× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Warning about monkey pox in West Bengal
google_news print-icon

মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্কতা পশ্চিমবঙ্গে

মাঙ্কিপক্স-নিয়ে-সতর্কতা-পশ্চিমবঙ্গে
মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ছবি: সংগৃহীত
২১ দিনের মধ্যে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ থেকে কোনো ব্যক্তি যদি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন, সে ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখে তার চিকিৎসা করা হবে।

বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স নিয়ে উদ্বেগের মাঝে সংক্রমণ মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

বিদেশ থেকে আসা কোনো ব্যক্তির মাঙ্কিপক্স উপসর্গ থাকলে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকতে হবে তাকে।

ভারত সরকারের নির্দেশ মেনে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

রাজ্যটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘এখনও আমাদের দেশে মাঙ্কিপক্সে শনাক্তের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা দিলে ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা পুনেতে পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য।’

২১ দিনের মধ্যে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ থেকে কোনো ব্যক্তি যদি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন, সে ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখে তার চিকিৎসা করা হবে।

ওই ব্যক্তি কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে রাজ্যটির স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১২টি দেশের ৯২ জনের শরীরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

প্রাণঘাতী না হলেও সপ্তাহ তিনেক জ্বর, ব্যথাসহ নানা উপসর্গ থাকছে এই রোগে।

যদিও বলা হচ্ছে, এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।

মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সাধারণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত বেশির ভাগ মানুষই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান।

আরও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় এক পরিবারে মাঙ্কিপক্স আতঙ্ক, চিকিৎসকের ধারণা চর্মরোগ
মাঙ্কিপক্স: দেশের সব বন্দরে সতর্কতা
১১ দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ৮০
মাঙ্কিপক্স নিয়ে যে বিষয়গুলো জানা দরকার
মাঙ্কিপক্স নিয়ে ডব্লিউএইচওর জরুরি বৈঠক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
China showed military power with world leaders

বিশ্ব নেতাদের নিয়ে সামরিক শক্তি দেখাল চীন

বিশ্ব নেতাদের নিয়ে সামরিক শক্তি দেখাল চীন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ে নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে চীন। বিশ্বের কয়েকটি দেশের নেতার উপস্থিতে হওয়া এই সামরিক কুচকাওয়াজে স্টেলথ ফাইটার, ট্যাংক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিশ্ব নেতাদের নিয়ে সামরিক শক্তি দেখাল চীন

গতকাল বুধবার সকালে তিয়ানআনমেন স্কয়ারে এই কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, সামরিক প্রদর্শনীতে হাজির করা অস্ত্রগুলো ছিল সর্বাধুনিক ও বহরে সবশেষ যোগ হওয়া।

বিশ্ব নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

তিয়ানআনমেনের গেট অব হেভেনলি পিস থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং। পরে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ), নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ১০ হাজার সদস্যের উদ্দেশে ভাষণ দেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রদর্শনীতে শি ঘোষণা দেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথেই অগ্রসর হতে থাকবে। তিনি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জয় এবং বিশ্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধে চীনের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি বিদেশি সরকারগুলোর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এই নেতা বলেন, যুদ্ধ থেকে পাওয়া শিক্ষা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। মানবজাতি আবারও এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেটি হলো- শান্তি নাকি যুদ্ধ, সংলাপ নাকি মুখোমুখি সংঘাত, পারস্পরিক লাভজনক ফলাফল নাকি একজনের লাভ ও আরেকজনের ক্ষতি।

সামরিক প্রদর্শনীতে ছিল, নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক মিসাইল, ব্যালিস্টিক মিসাইল, পানিতে চলাচলে সক্ষম ড্রোন, যুদ্ধবিমান, প্রাথমিক সতর্কতা বিমান এবং বিমান জ্যামিং সিস্টেম। আরও ছিল, দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইল। প্রদর্শনী দেখতে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ৫০ হাজার দর্শক।

চীনের এমন প্রদর্শনী নিয়ে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাজনীতি বিশ্লেষক ইয়ান চং বলছেন, এমন প্রদর্শনীর পেছনে শি চিন পিংয়ের একটি উদ্দেশ্য আছে। সেটি হলো- চীন একটি বৃহৎ শক্তি হিসেবে গড়ে উঠছে। এই প্রদর্শনীর সময় বিশ্বের অন্য দেশের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এটিরও অর্থ আছে। সেটি কোনো চাপ বা ভয় তৈরি করা নয়, বরং এটি বোঝানো যে, এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে ভীত নয়।

প্রদর্শনীর সময় আকাশে চীনা বিমান বাহিনী কসরত দেখায়। তখন ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ন্যায়বিচার জয়ী হবে’, ‘শান্তি জয়ী হবে’ এবং ‘জনগণ জয়ী হবে’।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Gaza situation 3 months of malnutrition

গাজা পরিস্থিতি: অপুষ্টিতে ১ মাসে মৃত্যু ১৮৫

গাজা পরিস্থিতি: অপুষ্টিতে ১ মাসে মৃত্যু ১৮৫

ফিলিস্তিনের গাজায় গত মাসে অপুষ্টিতে ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টিতে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি শিশু। গাজায় ইসরায়েলের সৃষ্ট অবরোধের কারণে অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গত মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের বৈশ্বিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা দ্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি) গত মাসের শেষ সপ্তাহে গাজার কিছু অংশে পূর্ণমাত্রার দুর্ভিক্ষ চলছে বলে ঘোষণা দেয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ৮৩ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি শিশু।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, উপত্যকার ৫ বছরের কম বয়সি প্রায় ৪৩ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। ৫৫ হাজারেরও বেশি গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীও একই সমস্যায় আক্রান্ত। দুই-তৃতীয়াংশ গর্ভবতী নারী রক্তশূন্যতায় ভুগছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল সেখানে নৃশংস হামলা চালাচ্ছে। অবরুদ্ধ উপত্যকায় অপুষ্টিতে ৩৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৩০টি শিশু। এই যুদ্ধে ইসরায়েল অন্তত ৬৩ হাজার ৬৩৩ জনকে হত্যা করেছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Punjab killed in severe floods after 9

১৯৮৮ সালের পর ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাঞ্জাব, নিহত ৩০

১৯৮৮ সালের পর ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাঞ্জাব, নিহত ৩০

ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ। ১৯৮৮ সালের পর এমন পরিস্থিতি এ অঞ্চলে আর দেখা যায়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৩ জেলা এবং মারা গেছে অন্তত ৩০ জন। খবর এনডিটিভি। হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টির ফলে শতদ্রু, বিয়াস ও রাভি নদীর পানি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যার প্রভাব পড়ে পাঞ্জাবে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা-নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা।

সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাবের ২৩ জেলা। প্রায় ১ হাজার ৪০০ গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঠানকোট, এখানে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের, নিখোঁজ আরও তিনজন। লুধিয়ানায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের।

ক্ষতির দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে গুরুদাসপুর জেলা। এখানে ৩২৪টি গ্রাম ডুবে গেছে, এরপর অমৃতসরে ১৩৫টি এবং হোশিয়ারপুর ১১৯টি গ্রাম ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে বার্নালা, বাথিন্ডা, ফিরোজপুর, পাতিয়ালা, এসএএস নগর, সাঙ্গরুর, তরন-তারান এবং ফাজিলকা। বন্যায় ১ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টরেরও বেশি ফসল নষ্ট হয়েছে, প্রায় ৩.৭৫ লাখ হেক্টর কৃষি জমি ডুবে গেছে। বন্যায় বহু গবাদিপশু ভেসে যাওয়ায় দুগ্ধ উৎপাদন এবং পশুপালনেও প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে ৬০ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে।

এদিকে পঞ্জাবের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আজ ওই রাজ্যে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। শিবরাজ আজ সকালে অমৃতসরে পৌঁছাবেন। এরপর বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়ে কৃষক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন। ফেরার পথে রাজ্যের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করবেন তিনি।

উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। গতকাল বুধবার তিনি এক্স পোস্টে মোদির উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘মোদিজি পাঞ্জাব বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই কঠিন সময়ে, আপনার নজর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সক্রিয় সাহায্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হাজার হাজার পরিবার তাদের ঘরবাড়ি, জীবন এবং প্রিয়জনদের বাঁচাতে লড়াই করছে। আমি অনুরোধ করছি, এই রাজ্যগুলোর জন্য, বিশেষ করে কৃষকদের জন্য, অবিলম্বে একটি বিশেষ ত্রাণ ঘোষণা করার পাশাপাশি, ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের গতি বাড়ানো হোক।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Irans nuclear program is at the doorstep of the breakdown

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কি ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কি ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে

ইরানের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় পরাশক্তিগুলো যখন জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু করছে, তখন তেহরান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। এর মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে সরে আসতেও পারে। এমন পটভূমিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ভবিষ্যৎ নিয়ে মিডল ইস্ট আইয়ে কলাম লিখেছেন ইরানি-কানাডীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক শাহির শাহিদ সালেস। কলামটির বাংলা অনুবাদ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো- কয়েক মাসের অচলাবস্থার পর অবশেষে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি (‘ই-থ্রি’ নামে পরিচিত) ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া আনুষ্ঠানিক নোটিশে এ তিন দেশ জোর দিয়ে বলেছে, তারা ‘কূটনৈতিক সমাধান’ চায়। নোটিশে বলা হয়, এ নোটিশ দেওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানে ই-থ্রি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী, চুক্তির এক বা একাধিক পক্ষ যদি মনে করে, ইরান বড় ধরনের অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে, তবে তারা নিরাপত্তা পরিষদকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে পারে। এভাবে ‘স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া’ শুরু হয়।

ওই অবগতির ৩০ দিনের মধ্যে সমাধান না হলে ধাপে ধাপে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলো ফিরে আসে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ইরানের অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র, জাহাজ চলাচল, কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা। এ সিদ্ধান্ত ভেটো-প্রতিরোধী, অর্থাৎ কোনো দেশ চাইলে এককভাবে এটি ঠেকাতে পারবে না।

সম্প্রতি ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় ই-থ্রি তিনটি শর্ত দিয়েছিল, যাতে ‘স্ন্যাপব্যাক’ কার্যকর না হয়। শর্তগুলো হলো- ইরান যেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ফিরে আসে; আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) যেন আবার ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে প্রবেশাধিকার পায়, যা দেশটির সঙ্গে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের ১২ দিনের সংঘাতের পর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এবং আইএইএ ইরানে যে ৪০০ কেজির বেশি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব থাকার কথা জানিয়েছে, তেহরানকে তার পূর্ণ হিসাব দিতে হবে।

সব নিষেধাজ্ঞাই ইরানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বিশ্লেষকরা তিনটি নিষেধাজ্ঞাকে সবচেয়ে গুরুতর মনে করছেন। তা হলো- তেল-গ্যাস খাতে নতুন বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করা, ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা এবং ‘১৬৯৬ নম্বর প্রস্তাব’ পুনর্বহাল, যা ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করতে বাধ্য করে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টিই মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরির কেন্দ্রে রয়েছে।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষতি

ইরানের তেল-গ্যাস খাত তার অর্থনীতির প্রাণশক্তি। কিন্তু তেল-গ্যাসের উৎপাদন কমছে, প্রযুক্তি পুরোনো হয়ে যাচ্ছে, আর দেশি চাহিদা বেড়ে চলেছে। উদাহরণস্বরূপ, সাউথ পার্স গ্যাসক্ষেত্র ইরানের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (৬৪ শতাংশ) জ্বালানির জোগায়। কিন্তু চাপ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ-সংকট বেড়েছে।

ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ৪ বছরে প্রতি বছর ১৯ বিলিয়ন (১ হাজার ৯০০ কোটি) ডলার বিনিয়োগ দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ভয়ে অন্য দেশগুলো ইরানে অর্থলগ্নি করছে না। ফলে একমাত্র রাশিয়া ও চীনই এ অর্থ দিতে সক্ষম এবং হয়তো আগ্রহীও হবে। দেশ দুটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করতে পারলেও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তাদের মানতে হতে পারে। কারণ, অতীতে তারাও এ ধরনের প্রস্তাব সমর্থন করেছে এবং নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে নিষেধাজ্ঞা প্রকাশ্যে অমান্য করার ঝুঁকি নেবে না।

আইআরজিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা ইরানের জন্য আরও বড় আঘাত হতে পারে। কারণ, অর্থনীতির বহু খাত তাদের নিয়ন্ত্রণে। শত শত প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে যুক্ত। ফলে আইআরজিসির ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা মানে গোটা ইরানের অর্থনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা।

চীন ইরানের মোট তেলের ৯০ শতাংশ কেনে। কিন্তু আইআরজিসি ইরানের প্রায় অর্ধেক তেল ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে চীনও কেনা কমাতে বা বন্ধ করতে পারে। রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, আইআরজিসি ইরানের তেল বাণিজ্যের প্রায় ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

আইআরজিসির ওপর নিষেধাজ্ঞার অর্থনৈতিক খেসারত হবে মারাত্মক। এমন নিষেধাজ্ঞার জেরে মূল্যস্ফীতি বাড়বে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমবে, রিয়াল আরও অবমূল্যায়িত হবে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বাড়বে। ফলে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

রাজনৈতিক দিক থেকেও ক্ষতি ভয়ানক হতে পারে। আইআরজিসির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা এ বাহিনীকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও একঘরে করবে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশ তাদের ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করতে পারে। ইরানে শাসনব্যবস্থা টিকে থাকা যেখানে আইআরজিসির ওপর নির্ভরশীল, সেখানে এটি (নতুন করে নিষেধাজ্ঞা) ইরানের জন্য অস্তিত্বের হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সবচেয়ে বড় আঘাত আসতে পারে ১৬৯৬ নম্বর প্রস্তাব থেকে। ২০০৬ সালের জুলাইয়ে গৃহীত এ প্রস্তাবে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ পুরোপুরি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এ সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়নকাজও। অথচ ইরান সব সময় দাবি করেছে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (এনপিটি) অনুযায়ী সমৃদ্ধকরণ তাদের অধিকার। রাশিয়া ও চীনও সমর্থন করেছিল ওই প্রস্তাব, অর্থাৎ এখানে ইরানের পক্ষে দাঁড়ানোর সুযোগ কম।

এ নিষেধাজ্ঞা ইরানের কৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষাও ভেঙে দেবে। ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ২০ হাজার কোটি) ডলার। তবু সরকার সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে গেছে। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ বেড়েছে, আর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপের ঝুঁকিও বেড়েছে।

তাই স্ন্যাপব্যাক শুধু অর্থনীতিকে নয়, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির রাজনৈতিক ও আদর্শিক ভিত্তিও নাড়িয়ে দেবে।

বিপজ্জনক উত্তেজনার সম্ভাবনা

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য ইউরোপীয় ওই তিন দেশের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, এ তিন দেশের তথাকথিত স্ন্যাপব্যাক ব্যবস্থায় যাওয়ার কোনো আইনি বা নৈতিক অধিকার নেই।

তবে ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করলেও সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা দুটি বড় পদক্ষেপ নিতে পারে- এনপিটি থেকে সরে যাওয়া এবং আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা পুরোপুরি বন্ধ করা।

এ সপ্তাহে ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি এমন পদক্ষেপ (স্ন্যাপব্যাক) সক্রিয় করা হয়, তবে আইএইএর সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা পুরোপুরি থেমে যাবে।’

আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া হতে পারে এনপিটি থেকে ইরানের বেরিয়ে যাওয়া। দেশটির কিছু আইনপ্রণেতা এ বিষয়ে জরুরি বিল খসড়া করছেন বলে জানা গেছে। কট্টরপন্থি রাজনীতিবিদ, বিশেষত পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির সদস্য আইআরজিসির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কোসারি বারবার এ দাবি তুলেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান যদি এনপিটি থেকে সরে যায় কিংবা আইএইএর সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়, তবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি গোপন কর্মসূচিতে রূপ নেবে। এতে আঞ্চলিকভাবে পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে। তুরস্ক ও সৌদি আরব এতে সবচেয়ে আগে যোগ দেবে। সবচেয়ে ভয়ানক পরিণতি হলো- ইসরায়েল-ইরানের ওপর ভয়ংকর হামলা চালাতে পারে, যা আগের যেকোনো আক্রমণের চেয়ে অনেক কঠিন এবং যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।

যদি ইসরায়েল এবার ইরানে সরকার পতনের লক্ষ্যে আক্রমণ চালায়, তবে দেশটির প্রতিক্রিয়া হবে সর্বোচ্চ মাত্রার।

তাহলে ইরান সরাসরি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে। একই সঙ্গে হরমুজ প্রণালি অরক্ষিত বা অচল করার চেষ্টা করতে পারে। এতে বিশ্ববাজারে দৈনিক ব্যবহৃত ১০ কোটি ব্যারেলের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এ পরিস্থিতি সংঘাতকে এক নতুন, ভয়ংকর স্তরে নিয়ে যাবে।

সমাধানের একমাত্র পথ

স্ন্যাপব্যাক ব্যবস্থার ফলের বিপর্যয়কর এমন পরিস্থিতি এড়াতে হলে, বিশেষ করে সর্বনাশা যুদ্ধের ঝুঁকি ঠেকাতে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ছেড়ে দেওয়াই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এটাই আজকের সংকটের মূল কেন্দ্রবিন্দু।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক মহাপরিচালক কাসেম মোহেবালি সমাধানের একটি পথ দেখিয়েছেন। তার মতে, ‘একটাই সমাধান আছে, ইরানের সমৃদ্ধকরণের অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এর আগে নির্দিষ্ট সময় (সম্ভাব্য দীর্ঘসময়) পর্যন্ত, যেটি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান সবাই মেনে নেবে; ইরানকে তা (অধিকার) প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে (ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ রাখা) হবে।’

-------------------------------------------------------------

১৯৮৮ সালের পর ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাঞ্জাব, নিহত ৩০

দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ। ১৯৮৮ সালের পর এমন পরিস্থিতি এ অঞ্চলে আর দেখা যায়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৩ জেলা এবং মারা গেছে অন্তত ৩০ জন। খবর এনডিটিভি। হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টির ফলে শতদ্রু, বিয়াস ও রাভি নদীর পানি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যার প্রভাব পড়ে পাঞ্জাবে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা-নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা।

সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাবের ২৩ জেলা। প্রায় ১ হাজার ৪০০ গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঠানকোট, এখানে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের, নিখোঁজ আরও তিনজন। লুধিয়ানায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের।

ক্ষতির দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে গুরুদাসপুর জেলা। এখানে ৩২৪টি গ্রাম ডুবে গেছে, এরপর অমৃতসরে ১৩৫টি এবং হোশিয়ারপুর ১১৯টি গ্রাম ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে বার্নালা, বাথিন্ডা, ফিরোজপুর, পাতিয়ালা, এসএএস নগর, সাঙ্গরুর, তরন-তারান এবং ফাজিলকা। বন্যায় ১ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টরেরও বেশি ফসল নষ্ট হয়েছে, প্রায় ৩.৭৫ লাখ হেক্টর কৃষি জমি ডুবে গেছে। বন্যায় বহু গবাদিপশু ভেসে যাওয়ায় দুগ্ধ উৎপাদন এবং পশুপালনেও প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে ৬০ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে।

এদিকে পঞ্জাবের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আজ ওই রাজ্যে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। শিবরাজ আজ সকালে অমৃতসরে পৌঁছাবেন। এরপর বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়ে কৃষক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন। ফেরার পথে রাজ্যের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করবেন তিনি।

উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। গতকাল বুধবার তিনি এক্স পোস্টে মোদির উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘মোদিজি পাঞ্জাব বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই কঠিন সময়ে, আপনার নজর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সক্রিয় সাহায্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হাজার হাজার পরিবার তাদের ঘরবাড়ি, জীবন এবং প্রিয়জনদের বাঁচাতে লড়াই করছে। আমি অনুরোধ করছি, এই রাজ্যগুলোর জন্য, বিশেষ করে কৃষকদের জন্য, অবিলম্বে একটি বিশেষ ত্রাণ ঘোষণা করার পাশাপাশি, ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের গতি বাড়ানো হোক।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trumps comments in the context of the conspiracy are nothing but irony Kremlin

ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে ট্রাম্পের মন্তব্য ‘বিদ্রুপ ছাড়া কিছুই নয়’: ক্রেমলিন

ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে ট্রাম্পের মন্তব্য ‘বিদ্রুপ ছাড়া কিছুই নয়’: ক্রেমলিন

রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগটিকে বিদ্রুপ হিসেবেই দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন।

বেইজিং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

বুধবার ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, আমি মনে করি, কিছুটা বিদ্রুপের সঙ্গেই তিনি বলেছেন যে, এই তিন নেতা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পের একটি পোস্ট সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।

ট্রাম্পের ওই পোস্টে অভিযোগ করা হয়, পুতিন, শি জিনপিং ও কিম জং উন বেইজিংয়ে একত্রিত হয়ে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trump is getting the smell of Putin Shi Kim conspiracy in one frame

এক ফ্রেমে পুতিন-শি-কিম, ‘ষড়যন্ত্রের গন্ধ’ পাচ্ছেন ট্রাম্প

এক ফ্রেমে পুতিন-শি-কিম, ‘ষড়যন্ত্রের গন্ধ’ পাচ্ছেন ট্রাম্প

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে এই আয়োজনে সবচেয়ে বেশি যে দৃশ্যটি বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে তা হলো, লাল গালিচায় একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে শি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের আলাপ ও করমর্দন।

বিরল এই দৃশ্যটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরেই শুল্ক যুদ্ধকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে মিত্র ও প্রতিপক্ষদের প্রতি তার পরিবর্তিত নীতির কারণে অনেক দেশই প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দেশের নেতা আজ একসঙ্গে দাঁড়িয়েছেন।

কুচকাওয়াজে সামরিক শক্তি ও সৈন্যদের ব্যাপক প্রদর্শনী করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। আর এ সময় তার পাশে ছিলেন দুই শক্তিধর নেতা পুতিন ও কিম। বিষয়টিকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

দ্য গার্ডিয়ান বলছে, বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ তিন নেতার এই মেলবন্ধনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন ট্রাম্প।

এ বিষয়ে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি এবং চীনের চমৎকার জনগণকে মহান ও দীর্ঘস্থায়ী উদযাপনের শুভেচ্ছা। আপনারা যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, তখন দয়া করে পুতিন ও কিমকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাবেন।’

শি বলেছেন, ‘মানবজাতি এমন একটি পর্যায়ে রয়েছে যখন শান্তি বা যুদ্ধ, সংলাপ অথবা মুখোমুখি সংঘর্ষ, পারস্পরিক কল্যাণ কিংবা সবার অকল্যাণ— এর মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে।’ তবে চীনের জনগণ ইতিহাসের সঠিক পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, কিছু দেশ ‘বুলিং আচরণ’ করছে। তবে চীনকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না বলেও সতর্ক করে দেন তিনি।

অ্যাটলান্টিক কাউন্সিলের গ্লোবাল চায়না হাবের নন-রেসিডেন্ট ফেলো ওয়েন-তি সাং বলেন, ‘চীনের এই আয়োজন আরও একটি বার্তা দিচ্ছে। সেটি হলো, পশ্চিমারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে গেলেও বন্ধুর পাশে দাঁড়াতে ভয় পায় না চীন।’

কুচকাওয়াজে আরও উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ও মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রধান মিন অং হ্লাইং। কিমের সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে কিম জু। তবে কোনো বড় পশ্চিমা নেতা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেননি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক শৃঙ্খলা পুনর্গঠনে আগ্রহী— এমন কিছু দেশের কাছে এই কুচকাওয়াজ ছিল শিয়ের প্রভাব প্রদর্শনের একটি কৌশল।

এর আগে, তিয়ানজিন শহরে সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশনের (এসসিও) দুই দিনব‌্যাপী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের ২০ জনের বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা। সেখানেও পুতিন উপস্থিত ছিলেন। তবে এসসিও সম্মেলনে যোগ দেননি কিম। তবে ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন সম্প্রতি শুল্কারোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এই মুহুর্তে বিশ্লেষকদের নজর এখন শি, পুতিন ও কিমের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয় কি না, সেদিকে আটকে রয়েছে।

টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ অন এশিয়ার গবেষক লিম চুয়ান-তিয়ং বলেন, যদি এই তিনজনের ত্রিপক্ষীয় কোনো বৈঠক হয়, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এমনকি সেটি বিশ্বকে আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

লিমের ভাষ্যে, যদি এমন কোনো বৈঠক না হয়, তাহলে বুঝতে হবে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে খুব বেশি উসকানি দিতে চায় না। তাছাড়া ত্রিপক্ষীয় কৌশলগত অস্পষ্টতাও বজায় রাখতে চান শি।

কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত সামরিক সরঞ্জামও পর্যবেক্ষণ করেছেন বিশ্লেষকরা। সেখানে ছিল— ট্যাংক, ড্রোন, দূরপাল্লার ও পারমাণবিক হামলায় সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও স্টেলথ বিমান। আবার কয়েকটি নতুন উন্নত অস্ত্রও উন্মোচন করা হয়।

এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো ড্রু থম্পসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ চীনের যেসব প্রতিবেশি দেশ তাদের মৌলিক জাতীয় স্বার্থ চ্যালেঞ্জ করার কথা চিন্তা করে, এই প্রদর্শনী তাদের প্রতি এক ধরনের সতর্কবার্তা।

তিনি বলেন, মৌলিক জাতীয় স্বার্থের মধ্যে সরাসরি নাম উচ্চারণ না করা হলেও যা সবকিছুতে উপস্থিত থেকেছে, তা হলো তাইওয়ান। শি নিজের বক্তব্যে বারবার ‘চীনা জাতির পুনর্জাগরণের’ কথা বলেছেন। এটি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ এবং এর মূল ভিত্তি তাইওয়ানকে চীনের ভূখণ্ড হিসেবে সংযুক্ত করা।

তাইওয়ানকে বরাবরই চীনের একটি প্রদেশ হিসেবে দাবি করে আসছেন শি ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। তবে চীনের এই দাবি মানতে নারাজ তাইওয়ানের সরকার ও সেখানকার জনগণ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
More than 1 million people in the world suffer from mental problems WHO

বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত: ডব্লিউএইচও

বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত: ডব্লিউএইচও

বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, বিশ্বে প্রতি ১০০ মৃত্যুর মধ্যে একটি হলো আত্মহত্যাজনিত, যা মূলত তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলা মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের ভয়াবহ চিত্রকে তুলে ধরছে।

ডব্লিউএইচও’র তথ্যমতে, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭ লাখ ২৭ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেছে। সংস্থার অ-সংক্রামক রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেভোরা কেস্টেল বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রতিটি আত্মহত্যার বিপরীতে ২০টি আত্মহত্যার চেষ্টা ঘটে। এসব মৃত্যু শুধু জীবনকে শেষ করে না, অসংখ্য পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীকে অমানবিক কষ্টের মুখেও ফেলে।

আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি নারীদের

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সি নারীদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল আত্মহত্যা, আর একই বয়সি পুরুষদের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ।

২০০০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বয়স-সমন্বিত আত্মহত্যার হার বিশ্বব্যাপী ৩৫ শতাংশ কমলেও নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে এখনো পিছিয়ে রয়েছে বিশ্ব। ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে আত্মহত্যার হার এক-তৃতীয়াংশ কমানোর যে লক্ষ্য ছিল, তা বর্তমান প্রবণতায় মাত্র ১২ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।

অঞ্চলভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আত্মহত্যার হার বেড়েছে ১৭ শতাংশ। অন্য সব অঞ্চলে কিছুটা কমলেও প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আত্মহত্যা ঘটছে নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে, যেখানে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ বসবাস করে।

উদ্বেগ-হতাশা বাড়ছে

ডব্লিউএইচও সতর্ক করে জানিয়েছে, আত্মহত্যার হার ধীরে ধীরে কমলেও মানসিক ব্যাধি, বিশেষ করে উদ্বেগ ও হতাশার প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বিশ্ব জনসংখ্যার বৃদ্ধির চেয়েও দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে ১০০ কোটির বেশি মানুষ এসব ব্যাধিতে আক্রান্ত।

সংস্থাটি বলছে, তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট আরও গভীর হচ্ছে। এ বৃদ্ধির পেছনে প্রধান দুটি কারণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব এবং কোভিড-১৯ মহামারি উল্লেখ করেছেন ডব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মার্ক ভ্যান ওমেরেন।

সংস্থাটি উদ্বেগ জানিয়ে বলছে, বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ২০১৭ সালের পর থেকে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র দুই শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্যে ব্যয় হচ্ছে, যা পরিবর্তন হয়নি। হতাশায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র নয় শতাংশ চিকিৎসা পায়।

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পরিবর্তন করা এখন বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।

মন্তব্য

p
উপরে