যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা ট্রাম্পের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিজ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এ তথ্য জানিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট।
ডনাল্ড ট্রাম্পের তিন সন্তানের মা ছিলেন ইভানা। তিনি ট্রাম্প টাওয়ারসহ বেশ কিছু ভবন গড়ায় স্বামীকে সাহায্য করেছেন।
ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি গভীর বেদনার সঙ্গে তাকে পছন্দ করা অনেককে জানাচ্ছি যে, ইভানা ট্রাম্প তার নিউ ইয়র্ক সিটির বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯৭৭ সালে ট্রাম্পকে বিয়ে করেছিলেন ইভানা। এ দম্পতির বিচ্ছেদ হয় ১৯৯২ সালে। তাদের তিন সন্তান হলেন ডনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিক।
সাবেক চেকোস্লোভাকিয়ায় কমিউনিস্ট শাসনের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন ইভানা। ট্রাম্প পরিবারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইভানা ট্রাম্প বেঁচে যাওয়া মানুষ। তিনি কমিউনিজম থেকে পালিয়ে এ দেশকে (যুক্তরাষ্ট্র) বরণ করে নিয়েছিলেন। তিনি সন্তানদের দৃঢ়তা ও কাঠিন্য, সহানুভূতি ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে শিখিয়েছিলেন।’
ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার পরিবারের বিবৃতির কোনোটিতে ইভানার মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়নি, তবে পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাসার সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন ইভানা, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন।
কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে নিজ বাড়িতে ১০০ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
তবে তার মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি এতে। ১৯২৩ সালে জার্মানিতে জন্ম নেয়া কিসিঞ্জিার পরিবারের সঙ্গে ১৯৩৮ সালে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের প্রশাসনের সময় আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে কূটনীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কয়েক দশকের কর্মজীবনের কিসিঞ্জার সুনামের পাশাপাশি বিতর্কের মুখেও পড়েন।
১৯৬৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিক্সন কিসিঞ্জারকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিযুক্ত করেন, সে সময় দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিলেন তিনি।
নিক্সন প্রশাসনের সময় সেক্রেটারি অফ স্টেট হিসেবে এবং পরে প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের অধীনে কিসিঞ্জার চীনের প্রতি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি ইসরায়েল এবং এর প্রতিবেশীদের মধ্যে ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপপুর যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সাহায্য করেছিলেন এবং প্যারিস শান্তি চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ, চিলি ও আর্জেন্টিনায় সামরিক অভ্যুত্থান ছাড়াও ১৯৭৫ সালে পূর্ব তিমুরে ইন্দোনেশিয়ার রক্তক্ষয়ী অভিযানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিবেচিত হন অনেকের কাছেই।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান নেয়ায় কিসিঞ্জারকে এখনও এ দেশে ধিক্কার দেয়া হয়।
১৯৭৩ সালে উত্তর ভিয়েতনামের লি ডাক থোর সঙ্গে কিসিঞ্জারকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। লি ডাক এ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে তখন পদত্যাগ করেন নোবেল কমিটির দুই সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টের বার্লিংটনে তিন ফিলিস্তিনি ছাত্রকে গুলি করা হয়েছে।
বার্লিংটন পুলিশ বিভাগের বরাত দিয়ে সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে স্থানীয় সময় শনিবার ২০ বছর বয়সী তিন যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনার সময় তিন ছাত্র কেফিয়্যাহ পরা অবস্থায় ছিলেন এবং তারা আরবিতে কথা বলছিলেন।
গুলিবিদ্ধ তিনজন হলেন হিশাম আওয়ারতানি, তাহসিন আহমেদ ও কিন্নান আবদালহামিদ। তারা রামাল্লা ফ্রেন্ডস স্কুলের ছাত্র।
ছাত্রদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, থ্যাংকস গিভিংয়ের ছুটিতে বার্লিংটনে এক আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রসপেক্ট স্ট্রিট দিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। ওই সময় একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি কিছু না বলেই পিস্তল বের করে অন্তত চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান।
গুলিবিদ্ধ তিনজনের মধ্যে দুজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং একজন বৈধ বাসিন্দা।
পুলিশ প্রধান জন মুরাদ জানান, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা হয়নি, পুলিশ তাদের খুঁজছে।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে নানা ইসলামোফোবিক ঘটনা বৃদ্ধির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে এই হামলার ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এক সেতুতে দ্রুতগতির একটি গাড়ি বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাছের এ বিস্ফোরণে সন্ত্রাসবাদের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে কর্তৃপক্ষের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রয়টার্স।
বিস্ফোরণের পর নায়াগ্রা নদীর ওপরে থাকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী চারটি সেতুই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জানিয়েছে, তারা তাদের তদন্ত শেষ করেছে। অনুসন্ধানে কোনো বিস্ফোরক পদার্থ পাওয়া যায়নি এবং কোনো সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র শনাক্ত করা যায়নি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে সীমান্তের একটি তল্লাশিচৌকি পার হওয়ার পর গাড়িটি উচ্চ গতিতে ছুটে চলছে। তারপর একটি বস্তুকে আঘাত করছে এবং মাটিতে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে উড়ে যাচ্ছে। শেষে এটি বিস্ফোরিত হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চালক এবং একজন যাত্রী মারা গেছেন। আরও একজন আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হামাসের হামলা ‘ভয়ংকর’ ও ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ ‘অসহনীয়’ উল্লেখ করে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের একটি সংক্ষিপ্ত বোঝাপড়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
আল জাজিরার রোববারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পড সেইভ আমেরিকাকে দেয়া শনিবারের একটি সাক্ষাৎকারে ওবামা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘হামাস যা করেছে তা ভয়ংকর ছিল; এর কোনো যুক্তি নেই। কিন্তু এটাও সত্য যে, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যা ঘটছে তা অসহনীয়।’
‘গাজায় নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনিরাও ছিল, যাদের সঙ্গে হামাসের কোনো যোগসূত্র নেই।’
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সমস্যা সমাধান করতে হলে পুরো সত্যটি জানতে হবে ও স্বীকার করতে হবে আমরা সবাই কিছুটা জড়িত, আমাদের কারও হাতই পরিষ্কার না।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চার সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
আল জাজিরা শুক্রবার জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৯ হাজার ৬১ জন, যাদের মধ্যে তিন হাজার ৭৬০ শিশু ও দুই হাজার ৩২৬ জন নারী। উপত্যকায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে রয়েছেন চার হাজার ৮৯১ নারী ও ছয় হাজার ৩৬০ শিশু।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর উপত্যকায় এক দিনের জন্যও বোমাবর্ষণ বন্ধ করেনি ইসরায়েলি। সামরিকভাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রটির বোমা থেকে রেহাই পাচ্ছে না জাতিসংঘের স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জাও।।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যের লুইসটেনে স্থানীয় সময় বুধবার বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত ও ৫০ থেকে ৬০ জন আহত হয়েছেন।
লুইসটেন পুলিশের একটি সূত্র এনবিসি নিউজকে এ তথ্য জানায় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
রয়টার্স জানায়, হতাহত নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগে মেইন পুলিশ ও অঙ্গরাজ্যের একটি কাউন্টির শেরিফ জানিয়েছিলেন, বুধবার রাতে সক্রিয় এক বন্দুকধারীকে দেখা গেছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুটি পক্ষ বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মেইন অঙ্গরাজ্য পুলিশের পোস্টে বলা হয়, ‘লুইসটেনে সক্রিয় বন্দুকধারী রয়েছে। আমরা লোকজনকে নিজ নিজ স্থানে আশ্রয় নিতে বলেছি।
‘দয়া করে দরজা বন্ধ করে বাড়িতে থাকুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বর্তমানে কয়েকটি স্থানে তদন্ত চালাচ্ছে।’
অ্যান্ড্রোসকগিন কাউন্টি শেরিফের দপ্তর ফেসবুকে সন্দেহভাজনের দুটি ছবি পোস্ট করে জানায়, তাকে ধরতে অভিযান চলছে।
ওই কাউন্টির শেরিফ ছবিতে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্তে স্থানীয়দের সহায়তা চান। সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি দাড়িওয়ালা, যার পরনে ছিল লম্বা হাতাওয়ালা শার্ট ও ডেনিমের প্যান্ট। আর হাতে ছিল রাইফেল।
লুইসটেনের দ্য সেন্ট্রাল মেইন মেডিক্যাল সেন্টার এক বিবৃতিতে জানায়, বন্দুক হামলায় ব্যাপক হতাহতের পরিপ্রেক্ষিতে রোগীদের ভর্তি করতে স্থানীয় হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল লুইসটেন অ্যান্ড্রোসকগিন কাউন্টির অংশ। এটি মেইনের বৃহত্তম শহর পোর্টল্যান্ড থেকে প্রায় ৩৫ মাইল দূরে।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধরত ইসরায়েল, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে থাকা ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য শুক্রবার কংগ্রেসের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা প্যাকেজের অনুরোধ করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলের তেল আবিবে গিয়ে দেশটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল সমর্থনের কথা জানিয়ে এসে বিপুল নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজের অনুরোধ করেন বাইডেন। তার অনুরোধকৃত এ প্যাকেজে শুধু ইসরায়েলের জন্য চাওয়া হয় এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের সমর্থনে ভূমধ্যসাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরি পাঠায় দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের পাশাপাশি ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির প্রতি আমেরিকার অবিচল সমর্থনের কথা জানিয়ে এসেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। পাশাপাশি ইহুদি রাষ্ট্রটির যা যা লাগবে, তা দিতে আমেরিকা প্রস্তুত রয়েছে বলে বার্তা দিয়েছেন তারা।
বোমা ও প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হোটেল থেকে জাতীয় মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী বার্ষিক ভোজসভা সরিয়ে নিয়েছে।
মুসলিমদের নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস’ (সিএআইআর) বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়। খবর ইউএনবির
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে আটকা পড়া ফিলিস্তিনিদের জন্য এ সংস্থাটির উদ্বেগ রয়েছে।
সিএআইআর ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পোটোম্যাক নদীর ঠিক ওপারে আর্লিংটনের ম্যারিয়ট ক্রিস্টাল গেটওয়েতে শনিবার তাদের ২৯তম বার্ষিক ভোজসভার পরিকল্পনা বাতিল করেছে।
এক দশক ধরে হোটেলটি ব্যবহার করে আসা সংস্থাটি কঠোর নিরাপত্তাসহ একটি অজ্ঞাত স্থানে ভোজসভা সরিয়ে নেবে বলে গ্রুপের বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে কিছু ব্যক্তি হোটেলের পার্কিং গ্যারেজে বোমা স্থাপন, হোটেলের নির্দিষ্ট কর্মীদের তাদের বাড়িতে হত্যা ও ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল ভবনে হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হুমকি দিয়েছে।’
আর্লিংটন পুলিশ এক ই-মেইলে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে হোটেল থেকে সিএআইআর ইভেন্টে ‘কিছু বোমা হামলার হুমকির’ বিষয়ে বেনামি ফোন কল পাওয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এফবিআইয়ের কাছ থেকে মন্তব্য চেয়ে ই-মেইলগুলো সিএআইআরও তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার ইস্যুতে ফোকাস করার জন্য সিএআইআর ভোজের প্রোগ্রামিং আপডেট করার পরে এই হুমকি এসেছে। গ্রুপটি গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচারের জন্য কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি অনলাইন প্রচারণা শুরু করেছে।
সিএআইআর-এর ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নিহাদ আওয়াদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা আমাদের সংস্থা, ম্যারিয়ট হোটেল ও এর কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম ও ঘৃণ্য হুমকির তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা ফিলিস্তিন বিরোধী বর্ণবাদী ও মুসলিম বিদ্বেষীদের হুমকি মেনে নেব না, যারা ফিলিস্তিনি জনগণকে অমানবিক করতে চায় এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার পেতে বাধা দিতে আমেরিকান মুসলমানদের চুপ করিয়ে দিতে চায়।’
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে হামাস গত ৭ অক্টোবর নিকটবর্তী ইসরায়েলি শহরগুলোতে হামলা চালায়। এতে শত শত সামরিক-বেসামরিক লোক নিহত হয়। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ও শত শত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।
এ যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতাকে অনুপ্রাণিত করবে বলে উদ্বেগ রয়েছে।
মন্তব্য