যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ফেলে যাওয়া একটি লরি থেকে ৫৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মানব পাচার আইনে চালকসহ দুইজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
টোক্সাসের বাসিন্দা হোমেরো জেমোরানো নামের ওই চালককে লরির পাশে একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তিনি পুলিশকে অভিবাসনপ্রত্যাশী হিসেবে পরিচয় দেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
মেক্সিকোর অভিবাসনবিষয়ক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেমোরানো প্রথমে নিজেকে বেঁচে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশী হিসেবে পরিচয় দেন।
মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার অন্যজন হলেন ক্রিসচিয়ান মারটিনেজ। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
লরিটির নিবন্ধনের ঠিকানার সঙ্গে এই দুই ব্যক্তির নাম-পরিচয়ের মিল রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিজ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুইজনের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আবদ্ধ লরিতে অতিগরমে হিটস্ট্রোক এবং পানিশূন্যতায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ২৭ জন মেক্সিকোর নাগরিক, ১৪ জন হন্ডুরাস , সাতজন গুয়াতেমালা ও দুইজন আল-সালভাদরের নাগরিক।
স্থানীয় সময় গত সোমবার টেক্সাসের সান আন্তোনিওতে একটি লরির ভেতর থেকে ৫৩ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মারা যাওয়া সবাই যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিল।
সান আন্তোনিও ডিস্ট্রিক্ট-৪ সিটি কাউন্সিলের প্রতিনিধি আদ্রিয়ানা রোচা গার্সিয়া জানিয়েছেন, পুলিশপ্রধান উইলিয়াম ম্যাকম্যানাস তাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
রোচা গার্সিয়া আরও জানিয়েছেন, আরও ১৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে যে হাসপাতালে নেয়া ১৬ জনের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে।
এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লরিটিতে কোনো ধরনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি ভেতরে খাওয়ার পানিও ছিল না।
মেথোডিস্ট হেলথ কেয়ারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেখানে তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।
বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা গরম, হিটস্ট্রোকে ভুগছিলেন।
সান আন্তোনিওর পুলিশপ্রধান জানিয়েছেন, এ ঘটনার তদন্ত এখন ফেডারেল এজেন্টদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তিনজনকে এরই মধ্যে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সান আন্তোনিও, যা যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্ত থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে। অভিবাসীদের পাচার করার জন্য একটি প্রধান ট্রানজিট রুট। লরিটি সান আন্তোনিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে রেললাইনের পাশেই পাওয়া যায়।
টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এই মৃত্যুর জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন এবং এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নেয়া অতি উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির ফল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেন ও ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধে থাকা ইসরায়েলের জন্য ৯৫ বিলিয়ন (৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলার সহায়তার বিল পাস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস তথা প্রতিনিধি পরিষদে।
রিপাবলিকান পার্টির কট্টর অবস্থানে থাকা আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও স্থানীয় সময় শনিবার দুই দলের সমর্থনে পাস হয় ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে নিরাপত্তা সহায়তার প্রস্তাবিত আইনটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিলটিকে পাঠানো হয়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে। দুই মাসের বেশি সময় আগে একই ধরনের একটি বিল পাস হয়েছিল উচ্চকক্ষে।
বিলটি নিয়ে ভোটাভুটির জন্য প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান পার্টির স্পিকার মাইক জনসনকে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতা মিচ ম্যাককনেল।
প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া বিলটি মঙ্গলবার বিবেচনায় নেয়ার কথা রয়েছে সিনেটের। ওই দিন বিকেলে এ নিয়ে প্রাথমিক ভোট হওয়ার কথা আছে।
আগামী সপ্তাহে বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে রূপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিলে ইউক্রেনের জন্য ছয় হাজার ৮৪ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে ফুরিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র, মজুত ও স্থাপনায় পুনঃঅর্থায়নের জন্য।
এতে ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন তথা দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যার মধ্যে ৯১০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে মানবিক প্রয়োজন মেটাতে।
বিলটিতে ৮১২ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে তাইওয়ানসহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে নিজ গায়ে আগুন দিয়েছেন এক যুবক।
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যে আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে, তার বাইরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন এক ব্যক্তি। আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।
সম্পর্ক গোপন রাখতে পর্নো তারকাকে দেয়া ঘুষের মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচারিক কার্যক্রম চলছিল এ আদালতে। ওই ব্যক্তি যখন নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন, ট্রাম্প তখন ভেরতেই ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, তিনি ট্রাম্পকে লক্ষ্যবস্তু করে এমনটা করেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্যক্তি প্রথমে নিজের শরীরে তরল জ্বালানি ঢালেন, এর পর আগুন ধরিয়ে দেন সবার সামনেই।
ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মধ্যেই এ মামলায় ট্রাম্পের বিচার চলবে।
আরও পড়ুন:সিরিয়ায় কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতির মধ্যে ইহুদি রাষ্ট্রটির মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলেছে ইরান।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রধান প্রক্সি হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে শনিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি বলেন, ওয়াশিংটনকে পাঠানো এক লিখিত বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফাঁদে না পড়তে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান।
তিনি আরও বলেন, লিখিত বার্তায় বলা হয়েছে, হামলার শিকার হতে না চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সরে যাওয়া।
জামশিদি আরও বলেন, চিঠির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না হানতে বলা হয়েছে ইরানকে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বার্তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি অথবা আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের যেকোনো হামলার ‘উল্লেখযোগ্য’ প্রতিক্রিয়ার জন্য উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার পাশাপাশি প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে দেশটির নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে ৪ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক সিটি এবং আশেপাশের এলাকায় ভবনগুলোও কেঁপে উঠেছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নিউ জার্সির হোয়াইট হাউস স্টেশন থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে ভূমিকম্পের আঘাত হানার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল।
ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা শুরুর প্রায় ছয় মাস পর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সত্যিকার অর্থে আলটিমেটাম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহুকে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি ও বিদেশি ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের রক্ষা করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। অন্যথায় উপত্যকার শাসক দল হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে সমর্থনের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন লাগাম টানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যার ইসরায়েলি সামরিক কৌশল পাল্টাতে যুক্তরাষ্ট্রের মাসের পর মাস আহ্বান এবং ইসরায়েলের হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাত খাদ্য সহায়তা কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত বার্তা দিলেন বাইডেন।
গত সোমবার বিমান হামলা চালিয়ে সাত খাদ্য সহায়তা কর্মীকে হত্যার পর সেটি ভুল ছিল বলে স্বীকার করে ইসরায়েল।
এদিকে বাইডেনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর কাছে ঠিক কোন ধরনের পদক্ষেপ চায় এবং সেসব পদক্ষেপ না নিলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা নিয়ে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়া ধীর করে দেয়া কিংবা জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দেয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আল জাজিরা শনিবার জানায়, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার লাগাম টানতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেও ইসরায়েলকে আরেক দফা বোমা ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
নতুন এ চালানে প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র যাবে ইসরায়েলে, যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমান ও বিমান থেকে ছোড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বোমা।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ার মধ্যেই অস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দিল ওয়াশিংটন।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরত থাকার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হঠাৎ বাতিল করেন নেতানিয়াহু। সেই বৈঠকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল অভিযানের পরিকল্পনার বিষয়ে পর্যালোচনার কথা ছিল।
গত প্রায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের দৃশ্যত বিরামহীন হামলায় বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে রাফাহতে। এ মানুষগুলোর নিরাপত্তার প্রশ্নে যেকোনো ধরনের হামলার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে সোমবার গভীর রাতে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসের ঘটনায় নিখোঁজ ছয় শ্রমিকের মধ্যে দুজনের দেহাবশেষ বুধবার ডুবুরিরা উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজের পিলারে বিশালাকার পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কার এক দিনের বেশি সময় পর প্যাটাপস্কো নদীর মোহনা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশের কর্নেল রোল্যান্ড বাটলার জানান, নদীর উপরিভাগ থেকে ২৫ ফুট নিচে ধসে যাওয়া সেতুর মাঝামাঝি অংশের কাছে লাল রঙের পিকআপে মরদেহটি দুটি পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ক্রমবর্ধমান শ্বাপদসংকুল পরিবেশের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদীর তলদেশে মরদেহ শনাক্ত ও উদ্ধারের কাজ স্থগিত করেছে।
বাটলারের ভাষ্য, তাদের হাতে আসা ছবিতে দেখা গেছে, পিকআপটির বাকি অংশ ধসে যাওয়া সেতুর ধ্বংসাবশেষে আটকে গেছে, যার ফলে ডুবুরিদের সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে গেছে।
উদ্ধার হওয়া দুই ব্যক্তির একজন বাল্টিমোরের বাসিন্দা আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫), যিনি মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। অপরজন বাল্টিমোরের ডানডক এলাকার বাসিন্দা ডরলিয়ান রনিয়াল কাস্তিলো (২৬), যিনি এসেছিলেন গুয়াতেমালা থেকে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য