× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Air pollution The life expectancy of the people of Delhi is decreasing by 10 years
google_news print-icon

বায়ুদূষণ: দিল্লির মানুষের আয়ু কমছে ১০ বছর

বায়ুদূষণ-দিল্লির-মানুষের-আয়ু-কমছে-১০-বছর
দিল্লির বায়ুদূষণ দেখলে কুয়াশা বলে ভুল হয়। ছবি: এএফপি
বর্তমান বায়ুদূষণের মাত্রা অব্যাহত থাকলে পাঞ্জাব থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ গড় আয়ু ৭ দশমিক ৬ বছর করে হারাতে পারে।

শিকাগো ইউনিভার্সিটি অফ এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট (ইপিআইসি) সর্বশেষ বায়ুর গুণমান প্রভাবিত যে জীবন সূচক প্রকাশ করেছে সেখানে বলা হচ্ছে, দিল্লি হলো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর।

দিল্লির বাতাস মানুষের জীবন প্রায় ১০ বছর কমিয়ে দিচ্ছে, আর লখনৌতে কমছে সাড়ে ৯ বছর।

এটি একটি দূষণ সূচক যা বায়ু দূষণের কণার প্রভাবে জীবনের আয়ু সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করে। বলা হয়েছে, ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত অঞ্চল।

প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমান দূষণের মাত্রা অব্যাহত থাকলে পাঞ্জাব থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ গড় আয়ু ৭ দশমিক ৬ বছর করে হারাতে পারেন।

বৰ্তমান দূষণের মাত্রা ধূমপানের চেয়ে বায়ুকে আরও প্রাণঘাতী করে তোলে যা আয়ু দেড় বছর এবং শিশু ও মায়েদের অপুষ্টি ১ দশমিক ৮ বছর কমিয়ে দিচ্ছে।

লকডাউন সত্ত্বেও ভারতে বায়ু দূষণের মাত্রা ২০২০ সালে বাড়তে থাকে, যা বিশ্বব্যাপী গড় ২.২ বছরের তুলনায় ভারতীয় গড় আয়ু পাঁচ বছর কমিয়ে দেয়। এটি একটি প্যান-দক্ষিণ এশিয়ার সংকট যার মাত্রা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও বাড়ছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করেন গবেষকরা।

এর কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- গত দুই দশকে বা তারও বেশি সময়ে এই অঞ্চলে যানবাহন চলাচল এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে। ফসল পোড়ানো, ইট ভাটা এবং অন্যান্য শিল্পের কারণে ক্রমশ জটিল হয়েছে।

এই সময়ে ভারতের কণা দূষণ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ইপিআইসি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৮ সাল থেকে গড় বার্ষিক কণা দূষণ ৬১.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বের দূষণ বৃদ্ধির প্রায় ৪৪ শতাংশ ভারত থেকে এসেছে।

২০১৩ সাল থেকে চীন তার নির্গমণ প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়েছে। এই সাফল্যের বেশিরভাগই এসেছে একটি ‘কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল’ প্লেবুক থেকে, যা সাধারণত বিবেচনা করে না কীভাবে তাদের লক্ষ্য অর্জনের খরচ কমানো যায় বলেও জানানো হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন:
ফিরে আসছে কালো ধোঁয়া
বায়ুদূষণ ঠেকাতে কর্মপরিকল্পনা জমার নির্দেশ
সরব ও নীরব ঘাতকে জেরবার জীবন
সবচেয়ে দূষিত বায়ু গাজীপুরে, কম মাদারীপুরে
জানুয়ারির একদিনও বিশুদ্ধ বাতাস পায়নি ঢাকাবাসী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Gabbar got up from the tunnel as he was the oldest

বয়সে সবচেয়ে বড়, তাই সুড়ঙ্গ থেকে শেষে উঠলেন গব্বর

বয়সে সবচেয়ে বড়, তাই সুড়ঙ্গ থেকে শেষে উঠলেন গব্বর সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসছেন গব্বর সিংহ নেগি। ছবি: সংগৃহীত
হাসপাতালের বাইরে থেকেই গব্বরের ভাই জয়মল সিংহ নেগি বলেন, দাদা বাকিদের বলেছিল, আমি সবার বড়। আমি সবার শেষে সুড়ঙ্গ থেকে বেরোব। দাদা ফিরে আসায় তিনি এবং তাদের পরিবার যে খুশি, সে কথাও জানান জয়মল।

বয়সে সবচেয়ে বড় তাই বিপদেও যেন বড় দায়িত্ব পালন করলেন ভারতের উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটকা পড়া গব্বর সিংহ নেগি। সুড়ঙ্গ থেকে একে একে ৪০ জন বেরিয়ে আসার পর, সবার শেষে বেরোলেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করার পর উদ্ধারকারীদের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে গব্বর সিংহের প্রশংসা। তাকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাকি শ্রমিকরাও।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ১৭ দিনের বন্দিদশায় বাকিদের যোগাসন শিখিয়েছেন বয়োজ্যেষ্ঠ গব্বর। বিপদ এবং আতঙ্কের মধ্যেও শ্রমিকরা যাতে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকেন, তা সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করে গিয়েছেন তিনি। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গব্বর। সেখানেই তার প্রাথমিক চিকিৎসা চলছিল।

হাসপাতালের বাইরে থেকেই গব্বরের ভাই জয়মল সিংহ নেগি এনডিটিভিকে বলেন, দাদা বাকিদের বলেছিল, আমি সবার বড়। আমি সবার শেষে সুড়ঙ্গ থেকে বেরোব। দাদা ফিরে আসায় তিনি এবং তাদের পরিবার যে খুশি, সে কথাও জানান জয়মল।

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গমুখ থেকে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার দূরে উত্তরাখণ্ডের পাওড়ি গঢ়ওয়াল জেলায় গব্বরের বাড়ি। তার সাহসিকতার প্রশংসা শোনা গিয়েছে বড়ির লোকেদের কাছ থেকেও।

প্রথমে পাইপের মাধ্যমে, পরে ফোনের মাধ্যমে কয়েক দিন ধরেই গব্বরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন ভাই জয়মল। তার কথায়, দাদা খুব সাহসী। দাদাকে বললাম, উদ্ধারকাজ শুরু হলে তো হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যাবে। তখন কী করবে? বলল, আমি বড়। আমি সবার শেষে বেরোব।

১৭ দিন পর মঙ্গলবার রাতে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪১ জন শ্রমিককে। সবাই সুস্থ রয়েছেন। তবে দীর্ঘ দিন সুড়ঙ্গে বন্দি থাকার কারণে তাদের মনের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সুড়ঙ্গের বাইরে গড়ে তোলা হয়েছিল অস্থায়ী হাসপাতাল। মঙ্গলবার রাতে সুড়ঙ্গ থেকে বের করার পর শ্রমিকদের সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা চলে।এর পর তাদের ৩০ কিলোমিটার দূরে চিনিয়ালিসৌর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই ৪১টি শয্যা তৈরি ছিল। প্রত্যেক শয্যায় ছিল অক্সিজেনের ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন:
লুডু খেলে ও সুখ-দুঃখের গল্পে সুড়ঙ্গে সময় কেটেছে শ্রমিকদের
ইঁদুরের মতো গর্ত খুঁড়ে যেভাবে বাঁচানো হয় সুড়ঙ্গে আটকা ৪১ প্রাণ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The workers spent time in the tunnel playing ludo and sharing stories of happiness and sadness

লুডু খেলে ও সুখ-দুঃখের গল্পে সুড়ঙ্গে সময় কেটেছে শ্রমিকদের

লুডু খেলে ও সুখ-দুঃখের গল্পে সুড়ঙ্গে সময় কেটেছে শ্রমিকদের
১২ নভেম্বর ভোরে সুড়ঙ্গে কাজ করার সময় একটা বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। তাদের চোখের সামনেই হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে সুড়ঙ্গের একাংশ।

১৭ দিন ধরে আটকে থাকার পর অবশেষে ভারতের উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হয়েছেন ৪১ শ্রমিক। একটা সময় হয়তো তারা ধরেই নিয়েছিলেন, আর বেঁচে ফেরা হবে না তাদের। তবে সব আশঙ্কা দূর করে একে একে বেরিয়ে এসেছেন তারা।

কীভাবে কংক্রিটের সুড়ঙ্গের মধ্যে এই শ্রমিকরা আটকে পড়ে সময় কাটিয়েছেন, কী খেয়েছেন এ কদিন ধরে- এসব নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছে তারা।

ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলা থেকে শ্রমিক হিসেবে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী জমরা ওঁরাও। ধস নামার কারণে বাকি শ্রমিকদের সঙ্গে তিনিও সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছিলেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর সঙ্গে কথা বলার সময় জমরা জানান, ১২ নভেম্বর ভোরে সুড়ঙ্গে কাজ করার সময় একটা বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। তাদের চোখের সামনেই হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে সুড়ঙ্গের একাংশ।

জমরার কথায়, আমরা প্রাণ বাঁচাতে পড়িমরি করে দৌড়েছিলাম। লাভ হয়নি। কেউ বেরোতে পারিনি। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পারি, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটকে পড়েছি। সবাই অস্থির হয়ে পড়েছিলাম। খুব খিদে পেয়েছিল। ভয় গ্রাস করছিল। সাহায্যের জন্য প্রার্থনা শুরু করি। কিন্তু আশা ছাড়িনি।

জমরা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার পর টানা ২৪ ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হয়েছিল তাদের। তার পর খাবার পাঠায় প্রশাসন। প্রথম বার খাবার হিসেবে এসেছিল মুড়ি এবং এলাচ। সেই খাবার খেয়েই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শক্তি পেয়েছিলেন বলে জানান জমরা।

তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টা পর যখন আমরা প্রথম খাবার খেলাম, তখন উপলব্ধি হলো যে বেঁচে আছি। আমরা বুঝতে পারি যে, কেউ ঠিক আমাদের কাছে পৌঁছাবে। আমাদের উদ্ধার করা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। আমাদের আশা আরও বাড়ে।

জমরা আরও জানিয়েছেন, কংক্রিটের সুড়ঙ্গের মধ্যে সময় পার করতে মোবাইলের গেমই ছিল তাদের ভরসা। মোবাইলে লুডো খেলে অনেকটা সময় পার হয়েছে তাদের। বাইরে থেকে চার্জার পাঠিয়ে দেয়ায় ফোন চার্জ করতে অসুবিধা হয়নি। তবে নেটওয়ার্ক না থাকায়, কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। মোবাইলে গেম খেলা ছাড়া একে অপরের সঙ্গে সুখ-দুঃখের কথা বলে এবং মনোবল বাড়িয়েও সুড়ঙ্গের মধ্যে তারা সময় কাটিয়েছিলেন বলে জমরা জানিয়েছেন।

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে যে ৪১ জন আটকে ছিলেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ঝাড়খণ্ডের শ্রমিক। তাদের মধ্যেই ছিলেন জমরা। জমরা জানিয়েছেন, স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে রেখে মাসে ১৮ হাজার টাকার জন্য তিনি ওই সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন।

১৭ দিন পর খোলা আকাশে নিশ্বাস নেয়ার পর জমরা বলেন, ‘আমি ভাল আছি। আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখেছিলাম এবং ঈশ্বর আমাদের শক্তি দিয়েছেন। এটাও বিশ্বাস রেখেছিলাম যে, যেহেতু ৪১ জন আটকে রয়েছি, তাই কেউ ঠিক আমাদের উদ্ধার করবে। স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য ছটফট করছিলাম। যারা ১৭ দিন ধরে লাগাতার পরিশ্রম করে আমাদের উদ্ধার করেছেন, তাদের ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন:
ইঁদুরের মতো গর্ত খুঁড়ে যেভাবে বাঁচানো হয় সুড়ঙ্গে আটকা ৪১ প্রাণ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
It is believed that the three people killed in the building collapse in Malaysia are all Bangladeshis

মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে বাংলাদেশি ৩ শ্রমিক নিহত

মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে বাংলাদেশি ৩ শ্রমিক নিহত মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ছবি: নিউ স্ট্রেইট টাইমস
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশনের সহকারী পরিচালক খায়েরি সুলাইমান বলছেন, ‘সবাইকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা অভিযান বন্ধ করব না, তবে বৃষ্টি বা প্রতিকূল আবহাওয়া থাকলে পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।’

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে তিনজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন চারজন।

নিউ স্ট্রেইট টাইমসের বুধবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পেনাংয়ের বাতু মংয়ে ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড অফিসের কাছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ উসুফ জান মোহাম্মাদ জানান, ভবনে ১৮ জন কর্মী নিযুক্ত ছিলেন। শ্রমিকরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।

তিনজনের মধ্যে ঘটনাস্থলে দুইজনের মৃত্যু হয় এবং পেনাং হাসপাতালে পৌঁছানোর পর আরেকজনকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক। উদ্ধারকারী দল এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়া বাকি চারজনকে খুঁজছে।

ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশনের সহকারী পরিচালক খায়েরি সুলাইমান বলছেন, ‘বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও চারজন আটকে আছেন বলে আমাদের ধারণা, তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সবাইকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা অভিযান বন্ধ করব না, তবে বৃষ্টি বা প্রতিকূল আবহাওয়া থাকলে পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।’

আরও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে বাস-ট্রলি মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ আহত ৪
বখাটেদের কিল-ঘুষিতে ছেলের সামনে বাবা খুন
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনসহ নিহত ৫
পরিত্যক্ত ট্যাংকিতে দাদা-নাতির মরদেহ
অটোরিকশায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ৩

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Three workers came out of the tunnel after 17 days and the rest were waiting

টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক ১৭ দিন পর মুক্ত বাতাসে

টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক ১৭ দিন পর মুক্ত বাতাসে ভারতের উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন টানেল ধসে ভেতরে আটকা পড়েন ৪১ শ্রমিক। ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে প্রথম শ্রমিককে বের করে আনা হয়। আর রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে সবশেষ জনকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তরাখণ্ডে টানেলে ধসের উদ্ধার অভিযান শেষ হয়।

ভারতের উত্তরাখণ্ডে টানেলে ধসের ১৭ দিন পর অবশেষে মুক্তি। একে একে বের হরে আনা হলো ৪১ শ্রমিকের সবাইকে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে প্রথম শ্রমিককে বের করে বন্দিদশা থেকে মুক্ত বাতাসে নিয়ে আসা হয়। আর সর্বশেষ জনকে বের করে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানা হয় রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে।

শুরুতে উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তারা জানান, একেজনকে বের করতে মোটামুটি পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মতো লাগছে। সবাইকে টানেল থেকে বের করতে সব মিলিয়ে তিন ঘণ্টার মতো লেগে যাবে। তবে এক ঘণ্টার মধ্যেই তারা কাজ সমাপ্ত করতে সমর্থ হন।

ঘটনাস্থলে আটকে পড়াদের স্বজনসহ উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা শ্রমিকদের সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রমিকদের বের করে আনতে ৬০ মিটার লম্বা একটি পাইপ স্থাপন করা হয়। এই পাইপের মধ্যে দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি চাকাচালিত স্ট্রেচারে করে শ্রমিকদের বাইরে নিয়ে আসা হয়।

শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রথমে ওই পাইপ দিয়ে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন কয়েকজন উদ্ধারকারী টানেলের ভেতরে পৌঁছান। বিশেষ ওই স্ট্রেচারে করে কীভাবে বের হতে হবে- সে ব্যাপারে আটকে পড়া শ্রমিকদের নির্দেশনা দেন তারা। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করেন তারা। পরে শ্রমিকদের একেক করে স্ট্রেচারে শুইয়ে দেওয়া হয় আর বাইরে থেকে স্ট্রেচার টেনে টেনে তাদের বের করে আনা হয়।

টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক ১৭ দিন পর মুক্ত বাতাসে

গত ১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামে। এ ঘটনায় ভেতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। এতদিন ধরে তাদের বের করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তাদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না কিছুতেই।

খোঁড়ার সময়ে গত শুক্রবার নতুন বাধা আসে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরের লোহার কাঠামোয় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যায় আমেরিকান খননযন্ত্র। ফলে উদ্ধারকাজ থমকে যায়।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে, উদ্ধার করার আগপর্যন্ত সুড়ঙ্গের শ্রমিকদের সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল। পাইপের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে কথা চলছিল; পৌঁছে দেয়া হচ্ছিল খাবার, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

সুড়ঙ্গে থাকাকালে উত্তরকাশীর শ্রমিকদের প্রথম ভিডিও প্রকাশ্যে আসে গত মঙ্গলবার। পাইপের মাধ্যমে ক্যামেরা পাঠান উদ্ধারকারীরা। সেখানেই দেখা যায় সুড়ঙ্গের ভিতর কীভাবে, কোন অবস্থায় রয়েছেন তারা।

খননযন্ত্র ভেঙে যাওয়ায় দুইভাবে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ নতুন করে শুরু হয়। খননযন্ত্রের সব টুকরোগুলো সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনার পর খনি শ্রমিকরা সেখানে ঢুকে যন্ত্র ছাড়াই খোঁড়া শুরু করেন। ১০-১২ মিটার পথ সেভাবেই খুঁড়ে ফেলার পরিকল্পনা ছিল। এই প্রক্রিয়াকে বলে ‘ইঁদুর-গর্ত’(র‌্যাট হোল) প্রক্রিয়া। ইঁদুরের কায়দায় গর্ত খুঁড়ে সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বের করার পরিকল্পনা করা হয়।

এ ছাড়া সুড়ঙ্গের উপর দিক থেকে উল্লম্বভাবে খোঁড়ার কাজও শুরু হয়েছিল। ৮৬ মিটারের মধ্যে মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই খোঁড়া হয়ে গিয়েছিল ৪২ মিটার।

পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স, ওষুধপত্র আগে থেকেই শ্রমিকদের জন্য ঘটনাস্থলে মজুত রয়েছে; প্রস্তুত রয়েছে অস্থায়ী হাসপাতালও।

দরকার হলে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাদের ঋষিকেশ এমসে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। ৪১ জনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Rescuers approach the workers entering the tunnel
ভারতের উত্তরাখণ্ড

সুড়ঙ্গে ঢুকে শ্রমিকদের কাছে উদ্ধারকারীরা

সুড়ঙ্গে ঢুকে শ্রমিকদের কাছে উদ্ধারকারীরা ভারতের উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন টানেল ধসে ভেতরে আটকা পড়েন ৪১ শ্রমিক। ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
ধসে পড়া টানেলের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ৯০ সেন্টিমিটার ব্যাসের পাইপের মাধ্যমে একে একে বের করা হবে শ্রমিকদের। আশা করা হচ্ছে ৪১ জন শ্রমিকের সবাই সুস্থ আছেন।

ভারতের উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গ ধসের ১৭ দিন পর ধ্বংসস্তূপের ৫৭ মিটার খুঁড়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছেছেন উদ্ধারকারীরা।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির বরাত দিয়ে এনডিটিভির মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ধসে পড়া টানেলের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ৯০ সেন্টিমিটার ব্যাসের পাইপের মাধ্যমে একে একে বের করা হবে শ্রমিকদের। আশা করা হচ্ছে ৪১ জন শ্রমিকের সবাই সুস্থ আছেন।

টানেলের প্রবেশ মুখে একটি অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি শ্রমিককে পরীক্ষা করা হবে এবং প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হবে।

ধসে পড়া টানেলের মধ্য দিয়ে শনিবার ড্রিলিং করার সময় অগার মেশিনের ব্লেডগুলো ধ্বংসস্তূপে আটকে যায়। এর পর কর্মীরা শাবল-গাঁইতি ব্যবহার করে খননকাজ শুরু করেন বলে জানায় দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ড্রিলিং মেশিনের যে টুকরোগুলো সুড়ঙ্গে আটকে ছিল সোমবার সকালে তা সরানো হয়। এর পর শাবল-গাঁইতি নিয়ে সুড়ঙ্গে ঢুকেন উদ্ধারকারীরা।

চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ টানেলের ১৫০ মিটার দীর্ঘ একটি অংশ গত ১২ নভেম্বর ভোর ৪টার দিকে ভেঙে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে থানায় খবর দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এরপর পুলিশের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত দেয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

আরও পড়ুন:
উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গে আটকা ৪১ শ্রমিক উদ্ধার হবে কবে
সুড়ঙ্গে আটকা শ্রমিকদের উদ্ধারে আরও ১৫ দিন!
সুড়ঙ্গে আটকা শ্রমিকরা খাচ্ছেন খিচুড়ি-আপেল, করছেন যোগব্যায়ামও
রাজধানীতে ককটেল তৈরির সময় আটক ২
বিআরটিসির বাসে আগুন: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটক

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Rescuers are only 5 meters away from the workers trapped in the tunnel
ভারতের উত্তরাখণ্ড

সুড়ঙ্গে আটকা শ্রমিকদের থেকে ৫ মিটার দূরে উদ্ধারকারীরা

সুড়ঙ্গে আটকা শ্রমিকদের থেকে ৫ মিটার দূরে উদ্ধারকারীরা ভারতের উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন টানেল ধসে ভেতরে আটকে আছেন ৪১ শ্রমিক। ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, টানেলের প্রবেশপথ থেকে প্রায় ৫৭ মিটার খনন করে ভেতরে একটি পাইপ প্রবেশ করিয়ে আটকা পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে হবে। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের প্রায় ৫২ মিটার খনন করতে সক্ষম হয়েছেন।

ভারতের উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গ ধসের ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের আর মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মিটার পথ খুঁড়লেই ভেতরে আটকা পড়া ৪১ শ্রমিকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, টানেলের প্রবেশপথ থেকে প্রায় ৫৭ মিটার খনন করে ভেতরে একটি পাইপ প্রবেশ করিয়ে আটকা পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে হবে। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের প্রায় ৫২ মিটার খনন করতে সক্ষম হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত রাতে (সোমবার) সফলভাবে কাজ করেছেন কর্মীরা, খননকাজে কোনো বাধা ছিল না। এখন প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মিটার যেতে হবে। বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

সুড়ঙ্গে আটকা শ্রমিকদের থেকে ৫ মিটার দূরে উদ্ধারকারীরা
উদ্ধারকাজে অগার মেশিনটি ব্যর্থ হওয়ায় শাবল দিয়ে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ছেন কর্মীরা। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এর আগে শনিবার ধসে পড়া টানেলের মধ্য দিয়ে ড্রিলিং করার সময় অগার মেশিনের ব্লেডগুলো ধ্বংসস্তূপে আটকে যায়। এর পর কর্মীরা শাবল-গাঁইতি ব্যবহার করে খননকাজ শুরু করেন বলে জানায় দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ড্রিলিং মেশিনের যে টুকরোগুলো সুড়ঙ্গে আটকে ছিল সোমবার সকালে তা সরানো হয়। এর পর শাবল-গাঁইতি নিয়ে সুড়ঙ্গে ঢুকেন উদ্ধারকারীরা।

চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ টানেলের ১৫০ মিটার দীর্ঘ একটি অংশ গত ১২ নভেম্বর ভোর ৪টার দিকে ভেঙে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে থানায় খবর দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এরপর পুলিশের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত দেয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

আরও পড়ুন:
সুড়ঙ্গে আটকা শ্রমিকদের উদ্ধারে আরও ১৫ দিন!
সুড়ঙ্গে আটকা শ্রমিকরা খাচ্ছেন খিচুড়ি-আপেল, করছেন যোগব্যায়ামও
রাজধানীতে ককটেল তৈরির সময় আটক ২
বিআরটিসির বাসে আগুন: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটক
এক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর জঙ্গলে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ, আটক ২

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
An attempt was made to rescue 41 workers by digging a tunnel with a failed excavator
ভারতের উত্তরাখণ্ড

ব্যর্থ খননযন্ত্র, শাবল দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ৪১ শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা

ব্যর্থ খননযন্ত্র, শাবল দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ৪১ শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা উদ্ধারকাজে অগার মেশিনটি ব্যর্থ হওয়ায় শাবল দিয়ে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়বেন কর্মীরা। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য মোট ৮৭ মিটার পথ খোঁড়া দরকার। রোববার প্রথম দিকে ২০ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মোট ৩৭ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। বড় কোনো বিপদ না হলে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেই পথ অতিক্রম করা সম্ভব বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

ভারতের উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গ ধসের ঘটনায় আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে এবার শাবল-গাঁইতি ব্যবহার করা হবে।

ধসে পড়া টানেলের মধ্য দিয়ে শনিবার ড্রিলিং করার সময় অগার মেশিনের ব্লেডগুলো ধ্বংসস্তূপে আটকে যায়। এর পর কর্মীরা বিকল্প এ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়।

ড্রিলিং মেশিনের যে টুকরোগুলো সুড়ঙ্গে আটকে ছিল সোমবার সকালে তা সরানো হয়েছে। শীঘ্রই শাবল-গাঁইতি নিয়ে সুড়ঙ্গে ঢুকবেন উদ্ধারকারীরা।

দুদিক থেকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উপর থেকে উল্লম্বভাবে খোঁড়া শুরু হয়েছে রোববার। যন্ত্রাংশ সরানোয় সোমবার সামনের দিক থেকে খোঁড়ার কাজও শুরু হয়ে যাবে।

সামনের দিক থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে অধিকাংশ রাস্তাই খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। বাকি আছে ১০ থেকে ১২ মিটার।

এ ছাড়া আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য মোট ৮৭ মিটার পথ খোঁড়া দরকার। রোববার প্রথম দিকে ২০ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মোট ৩৭ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। বড় কোনো বিপদ না হলে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেই পথ অতিক্রম করা সম্ভব বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

ব্যর্থ খননযন্ত্র, শাবল দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ৪১ শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা
ভারতের উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন টানেল ধসে ভেতরে আটকে আছেন ৪১ শ্রমিক। ছবি: রয়টার্স

উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা থেকে উত্তরকাশীর দণ্ডালগাঁওয়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষার জন্য তৈরি করা হচ্ছে এই সুড়ঙ্গ। চারধাম প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন এ সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রী ধাম যাওয়ার দূরত্ব কমবে ২৬ কিলোমিটার।

চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ টানেলের ১৫০ মিটার দীর্ঘ একটি অংশ গত ১২ নভেম্বর ভোর ৪টার দিকে ভেঙে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে থানায় খবর দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এরপর পুলিশের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত দেয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

আরও পড়ুন:
সুড়ঙ্গে আটকা শ্রমিকরা খাচ্ছেন খিচুড়ি-আপেল, করছেন যোগব্যায়ামও
রাজধানীতে ককটেল তৈরির সময় আটক ২
বিআরটিসির বাসে আগুন: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটক
এক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর জঙ্গলে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ, আটক ২
ভারতে টানেলে আটকা শ্রমিকদের উদ্ধারে এক সপ্তাহ ধরে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি

মন্তব্য

p
উপরে