ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রুশ সেনারা। বিপরীতে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ক্রেমলিনও জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলে বিশ্বে বেড়েছে জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক এমন পরিস্থিতিতে এবার লেবাননের শিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সাগরে থাকা গ্যাসশিল্পের ওপর হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।
এক ভিডিওবার্তায় রোববার হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরায়েল যদি লেবাননের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের মীমাংসা না করে তবে ইসরায়েলের গ্যাসশিল্প হামলার মুখে পড়বে।
ভিডিওটিতে সমুদ্রের ওপর অবস্থিত গ্যাস উৎপাদন প্ল্যাটফর্ম ও গ্যাস উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ইসরায়েলি জাহাজও দেখানো হয়েছে এবং গ্যাস প্ল্যাটফর্মটি অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ দেখানো হয়েছে।
ভিডিও থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে ড্রোন ফুটেজটি ৯ জুন ধারণ করা হয়েছিল।
প্রেসটিভির নারী সাংবাদিক মারওয়া উসমানও ভিডিওটি টুইট করেছেন।
সমুদ্রের কারিশ নামের যে অংশে লন্ডনভিত্তিক জ্বালানি প্রতিষ্ঠান এনার্জিনের সঙ্গে ইসরায়েল যে গ্যাস পাম্পের পরিকল্পনা করছে, তার বিরোধিতা করছে লেবানন।
ক্ষেত্রটি ইসরায়েলের শহর হাইফা থেকে ৯০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। ইসরায়েলের বৃহত্তর লেভিয়াথান ও তামার গ্যাস ক্ষেত্রের কাছাকাছিই এর অবস্থান। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ১.৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস থাকতে পারে।
তবে কারিশকে ইসরায়েলের সমুদ্রসীমার অংশ বলে স্বীকার করে না লেবানন। দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন, সমুদ্রসীমা বিরোধের মীমাংসা না করে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানকে উসকানি ও আগ্রাসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হবে।
জুন মাসে এনার্জিনের ভাসমান উৎপাদন, সঞ্চয়স্থান ও অফলোডিংয়ের জাহাজ কারিশে পৌঁছালে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে।
তবে ইসরায়েল জোর দিয়ে বলছে, কারিশ ব্লক পুরোপুরি ইসরায়েলের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত, জাতিসংঘ দ্বারা এটি স্বীকৃত এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে এটি সামদ্রিক বিরোধের বিষয় নয়।
সমুদ্রসীমা নিয়ে এই সংকটে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্ততা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বৈরুতে লেবাননের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে হুমকি দেয়া এই ভিডিও প্রকাশ করা হলো।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ‘সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব ও প্রয়োজনীয়, কিন্তু তা কেবল আলোচনা কূটনীতির মাধ্যমেই করা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন:Video footage released today July 31,2022 by Islamic Resistance #Hezbollah military media in Lebanon.
— Marwa Osman || مروة عثمان (@Marwa__Osman) July 31, 2022
Footage is from the drones sent on June 9 by resistance to #Karish offshore gas field in Lebanese intl waters where Israel prepares to steal Lebanese gas https://t.co/o8qHJ3kQvW https://t.co/ALWEhzxgHw pic.twitter.com/xZxrbVhPZU
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সোমবার পর্যন্ত ৬৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
আল-কুদস টিভির হাসান ফারাজাল্লাহ ও আল মাজেদাদ নেটওয়ার্কের শিমা আল গাজ্জার রোববার গাজায় চালানো ইসরায়েলের বোমা হামলায় পরিবারের সকলের সঙ্গে নিহত হন।
এ দুজন নিহতের আগে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি শনিবার আল-জাজিরাকে মোট ৬১ জন সংবাদকর্মী নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল।
সিপিজের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ৫৬ জন ফিলিস্তিন, চারজন ইসরায়েল ও তিনজন লেবাননের নাগরিক।
সিপিজের মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী শেরিফ মনসুর বলেন, ‘যে সাংবাদিকরা সঙ্কটের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন তাদের সুরক্ষার বিষয়ে জোর দেয় সিপিজে। সাংবাদিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের যুদ্ধরত পক্ষের লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।’
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গাজার ওপর ইসরায়েলের এ হৃদয় বিদারক সংঘাত কভার করার জন্য এ অঞ্চলের সাংবাদিকরা মহান ত্যাগ স্বীকার করছেন। বিশেষ করে যারা গাজায় সংবাদ কাভার করেন তারা আগেও খুব বেশি আত্মত্যাগ করেছেন এবং এখনো করে চলেছেন। তাদের জীবন হুমকির সম্মুখীন হওয়ার পরও তা করে চলেছেন।’
ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয় প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি।
ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর ৬১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির বরাত দিয়ে শনিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ৫৪ জন ফিলিস্তিন, চারজন ইসরায়েল ও তিনজন লেবাননের নাগরিক।
সিপিজের ভাষ্য, যুদ্ধে ১১ জন সাংবাদিক আহত ও তিনজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৯ সাংবাদিক।
সংস্থাটি আরও জানায়, অনেক সাংবাদিক নিহত, নিখোঁজ কিংবা হুমকির শিকার হওয়ার অসমর্থিত খবর পাওয়া গেছে, যা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয় প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের সপ্তম দিনে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে উপত্যকার শাসক দল হামাস ছেড়ে দিয়েছে আটজন ইসরায়েলি জিম্মিকে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার রাতে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগের দু দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ছয় দিন, সেই মেয়াদ শেষ হয় বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার আরও একদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাস বলেছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সপ্তম দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে।
অবশ্য এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো কথা জানালেও, ঠিক কতদিন তা বাড়বে তা জানায়নি।
দেড় মাসের বেশি সময় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে সোমবার নাগাদ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই পক্ষ।
সেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়িয়ে বুধবার পর্যন্ত করতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন:গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সাময়িক যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট নয় জানিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে এ আহ্বান জানান বলে বুধবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে সৌদির সর্বোচ্চ কূটনীতিক বলেন, বর্তমানে গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী যাচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল।
তিনি বলেন, ‘বিপদের বিষয় হলো যদি এই…যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যায়, তাহলে আমরা ফের আগের দেখা হত্যাযজ্ঞে ফিরব, যা অসহনীয়।’
সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এখানে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে এসেছি যে, সাময়িক যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট নয়। দরকার যুদ্ধবিরতি।’
দেড় মাসের বেশি সময় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে সোমবার নাগাদ চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই পক্ষ। সেই যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়িয়ে বুধবার পর্যন্ত করতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস এবং ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় শুরু হয় শুক্রবার। এর পর সোমবার এ কার্যক্রম বাড়ানো হয় আরও দুই দিন, অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত।
হামাস সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, কাতার ও মিসরের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী সাময়িক যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানো হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তির মধ্যে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের ২০ বন্দি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৬০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিষয়টি।
বন্দি বিনিময় শুরু হওয়ার পঞ্চম দিন মঙ্গলবার ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। হামাস মুক্তি দিয়েছে ১০ জিম্মিকে।
আল জাজিরার বুধবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাঁচ দিনের এই বন্দি বিনিময়ে ইসরায়েল নারী ও শিশুসহ মোট ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
হামাস মুক্তি দিয়েছে ৮১ জিম্মিকে, যাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি নাগরিক।
ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় গাজায় প্রাণ যায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫৪ ফিলিস্তিনির। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রাণ যায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলির।
দু্ই পক্ষের ব্যাপক প্রাণহানি ও গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে শুক্রবার থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়াতে চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে সোমবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে মাজেদ বলেন, গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়াতে চুক্তি হয়েছে।
গাজার শাসক দল হামাস বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাতার ও মিসরের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী সাময়িক যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ মিসর ও কাতার চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে জানিয়েছিলেন মিসরের স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের (এসআইএস) প্রধান দিয়া রাশওয়ান।
যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিন সোমবার রাশওয়ানের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তির মধ্যে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের ২০ বন্দি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৬০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিষয়টি।
এসআইএসের প্রধান বলেন, সোমবার ১১ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে ৩৩ ফিলিস্তিনিকে কারামুক্তির বিষয়ে সমঝোতা আলোচনা চলছে।
ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় গাজায় প্রাণ যায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫৪ ফিলিস্তিনির। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রাণ যায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলির।
দু্ই পক্ষের ব্যাপক প্রাণহানি ও গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে শুক্রবার থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। সেই যুদ্ধবিরতি আরও বাড়াতে দুই পক্ষকেই চাপ দেয় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মহল।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়াতে মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ মিসর ও কাতার চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন মিসরের স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের (এসআইএস) প্রধান দিয়া রাশওয়ান।
যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিন সোমবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রাশওয়ানের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তির মধ্যে রয়েছে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলের ২০ বন্দি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৬০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিষয়টি।
এসআইএসের প্রধান বলেন, সোমবার ১১ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে ৩৩ ফিলিস্তিনিকে কারামুক্তির বিষয়ে সমঝোতা আলোচনা চলছে।
ইসরায়েলে ঢুকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় গাজায় প্রাণ যায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫৪ ফিলিস্তিনির। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রাণ যায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলির।
দু্ই পক্ষের ব্যাপক প্রাণহানি ও গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে শুক্রবার থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। সেই যুদ্ধবিরতি আরও বাড়াতে দুই পক্ষকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মহল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য