× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Agnipaths schedule announced in India amid protests
google_news print-icon

প্রতিবাদের মাঝেই ভারতে ‘অগ্নিপথ’ এর সময়সূচি ঘোষণা

প্রতিবাদের-মাঝেই-ভারতে-অগ্নিপথ-এর-সময়সূচি-ঘোষণা
অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের প্রতিবাদ ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ায়, সামরিক নেতারা হুঁশিয়ার করেছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, তারা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কোনো অগ্নিসংযোগ বা আন্দোলনে অংশ নেননি।

ভারতের সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের জন্য সরকারের সদ্য ঘোষিত অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদকারী যুবকদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে রোববার দিল্লির যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহে বসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং নেতারা।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা দাবি করেছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পটি দেশের যুবকদের জন্য উপকারী নয় এবং জাতীয় নিরাপত্তাকেও এটি বিপন্ন করে তুলবে।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং দলের নেতা জয় রাম রমেশ, রাজীব শুক্লা, শচীন পাইলট, সালমান খুরশিদ এবং অলকা লাম্বা ‘সত্যাগ্রহে’ অংশ নিয়েছিলেন।

শচীন পাইলট বলেন, ‘প্রকল্পটি অবিলম্বে ফিরিয়ে নেয়া উচিত।’

এ সময় তিনি যুবকদের সহিংস না হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান।

অন্যদিকে, কংগ্রেসের সত্যাগ্রহ স্থল থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘আমাদের দেশে ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কাজ করতে গেলে তাতে রাজনীতির রঙ লেগে যায়। আদালতের দরজা নাড়ার লোকের অভাব নেই। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’

তিনি বলেন, ‘এটা নতুন ভারত। এই ভারত সমস্যার সমাধান করতে পারে।’

মোদির এমন মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তিনি কি তাহলে অগ্নিপথ নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ককেই নিশানা করলেন?

কারণ ইতোমধ্যেই কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়ে গেছে। এমনকি সিএএ বা কৃষি আইন নিয়েও কেন্দ্রকে পিছু হটতে হয়েছে এর আগে।

এদিকে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত যুবকদের হুঁশিয়ার করে প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়সূচি ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রতিবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ায়, সামরিক নেতারা হুঁশিয়ার করেছেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, তারা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কোনো অগ্নিসংযোগ বা আন্দোলনে অংশ নেননি।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভিত্তি হল শৃঙ্খলা। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের কোনো স্থান নেই। অগ্নিপথ প্রকল্পের জন্য আবেদনকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি শংসাপত্র দিতে হবে যে, তারা প্রতিবাদ বা ভাঙচুরে ছিল না। শতভাগ পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং শংসাপত্র ছাড়া কেউ যোগ দিতে পারবে না।’

রোববার নতুন সেনা নিয়োগ প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ সম্পর্কে সন্দেহ দূর করতে এবং সশস্ত্র বাহিনীতে গণপ্রবেশের জন্য কেন দেশটির এই নীতির প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করতে স্থল, বায়ু ও নৌসেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরী বলেন, ‘কীভাবে আমাদের বাহিনীকে তরুণ করা যায় সে বিষয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আমরা বিদেশি বাহিনী নিয়েও পড়াশোনা করেছি। আমরা তরুণদের চাই। যুবকরা ঝুঁকি গ্রহণকারী। তাদের আবেগ আছে। তাদের মধ্যে জোশ এবং হোশ সমান অনুপাতে।’

এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল সি বাঁশি পোনপ্পা বলেছেন, ‘সেনা নিয়োগের জন্য পরীক্ষাগুলো আগস্টের প্রথমার্ধে শুরু হবে এবং অগ্নিবীরদের প্রথম গোষ্ঠী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাহিনীতে যোগ দেবে। দ্বিতীয় গোষ্ঠী আসবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে।’

পোনপ্পা জানান, সেনাবাহিনী ৮৩টি নিয়োগ সমাবেশ করবে এবং দেশের প্রতিটি গ্রাম স্পর্শ করবে। নৌবাহিনীর জন্য, অগ্নিবীরদের প্রথম গোষ্ঠী ২১ নভেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণের জন্য ওড়িশার আইএনএস চিল্কায় পৌঁছাবে। আর বিমান বাহিনী চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচকে নথিভুক্ত করবে এবং একই মাসে প্রশিক্ষণ শুরু হবে।

অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে যে কোনও ভারতীয় যুবক, যার বয়স ১৭.৫ থেকে ২১ বছরের মধ্যে আবেদন করতে পারে৷ তাদের একটি পূর্বনির্ধারিত মেডিক্যাল টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অগ্নিবীর অন্যান্য বায়ুসেনা কর্মীদের দেয়া পদক এবং পুরস্কারের জন্যও যোগ্য হবেন।

এ ছাড়াও তারা বছরে ৩০ দিন সবেতন ছুটি পাবেন। চিকিৎসার পরামর্শ অনুযায়ী, অসুস্থতাজনিত ছুটিও দেয়া হবে। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে তারা সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। তবে বিশেষ পরিস্থিতি ব্যতীত প্রশিক্ষণের মাঝামাঝি সময়ে তাদের চাকরি ছাড়তে দেয়া হবে না।

অগ্নিপথ স্কিমের অধীনে, চাকরির প্রথম বছরের জন্য অগ্নিবীররা বেতন হিসাবে ৩০ হাজার রুপি পাবেন। এর মধ্যে ২১ হাজার রুপি সরাসরি প্রার্থীর অ্যাকাউন্টে যাবে এবং ৯ হাজার যাবে অগ্নিবীর কর্পস ফান্ডে। প্রতি বছর বেতন বাড়বে। প্রশিক্ষণের শেষ বছরে অগ্নিবীরের বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা।

চার বছর প্রশিক্ষণের পর ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীর অবসরে গেলে সেবা তহবিলের আওতায় তাদের দেয়া হবে ১০ লাখ চার হাজার টাকা। যার মধ্যে পাঁচ লাখ দুই হাজার টাকা তাদের নিজেদের অর্জিত।

এ ছাড়া তারা সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের গ্র্যাচুইটি বা অন্য কোনো তহবিল পাবেন না। তবে, সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন তিনি ৪৮ লাখ টাকার জীবন বীমা পাবেন।

আরও পড়ুন:
সেনা নিয়োগে নতুন নিয়মের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত  

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Lands in China Missing 20

চীনে ভূমিধস: নিখোঁজ ২৯

চীনে ভূমিধস: নিখোঁজ ২৯ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে শনিবার ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ইবিন শহরের জিনপিং গ্রামে ভূমিধস হয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ছবি: এএফপি
স্থানীয় কাউন্টি সরকার রবিবার এএফপিকে জানায়, শনিবার দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৯ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রবিবার জানিয়েছে, দীর্ঘ বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ এক ভূমিধসের কারণে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ চাপা পড়েছেন, যাদের মধ্যে ২৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে শনিবার ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ইবিন শহরের জিনপিং গ্রামে ভূমিধস হয়।

সাংহাই থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনে তীব্র আবহাওয়া বিপর্যস্ত হয়েছে। গত বছর বন্যায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো আরও ঘন ঘন ঘটছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিসিটিভি জানায়, প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে, সম্প্রতি দীর্ঘ বৃষ্টিপাত এবং ভূতাত্ত্বিক কারণের প্রভাবে এ বিপর্যয় ঘটেছে।

স্থানীয় কাউন্টি সরকার রবিবার এএফপিকে জানায়, শনিবার দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৯ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

সিসিটিভি আরও জানায়, চূড়ান্ত সংখ্যা যাচাইয়ের কাজ চলছে।

সংবাদমাধ্যমটি প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা অন্ধকারে ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে টর্চলাইট নিয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং শনিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার এবং পরবর্তী পরিস্থিতি সঠিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে চীনের প্রতিশ্রুতি অপরিবর্তিত থাকবে: রাষ্ট্রদূত
বিএনপির সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক দৃঢ়তর হবে: ফখরুল
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক অটুট থাকবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারি বর্ষণে ভূমিধস হতে পারে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও
ভারতে ভূমিধসে প্রাণহানি বেড়ে ৯৩

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Strong Earthquake Tsunami Warning in Japan

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা প্রতীকী ছবি
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানায়, সোমবার ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কিউশু অঞ্চল। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ৬ দশমিক ৯।

স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টা ১৯ মিনিটে দক্ষিণ জাপানের কিউশু অঞ্চলে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পের পরপরই ওই অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

টোকিও থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানায়, সোমবার ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কিউশু অঞ্চল। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্পের পর মিয়াজাকি ও কোচির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রিফেকচারে এক মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের বিষয়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা এক্সে জানায়, কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে বা উপকূলের দিকে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়াজাকি শহরে এরই মধ্যে ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাদেশিক এ রাজধানীতে প্রায় চার লাখ মানুষ বসবাস করছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের পর পশ্চিম জাপানের ইকাতা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্প যে অঞ্চলে আঘাত হেনেছে, তার কাছাকাছি এলাকায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে।

আরও পড়ুন:
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৫৩, আহত ৬২
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
বছরের শুরুতেই ভূমিকম্পে কাঁপল সিলেট
ভানুয়াতুতে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
53 dead 62 injured in earthquake in China

চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৫৩, আহত ৬২

চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৫৩, আহত ৬২ চীনে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল। ছবি: ইউএনবি
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বত অঞ্চলে, যেখানে ভারত ও ইউরেশিয়া টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটে। এটি হিমালয়ের শৃঙ্গগুলোর উচ্চতাকেও প্রভাবিত করেছে।

চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ শিজাংয়ে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫৩ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ৯টা ৫ মিনিটে জিগাজে শহরের ডিংরি কাউন্টিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে।

চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া হতাহতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ মাত্রা ৬ দশমিক ৮ বলে জানায়।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বত অঞ্চলে, যেখানে ভারত ও ইউরেশিয়া টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটে। এটি হিমালয়ের শৃঙ্গগুলোর উচ্চতাকেও প্রভাবিত করেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানায়, ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের আশপাশের গড় উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ২০০ মিটার (১৩ হাজার ৮০০ ফুট)। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের চারপাশের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি ছোট ছোট সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এটি তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার (২৪০ মাইল) এবং এই অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিগাজে থেকে ২৩ কিলোমিটার (১৪ মাইল) দূরে অবস্থিত।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ভূমিকম্পে বাসিন্দারা চমকে উঠেন। তারা তাদের বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, গত ১০০ বছরে এ অঞ্চলে ৬ বা তারও বেশি মাত্রার ১০টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন:
চীনের দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লিথিয়াম ব্যাটারিতে বিনিয়োগ করবে ন্যামস মোটরস
বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারত্ব জোরদার চায় চীন
বাংলাদেশ শিগগিরই সমৃদ্ধির পথে ফিরবে, আশা চীনের
বাংলাদেশে চীনের প্রতিশ্রুতি অপরিবর্তিত থাকবে: রাষ্ট্রদূত
বিএনপির সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক দৃঢ়তর হবে: ফখরুল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Security personnel obstruct the arrest of the impeached president of South Korea

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারে নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারে নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ফাইল ছবি
প্রেসিডেন্ট ইউন গত ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার এ ঘোষণার পর সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রাখেন। মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে তদন্তকারীরা তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বাধা দিয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, ইউনকে এরই মধ্যে আইনপ্রণেতারা দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেছেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর হওয়ার পর গ্রেপ্তার হলে ইউন সুক হবেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসিত হওয়ার পর গ্রেপ্তার হলেন।

প্রেসিডেন্ট ইউন গত ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার এ ঘোষণার পর সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রাখেন। মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয়।

দেশটির দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয় (সিআইও) বলছে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর শুরু হয়েছে। তদন্তকারী কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশকে ইওলের বাসভবনের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়।

ঘটনাস্থল থেকে এএফপির সাংবাদিক জানান, জ্যেষ্ঠ কৌঁসুলি লি ডাই-হোয়ানসহ তদন্তকারী কর্মীরা কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করেই বাসভবনের ঢোকার চেষ্টা করছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, ইওলের বাসভবনের ভেতরে থাকা সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের প্রতিহত করেছে।

প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা তদন্তকারীদের পরোয়ানা মানবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা এর আগে ইওলের বাসভবনে পুলিশের প্রবেশের চেষ্টা প্রতিহত করেছেন।

সিনিয়র প্রসিকিউটর লি ডাই-হোয়ানসহ তদন্তকারীরা ইউনকে আটক করার জন্য তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইউনের বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন।

দেশটির দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয় বলছে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা শুরু হয়েছে। তদন্তকারী কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশকে ইওলের বাসভবনের ভেতরে ঢুকতে দেখা গেছে।

ইউনের আইনি দল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করে বলেছে, এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আরও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইওলের আইনজীবী ইওন ক্যাপ কিউন বলেছেন, বেআইনি পরোয়ানা কার্যকর করা বৈধ নয়।

ঘটনাস্থল থেকে এএফপির সাংবাদিক জানান, প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরে পুলিশের কয়েক ডজন বাস, শত শত পোশাকধারী পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

ইওলের সমর্থকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ইওলবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ হাজার ৭০০ পুলিশ ও ১৩৫টি পুলিশের বাস ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।

এ সপ্তাহের শুরুতে একটি আদালত তাকে আটক করার জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করেন।

আরও পড়ুন:
জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
যুব উৎসব: জানুয়ারিতে ঢাকায় আসছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট শুরু 
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী মধ্যমপন্থি পেজেশকিয়ান
দক্ষিণ আফ্রিকায় জোট সরকার, ফের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রামাফোসা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
War in Iraq based on faulty intelligence Howard

ভুল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে যুদ্ধ হয়: হাওয়ার্ড

ভুল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে যুদ্ধ হয়: হাওয়ার্ড অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড। ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হাওয়ার্ড বলেন, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র শনাক্ত করতে গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানগুলোতে ভুল হয়েছিল। আর যুদ্ধে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।

গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) সম্পর্কে গোয়েন্দাদের ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরাক-যুদ্ধ পরিচালিত হয় বলে স্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড।

বুধবার হাওয়ার্ড বলেন, এটি হতাশাজনক যে, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র শনাক্ত করতে গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানগুলোতে ভুল হয়েছিল।

তবে তিনি বিশ্বাস করেন, অস্ট্রেলিয়াকে যুদ্ধে জড়িত করার সিদ্ধান্তটি জাতীয় স্বার্থে ছিল।

ন্যাশনাল আর্কাইভ অফ অস্ট্রেলিয়ার (এনএএ) ২০০৪ সালের আগের মন্ত্রিসভার নথি প্রকাশের সঙ্গে তার মন্তব্যগুলো মিলে যায়।

প্রতি বছর ১ জানুয়ারি এনএএ ২০ বছর আগের মন্ত্রিসভার নথি জনসম্মুখে প্রকাশ করে।

২০০৩ সালের নথিগুলোর কিছু নিখোঁজ হওয়ার কারণে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে বিলম্বে প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, হাওয়ার্ডের সরকার ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছিল। ওই বছরের কয়েক মাস আগে মার্চে অস্ট্রেলিয়াকে প্রকাশ্যে ইরাক-যুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা হয়।

২০০৪ সালের একটি তদন্তে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইরাকের গণবিধ্বংসী অস্ত্রের পরিমাণ এবং প্রকৃতি সঠিকভাবে বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হাওয়ার্ড বুধবার বলেন, যুদ্ধে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।

বল প্রয়োগের অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘের কোনো অনুমোদন ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ২০০৩ সালের মার্চ মাসে ইরাকে আক্রমণ শুরু করেন।

তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মিশনটি ছিল ‘ইরাককে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে নিরস্ত্র করা, সন্ত্রাসবাদে সাদ্দাম হোসেনের সমর্থন শেষ করা এবং ইরাকি জনগণকে মুক্ত করা। পরবর্তীতে তার এই অভিযোগ মিথ্যা বা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছিল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
One person died in a shark attack in Australia

অস্ট্রেলিয়ায় হাঙরের আক্রমণে একজন নিহত

অস্ট্রেলিয়ায় হাঙরের আক্রমণে একজন নিহত ঘটনাস্থলে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের সদস্যরা। ছবি: এএফপি
ডেটাবেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৭৯১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াতে হাঙরের আক্রমণে ২৫০ জন প্রাণ হারিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে (বৃহৎ প্রবাল প্রাচীর) হাঙরের আক্রমণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।

অস্ট্রেলিয়ার জরুরি সেবা সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, ৪০ বছর বয়সী নিহত ওই ব্যক্তি দেশটির পূর্ব উপকূলের হাম্পি দ্বীপে শনিবার বিকেলে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মাছ ধরছিলেন।

কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, আক্রান্ত হওয়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যে লোকটি ঘটনাস্থলে মারা যান। ঘাতক হাঙর লোকটির ঘাড়ে কামড় বসিয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়াতে সর্বশেষ হাঙরের আক্রমণ হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। সে সময় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার একটি নির্জন সার্ফিং স্পটে সাদা হাঙরের আক্রমণে ১৫ বছর বয়সী একটি ছেলে প্রাণ হারায়।

ডেটাবেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৭৯১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াতে হাঙরের আক্রমণে ২৫০ জন প্রাণ হারিয়েছে।

আরও পড়ুন:
সেমিতে ওঠার লক্ষ্যে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া
অজিদের বধ করে ইতিহাস আফগানদের
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিডনির হামলা
অস্ট্রেলিয়ায় শপিং মলে ছুরি হামলা, হামলাকারীসহ নিহত ৭
অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
South Korea plane crash death toll rises to 120

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: নিহত বেড়ে ১৭৪

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: নিহত বেড়ে ১৭৪ স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়। ছবি: ইউএনবি
রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মুয়ান শহরের বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে অবতরণ করছিল জেজু এয়ারের ফ্লাইটটি। ওই সময় রানওয়ে থেকে পিছলে ছিটকে গিয়ে কংক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা মারলে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

১৮১ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুজনকে উদ্ধার করতে পেরেছেন উদ্ধারকর্মীরা। এ কারণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।

রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মুয়ান শহরের বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে অবতরণ করছিল জেজু এয়ারের ফ্লাইটটি। ওই সময় রানওয়ে থেকে পিছলে ছিটকে গিয়ে কংক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা মারলে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

দেশটির জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩২টি ফায়ার ট্রাক ও বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়।

মুয়ান অগ্নিনির্বাপণ সংস্থার প্রধান লি জিয়ং-হিয়ন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। অগ্নিকাণ্ডে বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কেবল বিমানের লেজের অংশটি শনাক্তযোগ্য ছিল।

লি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি, বিমানটি পাখির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে কি না, দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকারি তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে এটি অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে গুয়ামে কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২৮ আরোহী নিহত হওয়ার পর ২০২৪ সালের শেষ মুহূর্তে এমন বিমান দুর্ঘটনা দেখল দেশটি।

আরও পড়ুন:
কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণ সময় বাড়লো
ওমরাহ যাত্রীদের টিকিটের দাম কমিয়েছে বিমান
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে এক দিনের বেতন দিলেন বিমান বাহিনী সদস্যরা
চেয়ারম্যান হিসেবে বিমানে ফিরছেন মুয়ীদ
ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬১ আরোহী নিহত

মন্তব্য

p
উপরে