দক্ষিণ কোরিয়ায় আগুন ও বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন। আহত হয়েছেন আরও ৪৬ জন।
জিয়ংসাং প্রদেশের দায়েগু শহরের একটি ল ফার্মে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আগুনের পর বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হামলা।
পুলিশ বলছে, হামলার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এটি অগ্নিসংযোগের কাজ হতে পারে। এ ঘটনায় ৫০ বছরের এক ব্যক্তিকে সন্দেহ করা হচ্ছে, যিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আশেপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পরপরই অন্তত দেড়শ দমকলকর্মী ঝাপিয়ে পড়েন। তারা ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের বেশিরভাগেরই ধোঁয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা দেখা দিয়েছে। তারা এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিবিসি কোরিয়ান বলছে, ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজন অপরাধীকে দ্বিতীয় তলায় কিছু জিনিসপত্র নিয়ে ঢুকতে দেখা গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, হামলার আগে ওই ব্যক্তি আইনজীবীর অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
আরও পড়ুন:যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইরানে হামলায় চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানী তেহরানের নিকটবর্তী কারাজ শহরে এ হামলায় চালানো হয়।
ইরানের রাষ্ট্রাত্ত্ব সংবাদ সংস্থা ইরনার তথ্য মতে, এ দিন ইসরায়েলের ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) দুই জেনারেলসহ বাহিনীটির মোট ৭ জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আবারও হামলা শুরুর নির্দেশ দেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। আজ (মঙ্গলবার) সকালে তিনি বলেন, ‘তেহরানের কেন্দ্রবিন্দুতে বিভিন্ন নিশানায় তীব্র হামলা চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় কাস্পিয়ান সাগরতীরবর্তী গিলান প্রদেশে ইসরায়েলি হামলায় ৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রদেশের এক উপ-গভর্নরের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে হামলার নির্দিষ্ট সময় ও স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ) অভিযোগ করে, ‘যুদ্ধবিরতির মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে ইরানি সরকার। আমরা তার জোরালো জবাব দেব।’
তবে, যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে ইরান। তবে ফের ইসরায়েল আগ্রাসন চালালে, চূড়ান্ত, দৃঢ় ও যথাযথ জবাব দেওয়া হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।
এর আগে, সোমবার (২৩ জুন) সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুইদেশের সংঘাতকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ দাবি করে বলেন, ‘ইরান ও ইসরায়েল সম্পূর্ণ ও পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।’
যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলার মধ্যেই ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। দক্ষিণ ইসরায়েলের বেয়ার শেভা শহরের একটি আবাসিক ভবনে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে চারজন নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে তারা এবং বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ তুলে তার জোরালো জবাব দিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) তিনি বলেন, ‘তেহরানের কেন্দ্রবিন্দুতে বিভিন্ন নিশানায় তীব্র হামলা চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ‘যুদ্ধবিরতির মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে ইরানি সরকার। আমরা তার জোরালো জবাব দেব।’
যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে ইরান। তবে ফের যদি ইসরায়েল কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে চূড়ান্ত, দৃঢ় ও যথাযথ জবাব দেওয়া হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।
এ সময়ে সচেতনতা, সহনশীলতা ও ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য ইরানের জনগণের প্রশংসা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানীয়দের অবিচল সংকল্প, কৌশলগত ধৈর্য, অবমাননা কিংবা একতরফা অবমাননা মেনে নিতে অস্বীকৃতি থেকে সরিয়ে আনতে পারেনি শত্রুরা।
কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন আকাশসীমা পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে এই অঞ্চলের বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত ৩ টার পর থেকে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গতকাল (২৩ জুন) বাহরাইন চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন।
এরপর সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৩টার পর থেকে আকাশসীমা পুনরায় উন্মুক্ত করার কথা জানায় ওই দেশগুলো।
বর্তমানে দোহা, দুবাই, আবুধাবি, কুয়েত ও বাহরাইন রুটে সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে নিজ নিজ এয়ারলাইন্স অফিস বা ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফ্লাইটের হালনাগাদ সময়সূচি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্পর্কে জানতে এবং ভ্রমণ কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য যাত্রীদেরকে অনুরোধ করা হয়।
এ ছাড়া, ধৈর্য, সহানুভূতি ও সহযোগিতার জন্য যাত্রীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তারা বলেছে, তারা ‘ইরানের বিভিন্ন এলাকায় টানা কয়েকদিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে এবং ইরানি শাসন ব্যবস্থার সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।
জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইসরাইলি সেনারা মধ্যরাতে ফারসি ভাষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স-এ এক পোস্টে তারা তেহরানের ৭ নম্বর জেলার এলাকাকে লাল রঙে চিহ্নিত একটি উচ্ছেদ অঞ্চল দেখানো একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা সকল বেসামরিক নাগরিকের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য, আপনাদের অবিলম্বে চিহ্নিত এলাকা থেকে সরে যাওয়ার ও আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে এর কাছাকাছি না যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, তবে সুনির্দিষ্ট সময় ও বিস্তারিত তথ্য নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি রয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরান ও ইসরায়েলের গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সিএনএন জানায়, প্রাথমিক ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ঘোষণার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর যুদ্ধবিরতি শুরু হবে, সে অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির সময় আনুমানিক রাত ১২টা (ইস্টার্ন টাইম)।
ইস্টার্ন টাইম রাত ১২টার ঠিক পরপরই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়ে গেছে— এই শিরোনামে ইরানি ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রচার শুরু করে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পরিচালিত প্রেস টিভির বরাত দিয়ে সিএনএনে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে ইরানের চার দফা হামলার পর যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।’
অন্যদিকে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানায়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ এবং ওয়াইনেটেও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের জবাবে সামরিক প্রতিক্রিয়া জানানো শেষে ‘শত্রুর ওপর যুদ্ধবিরতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে’। তবে যুদ্ধবিরতির সুনির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি।
ইসরায়েল সরকার এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তি অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালানোর পর সামাজিক মাধ্যমে তিনি প্রথম এসব নিয়ে কথা বলেছেন।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে খামেনি বলেন, ইহুদিবাদী শত্রু একটি বড় ভুল করেছে, একটি বড় অপরাধ করেছে, তাকে শাস্তি দিতে হবে এবং তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে; এখনই তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ইরানের মধ্যাঞ্চলে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। ইরানের বার্তা সংস্থা ইসনা নিউজের বরাত দিয়ে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইস্পাহান প্রদেশের নাজাফাবাদ কাউন্টির গভর্নর হামিদরেজা মোহাম্মদি ফেশারাকির বরাত দিয়ে ইসনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সে একজন রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছিল। সে সময় সেখানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ফেশারাকির বলেন, অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চালক, রোগী ও রোগীর সঙ্গে থাকা এক স্বজন নিহত হয়েছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন যে, ড্রোনের আঘাতে অ্যাম্বুলেন্সটি পথ থেকে সরে যায় এবং পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এর পরপরই প্রণালিটি খোলা রাখতে চীনকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, দেশটির পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রোববার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি চীন সরকারকে বলব তারা যেন ইরানকে এই পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখে। কারণ চীন তাদের তেলের জন্য হরমুজ প্রণালির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইরান প্রণালিটি বন্ধ করে, তবে এটি হবে তাদের জন্য অর্থনৈতিক আত্মহত্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তবে অন্য দেশগুলোরও বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। কারণ এতে আমাদের চেয়ে অন্য দেশের অর্থনীতি অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
হরমুজ প্রণালি বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুট। বিশ্বের মোট তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই পথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশগুলো এই জলপথ ব্যবহার করেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি সরবরাহ করে। ফলে এই পথে জাহাজ চলাচল ব্যাহত হলে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম আকাশচুম্বী হতে পারে।
এরই মধ্যে ইরানের হুমকির পর তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে বিশ্ববাজারে। সোমবার অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮১ দশমিক ৪০ ডলারে পৌঁছায়, যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যদিও পরে তা কিছুটা কমে ৭৮ ডলারে স্থির হয়। এমএসটি ফিন্যান্সিয়ালের জ্বালানি গবেষণা প্রধান সল কাভোনিক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে যেকোনো পাল্টা হামলা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ঝুঁকি হলো, পরিস্থিতি আরও মারাত্মক রূপ নিলে তেলের দামও দ্রুত বাড়তে পারে।’
অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে তার প্রভাব পড়ে গাড়ির জ্বালানি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ওপর। চীন বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ইরান থেকে বেশি তেল কেনে। জাহাজ ট্র্যাকিং সংস্থা ভর্টেক্সার তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে ইরান থেকে চীনের তেল আমদানি দৈনিক ১.৮ মিলিয়ন ব্যারেল ছাড়িয়েছে। এছাড়া ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার অন্যান্য বড় অর্থনীতির দেশগুলোও হরমুজ প্রণালির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
এদিকে, ইরানে মার্কিন হামলার বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। সোমবার বেইজিং বলেছে, মার্কিন হামলা ওয়াশিংটনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং সব পক্ষকে ‘শক্তি প্রয়োগ’ থেকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস বলেছে, মার্কিন হস্তক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে এবং সংঘাতকে ‘নিয়ন্ত্রণহীন’ দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
জ্বালানি বিশ্লেষক বন্দনা হরি বিবিসিকে বলেন, প্রণালিটি বন্ধ করে দিলে ইরানের ‘লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে’। কারণ এর মাধ্যমে ইরান কেবল উপসাগরীয় প্রতিবেশী দেশগুলোকেই শত্রু বানাবে না, বরং তাদের তেলের প্রধান বাজার চীনকেও ক্ষুব্ধ করবে।
মন্তব্য