মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজধানীর নেপিদোর একটি কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে। এতদিন গৃহবন্দি ছিলেন সু চি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী তার নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। সে সময় গ্রেপ্তার হন শান্তিতে নোবেল জয়ী ৭৭ বছরের সু চি। এক বছর ধরে তাকে রাজধানীর অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছিল।
সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কয়েকটি মামলা করে জান্তা সরকার। এসবের কয়েকটিতে ইতোমধ্যে ১১ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন তিনি। যদিও সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সু চি। বলেছেন, এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর আগেও গৃহবন্দিত্ব কাটিয়েছেন সু চি। দেশটির সামরিক শাসকরা তাকে ১৫ বছর বন্দি রেখেছিল। এ সময়ে সু চি হয়ে ওঠেন গণতন্ত্রের আইকন। তবে জেল-হাজতে পাঠানোর ঘটনা এটাই প্রথম।
ধারণা করা হচ্ছে, জনপ্রিয় এই নেতা কারাগারের ভেতরে স্থাপিত একটি বিশেষ আদালত থেকে বিচারের শুনানিতে অংশ নেবেন।
আদালতের বরাতে বিবিসি বার্মিজ বলছে, সু চিকে বুধবার কারাগারের ভেতর বিশেষভাবে নির্মিত আবাসনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তার সহকর্মী ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট একই রকম নির্জন কারাবাসে আছেন।
সূত্র আরও জানিয়েছে, নতুন জায়গায় ভালো আছেন সু চি। তার দেখভালে তিনজন নারী কর্মীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সামরিক সরকারের সংক্ষিপ্ত বিবৃতি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, মিয়ানমারের ফৌজদারি আইন অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ‘গোপন বিচারকে’ প্রতারণা বলে নিন্দা জানিয়েছে। কারণ শুনানিতে জনসাধারণ এবং সংবাদকর্মীদের উপস্থিত থাকতে দেয়া হয় না। কেবল তা-ই নয়, সু চির আইনজীবীদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলাও নিষেধ।
বিবিসির জোনাথন হেড বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে উধাও হয়ে যাওয়া সু চি কতদিন নির্জন কারাবাসে থাকবেন তা স্পষ্ট নয়। যদিও তার গৃহবন্দিত্বের অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি। তবে তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিল বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, সু চির গৃহকর্মী এবং তার কুকুর তাকে কারাগারে রাখার অনুমতি দেয়া হয়নি।
উসকানি, দুর্নীতি, কোভিড নিয়ম লঙ্ঘন এবং টেলিযোগাযোগ আইন ভঙ্গের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন সু চি। আরও কয়েকটি মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি। সব অভিযোগ প্রমাণ হলে, ১৯০ বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ড পেতে পারেন সু চি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন বলেন, ‘আমরা যা দেখছি তা হলো, মিয়ানমারের জান্তা অং সান সুচির প্রতি আরও বেশি কঠোর হচ্ছে।
‘জান্তা সরকার স্পষ্টতই তাকে এবং তার সমর্থকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।’
সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সাধারণ নির্বাচনে বড় জয় পেলেও, কয়েক মাসের মধ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে অভ্যুত্থান ঘটে।
সামরিক বাহিনী সু চির বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। যদিও স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলেছিলেন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। সে সময় সু চির সঙ্গে গ্রেপ্তার হন তার কমপক্ষে ১৪ হাজার নেতা-কর্মী, ভক্ত।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (বার্মা) বলছে, ‘ভিন্নমতের বিরুদ্ধে দমন অভিযানে অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানজুড়ে বৃষ্টি সম্পর্কিত ঘটনায় গত ৩ সপ্তাহে ৭৭ জন মারা গেছেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শেরি রেহমান বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন।
বর্ষার ভারি বৃষ্টিতে দেশটির বাড়িঘর, রাস্তা, সেতু ও বিদ্যুৎকেন্দ্রেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মন্ত্রী শেরি রেহমান জানিয়েছেন, নিহত ৭৭ জনের মধ্যে বেলুচিস্তানেই মারা গেছেন ৩৯ জন।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, বেলুচিস্তানের যানবাহন পর্যন্ত পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে।
বেলুচিস্তান প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, বেলুচিস্তানের কোয়েটায় রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
রাজধানী ইসলামাবাদ ও পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশেও ভারি বৃষ্টি হয়েছে।
প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
শেরি রেহমান বলছেন, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাত দেশটির গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় ৮৭ শতাংশ বেশি। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন এবং একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, পাকিস্তানকে আরও বন্যার মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ দেশের হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাচ্ছে। ফলে আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
কয়েক বছর ধরে প্রতিবছরই পাকিস্তানের শহরগুলোকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সরকারি পরিকল্পনায় ঘাটতির কারণে পরিস্থিতি প্রতি বছরই জটিল আকার ধারণ করছে।
এদিকে দক্ষিণ পাকিস্তানের পরিস্থিতি এর পুরোপুরি উল্টো। সেখানে এ বছর দেখা দিয়েছে খরা।
আরও পড়ুন:বেশি সন্তান না নিলে সভ্যতা ভেঙে পড়বে, এমন আশঙ্কার কথা বারবার বলে আসছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তবে উন্নত বিশ্বে জন্মহার কমতে থাকলেও ইলন মাস্ক নিজের অংশটুকু ঠিকঠাকভাবেই করছেন। তার ৭ সন্তানের পাশাপাশি নতুন করে আরও ২ সন্তানের খোঁজ পাওয়া গেছে, তবে এ-সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা তিনি দেননি।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের নতুন এক নথিতে দেখা গেছে, ইলন মাস্ক তার ব্রেইন মেশিন ইন্টারফেস কোম্পানি নিউরালিংকের কর্মকর্তা শিভন জিলিসের সঙ্গে ২০২১ সালে দুটি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, যা তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেননি।
স্পেসএক্স ও টেসলার মালিক ইলন মাস্ক এখন ৯ সন্তানের জনক। প্রথম স্ত্রী জাস্টিন মাস্কের সঙ্গে ৫ সন্তান ও ক্লেয়ার বাউচারের সঙ্গেও তার দুই সন্তান রয়েছে, যিনি সংগীত জগতে গ্রিমস নামে পরিচিত।
বুধবার প্রকাশিত আদালতের নথিগুলোতে দেখা যায়, ইলন মাস্ক ও জিলিস তাদের যমজ বাচ্চাদের নাম পরিবর্তন করার জন্য আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যেখানে নতুন নামে তাদের বাবার শেষ নাম ও মধ্য নাম হিসেবে মায়ের নামের শেষ অংশ থাকে।
পিটিশনটি দাখিল করা হয়েছিল টেক্সাসের অস্টিনে। এখানেই এই দুই শিশুর জন্ম হয়।
ইলনের দুই সন্তানের মা ৩৬ বছর বয়সী জিলিসকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে একজন উদীয়মান তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফোর্বসের থার্টি আন্ডার থার্টি ও লিংকডইনে থার্টি ফাইভ আন্ডার থার্টি ফাইভে স্থান পেয়েছিলেন তিনি। তিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি ও দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
লিঙ্কডইনে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জিলিস ইলন মাস্কের নিউরো টেকনোলজি ফার্ম নিউরালিংকে অপারেশন ও বিশেষ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।
কোম্পানিটি মূলত ব্রেইন মেশিন ইন্টারফেস তৈরিতে কাজ করছে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কোম্পানিটির ডিভাইস শূকর ও বানরের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:নাইরোবি ফ্লাই বা অ্যাসিড পোকার আক্রমণের আতঙ্কে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে সমতল।
শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের বহু মানুষ এই পোকার কামড়ে অসুস্থ হয়েছেন।
নাইরোবি ফ্লাই-এর বৈজ্ঞানিক নাম Paederus Eximius. এটি আসলে এক ধরনের মাছি জাতীয় পোকা। যা কামড়ালে অ্যাসিডে পোড়ার মতো দাগ হয়ে যায়। জ্বালা-পোড়াও হয়।
এমনকি এই পোকার বিষ চোখে লাগলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কার কথাও বলছেন চিকিৎসকরা।
অ্যাসিড পোকার শরীরে রয়েছে পেডেরিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। হুল ফোটালে তা মানুষের চামড়ায় অ্যাসিডে পোড়ার মতো ক্ষতের সৃষ্টি করছে বলে জানাচ্ছেন, পতঙ্গ বিশেষজ্ঞরা।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের বহু ছাত্র-ছাত্রী এই পোকার আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
সিকিমের মনিপাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রায় এক শ ছাত্রছাত্রী এই অ্যাসিড পোকার সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়েছেন।
উত্তরকন্যার স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, ‘এই পোকা আলোয় থাকতে পছন্দ করে। তাই সন্ধ্যা হলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়াই ভালো। পোকার হাত থেকে বাঁচতে মশারি টাঙানোর পাশাপাশি ফুলহাতা জামা পরতে হবে।’
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। পৌর কর্মকর্তাদের দাবি, তেমন ভয়ের কিছু না থাকলেও সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
প্রটোকল রুটে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে বাংলাদেশে দুই হাজার টন ন্যাপথা রপ্তানি করা হয়েছে।
রোববার ওটি সাংহাই এইট নামের একটি বার্জ পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে ১৮ কোটি টাকা মূল্যের ন্যাপথা নিয়ে বাংলাদেশের অ্যাকোয়া রিফাইনারি সংস্থার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নদীপথে বার্জ যাত্রার সূচনা করেন হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমল কুমার মেহেরা এবং ইন্ডিয়ান অয়েলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থ ঘোষ।
পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরের আইওসি রিফাইনারি থেকে ১৮ কোটি টাকার ন্যাপথা নিয়ে রওনা হওয়া বার্জটি প্রথমে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছবে। সেখান থেকে চালানটি যাবে নরসিংদী জেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে আমেরিকান প্রযুক্তিতে গড়ে ওঠা অ্যাকোয়া রিফাইনারিতে।
হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমল মেহরা বলেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে প্রটোকল রুটে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগের কার্যকারিতা দিন দিন বাড়ছে। হলদিয়া বন্দর ও শিল্পগুলোর বাড়তি বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়েছে এই প্রটোকল রুট।’
প্রটোকল রুটের কার্যকারিতাকে গুরুত্ব দিয়ে হলদিয়া বন্দরের রপ্তানি বাড়াতে মাল্টিমোডাম হাব ও জেটি তৈরি করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রটোকল রুটে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বাণিজ্যের সূচনা করেন ভারতের জাহাজ মন্ত্রী।
আইওসির ডিরেক্টর পার্থ ঘোষ বলেন, ‘হলদিয়া থেকে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে হলদিয়া রিফাইনারির নতুন সম্পর্ক তৈরি হলো। ন্যাপথা ছাড়াও বাংলাদেশে হাই স্পিড ডিজেল, হার্সেল অয়েল, সালফার পেটকোকের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আগামী দিনে এই পণ্যগুলো বার্জে করে বাংলাদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হলো।’
ডলারের বিপরীতে ভারতের মুদ্রা রুপির দাম কমা অব্যাহত রয়েছে এবং জুন মাসে ভারতে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় ডলারের বিপরীতে খোলা হয়েছিল ৭৯.০৪ রুপি। সোমবার যেখানে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় বন্ধ হয়েছিল ডলারের বিপরীতে ৭৮.৯৫ রুপিতে।
অপরিশোধিত তেল ও কয়লা আমদানি বৃদ্ধির ফলে ভারতে জুনে বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড ২৫.৬৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। মে মাসে এই বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৪.৩০ বিলিয়ন ডলার। এই ঘাটতি রুপির ওপর আরও চাপের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।
২০২১-এর জুন মাসে এই ঘাটতি ছিল মাত্র ৯.৬১ বিলিয়ন ডলার।
এই বছর ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য ৬ শতাংশ কমেছে এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ডলারের বিপরীতে রেকর্ড পতন হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতের শেয়ার বাজার থেকে পিছু হটে যাচ্ছে।
স্টক এক্সচেঞ্জের পরিসংখ্যান বলছে, বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সোমবার পুঁজিবাজারে ২ হাজার ১৪৯ কোটি রুপির শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন:ভারত সরকার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের চলমান দ্বন্দ্ব এবার আদালতে গড়িয়েছে। টুইটার ইন্ডিয়া ভারত সরকারের ইলেকট্রনিকস ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে।
কর্ণাটক হাইকোর্টে মঙ্গলবার টুইটার ইন্ডিয়ার দাখিল করা আবেদনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অসম ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ধারা ৬৯ (ক) এর অধীনে জারি করা মন্ত্রণালয়ের বিষয়বস্তু ব্লক করার আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেছে।
আদালতে দাখিল করা আবেদনে টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া ব্লকিং আদেশগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি আইনের ৬৯ (ক) এর আলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে ঘাটতিপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রেই ব্লক আদেশের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে যে এটি ঠিক কীভাবে ৬৯(ক) ধারায় পড়ে।
এর আগে ২৭ জুন ভারতের ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে পাঠানো নতুন এক নোটিশে বলা হয়েছিল, মন্ত্রণালয় থেকে ৬ ও ৯ জুন পাঠানো নোটিশ মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে টুইটার।
নোটিশে বলা হয়েছে, সরকারের সব শর্ত মানতে হবে টুইটারকে। অন্যথায় ভারতে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা হারাবে। ফলে যাবতীয় পোস্টের জন্য দায় নিতে হবে টুইটারকেই।
ভারত সরকার অভিযোগ করে আসছে, ‘তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৯-এর অধীনে কিছু বিষয়বস্তু প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরিয়ে নেয়ার নোটিশগুলোতে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।’
ভারতের টুইটারের চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসারকে উদ্দেশ করে দেয়া এক বার্তায় বলা হয়েছিল, ‘যদি টুইটার তথ্য ও প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘন করতে থাকে, তাহলে আইনের অধীনেই এর প্রতিক্রিয়া পাবে।’
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যবহারকারী অপরাধমূলক কিংবা অবমাননাকর কোনো কিছু পোস্ট করলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে। সেটা টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ যেকোনো প্রতিষ্ঠানই হতে পারে।
এখন পর্যন্ত ভারতে ব্যবসা পরিচালনা করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ‘মধ্যস্থতাকারী’র সুবিধা পেয়ে এসেছে। বিতর্কিত ও অনৈতিক কোনো পোস্টের দায় সরাসরি প্রতিষ্ঠানের ওপর পড়েনি।
ভারত সরকার এবার জানিয়ে দিয়েছে, এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হতে পারে। ফলে দোষী সাব্যস্ত হলে ৭ বছরের জেল এবং জরিমানা হতে পারে টুইটারের কর্মকর্তাদের।
টুইটারের দাবি, কেন্দ্রের কিছু নির্দেশ পুরোপুরি অযৌক্তিক। সেসবের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার আবেদন জানিয়েছে টুইটার। কারণ কিছু কনটেন্ট ব্লক করলে তা বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন হতে পারে।
তবে কেন্দ্র থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, টুইটারকে আইন মানতেই হবে।
এর আগে চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে টুইটারের অভ্যন্তরীণ কিছু তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক অ্যাকাউন্ট ও টুইট ব্লক করতে বলা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ফ্রিডম হাউস, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে কিছু টুইট।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয় এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ‘দাতুক সেরি’ খেতাবধারী এক ব্যবসায়ী।
কুয়ালালামপুর ও সেলাংগরে এই অভিযান চালানো হয় বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
অভিবাসী শ্রমিকদের নিবন্ধন নিয়ে একটি কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিল এই প্রতিষ্ঠানগুলো।
অভিযানে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে তদন্তের স্বার্থে কয়েকজনকে আটক করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্র বলেছে, কর্মী নিয়োগ নিয়ে পুত্রজায়া ২০১৫ সালে সংস্থাগুলোর তৈরি কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা ব্যবহার করতে সম্মত হয়েছিল। বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকও (এমওইউ) হয়েছিল।
যে ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়েছে, সম্প্রতি অভিবাসী কর্মীদের নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ২৫টি বাংলাদেশি এজেন্সির বেশির ভাগই তার নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র বলছে, মালয়েশিয়ায় কাজ করতে চাওয়া বেশির ভাগ বিদেশি কর্মীর কাছ থেকে হাজার হাজার রিংগিতের মতো অতিরিক্ত ফি নেয়া হয় বলে অভিযোগ।
এ সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং রাজনীতিবিদ সোচ্চার হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া প্রভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। এমন প্রেক্ষাপটে অভিযান শুরু করল এমএসিসি।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানানের কাছে অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চিত কিছু না।'
আরও পড়ুন:
মন্তব্য