হেরোইনের মূল উপাদান পপি ফুল বা আফিম। এই ফুল চাষের জন্য ব্যাপক পরিচিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান।
দীর্ঘ দুই দশক পর আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আবারও এসেছে তালেবান। বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে তারা গত মাসে পপি চাষে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে কতটা কার্যকর হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা?
এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজ। তাদের একটি দল চষে বেড়িয়েছে পপি চাষের মূল কেন্দ্র হেলমান্দ এবং কান্দাহার অঞ্চলে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হেলমান্দ প্রদেশে পপি এবং আফিম সম্পর্কিত তথ্য নিতে তালেবানের স্পষ্ট নিষেধ আছে। তাই তালেবানের চোখ এড়িয়ে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনে নেমে পড়েন ভাইসের অনুসন্ধানী দল।
হেলমান্দের প্রত্যন্ত শহর মুসা কালা। সেখানকার ব্যস্ত একটি মার্কেটে প্লাস্টিক ব্যাগে প্রকাশ্যেই বেচা হচ্ছে আফিম, অনেকটা শাকসবজি বিক্রির মতো। অন্যপাশে চলছে ফসল কাটার কাজ।
কিছুদিন আগেও তালেবানের শক্ত ঘাঁটি ছিল এই মুসা কালা শহর। আফগানিস্তানের অন্যসব গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মতো এখানে আমেরিকাবিরোধী মনোভাব প্রবল। এই অঞ্চলে বাড়ির বাইরে নারীর দেখা মেলা ভার।
আফিম ব্যবসা এই অঞ্চলে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এমন না যে কোনো মাফিয়া চক্র এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণ বাসিন্দারাই এই ব্যবসায় জড়িত। এদের অনেকে সচ্ছল, অনেকে আবার দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছেন। যুবক, বৃদ্ধ এমনকি তালেবান… সবাই বেচছে আফিম।
মুসা কালার কাছে ঘান্দেই গ্রামের বাসিন্দা ইজবুল্লাহ। ২৮ বছরের ইজবুল্লাহ একটি পপিক্ষেতের মালিক। দিন শেষে শ্রমিকদের দেখতে এসেছেন তিনি।
ভাইসকে ইজবুল্লাহ বলেন, ‘এখানে এমন কোনো পরিবার নেই, যার অন্তত একজন সদস্য পপি ক্ষেতে কাজ করছেন না।
‘নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার কয়েক দিন পর তালেবানরা বাড়ি বাড়ি এসে আমাদের জানায়, আপাতত ফসল কাটুন। তবে পরবর্তীতে এসব বন্ধ করতে হবে।’
মসজিদ এবং বাজারেও ফলাও করে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রচার করে তালেবান। তবে আফিমসহ অন্যসব মাদকের বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট নয়।
নুর আহমদ নামে এক পপিচাষি বলেন, ‘তারা (তালেবান) যদি পপি চাষ নিষিদ্ধ করে, তাহলে আমাদের কাছে অর্থ উপার্জন এবং পরিবারকে খাওয়ানোর অন্য কোনো উপায় থাকবে না।’
সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করে কাজে নেমে পড়েন নুর আহমদ। তার দৈনিক মজুরদের মধ্যে আছে স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররাও; অল্প কিছু অর্থের জন্য মরিয়া তারা।
আফগানিস্তানের অর্থনীতি ভয়াবহ বিপর্যস্ত। চলছে দুর্ভিক্ষ। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বলছে, ২ কোটি ২৮ লাখ (আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক) তীব্র খাদ্যসংকটে আছে।
স্থানীয়রা বলছে, পপি চাষে নিষেধাজ্ঞার প্রধান কারণ যুব সমাজ। তাদের বাঁচাতেই এই নিষেধাজ্ঞা। অন্য কারণটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেটি হলো বিদেশিদের খুশি করা।
পার্শ্ববর্তী কাজকি জেলায় ৪৪ বছরের এক পপিচাষি ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজকে জানায়, ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালেবান। তারা জনগণের কথা ভাবেনি।’
এর আগেও পপি চাষে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তালেবান, সেটা ২০০০ সালে। তবে তা কার্যকর ছিল কেবল এক মৌসুমে। নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর নিয়ে কৃষকরা সন্দিহান।
৪৪ বছরের এক পপিচাষি বলেন, ‘এটি এক বছর স্থায়ী হতে পারে। তবে আমি নিশ্চিত এটি সমস্যা সৃষ্টি করবে। নিষেধাজ্ঞার ফলে কৃষক এবং তালেবানদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।’
গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নেয়ার আগেও পপি চাষে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু চাষিরা পুলিশকে ঘুষ দিয়ে চালিয়ে যেতেন চাষাবাদ।
এখন প্রশ্ন হলো, এতসব সতর্কতা ও জনসংযোগের মধ্যেও নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কতটা আন্তরিক তালেবানরা? কারণ পপি চাষ ছাড়া কৃষক ও ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হবে খোদ তালেবানরাও।
আফগানিস্তানের জিডিপির ১১ শতাংশ আসে আফিম থেকে। অনেকেই মনে করছেন, পশ্চিমাদের বাহবা পেতে এই আয় হারানোর ঝুঁকি নিচ্ছে তালেবানরা।
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় বিপাকে আছেন কৃষকরা। তারা কাজ হারানোর পথে। আফিম চাষে অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন। এই চাষ বন্ধ হলে জমির মালিকরা অন্য ফসল চাষে ঝুঁকবেন। অনেক কৃষক কাজ হারাবেন। তাদের বাড়ি বা জমি থাকবে না।
আজরাত মোহাম্মদ নামে এক আফিমচাষি বলেন, আমি আবার রোপণের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু তালেবানের নিষেধাজ্ঞার পর আমার ভাই আমাকে এ কাজে বাধা দেয়। কারণ ওদের শাস্তি ভয়াবহ।
আফগানিস্তানে পপি চাষের সময় পরিবর্তন হয়। উত্তর হেলমান্দের কাজকিতে পপি চাষের উপযুক্ত সময় এখনই। কিন্তু নিষেধাজ্ঞায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা খুব গরিব। ছোট ছোট বাচ্চা আছে। আশা করি আবার পপি চাষ করতে পারব।’
ধারণা করা হচ্ছে, পপি চাষ বন্ধে জমির মালিক কিংবা বড় ব্যবসায়ীদের সরাসরি টার্গেট করতে পারে তালেবান। এতে পরিস্থিতি বড় সংঘাতে গড়াতে পারে।
কাজাকি জেলার তালেবান ডেপুটি গভর্নর মৌলভি নুরুল হক বলেন, ‘আমি একটি পপি ক্ষেতের মালিক। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর চাষ বন্ধ করে দিয়েছি।
‘সরকার পপির রাজস্ব প্রতিস্থাপনের জন্য বিকল্প ফসল এবং অন্যান্য সংকট সমাধানের ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে।’
আফগানিস্তানের দক্ষিণজুড়ে সূত্রগুলো বলছে, টম্যাটো, গম, চাল, তুলা, বাদাম, শসা, ভুট্টা এবং এমনকি জাফরান চাষ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অনেকে আবার পোল্ট্রিসহ অন্যান্য ব্যবসার কথা ভাবছেন।
নুরুল হক বলেন, ‘এগুলো সংকট সমাধানের পথ হতে পারে। তবে বাস্তবায়ন নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে।’
ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজ আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে কৃষকরা তাদের শাসকদের সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন।
তালেবানরা একটি সূক্ষ্ম পথে চলছে
কাজকি জেলার দেহ বাবা বাজারের রাস্তায় পশ্চিমা সাংবাদিক নিরাপদ নয়। তাই ভাইস নিউজ আফিম বিক্রেতাদের সঙ্গে গোপন এক জায়গায় দেখা করেন। সেখানে সবজির আড়ালে এবং মাটির দেয়ালের পেছনে আফিম লুকিয়ে রাখা আছে।
কাজাকির একজন প্রধান আফিম ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয় ভাইসের। তিনি এই এলাকার আফিম ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। একটি অন্ধকার ঘরে তাকে বসে থাকতে দেখা গেছে আফিম বিক্রির অপেক্ষায়।
ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘তালেবান সরকার যদি আমাদের বিকল্প না দেয়, তাহলে হয়তো জনগণ বিদ্রোহ করবে, যুদ্ধ করবে। কিন্তু যদি যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জানে তবে তারা আমাদের অনেক অর্থ দেবে।’
স্থানীয় তালেবান নেতারা পিক-আপ ট্রাকে চেপে লাউডস্পিকারে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে তারা কাজাকির আফিম ব্যবসায়ীদের বিরক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, তালেবান স্থানীয়দের আফিম ব্যবসার অনুমতি দিলেও, কখনও কখনও তরুণ ডিলারদের গ্রেপ্তার করে তারা। এসব ডিলার হেলমান্দের দক্ষিণে মরুভূমি হয়ে পাকিস্তান সীমান্তের বরমচা বাজার থেকে আফিম নিয়ে আসেন।
গ্রেপ্তারের হুমকি সত্ত্বেও ডিলাররা চেকপোস্টসহ প্রধান সড়ক এড়িয়ে সীমান্তে আফিম আনতে থাকে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বিকল্প রুট ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখা প্রায় অসম্ভব।
আফিম প্রক্রিয়াকরণ ল্যাবগুলোও বন্ধ করে দিচ্ছে তালেবান। নিষেধাজ্ঞার পর মুসা কালা জেলার ২০টি ল্যাবের মধ্যে ১৮টিই বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা।
এতসবের পরও অনেকে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। হেলমান্দ নদীর তীর ঘেঁষে একটি পরিত্যক্ত বাগানে ল্যাব চালু রেখেছেন ৩০ বছরের এক ব্যবসায়ী। ভাইসকে তিনি জানান, ল্যাবে আফিমকে পেস্ট করা হচ্ছে। এতে পরিবহনের সময় ঝুঁকি কমে আসে।
রাতে কথা হয় মুসা কালার কাছের আরেকটি গ্রামের এক তালেবান নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে; যিনি একটি পপি ক্ষেতের মালিক।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রতিটি পরিবারের একটি পা তালেবানের মধ্যে, অন্যটি আফিম ব্যবসায়। হেলমান্দের অনেক অংশে বিশেষ করে মুসা কালায় প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন সদস্য আফিম বা পোস্ত ব্যবসায় জড়িত। অন্যজন তালেবানের হয়ে লড়াই করছেন।’
আফিম ব্যবসায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত তালেবান
গত শুক্রবার ঈদের ছুটির আগে এক বার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা পপি চাষের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুনরাবৃত্তি করেন। তবে এখন যেসব জমিতে পপি চাষ হচ্ছে, এসবের কী হবে তা স্পষ্ট করেননি তালেবানপ্রধান।
ওই বার্তায় আফগান জনগণ বিশেষ করে কৃষকদের বিকল্প জীবিকা ও চাষাবাদের সন্ধান করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন আখুনজাদা।
অতীতেও এমন আহ্বান এসেছিল তালেবানের পক্ষ থেকে। তবে বিকল্প ফসল চাষে তেমন আগ্রহ দেখায়নি আফগানরা। এ ছাড়া নতুন ফসল চাষে অর্থায়ন করতে পর্যাপ্ত তহবিলও নেই তালেবানের হাতে। তারা বিদেশি টাকা আসার বিষয়ে বাজি ধরছে।
ইনডিপেনডেন্ট কনসালটেন্ট ডেভিড ম্যানসফিল্ড দুই দশক ধরে আফগানিস্তানের অর্থনীতি এবং গ্রামীণ জীবিকা নিয়ে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আফিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অলৌকিক ফসলের অনুসন্ধান বেশ কঠিন। গত ২০ বছরের প্রমাণগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আফিম থেকে সরানোর জন্য কৃষকদের উন্নত নিরাপত্তা, শাসন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাকতালীয় অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।
অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, তালেবান কেবল বিদেশি আর্থিক সাহায্য টানার জন্য নিষেধাজ্ঞা ব্যবহার করছে।
এ প্রসঙ্গে ম্যানসফিল্ড বলেন, ‘সমালোচকরা এই নিষেধাজ্ঞাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য চাপ সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখতে পারে। তবে তালেবানকে অর্থায়ন করা পশ্চিমাদের ভুল সিদ্ধান্ত হবে।
‘আফগানিস্তানে এর আগে অনেকবার এমনটা করা হয়েছে। তবে এটি কখনই ভালোভাবে শেষ হয় না। মাদক ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞার জন্য ‘তাড়াহুড়ো বা চাপ প্রয়োগ করা উচিত না। নতুন সরকার এমন একটি কৌশল বেছে নিয়েছে যা জনগণকে আরও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে।’
রাজধানীর কুখ্যাত চাঁদাবাজ লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ছিনতাই ও অপহরণের মামলা ছিল।
বুধবার (২৮ মে) রাত ১০টার দিকে পুরানো পল্টনের নিউ বন্ধু হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিল এলাকায় ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, অপহরণ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিল লিটন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর এসব কার্যক্রম আরও বেড়ে যায়।
পুরানা পল্টন এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগে ভুক্তভোগীরা একাধিকবার সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন। এরপর সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো লিটনের গতিবিধি নজরদারিতে রাখে।
বুধবার রাতে নিউ বন্ধু হোটেলের পাশের একটি ভবনে থাকা লিটনের ব্যক্তিগত অফিসে অভিযান চালানো হয়। হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হোটেল কক্ষ, অফিস ও তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মোবাইল ফোন, নগদ ২ লাখ টাকা ও ১ হাজার ১০০ ডলার উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
সেনাবাহিনীর মেজর শাকিব সাংবাদিকদের জানান, লিটনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গণহত্যার বিচার আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
উপদেষ্টা আজ তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, ‘বিচার শুরু হচ্ছে শিগগির। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করার দাবি আছে সমাজে। এটি দৃশ্যমান করা হয়েছিল আট মাস আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়েই।
এরপর তদন্তকারী অফিস ও প্রসিকিউশন অফিস পুনর্গঠন করা হয়েছে। তদন্তকারী দল কয়েকটি মামলার তদন্ত শেষ করেছে। প্রসিকিউশন টিম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে একটি মামলার ফরমাল চার্জ গঠন করেছে। গতকাল রোববার এটি ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়ার পর তা আমলে নেয়া হয়েছে।’
উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ট্রাইব্যুনাল ফরমাল চার্জ আমলে নেওয়ার মাধ্যমে একটি বিচার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। সেটি গতকাল থেকে শুরু হয়ে গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান আসামি হিসেবে শেখ হাসিনার মামলার বিচারের শুনানি পর্ব শুরু হচ্ছে অচিরেই। ইনশাল্লাহ্, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এই বিচারের রায় পেয়ে যাবো আমরা। গণহত্যার বিচার, আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।’
স্ত্রী-কন্যাসহ আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নামে থাকা মোট নয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। এসব হিসাবে মোট ১ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৯৬ টাকা রয়েছে।
বুধবার (২১ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক আদালতে হিসাব অবরোধের আবেদন করেন।
অবরুদ্ধ হওয়া হিসাবে মো. আব্দুর রাজ্জাকের নিজ নামে থাকা চারটি ব্যাংকে হিসাবে, ৪২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা, তার স্ত্রী শিরিন আকতার বানুর চারটি ব্যাংক হিসাবে ৬৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৫ টাকা ও তার মেয়ে ফারজানা আক্তার তন্দ্রার হিসাবে ২৮ লাখ টাকা রয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডার ও মনোনয়ন বাণিজ্য, নিয়োগে দুর্নীতি, সরকারি জমি দখল, এসিআই ও আদম ব্যবসায়ী নূর আলীর মাধ্যমে শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে।
এতে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানকালে রাজ্জাক ও তার স্ত্রী-মেয়ের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এই সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তদন্তের স্বার্থে এসব হিসাব অবরুদ্ধ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
নারী নির্যাতনের একটি মামলায় সঙ্গীতশিল্পী মামলায় মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার তালিবুর রহমান এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডেমরার স্টাফ রোড এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় নারী নির্যাতনে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে ডেমরা পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান ইউএনবিকে জানান, ‘ইসরাত জাহান প্রিয়া নামে ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর সাথে রুবেলের টেলিফোনে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে প্রায় সাত মাস আগে রুবেল প্রিয়াকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কীর্তন করে টেমরা থানার অধীন আমতলা নামক স্থানে একটি ফ্লাট বাসায় রাখে। বিগত সাত মাসে প্রিয়ার সাথে সম্পর্ক করে এবং পরিবারের কারও সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি।’
সম্প্রতি প্রিয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যেটা দেখে প্রিয়ার বাবা-মা ডেমরা থানা যোগাযোগ করেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাত দশটায় আমতলার বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রিয়াকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু রুবেল সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে প্রিয়া ডেমরা থানা এসে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেমরার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। রুবেল তখন একটি গাড়ি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
বাংলাদেশের গায়ক হলেও নোবেল খ্যাতি অর্জন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জি বাংলা চ্যানেলের গানবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’ থেকে। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় জিততে না পারলেও তৃতীয় হন নোবেল, আর নিজের সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে খুব সহজেই দুই দেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি।
এরপর থেকে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলেও এই আলোচিত গায়কের সুখ্যাতি নিমেষেই নষ্ট হয়ে যায় তার ব্যক্তিগত জীবন সবার সামনে আসার পর। স্ত্রীকে মারধর, মাদক সেবন, মদের ঘোরে ভাঙচুর, টাকা নিয়ে শো করতে না যাওয়া—এমন নানা অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ হন নোবেল।
২০১৯ সালে মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। পরবর্তীতে খ্যাতির মধ্যে থাকা অবস্থায় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিক্ততা শুরু হয় স্ত্রীর সঙ্গে, যার শেষ পরিণতি হয় বিচ্ছেদ।
২০২৩ এর নভেম্বরে অন্যের স্ত্রী ফারজানা আরশির সাথে অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করে নোবেল সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন তিনি আবারও বিয়ে করেছেন। পরবর্তীতে ফারজানা আরশি পুলিশের কাছে গায়কের নামে অভিযোগ দায়ের করে জানান যে নোবেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি, জোর করে গোপালগঞ্জের বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এরপরে মাদক খাইয়ে ওই অন্তরঙ্গ ছবিগুলো তোলা হয়েছিলো।
ব্যক্তিগত জীবনের বাইরেও একই বছর শরীয়তপুরের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে অর্থ নিয়েও না যাওয়ায় ঢাকার মতিঝিল থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালে বেশ কিছু মাস রিহ্যাবে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পর নোবেল সম্প্রতি আবারও গানের জগতে ফিরে এসেছিলেন এবং বেশ কিছু নতুন গানের কাজ করছিলেন।
নাশকতার পরিকল্পনা ও সামাজিকমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া সৈনিক নাঈমুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীকে রাজধানীর খিলক্ষেতের বটতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং বিভিন্ন সামরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নাঈমুল ইসলামকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনুষঙ্গিক আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কতিপয় বরখাস্ত বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যকে সঙ্গে নিয়ে নাঈমুল বিভিন্ন গণমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়াসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা করে আসছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আগামীকাল রোববার (১৮ মে) ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশপথে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত বিভিন্ন উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, এ ধরনের শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল আজ বেলা দুইটার দিকে খিলক্ষেতের বটতলা বাজার এলাকায় নাঈমুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। এ সময় নাঈমুল তার কিছু সহযোগীকে নিয়ে উপস্থিত এক সেনাসদস্যের ওপর দেশি অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প থেকে একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাঈমুল ও তাঁর দুই সহযোগীকে আটক করে।
রাজধানীতে 'লও ঠেলা' নামের একটি কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় ৯ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুর থানার রায়ের বাজারের মেকাপ খান রোডে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গ্রেফপ্তাররা হলেন— মো. জোবায়ের ওরফে যুবরাজ (২২), মো. হাসান (১৯), মো. রায়হান (২৭), মো. ওয়াসিম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন রাজু (৩২), মো. নুরুল আমিন (১৮), মো. কামাল হোসেন (২২), মো. শাহিন (২৮) ও মো. মেহেদী হাসান (২৫)।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি চাপাতি ও চারটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার মেকআপ খান রোডে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জব্দ করা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুর থানা এলাকাসহ আশেপাশের এলাকায় ছিনতাইসহ ত্রাস সৃষ্টি করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা নিশ্চিত করতে নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সঙ্গে জনসাধারণের যোগাযোগের জন্য হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আপডেটেড নম্বরসমূহে যোগাযোগ করুনঃ
১। গাজীপুর, কোনাবাড়ী, পূবাইল, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গি, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, কাশিমপুর, শ্রীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও এবং গজারিয়া।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, খ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০, গ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
২। ডেমরা, ওয়ারী, রমনা, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, শাহজাহানপুর, কোতোয়ালী, বংশাল, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর এবং কদমতলী।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯২৪২৮, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৩। সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, হেমায়েতপুর, বাইপাইল, দোহার, গাজীপুর, মৌচাক এবং মানিকগঞ্জ।
যোগাযোগের নম্বরসমূহ
ক। ০১৭৬৯-০৯৫২০৯, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৪। ফরিদপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯৩৫০৯, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৫। বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, দক্ষিন খান, উত্তরখান, উত্তরা পূর্ব।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৬, খ। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৯, গ। ০১৭৬৯-০২৫৮৬৫,
ঘ। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৭।
৬। মিরপুর মডেল থানা, মিরপুর-২, ৬, ৭, ১০, দুয়ারীপাড়া, রুপনগর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মনিপুর।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৫০৭১০, খ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৩, গ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৫,
ঘ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৬।
৭। উত্তরা তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৮২৮৩৬, খ। ০১৩১৮-৩৭১৫৫৪, গ। ০১৩১৮-৩৭১৫৫৫।
৮। দারুসসালাম থানা এবং শাহআলী থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৩৩৭০০,খ। ০১৭৬৯-০৩৩৭০২, গ। ০১৭৬৯-০৩৩৭০৪।
৯। গুলশান, বনানী, ভাটারা এবং বাড্ডা থানা
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০৫০২৮৩, খ। ০১৭৬৯০১১৫৫৯।
১০। খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা
যোগাযোগের নম্বরঃ
ক। ০১৭৬৯০৫৩১৪৪।
১১। রামপুরা, সবুজবাগ এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা
যোগাযোগের নম্বরঃ
ক। ০১৭৬৯০৫৩১৬৮।
১২। ক্যান্টনমেন্ট, কাফরুল, ভাসানটেক।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৫১৮২৫, খ। ০১৭৬৯-০১৯০৭৩, গ। ০১৭৬৯-০১৩২৩৬।
১৩। হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান এবং নিউমার্কেট থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৮৯৭৯১৪৮৬২, খ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৩, গ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৪,
ঘ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৫, ঙ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, চ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৪। শের-ই-বাংলা নগর, আদাবর এবং মোহাম্মদপুর থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৮১৫৭৯৫৯৫১, খ। ০১৭৬৯০৫৯৮৮৮, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৫। তেজগাঁও থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০১৯৪০৯, খ। ০১৭৬৯০১৯৪১৫, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৬। লালবাগ, চকবাজার এবং কামরাঙ্গীরচর থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০১৩৪৩৯, খ। ০১৬১৯৮৩২০৬৯, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।
মন্তব্য