× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Why is Hungary in the arms of Russia after leaving the EU?
google_news print-icon

ইইউ ছেড়ে হাঙ্গেরি কেন রাশিয়ার আলিঙ্গনে

ইউক্রেন
মস্কোতে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সাইয়ার্তোকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতি হাঙ্গেরির আগ্রহ অনেকের কাছে প্রচণ্ড বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি সাইয়োর্তো হাঙ্গেরিতে দুটি পারমাণবিক চুল্লির নির্মাণ ত্বরান্বিত করতে আর্জি জানিয়েছেন। এই চুল্লি দুটি নির্মাণ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি রোসাটম।

ইউরোপে শীত মৌসুম ঘনিয়ে আসতেই জ্বালানি চাহিদার জোগান নিশ্চিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশ। রাশিয়ার সঙ্গে প্রকাশ্যে-গোপনে চলছে নানান দেনদরবার। এরই মধ্যে রাখঢাক না রেখেই রুশ সহায়তা চেয়েছে হাঙ্গেরি। দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে মস্কোতে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে হাঙ্গেরির দ্বন্দ্ব। কিন্তু কেন? যুক্তরাজ্যের দ্য স্পেকটেটরে প্রকাশিত নিবন্ধ অবলম্বনে লিখেছেন সারোয়ার প্রতীক।

চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মস্কোতে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সাইয়ার্তোকে অভ্যর্থনা জানানোর সময় দিলখোলা ভঙ্গিতে কথা বলেছেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের ডানহাত হিসেবে পরিচিত সাইয়ার্তো স্বীকার করে নেন, আসন্ন তীব্র শীত মৌসুমে তার দেশ রাশিয়ার জ্বালানি সহায়তা ছাড়া চলতে পারবে না। জবাবে ল্যাভরভ প্রতিশ্রুতি দেন, বর্ধিত গ্যাস সরবরাহের জন্য হাঙ্গেরির অনুরোধকে গুরুত্ব দিয়ে ‘বিবেচনা করবে’ ক্রেমলিন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি সদস্য দেশ তার জনগণকে উষ্ণ রাখতে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারকে তোয়াজ করছে- এমন অপমানজনক পরিস্থিতি ইইউর জন্য কল্পনা করাও কঠিন।

ল্যাভরভ-সাইয়োর্তো বৈঠকটি রাশিয়ার জন্য ছিল একটি স্বপ্ন। অর্থনৈতিক চাপের মুখে ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় ঐক্য ক্রমেই ভেঙে পড়ছে এবং ডনবাসে ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে এই বৈঠককে।

ভয়ানক অনিবার্য পরিস্থিতির মুখে রাশিয়ান গ্যাসের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার মাত্রা কমছে। রুশ জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল ব্লকের দেশগুলো মে মাসে অনেক চেষ্টা করে রাশিয়ান তেলের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞার দিকে গিয়েছিল।

তবে এর পরই আশঙ্কা তৈরি হয়, পুতিন জার্মানির মতো দেশগুলোকে শীত মৌসুমে ঠান্ডায় জমিয়ে দিতে গ্যাসের জোগান বন্ধ করে দেবেন। এই আশঙ্কা থেকেই ইউরোপের সরকারগুলো তাদের নাগরিকদের জ্বালানির ব্যবহার যথাসাধ্য কমিয়ে আনতে এবং আসন্ন সংকট সম্পর্কে সচেতন হতে সতর্ক করেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতি হাঙ্গেরির আগ্রহ অনেকের কাছে প্রচণ্ড বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি সাইয়োর্তো হাঙ্গেরিতে দুটি পারমাণবিক চুল্লির নির্মাণ ত্বরান্বিত করতে আর্জি জানিয়েছেন। এই চুল্লি দুটি নির্মাণ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি রোসাটম।

তবে এমন যুক্তিও দেয়া যেতে পারে, বুদাপেস্ট বরং সৎ আচরণ করছে, যেখানে ইউরোপের অন্যরা হাঁটছে ঘুরপথে। জার্মানি নর্ড স্ট্রিম ওয়ান পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আরও বেশি গ্যাসের জোগান পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। যদিও দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এর আগে দাবি করেছিলেন, ‘পুতিনের আগ্রাসী, সাম্রাজ্যবাদী রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্ব অকল্পনীয়।’

বিপরীতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হাঙ্গেরি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে। দেশটি নিশ্চিত ছিল, রাশিয়ার ওপর ইউরোপের অপরিহার্য জ্বালানি নির্ভরতা শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ভণ্ডামিকে অনিবার্য করে তুলবে। গত সপ্তাহেই অরবান বলেছিলেন, ইইউ রাশিয়া থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করতে গিয়ে ‘নিজের ফুসফুসে নিজে গুলি করেছে’।

সংকটের মাঝে হাঁসফাঁস করা ইইউ একমাত্র উপায় হিসেবে ব্রাসেলসে আরও শক্তি কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা করছে। উরসুলা ভন ডের লেয়েন গত বুধবার একটি জরুরি আইনের প্রস্তাব করেন, যা ইউরোপীয় কমিশনকে সদস্য দেশগুলোতে জ্বালানি রেশনিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষমতা দেবে। এই আইন তৈরির ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোর স্বাভাবিক ভেটো ক্ষমতাকে পাশ কাটিয়ে কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের অনুমোদনের কথা বলা হয়েছে।

এই প্রস্তাব পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে বাজেভাবে মোকাবিলা করার একটি চেষ্টামাত্র। শীত মৌসুম সামনে রেখে বিভিন্ন দেশের সরকার এখন গ্যাসের মজুত নিয়ে উৎকণ্ঠিত। এমন অবস্থায় ব্রাসেলসকে অতিরিক্ত ক্ষমতাবান করা নয়, দেশগুলো বরং জ্বালানি চাহিদা নিশ্চিত করা নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন। ফলে সদস্য দেশগুলোর একটি গ্রুপের বিরোধিতার মুখে প্রস্তাবটি বাতিল হতে খুব বেশি সময় নেয়নি এবং প্রচেষ্টাটি মাঠে মারা গেছে বলেই মনে হচ্ছে।

ওই ঘটনার পর হাঙ্গেরি আরেকটি অবন্ধুসুলভ আঘাত করেছে। বুদাপেস্ট ইইউর প্রস্তাবিত জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ছাড়াও আরেক ধাপ এগিয়ে আগামী মাস থেকে গ্যাস রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে অরবান বেশি জোর দিচ্ছেন জাতীয়তাবাদের ওপর। তিনি বিশ্বাস করেন, ইইউর অবস্থান হাঙ্গেরির জন্য ক্ষতিকর এবং নিজ দেশের জ্বালানি নীতি পরিচালনার ক্ষমতা নিজেদের হাতেই থাকা উচিত।

তার এই মনোভাব ইউক্রেনকে সাহায্য করছে না। তবে হাঙ্গেরির অবস্থানের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে বুদাপেস্টের অর্থনৈতিক সংকট এবং বাস্তবকে বুঝতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অদক্ষতাকেও বিবেচনায় নেয়া উচিত। এগুলোই বুদাপেস্টকে পুতিনের আরও বেশি আলিঙ্গনের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

হাঙ্গেরির অর্থনৈতিক অবস্থা উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে, সমালোচকরা মনে করছেন সেখানে ‘অরবানমিক্স’ ব্যর্থ হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। ইউরোর বিপরীতে হাঙ্গেরিয়ান মুদ্রার রেকর্ড দরপতন হয়েছে, উদ্যোক্তাদের জন্য ট্যাক্স ছাড় বাতিল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বুদাপেস্টে। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে ১২ দশমিক ৬ শতাংশে।

অরবান গত এপ্রিলে নির্বাচনের সময় হাঙ্গেরিয়ানদের যুদ্ধের প্রভাব থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ কারণে চলমান অর্থনৈতিক ঝড় তার অবস্থান দুর্বল করে দিচ্ছে।

অন্যদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইইউ নিজেও হাঙ্গেরিকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। কোভিড মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের অর্থ আটকে রাখার পাশাপাশি দেশটির জন্য তহবিল সহায়তা সংকোচনের নতুন ক্ষমতা পেয়েছে সংস্থাটি।

ব্রাসেলস এবং বুদাপেস্টে অরবানের বিরোধীদের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাঙ্গেরিকে একটি শীতল সঙ্গ দিয়ে চলছে। এটি একটি বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি করতে পারে। কারণ পশ্চিম থেকে সহানুভূতির ঘাটতিতে সামনের কঠিন সময়ে সাহায্যের জন্য প্রাচ্যের দিকে ফিরে তাকাতে খুব সামান্য তাগিদই বোধ করবেন অরবান।

আরও পড়ুন:
রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তি: বিশ্বে খাদ্য সংকট কাটার বার্তা 
গম রপ্তানির স্বার্থে মাইন সরাবে ইউক্রেন
সৌদি যুবরাজের সঙ্গে কী কথা হলো পুতিনের
ইউরোপে ফের গ্যাস দিচ্ছে রাশিয়া
ফিফার কাছে ৫ কোটি ইউরো দাবি শাখতারের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
After spending 3 weeks in the hospital the pope returns to Vatican

৫ সপ্তাহ হাসপাতালে কাটানোর পর ভ্যাটিকানে ফিরছেন পোপ

৫ সপ্তাহ হাসপাতালে কাটানোর পর ভ্যাটিকানে ফিরছেন পোপ পোপ ফ্রান্সিস। ছবি: এএফপি
চিকিৎসক সার্জিও আলফিয়েরি জানান, ৮৮ বছর বয়সী ক্যাথলিক চার্চের প্রধান শনিবার জানান, স্বাস্থ্যের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে শুনে তিনি ‘খুব খুশি’।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর পোপ ফ্রান্সিস রবিবার ভ্যাটিকানে তার বাসভবনে ফিরে যাবেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ভ্যাটিকান সিটি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

বার্তা সংস্থাটির খবরে জানানো হয়, পোপ ফ্রান্সিস রোমের জেমেলি হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন।

বিষয়টি উল্লেখ করে চিকিৎসক সার্জিও আলফিয়েরি জানান, ৮৮ বছর বয়সী ক্যাথলিক চার্চের প্রধান শনিবার জানান, স্বাস্থ্যের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে শুনে তিনি ‘খুব খুশি’।

আলফিয়েরি সতর্ক করে বলেন, তাকে সুস্থ হতে এখনও ‘কমপক্ষে দুই মাস’ সময় লাগবে। যুবক বয়সে পোপের ফুসফুসের একাংশ অপসারণ করা হয়েছিল।

পোপ ফ্রান্সিসকে বিকেলের দিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভ্যাটিকান জানিয়েছে, দুপুরের ঠিক পরে (গ্রিনিচ মান সময় ১১টা) হাসপাতালের বাইরে শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশীর্বাদ করবেন ও তাদের উদ্দেশে হাত নাড়বেন তিনি। ১৪ ফেব্রুয়ারির পর এটাই হবে জনসমক্ষে তার প্রথম উপস্থিতি।

আরও পড়ুন:
শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে পোপ ফ্রান্সিস
পৃথিবী শান্তির দুর্ভিক্ষে ধুঁকছে: পোপ
লোভে মানুষ প্রতিবেশীকেও গিলে ফেলছে: পোপ
নান, যাজক এলিয়েন নন, তারাও দেখেন পর্ন: পোপ
সত্যিকার ভালোবাসা সতীত্বে: পোপ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Russia hopes to progress on ceasefire at a meeting in Saudi

সৌদিতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রগতির আশা রাশিয়ার

সৌদিতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে অগ্রগতির আশা রাশিয়ার সুউচ্চ দুই ভবনের মাঝে সৌদি আরবের পতাকা। ছবি: এএফপি
সৌদি আরবে সোমবার ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকান আলোচকরা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কিথ কেলগ হোটেলকক্ষের মধ্যে ’শাটল কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইউক্রেনে তিন বছর ধরে চলা সংঘাত বন্ধে সৌদি আরবে সোমবার অনুষ্ঠেয় আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন রাশিয়ার একজন আলোচক।

তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এ বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র পৃথকভাবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার উভয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

মস্কো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রস্তাবিত পূর্ণ ও নিঃশর্ত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। এর পরিবর্তে রাশিয়া শুধু জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর বিমান হামলা বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে।

সেই প্রস্তাব সত্ত্বেও উভয় পক্ষই আলোচনার আগে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া শহরে রাশিয়ার হামলায় একটি পরিবারের তিনজন নিহত হয়, যা ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা রবিবার ভোরে জানায়, রাশিয়া কিয়েভে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এগুলো ভবনগুলোতে আঘাত করেছে এবং আগুন লেগে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, শত্রুদের বিশাল আক্রমণে শহরের বেশ কয়েকটি জেলায় ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে এবং সাতজন আহত হয়েছেন।

সৌদি আরবে সোমবার ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকান আলোচকরা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কিথ কেলগ হোটেলকক্ষের মধ্যে ’শাটল কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন রাশিয়ার সিনেটর গ্রেগরি কারাসিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তত কিছুটা অগ্রগতি আশা করছি।"

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা মঙ্গলবার
ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তি চুক্তিতে রাজি হবে রাশিয়া, আশা ট্রাম্পের
এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন?
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Londons Heathrow Airport disrupted more than a thousand flights off

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ, হাজারের বেশি ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ, হাজারের বেশি ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হিথ্রো বিমানবন্দরের একটি সাইনবোর্ড। ছবি: ইউএনবি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থাপনাটি থেকে ব্যাপক আগুন ও কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে।

অগ্নিকাণ্ডে নিকটবর্তী একটি বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় এক হাজারের বেশি ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বিপুলসংখ্যক যাত্রীকে।

খুদে ব্লগ ব্লুস্কাইয়ে দেওয়া এক পোস্টে ফ্লাইটরাডার২৪ নামের একটি ফ্লাইট ট্র্যাকার জানিয়েছে, ‘শুক্রবার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় এক হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট চলাচল ব্যহত হয়েছে।’

সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর থেকে আসা বেশ কয়েকটি ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে। কিছু ফ্লাইট লন্ডনের বাইরে গ্যাটউইক বিমানবন্দরে, প্যারিসের শার্ল দ্য গোল বিমানবন্দর ও আয়ারল্যান্ডের শ্যানন বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন তথ্য দিয়েছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রী ও সহকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ রাখার কোনো বিকল্প নেই। আসন্ন দিনগুলোতে উল্লেখযোগ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।

খুলে না দেওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের এ বিমানবন্দর দিয়ে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দরের একটি হিথ্রো। কেবল চলতি বছরের জানুয়ারিতেই এ বিমানবন্দর দিয়ে ৬৩ লাখ যাত্রী ভ্রমণ করেন, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি।

এর আগে ২০২৩ সালে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা দেওয়ায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের বিলম্ব হয়েছিল। তখন বেশ কয়েক দিন ধরে দেশটিজুড়ে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ হয়েছিল ধীরগতিতে।

অগ্নিকাণ্ডের পর ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের সাতটি ফ্লাইটকে ফিরে যেতে হয়েছে কিংবা অন্য বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করতে হয়েছে। আর শুক্রবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে এ এয়ারলাইনসের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার শেষ রাতে পূর্ব লন্ডনের একটি বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনের ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডে আগুনের শিখা আকাশে উঠতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পরও সেই আগুন ধিকিধিকি জ্বলে। বিমানবন্দর থেকে দুই মাইল দূরে সাব-স্টেশনটির অবস্থান।

আগুন নেভাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে ১০টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও ৭০ জনের মতো দমকলকর্মী কাজ করেছেন। এতে কয়েক হাজার বসতবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

প্রায় ১৫০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়েছে। স্কটল্যান্ড ও সাদার্ন ইলেকট্রিসিটি নেটওয়ার্কস জানায়, ১৬ হাজার ৩০০ বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থাপনাটি থেকে ব্যাপক আগুন ও কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে।

যুক্তরাজ্যের জ্বালানিমন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড বলেন, ‘সাত ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ আমাদের জানা নেই। অবশ্যই এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।’

আরও পড়ুন:
ঘন কুয়াশা: শাহজালালে অবতরণ করতে পারেনি ৬ ফ্লাইট
বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ তদন্তে দুদক
সিলেটে বিমানের সিটের নিচ থেকে ফের স্বর্ণ জব্দ
সুবর্ণাকে বিমানবন্দরে আটকে দিল পুলিশ
কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণ সময় বাড়লো

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Putin will agree on a months ceasefire?

এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন?

এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন পুতিন? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কোলাজ: ইউএনবি
সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক মাসের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন সম্মতি দেওয়ার পর এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বর্তমানে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির সুযোগটি কাজে লাগাবেন, নাকি তা প্রত্যাখ্যান করবেন?

সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক মাসের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে জানান, শিগগিরই রাশিয়া-ইউক্রেনকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেওয়া হবে।

ইউক্রেন প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, যদি রাশিয়াও শান্তির হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে এতদিনের চলমান যুদ্ধ বন্ধ হতে খুব বেশি দেরি নেই। কিন্তু রাশিয়া যদি এ প্রস্তাব মেনে না নেয়, তাহলে শান্তি আলোচনায় অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়, যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়ার রাজি হওয়া না হওয়া বহুমুখী হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি অবধি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়ে এসেছেন, কোনো ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগ্রহ তার নেই। যদি শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করতেই হয়, সেটি হতে হবে স্থায়ী সমাধান।

বর্তমানে যুদ্ধে অনেকটাই কোণঠাসা ইউক্রেন। রাশিয়ার সেনারা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তা ছাড়া পুতিন বারংবার বলেছেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন। এ পরিস্থিতিতে পুতিন ট্রাম্পের মন রাখবেন নাকি যুদ্ধ চালিয়ে ইউক্রেনে জয়ের পথেই হাঁটবেন তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

মূলত, ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। বিশেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারি পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের একান্ত ফোনালাপ এবং এরপর একের পর এক রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমেরিকানদের বৈঠকই চলমান যুদ্ধের আশু সুরাহার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন কূটনীতিকরা।

রাশিয়ার পদক্ষেপ এখনও স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।

সৌদিতে বৈঠকের পর বেশ কৌশলের সঙ্গে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত না জেনে কোনো মন্তব্য জানানো হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না বলেই রাশিয়া এমন কৌশলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন কিছু বিশ্লেষক।

রুশ-আমেরিকানদের সাপে-নেউলের সম্পর্কের বাইরে গিয়ে ট্রাম্প-পুতিন সখ্য কিন্তু বিশ্ব পাড়ায় মোটেই অজানা নয়। তবে এ সখ্যই সব নয়। এর বাইরে আছে ইউক্রেনের খনিজের প্রতি ট্রাম্পের চোখ আর কিয়েভের ভূমির ওপর পুতিনের লোভ।

শেষ কয়েক দিনের যুদ্ধে ভালোই এগিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর কুরুস্কের বেশির ভাগ এলাকা এখন রাশিয়ার দখলে।

দর কষাকষিতে কুরুস্ককে নিজেদের হাতে রাখতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। তবে দিন দিন তা কঠিন হয়ে উঠছে তার সেনাদের জন্য।

আবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নজিরবিহীন বাকবিতণ্ডা এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করার অভিযোগ নিয়ে আমেরিকা ত্যাগের মতো ঘটনা এতদিন জেলেনস্কিকে ভালোই ভুগিয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, শান্তি চুক্তির প্রতি যতদিন না আগ্রহ দেখাবে ইউক্রেন, ততদিন বন্ধ থাকবে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই বর্তমান বাস্তবতাকে মেনে নিতে হচ্ছে জেলেনস্কির।

প্রশ্ন হলো পুতিন কেন আপস করবে? বাইডেন প্রশাসনের সময়ে হাজারখানেক নিষেধাজ্ঞার ভারেও নতজানু না হওয়া পুতিন কেন এত সহজে রাজি হবে যুদ্ধবিরতিতে?

এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি এস পেশকভের সাক্ষাৎকারে।

পেশকভ জানান, জেদ্দার আলোচনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ও পর্যবেক্ষণ করছে মস্কো। এখনই হলফ করে কিছু বলা না গেলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের আরেক দফা ফোনালাপের পর রাশিয়া নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে।

প্রথমবার ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপে ইতোমধ্যে দখলকৃত ইউক্রেনের ভূমি নিয়ে ফয়সালা, কোনোভাবেই ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান করতে না দেওয়ার ওয়াদা এবং পূর্ব-মধ্য ইউরোপে ন্যাটোর হম্বিতম্বি কমিয়ে আনার ব্যাপারে পুতিন জোরালো দাবি তুলেছেন বলে খবর পাওয়া যায়।

চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের জানান, আবারও পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এপির নিশ্চিত করা এ তথ্য থেকেই চূড়ান্ত দরকষাকষির আভাস পাচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এর আগে ট্রাম্প বেশ কয়েকবার তার বক্তব্যে আভাস দিয়েছেন, এ চুক্তিতে ইউক্রেনকে ছাড় দিতে হবে। এতদিন ইউক্রেন ছাড় দিতে রাজি না থাকলেও এবার বাধ্য হয়েই আপসের পথে হাঁটতে হতে পারে দেশটি।

রুশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক এলিয়া গ্রাশ্চিনেকভ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাদা চোখে এ চুক্তিতে কারও বিজয় হয়নি মনে হলেও রাশিয়া কৌশলগত বিজয় নিশ্চিত করেই চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মতি দেবে।’

রাশিয়া কৌশলগত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এ কথা উঠে এসেছে মস্কোর সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেও। বলা হয়েছে, রুশ প্রতিনিধিরা জেদ্দায় না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান জন র‍্যাটক্লিফ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রুশ প্রশাসনের সঙ্গে।

ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ গত মাসেও রাশিয়ায় পুতিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন এবং আগামীতেও তার রাশিয়া সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।

এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো। তা হলো এ পুরো আলোচনায় ইউরোপকে তোয়াক্কাই করছে না ট্রাম্প প্রশাসন।

ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ঘটনায় এরই মধ্যে দুই ভূখণ্ডের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল। ন্যাটো নিয়েও ট্রাম্প খুশি নন। শপথ নিয়েই দাবি জানিয়েছেন ন্যাটোর বাজেট বাড়ানোর।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিত।

এদিকে ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ড আদায় চেষ্টার ইস্যুতেও ইউরোপের সঙ্গে কয়েক দফা মন কষাকষি হয়েছে ট্রাম্পের। সব মিলিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে ভেঙে রাশিয়ামুখী হওয়াকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কংগ্রেস সদস্য ভালো চোখে না দেখলেও এটাই এখন বাস্তব।

এ বাস্তবতাকে পুঁজি করেই রুশ কূটনৈতিক বিশ্লেষক স্যামুয়েল শ্যারাপ বলেন, ‘ওয়াশিংটনের সঙ্গে বর্তমানে মস্কোর সম্পর্ক যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যকার উষ্ণতার বিচার-বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে তা মস্কো মেনে নিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’

শুরুতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের পথ রচিত হলেও পরবর্তী সময়ে হয়তো এ এক মাসের যুদ্ধবিরতিই স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের সূচনা করবে এবং তিন বছর ধরে চলা এ সংঘাতের অবসান হবে বলে মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকের।

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: ট্রাম্প
সৌদির এক সিদ্ধান্তে বন্ধ হবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প
গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনবে, আশা পুতিনের
মুক্তিযুদ্ধে মীমাংসিত বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ হলে অগ্রগতি বাধা পাবে: ড. কামাল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
France and UK proposal for a month in Ukraine

ইউক্রেনে এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের

ইউক্রেনে এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ছবি: এএফপি
মাখোঁ বলেন, ‘আগামী সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের মাটিতে ইউরোপীয় সেনা থাকবে না।’

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ রবিবার বলেছেন, লন্ডনে সংকট নিয়ে আলোচনার পর ইউক্রেনের আকাশ, সমুদ্র ও জ্বালানি অবকাঠামোতে এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন।

প্যারিস থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ফ্রান্সের লে ফিগারো সংবাদপত্রের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, এ ধরনের যুদ্ধবিরতি, প্রাথমিকভাবে অন্তত স্থল যুদ্ধকে অন্তর্ভুক্ত করবে না।

তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হবে।

মাখোঁ আরও বলেন, ‘আগামী সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের মাটিতে ইউরোপীয় সেনা থাকবে না।’

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ওয়াশিংটনের পরিবর্তনশীল অগ্রাধিকার ও রাশিয়ার সামরিকীকরণের প্রতিক্রিয়া জানাতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ৩ থেকে ৩.৫ শতাংশের মধ্যে বৃদ্ধি করা উচিত।

তিনি সংবাদপত্রটিকে বলেন, ‘তিন বছর ধরে, রাশিয়ানরা তাদের জিডিপির ১০ শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয় করেছে।

‌‘তাই আমাদের পরবর্তী সময়ে কী হবে তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ফ্রান্সের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়রু
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সে রেলওয়েতে ভয়াবহ হামলা
ফ্রান্সে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট, ভোটে শীর্ষে বামপন্থিরা
ম্যাক্রোঁ দ্বিতীয় দফায় উগ্র ডানপন্থীদের পরাজিত করতে চান
ফ্রান্সে নির্বাচন: বুথফেরত জরিপে এগিয়ে কট্টর ডানপন্থিরা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
May be meeting with Putin soon Trump

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শিগগিরই: ট্রাম্প কুশল বিনিময় করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: ইউএনবি
ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সত্যিই ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব শিগগিরই তার বৈঠক হতে পারে।

ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সত্যিই ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।

তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করেন যখন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আগামী দিনে সৌদি আরবে প্রাথমিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পাম বিচ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘সময় নির্ধারণ করা হয়নি, তবে খুব শিগগিরই তা হতে পারে।’

ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বার্ষিকী ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে।

আগামী দিনে সৌদি আরবের রাজধানীতে রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় রুবিও একটি উচ্চস্তরের আমেরিকান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।

এয়ার ফোর্স ওয়ানে উড্ডয়নের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, তার দল রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য’ আলোচনা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে তার রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ দলভুক্ত রয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট বলেন, উইটকফ সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন।

পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।’

পুতিন পুরো ইউক্রেন দখল করতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এটাই ছিল তার কাছে আমার প্রশ্ন।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি তিনি চালিয়ে যেতে চান তাহলে আমার জন্য একটা বড় সমস্যা হতো।

‘আমি মনে করি তিনি এটি শেষ করতে চান এবং তারা দ্রুত এটি শেষ করতে চান।জেলেনস্কিও এটি শেষ করতে চান।’

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: ট্রাম্প
দক্ষিণ আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ
আলাস্কায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০
কানাডাকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের
মেক্সিকো, কানাডা ও চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Putin agrees to meet the Ukraine war to stop the war Trump

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বৈঠক করতে সম্মত পুতিন: ট্রাম্প কুশল বিনিময় করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: ইউএনবি
ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এ যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’

ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সৌদি আরবে এ বৈঠক হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।

এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গেল তিন বছর ধরে চলা আমেরিকান নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছেন তিনি।

অ্যাসোসিয়েটে প্রেসের খবরে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বুধবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এ যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’

এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা হবে বলে জানান ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনও সমানভাবে অংশীদার হবে কি না, সে বিষয়ে তার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা শান্তি অর্জনের পথে রয়েছি। আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শান্তি চান।

‘আমিও শান্তি চাই। আমি কেবল দেখতে চাই, লোকজনের প্রাণহানি হচ্ছে না।’

পুতিনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জনগণ সত্যিকার অর্থে জানেন না। কিন্তু আমি মনে করি, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, তিনিও এ যুদ্ধের অবসান দেখতে চান। কাজেই সেটা ভালো এবং আমরা এ যুদ্ধ বন্ধের দিকে যাচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব।’

ওই সময় শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান ট্রাম্প। বৈঠকটি সৌদি আরবে হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার মাধ্যমে এ আভাসই দেওয়া হচ্ছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটন ও মস্কো একটি চুক্তি পৌঁছাতে একমত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিয়েভও যে পরিপূর্ণ একটি অংশীদার হবে বলে মনে করত জো বাইডেন প্রশাসন, সেখান থেকে সরে এসেছে ওয়াশিংটন।

ইউক্রেনও এ যুদ্ধের সমান অংশীদার হতে যাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘খুবই চমৎকার প্রশ্ন। আমি মনে করি তারাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান।’

এ ছাড়া ইউক্রেন যে পশ্চিমাদের সঙ্গে আরও ঘেঁষতে চাইছে, সে প্রত্যাশায় আরেকটি আঘাত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেট হেগসেথ।

ব্রাসেলসে ন্যাটোর প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সদস্য হওয়া বাস্তবসম্মত নয়।’

পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‌‘হেগসেথ যে কথা বলেছেন, সেটিই সত্য বলে আমি মনে করি।’

ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা এ সামরিক জোটের সদস্য হওয়া অপরিহার্য।

আরও পড়ুন:
কানাডাকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের
মেক্সিকো, কানাডা ও চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে ৬ আরোহীসহ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার জন্য ওবামা, বাইডেনের নীতিকে দুষলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ: নদী থেকে উদ্ধার ১৮ মরদেহ

মন্তব্য

p
উপরে