× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
One of the original ancestors of the blue eyed man
google_news print-icon

নীল চোখের মানুষের মূল পূর্বপুরুষ একজনই!

নীল চোখ
বিশ্বে নীল চোখের মানুষদের কেবল একজন পূর্বপুরুষ ছিলেন, যিনি সম্ভবত প্রায় ১০ হাজার বছর আগে বসবাস করতেন কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে। ছবি: সংগৃহীত
গবেষকরা দেখেছেন, বিশ্বে নীল চোখের মানুষদের কেবল একজন পূর্বপুরুষ ছিলেন, যিনি সম্ভবত প্রায় ১০ হাজার বছর আগে বাস করতেন কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে। তার মধ্যে এক জেনেটিক মিউটেশন ঘটেছিল, যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সেই একজন মানুষ না থাকলে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের চোখ হতো বাদামি।

প্রত্যেক মানুষেরই আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। আর এই বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে আপনি আপনার এমন আত্মীয়কে (একই বংশোদ্ভূত) খুঁজে বের করতে পারবেন, যার সঙ্গে কখনও আপনার দেখাই হয়নি। থাকুক তিনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে।

শুনতে অবাক লাগলেও পৃথিবীর সব নীল চোখের মানুষের ক্ষেত্রে বিষয়টি সত্য। গবেষণায় দেখা গেছে- পূর্ববর্তী, পরবর্তী, এমনকি ভবিষ্যতে যারা আসবে তারা সবাই একটি সাধারণ কেন্দ্রে সম্পর্কিত। আর এ কারণে দূরবর্তী আত্মীয়কে সহজেই চিনে নিতে পারবেন নীল চোখের অধিকারীরা।

গবেষকরা দেখেছেন, বিশ্বে নীল চোখের মানুষদের কেবল একজন পূর্বপুরুষ ছিলেন, যিনি সম্ভবত প্রায় ১০ হাজার বছর আগে বাস করতেন কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে। তার মধ্যে এক জেনেটিক মিউটেশন ঘটেছিল, যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সেই একজন মানুষ না থাকলে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের চোখ হতো বাদামি।

বলা হয়ে থাকে, মেলানিনের কারণে বাদামি হচ্ছে মানুষের চোখের স্বাভাবিক রং। উত্তর ইউরোপে ওসিএ২ নামে জিনে একটি মিউটেশন দেখা যায়। এতে আইরিসে মেলানিনের উৎপাদনকে ব্যাহত করে। এর ফলে চোখের রং হয়ে যায় নীল।

চোখের রঙের সঙ্গে জিনের সম্পর্ক ওতপ্রোত। বলা যেতে পারে যে, সব চোখ একই রঙের। আর এর কারণ মেলানিন নামক রঞ্জক, যা আমাদের চোখের রং দেয়। স্বাভাবিকভাবেই তা বাদামি।

ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেনের অধ্যাপক হ্যান্স আইবার্গ বলছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের সবার চোখ ছিল বাদামি। তবে একটি জেনেটিক মিউটেশন আমাদের ক্রোমোজোমে ওসিএ২ জিনকে প্রভাবিত করে। যার ফলে একটি ‘সুইচ' তৈরি হয়, আক্ষরিক অর্থে যা বাদামি চোখ তৈরি করার ক্ষমতা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তী সময়ে সেই মিউটেশন ক্রমেই পরবর্তী প্রজন্ম হয়ে ছড়িয়ে গেছে মানবজাতিতে।’

গবেষকরা দেখেছেন, বিশ্বে নীল চোখের মানুষদের কেবল একজন পূর্বপুরুষ আছেন, যিনি সম্ভবত ১০ হাজার বছর আগে কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে বাস করতেন।

চোখের রঙের জেনেটিকস গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশেরও বেশি নীল চোখের মানুষের জিনে একই ক্ষুদ্র মিউটেশন রয়েছে, যা আইরিসের রং নির্ধারণ করে।

এই গবেষণার মতে, মিউটেশনটি কেবল একজনের মধ্যে ঘটেছিল। আর তিনিই বিশ্বের নীল চোখের অধিকারীদের পূর্বপুরুষ।

হিউম্যান জেনেটিকস জার্নালে বলা হয়েছে, ‘নীল চোখের রঙের জন্য দায়ী মিউটেশনগুলো সম্ভবত কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিম অংশ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার বছর আগে নিওলিথিক যুগে ইউরোপের উত্তর অংশে তখন বড় ধরনের কৃষিবিল্পব (অ্যাগ্রিকালচারাল মাইগ্রেশন) ঘটেছিল।

অধ্যাপক হ্যান্স বলেন, ‘মানুষের চোখের রঙের তারতম্য আইরিসে মেলানিনের পরিমাণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এভাবে আমরা দেখতে পেয়েছি, নীল চোখের ব্যক্তিদের চোখে মেলানিনের পরিমাণে সামান্য পার্থক্য রয়েছে।

‘এ থেকে আমরা এই উপসংহারে আসতে পারি যে, সব নীল চোখের মানুষ একই পূর্বপুরুষের সঙ্গে যুক্ত। তারা সবাই ডিনএনের এই মিল উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।’

নীল চোখের নারী-পুরুষ সবার চোখের ডিনএনএর জেনেটিক সিকোয়েন্স একই। অন্যদিকে বাদামি চোখের অধিকারীদের ক্ষেত্রে ডিএনএর সেই এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে ভিন্নতা রয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
15 more deaths in dengue hospital 2950

ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৯৫০

ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৯৫০ ফাইল ছবি।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ জন। আর এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ জন।

বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৫০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭২৬ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ২২৪ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯ হাজার ৯৬৭ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৩৮ জন ঢাকায় এবং ৬ হাজার ৪২৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯০৬ জন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গু: প্রাণহানি কমলেও বেড়েছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা
ডেঙ্গুতে একদিনে ১৯ প্রাণহানি, হাসপাতালে তিন সহস্রাধিক
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯০০ ছাড়িয়ে গেল, হাসপাতালে আরও ৩০০৮
ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৮৬৫
ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, আক্রান্ত ২১৫৩

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Close observation by medical board shows no improvement in Khaleda Dr

মেডিক্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক

মেডিক্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। কয়েকদিন ধরে তিনি একই অবস্থায় আছেন। তাকে মেডিক‍্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) কেবিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মেডিক্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান মঙ্গলবার এই তথ্য জানান। সূত্র: ইউএনবি

তিনি বলেন, ‘আমি বিকেল ৫টায় ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলেছেন, চেয়ারপারসন মেডিক‍্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ডা. জাহিদ তার জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন।’

বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। কয়েকদিন ধরে তিনি একই অবস্থায় আছেন। তাকে মেডিক‍্যাল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

ডা. রফিকুল আরও বলেন, ‘অতীতে আমরা দেখেছি আ স ম আবদুর রব, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। সরকার যদি প্রথম থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিত, তাহলে তার এই অবস্থা হতো না।’

আরও পড়ুন:
মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইল বাংলাদেশ জাসদ
ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ নিয়ে অনেক সন্দেহ: খসরু
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
হাসপাতালে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ খালেদা জিয়া

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Dengue Deaths reduced but number of patients in hospitals increased

ডেঙ্গু: প্রাণহানি কমলেও বেড়েছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা

ডেঙ্গু: প্রাণহানি কমলেও বেড়েছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ফাইল ছবি
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকাল আটটা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি কিছুটা কমেছে। গতকাল ১৯ জনের মৃত্যু হলেও আজ তা ১৫ জনে নেমেছে। আর ডেঙ্গু নিয়ে সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ১২৩ জন। গতকাল এ সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৩ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৭৪ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩৪৯ জন।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৫৮১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮০ হাজার ৪৯০ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮২ জন। ঢাকায় ৭৬ হাজার ২৯২ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯০০ ছাড়িয়ে গেল, হাসপাতালে আরও ৩০০৮
এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায়

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
25 percent of adults in the country suffer from high blood pressure

দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ২৫ শতাংশই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে

দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ২৫ শতাংশই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে
সেবার আওতা বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৬ কোটি রোগীর মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।

বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার মাত্র ৩৮ শতাংশ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩’ নামে একটি প্রতিবেদন।

২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেছে, যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ। তবে সেবার আওতা বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৬ কোটি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।

সোমবার রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনে ‘হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় ‘প্রগতির জন্য জ্ঞান’ নামক সংস্থা কর্মশালাটির আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৪ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্তকরণ একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তারা।

দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ২৫ শতাংশই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে

কর্মশালায় এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) জাকির হোসেন বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধা বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচরণে পরিবর্তন আনা জরুরি।’

সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ এবং ‘প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।

অনুষ্ঠানে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের ও ‘প্রজ্ঞা’র উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মসূচির সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
19 deaths in one day in dengue more than 3 thousand in hospitals

ডেঙ্গুতে একদিনে ১৯ প্রাণহানি, হাসপাতালে তিন সহস্রাধিক

ডেঙ্গুতে একদিনে ১৯ প্রাণহানি, হাসপাতালে তিন সহস্রাধিক ফাইল ছবি
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮০১ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৩২ জন।

রোববার সকাল আটটা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৩৩ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮০১ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৩২ জন।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬২২ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫২৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৯ হাজার ৭১৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৪২ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৩ জন। ঢাকায় ৭৫ হাজার ৪৮২ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৪ হাজার ২০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯০০ ছাড়িয়ে গেল, হাসপাতালে আরও ৩০০৮
ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন
এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায়
প্রতীকী মশা ও মশারি নিয়ে শোভাযাত্রা শিক্ষার্থীদের
ডেঙ্গু বাড়াচ্ছে হাসপাতালের শয্যাসংকট, স্যালাইন-রক্তেরও অভাব

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
14 more deaths due to dengue 3008 hospitalized

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯০০ ছাড়িয়ে গেল, হাসপাতালে আরও ৩০০৮

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯০০ ছাড়িয়ে গেল, হাসপাতালে আরও ৩০০৮ ফাইল ছবি।
রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরুর পর থেকে তা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের প্রায় ৯ মাসে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০৯ জন।

রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮১২ ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৯৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে রোববার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ হাজার ৭৯৪ জন। আর অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৬৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ৯১৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৮ হাজার ৮১০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮২৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭৪ হাজার ৫১৮ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৮ হাজার ৮২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আরও পড়ুন:
এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায়
ডেঙ্গুতে প্রাণহানি দশের নিচে নামল ১৭ দিন পর
প্রতীকী মশা ও মশারি নিয়ে শোভাযাত্রা শিক্ষার্থীদের
ডেঙ্গু বাড়াচ্ছে হাসপাতালের শয্যাসংকট, স্যালাইন-রক্তেরও অভাব
ডেঙ্গুতে আরও ১৭ প্রাণহানি, হাসপাতালে ৩০৮৪

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
14 people died of dengue in hospital 2865

ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৮৬৫

ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৮৬৫ ফাইল ছবি
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮১৪ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৫১ জন।

শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২ হাজার ৮৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮১৪ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৫১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৫৭২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৭৯৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৭৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ১০৩ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৬১৪ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ২৫২ জন। ঢাকায় ৭৩ হাজার ৭১৩ এবং ঢাকার বাইরে ৯৯ হাজার ৫৩৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন
এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায়
ডেঙ্গু রোগী ঢাকায় না পাঠানোর নির্দেশনা, আরও ১৮ মৃত্যু

মন্তব্য

p
উপরে