× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Agnipaths schedule announced in India amid protests
google_news print-icon

প্রতিবাদের মাঝেই ভারতে ‘অগ্নিপথ’ এর সময়সূচি ঘোষণা

প্রতিবাদের-মাঝেই-ভারতে-অগ্নিপথ-এর-সময়সূচি-ঘোষণা
অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের প্রতিবাদ ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ায়, সামরিক নেতারা হুঁশিয়ার করেছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, তারা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কোনো অগ্নিসংযোগ বা আন্দোলনে অংশ নেননি।

ভারতের সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের জন্য সরকারের সদ্য ঘোষিত অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদকারী যুবকদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে রোববার দিল্লির যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহে বসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং নেতারা।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা দাবি করেছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পটি দেশের যুবকদের জন্য উপকারী নয় এবং জাতীয় নিরাপত্তাকেও এটি বিপন্ন করে তুলবে।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং দলের নেতা জয় রাম রমেশ, রাজীব শুক্লা, শচীন পাইলট, সালমান খুরশিদ এবং অলকা লাম্বা ‘সত্যাগ্রহে’ অংশ নিয়েছিলেন।

শচীন পাইলট বলেন, ‘প্রকল্পটি অবিলম্বে ফিরিয়ে নেয়া উচিত।’

এ সময় তিনি যুবকদের সহিংস না হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান।

অন্যদিকে, কংগ্রেসের সত্যাগ্রহ স্থল থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘আমাদের দেশে ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কাজ করতে গেলে তাতে রাজনীতির রঙ লেগে যায়। আদালতের দরজা নাড়ার লোকের অভাব নেই। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’

তিনি বলেন, ‘এটা নতুন ভারত। এই ভারত সমস্যার সমাধান করতে পারে।’

মোদির এমন মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তিনি কি তাহলে অগ্নিপথ নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ককেই নিশানা করলেন?

কারণ ইতোমধ্যেই কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়ে গেছে। এমনকি সিএএ বা কৃষি আইন নিয়েও কেন্দ্রকে পিছু হটতে হয়েছে এর আগে।

এদিকে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত যুবকদের হুঁশিয়ার করে প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়সূচি ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রতিবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ায়, সামরিক নেতারা হুঁশিয়ার করেছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, তারা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কোনো অগ্নিসংযোগ বা আন্দোলনে অংশ নেননি।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভিত্তি হল শৃঙ্খলা। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের কোনো স্থান নেই। অগ্নিপথ প্রকল্পের জন্য আবেদনকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি শংসাপত্র দিতে হবে যে, তারা প্রতিবাদ বা ভাঙচুরে ছিল না। শতভাগ পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং শংসাপত্র ছাড়া কেউ যোগ দিতে পারবে না।’

রোববার নতুন সেনা নিয়োগ প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ সম্পর্কে সন্দেহ দূর করতে এবং সশস্ত্র বাহিনীতে গণপ্রবেশের জন্য কেন দেশটির এই নীতির প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করতে স্থল, বায়ু ও নৌসেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরী বলেন, ‘কীভাবে আমাদের বাহিনীকে তরুণ করা যায় সে বিষয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আমরা বিদেশি বাহিনী নিয়েও পড়াশোনা করেছি। আমরা তরুণদের চাই। যুবকরা ঝুঁকি গ্রহণকারী। তাদের আবেগ আছে। তাদের মধ্যে জোশ এবং হোশ সমান অনুপাতে।’

এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল সি বাঁশি পোনপ্পা বলেছেন, ‘সেনা নিয়োগের জন্য পরীক্ষাগুলো আগস্টের প্রথমার্ধে শুরু হবে এবং অগ্নিবীরদের প্রথম গোষ্ঠী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাহিনীতে যোগ দেবে। দ্বিতীয় গোষ্ঠী আসবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে।’

পোনপ্পা জানান, সেনাবাহিনী ৮৩টি নিয়োগ সমাবেশ করবে এবং দেশের প্রতিটি গ্রাম স্পর্শ করবে। নৌবাহিনীর জন্য, অগ্নিবীরদের প্রথম গোষ্ঠী ২১ নভেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণের জন্য ওড়িশার আইএনএস চিল্কায় পৌঁছাবে। আর বিমান বাহিনী চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচকে নথিভুক্ত করবে এবং একই মাসে প্রশিক্ষণ শুরু হবে।

অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে যে কোনও ভারতীয় যুবক, যার বয়স ১৭.৫ থেকে ২১ বছরের মধ্যে আবেদন করতে পারে৷ তাদের একটি পূর্বনির্ধারিত মেডিক্যাল টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অগ্নিবীর অন্যান্য বায়ুসেনা কর্মীদের দেয়া পদক এবং পুরস্কারের জন্যও যোগ্য হবেন।

এ ছাড়াও তারা বছরে ৩০ দিন সবেতন ছুটি পাবেন। চিকিৎসার পরামর্শ অনুযায়ী, অসুস্থতাজনিত ছুটিও দেয়া হবে। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে তারা সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। তবে বিশেষ পরিস্থিতি ব্যতীত প্রশিক্ষণের মাঝামাঝি সময়ে তাদের চাকরি ছাড়তে দেয়া হবে না।

অগ্নিপথ স্কিমের অধীনে, চাকরির প্রথম বছরের জন্য অগ্নিবীররা বেতন হিসাবে ৩০ হাজার রুপি পাবেন। এর মধ্যে ২১ হাজার রুপি সরাসরি প্রার্থীর অ্যাকাউন্টে যাবে এবং ৯ হাজার যাবে অগ্নিবীর কর্পস ফান্ডে। প্রতি বছর বেতন বাড়বে। প্রশিক্ষণের শেষ বছরে অগ্নিবীরের বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা।

চার বছর প্রশিক্ষণের পর ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীর অবসরে গেলে সেবা তহবিলের আওতায় তাদের দেয়া হবে ১০ লাখ চার হাজার টাকা। যার মধ্যে পাঁচ লাখ দুই হাজার টাকা তাদের নিজেদের অর্জিত।

এ ছাড়া তারা সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের গ্র্যাচুইটি বা অন্য কোনো তহবিল পাবেন না। তবে, সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন তিনি ৪৮ লাখ টাকার জীবন বীমা পাবেন।

আরও পড়ুন:
সেনা নিয়োগে নতুন নিয়মের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত  

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
There is no news tab on Facebook

ফেসবুকে নিউজ ট্যাব থাকছে না

ফেসবুকে নিউজ ট্যাব থাকছে না ফাইল ছবি
সংবাদ ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতে কম গুরুত্ব দেয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফেসবুকে খবর প্রচার বন্ধ করবে মেটা।

সংবাদ ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতে কম গুরুত্ব দেয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এপ্রিলের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে খবর প্রচার বন্ধ করবে মেটা। গত বছর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিতে ফিচারটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

ফেসবুকে ২০১৯ সালে চালু হওয়া নিউজ ট্যাবটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি ছোট ও স্থানীয় প্রকাশনার শিরোনামগুলোও ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করেছে।

মেটা বলছে, ব্যবহারকারীরা সংবাদ নিবন্ধের লিংক দেখতে সক্ষম হবেন। সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের লেখা ও ওয়েবসাইট লিঙ্ক পোস্ট ও প্রচার করতে পারবে, যেমন অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা ফেসবুকে করতে পারে।

ভুল তথ্য কীভাবে ছড়ানো হয় এবং এটি রাজনৈতিক মেরুকরণে অবদান রাখে কি না, তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সমালোচনার পর মেটা তার প্ল্যাটফর্মগুলোতে সংবাদ ও রাজনৈতিক উপাদান কমানোর চেষ্টার পর এই পরিবর্তন আসছে।

মেটার মুখপাত্র ড্যানি লিভার বলেছেন, ‘এই পরিবর্তন গ্রাহকের ফলো করা অ্যাকাউন্টের পোস্টে প্রভাব ফেলবে না। এটি সিস্টেমের সুপারিশগুলোকে প্রভাবিত করবে এবং ব্যবহারকারীরা যদি আরও চায়, তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

‘ঘোষণাটি এমন সময় আসছে, যখন ব্যবহারকারীরা বছরের পর বছর আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল যে, আমরা কীভাবে রাজনৈতিক বিষয়বস্তুগুলো পরিচালনা করি তার উপর ভিত্তি করে।’

মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিউজ ট্যাবে এই পরিবর্তন তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক এবং ভুল তথ্যের পর্যালোচনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েই গেছে। বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতা চলছে।

কর্নেল ব্রুকস স্কুল অফ পাবলিক পলিসির টেক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও প্রযুক্তি বিষয়ক নীতি গবেষক সারাহ ক্রেপস বলেছেন, ‘ফেসবুক নিজেকে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে মনে করে না, এটি চালান প্রযুক্তিবিদরা। তারপর হঠাৎ তারা এ বিষয়ে মূল্যায়ন শুরু করে এবং নিজেদের রাজনীতিতে নিমজ্জিত দেখতে পান। ফলে তারা নিজেরাই শিরোনাম হয়ে ওঠেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই বছর অনেকগুলো বড় নির্বাচন আসছে। ফলে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, ফেসবুক রাজনীতি থেকে আরও এক ধাপ দূরে সরে যাচ্ছে। অসাবধানতাবশত নিজেরাই যাতে রাজনৈতিক শিরোনাম হয়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।’

পয়েন্টারের মিডিয়া বিশ্লেষক রিক অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘নিউজ ট্যাবের বিলুপ্তি সংবাদ সংস্থাগুলোর জন্য আশ্চর্যজনক নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে ফেসবুক ট্র্যাফিক হ্রাস পাচ্ছে। ফলে সংস্থাগুলোকে দর্শকদের আকৃষ্ট করার অনুসন্ধান ও নিউজলেটারের মতো অন্যান্য উপায়গুলোতে মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করছে।’

অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘আমি বলব আপনি যদি খেয়াল করতেন, তাহলে আপনি দেখতে পেতেন যে, এটি আসছে। তবে এটি সংবাদ ব্যবসার জন্য আরও একটি দুঃসংবাদ।’

মেটা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক ফিডে যা দেখেন, তার চেয়ে তিন শতাংশেরও কম সংবাদ তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক সংবাদ ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত বছর ৮০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।

তবে ২০২৩ সালের পিউ রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক অন্তত মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পান। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য মাধ্যমকে সেখানে ছাড়িয়ে গেছে।

পিউ জানিয়েছে, প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের মধ্যে তিনজন বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ফেসবুক থেকে খবর পান এবং ১৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ইনস্টাগ্রাম থেকে খবর পান। এ দুই মাধ্যমেরই মালিকানা মেটার।

ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের অনুসরণ করেন না, এমন অ্যাকাউন্টগুলোতে পোস্ট করা রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ‘সক্রিয়ভাবে’ সুপারিশ করা বন্ধ করার জন্য অ্যাপটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ, ফিল্টার বন্ধ করার অপশন সবসময় ইউজার সেটিংসে থাকলেও মেটা যে এই পরিবর্তন করেছে তা অনেকেই জানতেন না।

আরও পড়ুন:
প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Pirates are bringing food to sailors from outside

জিম্মি নাবিকদের বাইরে থেকে খাবার এনে দিচ্ছে জলদস্যুরা

জিম্মি নাবিকদের বাইরে থেকে খাবার এনে দিচ্ছে জলদস্যুরা ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাহাজ জিম্মি করলে জলদস্যুরা সাধারণত খাবার সরবরাহ করে। তবে সুপেয় পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।’

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থাকা খাবার কমে আসছে। এ কারণে জলদস্যুরা বাইরে থেকে জাহাজে খাবার নিয়ে আসা শুরু করেছে। ফলে খাবার নিয়ে তেমন সমস্যা না হলেও বিশুদ্ধ পানির সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেএসআরএম সূত্র জানিয়েছে, দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টিও এগিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে করণীয় সবকিছুই করা হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধারণত জাহাজে দুই ধরনের খাবার থাকে। এগুলো হচ্ছে, হিমায়িত খাবার ও শুকনো খাবার। যাত্রাপথের সময় অনুযায়ী জাহাজে খাবার মজুত রাখা হয়। তবে শুকনো খাবার অনেক দিনের জন্য মজুত থাকে।’

তিনি বলেন, ‘জাহাজ জিম্মি করলে জলদস্যুরা সাধারণত খাবার সরবরাহ করে। তবে সুপেয় পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।’

তিনি আরও জানান, জলদস্যুরা সম্প্রতি জাহাজের বাইরে থেকে খাবার আনছে- এরকম খবর তারা পেয়েছেন।

জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘খাবার এখনও শেষ হয়নি, তবে কমে আসছে। জলদস্যুরা তাদের নিজেদের জন্য বাইরে থেকে খাবার এনেছে বলে আমরা জেনেছি।’

তিনি বলেন, ‘আটক জাহাজ এবং জিম্মি ২৩ নাবিককে দ্রুত উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

‘এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ও ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল। এই পানি দিয়ে এক মাস পর্যন্ত চালানো যাবে বলে তখন নাবিকরা জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, তবে রেশনিং করলে অনেক দিন চালানো যাবে। পানি বাঁচাতে এখন শুধু রান্না ও খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন তারা।’

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালি দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।

প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটি ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

অপরদিকে, জলদস্যুদের কবল থেকে জিম্মি ২৩ নাবিককে উদ্ধার ও জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা। একইসঙ্গে জিম্মি জাহাজটি উদ্ধার করাও আমাদের উদ্দেশ্য। শুধু এতটুকু বলতে চাই, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।’

জাহাজে খাবার সংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে যখন জাহাজ অপহরণ হয়েছে, কখনও খাবারের সংকট হয়নি। তিন বছর ছিল, তখনও হয়নি; ১০০ দিন ছিল, তখনও হয়নি। আশা করি, এক্ষেত্রেও হবে না।’

আরও পড়ুন:
জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে স্বজনের যোগাযোগ, আলোচনা চলছে
এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি ইইউর যুদ্ধজাহাজ, অভিযানে ‘না’ মালিকপক্ষের
সোমালি দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষের
জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহতে যেকোনো সময় বিস্ফোরণের শঙ্কা
জলদস্যুদের নতুন দল ‘এমভি আব্দুল্লাহ’র নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Ukraine will be destroyed by warplanes not attacks on NATO countries

ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে

ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে ছবি: রয়টার্স
এ সময় পুতিন বলেন, ‘এসব যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, তবে সেসব স্থানও আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, তা সে যে স্থানই হোক না কেন।’

পশ্চিমা ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এমনকি এর বাইরে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না তারা। তবে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিলে তা ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

স্থানীয় সময় বুধবার রাশিয়ার বিমান বাহিনীর পাইলটদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেছেন তিনি।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে পূর্ব দিক থেকে রাশিয়ার দিকে অগ্রসর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে রাশিয়ার এসব অঞ্চলের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন পুতিন।

তিনি বলেন, ‘এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।’

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করার অভিযোগ এনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ কারণেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।’

পশ্চিমারা ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেয়ার বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ইউক্রেনের পরিস্থিতি পাল্টাবে না। আর ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও রকেট লঞ্চারের মতো ওগুলোকেও (এফ-১৬) আমরা ধ্বংস করব।’

তিনি বলেন, ‘এসব যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, তবে সেসব স্থানও আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, তা সে যে স্থানই হোক না কেন।’

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কাও বাড়াবে বলে এ সময় সতর্ক করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
মস্কোতে আইএসের হামলার সামর্থ্যে বিশ্বাস নেই রাশিয়ার

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A Bangladeshi youth was killed by police in the United States

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার নিউ ইয়র্কের কুইন্সের একটি বাসায় মানসিক অবসাদে ভোগা ওই যুবককে বাধ্য হয়েই গুলি করতে হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে।

নিউ ইয়ক টাইমস বলছে, ১৯ বছর বয়সী উইন রোজারিওকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি ওজোন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটে দ্বিতীয় তলার বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও বলেন, মা উইনকে ফেরাতে চেষ্টা করছিলেন। তবে এর মধ্যেই পুলিশ গুলি ছুড়েছে। এই গুলি ছোড়ার কোনো দরকার ছিল না।

পুলিশ ডিপার্টমেন্টের টহল প্রধান জন চেল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুজন অফিসার মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে ৯১১ নম্বরে একটি কল পেয়ে সেখানে যায়। বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয়েছে। বেশ উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছিল। রোজারিও ৯১১ নম্বরে কল করেছিলেন।

উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে যান। উইনের স্বপ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া। পরিবারের গ্রিন কার্ড পেতে দেরি হওয়ায় সেটি আর হয়নি।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও জানান, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক করেছে। সম্প্রতি বিষণ্ণ ছিলেন তিনি। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Facebooks secret surveillance on competitors

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: টেকক্রাঞ্চ
২০১৬ সালের জুনে মার্ক একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই। তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনে নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের বরাত দিয়ে বুধবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুক ২০১৬ সালে ‘ঘোস্টবাস্টারস’ নামে একটি গোপন প্রজেক্ট চালু করেছিল যাতে স্ন্যাপচ্যাট ও এর সার্ভার ব্যবহারকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করা যায়।

স্ন্যাপচ্যাটের ভূতের (ঘোস্ট) মতো লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক এটির নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারস’।

আদালতের নথি অনুসারে, ঘোস্টবাস্টারস প্রজেক্টটি স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন ও ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

নথিতে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করা সে সময়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক ইমেইলগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে মার্ক এমন একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই।

তাই তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মার্ক। এর জন্য একটি কাস্টম সফটওয়্যার তৈরির কথা জানান তিনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ফেসবুকের প্রকৌশলীরা ঘোস্টবাস্টারস তৈরি করেন। পরে অ্যামাজন এবং ইউটিউবকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্পটি প্রসারিত করা হয়ে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের তথ্য অনুসারে, ফেসবুকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের একটি দল এবং প্রায় ৪১ জন আইনজীবী প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারে কাজ করেছেন, তবে ফেসবুকের কিছু কর্মী এ প্রকল্পের বিপক্ষে ছিলেন। তারা এটি নিয়ে তাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:
ফলোয়ার হারিয়ে রিক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা
নতুন ভিআর হেডসেট বাজারে আনল ‘মেটা’
ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট মুছে ‘শান্তিতে আছে’ মেটার চ্যাটবট
বইতে এলো দেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস
পদ ছাড়ছেন মেটার সিওও স্যান্ডবার্গ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
81 Palestinians were killed in 24 hours of Israeli attacks in Gaza

গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১

গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১ গাজার আল-শিফা হাসপাতালের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়া সত্ত্বেও হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় আক্রমণ থেমে নেই। ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৩ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েল গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে আসছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৩২ হাজার ৪১৪ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৮৭ জনেরও বেশি।

গাজায় এসব হামলার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল।

প্যালেস্টাইনের অবরুদ্ধ গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার একটি পরিবারের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে প্যালেস্টাইনের বার্তা সংস্থা ‘ওয়াফা’।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজার বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্র আল-শিফা ও এর আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক আকারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে রাফাহ শহরের একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নয় শিশুসহ ১৮ জন নিহত হন।

এ ছাড়া রাফাহ শহরের উত্তর-পূর্বে নাসর এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র গোলাবর্ষণেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রায় ছয় মাসের টানা ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্ত্যুচ্যুত ১৪ লাখ গাজাবাসী বর্তমানে শরণার্থী হিসেবে রাফাহতে অবস্থান করছেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ এই যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

এদিকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটি, রাফাহসহ পুরো উপত্যকাজুড়ে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

হামাসের যুদ্ধবিরতির দাবিকে ‘ভ্রান্তিমূলক’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মঙ্গলবার এক এক্স বার্তায় বলেছে, ‘ইসরায়েল তার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন, বন্দিদের মুক্তি ও হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা পর্যন্ত গাজায় সামরিক আক্রমণ চালিয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশে বাধা ইসরায়েলের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসর-সৌদি যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন
গাজার আল শিফা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
গাজার শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে তীব্র অপুষ্টি: জাতিসংঘ
যুদ্ধ শুরুর পর ত্রাণবাহী প্রথম জাহাজ গাজা উপকূলে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Radical Islamists behind Moscow attack Putin

মস্কোতে হামলায় উগ্র ইসলামপন্থিদের হাত রয়েছে: পুতিন

মস্কোতে হামলায় উগ্র ইসলামপন্থিদের হাত রয়েছে: পুতিন সন্ত্রাসীদের হামলায় জ্বলছে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হল (বাঁয়ে); রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা জানি এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে উগ্র ইসলামপন্থিদের হাতে। তবে অবশ্যই এই প্রশ্নের জবাব দরকার- সন্ত্রাসীরা কেন ইউক্রেনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল? ওখানে তাদের জন্য কে অপেক্ষা করছিল?’

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্টে হামলায় ‘উগ্র ইসলামপন্থিদের’ হাত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই নৃশংসতার পেছনে ইউক্রেনের হাত থাকতে পারে।

শুক্রবার ওই হামলার ঘটনার পর এই প্রথমবারের মতো তিনি এমনটা বলেছেন। তবে এই হামলার দায় স্বীকার করা আইএস-এর কথা উল্লেখ করেননি পুতিন।

শুক্রবারের ওই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

ছদ্মবেশী বন্দুকধারীরা ক্রোকাস সিটি হলে ঢুকে কনসার্টে অংশগ্রহণকারীদের ওপর গুলি চালায় এবং ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়। হামলায় ১৮০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ৯৭ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

টেলিভিশনে সোমবার সম্প্রচারিত এক বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘আমরা জানি এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে উগ্র ইসলামপন্থিদের হাতে, যাদের আদর্শের বিরুদ্ধে শত শত বছর ধরে লড়াই করছে মুসলিম বিশ্ব।’

পুতিন বলেন, ‘তবে অবশ্যই এই প্রশ্নের জবাব দরকার- অপরাধ করার পর সন্ত্রাসীরা কেন ইউক্রেনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল? ওখানে তাদের জন্য কে অপেক্ষা করছিল?’

ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রভিন্স শুক্রবার থেকে বেশ কয়েকবার বলেছে যে, তারা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং আইএসআইএল-অনুমোদিত মিডিয়া চ্যানেলগুলো হামলার সময় বন্দুকধারীদের গ্রাফিক ভিডিও প্রকাশ করেছে।

আইএস হামলার দায় স্বীকার করার পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা তাদের দাবির পক্ষে সাফাই গায়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ফ্রান্সের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, এর জন্য আইএসআইএল নামে একটি সংগঠনকে দায়ী করা হচ্ছে।’

এর আগে সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের রাশিয়ায় তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানান।

এই হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ৭ মার্চ মস্কোকে সতর্ক করেছিল বলে যে খবর বেরিয়েছে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য গোপনীয়।’

আরও পড়ুন:
মস্কোয় হামলার ঘটনায় যা বললেন পুতিন
মস্কোয় কনসার্টে হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩৩

মন্তব্য

p
উপরে