ক্যালিফোর্নিয়ায় গত বছরের মত এবারও ছড়িয়ে পড়া দাবানলে হুমকিতে পড়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রজাতির গাছগুলোর একটি জায়ান্ট সিকোইয়াসের প্রায় ৫০০ গাছ। গত বছরের দাবানলেও কয়েক হাজার সিকোইয়াস গাছ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ জুলাই শুরু হওয়া এই দাবানলে হুমকিতে পড়া সিকোইয়াস গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত গ্রিজলি জায়ান্টও। প্রায় ৩ হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকা এই গাছটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গাছ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ক্যালিফোর্নিয়ার এই ওয়াশবার্ন দাবানলের তীব্রতা দ্বিগুণ হয়েছে। দমকলকর্মীরা গাছগুলোকে রক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে দাবানলের কাছাকাছি থাকা প্রায় ১ হাজার ৬০০ বাসিন্দা ও ক্যাম্পারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এরই মধ্যে দাবানলে ১ হাজার ৫৯১ একর বনভূমি পুড়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ আগুন লাগার কারণ বের করতে তদন্ত শুরু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশটিতে দাবানল বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরই এখন পর্যন্ত দেশটিতে দাবানলের ঘটনা ঘটেছে ৩৫ হাজার।
ক্যালিফোর্নিয়ার যে স্থানে গাছগুলো রয়েছে সেই মারিপোসা বনাঞ্চল হল দেশটির ফেডারেল সরকারের আইনে সুরক্ষিত প্রথম প্রাকৃতিক এলাকা। ১৮৬৪ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন এই সুরক্ষা আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন।
জায়ান্ট সিকোইয়াস গাছগুলোর আকৃতি বিশাল। সবচেয়ে বড়টি ৮৩ মিটার (২৭৫ ফুট) লম্বা এবং এর ব্যাস ১১ মিটার (৩৬ ফুট)। এগুলো প্রায় ৩ হাজার বছর বাঁচে।
আরও পড়ুন:ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক সালমান রুশদির ওপর হামলায় জড়িত অভিযোগে আটক হাদি মাতার স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ছিলেন প্রচণ্ড ধর্মপ্রাণ। তার বন্ধুরা বলছেন, হাদির এমন সহিংস রূপ তাদের অচেনা।
নিউ ইয়র্কে শুক্রবার সকালে সালমান রুশদিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ২৪ বছর বয়সী হাদিকে।
গুরুতর আহত রুশদির সার্জারির পর তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তার বইয়ের এজেন্ট এন্ড্রু ওয়াইলি জানিয়েছেন, সম্ভবত তিনি এক চোখ হারিয়েছেন। তার যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশদির অবস্থা ভালো নয়।
আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুলিশের হাতে আটক হাদি মাতারের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় হলেও তিনি নিউ জার্সির ফেয়ারভিউ এলাকায় বসবাস করছিলেন।
হাদির জন্মের আগে তার বাবা-মা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের ইয়ারুন থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান। ইয়ারুন পৌরসভার প্রধান আলী কাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লেবাননের সংবাদপত্র ডেইলি আন-নাহারকে তিনি বলেন, হাদির জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে, তিনি কখনও ইয়ারুনে আসেননি।
হাদির বিরুদ্ধে এখনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে, রুশদির অবস্থা দেখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হবে তার বিরুদ্ধে।
হাদি মাতার ২০১৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নিউ জার্সিতে আসেন। ক্যালিফোর্নিয়ার এলিজাবেথ লার্নিং সেন্টারে তার সহপাঠীরা জানান, তারা হাদিকে প্রচণ্ড ধার্মিক হিসেবে জানতেন।
হাদি মাতারের সাবেক সহপাঠী গ্যাব্রিয়েল সানচেজ বলেন, ‘হাদি এমন একটি জঘন্য অপরাধ করেছে শুনে আমি হতবাক হয়ে গেছি। ক্যালিফোর্নিয়ার এলিজাবেথ লার্নিং সেন্টারে সে আমার সহপাঠী ছিল। হাদি ছিল খুবই ধর্মপ্রাণ এক মুসলমান। সে বিতর্কে অংশ নিত এবং তার বেশ কয়েকজন বন্ধু ছিল।’
গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘হাদি আমাদের স্কুলের রেস্টরুমে অজু করত। একবারই ওকে প্রচণ্ড রেগে যেতে দিখেছি। বছরের শেষের দিকে আমাদের জীববিজ্ঞান শিক্ষকের ক্লাসের মূল্যায়নে সে লিখেছিল, তিনি (শিক্ষক) ধর্ম সম্পর্কে যেভাবে কথা বলেন, তাতে মনে হয় ধর্মকে তিনি ঘৃণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাদি আমার সঙ্গে যে কয়েকটি বিষয়ে কথা বলেছে, তার একটি ছিল দয়া। সালমান রুশদির ওপর যে হাদি এই আক্রমণ করেছে, সে আমার অতীতের চেনা হাদি নয়। কারণ আমি যাকে চিনতাম, সে দয়ার কথা বলত।’
হাদি মাতারের আগের রেকর্ড জানতে এবং হামলার উদ্দেশ্য বের করতে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সহায়তা চেয়েছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।
নিউ ইয়র্ক পুলিশের মেজর ইউজিন স্ট্যানিসজেউস্কি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ছুরিকাঘাতের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাদির অ্যাকাউন্টগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি শিয়া চরমপন্থা এবং ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রতি সহানুভূতিশীল।
হাদির ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়েও তথ্য পেয়েছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। এ ড্রাইভিং লাইসেন্সে তিনি ব্যবহার করেছেন লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গ্রুপ হিজবুল্লাহ নেতা মুগনিয়ার নাম। জিহাদ মুগনিয়া ২০১৫ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন।
নিউ জার্সিতে আসার পর গত কয়েক বছরে হাদি মাতারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে গত এপ্রিলে তিনি বক্সিং শিখতে শুরু করেন।
স্টেট অফ ফিটনেস বক্সিং ক্লাবের এক মুখপাত্র জানান, মাতার এপ্রিলে বক্সিং গ্রুপ ক্লাস করতে ভর্তি হন। গত ৯ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ক্লাবে সদস্যপদ বহাল রাখেন।
নিউ জার্সিতে হাদির প্রতিবেশীরা তার সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য দিতে পারেনি। আশপাশের সবাইকে অনেকটা এড়িয়ে চলতেন হাদি।
এক প্রতিবেশী জানান, তারা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে হাদি মাতারকে শনাক্ত করেন।
একটি হাসপাতালের সাবেক কর্মী আন্তোনিও লোপা বলেন, ‘আমি হাদি মাতারের বাড়ির সামনের রাস্তার উল্টো দিকে থাকি। প্রায়ই ওকে বাড়ি ফিরতে দেখেছি, তবে কখনও কথা হয়নি।’
৭০ বছর বয়সী লোপার ধারণা, হাদির বাসায় আরও ছয়-সাতজন থাকতেন। সম্ভবত তারা সবাই আত্মীয়। তিন থেকে চার বছর আগে তারা দ্বিতল ভবনটিতে আসেন।
নিউ ইয়র্কের শাটোকোয়া ইনস্টিটিউশনে শুক্রবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার সময় সালমান রুশদির ওপর হামলা চালান হাদি মাতার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুশদিকে ২০ সেকেন্ডে ১০ থেকে ১৫ বার ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলার পর রুশদি তৎক্ষণাৎ মেঝেতে পড়ে যান।
আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লেখককে ঘিরে ফেলেন। অনুষ্ঠানে আনুমানিক আড়াই হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘রুশদিকে মুহূর্তের মধ্যে বেশ কয়েকবার আঘাত করা হয় এবং তিনি তার রক্তের ওপরই লুটিয়ে পড়েন।’
হামলায় সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী হেনরি রিসও মাথায় সামান্য আঘাত পান। রিস একটি অলাভজনক সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা, যা নিপীড়নের হুমকির মধ্যে থাকা নির্বাসিত লেখকদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ উপন্যাস দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। শুধু যুক্তরাজ্যেই বইটির ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল।
১৯৮৮ সালে দ্য স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাস লেখার পর থেকে বছরের পর বছর প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে আসছেন এ লেখক।
স্যাটানিক ভার্সেস রুশদির চতুর্থ উপন্যাস। এ বই লেখার জন্য রুশদিকে ৯ বছর আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল।
ওই বই প্রকাশের পর সহিংসতায় অন্তত ৩০ জন নিহত হন। এর মধ্যে ছিলেন উপন্যাসটির জাপানি ভাষার অনুবাদকও।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে অতি গোপনীয়সহ মোট ১১টি নথি উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই)। আর এই অভিযান চালানো হয়েছে গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে।
গত মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মার-এ-লাগো এস্টেটে চালানো ওই অভিযান নিয়ে শুক্রবার এফবিআই এ তথ্য জানিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দেশটির বিচারিক আদালতের দেয়া পরোয়ানায় ট্রাম্পের বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরোয়ানায় আসলে কী আছে, তা নিয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো পরোয়ানার কপি পেয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে প্রকাশ করছে। এতেই উঠে এসেছে নানা ঘটনা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বলছেন, যা চলছে তা রাজনৈতিক।
ট্রাম্পের বাসায় যে পরোয়ানায় তল্লাশি, তাতে মূলত তিনটি অভিযোগ। এর মধ্যে একটি হলো গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘন। এই আইনে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করতে পারে- এমন তথ্য প্রকাশ করাকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, উদ্ধার হওয়া নথিগুলো কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। একটি তালিকা ‘টিএস/এসসিআই’ বা অতি গোপন/সংবেদনশীল তথ্যের জন্য সংরক্ষিত। এ নথির তালিকায় ‘অতি গোপন নথির চার সেট’, ‘গোপন নথির তিনটি সেট’ এবং ‘গোপনীয়’ নথির তিনটি সেট করা হয়েছে।
এফবিআইয়ের উদ্ধার করা জিনিসের মধ্যে ২০টি বাক্স, ফটো বাইন্ডার, ‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট’ সম্পর্কে লেখা এবং ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক পরামর্শদাতা রজার স্টোনের পক্ষে লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক বিবৃতিতে বলেছেন, উদ্ধার হওয়া সব কিছু ‘শ্রেণিবদ্ধ’ এবং ‘নিরাপদে’ সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এসব জিনিস জব্দ করার কিছু নেই। রাজনৈতিক নাটক না করে, বাসায় না তল্লাশি চালিয়েও এগুলো তারা নিতে পারতেন।
এফবিআই এজেন্টরা গত মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মার-এ-লাগো এস্টেটে অভিযান চালায়। এরপর ট্রাম্পের অসংখ্য আইনি জটিলতাগুলো আবার লাইমলাইটে চলে আসে।
এফবিআইয়ের দাবি, ২০২১ সালে হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় গোপনীয় কিছু তথ্য সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এমন ধারণাই এখন স্পষ্ট।
এর আগে ট্রাম্পের ছেলে ডনাল্ড জুনিয়র এবং ইভাঙ্কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
নানা নাটকীয়তার পর গত বছরের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়েন ট্রাম্প। ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আবার লড়বেন বলে আলোচনা চলছে।
এরই মধ্যে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বাসভবনে এফবিআইয়ের অভিযান ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় উঠেছে। রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতারা বিচার বিভাগ ও এফবিআইয়ের কঠোর নিন্দা করেছেন।
আরও পড়ুন:সালমান রুশদিকে ২০ সেকেন্ডে ১০ থেকে ১৫ বার আঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। দৃশ্যটা এতটাই নাটকীয় ছিল যে উপস্থিত দুই হাজারের বেশি দর্শক শুরুতে এটিকে ‘স্টান্ট’ ভেবেছিল।
নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার সময় স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় হামলার শিকার হন লেখক সালমান রুশদি। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও অবস্থা সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রাব্বি চার্লস নামের একজন বলেন, ‘প্রথমে বুঝতে পারিনি কী ঘটছে। কয়েক সেকেন্ড পর বিষয়টি বুঝতে পারি। হামলাটি প্রায় ২০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।’
এপির একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, হামলাকারী রুশদিকে ১০ থেকে ১৫ বার ঘুষি বা ছুরিকাঘাত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন ক্যাথলিন জোনস। তিনি বলেন, ‘হামলাকারী কালো পোশাকে ছিলেন, মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। আমরা ভেবেছিলাম সম্ভবত এটি একটি স্টান্টের অংশ। তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিষয়টা স্পষ্ট যায়।’
এপি বলছে, হামলার পর রুশদি তৎক্ষণাৎ মেঝেতে পড়ে যান। তখন হামলাকারী শান্ত হয়। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লেখককে ঘিরে ফেলেন। অনুষ্ঠানে আনুমানিক আড়াই হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘রুশদিকে মুহূর্তের মধ্যে বেশ কয়েকবার আঘাত করা হয় এবং তিনি তার রক্তের ওপরই লুটিয়ে পড়েন।’
ঘটনার পরই রিটা ল্যান্ডম্যান নামের একজন সহযোগিতার জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন এই বলে যে, তাকে জীবিত মনে হচ্ছে এবং তার সিপিআর প্রয়োজন।
ল্যান্ডম্যান বলেন, ‘লোকজন বলাবলি করছিল, তার এখনও নাড়ির স্পন্দন আছে, নাড়ির স্পন্দন আছে...।’
হামলাটির মুহূর্তে সামনের সারিতেই বসেছিলেন ওহিওর ক্লিভল্যান্ডের বাসিন্দা রজার ওয়ার্নার। তিনি বলেন, ‘তিনি (রুশদি) রক্তে ভেসে যাচ্ছিলেন। আর মেঝেতে রক্তের স্রোতধারা বইছিল।
‘আমি শুধু তার চোখের চারপাশে রক্ত দেখছিলাম, যা তার গাল বেয়ে নেমে যাচ্ছিল।’
Thank you to the swift response of @nyspolice & first responders following today's attack of author Salman Rushdie.
— Governor Kathy Hochul (@GovKathyHochul) August 12, 2022
Our thoughts are with Salman & his loved ones following this horrific event. I have directed State Police to further assist however needed in the investigation.
নিউ ইয়র্ক স্টেট পুলিশ ছুরিকাঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, রুশদিকে হেলিকপ্টারে কাছের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হামলাকারী তাদের হেফাজতে আছে।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল টুইটে বলেন, ‘আমরা সালমান (রুশদি) এবং তার প্রিয়জনদের পাশে আছি। তদন্তে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’
আরও পড়ুন:ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক সালমান রুশদির ওপর নিউ ইয়র্কে হামলা হয়েছে। ঘাড়ে জখমসহ ৭৫ বছরের রুশদিকে ভর্তি করা হয়েছে একটি হাসপাতালে। তবে তার অবস্থা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলাকারী এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রুশদির অস্ত্রোপচার চলছিল।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে নিউ ইয়র্কের শাটোকোয়া ইনস্টিটিউশনের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন বুকার পুরস্কার বিজয়ী এই লেখক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এক ব্যক্তি দৌঁড়ে মঞ্চে ওঠেন। রুশদির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময় তাকে ঘুষি বা ছুরিকাঘাত করতে দেখেছেন তারা।
অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘটনার পরপরই মঞ্চে ছুটে আসছেন অংশগ্রহণকারীরা।
#SalmanRushdie was attacked on stage at an event in #NewYork.
— Mirror Now (@MirrorNow) August 12, 2022
"He is alive and has been transported, airlifted, to safety. The event moderator was attacked as well, he is getting the care he needs at a local hospital," said Kathy Hochul, Governor of New York State, USA. pic.twitter.com/eOD0yGX9Ef
নিউ ইয়র্ক স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি মঞ্চে ওঠে রুশদি ও একজন সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর ওপর হামলা চালান।
বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে রুশদির ঘাড়। পরে লেখককে হেলিকপ্টারে করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ডেইলি মিররের খবরে বলা হয়, মঞ্চে ওঠে এক ব্যক্তি রুশদিকে ঘুষি শুরু করলে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। এরপর লেখকের প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মঞ্চ, তার চেয়ার এবং আশপাশ রক্তে ভেসে যায়।
হামলায় সাক্ষাৎকার-গ্রহণকারী হেনরি রিসও মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন। রিস একটি অলাভজনক সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা; যা নিপীড়নের হুমকির মধ্যে থাকা নির্বাসিত লেখকদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ উপন্যাস দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। শুধু যুক্তরাজ্যেই বইটির ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল।
১৯৮৮ সালে দ্য স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাস লেখার পর থেকে বছরের পর বছর প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে আসছেন এই লেখক।
দ্য স্যাটানিক ভার্সেস তার রুশদির চতুর্থ উপন্যাস। এই বই লেখার জন্য রুশদিকে ৯ বছর আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল।
পরাবাস্তববাদী ও উত্তর-আধুনিক এই উপন্যাসটি কিছু মুসলিমের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল; যারা এর বিষয়বস্তুকে নিন্দাজনক বলে মনে করেন। ইরান ও বাংলাদেশসহ কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশে বইটি নিষিদ্ধও করা হয়েছিল।
বইটি প্রকাশের এক বছর পর, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি রুশদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আহ্বান জানান । তার মাথার জন্য ৩০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন খোমেনি।
তারপরও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন রুশদি। এক পর্যায়ে ইরান সরকার সরে আসে খোমেনির ডিক্রি থেকে।
দ্য স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশনার পর সহিংসতায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ছিলেন উপন্যাসটির জাপানি ভাষায় অনুবাদকও।
রুশদির ব্রিটিশ এবং আমেরিকান নাগরিকত্ব রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে একজন সোচ্চার কণ্ঠ তিনি।
২০০৭ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন, তখন ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ইরান ও পাকিস্তান। পাকিস্তানের একজন মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী বলেছিলেন, এ সম্মান ‘আত্মঘাতী হামলাকে ন্যায্যতা দেয়।’
এসব হুমকির কারণে রুশদির অনেক অনুষ্ঠান বাতিলও হয়েছে।
সবশেষ পশ্চিম নিউ ইয়র্কের শাটোকোয়া ইনস্টিটিউশনের আয়োজনে তার উপস্থিতি ছিল অলাভজনক একটি সংস্থার আয়োজিত গ্রীষ্মকালীন বক্তৃতা সিরিজে প্রথমবার।
সংস্থাটির অন-সাইট পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
অনুষ্ঠানস্থলের একজন শিল্পী জানান, সকালে অ্যাম্ফিথিয়েটারে হামলার আগ পর্যন্ত রিহার্সালগুলো স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। অনুষ্ঠানটি এখন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের রিসোর্ট ও বাসায় যে পরোয়ানার ভিত্তিতে এফবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল, সেটি উন্মুক্ত করা হতে পারে।
এ বিষয়ে ফ্লোরিডার আদালতের কাছে আবেদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে তল্লাশি পরোয়ানা প্রকাশে আবেদনের ঘটনা বিরল। নথিটি উন্মুক্ত করার অর্থ হলো সেটিতে কী আছে, তা দেখতে পারবেন জনসাধারণ।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, গত সোমবার ট্রাম্পের বাড়ি মার-এ-লাগোতে যে পরোয়ানার ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়, সেটির অনুমোদন দিয়েছেন তিনি।
সেদিন ট্রাম্পের বাসায় কেন অভিযান চালানো হয়, তা জানায়নি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ, তবে উন্মুক্ত হতে যাওয়া পরোয়ানায় বিষয়টি থাকতে পারে।
এমন বাস্তবতায় স্থানীয় সময় শুক্রবার পর্যন্ত পরোয়ানা খোলাসা করার বিষয়ে আপত্তি জানানোর সুযোগ পাবেন ট্রাম্প। তিনি চাইলে তল্লাশির বিষয়ে নিজেই বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে হোয়াইট হাউস থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল কিছু রেকর্ড ও নথি ট্রাম্প সরিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ভিত্তিতে সোমবার তার ফ্লোরিডার বাসায় তল্লাশি অভিযানে যান এফবিআই এজেন্টরা।
ওই অভিযানে এফবিআই যেসব সামগ্রী খুঁজছিল, তার মধ্যে পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত নথিও রয়েছে বলে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে করা ওই প্রতিবেদনে নথিটি যুক্তরাষ্ট্রের নাকি অন্য দেশের পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত, তা জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবনে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের অভিযান নিয়ে যখন তিনি চড়াও, তখন অবকাশে পরিবারের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটাচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শীতকালীন বাসভবন নামে পরিচিত মার-এ-লাগোতে এফবিআইয়ের এমন অভিযান কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ট্রাম্প।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেনকে সমীচীন জবাব দেয়ার কথাও জানিয়েছেন এই রিপাবলিকান নেতা।
অভিযানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এমন বার্তা দেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
সোমবার এফবিআই অভিযান চালাতে পারে এমন খবর পেয়ে শুক্রবার থেকেই ফ্লোরিডার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন ট্রাম্প সমর্থকরা।
স্থানীয় সময় বুধবার পারিবারিক অবকাশে অংশ নিতে সাউথ ক্যারোলিনায় পৌঁছান জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন।
প্রেসিডেন্টের বহনকারী বিশেষ উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে চেপে সেখানে যান বাইডেনপুত্র।
হোয়াইট হাউস ছেড়ে ট্রাম্প তার পাম বিচ এস্টেটের ওই বাসভবনে যাওয়ার সময় রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সঙ্গে নিয়েছিলেন কি না তা জানতে ফেডারেল তদন্তের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।
জুনিয়র বাইডেন, তার স্ত্রী মেলিসা কোহেন এবং তাদের ছেলে বিউ মেরিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুসে জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন এবং ছবি তোলেন। জো বাইডেন এরপর সবাইকে নিয়ে ছুটি কাটাতে সাউথ ক্যারোলিনার কিয়াওয়াহ দ্বীপে উড়াল দেন।
তাদের অবকাশে যাওয়ার দুই দিন আগে স্থানীয় সময় সোমবার এফবিআই এজেন্টরা ট্রাম্পের ফ্লোরিডার রিসোর্ট ও বাড়ি মার-এ-লাগোতে অভিযান চালান।
অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডের অধীনে বিচার বিভাগ কেন অভিযানের মতো এমন কঠোর পদক্ষেপ নেবে তা নিয়ে নানা মহলে উঠেছে প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও সন্দেহ।
হান্টার বাইডেনের আর্থিক এবং বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ে ফেডারেল তদন্ত যখন একটি জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছে, তখন জনমানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এমন তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে কি না তা নিয়েও সন্দেহ জেগেছে জনমনে।
করসংক্রান্ত তদন্তে বাইডেনপুত্রকে অভিযুক্ত করা হবে কি না তা নিয়ে সংকটে পড়েছেন ফেডারেল কর্মকর্তারা। একটি সূত্র এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে।
ফেডারেল কর্মকর্তারা কর আইন লঙ্ঘন, সম্ভাব্য বিদেশি লবিং ছাড়াও আরও কিছু বিষয়ে হান্টার বাইডেনকে অভিযুক্ত করবেন কি না তা খতিয়ে দেখছেন।
ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ বিচার ব্যবস্থা ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি হান্টার বাইডেনের ব্যবসায়িক লেনদেন বিষয়ে তদন্ত করে গত মাসের শেষ দিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এ বিষয়ে বিচারক জানিয়েছেন, বাইডেনপুত্রের বিষয়ে এখনও অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
ট্রাম্পের নিযুক্ত ডেলাওয়্যার প্রসিকিউটর ইউএস অ্যাটর্নি ডেভিড ওয়েইস তদন্তকাজটি পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইভান্সভিল শহরে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টার এই বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩৯টি বাড়ি।
এ ঘটনায় ইভান্সভিল ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান মাইক কনেলি জানিয়েছেন, দুপুর ১টার দিকে বিস্ফোরণে মোট ৩৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের সময় কতটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে তা বিভাগ নিশ্চিত করতে পারেনি। কারণ কিছু বাড়িতে তারা এখনও ঢুকতে পারেননি।’
ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি বাড়ির মধ্যে কমপক্ষে ১১টি বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে, কনেলি স্থানীয় ইভান্সভিল কুরিয়ার অ্যান্ড প্রেসকে এমনটি জানিয়েছেন।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরকবিষয়ক ব্যুরো তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিস্ফোরণের ফলে ভবনের ধ্বংসাবশেষ ১০০ ফুট ব্যাসার্ধে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে।
ইভান্সভিল পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সার্জেন্ট আনা গ্রে বলেন, অন্তত একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য