ব্লুমবার্গের সার্বভৌম ঋণ দুর্বলতা র্যাংকিংয়ে পাকিস্তান এখন ৪ নম্বরে। এটি একটি দেশের ডিফল্ট ঝুঁকির যৌগিক পরিমাপ। পাকিস্তানের ঋণ জিডিপির ৭১ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান কি সামনে শ্রীলঙ্কা হবে? হংকংয়ের সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত নিবন্ধ ভাষান্তর করেছেন সারোয়ার প্রতীক।
যদিও উদ্বেগজনক অর্থনীতি পাকিস্তানের খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়, এপ্রিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ভগ্ন রাজনৈতিক পরিবেশ সেই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক এজেন্ডার মূল বিষয়, তা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কঠোর শর্তে নির্দেশিত হলেও।
একটি জোট সরকার বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যসহ অন্তত এক ডজন বিরোধী দল নিয়ে গঠিত। পার্লামেন্টে তারা সামান্যই সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভোগ করে, যেখানে তারা ভয়ংকর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত।
একটি দুর্বল সরকার কি সম্ভাব্য খেলাপি ঋণের তরঙ্গের মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে? সুতরাং পাকিস্তানের প্রকৃত ডিফল্ট ঝুঁকি অর্থনৈতিক ফ্রন্টের পরিবর্তে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই বেশি।
শ্রীলঙ্কা এপ্রিলে ৫১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ খেলাপি হয়েছে, তা শিক্ষামূলক। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বিক্ষোভকারীদের তোলা ঝড় অর্থনৈতিক মন্দা থামাতে সরকারের ব্যর্থতার সঙ্গে জনসাধারণের হতাশাকে প্রতিফলিত করেছে; যা জ্বালানি, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র ঘাটতি সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তানেও একই দশা। দেশটির ঋণের বোঝা বাড়ছে। ডলারের বিপরীতে রুপির দরপতনের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে; চলতি হিসাবের ঘাটতি বাড়ছে এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে জ্বালানি ও পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে দেশটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং গভীরতর রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হবে।
মার্চের শেষে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ ও দায় বেড়েছে ১২৮ বিলিয়ন ডলার। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণ পরিষেবার জন্য আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের ২১ বিলিয়ন ডলার দিতে হবে ইসলামাবাদকে।
আইএফএমের সঙ্গে ১৩ জুলাই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অর্থনৈতিক চুক্তি দেশটির জন্য একটি জীবনরেখা প্রদান করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তার পূর্বসূরির হাতে কার্যকর জ্বালানি ভর্তুকি ফিরিয়ে দিয়ে উল্লেখযোগ্য হারে দাম বাড়িয়েছিলেন। এপ্রিলে যখন খান সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল, তখন পেট্রলের দাম ছিল লিটারপ্রতি প্রায় ১৫০ টাকা; এটি এখন ২৫০-এর কাছাকাছি।
উল্লেখযোগ্য এই বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে পরিবহন খাতে। এতে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য খাবারের দাম বেড়েছে। পাকিস্তানিরা ২১ দশমিক ৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতির নিচে অবস্থান করছে এবং পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ঘন ঘন বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউটের শিকার হচ্ছে।
সরকার আইএমএফের নির্দেশে অর্থনীতি পরিচালনা করছে। তবে আগামী বছরের আগস্টে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘অজনপ্রিয়’ সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। দারিদ্র্য, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং ব্যাপক মূল্যস্ফীতির মধ্যে থাকা মানুষ ক্রমেই হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।
এ পরিস্থিতি ইমরান খানকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে রাখছে। তারা দাবি করছে, সরকার দরিদ্রদের কথা চিন্তা না করেই আইএমএফের দাবিগুলো নিঃশব্দে মেনে নিচ্ছে। সরকারকে ‘দুর্নীতিবাজ এবং আমদানি করা’ আখ্যা দিয়ে তিনি নতুন নির্বাচনের দাবি করছেন।
ইমরান খানকে গত ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে অপসারণ করা হয়েছিল। তবুও তিনি দাবি করেন, এটি বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ; যা যুক্তরাষ্ট্র তার স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির ওপর নির্ভরশীল সরকারকে পতনের জন্য তৈরি করেছিল। এখনও জনসভায় বিদেশি ষড়যন্ত্রের বর্ণনা দিচ্ছেন ইমরান খান।
ইমরান খানের দাবির বিরোধিতা করে ১২টির বেশি রাজনৈতিক দল (ছোট এবং মূলধারা উভয়ই) নিরাপত্তা সংস্থায় যোগ দিয়েছে। তবুও জনগণ তার (ইমরান খান) অভিযোগ বিশ্বাস করছে, ‘আমদানি করা’ সরকার আসলে কী করছে, তা দেখছে না।
শিগগিরই নতুন নির্বাচন ঘোষণা না হলে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে হাজার হাজার লোকের পদযাত্রার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান খান। আর এই ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তাপের কারণে পাকিস্তানের খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা খুব প্রয়োজনীয় বহুপাক্ষিক সহায়তা আটকে রাখতে পারে, সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করতে পারে। রাজনীতি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এসব কর্মসূচিকে জিম্মি করবে, কারণ শ্রীলঙ্কার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ঋণখেলাপি হওয়ার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন:‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের প্রখ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই, যার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শনিবার তার মৃত্যু হয়।
গত সপ্তাহ থেকেই এ শিল্পী হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই স্নায়ু এবং নাক-কান ও গলা বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা হয় তার।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, প্রতুলের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে শিল্পীর ফুসফুসেও সংক্রমণ দেখা দেয়। দ্রুতই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।
প্রতুলের গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান হলো ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার গানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। মমতার তত্ত্বাবধানেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাবা ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। শৈশব থেকেই গান লিখে তাতে সুর দিয়ে গাওয়ার ঝোঁক ছিল তার।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে পাদপ্রদীপের আলোয় আনে তার গাওয়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এ ছাড়া সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবির নেপথ্য শিল্পী ছিলেন তিনি।
তার মতে, সৃষ্টির মুহূর্তে লেখক-শিল্পীকে একা হতে হয়। তারপর সেই সৃষ্টিকে যদি মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কেবল তাহলেই সেই একাকিত্বের সার্থকতা। সেই একক সাধনা তখন সকলের হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় হারনাই জেলায় শুক্রবার শ্রমিক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির কোয়েটা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা শাহজাদ জাহরি এএফপিকে জানান, হারনাই জেলায় এ বোমা বিস্ফোরণে ১০ খনিশ্রমিক নিহত হন।
একই জেলার আরেক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সেলিম তারিন এএফপিকে বলেন, ‘শ্রমিকরা কাজের জায়গা থেকে বাজারে কেনাকাটার জন্য যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই তাদের গাড়িটি আক্রমণের শিকার হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ছিল একটি আইইডি বিস্ফোরণ।আমরা হামলার তদন্ত করছি।’
হারনাই দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি জেলা।
কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে বেলুচ লিবারেশন আর্মি প্রায়ই অন্যান্য প্রদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বা পাকিস্তানিদের, বিশেষ করে বেলুচিস্তানের পাঞ্জাবিদের বিরুদ্ধে মারাত্মক হামলার দাবি করে।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনাবাহিনীর আলাদা তিন অভিযানে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী প্রদেশের লাক্কি মারওয়াত, কারাক ও খাইবার জেলায় অভিযান চালায়।
এতে আরও বিবৃতিতে বলা হয়, লাক্কি মারওয়াতে অভিযানে ১৮ সন্ত্রাসী নিহত ও ছয়জন আহত হন। কারাক জেলায় আরও ৮ সন্ত্রাসী নিহত হন।
সেনাবাহিনী আরও বলেছে, তাদের তৃতীয় অভিযানটিতে গোষ্ঠীটির নেতাসহ ৪ সন্ত্রাসী নিহত ও দুজন আহত হন।
অভিযানে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
এলাকায় অন্য সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি নির্মূল করতে একটি ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হচ্ছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিপদ নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন:ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে ২৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে।
তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
পুলিশ জানায়, একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহকর্মীর কাজ করতেন ওই নারী। বৃহস্পতিবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
বাহিনীটি আরও জানায়, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা একটি নির্জন এলাকায় নারীর মৃতদেহ দেখতে পান। তারা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেন।
কর্ণাটক থেকে পিটিআই শনিবার এ খবর জানায়।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাণ হারানো নারী বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন।
তার কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তবে তার স্বামীর বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি মেডিক্যাল ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
ওই নারী বৃহস্পতিবার তার সহকর্মীকে বলেছিলেন, তার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং দেরি হতে পারে। তাই সহকর্মীকে বলেন তাকে ছাড়াই চলে যেতে। তবে বাড়ি ফিরতে নারীর দেরি হলে তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় অভিযোগ করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী স্বেচ্ছায় কোনো নির্জন জায়গায় গিয়েছিলেন পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করার জন্য। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার মাথায় গুরুতর জখমের চিহ্ন ছিল।
তথ্য পাওয়ার পর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পূর্ব বিভাগ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) দেবরাজ।
আরও পড়ুন:ভারতের মধ্যাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১২ মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।
নয়াদিল্লি মাওবাদীদের দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা দমনে পদক্ষেপ জোরদার করেছে। শুক্রবার পুলিশ এই খবর জানায়।
কয়েক দশকের মাওবাদী সহিংসতায় ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হন।
বিদ্রোহীদের দাবি, তারা প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সহিংসতার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছত্রিশগড়ের বিজাপুর জেলার বন-জঙ্গলে বৃহস্পতিবার এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সুন্দররাজ পি. এএফপিকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১২ মাওবাদী নিহত হয়েছে।’
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দুই শতাধিক মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হন।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সরকার আশা করছে ২০২৬ সালের মধ্যে বিদ্রোহীদের দমন করা সম্ভব হবে।
বিদ্রোহীরা গত কয়েক বছরে সরকারি সেনাদের টার্গেট করে বেশ কিছু প্রাণঘাতী হামলা চালায়।
চলতি মাসের গোডার দিকে রাস্তায় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ৯ ভারতীয় সেনা নিহত হন।
আরও পড়ুন:ভারতের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান।
স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাত আড়াইটায় একজন অনুপ্রবেশকারী বাসায় ঢুকে সাইফ আলীকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছে।
হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, সাইফ আলী খান এখন বিপদমুক্ত। রাতে তার নিউরো সার্জারি করা হয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারি চলছে।
এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, সাইফ আলী যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন একজন অনুপ্রবেশকারী চুপিসারে তার বাসায় ঢোকেন। এ সময়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাইফের হাতাহাতি হয়।
এরপর সাইফ আলী খানকে ছয়বারের বেশি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান অনুপ্রবেশকারী।
এক বিবৃতিতে লীলাবতী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছয়টি আঘাতের মধ্যে দুটি তার মেরুদণ্ডের কাছে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
এরই মধ্যে তার বাসার তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ও ভক্তদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে সাইফ আলী খান টিম।
এতে বলা হয়, ‘এটি এখন পুলিশের কাজ। আমরা আপনাদের হালানাগাদ তথ্য জানিয়ে দেব।’
কারিনা কাপুর খান টিমও একই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন।’
আরও পড়ুন:নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই শনিবার বলেছেন, তিনি তার জন্মভূমি পাকিস্তানে ফিরে আসতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’।
ইসলামি বিশ্বে নারী শিক্ষাবিষয়ক বিশ্বব্যাপী এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ২০১২ সালে স্কুলছাত্রী মালালাকে পাকিস্তানি তালেবানরা গুলি করে এবং এরপর তিনি বিদেশে চলে যান। বিদেশে যাওয়ার পর মাত্র কয়েকবার তিনি দেশে আসেন।
রাজধানী ইসলামাবাদে সম্মেলনে পৌঁছে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে ফিরে আসতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত, অভিভূত ও আনন্দিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দুই দিনব্যাপী এ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন শনিবার সকালে। এতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা একত্রিত হবেন।
স্থানীয় সময় রোববার ইউসুফজাইয়ের সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম এক্সে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমি সকল মেয়ের স্কুলে যাওয়ার অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলব। আফগান নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কেন তালেবান নেতাদের জবাবদিহি করতে হবে, সে ব্যাপারেও বলব।'
দেশটির শিক্ষামন্ত্রী খালিদ মকবুল সিদ্দিকী এএফপিকে জানান, আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে এ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তালেবান ইসলামাবাদের এ আমন্ত্রণে কোনো সাড়া দেয়নি।
আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে মেয়ে ও নারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেতে বাধা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবান সরকার আফগানিস্তানে কঠোরভাবে ইসলামী আইন আরোপ করেছে। জাতিসংঘ একে ‘লিঙ্গ বর্ণবাদ’ বলে অভিহিত করেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তান তীব্র শিক্ষা সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। দেশটিতে দুই কোটি ৬০ লাখের বেশি শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে। তাদের অধিকাংশই দারিদ্র্যের কারণে স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রত্যন্ত সোয়াত উপত্যকার একটি স্কুল বাসে ২০১২ সালে পাকিস্তান তালেবান জঙ্গিদের হামলার পর ইউসুফজাই বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপর তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়।
পরবর্তী সময়ে তিনি নারী শিক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রবক্তা হয়ে ওঠেন। ১৭ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হন তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য