× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Russia has repulsed an Israeli attack
google_news print-icon

সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত রাশিয়ার

সিরিয়ায়-ইসরায়েলি-হামলা-প্রতিহত-রাশিয়ার
রাশিয়ার এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি বিমান হামলা প্রতিহত করতে সিরিয়ায় থাকা রুশ সেনারা এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যদিও হামলার সময় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সিরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি বিমান বাহিনী দেশটির অভ্যন্তরে প্রায়ই হামলা চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলের অভিযোগ, সিরিয়ার অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে ইসরায়েল সীমান্তের কাছে চলে এসেছে ইরান। সিরিয়ার সেনারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বরাবরই ইসরায়েলি হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে।

এবার তাসনিম নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলা প্রতিহত করতে সিরিয়ায় থাকা রুশ সেনারা এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার সেনা মোতায়েনের পর এস-৩০০ দিয়ে এটিই ছিল ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার সরাসরি হস্তক্ষেপ।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর এফ-১৬এস যুদ্ধবিমান মাসিয়াফ ও বানিয়াস বন্দরের সিরিয়ার বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রের দিকে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। একটি ইসরায়েলি ড্রোনও এ সময় ভূপাতিত করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সিরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি। ৬টি বিমান ইসরায়েল সীমান্তের ভেতর থেকেই সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

রাশিয়া বলছে, ইসরায়েলি হামলায় ৩ জন সিরীয় সেনা ও ২ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। হামলায় গবেষণাকেন্দ্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ক্ষমা চেয়েছেন পুতিন: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
ইসরায়েলে হামলায় তিনজন নিহত
‘ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালাতে পারে ইরান’
অজানা জন্ডিসে আক্রান্ত ইসরায়েলের ১২ শিশু
ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত ৫ ফিলিস্তিনি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Pelosi blames Biden for Democrats loss

ডেমোক্র্যাটদের হারের জন্য বাইডেনকে দুষছেন পেলোসি

ডেমোক্র্যাটদের হারের জন্য বাইডেনকে দুষছেন পেলোসি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ছবি: এএফপি
ন্যান্সি পেলোসি বলেন, বাইডেন নির্বাচন থেকে আগেই সরে দাঁড়ালে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করতে পারত।

যুক্তরাষ্ট্রে ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির পরাজয়ের জন্য জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।

তিনি বলেছেন, বাইডেন নির্বাচন থেকে আগেই সরে দাঁড়ালে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করতে পারত।

নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পেলোসি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন নির্বাচন থেকে আগে সরে দাঁড়ালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আরও প্রার্থী থাকতে পারত।’

নিউ ইয়র্ক টাইমসের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসে পেলোসির সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ হয়।

এর আগে শনিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হতে কয়েক মাস ধরে নির্বাচনি প্রচার ও বিতর্ক চলে। বাইডেন পুনরায় নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পর ডেমোক্রেটিক পার্টি আর কোনো প্রার্থী বাছাই করেনি।

নির্বাচনের চার মাস আগে ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর বাইডেন সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

ওই সময় ডেমোক্রেটিক পার্টি তড়িঘড়ি করে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী মনোনীত করে।

পেলোসি নির্বাচনি প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর তড়িঘড়ি করে কমলা হ্যারসিকে প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন দেয়ায় বাইডেনের সমালোচনা করেন।

কমলা হ্যারিসের প্রশংসা করেন পেলোসি বলেন, ‘তিনি মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছেন।’

প্রার্থী বাছাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে কমলা জিততেন বলে মনে করেন পেলোসি।

তিনি বলেন, ‘হয়তো কমলা আরও বেশি শক্তিশালী হতেন। জনগণের কাছে যেতে পারতেন।’

আরও পড়ুন:
ফক্স নিউজের পূর্বাভাসে জয়ী ট্রাম্প 
নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়ায় জিতে কমলার জয়ের পথ সংকুচিত করলেন ট্রাম্প
ডিক্সভেল নচে মধ্যরাতে ভোট এবং ফল প্রকাশ
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটে ১৩৪ বিলিয়নেয়ারের প্রভাব দেখার অপেক্ষা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট শুরু 

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Israeli Defense Minister Gallant officially resigns 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গালান্টের আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গালান্টের আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ  ইসরায়েলের সদ্য সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউআভ গালান্ট। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
তিন দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গালান্টকে বরখাস্ত করেন। এ ঘটনার পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।  

আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউআভ গালান্ট।

তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ইসরায়েল কাৎজ।

তিন দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গালান্টকে বরখাস্ত করেন। এ ঘটনার পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।

ইসরায়েলের অনেকেই গালান্টকে কট্টর ডানপন্থি সরকারের মধ্যে একমাত্র মধ্যপন্থি কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচনা করেন। তার অপসারণকে গাজায় বন্দিদের উদ্ধারে নেতানিয়াহুর অনাগ্রহ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কাৎজ বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন এবং তিনি নেতানিয়াহুর দীর্ঘকালীন অনুগামী ও বর্ষীয়ান মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত।

এদিকে শুক্রবার ইসরায়েলের সামরিক দপ্তর গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য নতুন এইড ক্রসিং খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে এর সময় এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, ৩০০ ট্রাক মানবিক সহায়তা সামগ্রী সরবরাহ করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গাজা উপত্যকায় এসব সহায়তা পাঠানোর অনুমতি দেবে তারা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কম।

যুক্তরাষ্ট্র চায় প্রতিদিন ৩৫০টি ট্রাক সহায়তা গাজায় পাঠানো হোক।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ। সে সময় গাজার শাসক দল হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে। সে সময় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।

পরে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়ে ৪৩ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করে। নিহত ফিলিস্তিনিদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।

আরও পড়ুন:
হামাসের পরবর্তী নেতৃত্বে কে?
লেবাননে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহত বেড়ে ২৪৪৮
হামাস টিকে আছে এবং থাকবে: খামেনি
নেতানিয়াহুর বাসভবনে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা
গাজায় হামলায় হামাসের প্রধান সিনওয়ার নিহত: ইসরায়েল 

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Susie Wiles Trumps chief of staff at the White House

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ সুসি ওয়াইলস

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ সুসি ওয়াইলস হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: বাসস
হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সাধারণত প্রতিটি প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এটিই হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের দেয়া প্রথম নিয়োগ।

এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও টাইমস অফ ইসরায়েল।

হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সাধারণত প্রতিটি প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ওয়াইলস ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচার দলের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন এবং মঙ্গলবার নির্বাচনের দিন অনুষ্ঠিত রাতের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প সুসির প্রশংসা করেন।

ট্রাম্পের প্রচার দলের তথ্য অনুযায়ী, ওয়াইলস হবেন প্রথম নারী যিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

আরও পড়ুন:
আমেরিকার ইতিহাসে আগামী চার বছর সবচেয়ে ভাল সময় হবে: ট্রাম্প
ট্রাম্পকে বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন
নিজেকে জয়ী ঘোষণা ট্রাম্পের
ফক্স নিউজের পূর্বাভাসে জয়ী ট্রাম্প 
নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়ায় জিতে কমলার জয়ের পথ সংকুচিত করলেন ট্রাম্প

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Severe famine forecast in Rakhine

রাখাইনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস

রাখাইনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস রাখাইন শিগগিরই চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ছবি: ইউএনবি
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছে, একটি মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা পশ্চিম রাখাইনকে অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের কিনারায় ঠেলে দিয়েছে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও শক্তিশালী জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতে জর্জরিত রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল রাখাইন রাজ্য শিগগিরই চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা।

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছে, একটি মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা পশ্চিম রাখাইনকে অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের কিনারায় ঠেলে দিয়েছে।

মিয়ানমারের অন্য অংশ এবং প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে পণ্য প্রবাহে সীমাবদ্ধতা, বাসিন্দাদের আয়-রোজগারের অভাব, মুদ্রাস্ফীতির উচ্চ হার, খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য হ্রাস এবং প্রয়োজনীয় সেবা ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাবের মতো একাধিক পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত সমস্যার কথা বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

ইউএনডিপি জানায়, অত্যন্ত বিপন্ন এই জনসংখ্যা আসন্ন মাসগুলোতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারে।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার অনেক দিন ধরেই রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বাংলাদেশ থেকে আসা ‘বাঙালি’ হিসেবে দেখে আসছে। যদিও তাদের পরিবার অনেক প্রজন্ম ধরে দেশটিতে বসবাস করছে। ১৯৮২ সাল থেকে প্রায় সবাইকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের একটি গোষ্ঠীর ২০১৭ সালের আগস্টের হামলার পর সেনাবাহিনী নির্মম অভিযান শুরু করে তাদের বিরুদ্ধে। এতে অন্তত ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড ও হাজার হাজার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে গণতন্ত্রপন্থি গেরিলা ও বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গত নভেম্বরে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকার থেকে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আরাকান আর্মি রাখাইনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে এবং রাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

রাখাইন জাতিগত সংখ্যালঘু আন্দোলনের সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে পরিচিত এই আরাকান আর্মি সামরিক বাহিনীকে উৎখাতের চেষ্টা চালানো সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর জোটেরও সদস্য।

ইউএনডিপি তাদের ২০২৩ ও ২০২৪ সালের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে জানায়, রাখাইনের অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে গেছে, যেখানে বাণিজ্য, কৃষি ও নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো প্রায় স্থবির অবস্থায় রয়েছে।

ইউএনডিপি আরও জানায়, অবরোধের কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকায় মানুষের আয় কমে গেছে এবং একই কারণে কৃষি খাতের চাকরিও হ্রাস পাচ্ছে। এ ছাড়া সিমেন্ট আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক দাম বেড়েছে এবং চাকরির প্রধান কর্মস্থল হিসেবে পরিচিত নির্মাণশিল্পও অচল হয়ে পড়েছে।

‘রাখাইন: এক দুর্ভিক্ষের সূত্রপাত’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাখাইন শিগগিরই চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ রাখাইনের অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন তার চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ পূরণ করতে পারবে।’

আরও পড়ুন:
ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ৫ জেলেকে ফেরত আরাকান আর্মির
মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ফিরলেন ৮৫ বাংলাদেশি
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে ৩৮৪
বন্যা: মিয়ানমারে মৃত বেড়ে প্রায় ৩০০
মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Biden is ready to hand over power to Trump

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত বাইডেন

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি
বাইডেন বলেন, ‘শুধু বিজয়ী হয়েই দেশকে ভালবাসা যায়, তা নয়, পরাজিত হয়েও দেশকে ভালোবাসতে হবে। আর আমেরিকানরা তা পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে তার সরকার বদ্ধপরিকর।

ডনাল্ড ট্রাম্পের ঐতিহাসিক বিজয়ের দুই দিন পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘শুধু বিজয়ী হয়েই দেশকে ভালবাসা যায়, তা নয়, পরাজিত হয়েও দেশকে ভালোবাসতে হবে। আর আমেরিকানরা তা পারে।’

বাইডেনের কাছে ২০২০ সালে হেরে আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি ডনাল্ড ট্রাম্প। ২০২১ সালে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়েছিল রিপাবলিকান সমর্থকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন ওই হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বাইডেন বলেন, ট্রাম্পের কাছে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রস্তুত তার সরকার।

ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকদের দেশ গঠনে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন:
জন্মসূত্রে আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নয়
ট্রাম্পের রাজসিক প্রত্যাবর্তন, নেপথ্যে রয়েছে নানা কারণ
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতি মো, সাহাবুদ্দিনের অভিনন্দন
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অভিনন্দন
আমেরিকার ইতিহাসে আগামী চার বছর সবচেয়ে ভাল সময় হবে: ট্রাম্প

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
After Salman this time Shahrukh is threatened to kill

সালমানের পর এবার শাহরুখকে হত্যার হুমকি

সালমানের পর এবার শাহরুখকে হত্যার হুমকি
শাহরুখ খানকে মোবাইলে ফোন করে ৫০ লাখ রুপি দাবি করা হয়েছে। তা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে এক ব্যক্তি। এর আগে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে সালমান খানকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

বলিউডের ভাইজানখ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের পর এবার বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

শাহরুখ খানকে মোবাইলে ফোন করে ৫০ লাখ রুপি দাবি করা হয়েছে। তা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে এক ব্যক্তি।

মুম্বাই পুলিশ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে। এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ভারতের ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে যে ব্যক্তি ফোন করা ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ‘হিন্দুস্তানি’ বলে উল্লেখ করেন।

এদিকে যে মোবাইল নম্বর থেকে ফোনটি করা হয়েছিল সেটির মালিকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।

কল করা ওই ব্যক্তির নাম ফৈজান খান বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তবে তিনি দাবি করেন, ২ নভেম্বর তার ফোনটি চুরি হয়ে যায়।

গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ ফোনটি আসে, যেখানে মুক্তিপণ না দিলে বলিউড তারকার ক্ষতি করার হুমকি দেয়া হয়।

শাহরুখ খানকে এই প্রথম হুমকি দেয়া হলো বিষয়টি এমন নয়। গত বছরের অক্টোবরে তাকে একইভাবে হুমকি দেয়া হয়েছিল। এরপর কর্তৃপক্ষ তার সুরক্ষা ওয়াই-প্লাস স্তরে উন্নীত করে। এই স্তরের সুরক্ষার আওতায় তাকে ২৪ ঘণ্টা ছয়জন সশস্ত্র কর্মী সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সুরক্ষা সুবিধা পাওয়ার আগে তার দু’জন সশস্ত্র সুরক্ষা প্রহরী ছিল।

সম্প্রতি বলিউডের আরেক তারকা সালমান খানের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাহরুখ খানকে এই হুমকি দেয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে সালমানকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, তাকে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে। নয়তো কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ভিখারাম জালারাম বিষ্ণোই নামে ওই গ্যাংয়ের এক সদস্য এই হুমকি দেন বলে জানা গেছে। এই গ্যাংয়ের নেতা কর্ণাটকে এখনও আটক রয়েছেন।

৩০ অক্টোবর আরেকটি ঘটনায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সালমান খানের কাছে দুই কোটি রুপি চাঁদা দাবি করে সতর্ক করেছিল। বার বার এমন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সালমান খানের সুরক্ষাও জোরদার করা হয়। বিশেষ করে ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের পর আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা নেয়।

আরও পড়ুন:
এবার সালমানের গাড়িতে হামলার পরিকল্পনা!
ভালো আছেন শাহরুখ, ছেড়েছেন হাসপাতাল
শাহরুখ খান হাসপাতালে ভর্তি
সালমানের বাড়িতে গুলি, অভিযুক্ত তরুণের হাজতেই আত্মহত্যা
সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়া এসিল্যান্ডকে স্ট্যান্ড রিলিজ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
No longer a US citizen by birth

জন্মসূত্রে আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নয়

জন্মসূত্রে আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নয়
নির্বাচনি প্রচারকালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিন থেকেই জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে গ্রিনকার্ডের অপেক্ষায় থাকা অভিবাসীদের সন্তানরাও আগামী দিনে জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পে ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন এখন বিশ্বব্যাপী প্রধান আলোচ্য বিষয়। ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয়বারের মতো বসার পর কী কী পরিবর্তন ও সিদ্ধান্ত আসতে পারে তা নিয়েও চলছে আলোচনা। এক্ষেত্রে অভিবাসী ইস্যুটি অন্যতম।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার খবরটি অভিবাসী অনেক দম্পতিকে উদ্বেগে ফেলেছে। নির্বাচনি প্রচারকালে ট্রাম্পের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিন থেকেই জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে গ্রিনকার্ডের অপেক্ষায় থাকা অভিবাসীদের সন্তানরাও আগামী দিনে জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবে না।

অফিসিয়াল ট্রাম্প-ভ্যান্স প্রচারাভিযানের সাইটে পোস্ট করা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের একদিনের মধ্যেই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। শুধু অবৈধ অভিবাসীদের জন্যই এটি মাথাব্যথার কারণ তা নয়। বরং খসড়া নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ‘আমেরিকায় জন্মালেই কোনো শিশুকে আর নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। সন্তানের পিতা-মাতার মধ্যে অন্তত একজনকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে। অথবা থাকতে হবে গ্রিন কার্ড। তবেই তাদের সন্তানরা আগামী দিনে আমেরিকার নাগরিক হতে পারবে।’

ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি রাজীব এস খান্না টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘এটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট রায় রয়েছে।’

পদক্ষেপের বৈধতা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে অভিবাসন অ্যাটর্নি গ্রেগ সিসকিন্ড বলেন, ‘এটি অবশ্যই ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে আইনত দম্পতিদের সন্তানদের বাদ দিতে এতদূর যায় কিনা তা আমাদের দেখতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ সালের জনগণনা অনুযায়ী, দেশটিতে ৪৮ লাখ ভারতীয় বসবাস করে। তাদের মধ্যে ১৬ লাখেরই জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। ট্রাম্পের নয়া নীতি অনুযায়ী, তারা কেউই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নয়। কারণ তাদের পিতামাতা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন বা তাদের গ্রিনকার্ড নেই।

এইচ-বি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত অনেকেই কয়েক দশক ধরে ব্যাকলগে আটকা পড়েছেন। কর্মসংস্থানভিত্তিক গ্রিনকার্ডের জন্য বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা আছে এক লাখ ৪০ হাজার। অতিরিক্তভাবে কোনো দেশই কর্মসংস্থান বা পরিবারভিত্তিক বিভাগে মোট গ্রিন কার্ডের সাত শতাংশের বেশি পেতে পারে না।

এই নিষেধাজ্ঞা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কর্মসংস্থানভিত্তিক বিভাগে ভারতীয় আবেদনকারীদের ব্যাপারে প্রভাব ফেলতে পারে।

ক্যাটো ইনস্টিটিউটের অভিবাসন অধ্যয়নের পরিচালক ডেভিড জে বিয়ারের একটি সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, ভারত থেকে কর্মসংস্থানভিত্তিক গ্রিনকার্ড ব্যাকলগ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এক মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু এবং বার্ধক্যের মতো কারণ বিবেচনায় নিলেও (যাদেরকে এই ব্যাকলগ পরিসংখ্যান থেকে বাদ দেয়া যায়) গ্রিনকার্ডের জন্য কাউকে ৫৪ বছর থেকে ১৩৪ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই বিভাগে অপেক্ষারত প্রায় চার লাখ ১৪ হাজার ভারতীয় নাগরিক গ্রিনকার্ড পাওয়ার আগেই মারা যাবে। এছাড়া ভারতীয় পরিবারের লক্ষাধিক শিশুর নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম করে যাবে (২১ বছর বয়স) এবং তাদের ভিসা আর বৈধ থাকবে না। তারা গ্রিনকার্ডের সারি থেকে বাদ পড়ে যাবে।

সূত্র: ইকোনমিক টাইমস

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের রাজসিক প্রত্যাবর্তন, নেপথ্যে রয়েছে নানা কারণ
আমেরিকার ইতিহাসে আগামী চার বছর সবচেয়ে ভাল সময় হবে: ট্রাম্প

মন্তব্য

p
উপরে