তীব্র তাপপ্রবাহে ইউরোপে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দাবানলে পুড়ছে ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগালের মতো দেশগুলো। শিগগিরই যে এই ভয়াবহতা কমবে, এমন কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
সপ্তাহখানেক ধরে চলা দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা রীতিমতো যুদ্ধ করেও কোনো সুরাহা করতে পারছেন না বলে শনিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইউরোপের কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর চলে যাওয়ার পর এই দাবানলের সৃষ্টি হয়। দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
স্প্যানিশ সীমান্তের কাছে উত্তর পর্তুগালের ফোজ কোয়া এলাকায় পানি দিয়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একজন পাইলট মারা গেছেন।
ফ্রান্সের গিরোন্ডে অঞ্চল দাবানলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকার ১২ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হযেছে। শহর-গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে অধিবাসীরা।
দক্ষিণ স্পেনে কোস্টা দেল সোলের কাছে মিজাস পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের কারণে এলাকার প্রায় আড়াই হাজার বাসিন্দাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।
বিবিসি বলছে, স্পেন ও পর্তুগালে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। দাবানলের ভয়াবহতা ছাড়াও তাপপ্রবাহে এ দুই দেশে প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে দাবানল। বেগ পেতে হচ্ছে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের। সাম্প্রতিক তাপপ্রবাহে দেশটিতে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফ্রান্সে ১০ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে দাবানল। তিন হাজার কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার থেকে এখন পর্যন্ত পর্তুগালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্পেনেও রয়েছে ৪০-এর ওপর। পর্তুগালে দাবানলে পুড়েছে ৩০ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা।
ইতালিতে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। গ্রিসের ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া দাবানল থামাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মরক্কোসহ আরও কয়েকটি দেশও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হচ্ছে তার প্রভাব পড়ছে এসব দেশে। কার্বন নিঃসরণ না কমাতে পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে দেশগুলো।
আরও পড়ুন:রাশিয়ায় তিন দিনব্যাপী নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় রোববার প্রকাশিত ফলের মধ্য দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী রাশিয়ায় পুতিন সবচেয়ে বড় জয় নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সোভিয়েত আমলের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুতিন প্রথম ক্ষমতায় আরোহণ করেন ১৯৯৯ সালে। এবারের নির্বাচনে জয়ের পর তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, এ ফল পশ্চিমা রাষ্ট্র ও তাদের নেতাদের জন্য বার্তা হওয়া উচিত।
নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে ৭১ বছর বয়সী পুতিন নতুন করে ছয় বছর রাশিয়া শাসন করবেন।
ফের ক্ষমতায় এসে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলে জোসেফ স্তালিনকে ছাড়িয়ে ২০০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে রশিয়ায় সবচেয়ে বেশি বছর ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্রনায়ক হবেন তিনি।
পাবলিক ওপিনিয়ন ফাউন্ডেশন (এফওএম) নামের জরিপকারী সংস্থার বুথ পরবর্তী জরিপের ফল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ পান পুতিন, যা সোভিয়েত পরবর্তী রাশিয়ায় সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে রাশিয়ান পাবলিক ওপিনিয়ন রিসার্চ সেন্টার (ভিসিআইওএম) নামের সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, পুতিন ভোট পান ৮৭ শতাংশ।
উল্লিখিত দুটি সংস্থার হিসাবের সঙ্গে প্রথম দিককার আনুষ্ঠানিক ফলের মিল পাওয়া গেছে।
রাশিয়ায় গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ভোটকে অবাধ কিংবা সুষ্ঠু কোনোটাই মনে করে না যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ সমমনা দেশগুলো।
আংশিক ফল অনুযায়ী, পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলাই খারিতোনভ চার শতাংশের সামান্য কম ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। অন্যদিকে নবাগত ভ্লাদিস্লাভ দাভানকোভ তৃতীয় এবং কট্টর জাতীয়তাবাদী লিওনিদ স্নাৎস্কি চতুর্থ স্থানে আছেন।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের সঙ্গে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের মধ্যে শুক্রবার রাশিয়ার নির্বাচনে শুরু হয়েছে ভোটদান, যেখানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেই শক্তিশালী কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে আরও ছয় বছর ক্ষমতায় থাকা প্রায় নিশ্চিত পুতিনের।
নির্বাচনে তিন দিন ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন রুশ ভোটাররা।
রাশিয়ার একেবারে পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপে ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হয় স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল আটটায়। দেশটির একেবারে পশ্চিমে কালিনিনগ্রাদে রোববার রাত আটটায় শেষ হবে ভোটগ্রহণ।
গত বছরের ডিসেম্বরে সামরিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রুশ জনগণের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে ভ্লাদিমির পুতিন জানান, তিনি পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়বেন।
ওই অনুষ্ঠানে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ অংশ নেয়া রুশ সেনাদের সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে পুতিন বলেছিলেন, ‘এখনই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়। আমি রাশিয়া ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কেনো পরিকল্পনা নেই উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটোর।
ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলেনবার্গ এপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ন্যাটো জোট ইউক্রেনকে নজিরবিহীন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ন্যাটো ২০১৪ সাল থেকেই তা করছে। ইউক্রেনে হামলার পর থেকে এ সহযোগিতা আরও জোরদার হয়েছে। তবে ইউক্রেনের মাটিতে ন্যাটোর কোনো সৈন্য পাঠানোর পরিকল্পনা নেই।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো বলেছেন, কিয়েভের সাথে করা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে ইইউ ও ন্যাটোভুক্ত কিছু দেশ ইউক্রেনে সেনা সদস্য পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে।
তার মন্তব্যের পর চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা এবং পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, এ ধরনের কোনো ইচ্ছে তাদের নেই।
বেশ কিছুদিন ধরে সীমান্তে অবস্থান নেয়ার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনও। তবে নানা তৎপরতার মধ্যেও এ যুদ্ধ থামেনি এখনও। শুরু থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন:এজেন্টদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কমপক্ষে ১২ জন ভারতীয় নাগরিক রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিপক্ষে যুদ্ধ করছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাশিয়ার হয়ে লড়া এসব ভারতীয় নাগরিকের একজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে রাশিয়ায় যাওয়া হেমল অশ্বিনভাই।
হেমলের বাবা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিবিসিকে জানান, তিন দিন আগে তিনি ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
ওই ব্যক্তি জানান, রাশিয়া সীমান্ত থেকে ২০ থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে মোতায়েন করা হয় তার ছেলেকে। মোবাইল নেটওয়ার্ক পেলে কয়েক দিন পরপরই কল দিতেন হেমল।
এমন পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে থাকা ভারতীয় পরিবারগুলো তাদের সন্তানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
রাশিয়ায় যাওয়া ভারতীয়দের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতারণার শিকার হওয়া এসব যুবকের বয়স ২২ থেকে ৩১ বছর। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করার জন্য তাদের রাশিয়ায় নেন এজেন্টরা। পরবর্তী সময়ে প্রশিক্ষণের অজুহাতে তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়।
রাশিয়ায় থাকা ভারতীয় সূত্রগুলো জানায়, রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন বিপুলসংখ্যক ভারতীয় নাগরিক।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র দ্য হিন্দুকে বলেছে, গত বছর রুশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগকৃত ভারতীয়র প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ১০০।
এ বিষয়ে জানতে দিল্লিতে রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিবিসি, তবে তাদের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে সহায়কের ভূমিকায় যুক্ত করা হয়েছে ভারতীয় কিছু নাগরিককে।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার সঙ্গে গত দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইউক্রেনের ৩১ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার দ্বিতীয় বার্ষিকীর পরের দিন রোববার কিয়েভে ‘ইউক্রেন. ইয়ার ২০২৪’ ফোরামে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেন রুশ সেনারা। এ যুদ্ধে উভয় পক্ষেরই অনেক প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, প্রতিটি মৃত্যুই ইউক্রেনের জন্য মহান আত্মত্যাগ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ডগুলোতে হাজারো বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা পাওয়া যাবে না।
ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে পূর্ণমাত্রায় রুশ হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো নিহত সেনার সংখ্যা জানাল ইউক্রেন।
যুদ্ধে নিহত সেনার সংখ্যা নিয়ে রাশিয়াও আনুষ্ঠানিকভাবে খুব কম তথ্য দিয়েছে।
দেশটির স্বাধীন সংবাদমাধ্যম মিডিয়াজোনা শনিবার জানায়, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হন ৭৫ হাজার রুশ নাগরিক।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে রুশ হামলার দ্বিতীয় বার্ষিকীর প্রাক্কালে শুক্রবার রাশিয়া সংশ্লিষ্ট পাঁচ শতাধিক লক্ষ্যবস্তুকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনবে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমো।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া, যা শেষ হয়নি দুই বছরেও।
ইউক্রেনে যুদ্ধ ও রুশ কারাগারে বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়াকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে বেশ কিছু দেশকে সঙ্গে নিয়ে এ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
আদেয়েমো জানান, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে রাশিয়ার সামরিক শিল্প এবং রাশিয়ার প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশটিকে পণ্য সরবরাহ করা অন্য দেশের কোম্পানিগুলো।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর হাজারো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউরোপের বৈশ্বিক পরাশক্তিটির ওপর চাপ বাড়াতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে আমেরিকা ও মিত্র রাষ্ট্রগুলো। যদিও ইউক্রেনকে আরও নিরাপত্তা সহায়তা দেয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসে অনুমোদন পাবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
আরও পড়ুন:স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনায় এক নারীকে যৌন হেনস্তার মামলায় ব্রাজিল জাতীয় দল ও বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলার দানি আলভেজকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বার্সেলোনার একটি আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল বৃহস্পতিবার এ রায় বলে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, মামলার বিচারের সময় ৪০ বছর বয়সী আলভেজ কোনো ধরনের অপরাধ করেননি বলে দাবি করেছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন তিনি।
বার্সেলোনার একটি নাইট ক্লাবের বাথরুমে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভোরে নারীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ছিল আলভেজের বিরুদ্ধে, যার প্রমাণ পায় আদালত। ওই নারীর অভিযোগ, আলভেজ তাকে ধর্ষণ করেছেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা আলভেজের ৯ বছর কারাদণ্ড চান, যেখানে মামলার বাদীর আইনজীবীরা ফুটবলারের ১২ বছরের কারাদণ্ডের আর্জি জানান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আলভেজের খালাস অথবা দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে যেন এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়, সেই আবেদন করেছিলেন।
গত ২০ জানুয়ারি গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে রয়েছেন আলভেজ। তার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য