যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বন্দুক হামলার কারণে দেশটির ওহাইও রাজ্য নতুন করে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে স্কুলের শিক্ষক ও অন্য কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ শেষ করার পর স্কুলে বন্দুক রাখতে পারবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষক ইউনিয়ন ও প্রধান পুলিশ কর্মকর্তাসহ এই আইনের বিরোধীরা বলছেন যে এটি শুধু শিশুদের জন্য স্কুলগুলোকে আরও বিপজ্জনক করবে।
টেক্সাসের স্কুলে এআর-১৫ রাইফেলের হামলার ১০ দিন পরই নতুন এই আইনের বিল চূড়ান্ত করা হয়। সেই হামলায় ১৯ জন ছাত্র ও দুজন শিক্ষক নিহত হন।
বিলটি এই সপ্তাহে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত ওহাইও সাধারণ পরিষদে পাস হয়েছে। ওহাইওর গভর্নর মাইক ডিওয়াইন এই আইনে স্বাক্ষর করবেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটিতে বন্দুক-সহিংসতা রোধে আইন পাস করার জন্য আইন প্রণেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক আবেগঘন বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
বন্দুক ইস্যুতে বাইডেন বেশ কয়েকটি আইনের প্রস্তাব করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে হামলায় ব্যবহার হতে পারে এমন অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা। আর বন্দুক নির্মাতাদের সুরক্ষা আইন অপসারণেরও আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগাজিনে সীমা আরোপ করার বিষয়েও মত দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বক্তৃতায় বলেন, যে শিশুদের আমরা হারিয়েছি তাদের জন্য। যে শিশুদের আমরা বাঁচাতে পারি তাদের জন্য। যে দেশকে আমরা ভালোবাসি তার জন্য। চলুন সময়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। এখনই সময় পদক্ষেপ নেয়ার।
বাইডেন তার বক্তৃতায় বলছেন, যথেষ্ট হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হত্যাক্ষেত্র হয়ে গেছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ) বলছে, প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব প্রকৃত সমাধান নয়।
এনআরএ একটি শক্তিশালী লবিস্ট গ্রুপ, যারা কিছু রাজনীতিবিদকে আর্থিক সমর্থন দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন:করোনার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযানে’ ব্যাহত হচ্ছে পণ্য রপ্তানি। কৃষ্ণ সাগর অনেকটায় অচল করে রেখেছে মস্কো।
এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্প্রতি সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করছেন সৌদি আরবের পরবর্তী বাদশাহ মোহাম্মদ বিন সালমান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি করছে ইসরায়েল।
এবার প্রতিবেশী ইরান সফর করছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমি। এর আগে রিয়াদ ঘুরে আসেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোববার তেহরানে পৌঁছান মোস্তফা আল-কাদিমি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আল-কাদিমি বলছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন এবং অন্যদের সঙ্গে রাজধানীর সাদাবাদ প্রাসাদে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন কাদিমি।
জেদ্দায় শনিবার রাতে সংক্ষিপ্ত সফরে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ব্যক্তিগতভাবে ইরাকি নেতাকে স্বাগত জানানোর পর এই সফর হলো।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, কাদিমি এবং যুবরাজ সালমান শান্ত ও গঠনমূলক সংলাপের চেষ্টা করছেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেছেন।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সফরটিকে আঞ্চলিক শত্রু তেহরান এবং রিয়াদের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন অনেকে। ইয়েমেন ইস্যুতে সাত বছর ধরে ইরান-সৌদি পরস্পরবিরোধী অবস্থানে আছে।
আলোচনার পর সংবাদ সম্মেলনে রাইসি এবং কাদিমি সৌদি আরবের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ না করলেও অঞ্চলজুড়ে সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিয়েছেন। ইয়েমেনে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনায় বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথাও জানান তারা।
ইয়েমেন ইস্যুতে দুই নেতাই বলেছেন, ‘যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না, সংলাপই কেবল যুদ্ধের সমাধান করতে পারে।’
দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রশংসা করেন বলেন, ‘ আর্থিক লেনদেনের প্রতিবন্ধকতা দূর করা, ধর্মীয় তীর্থযাত্রা সহজতর করা, ইরানের শালামচেহ এবং ইরাকের বসরাকে সংযুক্ত করে এমন একটি রেলপথের কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’
বাদদাদের মধ্যস্থতায় ২০২১ সালের এপ্রিলে তেহরান-রিয়াদ সরাসরি আলোচনা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত পাঁচ দফা আলোচনা হলেও ২০১৬ সালে ছিন্ন হওয়া আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক কীভাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়, সে বিষয়ে এখনও কোনো চুক্তিতে আসতে পারেনি তারা।
সেই সময়ে বিক্ষোভকারীরা সৌদি আরবের পর ইরানে সৌদি কূটনৈতিক মিশনে হামলা চালায়। প্রখ্যাত এক শিয়া ধর্মীয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় সেখানে।
এখন পর্যন্ত এই আলোচনার একমাত্র অর্জন, জেদ্দাভিত্তিক অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনে ইরানের প্রতিনিধি অফিস পুনরায় চালু করা।
আরও পড়ুন:হজের সময় ভিক্ষা করার অপরাধে এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে সৌদি পুলিশ। পরে বাংলাদেশ হজ মিশনের হস্তক্ষেপে মুচলেকা নিয়ে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কাউন্সিলর (হজ) জহরুল ইসলামের বরাতে বাংলা ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম মতিয়ার রহমান, বাড়ি মেহেরপুর জেলায়। ধানসিঁড়ি ট্র্যাভেল এয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে হজ করতে সৌদি গিয়েছিলেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২২ জুন মতিয়ার মদিনায় ভিক্ষা করতে গিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তিনি সবাইকে বলছিলেন, তার মানিব্যাগটি ছিনতাই হয়ে গেছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, মতিয়ার সৌদিতে কোনো হোটেল বুক করেননি। তাকে গাইড করার মতো কোনো মোয়াজ্জেমও ছিল না।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রাণলয় ইতোমধ্যে ওই হজ এজেন্সিকে নোটিশ পাঠিয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তাদের বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ আইন, ২০২১-এর ১৩ ধারার অধীনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না।
উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তাদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হজ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তাসলিম বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে জননিরাপত্তার অধীনে এক সৌদি নাগরিকসহ ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সৌদি পুলিশ। এদের বেশির ভাগের সৌদিতে থাকার বৈধতা নেই।
তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া হজ প্রচার চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। ভুয়া হজ ও ওমরাহ প্রচার কার্যালয় পর্যবেক্ষণের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তারা গ্রেপ্তার হন।
সৌদি গ্যাজেটের খবরে বলা হয়, রিয়াদের চারটি স্থান এবং আল-কাসিম অঞ্চলের দুটি এলাকায় জাল হজ প্রচারণার বিজ্ঞাপন এবং বিপণনের সঙ্গে জড়িত ছিল তারা। তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থও হাতিয়ে নিচ্ছিল।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, গ্রেপ্তার অবৈধ বিদেশিদের মধ্যে ১১ জন মিসরীয়, ১০ জন সিরিয়ান, ২ জন করে পাকিস্তানি ও সুদানি এবং একজন ইয়েমেনি ও বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মধ্যাঞ্চলে রুশ মিসাইল হামলার পর অন্তত ২৫ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, ‘উদ্ধার হওয়াদের মধ্য থেকে সাত বছরের একটি মেয়েসহ চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার কিয়েভের একটি আবাসিক ভবনে মিসাইল হামলা হয়। ইউক্রেনের পুলিশপ্রধান ইহোর ক্লাইমেনকো জাতীয় টেলিভিশনে বলেছেন, পাঁচজন আহত হয়েছেন। একটি কিন্ডারগার্টেনও হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
গত ৫ জুন কিভেয়ের উপকণ্ঠে একটি রেলগাড়ি মেরামত কারখানায় হামলা এবং এপ্রিলের শেষ দিকে আবাসিক ভবনে গোলা হামলায় এক নারী নিহত হওয়ায় পর কিয়েভে বড় ধরনের হামলা কমিয়ে ফেলে রুশ বাহিনী।
কিয়েভে হামলার আগে চেরনিহিভ, জাইটোমির এবং লভিভ অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শেভচেনকিভস্কি জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে রিপোর্ট করার সময় আল জাজিরার চার্লস স্ট্র্যাটফোর্ড বলেন, ‘দেশের অন্য যেকোনো জায়গার মতোই ঝুঁকিপূর্ণ রাজধানী।’
No good Sunday morning in #Kyiv. 12 missiles were fired against the city.
— Rustem Umerov (@rustem_umerov) June 26, 2022
A 7yo girl was rescued from the rubble of a residential building. She is alive. Now her mother is being rescued.
Russian missiles hit a high-rise building. The number of victims is being clarified. pic.twitter.com/k70KR5iflo
এদিকে মধ্য ইউক্রেনের শহর চেরকাসিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। টেলিগ্রাম অ্যাপে গভর্নর ওলেক্সান্ডার স্কিচকো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে তিনি আর বিস্তারিত জানাননি। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে এই প্রথম আক্রান্ত হলো চেরকাসি।
কী করছে পশ্চিমারা
জার্মানিতে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের আগে একটি বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
‘আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আশা করছিলেন ন্যাটো এবং জি-সেভেন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।’
ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেবে ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য আরও সমর্থন দিতে রাজি হয়েছে। জার্মানিতে চলা জি-সেভেন সম্মেলনে সাইডলাইন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত আসে।
ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘তারা (যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স) মনে করে সংঘাতের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত চলছে। এখনই যুদ্ধের মোড় ঘোরানোর সুযোগ রয়েছে।’
কী বলছে ইউক্রেন
উন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেন নেতাদের প্রতি রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। সেই সঙ্গে রুশ হামলা মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী অস্ত্র চেয়েছেন তিনি।
টুইটে তিনি বলেন, ‘হামলার আগে সাত বছরের শিশুটি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল। ইউক্রেনের অনেক অঞ্চল অবরুদ্ধ রয়েছে। জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে অবশ্যই রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। সেই সঙ্গে আরও ভারী অস্ত্র লাগবে পুতিনকে ঠেকাতে।’
আরও পড়ুন:ত্রিপুরার টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখলেন মানিক সাহা। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের আশিস সাহাকে ১৭ হাজার ১৮১ ভোটে হারিয়েছেন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে পদত্যাগ করেন। এরপর মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসায় বিজেপি। নির্বাচিত না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার জন্য ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী তাকে ছয় মাসের মধ্যে ভোটে জিততে হতো।
ভোটের ফলাফলের পর রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে মানিক সাহা বলেন, ‘আমাদের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার প্রতি ভরসা রেখেছে মানুষ । যারা কুৎসা করেছিলেন, এই নির্বাচন তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব। এই জয়ের ফলে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আগামী নির্বাচনেও আমাদের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনটিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। একটিতে কংগ্রেস জয় পেয়েছে।
ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে আশিস সাহাসহ তার অনুগামীদের নিয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে দেন।
অন্যদিকে যুবরাজনগর এবং সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীরা জয় পান। যুবরাজনগরে বিজেপি প্রার্থী মলিনা দেবনাথ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থীকে চার হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন।
গত ২০ জুন রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রোববার তার গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
চারটি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ খুবই নগণ্য হলেও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক ত্রিপুরা বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটা বিজেপির সন্ত্রাসের জয়। মানুষকে তার ভোট দিতে দেয়া হয়নি। তবে এই রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের লড়াই চলবে।’
ত্রিপুরার উপনির্বাচন ঘিরে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলসহ বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। নির্বাচন কমিশনও জানিয়ে দেয়, ত্রিপুরার উপনির্বাচনের ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু বিশ্বের দ্বিতীয় খরস্রোতা নদীর দুই পাড়কে যুক্ত করেছে বটে, তবে স্রোতের চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নদীর নিচে শক্ত মাটির অনুপস্থিতি। বিশ্বের অনেক জায়গায় এ রকমই প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জের মুখে গড়ে উঠেছে কিছু সেতু। কোথাও খরস্রোতা নদী, কোথাও সুউচ্চ পাহাড়, কোথাও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ। প্রকৌশলীদের দক্ষতায় দুর্গম সব স্থানেও মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অনেক সেতু। এ রকমই পাঁচ সেতুর কথা।
দানিয়াং-কুনশান সেতু, চীন
চীনের দানিয়াং-কুনশান সেতুটিকে বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটির দৈর্ঘ্য ১৬৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। সেতুটি চীনের দুটি বড় শহর সাংহাই এবং নানজিংকে যুক্ত করেছে।
সেতুটি বেইজিং-সাংহাই হাই-স্পিড রেলওয়ের অংশে দানিয়াং এবং কুনশানকেও সংযুক্ত করেছে, যা বেইজিং পশ্চিম স্টেশন এবং সাংহাই হংকিয়াও স্টেশনকে সংযুক্ত করে।
কমপক্ষে ১০ হাজার কর্মী চার বছরে এটির নির্মাণ শেষ করেন। সেতুটির ৯ কিলোমিটার অংশ ইয়াংচেং হ্রদের ওপর বিস্তৃত। বড় এই অংশে সেতুটিকে সাপোর্ট দিচ্ছে ২ হাজার পিলার।
পুরো অবকাঠামোয় সাড়ে ৪ লাখ টন স্টিল ব্যবহার করায় এটি প্রবল টাইফুন এবং ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ সহ্য করতে পারে অনায়াসেই। পিলারগুলো এতটাই মজবুত যে তিন লাখ টন ওজনের নৌযানের ধাক্কাতেও কিছুই হয় না এই সেতুর।
সেতুতে উচ্চগতিসম্পন্ন ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা আছে। ট্রেনের গতি ২৫০-৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত তোলা যায়।
দ্য মিলিউ ভিয়াডাক্ট, ফ্রান্স
এই সেতুটিকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু হিসেবে বিবেচনা করা হতো। উচ্চতার দিক থেকে এটি আইফেল টাওয়ারকেও ছাড়িয়ে গেছে।
এটি একটি মাল্টি-স্প্যান কেব্ল-স্টেড ব্রিজ, যা টার্ন নদীর গর্জ উপত্যকার ওপর দিয়ে গেছে। সেতুটি ১ লাখ ২৭ হাজার কিউবিক মিটার কংক্রিট এবং ২৬ হাজার ২০০ টন রিইনফোর্সিং ইস্পাত দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ হাজার টন প্রি-স্ট্রেসড স্টিল কেব্লে পুরো সেতুটি ঢাকা।
এই সেতুর নকশার অন্যতম আকর্ষণ এটির স্প্যানগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। অতি উচ্চতার কারণে সেতুটি বাঁকানো। তাই পিলারগুলোকে প্রশস্ত এবং শক্তিশালী করে ডিজাইন করতে হয়েছে।
আকাশি কাইকিও সেতু, জাপান
জাপানের আকাশি কাইকিও সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতুগুলোর একটি। এটি ৩ হাজার ৯১১ মিটার দীর্ঘ। এটির সাপোর্ট টাওয়ারগুলো মাটি থেকে প্রায় ২৯৮ মিটার ওপরে দাঁড়িয়ে আছে।
স্টিল ট্রাস স্ট্রাকচারে ডিজাইন করা পাইলনগুলো তারের স্যাডলকে টেনে সেতুর বেশির ভাগ লোড সাপোর্ট করে। পাইলনের মধ্যে দূরত্ব ১ হাজার ৯৯১ মিটার। এটিতে এমন দুই-স্তরের গার্ডার সিস্টেম আছে, যা সেতুর কাঠামোকে রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ৫ পর্যন্ত ভূমিকম্প এবং ২৮৬ কিলোমিটার বেগের ঝোড়ো বাতাস থেকে রক্ষা করতে পারে।
এই বিশেষ সেতুতে বেশ কিছু উদ্ভাবনী প্রকৌশল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার একটি হলো এটির প্রতিটি টাওয়ারে ২০টি টিউনড মাস ড্যাম্পার (টিএমডি)। টিএমডিগুলো সেতুকে বাতাসের দোলা থেকে রক্ষা করে।
যখন বাতাস সেতুটিকে একদিকে দেয়, তখন টিএমডিগুলো বিপরীত দিকে দোলে। এতে সেতুর ভারসাম্য বজায় থাকে।
আকাশি কাইকিও সেতুটি ‘পার্ল ব্রিজ’ নামেও পরিচিত। রাতে ২৮টি বিভিন্ন প্যাটার্ন এবং আলো সেতুটিকে আলোকিত করে।
ইনচিওন ব্রিজ, দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওন ব্রিজ ১৩ কিলোমিটার লম্বা একটি সেতু। কেব্লে ঝোলানো ব্রিজের অংশটিকে কোরিয়ার দীর্ঘতম বিশ্বের দশম বড় ঝোলানো ব্রিজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার কেন্দ্রের মূল স্প্যান ৮০০ মিটার।
সেতুটির মূল উদ্দেশ্য হলো সোংদো এবং ইনচিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন। শক্তিশালী ইঞ্জিনিয়ারিং সফটওয়্যার মিডাস সিভিল ব্যবহার করে সেতুটির নকশা এবং কাঠামো বিশ্লেষণ করা হয়।
এই সেতু ৭২ এমপিএস বায়ুসহ ঝড় এবং রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে। সেতুটি ইনচিওন বন্দরের কাছে অবস্থিত। নিচে ৮০ মিটার উচ্চতাসহ ইউ আকৃতির ডিজাইন করা। এতে প্রধান দুটি টাওয়ারের মাঝ দিয়ে নিরাপদে জাহাজ পার হতে পারে। ইনচিওন ব্রিজের নিচের স্তম্ভ ৬ হাজার টন পর্যন্ত ওজন সহ্য করতে পারে, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে স্থিতিশীল সেতু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মাত্র আট মাসে সেতুর নির্মাণ শেষ হয়।
রুস্কি আইল্যান্ড সেতু, রাশিয়া
রুস্কি আইল্যান্ড সেতুটিকে বিশ্বের দীর্ঘতম কেব্ল সেতু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটির মোট দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ১০০ মিটার। টাওয়ারগুলোর মধ্যে দূরত্ব এক হাজার ৪ মিটার।
এই সেতুর নকশা নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ এটি এমন একটি এলাকায় অবস্থিত যেখানকার আবহাওয়া চরম বৈরী।
ব্লাদিভোস্টকের আবহাওয়া মাইনাস ৪০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করে। তাই এটির নির্মাণ ছিল শক্ত চ্যালেঞ্জের।
এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকৌশলীরা মিডাস সিভিল সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, যা তারের অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে অজানা লোড ফ্যাক্টরগুলোর কাঠামোগত বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
কেব্ল সিস্টেমের জন্য কমপ্যাক্ট পিএসএস সিস্টেম নামে একটি উন্নত সিস্টেম ব্যবহার হয়েছে এটি নির্মাণে। এই সিস্টেমটি একটি কম্প্যাক্ট ডিজাইনের জন্য ব্যবহার করা হয়। ছোট ব্যাসের সঙ্গে খাপ খাওয়ার পাশাপাশি সেতুর কাঠামোতে বাতাসের গতি কমাতে সাহায্য করে এটি।
চরম তাপমাত্রার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য উচ্চ-ঘনত্বের পলিথিন (এইচপিডি) দিয়ে তৈরি প্রতিরক্ষামূলক কাভার ব্যবহার হয়েছে। এটি সেতুর কেবল-স্টেয়েড সিস্টেমের তারগুলোকে ঢেকে রাখে।
১০ বছর পর শুরু হয়েছে কলকাতা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ভোটগ্রহণ।
রোববার ভারতীয় সময় সকাল ৭টা থেকে পুলিশি নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ।
পশ্চিমবঙ্গের এই পাহাড়ের ভোট গ্রহণে এখন পর্যন্ত বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তবে তুমুল বৃষ্টিতে ভোটারের উপস্থিতি কম।
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ৪৫ টি আসনের প্রত্যেকটিতে প্রার্থী দিয়েছে হামরো পার্টি। তারা প্রথমবার ভোটে লড়ে দার্জিলিং পৌরসভার ক্ষমতায় আসে।
ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাও ৪৫ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম ১২টি, তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি এবং কংগ্রেস ৫ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এবারের জিটিএ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। ২৭৭ প্রার্থীর মধ্যে ২১০ স্বতন্ত্র প্রার্থী ।
এদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বা জিজেএম এবার জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেননি । জিজেএম’র সভাপতি বিমল গুরুং জানিয়েছেন, তিনি ভোট দেবেন না। প্রতিবাদস্বরূপ তার এই অবস্থান। জিটিএ-র বিরোধিতা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গুরুং।
তবে পাহাড়ের একসময়ের প্রধান বিমল সামনে না এসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন করছেন পাহাড়ের রাজনীতিবিদরা। তাদের ধারণা বিমল তার সমর্থকদের কোন একটি দলকে সমর্থনের নির্দেশ দিতে পারেন ।
এবারের জিটিএ নির্বাচনের লড়াই মূলত অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি এবং অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মধ্যে।
ভারতের সাংবাদিক ও সমাজকর্মী তিস্তা সেতলবাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) মুম্বাইয়ের বাড়ি থেকে শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে।
২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তিস্তার বিরুদ্ধে। শনিবারই মামলা করা হয় তার নামে।
পুলিশ জানিয়েছে, তিস্তার সঙ্গে আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট এবং গুজরাটের সাবেক ডিজিপি আরবি শ্রীকুমারের বিরুদ্ধে আগেই জাল নথি তৈরি করে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা করেছিল আহমেদাবাদ পুলিশের অপরাধ বিভাগ। কুমারকেও গ্রেপ্তার করেছে এটিএস।
এর আগে শুক্রবার গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে রায়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রসঙ্গে বলে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজানোতে তিস্তার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।
মুম্বাইয়ের সাংবাদিক তিস্তা সেতলবাদ ভারত সরকারের পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত একজন সমাজকর্মী। গুজরাট দাঙ্গার পর ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এনজিও সিটিজেনস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস (সিজেপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি এবং সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কাজের একটি ক্ষেত্র ছিল দাঙ্গার শিকার ব্যক্তিদের আইনি সহায়তা দেয়া।
গুজরাটে দাঙ্গার শিকার ব্যক্তিদের পক্ষে মামলা করার জন্য প্রথম কর্মীদের মধ্যে ছিলেন তিস্তা। গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তদল গঠনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ওই মামলার ফলেই দাঙ্গার ছয় বছর পর সাবেক সিবিআই ডিরেক্টর আর কে রাঘবনের অধীনে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে শনিবার একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাম না করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে একহাত নেন। তিনি বলেন, এরাই প্রধানমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে মামলা করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।
জানা গেছে, সেতলবাদ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ২০০৭ সালের মার্চে। তিনি মোদির বিরুদ্ধে তখন সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য