× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফরাসি চিত্রগ্রাহকের চোখে ভবিষ্যৎ পৃথিবী। ছবি: ফ্যাবিয়েন বারাউ

ফটোগ্রাফারের চোখে ভবিষ্যৎ পৃথিবী

জলবায়ু সংকটের কারণে বিপর্যস্ত পৃথিবীকে কল্পনা করা অনেকের জন্যই অস্বস্তিকর। তারপরও আমাদের এই সত্যকে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রাকৃতির ভয়ংকর রূপ এড়ানোর সুযোগ দিনে দিনে কমে আসছে

বিখ্যাত ফরাসি ফটোগ্রাফার এবং ডিজিটাল আর্টিস্ট ফ্যাবিয়েন বারাউ বলছেন, জলবায়ু বিপর্যয় নিয়ে ভাবতে গেলে আমাদের প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খেতে হবে। কারণ আমরা এমন সত্যের সামনে পড়ব যেখানে দেখা যাবে দ্রুত পৃথিবীকে আমরা ডিস্টোপিয়ান দুনিয়ার (Dystopian world) দিকে নিয়ে যাচ্ছি।

‘নিউজ ফ্রম দ্য ফিউচার’ নামে এক ধারাবাহিকে বারাউ দেখিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জনপ্রিয় সব স্থাপনাগুলোর কী অবস্থা হতে পারে। এ কাজে তিনি ড্রোনের সাহায্যে ছবি নিয়ে, সেগুলোকে ফটোশপের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।

নিজেকে ভবিষ্যতের একজন অনুসন্ধানকারী হিসেবে দেখেন বাররাউ। মরুকরণ, প্লাবন, ধ্বংস এবং ধ্বংসের মধ্যে নিমজ্জিত একটি নতুন বিশ্ব নিয়ে সব সময় ভাবেন এই ফটোগ্রাফার।

তিনি বলেন, এই সিরিজটি জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতিগুলোর একটি ব্যক্তিগত কাজ। এটি কোনো বৈজ্ঞানিক কাজ নয় বরং একটি শৈল্পিক কাজ। যেখানে আমি আন্তঃসরকারি প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) তথ্যের সম্ভাব্যতা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি।’

রোমের কলোসিয়াম ও আশপাশের এলাকা পরিণত হবে মরুভূমিতে। ছবি: ফ্যাবিয়েন বারাউ

এই পরিণতিগুলো কল্পনা করার জন্য বারাউ ডিজিটালভাবে ড্রোন ফুটেজ এবং স্টক চিত্রগুলোকে পুনরুদ্ধার করেন। আইফেল টাওয়ার এবং কলোসিয়ামকে শুষ্ক চরমে নিয়ে যায়, স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে কোমর-গভীর বন্যায় নিমজ্জিত করে (মূর্তির কোমর, আমাদের নয়), আর্ক ডি ট্রায়মফকে সমুদ্রে নিমজ্জিত করে ফেলেন।

নিউ ইয়র্কে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং। ছবি: ফ্যাবিয়েন বারাউ

বারাউ বলেন, ‘শৈশব থেকেই আমি পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপস থিম এবং একটি সভ্যতার পতনের একজন বড় অনুরাগী ছিলাম। আমি তাই সিরিজকে সিনেমাটিক করার চেষ্টা করেছিলেন।

‘প্যারিসের আর্ক ডি ট্রায়মফের ওপরে দুটি তিমি সাঁতার কাটার চিত্রটি ফরাসি শিল্পী রোলান্ড ক্যাট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করছি। ১৯৭০ এবং ৮০-এর দশকে ডুবে যাওয়া শহরে সামুদ্রিক প্রাণীদের ঘোরাঘুরির ছবি কল্পনা করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া প্ল্যানেট অফ দ্য এপস, ম্যাড ম্যাক্স, আকিরা এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডকুমেন্টারি আফটারম্যাথ: পপুলেশন জিরোর মতো চলচ্চিত্রগুলো আমাকে উৎসাহী করছে।

প্যারিসের আর্ক ডি ট্রায়মফ তলিয়ে যাবে সমুদ্রগর্ভে। ছবি: ফ্যাবিয়েন বারাউ

৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফটোগ্রাফি এবং ডিজাইনের ওপর কাজ করেছেন ফ্যাবিয়েন বারাউ। তিনি ব্র্যান্ড এবং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে ফটো রিটাউচার পদে কাজ করছেন। প্রায়ই তার চিত্রের মাধ্যমে পরিবেশবাদের অনুভূতি জাগায়৷

ভবিষ্যতের মেগাসিটিগুলো পরিণত হতে পারে জঙ্গলে। ছবি: ফ্যাবিয়েন বারাউ

বারাউ বলেন, ‘ল্যান্ডস্কেপ এবং আর্কিটেকচার ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। চমৎকার পরিবেশের ছবি তুলতে আমার অনেক দেশ ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আমি ক্রমবর্ধমানভাবে জীববৈচিত্র্য, ল্যান্ডস্কেপ এবং মানুষের ওপর এই জলবায়ু সংকটের বিধ্বংসী প্রভাব অনুভব করেছি।’

p
উপরে