আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের হারকোর্ট শহরের একটি গির্জায় পদদলিত হয়ে ৩১ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শনিবার গির্জাটিতে খাবার নিয়ে গেলে হুড়োহুড়িতে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রিভার রাজ্যের পুলিশের মুখপাত্র ইরিঞ্জ কোকো জানান, সেখানে একটি গির্জায় কয়েক শ মানুষ খাবারের জন্য ভিড় করে। একপর্যায়ে হুড়োগুড়িতে গির্জার গেট ভেঙে গেলে সেখানে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে আগে থেকেই শয়ে শয়ে লোক ভিড় করছিল। একটা সময় তারা অধৈর্য হয়ে পড়ে এবং ছুটতে শুরু করে। তখনই পদদলনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে, সেই সঙ্গে ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে।’
নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের (ডিআর কঙ্গো) দুটি সশস্ত্রগোষ্ঠীর সদস্যরা এক কঙ্গোলিজ নারীকে দুবার অপহরণ করেন। পালা করে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ওই নারীকে দিয়ে মানুষের মাংস রান্না করিয়ে তা খেতে বাধ্য করানো হয়।
স্থানীয় সময় বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এমনটি জানিয়েছে দেশটির অধিকারবিষয়ক একটি সংগঠন।
নারী অধিকারবিষয়ক সংগঠন ফিমেল সলিডারিটি ফর ইন্টিগ্রেটেড পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এসওএফইপিএডিআই) প্রেসিডেন্ট জুলিয়েন লুসেঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দেয়ার সময় ওই নারীর বিভীষিকাময় কাহিনি তুলে ধরেন।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের সামনে তিনি সংঘাতে বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত পূর্ব কঙ্গোর এই দেশটি নিয়ে বক্তব্য দেন।
নিরাপত্তা পরিষদ কঙ্গো সম্পর্কে একটি নিয়মিত ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। গত মে মাসের শেষের দিকে ডিআর কঙ্গোর সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে ভয়াবহ লড়াই ও সহিংসতা ব্যাপকহারে বেড়ে যায়।
লুসেঞ্জ বলেন, যে নারীকে সশস্ত্রগোষ্ঠী কোডেকোর সদস্যরা অপহরণ করেন তিনি অপহৃত আরেকজনের জন্য মুক্তিপণ দিতে গিয়েছিল।
অধিকার সংগঠনকে ওই নারী বলেন, অপহরণের পর তাকে বারবার পালা করে ধর্ষণ এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
অপহরণের শিকার নারী বলেন, ‘সশস্ত্রগোষ্ঠীর সদস্যরা আমার সামনে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তার নাড়িভুঁড়ি টেনে বের করে ফেলে দেন। দেহটি কেটে টুকরো টুকরো করেন এবং আমাকে সেগুলো রান্না করতে বলেন। এ সময় তারা আমাকে দুটি রান্নার পাত্রও এনে দেন। পরে তারা সব বন্দিকে মানুষের রান্না করা মাংস খেতে দেন।’
নিরাপত্তা পরিষদের সামনে এভাবে ওই নারীর বীভৎস স্মৃতির কথা তুলে ধরেন লুসেঞ্জ।
লুসেঞ্জ বলেন, ‘কয়েক দিন পর ওই নারীকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাড়ি ফেরার সময় অন্য একটি মিলিশিয়া গ্রুপ তাকে আবারও অপহরণ করে। ওই সশস্ত্রগোষ্ঠীর সদস্যরাও তাকে পালা করে ধর্ষণ করেন।’
ওই নারী বলেন, ‘অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তারা আমাকে আবারও মানুষের মাংস রান্না করতে বলেন। আমাকে তা খেতে বাধ্য করেন। অবশেষে সেখান থেকে আমি পালিয়ে বাঁচতে সক্ষম হই।’
লুসেঞ্জ তার কাউন্সিল ব্রিফিংয়ের সময় দ্বিতীয় সশস্ত্রগোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করেননি। মন্তব্যের জন্য কোডেকোর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলেও জানান তিনি।
কোডেকোসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্রগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে কঙ্গোর খনিজসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলের জমি এবং সম্পদ দখলে নিতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে। এমন সংঘাতে গত এক দশকে কয়েক হাজার মানুষ হত্যা করা হয়। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
কঙ্গোর সেনাবাহিনী গত মে মাস থেকে এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১২-১৩ সালে এই গোষ্ঠী দেশটির বড় কয়েকটি অঞ্চল দখল করে নেয়।
২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো ধরনের ভূমিকা নেই আফ্রিকার দেশগুলোর। কিন্তু তারাই এই যুদ্ধের নির্মম শিকার। আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান (এইউ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, রাশিয়ার উচিত তাদের (আফ্রিকার দেশগুলোর) কষ্ট লাঘবে সহায়তা করা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর এইউ প্রধান ম্যাকি সল বলেছেন, রুশ নেতা আফ্রিকায় খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে কিভাবে এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে বা কর্মপরিধি কী হবে সে বিষয়ে তিনি কোনো বিস্তারিত বিবরণ দেননি। আফ্রিকার চাহিদার ৪০ শতাংশের বেশি গমের যোগান দেয় রাশিয়া ও ইউক্রেন।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করছে, মস্কো ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে শস্য রপ্তানিতে বাধা দিচ্ছে। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বৈশ্বিক খাদ্যসংকটের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেছেন।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে রপ্তানি সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। কিয়েভ ও পশ্চিমারা বন্দর অবরোধের জন্য মস্কোকে দায়ী করেছে।
জাতিসংঘের সংকট সমন্বয়কারী আমিন আওয়াদ জেনেভায় বলেছেন, ‘বন্দরগুলো চালু করতে ব্যর্থ হলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। শস্যের ঘাটতি ১৪০ কোটি মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে এবং ব্যাপক অভিবাসনের ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে।’
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত এরই মধ্যে আফ্রিকায় বিদ্যমান অভাবকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরো মহাদেশেই খাদ্যের দাম বেড়েছে এবং বিপুলসংখ্যক মানুষকে ক্ষুধার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
পশ্চিমা অনেক বিশ্লেষক বলছেন, ক্রেমলিন প্রত্যাশা করছে, আফ্রিকায় চলমান খাদ্যসংকট ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইউরোপে শরণার্থীর ঢল নামাতে পারে। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের চাপে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে পুতিন বলছেন, তিনি সব সময়ই আফ্রিকার দেশগুলোর পক্ষে, তবে বর্তমান খাদ্য নিরাপত্তা ও সংকটের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন:এক সপ্তাহ আগে আফ্রিকার দেশ চাদের উত্তরাঞ্চলের এক প্রত্যন্ত মরুভূমি অঞ্চলে সোনার খনির শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছেন।
আফ্রিকান নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল দাউদ ইয়ায়া ব্রাহিম জানিয়েছেন, দুই স্বর্ণ খনি শ্রমিকদের মধ্যে একটি সাধারণ বিরোধ থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষ হয়েছে মৌরিতানিয়া ও লিবিয়ার লোকদের মধ্যে।
দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী আবদেরামান কৌলামাল্লা এক বিবৃতিতেও সংঘর্ষে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল দেশটির রাজধানী এম জামেনা থেকে ১ হাজার কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের দুর্গম অঞ্চলে।
চাদ মূলত বিস্তীর্ণ পাহাড়ি ও মরুভূমি অধ্যুষিত দেশ। দেশটিতে প্রচুর খনি রয়েছে। লিবিয়া, নাইজার, সুদানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা সোনার খনির শ্রমিকরাই দেশটির খনিগুলো পরিচালনা করে থাকে।
দেশটিতে সোনার খনিতে সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। আবদেরামান বলেন, সংঘর্ষের জায়গাটি একটি দুর্গম অঞ্চল, স্থানটি প্রায় আইনহীন। কিন্তু সেখানে সোনা আছে, তাই সেখানে সংঘর্ষ হয়।
এদিকে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী (ফ্যাক্ট) এই ঘটনার জন্য সরকারি বাহিনীকেই দায়ী করেছে এবং এটিকে হত্যা হিসেবে দাবি করেছে। তাদের দাবি, স্থানটিতে ২০০ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাউদ ইয়ায়া দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী মোটেও গুলি চালায়নি এবং সেখানে ২০০ জন নিহত হননি।’
আরও পড়ুন:ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে নাইজেরিয়ার মুসলিম ছাত্ররা গত ১২ মে দেবোরাহ স্যামুয়েল নামের এক খ্রিষ্টান ছাত্রকে গণপিটুনি ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তার বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ইসলামের নবী হজরত মোহাম্মদ (স.)-এর বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে খ্রিষ্টান ও মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তার প্রেক্ষাপটে ১৪ মে কারফিউ দিয়েছিল নাইজেরিয়ার সোকোটো রাজ্য কর্তৃপক্ষ।
তবে এর মধ্যেই অনলাইনে ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে লেখা ক্যাপশনগুলোতে দাবি করা হয়, শুধু খ্রিষ্টান হওয়ার অপরাধে একজন নারীকে মুসলিমরা মারধর করছে।
দেবোরাহ হত্যাকাণ্ডের পর অনেককেই সেই ভিডিও শেয়ার করতে দেখা যায়। অনেকে ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করেন, মুসলিমরা খ্রিষ্টানদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের আক্রমণ করছে।
ভিডিওর সত্যতা থাকলেও প্রকৃত অর্থে সোকোটোতে ঘটে যাওয়া বর্তমান ঘটনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ একই ভিডিও কামেলদিন আবদুললাহি নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট পোস্ট করা হয়। সেই আইডিতে লেখা ক্যাপশনে সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় ছিল না।
আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় একটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
দেশটির রিভারস প্রদেশে শনিবার এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সরকার ও পরিবেশবাদী গ্রুপের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আল জাজিরা।
রিভারসের পেট্রোলিয়াম রিসোর্সেস কমিশনার গুডলাক ওপিয়াহ বিবৃতিতে বলেছেন, একটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণের তেল রাখার ডিপোতে আগুন ধরে যায়। শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে; যাদের শনাক্ত করার কোনো উপায় নেই।
বিস্ফোরণের সময় তেল কেনার জন্য লাইনে থাকা অনেক গাড়িও পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইয়ুথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভোকেসি সেন্টার।
বেকারত্ব ও দরিদ্রতার কারণে নাইজেরিয়ায় অবৈধ তেল পরিশোধন আকর্ষণীয় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। তবে এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও।
এর আগে গত অক্টোবরে রিভারসের আরেকটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে শিশুসহ ২৫ জন নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক যোদ্ধা গেছেন। কিন্তু আফ্রিকা থেকে কোনো যোদ্ধা রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে গেছেন, এমনটা শোনা যায়নি।
এবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার রুশ দূতাবাসের সামনে প্রতিদিন দীর্ঘ লাইন তৈরি হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, অনেক যুবক, এমনকি বৃদ্ধও তাদের সামরিক বাহিনীতে কাজ করার রেকর্ড হাতে নিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ের আশা নিয়ে এসেছেন।
দূতাবাসের আশপাশের বাসিন্দারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক স্বেচ্ছাসেবকদের ঢল নেমেছে।
রয়টার্সের সাংবাদিকরাও দূতাবাসের বাইরে ইথিওপিয়ান নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে কয়েক শ লোককে নিবন্ধন করতে দেখেছেন। নিরাপত্তারক্ষীরা এ সময় তাদের নাম লিপিবদ্ধ করেন এবং সামরিক বাহিনীতে চাকরির প্রমাণ দেখতে চান।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো ইথিওপীয় ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন কি না তার নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
দূতাবাসের একজন কর্মী দোভাষীর মাধ্যমে রুশ ভাষায় স্বেচ্ছাসেবকদের বলেন, রাশিয়ার যথেষ্ট বাহিনী রয়েছে, যদি তাদের প্রয়োজন হয়, যোগাযোগ করা হবে।
ইউক্রেনে ইথিওপিয়া থেকে কাউকে মোতায়েন করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি।
পরে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রুশ দূতাবাস ইথিওপীয়দের নিয়োগ দিচ্ছে না।
ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির সেনা নিয়োগের গুজব খণ্ডন করায় রাশিয়াকে ধন্যবাদ দিয়েছে।
শুরু থেকেই ইথিওপিয়া যুদ্ধে সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যদিও জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবগুলোতে ভোটদানে বিরত থাকে আফ্রিকার দেশটি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য