যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি মোটেলে বন্দুক নিয়ে খেলার সময় গুলিতে এক বছর বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ওই শিশুটির দুই বছর বয়সী বোন। বন্দুকটি ছিল আট বছর বয়সী একটি ছেলেশিশুর বাবার।
এ ঘটনায় ওই ছেলেশিশুর বাবা রোডেরিক ডায়নে র্যানডেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসক্যাম্বিয়া কাউন্টির পুলিশপ্রধান চিপ সাইমন্স বলেন, ‘একজন আসামির বন্দুক রাখার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৫ বছর বয়সী র্যানডেলকে। তার বিরুদ্ধে অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রমাণ নষ্ট করা, আগ্নেয়াস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতা ও হেয়ালিপনার অভিযোগ আনা হয়েছে।’
ঘটনার বর্ণনায় পুলিশপ্রধান জানান, ফ্লোরিডার একটি মোটেলের রুমে আট বছরের এক শিশুর হাতে ছিল তার বাবার বন্দুক। গুলিভর্তি বন্দুকটি নিয়ে অন্য দুই শিশুর সঙ্গে খেলায় মেতেছিল সে। এ সময় হঠাৎ একটি গুলি সরাসরি বিদ্ধ হয় এক বছরের একটি শিশুর শরীরে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আহত হয় তাদের সঙ্গে খেলারত দুই বছরের আরেকটি শিশু।’
গুলির সময় মোটেলের অন্য কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন র্যানডেল ও তার বান্ধবী।
আট বছরে ছেলেশিশুটির বাবা হলেন র্যানডেল। আর এক ও দুই বছর বয়সী কন্যাশিশু দুটির মা হচ্ছেন র্যানডেলের বান্ধবী। গুলিতে নিহত শিশুটির নাম ‘কাচে ব্যাস’।
পুলিশ জানায়, ওই দুই শিশুর মাকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়নি।
র্যানডেল তার অস্ত্রটি শিশু তিনটি যে রুমে খেলছিল সেখানে একটি আলমারিতে রেখেছিলেন। র্যানডেলের ছেলে অস্ত্রটি খুঁজে পায় এবং অন্য শিশু দুটির সঙ্গে তা দিয়ে খেলতে শুরু করে। এ সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
গুলির শব্দ শুনে র্যানডেল শিশুদের রুমটিতে আসেন এবং অস্ত্রটিসহ এক ব্যাগ সন্দেহভাজন মাদক সেখান থেকে সরিয়ে ফেলেন।
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘এভাবে অবহেলায় আমরা আমাদের সন্তানদের প্রতিপালন করতে চাই না, তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করতে চাই না। এটি খুবই হতাশাজনক এবং অপ্রত্যাশিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘র্যানডেলের বিরুদ্ধে রয়েছে ১২৯ পৃষ্ঠার অপরাধের দলিল। এগুলোর মধ্যে ১৪টি বড় ধরনের অপরাধ। ৪১ হাজার ডলার বন্ড দিয়ে জামিনে রয়েছেন তিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশপ্রধান আরও বলেন, ‘শিশুর প্রতি অন্যায় ও খামখেয়ালির অপরাধে গত সপ্তাহে এক মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ওই মা তার এক বছর বয়সী ছেলেসন্তানকে গাড়িতে আটকিয়ে রেখে বারে যান। এ সময় গাড়ির সব উইন্ডোজ বন্ধ ছিল। ম্যাডিসন হ্যালি হার্ট নামের ২৭ বছর বয়সী ওই নারীকে সন্তানের প্রতি নিষ্ঠুরতার অপরাধে কারাগারে পাঠানো হয়।’
অস্ত্রের বিরুদ্ধে সচেতনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন এভরিটাউন ফর গান সেফটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর ১৮ বছরের নিচের শিশুদের মাধ্যমে অনিচ্ছাকৃতভাবে কমপক্ষে ৩৯২টি গুলির ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬৩ জনের।
আরও পড়ুন:জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় ‘পেছনে কারা কলকাঠি নেড়েছে’ তা চিহ্নিত করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের অডিটোরিয়ামে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ রচিত এক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ঘটনায় মনে হয়নি বাঙালিরা মানুষ হয়েছে। তার কারণ বঙ্গবন্ধুকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তারাও বাঙালি ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে যারা সামনে থেকে গুলি করেছে, যারা স্বীকার করেছে হত্যার কথা, শুধুমাত্র তারাই কি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে? এর পেছনে অনেক বড় চক্র ছিল। এখন প্রয়োজন এর পেছনে কারা ছিল সেটি বের করা।’
এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে যারা ছিল তাদের শনাক্ত করতে কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বক্তব্যকে সমর্থন করেন।
বিচার ব্যবস্থার গতি নিয়ে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘গত ছয় মাসে অধস্তন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। এটা অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফল। বিচার কাজে গতি বেড়েছে, দূর্গতি কমেছে মানুষের। আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি, যাতে মানুষকে আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ির বারান্দায় ফেরত পাঠাতে পারি।
‘আমার কাছে রোজ ৪০ থেকে ৫০টা চিঠি আসে। প্রত্যেকটা চিঠি আমি খুলে পড়ি। বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিচার প্রার্থীদের কষ্ট, দুঃখ দূর করা।’
বিশেষ অতিথি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের বিষয়ে মত দেন।
অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন সহ অন্যরা।
'বিচারক জীবনের কথা মুনসেফ থেকে জেলা জজ’ নামে বইটি রচনা করেছেন বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ।
আরও পড়ুন:শেরপুরে কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় টুটুল মিয়া নামের এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপহরণের আলাদা মামলায় তাকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় দেন।
রায়ে আসামিকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপহরণ মামলায় তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। উভয় সাজা একই সঙ্গে চলবে।
সাজাপ্রাপ্ত ২৮ বছরের টুটুল মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু নিউজবাংলাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২০২০ সালের ১২মে শেরপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর শোলারচর গ্রামের নাওভাঙ্গা ব্রিজ থেকে এক কিশোরীকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করেন পাশের এলাকার টুটুল মিয়া। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ১৪ মে টুটুল মিয়া এবং তার এক ভাই ও মা-বাবাকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় পরদিন অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে টুটুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর শুধু টুটুল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে জামিনে বেরিয়ে পালিয়ে যান টুটুল।
আরও পড়ুন:রাজধানীর পান্থপথের ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামের আবাসিক হোটেলে বুধবার সকাল ৮টায় আসেন ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা রেজাউল করিম। সঙ্গে ছিলেন সদ্য এমবিবিএস পাশ করা জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীক। হোটেলের কক্ষটি বাইরে থেকে তালা দিয়ে সাড়ে ১০টার দিকে বেরিয়ে যান রেজাউল। এরপর তিনি ফিরে আসেননি।
হোটেলটি থেকে বুধবার রাতে জান্নাতুলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এরপর খোঁজ শুরু হয় রেজাউলের। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে র্যাব চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তবে জান্নাতুলকে হত্যার কারণসহ রহস্যজট কাটেনি প্রাথমিক তদন্তে।
হোটেল স্টাফদের দেয়া তথ্য ও ফুটেজ বিশ্লেষনে জানা যায়, রেজাউল ও জান্নাতুল হোটেলের চতুর্থ তলার ৩০৫ নম্বর কক্ষে ছিলেন। রেজাউল বের হয়ে যাওয়ার পর কক্ষটি দীর্ঘ সময় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। দীর্ঘসময় কক্ষ তালাবদ্ধ দেখে রাত ৯টার দিকে কলাবাগান থানা পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ ওই কক্ষের বিছানা থেকে গলাকাটা অবস্থায় জান্নাতুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা শফিকুল আলম কলাবাগান থানায় মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে রেজাউল ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের। জান্নাতুলকে কেন হত্যা করা হয়েছে, সে ব্যাপারে ধারণা দিতে পারেননি স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেজাউল করিম রেজাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব জান্নাতুল হত্যার বিস্তারিত তথ্য জানাবে।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ উদ্ধারের পর ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষন করা হয়। ওই হোটেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভিকটিম ও আসামি ঘটনার আগেরদিনও স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে যান। তারা বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। বুধবার সকাল আটটায় তারা আবার যান সেখানে। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর একা বেরিয়ে যান রেজাউল।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে নারী চিকিৎসককে হত্যা করা হয় বলে ধারণা মিলেছে। তবে কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। রেজাউলের সঙ্গে জান্নাতুল দুই দফা হোটেলটিতে যান, সে বিষয়ে প্রমাণ মিলেছে।
‘রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এ দুজনের রুমে ঢোকার পর অন্য কাউকে সেখানে যেতে দেখা যায়নি। রেজাউল কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে বেরিয়ে যান।’
নিহত জান্নাতুলের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী, রেজাউল করিমের বাড়ি কক্সবাজার। তাদের দুজনের সম্পর্ক পরিবার মেনে নেয়নি বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে জান্নাতুলের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:সংবাদ সংগ্রহ করার সময় রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, কামরাঙ্গীরচরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাওয়া সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও সাজু মিয়াকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তাদের টুঁটি চেপে ধরা মানে সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরা। জড়িতদের শাস্তি না হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে।
বক্তারা বলেন, দুর্নীতিবাজরা বার বার সাংবাদিকদের ওপর হামলা-মামলা করে তাদের দমিয়ে রাখতে চায়। সরকার গণমাধ্যম-বান্ধব হলেও নির্যাতনকারীদের বিচারের বিষয়ে আন্তরিক নয়।
হাসান মিসবাহ ও সাজু মিয়ার ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্য এসআই মিলনকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তারেরও দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে কামরাঙ্গীরচরে এসপিএ রিভারসাইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তারের বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলার শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ক্যামেরাপারসন সাজু মিয়া। এ ঘটনায় পরদিন হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। ওই মামলায় এসপিএ হাসপাতালের মালিক উসমানি ও জাহিদসহ গ্রেপ্তার চারজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রাজধানীর পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেল থেকে নারী চিকিৎসকের গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে র্যাব।
রেজাউল করিম নামের যুবককে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
রাজধানীর পান্থপথের ‘ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট’ নামের হোটেল থেকে বুধবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ।
পরে পুলিশ জানায়, ২৭ বছর বয়সী ওই চিকিৎসকের নাম জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীক। তিনি ঢাকা কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি কোর্সে পড়ছিলেন।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রেজাউল নামের একজনের সঙ্গে উঠেছিলেন জান্নাতুল। হোটেলটির চতুর্থ তলার ৩০৫ নম্বর কক্ষের বিছানার ওপর থেকে জান্নাতুলের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব জানায়, সন্দেহভাজন যুবক রেজাউলকে আটক করা হয়েছে। তাকে জান্নাতুল হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরও পড়ুন:রংপুরের বদরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তারিক হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই রায় দিয়েছেন।
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামি হলেন মমতাজ সুলতান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক আনিছুর রহমান।
মমতাজের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থেকে তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে স্ত্রী সুমাইয়া আখতার শারমিনের। এর জেরে ২০১৯ সালের ৪ জুন বদরগঞ্জের যমুনেশ্বরী নদীর তীরে আখের ক্ষেতে নিয়ে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মমতাজ। মরদেহ গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ডুমুর গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিন বদরগঞ্জ থানায় মমতাজের নামে হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় দেলোয়ার হোসেন নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের সাভার এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৩৫ বছর বয়সী দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি একই এলাকায়। তিনি বরাই ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম।
এজাহারে বলা হয়, গত মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূকে ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) কার্ড দেয়ার কথা বলে ফোন করে তার বাড়িতে ডাকেন দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু ওই নারী পরদিন সকালে যাওয়ার কথা বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
ওই রাতেই তিনি কার্ডের অজুহাতে গৃহবধূর বাড়ি এসে কেউ না থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দেলোয়ার হোসেনকে আটক করেন। পরে মীমাংসার কথা বলে স্থানীয় মাতব্বর তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় ওই নারী বুধবার রাতে সাটুরিয়া থানায় ইউপি সদস্যের নামে ধর্ষণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
ওসি আশরাফুল আলম বলেন, ‘মামলার পরপরই দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য