যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের একটি সুপার মার্কেটে এক শ্বেতাঙ্গ যুবকের বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন ১০ জন। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে চালানো ওই হামলায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। হতাহতের অধিকাংশই কৃষ্ণাঙ্গ।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত বাফেলো শহরের একটি সুপার মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে আধা-সামরিক পোশাক পরা ১৮ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ যুবককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেলসহ আটক করা হয়েছে।
হতাহতদের মধ্যে রয়েছেন ১১ কৃষ্ণাঙ্গ ও দুই শ্বেতাঙ্গ। টপস ফ্রেন্ডলি মার্কেটের এই হামলার পেছনে বর্ণবিদ্বেষী ও সহিংস চরমপন্থী মনোভাবকে দুষছেন স্থানীয় প্রশাসন।
দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের বাফেলো ফিল্ড অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্পেশাল এজেন্ট স্টিফেন বেলঙ্গিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “এই গুলির ঘটনাকে ‘ঘৃণাজনিত অপরাধ এবং জাতিগতভাবে সহিংস চরমপন্থী মামলা’ হিসেবে তদন্ত করা হচ্ছে।’’
বাফেলোর পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া বলেন, ‘ওই সন্দেহভাজনের হামলায় ৯ ক্রেতা এবং সুপার মার্কেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
‘সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী ওই পুলিশকর্তা বন্দুকধারীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালিয়েছিলেন। তবে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনি নিহত হন।’
একটি দোকানের ভেতরে ওই নিরাপত্তারক্ষীর মুখোমুখি অবস্থানে এলে সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিজের গলায় বন্দুক তাক করেন। এ সময় পুলিশ তাকে অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন, পুলিশ কমিশনার যোগ করেন।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে বাফেলোর প্রায় ২০০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে কনক্লিন অঞ্চলের বাসিন্দা পেটন গেনড্রন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দুই কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এপিকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার অনুমতি দেয়া হয়নি এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা তা করেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ পিয়েরে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ঘটনা ও এর তদন্তের বিষয়ে নিয়মিত খবর নিচ্ছেন। এই ঘটনায় জো বাইডেন ফার্স্ট লেডিকে সঙ্গে নিয়ে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা ও তাদের প্রিয়জনদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে নিজ গায়ে আগুন দিয়েছেন এক যুবক।
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যে আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে, তার বাইরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন এক ব্যক্তি। আদালতের বাইরে স্থাপিত টেলিভিশন ক্যামেরায় ওই ব্যক্তিকে কয়েক মিনিট ধরে পুড়তে দেখা যায়।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি বেঁচে ফেরেন।
সম্পর্ক গোপন রাখতে পর্নো তারকাকে দেয়া ঘুষের মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচারিক কার্যক্রম চলছিল এ আদালতে। ওই ব্যক্তি যখন নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন, ট্রাম্প তখন ভেরতেই ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, তিনি ট্রাম্পকে লক্ষ্যবস্তু করে এমনটা করেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্যক্তি প্রথমে নিজের শরীরে তরল জ্বালানি ঢালেন, এর পর আগুন ধরিয়ে দেন সবার সামনেই।
ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মধ্যেই এ মামলায় ট্রাম্পের বিচার চলবে।
আরও পড়ুন:সিরিয়ায় কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবের প্রস্তুতির মধ্যে ইহুদি রাষ্ট্রটির মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরে যেতে’ বলেছে ইরান।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রধান প্রক্সি হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে শনিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি বলেন, ওয়াশিংটনকে পাঠানো এক লিখিত বার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফাঁদে না পড়তে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান।
তিনি আরও বলেন, লিখিত বার্তায় বলা হয়েছে, হামলার শিকার হতে না চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সরে যাওয়া।
জামশিদি আরও বলেন, চিঠির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না হানতে বলা হয়েছে ইরানকে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বার্তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি অথবা আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের যেকোনো হামলার ‘উল্লেখযোগ্য’ প্রতিক্রিয়ার জন্য উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার পাশাপাশি প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে দেশটির নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে ৪ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক সিটি এবং আশেপাশের এলাকায় ভবনগুলোও কেঁপে উঠেছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নিউ জার্সির হোয়াইট হাউস স্টেশন থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে ভূমিকম্পের আঘাত হানার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল।
ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা শুরুর প্রায় ছয় মাস পর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সত্যিকার অর্থে আলটিমেটাম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহুকে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি ও বিদেশি ত্রাণ সহায়তা কর্মীদের রক্ষা করতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। অন্যথায় উপত্যকার শাসক দল হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে সমর্থনের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন লাগাম টানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যার ইসরায়েলি সামরিক কৌশল পাল্টাতে যুক্তরাষ্ট্রের মাসের পর মাস আহ্বান এবং ইসরায়েলের হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাত খাদ্য সহায়তা কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত বার্তা দিলেন বাইডেন।
গত সোমবার বিমান হামলা চালিয়ে সাত খাদ্য সহায়তা কর্মীকে হত্যার পর সেটি ভুল ছিল বলে স্বীকার করে ইসরায়েল।
এদিকে বাইডেনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর কাছে ঠিক কোন ধরনের পদক্ষেপ চায় এবং সেসব পদক্ষেপ না নিলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা নিয়ে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়া ধীর করে দেয়া কিংবা জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দেয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আল জাজিরা শনিবার জানায়, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার লাগাম টানতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের চাপ বাড়ছে। এর মধ্যেও ইসরায়েলকে আরেক দফা বোমা ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
নতুন এ চালানে প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র যাবে ইসরায়েলে, যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমান ও বিমান থেকে ছোড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বোমা।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ার মধ্যেই অস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দিল ওয়াশিংটন।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরত থাকার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হঠাৎ বাতিল করেন নেতানিয়াহু। সেই বৈঠকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল অভিযানের পরিকল্পনার বিষয়ে পর্যালোচনার কথা ছিল।
গত প্রায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের দৃশ্যত বিরামহীন হামলায় বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে রাফাহতে। এ মানুষগুলোর নিরাপত্তার প্রশ্নে যেকোনো ধরনের হামলার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে সোমবার গভীর রাতে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসের ঘটনায় নিখোঁজ ছয় শ্রমিকের মধ্যে দুজনের দেহাবশেষ বুধবার ডুবুরিরা উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজের পিলারে বিশালাকার পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কার এক দিনের বেশি সময় পর প্যাটাপস্কো নদীর মোহনা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশের কর্নেল রোল্যান্ড বাটলার জানান, নদীর উপরিভাগ থেকে ২৫ ফুট নিচে ধসে যাওয়া সেতুর মাঝামাঝি অংশের কাছে লাল রঙের পিকআপে মরদেহটি দুটি পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ক্রমবর্ধমান শ্বাপদসংকুল পরিবেশের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদীর তলদেশে মরদেহ শনাক্ত ও উদ্ধারের কাজ স্থগিত করেছে।
বাটলারের ভাষ্য, তাদের হাতে আসা ছবিতে দেখা গেছে, পিকআপটির বাকি অংশ ধসে যাওয়া সেতুর ধ্বংসাবশেষে আটকে গেছে, যার ফলে ডুবুরিদের সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে গেছে।
উদ্ধার হওয়া দুই ব্যক্তির একজন বাল্টিমোরের বাসিন্দা আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫), যিনি মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। অপরজন বাল্টিমোরের ডানডক এলাকার বাসিন্দা ডরলিয়ান রনিয়াল কাস্তিলো (২৬), যিনি এসেছিলেন গুয়াতেমালা থেকে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসের ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন ছয় শ্রমিক, যারা নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানায়, সোমবার গভীর রাতে বিদ্যুৎবিহীন বিশাল কার্গো জাহাজটি সজোরে ধাক্কা দিলে বাল্টিমোর হারবারে ধসে পড়ে সেতুটি। এ দুর্ঘটনার ফলে বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড ও ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর অন্ধকারাচ্ছন্ন ও শ্বাপদসংকুল পরিবেশে উদ্ধার তৎপরতা স্থগিত করে ডুবুরি দল।
কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল শ্যানন গিলরিথ জানান, হিমশীতল পানি ও দুর্ঘটনার পর দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ায় নিখোঁজ শ্রমিকদের জীবিত পাওয়ার আশা ফুরিয়ে গেছে।
ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য পুলিশের কর্নেল রোল্যান্ড বাটলার জানান, নিখোঁজ শ্রমিকদের দেহাবশেষ উদ্ধারের আশায় স্থানীয় সময় বুধবার সূর্যোদয়ের পর ডুবুরিদল কাজ শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী ‘ডালি’ নামের জাহাজটি বাল্টিমোর হারবার থেকে শ্রীলঙ্কার দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে প্যাটাপস্কো নদীর মোহনায় ‘ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ’ নামের সেতুর একটি পিলারে ঢুকে পড়ে নৌযানটি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য