাদামি ডিমের ওজন ৬০ থেকে ৬৫ গ্রাম হয়ে থাকে, আর সাদা ডিমের ওজন হয় ৫০ থেকে ৫৫ গ্রাম। ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের বিক্রয় যথাযথভাবে না হলে পরবর্তী সময়ে আমদানিতে আগ্রহ কমতে পারে।

বেনাপোল ডিম ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ডিমের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে এবং চাহিদাও ভালো। তবে বাড়তি দরে ডিম কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়ছে।

শার্শার নাভারণ এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘ভারত থেকে ডিম আমদানি করে লাভ কী? খুচরা দোকানগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বাদামি রঙের ডিম ১৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।’

বেনাপোলের খুচরা ডিম ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, ‘সিন্ডিকেট ডিমের দাম নির্ধারণ করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ডিমের বাজার চড়া। এসএমএসের মাধ্যমে সিন্ডিকেট চক্র এর দর নির্ধারণ করে, যাতে নজর দেয়া প্রয়োজন।

‘ব্যবসায়ীদের ডিম কেনা ও বিক্রিমূল্য খতিয়ে দেখতে হবে এবং পাইকারি ও খুচরা বাজারে সমানতালে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ডিমসহ সব কিছুর দাম অনেক বেশি।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াছমিন জানান, তারা নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছেন। ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, মূল্য তালিকা, বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডিমের দামে কোনো কারসাজি হচ্ছে কিনা তাও যাচাই করা হবে।

আরও পড়ুন:
ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ঘোষণার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
সাত প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
বাজার তদারকিতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন, প্রতিবেদন দেবে প্রতিদিন
বেনাপোল দিয়ে এলো দু’লাখ ৩১ হাজার পিস ডিম
ঢাকার ২ বাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযান, জরিমানা ২৯ হাজার

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The ban on hilsa fishing began at midnight and the river raids began

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু, নদীতে চলছে অভিযান

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু, নদীতে চলছে অভিযান ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মৎস্য বিভাগের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার একশ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই একশ’ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ হয় গেছে। তা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে মৎস্য বিভাগ।

লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার একশ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই একশ’ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে সব রকমের ইলিশ আহরণ, পরিবহন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। এই জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৩ হাজার।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে নদীতে অভিযান চলছে।

‘নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। তা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

আরও পড়ুন:
বেনাপোল দিয়ে আট দিনে ভারতে গেল ৪৩৪ টন ইলিশ
ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু, প্রথম চালানে গেল ১৮ টন
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ইলিশ ধরা-বিক্রি নিষিদ্ধ ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Chief Adviser Dr Muhammad Yunus appeals to the officers and employees of the NASA group

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নাসা গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আকুল আবেদন

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নাসা গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আকুল আবেদন
নাসা গ্রুপের লোগো। গ্রাফিক্স: নিউজবাংলা
গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আবেদন জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের মুক্তি চেয়ে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তাঁর প্রতিষ্ঠান নাসা গ্রুপের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আবেদন জানানো হয়।

নাসা গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবেদনটি নিম্নরূপ:

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নাসা গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আকুল আবেদন
আবেদনের কপি

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের প্রতি আকুল আবেদন


জনাব,

আস্সালামু-আলাইকুম।

গত ০১ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখ দিবাগত রাতে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার, পিতা. মৃত আনা মিয়া মজুমদার, মাতা. মৃত মাফিয়া খাতুনকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁকে যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলা নং ২৮ (৮)২৪-এ গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী দিন অর্থাৎ ০২ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে ৭ দিনের জন্য রিমান্ড দিয়ে ডিবি হেফাজতে প্রেরণ করা হয়। রিমান্ড শেষে তাঁর জামিনের আবেদন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। একজন ৭০ বৎসর বয়স্ক ব্যক্তি ও দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী যিনি ক্যান্সার, থাইরয়েড, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত। ইতোপূর্বে একাধিকবার বিদেশে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং মেডিকেল চেকআপের তারিখ ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তার শারীরিক পরীক্ষা ও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে, তিনি কখনোই কোনো ধরনের রাজনৈতিক দলের সামান্য সদস্যপদও গ্রহণ করেন নাই। এবং কোনো রাজনৈতিক দলের হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই ।

জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে নাসা গ্রুপের জন্ম ও বিস্তৃতি লাভ করে এবং দেশে ও বিদেশে সুনাম-সুখ্যাতিসহ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে যাচ্ছে। তাঁর নিরলস এবং অনেকটাই একক পরিশ্রমের ফলে আজ কোম্পানিতে প্রত্যক্ষভাবে ৩০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ লোকের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।

এমতাবস্থায়, জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে মিথ্যা, হয়রানিমূলক সাজানো মামলায় আসামি করে কারাগারে আটকে রেখে তাঁর জীবন হুমকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সেই সাথে নাসা গ্রুপে যুক্ত বিপুল শ্রমিক-কর্মচারীর জীবন-জীবিকা হুমকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বিপুলভাবে অবদানকারী একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ীকে কারাগারে রেখে তাঁর সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ও তদারকি ছাড়া প্রতিষ্ঠানসমূহ কোনোভাবেই পরিচালনা করা সম্ভবপর নয়। তাঁর বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং দেশের শিল্প তথা ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে এই সাজানো মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি এবং আর যাতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো মিথ্যা ও সাজানো মামলা না দেওয়া হয় তার জন্য মহোদয়ের নিকট সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।


বিনীত অনুরোধে

নাসা গ্রুপের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ঢাকা
নিউ ইয়র্ক থেকে ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসি আলোচনা
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে কী থাকছে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Sheikh Bashir Uddin received the Best Business Person of the Year award

‘বেস্ট বিজনেস পারসন অফ দ্য ইয়ার’ সম্মাননা পেলেন সেখ বশির উদ্দিন

‘বেস্ট বিজনেস পারসন অফ দ্য ইয়ার’ সম্মাননা পেলেন সেখ বশির উদ্দিন নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক উদ্ভাবন এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার অসামান্য অবদানের জন্য আকিজ বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিনকে সম্মাননা দেয়া হয়। ছবি: আকিজ বশির গ্রুপ
সেখ বশির উদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত ‘আকিজ বশির গ্রুপ’ বর্তমানে বহুমুখী গ্রুপ হিসেবে ১৮টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে সিরামিকস, টেবিলওয়্যার, বাথওয়্যার, পাট, পার্টিক্যাল বোর্ডস, ডোরস, প্যাকেজিং, গ্লাস ও অন্যান্য।

২২তম ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডসে ‘বেস্ট বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন আকিজ বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন।

তার নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক উদ্ভাবন এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।

সেখ বশির উদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত ‘আকিজ বশির গ্রুপ’ বর্তমানে বহুমুখী গ্রুপ হিসেবে ১৮টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে সিরামিকস, টেবিলওয়্যার, বাথওয়্যার, পাট, পার্টিক্যাল বোর্ডস, ডোরস, প্যাকেজিং, গ্লাস ও অন্যান্য।

প্রতিষ্ঠানটি তিনটি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ২৫টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। একই সঙ্গে ২৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা ও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

দেশের অর্থনীতি ও সমাজে বিশেষ অবদান রাখা অগ্রগামী ব্যবসায়ীদের সম্মান জানায় ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস।

এ বছর যে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হলো বিজনেস পারসন অফ দ্য ইয়ার, আউটস্ট্যান্ডিং উইমেন ইন বিজনেস, এন্টারপ্রাইজ অফ দ্য ইয়ার এবং বেস্ট ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অফ দ্য ইয়ার।

আরও পড়ুন:
এশিয়ার শ্রেষ্ঠ স্যানিটারিওয়্যারের স্বীকৃতি পেল আকিজ বশির গ্রুপের রোসা
বন্যার্তদের পাশে বেকম্যান’স
ম্যানেজার নেবে আকিজ গ্রুপ, নিয়োগ ঢাকায়
প্রোডাকশন ম্যানেজার নেবে আকিজ সুজ
আকিজ ফুডে চাকরি, কর্মস্থল ঢাকা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Launch of Waltons Digital Campaign Season 21

ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ উদ্বোধন

ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ উদ্বোধন ‘ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মীমসহ ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। ছবি: সংগৃহীত
সিজন-২১ এ ক্রেতাদের জন্য ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফার ঘোষণা করেছে ওয়ালটন। এর আওতায় ওয়ালটনের পণ্য কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার উপহার। ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ থাকবে।

সারাদেশে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ শুরু করছে গ্লোবাল ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক।

সিজন-২১ এ ক্রেতাদের জন্য ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফার ঘোষণা করেছে ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শো-রুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।

বুধবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম। তিনি দেশব্যাপী ক্যাম্পেইনের ২১তম সিজনের উদ্বোধন করেন।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) গালীব বিন মোহাম্মদ, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অফ সেলস মো. ফিরোজ আলম, ওয়ালটনের স্ট্র্র্যাটেজিক বিজনেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আরিফুল আম্বিয়া, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তানভীর রহমান, ফ্রিজের সিবিও তাহসিনুল হক, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মোস্তফা কামাল, ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর তানভীর আঞ্জুম ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার মফিজুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি সিএমও জোহেব আহমেদ, টিভির ডেপুটি সিবিও হাবিব ইফতেখার আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন:
বন্যার্তদের পাশে থাকতে পরিবেশক, প্লাজা ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের নির্দেশনা ওয়ালটন এমডির
জাতীয় রপ্তানি ট্রফির স্বর্ণপদক পেল ওয়ালটন
বিশ্বমানের হাইটেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের ভবিষ্যত তৈরি করেছে ওয়ালটন: জার্মান রাষ্ট্রদূত
ওয়ালটনের স্মার্ট ফ্রিজে যুক্ত হলো ‘এআই ডক্টর’ ফিচার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়ালটন এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘রিলায়েন্স এন্টারপ্রাইজ’ উদ্বোধন

মন্তব্য

p
উপরে