ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র, তার স্বৈরশাসক বাবাই তার আলস্য নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। সেই মার্কোস এখন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
ডয়চে ভেলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এক অনানুষ্ঠানিক গণনার ফলাফলে দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করতে যাচ্ছেন মার্কোস।
১০ জন প্রার্থী ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও মার্কোসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লেনি রব্রিদোর থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন। মার্কোস পেয়েছেন ২ কোটি ১৭ লাখ ভোট এবং লেনি রব্রিদো পেয়েছেন ১ কোটি ৩ লাখ ভোট।
২০১৬ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে এই লেনি রব্রিদোর কাছেই হেরেছিলেন মার্কোস।
নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ ফিলিপাইনে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনি প্রচারণায় তিনি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব কমিয়ে আনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লেনি রব্রিদো, যিনি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার প্রতিশ্রুতি ছিল, দেশটির গণতন্ত্রের স্বার্থে আরও জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ সরকার প্রতিষ্ঠা করার।
ফিলিপিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আরিয়েস আরুগে আল জাজিরাকে বলেছিলেন, ‘এই নির্বাচন মূলত ভালো ও খারাপের প্রচারণা। এটি স্পষ্ট যে দুতার্তে ছিলেন রাজতান্ত্রিক, স্বৈরাচার ও দায়মুক্তির প্রতিনিধি, সেখানে রব্রিদো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এর বিপরীত: সততা, দায়বদ্ধতা ও গণতন্ত্র।’
কে এই ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র?
ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। যিনি ‘বংবং’ নামে পরিচিত। তার বাবা ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়র ফিলিপাইনের সাবেক স্বৈরশাসক। ১৯৮৬ সালে মার্কোস সিনিয়রকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
৬৪ বছর বয়সী মার্কোস পড়াশোনা করেছেন ইংল্যান্ডের সাক্সেসের প্রাইভেট ওর্থ স্কুলে। তার অফিশিয়াল বায়োগ্রাফিতে তিনি নিজেকে একজন অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট দাবি করলেও ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি নিশ্চিত করেছে, তিনি কেবল ১৯৭৮ সালে সোশ্যাল স্টাডিজে ডিপ্লোমা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি তার পড়াশোনা শেষ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, এই ডিপ্লোমা কখনই গ্র্যাজুয়েশনের ডিগ্রির সমতুল্য নয়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাবেক ফিলিপিনো ছাত্রদের সংগঠন অক্সফোর্ড ফিলিপিন্স সোসাইটিও জানিয়েছিল, মার্কোসের অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েশনের দাবি সত্য নয়। এমনকি সংগঠনটি একজন হেভিওয়েট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মিথ্যা দাবিতে উদ্বেগও জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের রব এলিমেন্টারি স্কুলে হামলা করার আগে নিজের দাদিকে গুলি করেন বন্দুকধারী। এরপর গাড়ি নিয়ে স্কুলের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুকধারীর দাদিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্কুলে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার পথে তল্লাশি চৌকিতে নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন তিনি। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হন।
বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিক্ষার্থীসহ বিদ্যালয়টির দুই শিক্ষক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
বন্দুকধারীর নাম সালভাদর রামোস। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অঙ্গরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর পাবলিক সেফটি এ তথ্য জানিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই বন্দুকধারী একাই হামলা চালিয়েছে। তবে হামলার কারণ এখনও জানা যায়নি।
টেক্সাসের উভালদে শহরের স্কুলটিতে বন্দুক হামলার ঘটনায় হতাহতদের পাশের উইলি ডি লিউন সিভিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেয়া বন্ধের পাশাপাশি এই ধরনের বন্দুক হামলার ঘটনা যাতে ফের না হতে পারে, সে বিষয়ে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ‘বন্দুকধারী গাড়ি নিয়ে ওই স্কুলে ঢুকেছিল। তার হাতে একটি পিস্তল আর গাড়িতে একটি সেমি অটোমেটেড রাইফেল ছিল, যা সে হত্যাযজ্ঞে ব্যবহার করে।’
অ্যাবোট বলেন, ‘সালভাদর রামোসের গুলিতে নিহত শিক্ষিকার নাম ইভা মিরেলেস। চতুর্থ শ্রেণির দায়িত্বে থাকা ৪৪ বছর বয়সী ইভা মিরেলেস শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন ১৭ বছর।
তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি স্কুলটিতে শুটিং প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
গুলিতে নিহত আরেক শিক্ষকের নাম ইরমা গারসিয়া। ৪৬ বছর বয়সী ইরমা ২৩ বছর ধরে স্কুলটিতে শিক্ষকতা করছেন। তার চার সন্তান রয়েছে।
নর্থ ডাকোটায় জন্ম নেয়া রামোস থাকত উভালদে শহরে। রব এলিমেন্টারি স্কুলে গুলি চালানোর সময় আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তার গুলিতে তিনি নিহত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বন্দুকের সহজপ্রাপ্যতাসহ বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। বার্তা সংস্থা সিএনএনের তথ্যমতে, দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালানো এই বন্দুক হামলাটি চলতি বছরের ৩০তম হামলা।
মঙ্গলবারের হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাদ দিলে চলতি বছরের ২৯টি বন্দুক হামলায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। আহত হন ৫১ জন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন ১৭ জন।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে কানেকটিকাটের একটি এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন ২৬ জন।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে রাজনৈতিক সংকট কাটছেই না। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খানের পিটিআইয়ের দলের কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার জেরে বুধবার পাঞ্জাবে পিটিআই ঘোষিত মুক্তির পদযাত্রায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে লাহোরের বাটি ও ভাট্টিচৌকে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের মিছিলে পুলিশের গুলি চালানোর ভিডিও ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের কারণে এ উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
এর আগে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান গতকাল তার সমর্থকদের সত্যিকার স্বাধীনতার জন্য ইসলামাবাদের দিকে পদযাত্রার আহ্বান জানিয়েছিলেন। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পদযাত্রার অনুমতি দেয়া হবে না। এর জবাবে ইমরান খান তরুণদের প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদে পুলিশের সঙ্গে পিটিআই কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কয়েকজন পিটিআই নেতাকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ইমরান খান পেশোয়ার ছেড়েছেন। খবরে বলা হয়েছে, পেশোয়ার থেকে হেলিকপ্টারে করে খাইবার পাখতুনে চলে গেছেন। তিনি খাইবার পাখতুনে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, খাইবার পাখতুনে ইমরান খানের সমর্থকরা তার হেলিকপ্টার ঘিরে রেখেছে। পরে পিটিআইয়ের টুইটার পেজে একটি ছবি টুইট করা হয়, যেখানে ইমরান খানকে গাড়ি থেকে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়তে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। রুশ সেনাদের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও লড়াইয়ে লক্ষ্যপূরণ ও সাফল্যের দাবি করেছে। তবে ইউক্রেনের সেনা সংখ্যা নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি এবার নতুন তথ্য দিয়েছেন।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর আগে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর পরিধির থেকে যুদ্ধের ৩ মাসে এসে তা ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের দরকার ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার সেনা। কিন্তু সে সময় যুদ্ধের জন্য সক্ষম সেনা ছিল মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার।'
জেলেনস্কি দাবি করেন, ২০২২-এর শুরুতেই তিনি সেনা সংখ্যা ১ লাখ বাড়ানোর আদেশ জারি করেন। আমাদের অর্থ থাক বা না থাক। যদিও এই সংখ্যাটাও রুশ সেনাদের অগ্রযাত্রা ঠেকানোর মতো যথেষ্ট ছিল না।
তিনি বলেন, এখন সংখ্যাটি ৭ লাখ। আর আপনি ৭ লাখ সেনার লড়াইয়ের ফলাফল পাচ্ছেন।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলার জন্য ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
এ সপ্তাহের শুরুতে নতুন একটি আইনের প্রস্তাবও ইউক্রেনের পার্লামেন্টে উঠেছে, যুদ্ধে সক্ষম ব্যক্তি যারা লড়াইতে অংশগ্রহণ করেনি। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে রুশ সেনা পাঠানো সম্ভবত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা এবং আমাদের সভ্যতা সম্ভবত টিকতে পারবে না। ইউক্রেনে সাম্প্রতিক রুশ সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে এমনটাই মন্তব্য করেছেন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত বিলিয়নেয়ার, ইনভেস্টর জর্জ সোরোস।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বক্তব্য দিতে গিয়ে জর্জ সরোস বলেন, যদি মস্কোকে দ্রুত ইউক্রেনে পরাজিত করা না যায়, তবে সভ্যতা বাঁচাতে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাকে পশ্চিমারা শনাক্ত করতে পারবে না।
এ ছাড়া রাশিয়া ও চীনে বর্তমান যে শাসন-পদ্ধতি রয়েছে এবং তাদের বৈশ্বিক কর্মকাণ্ডমুক্ত সমাজের জন্য হুমকি হিসেবে মনে করেন সরোস।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের বর্তমান লড়াই ও সংঘাতকে তিনি দেখছেন মুক্ত সমাজ ও বদ্ধসমাজের শাসন-পদ্ধতির দ্বন্দ্ব হিসেবে। তবে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, পরিস্থিতি আর আগের পর্যায়ে ফিরবে না।
জর্জ সরোস হলেন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত একজন হাঙ্গেরীয় বিলিয়নেয়ার। যিনি ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি একজন হলোকাস্ট সার্ভাইভার।
৯১ বছর বয়সী সরোস প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের মালিক। ‘ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের’ মাধ্যমে এ পর্যন্ত তিনি ৩২ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন। ফোর্বসের ম্যাগাজিনে তার বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘সবচেয়ে উদার দানশীল’।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধ চলতি বছরের শেষের দিকে থামতে পারে বলে মনে করছেন ইউক্রেনের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল কিরিলো বুদানভ।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন চ্যানেল স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যুদ্ধ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে, এ নিয়ে এই প্রথমবারের মতো কথা বললেন ইউক্রেনের কোনো কর্মকর্তা। অবশ্য রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে এখনও কোনো মন্তব্য আসেনি।
গোয়েন্দাপ্রধান কিরিলো বলেন, ‘আগামী আগস্টের মধ্যভাগে একটা পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাবে পরিস্থিতি। আর বছর শেষে যুদ্ধ হয়ে যাবে। অধিকাংশ অভিযানই এ বছরের শেষের দিকে শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষে আমরা আবার দোনবাস, ক্রিমিয়াসহ সব জায়গাতেই আমাদের ক্ষমতা ফিরে পাব।’
রাশিয়ায় পুতিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে জানিয়ে এই ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘রাশিয়া যুদ্ধে হেরে গেলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান হবে। এটি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তা কিরিলো বলেন, ‘পুতিন এখন মানসিক ও শারীরিকভাবে খুব খারাপ অবস্থায় আছেন। তার শরীর খুবই খারাপ।’
শিগগিরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয় পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইউক্রেন যখন যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে, তখন এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল জয়ের পরও যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে রাশিয়া।
পূর্বাঞ্চল দখলের চেষ্টারত রুশ বাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনীয়দের তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা এমন বার্তা দেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
যদি মস্কোকে দ্রুত ইউক্রেনে পরাজিত করা না যায় তবে সভ্যতা বাঁচাতে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাকে পশ্চিমারা শনাক্ত করতে পারবে না।
বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত দেশটির ৮০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশ ছেড়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় গুলির এ ঘটনা ঘটে। অঙ্গরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর পাবলিক সেফটি এ তথ্য জানিয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অস্ত্র লবির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বাইডেন বলেন, অস্ত্র লবির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখনই সময়। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন টুইটে তার হৃদয় ভঙ্গের কথা বলেছেন।
টেক্সাসের ঘটনায় টুইট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তিনি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘চিন্তা ও প্রার্থনা যথেষ্ট নয়।
‘বছরের পর বছর কিছুই না করে আমরা হয়ে উঠছি যন্ত্রণাময় আর্তনাদকারী জাতি। আমাদের বাচ্চাদের হত্যা করা বন্দুক সহিংসতার অভিশাপ বন্ধ করতে ইচ্ছুক এমন একজন ব্যবস্থাপক যুক্তরাষ্ট্রে দরকার।‘
এদিকে টেক্সাস হামলাকারী বন্দুকধারী সালভাদর রামোস নামের ১৮ বছর বয়সী তরুণ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই বন্দুকধারী একাই হামলা চালিয়েছেন। তবে হামলার কারণ এখনও জানা যায়নি।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের উভালদে শহরের রোব এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় হতাহতদের পাশের উইলি ডি লিউন সিভিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট মঙ্গলবার বিকেলে নিশ্চিত করেছেন যে উভালদের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৪ শিশু শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক নিহত হয়েছেন। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ১৯ শিশু এবং ২ শিক্ষক।
অ্যাবোট বলেন, ‘বন্দুকধারী গাড়ি নিয়ে ওই স্কুলে ঢুকেছিলেন। তার হাতে একটি পিস্তল আর গাড়িতে একটি সেমি অটোমেটেড রাইফেল ছিল, যা তিনি হত্যাযজ্ঞে ব্যবহার করেন।’
অ্যাবোট বলেন, ‘১৮ বছর বয়সী বন্দুকধারী সালভাদর রামোসের গুলিতে নিহত শিক্ষিকার নাম ইভা মিরেলেস। চতুর্থ শ্রেণির দায়িত্বে থাকা ইভা মিরেলেস শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন ১৭ বছর।
তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি স্কুলটিতে শ্যুটিং প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
নর্থ ডাকোটায় জন্ম নেয়া রামোস থাকতেন উভালদে শহরে। রোব এলিমেন্টারি স্কুলে গুলি চালানোর সময় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তার গুলিতে তিনি নিহত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্কুলে হত্যাযজ্ঞ চালাতে যাওয়ার আগে রামোস বাড়িতে তার দাদিকে গুলি করে হত্যা করেন।
স্কুলে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার পথে তল্লাশি চৌকিতে নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন তিনি। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হন।
হামলার আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে তার বন্দুকের ছবি পোস্ট করেছিলেন। এবং বন্দুক হামলার কিছুক্ষণ আগে পরিচিত একটি মেয়েকে তিনি বার্তা পাঠিয়েছিলেন যাতে তার হামলার পরিকল্পনা অস্পষ্টভাবে অনুমান করা যায়।
বন্দুকের সহজপ্রাপ্যতাসহ বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। বার্তা সংস্থা সিএনএনের তথ্য মতে, দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালানো এই বন্দুক হামলাটি চলতি বছরের ৩০তম হামলা।
মঙ্গলবারের হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাদ দিলে চলতি বছরের ২৯টি বন্দুক হামলায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। আহত হয় ৫১ জন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয় ১৭ জন।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে কানেকটিকাটের একটি এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয় ২৬ জন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় গুলির এ ঘটনা ঘটে। অঙ্গরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর পাবলিক সেফটি এ তথ্য জানিয়েছে।
বন্দুকধারী সালভাদর রামোস নামের ১৮ বছর বয়সী তরুণ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই বন্দুকধারী একাই হামলা চালিয়েছেন। তবে হামলার কারণ এখনও জানা যায়নি।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের উভালদে শহরের রোব এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় হতাহতদের পাশের উইলি ডি লিউন সিভিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের পক্ষের লবি বন্ধের পাশাপাশি এই ধরনের বন্দুক হামলার ঘটনা যাতে ফের না হতে পারে, সে বিষয়ে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট মঙ্গলবার বিকেলে নিশ্চিত করেছেন যে উভালদের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৪ শিশু শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক নিহত হয়েছেন। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ১৯ শিশু এবং ২ শিক্ষক।
অ্যাবোট বলেন, ‘বন্দুকধারী গাড়ি নিয়ে ওই স্কুলে ঢুকেছিলেন। তার হাতে একটি পিস্তল আর গাড়িতে একটি সেমি অটোমেটেড রাইফেল ছিল, যা তিনি হত্যাযজ্ঞে ব্যবহার করেন।’
অ্যাবোট বলেন, ‘১৮ বছর বয়সী বন্দুকধারী সালভাদর রামোসের গুলিতে নিহত শিক্ষিকার নাম ইভা মিরেলেস। চতুর্থ শ্রেণির দায়িত্বে থাকা ইভা মিরেলেস শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন ১৭ বছর।
তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি স্কুলটিতে শ্যুটিং প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
নর্থ ডাকোটায় জন্ম নেয়া রামোস থাকতেন উভালদে শহরে। রোব এলিমেন্টারি স্কুলে গুলি চালানোর সময় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তার গুলিতে তিনি নিহত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্কুলে হত্যাযজ্ঞ চালাতে যাওয়ার আগে রামোস বাড়িতে তার দাদিকে গুলি করে হত্যা করেন।
স্কুলে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার পথে তল্লাশি চৌকিতে নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন তিনি। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হন।
হামলার আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে তার বন্দুকের ছবি পোস্ট করেছিলেন। এবং বন্দুক হামলার কিছুক্ষণ আগে পরিচিত একটি মেয়েকে তিনি বার্তা পাঠিয়েছিলেন যাতে তার হামলার পরিকল্পনা অস্পষ্টভাবে অনুমান করা যায়।
বন্দুকের সহজপ্রাপ্যতাসহ বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। বার্তা সংস্থা সিএনএনের তথ্য মতে, দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালানো এই বন্দুক হামলাটি চলতি বছরের ৩০তম হামলা।
মঙ্গলবারের হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাদ দিলে চলতি বছরের ২৯টি বন্দুক হামলায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। আহত হয় ৫১ জন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয় ১৭ জন।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে কানেকটিকাটের একটি এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয় ২৬ জন।
আরও পড়ুন:চীনের উত্তর-পশ্চিমের প্রদেশ শিনকিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের কিছু ছবি ও তথ্য ফাঁস হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের শিনকিয়াং সফরের সময় ছবিগুলো হ্যাক হয়েছিল। ছবিগুলোতে চীন সরকারের ‘কারাবন্দি কর্মসূচির’ চিত্র প্রকাশ্যে আসে।
এই ছবিগুলো হাতে পেয়েছে বিবিসি। এতে তথাকথিত ‘পুনঃশিক্ষা’ শিবিরসহ উইঘুরদের গণআটকের প্রমাণ আবারও স্পষ্ট হলো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাক করা ফাইলগুলোতে পুলিশের তোলা পাঁচ হাজারের বেশি উইঘুরের ছবি আছে। তাদের মধ্যে দুই হাজারের বেশি বন্দি সশস্ত্র রক্ষীর কড়া পাহারায় আছেন।
উইঘুরদের বেশির ভাগই মুসলিম। চীনের উত্তর-পশ্চিমের শিনকিয়াং অঞ্চলে অন্তত এক কোটি উইঘুর সম্প্রদায়ের লোক বাস করে।
আত্মপরিচয়ের বেলায় তারা নিজেদের সাংস্কৃতিক ও জাতিগতভাবে মধ্য এশিয়ার লোকজনের কাছাকাছি বলে মনে করেন। তাদের ভাষা তুর্কির কাছাকাছি।
গত কয়েক দশকে চীনের সংখ্যাগুরু হান জাতি সেই অঞ্চলে বাস করতে শুরু করে। এতে উইঘুর সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
তিব্বতের মতো শিনকিয়াং কাগজে কলমে স্বায়ত্তশাসিত এলাকা হলেও, বেইজিং-এর বাইরেও তারা নিজেদের মতো করে অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এই দুই এলাকা চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
চীন সরকারের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ আছে। যদিও এসব প্রত্যাখ্যান করতে দেরি করে না বেইজিং।
তথ্যগুলো প্রকাশের পর বিষয়টি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক কথা বলেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে। আলাপে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ছবিগুলোতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আটক দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যের বয়স ১৫ বছর; সবচেয়ে বয়স্ক নারী ৭৩ বছর বয়সী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকজনকে মুসলিম হওয়ার কারণে এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সফরের কারণে আটক করা হয়েছে।
Detainee photos and ‘shoot-to-kill’ policy revealed in China hackhttps://t.co/JTnXjiPuuI
— BBC News (World) (@BBCWorld) May 24, 2022
“১০ হাজারের বেশি ছবি ও তথ্য হাতে পেয়েছে বিবিসি। সেই সঙ্গে চীনের শীর্ষ নেতাদের ‘বিশেষ বক্তব্য’, পুলিশের ব্যক্তিগত তথ্য এবং তাদের প্রতি নির্দেশনামূলক ডকুমেন্ট রয়েছে।”
বিবিসি আরও জানিয়েছে, শিনকিয়াংয়ের পুলিশের সার্ভার থেকে ২০১৮ সাল থেকে সংরক্ষণ করা ফাইলগুলো হ্যাক হয়েছিল। এগুলো চীন সরকারের বরখাস্ত কর্মকর্তা অ্যাড্রিয়ান জেনজের তত্ত্বাবধানে ছিল।
পুলিশের প্রতি নির্দেশনায় বলা আছে, আটক ব্যক্তিদের কেউ হাতকড়া বা শিকলসহ পালানোর চেষ্টা করলে সরাসরি ‘গুলি করে হত্যা’ করতে পারবে রক্ষীরা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য