আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েক ডজন। পুলিশ বলছে, ৩৪ জন অফিসারসহ ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১১ জনকে।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্রতিবেশী আজারবাইজানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের দাবিতে দেশটির বিরোধী জোট এই বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
পুলিশ বলছে, বিক্ষোভকারীরা প্রধান সরকারি ভবনে মিছিল নিয়ে এসে প্রায় ২ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ঢিল ছোঁড়ে।
চলমান বিক্ষোভটি শুরু হয়েছে এপ্রিলের শেষের দিকে। আন্দোলনকারীরা সে সময় সরকারি ভবনের বাইরে ক্যাম্প করে অবস্থান করতে থাকে। শুক্রবারের বিক্ষোভে তারা আবারও প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিরোধী দলগুলোর দাবি ছিল পার্লামেন্ট একটি ঘোষণা গ্রহণ করুক যে নাগর্নো-কারবাখ কখনই আজারবাইজানের অংশ হবে না। এই দাবির মুখে পাশিনপন্থি আইন প্রণেতারা সংসদে যোগদানে অস্বীকার করেন।
বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় নতুন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৯০ এর দশকে সশস্ত্র সংঘাতের পর নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়। ২০২০ সালে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার মধ্যে ৪৪ দিনের এক যুদ্ধে নাগার্নো কারাবাখের একটি বড় অংশ দখল করতে সক্ষম হয় আজারবাইজান।
পরে রুশ মধ্যস্ততায় দুই দেশের যুদ্ধ শেষ হয় এবং রুশ শান্তিরক্ষীদের সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা হয়।
২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। কার্বন নিঃসরণ কমাতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাড়তি টাকা গুনতে হবে অস্ট্রেলীয় পরিবারগুলোকে। ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামাতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। দ্য ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
দ্য ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বলছে, এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া এবং কুইন্সল্যান্ডে ছয়টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হলে গ্রাহকদের বছরে গড়ে ৩ হাজার ২৪৮ ডলার বিল দিতে হবে।
সাশ্রয়ী মূল্যের বেসলোড পাওয়ারের অভাবে আট বছরের মধ্যে পাইকারি বিদ্যুতের দাম চার গুণ হয়ে যাবে। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে খুচরা দাম হবে দ্বিগুণ, পাইকারি মূল্য ১০৩ শতাংশ বাড়বে; যা বিদ্যুৎ বিলের এক-তৃতীয়াংশ।
অস্ট্রেলিয়ানরা এখন বিদ্যুতের জন্য বছরে গড়ে ১ হাজার ৬০০ ডলার; প্রতি তিন মাসে ৪০০ ডলার দিচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দাম ১০৩ শতাংশ বাড়লে বছরে তা দাঁড়াবে ৩ হাজার ২৪৮ ডলারে।
পাবলিক অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউট আইপিএ আশঙ্কা করেছিল, ইয়ালোর্ন ডব্লিউ, ইরারিং, বেসওয়াটার, লিডেল, ভ্যালস পয়েন্ট বি এবং কলাইড বি প্ল্যান্টের বিলুপ্তিতে ১১ গিগাওয়াট বা ১১ বিলিয়ন ওয়াট উত্পাদনক্ষমতা হারাবে অস্ট্রেলিয়া।
এই ছয়টি কেন্দ্র ন্যাশনাল এনার্জি মার্কেটের মোট চাহিদার ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এগুলো যথাক্রমে ২০২৮, ২০২৫, ২০৩০, ২০২৩, ২০২৯ এবং ২০২৮ সালে বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে।
এই কেন্দ্রগুলো বন্ধ করার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় পাইকারি বিদ্যুতের দাম ৩১০ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল।
আইপিএ প্রতিবেদনের লেখক কেভিন ইউ এবং ড্যানিয়েল ওয়াইল্ড বলছেন, ‘পরবর্তী দশকে নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের প্রতিস্থাপন বেসলোড পাওয়ার সাপ্লাই সুবিধার অভাবে ভুগবে গ্রাহকরা। তারা বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণেরও বেশি দেখতে পারে।’
২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৩ শতাংশ কমানো হবে বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ গত সপ্তাহে জাতিসংঘের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার পূর্বসূরি স্কট মরিসনের লিবারেল পার্টি এই সময়ের মধ্যে ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ কমানোর কথা জানিয়েছিল। তবে দুই পক্ষই ২০৫০ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা শূন্যে নামাতে বদ্ধপরিকর ছিল।
আইপিএ বলছে, ‘২০৫০ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার জ্বালানি-নির্ভরতায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।’
নতুন নীতিতে পেট্রল গাড়ি পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো গ্রিডের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। গত বছর ইলেকট্রিক গাড়ির বাজার শেয়ার ছিল মাইনাস ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অস্ট্রেলিয়ায় বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অরিজিন এনার্জি এবং অস্ট্রেলিয়ান রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি বলছে, পিক সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে ইভি রিচার্জিংয়ের ফলে। প্রতিবেদনে তাই ইভি মালিকদের পিক টাইমের বাইরে রিচার্জে উৎসাহিত করতে আর্থিক প্রণোদনার সুপারিশ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে তাসমানিয়া অস্ট্রেলিয়ার প্রথম রাজ্য হয়ে ওঠে, যেটি বিস্তীর্ণ বন থাকার কারণে শূন্য কার্বন নিঃসরণের স্বীকৃতি অর্জন করে। তা সত্ত্বেও আইপিএর পূর্বাভাস বলছে, দ্বীপ রাজ্যের গড় বিদ্যুতের বিল বছরে ১২৫ শতাংশ বেড়ে সাড়ে ৪ হাজার ডলারে পৌঁছাবে; যা ২০৩০ সালের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবিষ্যদ্বাণী।
মূল ভূখণ্ডের অন্য রাজ্যগুলোতেও বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী উচ্চ গড় বার্ষিক বিল ৩ হাজার ২০০ ডলার হবে। নিউ সাউথ ওয়েলসে ২ হাজার ৬০০ এবং কুইন্সল্যান্ড ও ভিক্টোরিয়া হবে ২ হাজার ৫০০ ডলার।
কয়লাচালিত পাওয়ার স্টেশনগুলো চলতি বছর দুর্বল হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে থাকায় এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের আর আপগ্রেড করতে চাইছে না।
অস্ট্রেলিয়ান এনার্জি মার্কেট অপারেটর (এইএমও) বলছে, এর ফলে পাইকারি বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে; মার্চ পর্যন্ত বেড়েছে ১৪১ শতাংশ। এ অবস্থায় খুচরা বিক্রেতারা ১ জুলাই থেকে অন্য সরবরাহকারী খোঁজার পরামর্শ দিচ্ছে গ্রাহকদের।
কনজিউমার গ্রুপ- ওয়ান বিগ সুইচের ক্যাম্পেইন ডিরেক্টর জোয়েল গিবসন বলেছেন, গ্রাহকদের ২৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে ডিসকভার এনার্জি।
তিনি বলেন, ‘কয়েক লাখ পরিবারকে শিগগিরই সরবরাহকারী বদলাতে হবে। নইলে বিদ্যুৎ বিল ৫০ শতাংশ থেকে ২৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।’
বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ইন্টারনেট বন্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০২২ সালের প্রথম ৬ মাসে ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। লন্ডনের ওয়েবসাইট ‘টপ টেনভিপিএন’-এর সর্বশেষ রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য।
‘টপ টেন ভিপিএন' হলো একটি নেতৃস্থানীয় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক পর্যালোচনা ওয়েবসাইট। সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের প্রথম ৬ মাসের ক্ষতি পুরো ২০২১ সালের ক্ষতির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
সংস্থাটি ১৬টি দেশজুড়ে প্রধান শাটডাউন তালিকাভুক্ত করেছে, যার ক্ষতির পরিমাণ ১০.৬ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালে ৫০টি বড় শাটডাউনে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫.৪৫ বিলিয়ন ডলার। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সালে ইন্টারনেট শাটডাউনের ক্ষেত্রে ১৬টি দেশের মধ্যে ৬ নম্বর স্থানে আছে। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ভারতে ৫৩৫ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল সরকারি নির্দেশে, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৭৯.৫ মিলিয়ন ডলার।
ইন্টারনেট শাটডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৫৭ জন।
প্রতিবেদনে তিন ধরনের শাটডাউন উল্লেখ করা হয়েছে: ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, সোশ্যাল মিডিয়া শাটডাউন এবং গুরুতর কণ্ঠরোধ করা, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র ভয়েস কল এবং টেক্সট বার্তা প্রেরণ করতে সক্ষম।
চলতি বছর সারা বিশ্বে ১০.৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সবচেয়ে বড় অংশ রাশিয়ার, যেখানে ইন্টারনেট বন্ধ করার জন্য ৮.৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সীমিত করার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে ইন্টারনেট শাটডাউন শুরু হয়।
সুদান, সিরিয়া এবং আলজেরিয়ায় সরকার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় জালিয়াতি বন্ধ করতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়।
২০২২ সালে প্রথম ৬ মাসে ভারত ষষ্ঠ স্থানে থাকলেও, ২০২১-এ তৃতীয়, ২০২০-এ প্রথম এবং ২০১৯-এ তৃতীয় স্থানে ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ক্ষেত্রে।
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ভারতের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল ২০২০ সাল। সে বছর ৮ হাজার ৯২৭ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ ছিল সরকারি নির্দেশে।
ওই বছর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ২.৮ বিলিয়ন ডলার। তখন ১০.৩ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিশ্বে তখন ভারত ছিল এক নম্বরে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে এই দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার প্রসঙ্গে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে আমরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। তিনি এ রাজ্যের সংবিধানিক প্রধান। তাই তার কাছে আমরা দিলীপ ঘোষের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছি।’
কাকলি ঘোষ বলেন, ‘শুধু এবার নয়, দিলীপ ঘোষ এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন।’
দুদিন আগে দিলীপ ঘোষ একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলায় বলেন, বাংলার মেয়ে। গোয়ায় গিয়ে বলেন, গোয়ার মেয়ে। বাবা-মায়ের ঠিকানা নেই নাকি! যেখানে যা ইচ্ছা বলে দেবেন, এটা হয় নাকি?’
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার টুইট করে দিলীপের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান।
কাকলী ঘোষ দস্তিদার, কুনাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, মালা রায়, সাজদা আহমেদ, তাপস রায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজ্যপালের আচরণ দেখে অনেকে তাকে রাজ্য বিজেপির চিফ পেট্রন মনে করেন। কিন্তু এখন রাজ্যপালকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি সবার রাজ্যপাল। কথায় কথায় টুইট করেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। তবে আমরা আশা করব, তিনি অবশ্যই এ বিষয়ে কোনো না কোনো ব্যবস্থা নেবেন।’
মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন মন্তব্য করার জন্য ইতোমধ্যে বিজেপির দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন:যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। একজন শীর্ষ রুশ কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘রাশিয়াকে শায়েস্তার চেষ্টা হলে বিশ্বে গজব পড়বে।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনকে দেয়া পশ্চিমা কামান অবশেষে রাশিয়ার অগ্রসর সেনাদের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, রাশিয়ান বাহিনী বুধবার দোনেৎস্ক অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালায়। গত সপ্তাহে তীব্র লড়াইয়ের পরে রাশিয়ার বাহিনীর ফের হামলার শঙ্কা রয়েছে।
রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করেছে।
সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন তারা দোনবাসের দোনেৎস্ক অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে অগ্রসর হচ্ছে। ঠিক যে কৌশলে লুহানস্ক দখল করেছিল রুশ বাহিনী, ঠিক সে পথেই দোনেৎস্ক অঞ্চল দখল নিতে এগোচ্ছে তারা।
স্লোভিয়ানস্ক, ক্রামতোর্স্ক এবং বাখমুত এখন রাশিয়ার মূল লক্ষ্য। স্লোভিয়ানস্কেই প্রথম আঘাত করবে রাশিয়ান বাহিনী।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্লোভিয়ানস্ক ঘিরেই রাশিয়া-ইউক্রেনের পরবর্তী যুদ্ধ হবে।
এদিকে লুহানস্ক অঞ্চলটির গভর্নর বলেছেন, লুহানস্কের জন্য যুদ্ধ ‘এখনও শেষ হয়নি।’
অঞ্চলটির সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি হাইদাই বুধবার বলেছেন, লুহানস্ক অঞ্চলটি পুরোপুরি দখলে নিতে পারেনি রাশিয়া। এলাকার উপকণ্ঠে লড়াই এখনও চলছে।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে তিনি আবার বলেছেন, ‘লুহানস্ক অঞ্চলের জন্য যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি।’
লুহানস্ক অঞ্চলের উপকণ্ঠে লড়াই চলছে। রাশিয়ান বাহিনী লুহানস্কের লিসিচানস্ক এলাকা এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুতের মাঝামাঝিতে যুদ্ধ করছে। তারা এই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এর তিন দিন পর ইউক্রেনে অভিযান চালায় রুশ বাহিনী।
২০১৪ সালের ১১ মে পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চল ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে গণভোটের আয়োজন করে। এতে স্বাধীনতার পক্ষে রায় হলেও তা মেনে নেয়নি ইউক্রেন। এর প্রায় আট বছর পর ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওই দুই অঞ্চলকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এই আট বছরে ওই অঞ্চলে সংঘাতে মারা পড়েছেন ১৪ হাজারের বেশি মানুষ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন:প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে জলবায়ুবান্ধব বিনিয়োগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে। প্রস্তাবটি নিয়ে বুধবার ভোটাভুটিতে পক্ষে ২৭৮ ভোট ও বিপক্ষে ৩২৮ ভোট পড়েছে। ৩৩ সদস্য ভোট দেননি।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই ভোট এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) করা প্রস্তাবটিকে আইনে পরিণত করার পথ খুলে দিয়েছে। এটি এখন ঠেকাতে হলে ইইউর ২৭ সদস্য দেশের মধ্যে অন্তত ২০টি দেশের বিরোধিতা প্রয়োজন, যার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
প্রস্তাবটি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তোলার পর প্রাথমিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশের বিরোধিতার মুখে পড়ে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া জার্মানি প্রস্তাবের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নেয়। তবে ফ্রান্সের নেতৃত্বে প্রস্তাবটির পক্ষে রয়েছে ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ।
পরিবেশবাদী কয়েকটি সংস্থা ও ইইউর কয়েকজন নীতিনির্ধারক জীবাশ্ম জ্বালানি (গ্যাস) ও পরমাণু জ্বালানিকে ‘গ্রিন এনার্জি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হলে হলে অস্ট্রিয়া ও লুক্সেমবার্গ ইইউর বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণাও দিয়েছে।
এর পরও ইইউ পার্লামেন্টের বৃহত্তম আইনপ্রণেতা দল মধ্য-ডানপন্থি ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেয়েছে প্রস্তাবটি। মধ্যপন্থি রিনিউ ইউরোপ গ্রুপও প্রস্তাবের পক্ষে সায় দিয়েছে। মূলত সবুজপন্থি ও সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা এর বিরোধিতা করেন।
রাশিয়ার সুবিধা পাওয়ার আশঙ্কা
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এর পাল্টা পদক্ষেপে প্রাকৃতিক গ্যাস ও পরমাণু জ্বালানিকে ‘পরিবেশবান্ধব’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগের সমালোচনা করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস।
গ্রিনপিসের ইইউ সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ক্যাম্পেইনার আরিয়াদনা রদ্রিগো বলেন, ‘এটা নোংরা রাজনীতি। গ্যাস ও পরমাণু জ্বালানিকে নিরাপদ ও সবুজায়ন করার মানে হচ্ছে পুতিনের যুদ্ধ তহবিলে আরও টাকা ঢালা। আমরা বিষয়টি নিয়ে আদালতে লড়াই করব।’
এ পরিকল্পনার পেছনে রাশান জ্বালানি কোম্পানি গাজপ্রম ও রজনেফটের লবিং রয়েছে- এমনটা দাবি করেছেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের ডাচ নীতিনির্ধারক পল টাংখ। এক বিবৃতিতে তিনি এ পদক্ষেপকে প্রাতিষ্ঠানিক ‘গ্রিনওয়াশ’ আখ্যা দেন।
টাংখ বলেন, ‘জলবায়ু নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্য আছে যে দেশগুলোর, তাদের জন্য একটি নজির স্থাপন করতে এ পরিকল্পনা প্রতিরোধ করা এখন গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে এ পদক্ষেপের পক্ষেও আছেন অনেকে। রিনিউ গ্রুপ ও ইইউএর ফরাসি নীতিনির্ধারক জাইলস বোয়ের মতে, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি দীর্ঘমেয়াদি একটি সমাধান। এটি দিয়ে এ মুহূর্তের জ্বালানি চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।’
ডানপন্থি ল অ্যান্ড ও জাস্টিস পার্টির (পিআইএস) ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পোলিশ সদস্য বোগদান রিয়োনকা বলেন, ‘কম ধনী ইইউ দেশগুলোর কয়লা নির্ভরশীলতা কমাতে গ্যাস ও পারমাণবিক শক্তিতে বেসরকারি বিনিয়োগের প্রয়োজন।’
চেক প্রধানমন্ত্রী পেটর ফিয়ালা বলেছেন, বুধবারের এ ভোট ইউরোপের জন্য ‘চমৎকার খবর’। এক টুইটবার্তায় তিনি লেখেন, ‘এটি জ্বালানি স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথ প্রশস্ত করেছে, যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অবশেষে পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রাজনৈতিক টানাপড়েনে একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগ ও এমপিদের সমর্থন হারানোর পর, পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন জনসন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন জনসন।
তিনি বলেন, ‘এটি কনজারভেটিভ এমপিদের ইচ্ছা। তারা একজন নতুন নেতা চাইছেন। ওয়েস্টমিনস্টারও এটি চাইছে। পার্টির নেতৃত্বে থাকার আমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।’
ইতোমধ্যে জনসন একটি নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ দিয়েছেন। এতে লেভেলিং আপ সেক্রেটারি গ্রেগ ক্লার্ক এবং ল্যাঙ্কাস্টারের ডাচির চ্যান্সেলর কিট মল্টহাউস।
আগামী সপ্তাহে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলেও জানিয়েছেন জনসন।
তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছিলাম কারণ ব্যক্তিগতভাবে আমি ভোটারদের ম্যান্ডেট দিতে আগ্রহী।
‘কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির প্রধান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে বলেছি, নতুন নেতা খোঁজার প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা উচিত। আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে কাজ করার দিন-তারিখ ঠিক করা হবে।’
যেসব মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, সেসব মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার কথাও জানিয়েছেন জনসন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে সেরা কাজটি ছেড়ে দেয়ায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। তবে বিষয়টি মেনে নিয়েছি।’
যৌন অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে কদিন আগে সরকারে নিয়োগ দিয়েছিলেন জনসন। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল দেখা দিলে গত সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে এমপিত্ব হারান পিঞ্চার।
প্রধানমন্ত্রী জনসন নিজের ভুলও স্বীকার করেন। জানিয়েছিলেন, পিঞ্চার যে সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য নন, তা বুঝতে তার দেরি হয়েছে।
তবে এতেও শেষ রক্ষা হলো না। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ওয়েলশ সেক্রেটারি সাইমন হার্ট বুধবার পদত্যাগ করেন। এদিন কেবিনেট সভায় বেশির ভাগ এমপি পদ ছাড়ার জন্য জনসনকে চাপ দেন। পরদিন নর্দান আয়ারল্যান্ডের সেক্রেটারি ব্র্যান্ডন লুইস সাইমনকে অনুসরণ করেন।
শুধু নিজ দলেই নয়, বিরোধী লেবার পার্টির তোপের মুখে ছিলেন ৫৮ বছরের এই ব্রিটিশ রাজনীতিক। লেবার পার্টি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকলে তারা পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব তুলবে।
আরও পড়ুন:সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ সংকটের মুখোমুখি হয়েছে সাউথ আফ্রিকা। দিনে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন, দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
তীব্র শীতের মধ্যে অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহে নাকাল দেশটির মানুষ। রুম হিটার চালু, রাতের খাবার রান্না এমনকি ফোন চার্জ করতেও সমস্যা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি ‘এসকম’ একে বলছে স্টেজ সিক্স লোডশেডিং। বিদ্যুৎ না থাকায় অচল ট্রাফিক সিগনাল লাইট। এতে রাস্তায় তৈরি হচ্ছে যানজট। কর্মক্ষেত্র এবং বাড়িতেও তৈরি হয়েছে দুর্বিষহ অবস্থা।
এমন পরিস্থিতিতে রীতিমতো বিরক্ত সাউথ আফ্রিকার প্রধান শহর জোহানেসবার্গের বাসিন্দা জর্জ ল্যান্ডন। দেশ ছাড়ার ইচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লন্ডনে আমার একটি চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে। আমি আগামীকাল ফ্লাইট বুক করছি। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, তবে দেশকেও তো আমাদের ভালোবাসতে হবে।’
এসকম-এর দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির জন্য সাউথ আফ্রিকায় দিন দিন বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।
গত বছরে দেশটির জাতীয় গ্রিডে চাহিদার চেয়ে ২৫২১ গিগাওয়াট ঘণ্টা কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আর এ বছরের কেবল জুলাই মাসেই এসকম জাতীয় গ্রিডে ২২৭৬ গিগাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ কম বিদ্যুৎ দিয়েছে।
দিনে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন রাখার ব্যপারে এসকম বলছে, কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে কোনো এলাকা বাছাই করা হচ্ছে না। যে কোনো এলাকায় যে কোনো সময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হতে পারে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য