× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
In America workers are turning to extra work for food and fuel
google_news print-icon

আমেরিকায় খাদ্য-জ্বালানির জন্য বাড়তি কাজে ঝুঁকছেন শ্রমজীবীরা

মূল্যস্ফীতি
লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকায় শ্রমজীবীরা অতিরিক্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। ছবি: ওয়াশিংটন পোস্ট
প্রতিযোগিতামূলক শ্রম বাজারের কারণে পারিশ্রমিক বেড়েছে আমেরিকান শ্রমিকদের। তারপরও সেটি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পেরে উঠছে না। জুনে দেশে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল। ফলে দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে শ্রমজীবীদের দ্বিতীয় আরেকটি চাকরি খুঁজতে হচ্ছে।

অর্থনৈতিক মন্দায় বিপর্যস্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বেও জ্বালানি, খাদ্যপণ্যের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশটির নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ জীবনধারণের জন্য এখন একের বেশি চাকরি করছেন। প্রতিবেদনটি ভাষান্তর করেছেন রুবাইদ ইফতেখার।

নর্থ ক্যারোলাইনার অ্যামাজন গুদামে কাজ করেন আলবার্ট এলিয়ট। নিজের বাড়ি ফেটেভিল থেকে কাজে যেতে তাকে পাড়ি দিতে হয় ৬০ মাইল (৯৬.৫ কিমি)। এ দূরত্বটুকু পাড়ি দেয়ার জন্য তার কিয়া সোল গাড়ির জন্য ১৫ ডলারের তেল নিতে হতো। ধীরে ধীরে এই দাম ২০ এবং এখন ২৫ ডলারে পৌঁছেছে। আলবার্ট তার কাজের জন্য ঘণ্টাপ্রতি পান ১৫.৭৫ ডলার। এখন তার হাতে গাড়ির তেলের ট্যাংক ভরার মতো যথেষ্ট অর্থ সঞ্চিত থাকে না।

জুনে তেলের দাম এতটাই বেড়েছে যে এলিয়টকে একটি কমিউনিটি কলেজে কেয়ারটেকারের কাজ নিতে হয়। সপ্তাহে সেখানে তিনি ঘণ্টায় ১০ ডলার হিসাবে বাড়তি দুই দিন কাজ করেন।

ওয়াশিংটন পোস্টকে এলিয়ট বলেন, ‘তেলের দাম আকাশছোঁয়া। বেতন পাওয়ার দিন বাদে হাতে যা অর্থ থাকে সবই খরচ হয়ে যায়। অনেক সময় পরিবার-পরিজনদের কাছে ধার করতে হয়। অ্যামাজনে কাজ করে যে টাকা পাই সেটা তেল কেনার জন্য যথেষ্ট নয়, এটা আমি বুঝে গেছি। আমার চিন্তা হচ্ছে যে রোজগার করতে সামনে হয়তো কাজেই যেতে পারব না। এখন যে অবস্থা তাতে এর-ওর কাছ থেকে ধার করে চলতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি সোমবার গাড়ির ট্যাংকে ২৫ ডলারের তেল ভরলাম। সেটা বেশিদিন চলেনি। আজ সকালে (বুধবার) আমাকে আমার গাড়ির ট্যাংকে আরও ১৫ ডলারের তেল ভরতে হয়েছে। যে কারণে আজকে কাজে আসতে পেরেছি। আগামীকাল বাড়ি ফিরতে আরও ২০ ডলারের তেল নিতে হবে। আমি এখন র‌্যালেতে অ্যামাজনে কাজ করছি। এখানে কাজ শেষ করে আমাকে পার্টটাইম পরিচ্ছন্নতার কাজে যেতে হবে।’

প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজারের কারণে পারিশ্রমিক বেড়েছে আমেরিকান শ্রমিকদের। তারপরও সেটি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পেরে উঠছে না। জুনে দেশে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল। ফলে এলিয়টের মতো শ্রমজীবীদের দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে দ্বিতীয় আরেকটি চাকরি খুঁজতে হচ্ছে।

সেইন্ট লুইস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ থেকে একাধিক কাজ করেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে এই হার ছিল ৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালের জুনে বেড়ে ৪.৮ শতাংশ হয়েছে। যদিও এই হার মহামারির আগের তুলনায় কম।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকায় ৫.১ শতাংশ কর্মী দুই বা ততোধিক চাকরি করতেন। একাধিক চাকরির সুযোগ একটি ভালো চাকরির বাজারের লক্ষণ হওয়ার সঙ্গে আমেরিকানদের মানিব্যাগের ওপর আর্থিক চাপ বৃদ্ধির একটি চিহ্ন হিসেবেও দেখা দিচ্ছে।

ইনডিডস হায়ারিং ল্যাবের অর্থনৈতিক গবেষণার পরিচালক নিক বাঙ্কার বলেন, ‘অনেকেই বাড়তি টাকা উপার্জনের জন্য আরেকটি চাকরি খোঁজেন। শ্রমবাজার শক্তিশালী হলে সে সুযোগ পাওয়া যায়। তবে আমার মতে, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বাড়তি উপার্জন বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় চাকরি খোঁজার প্রবণতা অনেকের মধ্যে বেড়েছে।’

দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে শ্রমিকরা ক্রমে দ্বিতীয় চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন এবং সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টার বেশি কাজ করছেন। মহামারির আগের অবস্থার চেয়ে এখন একাধিক চাকরি করা লোকের সংখ্যা কম হলেও সপ্তাহে ৩৫ ঘণ্টা কাজ করতে হয় এমন পূর্ণকালীন একাধিক চাকরি করা লোকের সংখ্যা ১৯৯৪ সালের পর থেকে বেড়েছে। ওই বছর থেকে বুরো অফ লেবার স্ট্যাটিসটিকস (বিএলএস) এ ডেটা সংগ্রহ করা শুরু করে। চলতি বছরের জুনে ৪ লাখ ২৬ হাজার আমেরিকান দুটি পূর্ণকালীন চাকরি করতেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৮ হাজার।

বামপন্থি থিংকট্যাংক ইকোনমিক পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হাইডি শিয়েরহোলস বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চাকরিতে উন্নতির অনেক বেশি সুযোগ পাচ্ছেন। মূল্যস্ফীতির উচ্চহার ও চাকরির সহজলভ্যতার কারণে অনেকেই যে একাধিক চাকরি করছেন সেটা মোটেও চমকপ্রদ নয়।’

অবসর ও হসপিটালিটিতে নিম্ন মজুরির চাকুরেদের বেতন গত কয়েক দশকে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। তারা লভ্যাংশ পাওয়ার সুযোগ, উচ্চ বেতন নিয়ে আলোচনা, চাকরি ছেড়ে দেয়া ও ইউনিয়ন করার নতুন সুবিধাও পেয়েছেন। এ বছরের জুনে সরকারি ডেটা অনুযায়ী গত বছর ঘণ্টায় গড় আয় ৫.১ শতাংশ বেড়েছে।

কিন্তু অধিকাংশ কর্মীর জন্য, এমনকি সর্বনিম্ন বেতনের খাতে যেখানে মজুরি দ্রুত বাড়ছে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে বেতন বৃদ্ধি কোনো সুবিধা দিতে পারছে না। বিএলএসের ডেটা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হলে সামগ্রিক মজুরি প্রকৃতভাবে ৩.৬ শতাংশ কমেছে।

বাঙ্কার বলেন, ‘এখনও অনেকে আছেন যারা মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশি টাকা পাচ্ছেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা কয়েক মাস আগেও যেমন ছিল তার চেয়ে কমে এসেছে। আগের যারা বলতেন, তাদের বেতনের বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশি, তারা এখন বলছেন মূল্যস্ফীতির কারণে তারা ওই বৃদ্ধি সুবিধা পাচ্ছেন না।’

বিএলএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির কারণে জ্বালানি, খাদ্য ও বাড়িভাড়া আকাশছোঁয়া। এটি কম মজুরির শ্রমিকদের ক্ষতি করেছে, কারণ তারাই সাধারণত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগেন। তারা তাদের আয়ের একটি বড় অংশ সেসব ক্ষেত্রে খরচ করেন যেগুলো কমানো কঠিন।

কুইন্সে স্বতন্ত্র ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন হার্মিস দিয়াজ। বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি ও আবাসিক নির্মাণ খাতে কাজের সুযোগ কম হওয়ার কারণে মে মাসে তিনি ক্লিনার হিসেবে আরেকটি চাকরি করা শুরু করেন। এখন তিনি বাড়িভাড়া ও মেয়ের কলেজের টিউশনের জন্য সপ্তাহে ৬০ থেকে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার জন্য দুটি চাকরি করছেন।

দিয়াজ বলেন, ‘আগে যা কিনতাম সেগুলো এখন কিনতে পারি না। এমনকি সস্তা কাপড়, ফল, চালও না। ডিমের দামও অনেক বেড়েছে। আমার অন্য খরচও আছে। যে কারণে আমি এখন অনেক কম কিনছি, কিন্তু তাতেও আগের চেয়ে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে।’

অ্যানিশা উইলিয়ামস, লস অ্যাঞ্জেলেসের একজন ৩৭ বছর বয়সী সিঙ্গেল মাদার, যিনি হোম কেয়ার প্রোভাইডার হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় ১৬.২৫ ডলার আয় করেন। বাড়তি উপার্জনের জন্য তিনি গত বছর ফাস্ট ফুড চেইন জ্যাক ইন দ্য বক্সের ড্রাইভ-থ্রুতে ক্যাশিয়ার হিসেবে আরেকটি চাকরি শুরু করেন। গত মাসে তার বাড়িওয়ালা দুই বেডরুমের জন্য ভাড়া ১৩০ ডলার বাড়িয়ে মাসে ১৭৩০ ডলার করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি হোমলেস হওয়ার একেবারে কাছাকাছি। কখনও কখনও আমার ফোন বিল বাকি থাকে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকে। যখন ৯৯ শতাংশ জিনিসের মূল্য বাড়ছে তখন বুঝতে বাকি থাকে না যে কোথাও কোনো গণ্ডগোল হচ্ছে।’

বেশি পারিশ্রমিক যারা পান বা হোয়াইট-কলার চাকুরেরা রিমোট বা ঘর থেকে কাজ খুঁজে বের করে জ্বালানি খরচ কমাচ্ছেন, এটি তাদের যাতায়াত এড়াতে বা সস্তা শহরে বসবাসকে সম্ভব করে তোলে। জুন মাসে কানেকটিকাটের কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির এক জরিপে দেখা গেছে, ৫২ শতাংশ আমেরিকান তেলের দাম বাড়ার কারণে গাড়ি চালানো উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছেন।

অবশ্য বেশির ভাগ শ্রমিকের কাছে সে বিকল্প নেই। হসপিটালিটি ও সার্ভিস সেক্টরে যারা কাজ করেন তাদের কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থাকতে হয়। এ কারণে তেলের জন্য তাদের প্রচুর খরচ করতে হয়। বিএলএসের এক জরিপ বলছে, ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে যখন অনেক অফিস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তখনও আমেরিকায় বেসরকারি খাতের মাত্র ১৩ শতাংশ কর্মী সার্বক্ষণিক বাড়ি থেকে তাদের কাজ করেছেন। ৭৮ শতাংশ খুব কম বা কখনই বাড়ি থেকে কাজ করেননি।

আরও পড়ুন:
অর্থনীতিতে সংকট বাড়ছে
বাংলাদেশকে নিয়ে ভয় পাচ্ছেন না অর্থনীতিবিদরা
শ্রীলঙ্কার মতো ঝুঁকিতে বাংলাদেশ নয়
দেশে কালো টাকা সাড়ে ৮৮ লাখ কোটি
পরিবারতন্ত্রের ফল আজকের শ্রীলঙ্কা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
House of Representatives passes and26 billion aid bill for Israel

ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে

ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে তেল আবিবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি
বিলে ইউক্রেনের জন্য ছয় হাজার ৮৪ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে ফুরিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র, মজুত ও স্থাপনায় পুনঃঅর্থায়নের জন্য। এতে ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন তথা দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যার মধ্যে ৯১০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে মানবিক প্রয়োজন মেটাতে।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেন ও ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধে থাকা ইসরায়েলের জন্য ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলার সহায়তার বিল পাস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস তথা প্রতিনিধি পরিষদে।

রিপাবলিকান পার্টির কট্টর অবস্থানে থাকা আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও স্থানীয় সময় শনিবার দুই দলের সমর্থনে পাস হয় ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে নিরাপত্তা সহায়তার প্রস্তাবিত আইনটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিলটিকে পাঠানো হয়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে। দুই মাসের বেশি সময় আগে একই ধরনের একটি বিল পাস হয়েছিল উচ্চকক্ষে।

বিলটি নিয়ে ভোটাভুটির জন্য প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান পার্টির স্পিকার মাইক জনসনকে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতা মিচ ম্যাককনেল।

প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া বিলটি মঙ্গলবার বিবেচনায় নেয়ার কথা রয়েছে সিনেটের। ওই দিন বিকেলে এ নিয়ে প্রাথমিক ভোট হওয়ার কথা আছে।

আগামী সপ্তাহে বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে রূপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিলে ইউক্রেনের জন্য ছয় হাজার ৮৪ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে ফুরিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র, মজুত ও স্থাপনায় পুনঃঅর্থায়নের জন্য।

এতে ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন তথা দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যার মধ্যে ৯১০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে মানবিক প্রয়োজন মেটাতে।

বিলটিতে ৮১২ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে তাইওয়ানসহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য।

আরও পড়ুন:
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা আহত
২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ছোড়া হয়েছে গাজায়: জাতিসংঘের দূত
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A young man set himself on fire outside the court during Trumps trial

ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের

ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।  ছবি: এএফপি
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে নিজ গায়ে আগুন দিয়েছেন এক যুবক।

নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যে আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে, তার বাইরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন এক ব্যক্তি। আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।

সম্পর্ক গোপন রাখতে পর্নো তারকাকে দেয়া ঘুষের মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচারিক কার্যক্রম চলছিল এ আদালতে। ওই ব্যক্তি যখন নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন, ট্রাম্প তখন ভেরতেই ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, তিনি ট্রাম্পকে লক্ষ্যবস্তু করে এমনটা করেননি।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্যক্তি প্রথমে নিজের শরীরে তরল জ্বালানি ঢালেন, এর পর আগুন ধরিয়ে দেন সবার সামনেই।

ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মধ্যেই এ মামলায় ট্রাম্পের বিচার চলবে।

আরও পড়ুন:
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বাল্টিমোরে সেতু ধস: নিখোঁজ দুই শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় শ্রমিক
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Preparing to respond to Israeli attacks Iran tells US to withdraw

ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতি: যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলল ইরান

ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতি: যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলল ইরান সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের সাত সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা পোড়ান বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি বলেন, ওয়াশিংটনকে পাঠানো এক লিখিত বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফাঁদে না পড়তে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান।

সিরিয়ায় কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতির মধ্যে ইহুদি রাষ্ট্রটির মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলেছে ইরান।

অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রধান প্রক্সি হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে শনিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি বলেন, ওয়াশিংটনকে পাঠানো এক লিখিত বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফাঁদে না পড়তে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান।

তিনি আরও বলেন, লিখিত বার্তায় বলা হয়েছে, হামলার শিকার হতে না চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সরে যাওয়া।

জামশিদি আরও বলেন, চিঠির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না হানতে বলা হয়েছে ইরানকে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বার্তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি অথবা আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের যেকোনো হামলার ‘উল্লেখযোগ্য’ প্রতিক্রিয়ার জন্য উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার পাশাপাশি প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বাল্টিমোরে সেতু ধস: নিখোঁজ দুই শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় শ্রমিক
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, বহু হতাহতের শঙ্কা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The United States was shaken by the earthquake

যুক্তরাষ্ট্র কাঁপল ভূমিকম্পে

যুক্তরাষ্ট্র কাঁপল ভূমিকম্পে
নিউ ইয়র্ক সিটি এবং আশেপাশের এলাকায় ভবনগুলো কেঁপে উঠেছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প।

স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে দেশটির নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে ৪ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

নিউ ইয়র্ক সিটি এবং আশেপাশের এলাকায় ভবনগুলোও কেঁপে উঠেছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নিউ জার্সির হোয়াইট হাউস স্টেশন থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে ভূমিকম্পের আঘাত হানার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bidens Ultimatum to Netanyahu to Protect Gaza Civilians

গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় নেতানিয়াহুকে আলটিমেটাম বাইডেনের

গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় নেতানিয়াহুকে আলটিমেটাম বাইডেনের গাজার রাফাহতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত দুজনের স্বজনের আহাজারি। ছবি: আহমাদ হাসাবাল্লাহ/গেটি ইমেজেস
রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহুকে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি ও বিদেশি ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের রক্ষা করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। অন্যথায় উপত্যকার শাসক দল হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে সমর্থনের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন লাগাম টানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা শুরুর প্রায় ছয় মাস পর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সত্যিকার অর্থে আলটিমেটাম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহুকে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি ও বিদেশি ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের রক্ষা করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। অন্যথায় উপত্যকার শাসক দল হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে সমর্থনের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন লাগাম টানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যার ইসরায়েলি সামরিক কৌশল পাল্টাতে যুক্তরাষ্ট্রের মাসের পর মাস আহ্বান এবং ইসরায়েলের হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাত খাদ্য সহায়তা কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত বার্তা দিলেন বাইডেন।

গত সোমবার বিমান হামলা চালিয়ে সাত খাদ্য সহায়তা কর্মীকে হত্যার পর সেটি ভুল ছিল বলে স্বীকার করে ইসরায়েল।

এদিকে বাইডেনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর কাছে ঠিক কোন ধরনের পদক্ষেপ চায় এবং সেসব পদক্ষেপ না নিলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা নিয়ে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়া ধীর করে দেয়া কিংবা জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দেয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছে।

আরও পড়ুন:
নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় নিরস্ত্র দুজনকে হত্যার পর মরদেহ বালুচাপা দিল ইসরায়েল
গাজাবাসীকে সমর্থনে কখনও ইতস্তত বোধ করবে না ইরান: আয়াতুল্লাহ
গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১
‘ভেটো না দেয়ায়’ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চটেছে ইসরায়েল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The US is arming Israel despite its conflict with Netanyahu

নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে শুক্রবার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলার পর ঘটনাস্থলে ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স
আল জাজিরা শনিবার জানায়, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার লাগাম টানতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেও ইসরায়েলকে আরেক দফা বোমা ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আল জাজিরা শনিবার জানায়, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার লাগাম টানতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেও ইসরায়েলকে আরেক দফা বোমা ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

নতুন এ চালানে প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র যাবে ইসরায়েলে, যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমান ও বিমান থেকে ছোড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বোমা।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ার মধ্যেই অস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দিল ওয়াশিংটন।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরত থাকার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হঠাৎ বাতিল করেন নেতানিয়াহু। সেই বৈঠকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল অভিযানের পরিকল্পনার বিষয়ে পর্যালোচনার কথা ছিল।

গত প্রায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের দৃশ্যত বিরামহীন হামলায় বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে রাফাহতে। এ মানুষগুলোর নিরাপত্তার প্রশ্নে যেকোনো ধরনের হামলার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
উত্তর গাজায় বিমান থেকে খাদ্য সহায়তা ফেলল যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় যুদ্ধ চলবে: নেতানিয়াহু
ক্ষুধায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকা শিশু বাড়ছে গাজায়: ডব্লিউএইচও
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসর-সৌদি যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Baltimore bridge collapse remains of two missing workers recovered

বাল্টিমোরে সেতু ধস: নিখোঁজ দুই শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার

বাল্টিমোরে সেতু ধস: নিখোঁজ দুই শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার বিশালাকার পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় সোমবার গভীর রাতে ধসে যায় ফ্রান্সিস স্কট কি সেতু। ফাইল ছবি/রয়টার্স
ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশের কর্নেল রোল্যান্ড বাটলার জানান, নদীর উপরিভাগ থেকে ২৫ ফুট নিচে ধসে যাওয়া সেতুর মাঝামাঝি অংশের কাছে লাল রঙের পিকআপে মরদেহটি দুটি পাওয়া যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে সোমবার গভীর রাতে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসের ঘটনায় নিখোঁজ ছয় শ্রমিকের মধ্যে দুজনের দেহাবশেষ বুধবার ডুবুরিরা উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজের পিলারে বিশালাকার পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কার এক দিনের বেশি সময় পর প্যাটাপস্কো নদীর মোহনা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশের কর্নেল রোল্যান্ড বাটলার জানান, নদীর উপরিভাগ থেকে ২৫ ফুট নিচে ধসে যাওয়া সেতুর মাঝামাঝি অংশের কাছে লাল রঙের পিকআপে মরদেহটি দুটি পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, ক্রমবর্ধমান শ্বাপদসংকুল পরিবেশের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদীর তলদেশে মরদেহ শনাক্ত ও উদ্ধারের কাজ স্থগিত করেছে।

বাটলারের ভাষ্য, তাদের হাতে আসা ছবিতে দেখা গেছে, পিকআপটির বাকি অংশ ধসে যাওয়া সেতুর ধ্বংসাবশেষে আটকে গেছে, যার ফলে ডুবুরিদের সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে গেছে।

উদ্ধার হওয়া দুই ব্যক্তির একজন বাল্টিমোরের বাসিন্দা আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫), যিনি মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। অপরজন বাল্টিমোরের ডানডক এলাকার বাসিন্দা ডরলিয়ান রনিয়াল কাস্তিলো (২৬), যিনি এসেছিলেন গুয়াতেমালা থেকে।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহে চার দিন অফিস চান স্যান্ডার্স
সিআইএকে দিয়ে চীনবিরোধী গোপন তৎপরতা ট্রাম্পের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন নিশ্চিত করে ভোটারদের বার্তা বাইডেনের
দেশ-বিদেশে হুমকিতে গণতন্ত্র: বাইডেন
বাইডেনের সঙ্গে ‘যেকোনো সময়’ বিতর্ক চান ট্রাম্প

মন্তব্য

p
উপরে