× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Anger over the role of western media in the murder of journalist Shirin
google_news print-icon

সাংবাদিক শিরিন হত্যায় পশ্চিমা মিডিয়ার ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ

আল জাজিরা
দীর্ঘ ২৫ বছর আল জাজিরার হয়ে কাজ করছেন শিরিন আবু আকলেহ। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে নিয়মিত তাকে দেখা যেত আল জাজিরা টেলিভিশনের পর্দায়। শিরিনের এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে শোকে কাতর ফিলিস্তিনবাসী। শিরিনের কর্মজীবনের প্রতি সম্মান জানানোর পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, অনেক মিডিয়া এই হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলকে না জড়ানোর বিষয়ে সতর্ক ছিল।

আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের হত্যার ঘটনায় পশ্চিমা মিডিয়ার কড়া সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ব্যবহারকারীরা বলছে, মিডিয়া আউটলেটগুলো শিরিন হত্যায় ইসরায়েলের ভূমিকা উপেক্ষা করেছে।

৫১ বছরের শিরিন ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সাংবাদিক, কাজ করতেন আল জাজিরার আরবি টেলিভিশনের হয়ে। বুধবার সকালে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত হন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি ইসরায়েলি সামরিক অভিযান কভার করার সময় গুলিবিদ্ধ হন শিরিন।

দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে নিয়মিত তাকে দেখা যেত আল জাজিরা টেলিভিশনের পর্দায়। শিরিনের এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে শোকে কাতর ফিলিস্তিনবাসী। শিরিনের কর্মজীবনের প্রতি সম্মান জানানোর পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, অনেক মিডিয়া এই হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলকে না জড়ানোর বিষয়ে সতর্ক ছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই বিষয়ে চটেছেন পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর। টুইটে একজন লেখেন, “ওদের গল্প ‘অবিশ্বাস্য”।

ইহুদি ভয়েস ফর পিস-এর রাজনৈতিক পরিচালক বেথ মিলার এ ঘটনায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি শিরোনামের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম ছিল, ‘৫১ বছর বয়সে মারা গেছেন’। সেখানে মৃত্যুর কারণ তারা উল্লেখ করেনি।

টুইটে মিলার লেখেন, ‘শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের রিপোর্ট করার সময় একজন ইসরায়েলি স্নাইপার শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করেছিল।

‘৫১ বছর বয়সে মারা যায়’। অবিশ্বাস্য, এনওয়াইটি।’

একই শিরোনাম উল্লেখ করে নিউ ইয়র্ক টাইমসের আইনি মানবাধিকার ও বেসরকারীকরণ প্রকল্পের সহপরিচালক বাসাম খাজা টুইটে লেখেন, ‘৫১ বছর বয়সে মৃত্যু’ বলা সত্যিই অদ্ভুত। যেখানে একজন সাংবাদিককে মাথায় গুলি করা হয়েছিল।

শিরিন হত্যার খবরে ভুল তথ্য দেয়ার বিষয়টি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছিল আল জাজিরা। পরে এনওয়াইটি সংশোধন করে খবরটি। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছিল, শিরিন ‘সংঘর্ষে’ নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি ‘আখ্যান’

সমালোচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসও (এপি)। এপির শিরোনাম ছিল, “আইকনিক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ ‘বন্দুকের গুলিতে নিহত হয়েছেন’। টুইটে এক ব্যবহারকারী লেখেন, এপির এ ধরনের আচরণ ‘অনৈতিক সাংবাদিকতা’।

“তিনি এলিয়েনদের (ভিনগ্রহের প্রাণী) হাতে খুন হননি। ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে খুন হয়েছেন। মৌলিক সত্য নিয়ে ‘বিকল্প তথ্য' প্রচারের জন্য প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।”

ফাতিমা সাইদ নামে এক ব্যবহারকারী অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) শব্দ চয়নের নিন্দা করেছেন। বলেছেন, এক বছর আগে গাজায় তাদের কার্যালয় বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী।

টুইটে তিনি লেখেন, “মৃত্যুতেও ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনো মর্যাদা বা ন্যায়বিচার নেই। ইসরায়েলের হাতে একজন প্রবীণ সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডকে এলোমেলো ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে বর্ণনা করেছে একটি মূলধারার সংবাদ আউটলেট।

“এটি সেই একই এপি যার অফিসগুলো গত বছর ইসরায়েলি বোমায় চ্যাপ্টা হয়েছিল।”

গাজা উপত্যকায় গত বছরের মে মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি টাওয়ার ধ্বংস হয়। এই টাওয়ারে আল জাজিরা এবং দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ব্যুরোসহ অনেক আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট এবং অফিস ছিল।

ইউক্রেন এবং ফিলিস্তিনের সংঘাতে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণে পশ্চিমা মিডিয়া আউটলেটগুলোর সমালোচনা করেছেন আমেরিকান সাংবাদিক কেভিন গোসজটোলা। তিনি বলেছেন, শিরিনের মৃত্যুর খবরটি আরও ভালো কভারেজের দাবি রাখত।

টুইটে তিনি লেখেন, ‘ইউক্রেনে যদি একজন সাংবাদিককে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া এটিকে একটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রতিবেদন করবে এবং ক্ষোভের সৃষ্টি করবে।

‘আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে ইসরায়েলি সেনারা হত্যা করেছে। এ খবরটি আরও ভালো কভারেজের দাবি রাখে।’

আল জাজিরাকে হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্ট স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক মার্ক ওয়েন জোনস বলেন, “ইসরায়েলের সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। শিরিনের মৃত্যুকে ঘিরে তারা ‘জল ঘোলা’ করার চেষ্টা করছে।”

জোনস বলেন, ‘ইসরায়েল এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় দারুণ অভ্যস্ত। তারা ফিলিস্তিনি নাগরিক বা সাংবাদিকদের হত্যা করে। সুতরাং তারা যা করেছে তার একটি বর্ণনা ইতোমধ্যেই রয়েছে। আর সেই বর্ণনাটি হলো শিরিনের হত্যার বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে।

‘আমরা জানি এটি অকল্পনীয়। তবে এই বর্ণনাটি খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ করা হয়েছিল। যদি তারা শিরিনের মৃত্যুর চারপাশে জল ঘোলা করতে পারে, তাহলে সম্ভবত তারা এটাও প্রচার করতে পারে যে ফিলিস্তিনিরাই শিরিনকে হত্যা করেছে এবং এতে তারা সফলও হয়েছে৷

‘বাস্তবে এটিই ঘটেছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক গার্ডিয়ান এবং বিবিসি ইতোমধ্যেই তাদের প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সংস্করণের ঘটনাগুলোকে গুরুত্বসহকারে প্রচার করে।’

আরও পড়ুন:
অজানা জন্ডিসে আক্রান্ত ইসরায়েলের ১২ শিশু
ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত ৫ ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলকে দেয়া মগে ‘চীনের আড়িপাতার যন্ত্র’
অবাধ স্বাধীনতা পেল ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী
ইসরায়েলে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২, আহত ৮

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Hizbollah attacks deep into Israel

ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর

ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর ইসরায়েলি হামলায় এক যোদ্ধা নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ইসরায়েলে হামলাটি চালানো হয় বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। ছবি: এএফপি
হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।

ইসরায়েলের একর শহরের উত্তরে দেশটির ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের এত ভেতরে এটিই হিজবুল্লাহর প্রথম হামলা।

হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।

ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির ভাষ্য, ইসরায়েলি হামলায় তাদের এক যোদ্ধা নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ইসরায়েলে হামলাটি চালানো হয়।

হামলার একটি ছবি প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ, যেটি দৃশ্যত স্যাটেলাইট চিত্র। এতে হামলাস্থল চিহ্নিত করা হয়েছে লাল দাগ দিয়ে।

হিজবুল্লাহর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের কোনো স্থাপনায় হিজবুল্লাহর হামলার বিষয়ে তথ্য নেই।

এর আগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের কাছে ‘আকাশপথে আসা দুটি লক্ষ্য’ প্রতিহত করা হয়েছে।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হানিনে আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হন।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান
ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা আহত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
14 Israeli soldiers injured in Hezbollah missile drone attack

হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা আহত

হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা আহত লেবানন সীমান্তবর্তী উত্তর ইসরায়েলের আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম আরব আল-আরামশেতে ইসরায়েলের নতুন একটি সামরিক পর্যবেক্ষণ কমান্ড সেন্টারে দূর নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। ছবি: রয়টার্স
হামলার দায় স্বীকার করে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর কয়েকজন সদস্য নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইহুদি রাষ্ট্রটিতে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ করা হয়েছে।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে দেশটির একটি সামরিক স্থাপনায় বুধবার হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

ওই হামলায় কমপক্ষে ১৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

হামলার দায় স্বীকার করে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর কয়েকজন সদস্য নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইহুদি রাষ্ট্রটিতে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ করা হয়েছে।

ইরান সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীটির ভাষ্য, লেবানন সীমান্তবর্তী উত্তর ইসরায়েলের আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম আরব আল-আরামশেতে ইসরায়েলের নতুন একটি সামরিক পর্যবেক্ষণ কমান্ড সেন্টারে দূর নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, গতকালের হামলায় তাদের ১৪ সেনা আহত হন, যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, পূর্ব লেবাননে ‘সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে’ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান।

দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর একজন ফিল্ড কমান্ডারসহ তিনজন নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

ওই সময় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাদের হামলায় হিজবুল্লাহর স্থানীয় দুই কমান্ডার ও অন্য একজন সদস্য নিহত হন।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করা হয়েছিল: ইরান
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ চায় না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হামলার পর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা ইরানের
ইসরায়েলে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করল ইরান
হরমুজ প্রণালিতে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজ জব্দ ইরানের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
25000 tons of explosives have been dropped on Gaza UN envoy

২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ছোড়া হয়েছে গাজায়: জাতিসংঘের দূত

২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ছোড়া হয়েছে গাজায়: জাতিসংঘের দূত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত বছরের ২৮ অক্টোবর ইসরায়েলের বিমান হামলার পর উড়তে থাকা ধোঁয়া। ছবি: আনাদোলু
জাতিসংঘের বিশেষ দূতের ভাষ্য, গাজায় হামলার শুরুর সপ্তাহে ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়’ ইসরায়েল দুই হাজার পাউন্ড বাঙ্কার বাস্টার বোমা ছোড়ে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ২৫ হাজার টন বিস্ফোরকদ্রব্য ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডগুলোর জন্য নিয়োজিত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সিসকা আলবানিজ।

তার ভাষ্য, এসব বিস্ফোরকের বেশির ভাগ ছোড়া হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে।

আল জাজিরা বৃহস্পতিবার জানায়, ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া হামলার প্রথম সপ্তাহে গড়ে ২৫০ জন নিহত হন বলে জানান আলবানিজ।

জাতিসংঘের বিশেষ দূতের ভাষ্য, গাজায় হামলার শুরুর সপ্তাহে ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়’ ইসরায়েল দুই হাজার পাউন্ড বাঙ্কার বাস্টার বোমা ছোড়ে।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জিপি হটভলির এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত কথাগুলো বলেন আলবানিজ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজকে হটভলি বলেন, ‘শুধু ভাবুন, জেরুজালেমের মতো কোনো শহরের মাঝখানে বিশাল একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়লে বিষয়গুলো কেমন ঠেকত।

‘শুধু ভাবুন, এটি লোকালয় এবং জনগণ ও শিশুদের ওপর আঘাত করছে।’

গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

জিপির দাবি, ইরানের হামলায় ক্ষতি হয়নি বললেই চলে।

আরও পড়ুন:
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না
ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত
ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস
ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করা হয়েছিল: ইরান

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Irans supreme leader calls for severing ties with Israel on Eid

ঈদের দিনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান ইরানের সর্বোচ্চ নেতার

ঈদের দিনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলি খামেনি। ছবি: আইআরএনএ
ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে এক্সে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেন খামেনি, যার একটিতে তিনি বলেন, এটা পরিতাপের যে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু দেশের সরকার গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। এ ধরনের অংশীদারত্ব সহায়তাকারী দেশগুলোর ধ্বংস ডেকে আনবে।

ফিলিস্তিনের গাজায় অসম যুদ্ধে লিপ্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে ‍মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলি খামেনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (একসময়ের টুইটার) বুধবার দেয়া পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন সৌদি আরব, ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা।

ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে এক্সে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেন খামেনি, যার একটিতে তিনি বলেন, এটা পরিতাপের যে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিছু দেশের সরকার গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। এ ধরনের অংশীদারত্ব সহায়তাকারী দেশগুলোর ধ্বংস ডেকে আনবে।

একটি পোস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে অন্তত সাময়িকভাবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানান আয়াতুল্লাহ।

আরেক পোস্টে তিনি বলেন, ‘জায়নবাদী (ইসরায়েল) সরকারের সঙ্গে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করা শুধু আমাদের প্রত্যাশার বিষয় নয়। এটি মুসলিম উম্মাহর প্রত্যাশা।

‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো গণভোট আয়োজন করলে প্রত্যেকে সন্দেহাতীতভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করার পক্ষে সরকারগুলোকে ভোট দেবেন।’

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলি হামলা অবরোধের মধ্যে নিরুত্তাপ ঈদ গাজায়
গাজায় যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত ইসরায়েল ও হামাসের
ইসরায়েলে নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ তুঙ্গে
জিম্মি মুক্তিতে হামাসকে চাপ দিতে মিসর ও কাতারকে বাইডেনের চিঠি
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস বা ক্ষতির শিকার গাজার ৬২% বাড়িঘর: জাতিসংঘ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Saudi king insists on stopping attacks on Palestinians in Eid message

ঈদের বার্তায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধে জোর সৌদি বাদশাহর

ঈদের বার্তায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধে জোর সৌদি বাদশাহর সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ। ছবি: সৌদি গেজেট
বার্তায় রমজান শেষ করতে পারায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন সৌদি বাদশাহ। একই সঙ্গে সবার রোজা ও ইবাদত কবুলের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন তিনি।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেয়া বার্তায় ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরায়েলি হামলা অবিলম্বে বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ জোর দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সৌদি গেজেট।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদবার্তায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিরাপদ মানবিক ও ত্রাণ করিডর স্থাপন, স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠাসহ ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য সব অধিকার অর্জনে সক্ষমতা তৈরির মাধ্যমে তাদের দুর্ভোগের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন পবিত্র দুই মসজিদের জিম্মাদার।

মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা। অন্য অনেক ভূখণ্ডের মতো ঈদ এসেছে ফিলিস্তিনের গাজাতেও, তবে ১৮০ দিনের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হামলায় থাকা অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে আনন্দের উপলক্ষ হয়ে আসেনি বিশেষ দিনটি।

বার্তায় রমজান শেষ করতে পারায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন সৌদি বাদশাহ। একই সঙ্গে সবার রোজা ও ইবাদত কবুলের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন তিনি।

বাদশাহ সালমান তার বার্তায় জাতীয় ঐক্য, পবিত্র দুই মসজিদের জিম্মাদারি এবং হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের স্বাগত জানানোর মতো অনেক নিয়ামত সৌদি আরবকে দেয়ায় আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক দিনে ৯ হাজার ৩২৪ মোটরসাইকেল পার
কখন কোথায় ঈদের জামাত
দেশের যেসব জায়গায় ঈদ হচ্ছে আজ
চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে আজ
ঈদযাত্রার শেষ দিনে চাপ নেই বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Eid in Gaza amid Israeli airstrikes and siege

ইসরায়েলি হামলা অবরোধের মধ্যে নিরুত্তাপ ঈদ গাজায়

ইসরায়েলি হামলা অবরোধের মধ্যে নিরুত্তাপ ঈদ গাজায় ঈদুল ফিতরের আগে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের সামনে বিক্রির জন্য বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে রাখেন ফিলিস্তিনের এক নারী। ছবি: এএফপি
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের দোকানি আহমেদ ইসমাইল আল জাজিরাকে বলেন, ‘কোনো আনন্দ নেই। পবিত্র উপলক্ষটি উদযাপনের কোনো ক্ষুধাও নেই।’

মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা। অন্য অনেক ভূখণ্ডের মতো ঈদ এসেছে ফিলিস্তিনের গাজাতেও, তবে ১৮০ দিনের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হামলায় থাকা অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে আনন্দের উপলক্ষ হয়ে আসেনি বিশেষ দিনটি।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজাবাসী নিজেদের মতো করে ঈদুল ফিতরের ঐতিহ্য চর্চার চেষ্টা করলেও যুদ্ধের ছায়া সর্বত্র, যা উদযাপনকে কঠিন করে তুলেছে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের দোকানি আহমেদ ইসমাইল আল জাজিরাকে বলেন, ‘কোনো আনন্দ নেই। পবিত্র উপলক্ষটি উদযাপনের কোনো ক্ষুধাও নেই।

‘এমনকি শিশুরাও খেলনার প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে, যেমনটা অতীতে ছিল। আমাদের জীবদ্দশায় সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছি।’

রাফাহর বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা জাবর হাসান বলেন, ‘আমরা সব দিক থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। লোকজন কোনো রকমে বেঁচে আছে।

‘তারা পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতে পারছে না বললেই চলে। আমরা ঈদ, উদযাপন কিংবা অন্য কোনো ধরনের আনন্দের কথা চিন্তা করতে পারছি না।’

ইসরায়েলে ঢুকে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সামরিকভাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রটি।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রাণ গেছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির, যাদের বড় অংশ নারী ও শিশু। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা এক হাজার ১৩৯।

বিরামহীন হামলার পাশাপাশি গাজায় বড় পরিসরে ত্রাণসামগ্রীও ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল, যা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলসহ অনেক অংশে দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তবে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ব্যাপক মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ এবং ইসরায়েলি অনেক সেনার প্রাণহানির পরও টেকসই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারেনি হামাস ও ইসরায়েল।

আরও পড়ুন:
গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় নেতানিয়াহুকে আলটিমেটাম বাইডেনের
ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৩ হাজার ছুঁইছুঁই
গাজায় বিমান হামলায় ৫ ত্রাণকর্মী নিহত
ইসরায়েল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে: হামাস

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
20 people were killed in clashes in Al Sanamain in Syria

সিরিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ২০

সিরিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ২০ সিরিয়ার দারা প্রদেশে রোববার সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।

সিরিয়ার দারা প্রদেশে রোববার সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। বিস্ফোরণে বেশ কিছু শিশু নিহত হওয়ার একদিন পর ঘটনাটি ঘটল।

‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ এ কথা জানিয়েছে। খবর বাসসের

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে শুরু হওয়া বিক্ষোভের মূল কেন্দ্র ছিল এ দারা প্রদেশ। সরকার ২০১৮ সালে প্রদেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তখন থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশটিতে অস্থিরতা চলছে।

সূত্র মতে, একটি সশস্ত্র গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী আহমাদ আল লাব্বাদের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ অভিযোগ করেছে, শনিবার সিরিয়ার আল সানামাইন জেলায় লাব্বাদের পুঁতে রাখা বিস্ফোরণে ৮ শিশু প্রাণ হারিয়েছে।

পূর্বে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করা লাব্বাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এদিকে রোববার প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গ্রুপটি সানামাইন শহরে প্রবেশের পর সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলাকারীরা লাব্বাদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং সেখানে বসবাসরতদের হত্যা করে।

পর্যবেক্ষক সংস্থাটি বলেছে, নিহত ২০ জনের মধ্যে তিনজন লাব্বাদের পরিবারের এবং ১৪ জন তার যোদ্ধা সিরিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যম তাৎক্ষণিকভাবে এ সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানায়নি।

দারায় প্রায়ই হামলা, সশস্ত্র সংঘর্ষ এবং হত্যার ঘটনা ঘটছে।

এদিকে সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।

আরও পড়ুন:
রকেটের জবাবে সিরিয়ায় গোলা ইসরায়েলের
তুরস্কে ফের ভূমিকম্প, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ধস
তুরস্কে সবশেষ ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ৬
তুরস্কে ধ্বংসস্তূপে ঘানার ফুটবলারের মরদেহ
ধ্বংসস্তূপে ১৮৭ ঘণ্টা, বেঁচেছিলেন প্রস্রাব খেয়ে

মন্তব্য

p
উপরে