হেরোইনের মূল উপাদান পপি ফুল বা আফিম। এই ফুল চাষের জন্য ব্যাপক পরিচিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান।
দীর্ঘ দুই দশক পর আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আবারও এসেছে তালেবান। বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে তারা গত মাসে পপি চাষে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে কতটা কার্যকর হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা?
এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজ। তাদের একটি দল চষে বেড়িয়েছে পপি চাষের মূল কেন্দ্র হেলমান্দ এবং কান্দাহার অঞ্চলে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হেলমান্দ প্রদেশে পপি এবং আফিম সম্পর্কিত তথ্য নিতে তালেবানের স্পষ্ট নিষেধ আছে। তাই তালেবানের চোখ এড়িয়ে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনে নেমে পড়েন ভাইসের অনুসন্ধানী দল।
হেলমান্দের প্রত্যন্ত শহর মুসা কালা। সেখানকার ব্যস্ত একটি মার্কেটে প্লাস্টিক ব্যাগে প্রকাশ্যেই বেচা হচ্ছে আফিম, অনেকটা শাকসবজি বিক্রির মতো। অন্যপাশে চলছে ফসল কাটার কাজ।
কিছুদিন আগেও তালেবানের শক্ত ঘাঁটি ছিল এই মুসা কালা শহর। আফগানিস্তানের অন্যসব গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মতো এখানে আমেরিকাবিরোধী মনোভাব প্রবল। এই অঞ্চলে বাড়ির বাইরে নারীর দেখা মেলা ভার।
আফিম ব্যবসা এই অঞ্চলে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এমন না যে কোনো মাফিয়া চক্র এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণ বাসিন্দারাই এই ব্যবসায় জড়িত। এদের অনেকে সচ্ছল, অনেকে আবার দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছেন। যুবক, বৃদ্ধ এমনকি তালেবান… সবাই বেচছে আফিম।
মুসা কালার কাছে ঘান্দেই গ্রামের বাসিন্দা ইজবুল্লাহ। ২৮ বছরের ইজবুল্লাহ একটি পপিক্ষেতের মালিক। দিন শেষে শ্রমিকদের দেখতে এসেছেন তিনি।
ভাইসকে ইজবুল্লাহ বলেন, ‘এখানে এমন কোনো পরিবার নেই, যার অন্তত একজন সদস্য পপি ক্ষেতে কাজ করছেন না।
‘নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার কয়েক দিন পর তালেবানরা বাড়ি বাড়ি এসে আমাদের জানায়, আপাতত ফসল কাটুন। তবে পরবর্তীতে এসব বন্ধ করতে হবে।’
মসজিদ এবং বাজারেও ফলাও করে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রচার করে তালেবান। তবে আফিমসহ অন্যসব মাদকের বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট নয়।
নুর আহমদ নামে এক পপিচাষি বলেন, ‘তারা (তালেবান) যদি পপি চাষ নিষিদ্ধ করে, তাহলে আমাদের কাছে অর্থ উপার্জন এবং পরিবারকে খাওয়ানোর অন্য কোনো উপায় থাকবে না।’
সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করে কাজে নেমে পড়েন নুর আহমদ। তার দৈনিক মজুরদের মধ্যে আছে স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররাও; অল্প কিছু অর্থের জন্য মরিয়া তারা।
আফগানিস্তানের অর্থনীতি ভয়াবহ বিপর্যস্ত। চলছে দুর্ভিক্ষ। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বলছে, ২ কোটি ২৮ লাখ (আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক) তীব্র খাদ্যসংকটে আছে।
স্থানীয়রা বলছে, পপি চাষে নিষেধাজ্ঞার প্রধান কারণ যুব সমাজ। তাদের বাঁচাতেই এই নিষেধাজ্ঞা। অন্য কারণটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেটি হলো বিদেশিদের খুশি করা।
পার্শ্ববর্তী কাজকি জেলায় ৪৪ বছরের এক পপিচাষি ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজকে জানায়, ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালেবান। তারা জনগণের কথা ভাবেনি।’
এর আগেও পপি চাষে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তালেবান, সেটা ২০০০ সালে। তবে তা কার্যকর ছিল কেবল এক মৌসুমে। নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর নিয়ে কৃষকরা সন্দিহান।
৪৪ বছরের এক পপিচাষি বলেন, ‘এটি এক বছর স্থায়ী হতে পারে। তবে আমি নিশ্চিত এটি সমস্যা সৃষ্টি করবে। নিষেধাজ্ঞার ফলে কৃষক এবং তালেবানদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।’
গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নেয়ার আগেও পপি চাষে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু চাষিরা পুলিশকে ঘুষ দিয়ে চালিয়ে যেতেন চাষাবাদ।
এখন প্রশ্ন হলো, এতসব সতর্কতা ও জনসংযোগের মধ্যেও নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কতটা আন্তরিক তালেবানরা? কারণ পপি চাষ ছাড়া কৃষক ও ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হবে খোদ তালেবানরাও।
আফগানিস্তানের জিডিপির ১১ শতাংশ আসে আফিম থেকে। অনেকেই মনে করছেন, পশ্চিমাদের বাহবা পেতে এই আয় হারানোর ঝুঁকি নিচ্ছে তালেবানরা।
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় বিপাকে আছেন কৃষকরা। তারা কাজ হারানোর পথে। আফিম চাষে অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন। এই চাষ বন্ধ হলে জমির মালিকরা অন্য ফসল চাষে ঝুঁকবেন। অনেক কৃষক কাজ হারাবেন। তাদের বাড়ি বা জমি থাকবে না।
আজরাত মোহাম্মদ নামে এক আফিমচাষি বলেন, আমি আবার রোপণের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু তালেবানের নিষেধাজ্ঞার পর আমার ভাই আমাকে এ কাজে বাধা দেয়। কারণ ওদের শাস্তি ভয়াবহ।
আফগানিস্তানে পপি চাষের সময় পরিবর্তন হয়। উত্তর হেলমান্দের কাজকিতে পপি চাষের উপযুক্ত সময় এখনই। কিন্তু নিষেধাজ্ঞায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা খুব গরিব। ছোট ছোট বাচ্চা আছে। আশা করি আবার পপি চাষ করতে পারব।’
ধারণা করা হচ্ছে, পপি চাষ বন্ধে জমির মালিক কিংবা বড় ব্যবসায়ীদের সরাসরি টার্গেট করতে পারে তালেবান। এতে পরিস্থিতি বড় সংঘাতে গড়াতে পারে।
কাজাকি জেলার তালেবান ডেপুটি গভর্নর মৌলভি নুরুল হক বলেন, ‘আমি একটি পপি ক্ষেতের মালিক। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর চাষ বন্ধ করে দিয়েছি।
‘সরকার পপির রাজস্ব প্রতিস্থাপনের জন্য বিকল্প ফসল এবং অন্যান্য সংকট সমাধানের ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে।’
আফগানিস্তানের দক্ষিণজুড়ে সূত্রগুলো বলছে, টম্যাটো, গম, চাল, তুলা, বাদাম, শসা, ভুট্টা এবং এমনকি জাফরান চাষ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অনেকে আবার পোল্ট্রিসহ অন্যান্য ব্যবসার কথা ভাবছেন।
নুরুল হক বলেন, ‘এগুলো সংকট সমাধানের পথ হতে পারে। তবে বাস্তবায়ন নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে।’
ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজ আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে কৃষকরা তাদের শাসকদের সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন।
তালেবানরা একটি সূক্ষ্ম পথে চলছে
কাজকি জেলার দেহ বাবা বাজারের রাস্তায় পশ্চিমা সাংবাদিক নিরাপদ নয়। তাই ভাইস নিউজ আফিম বিক্রেতাদের সঙ্গে গোপন এক জায়গায় দেখা করেন। সেখানে সবজির আড়ালে এবং মাটির দেয়ালের পেছনে আফিম লুকিয়ে রাখা আছে।
কাজাকির একজন প্রধান আফিম ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয় ভাইসের। তিনি এই এলাকার আফিম ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। একটি অন্ধকার ঘরে তাকে বসে থাকতে দেখা গেছে আফিম বিক্রির অপেক্ষায়।
ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘তালেবান সরকার যদি আমাদের বিকল্প না দেয়, তাহলে হয়তো জনগণ বিদ্রোহ করবে, যুদ্ধ করবে। কিন্তু যদি যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জানে তবে তারা আমাদের অনেক অর্থ দেবে।’
স্থানীয় তালেবান নেতারা পিক-আপ ট্রাকে চেপে লাউডস্পিকারে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে তারা কাজাকির আফিম ব্যবসায়ীদের বিরক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, তালেবান স্থানীয়দের আফিম ব্যবসার অনুমতি দিলেও, কখনও কখনও তরুণ ডিলারদের গ্রেপ্তার করে তারা। এসব ডিলার হেলমান্দের দক্ষিণে মরুভূমি হয়ে পাকিস্তান সীমান্তের বরমচা বাজার থেকে আফিম নিয়ে আসেন।
গ্রেপ্তারের হুমকি সত্ত্বেও ডিলাররা চেকপোস্টসহ প্রধান সড়ক এড়িয়ে সীমান্তে আফিম আনতে থাকে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বিকল্প রুট ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখা প্রায় অসম্ভব।
আফিম প্রক্রিয়াকরণ ল্যাবগুলোও বন্ধ করে দিচ্ছে তালেবান। নিষেধাজ্ঞার পর মুসা কালা জেলার ২০টি ল্যাবের মধ্যে ১৮টিই বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা।
এতসবের পরও অনেকে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। হেলমান্দ নদীর তীর ঘেঁষে একটি পরিত্যক্ত বাগানে ল্যাব চালু রেখেছেন ৩০ বছরের এক ব্যবসায়ী। ভাইসকে তিনি জানান, ল্যাবে আফিমকে পেস্ট করা হচ্ছে। এতে পরিবহনের সময় ঝুঁকি কমে আসে।
রাতে কথা হয় মুসা কালার কাছের আরেকটি গ্রামের এক তালেবান নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে; যিনি একটি পপি ক্ষেতের মালিক।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রতিটি পরিবারের একটি পা তালেবানের মধ্যে, অন্যটি আফিম ব্যবসায়। হেলমান্দের অনেক অংশে বিশেষ করে মুসা কালায় প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন সদস্য আফিম বা পোস্ত ব্যবসায় জড়িত। অন্যজন তালেবানের হয়ে লড়াই করছেন।’
আফিম ব্যবসায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত তালেবান
গত শুক্রবার ঈদের ছুটির আগে এক বার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা পপি চাষের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুনরাবৃত্তি করেন। তবে এখন যেসব জমিতে পপি চাষ হচ্ছে, এসবের কী হবে তা স্পষ্ট করেননি তালেবানপ্রধান।
ওই বার্তায় আফগান জনগণ বিশেষ করে কৃষকদের বিকল্প জীবিকা ও চাষাবাদের সন্ধান করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন আখুনজাদা।
অতীতেও এমন আহ্বান এসেছিল তালেবানের পক্ষ থেকে। তবে বিকল্প ফসল চাষে তেমন আগ্রহ দেখায়নি আফগানরা। এ ছাড়া নতুন ফসল চাষে অর্থায়ন করতে পর্যাপ্ত তহবিলও নেই তালেবানের হাতে। তারা বিদেশি টাকা আসার বিষয়ে বাজি ধরছে।
ইনডিপেনডেন্ট কনসালটেন্ট ডেভিড ম্যানসফিল্ড দুই দশক ধরে আফগানিস্তানের অর্থনীতি এবং গ্রামীণ জীবিকা নিয়ে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আফিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অলৌকিক ফসলের অনুসন্ধান বেশ কঠিন। গত ২০ বছরের প্রমাণগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আফিম থেকে সরানোর জন্য কৃষকদের উন্নত নিরাপত্তা, শাসন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাকতালীয় অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।
অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, তালেবান কেবল বিদেশি আর্থিক সাহায্য টানার জন্য নিষেধাজ্ঞা ব্যবহার করছে।
এ প্রসঙ্গে ম্যানসফিল্ড বলেন, ‘সমালোচকরা এই নিষেধাজ্ঞাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য চাপ সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখতে পারে। তবে তালেবানকে অর্থায়ন করা পশ্চিমাদের ভুল সিদ্ধান্ত হবে।
‘আফগানিস্তানে এর আগে অনেকবার এমনটা করা হয়েছে। তবে এটি কখনই ভালোভাবে শেষ হয় না। মাদক ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞার জন্য ‘তাড়াহুড়ো বা চাপ প্রয়োগ করা উচিত না। নতুন সরকার এমন একটি কৌশল বেছে নিয়েছে যা জনগণকে আরও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে।’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের বেধড়ক পিটিয়েছে সংগঠনটির কয়েকজন সদস্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন জানান, তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈশাখী টিভির সাংবাদিক লিয়ন মীর জানান, শপথ গ্রহণ শেষে চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন এক রিপোর্টার। এসময় অভিনেতা শিবা শানু ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন তিনি।
কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে শিবা শানুকে থামাতে চান। এরপর শিল্পী সমিতির আরেক নেতা চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। শুরু হয় সাংবাদিক ও শিল্পীদের মধ্যে তুমুল মারামারি। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রক্তাক্ত আহত হন কয়েকজন সাংবাদিক। মারামারিতে যোগ দেন আলেকজান্ডার বোসহ কয়েকজন জুনিয়রও।
মিঠুন আল মামুন ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘আমি একজন শিল্পীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। এ সময় খল অভিনেতা শিবা শানু আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে কেন সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। এরপরই তিনি আমার ওপর হামলা চালান।
‘এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক এগিয়ে এলে জয় চৌধুরী অশ্লীল গালি দিয়ে জুনিয়র শিল্পীদের নির্দেশ দেন সাংবাদিকদের ওপর চালানোর। জয় ও শিবা শানুর নেতৃত্বেই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে।’
এ ঘটনার পরপরই এফডিসিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএফডিসির খোলা প্রাঙ্গণে এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় সভাপতি মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু মিশাকে শপথ পাঠ করান।
ঝিনাইদহ জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন ভোরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক রোকনুজ্জামান মিলন। আনসারের জেলা কমান্ড্যান্ট সোহাগ হোসেন ও মহেশপুর উপজেলা টিআই হুসাইনসহ আনসার সদস্যরা তাকে মারধর করে একটি ঘরে আটকে রাখেন। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করেন।
সংবাদকর্মীরা জানান, ৮ মে অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আনসার অফিসে নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সদস্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সেই খবর সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক রোকনুজ্জামান মিলন সেখানে গেলে তার সঙ্গে অসদাচরণ করেন জেলা কমান্ড্যান্ট সোহাগ। এক পর্যায়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে ঝিনাইদহে কর্মরত সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা।
ভুক্তভোগী রোকনুজ্জামান মিলন বলেন, ‘আমি সংবাদ সংগ্রহের জন্য ওই অফিসের বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। জেলা কমান্ড্যান্ট সোহাগ হোসেন এক নারীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিলেন। আমি এগিয়ে গেলে আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন সোহাগ।
‘আমি সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে অন্য আসনার সদস্যরা আমাকে টেনে-হিঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে কিল-ঘুষি মারেন। আমাকে সেখানে এক ঘণ্টা আটকে রাখার পর মোবাইল ফোন ফেরত দেয়া হয়। পরে মোবাইলে সহকর্মীদের ফোন করলে তারা এসে আমাকে উদ্ধার করেন। আমি ওই কর্মকর্তাসহ ঘটনায় জড়িত অন্যদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেলা কমান্ড্যান্ট সোহাগ হোসেন বলেন, ‘যেভাবে বলা হচ্ছে তেমন কিছু ঘটেনি। সে প্রথমে পরিচয় না দেয়ায় তাকে রুমের মধ্যে বসিয়ে রেখেছিলাম। তাকে মারধর বা লাঞ্ছিত করা হয়নি।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।
উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল তেঁতুলতলা সীমান্তে সোমবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিল্লাল হোসেন (২৮) রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিল্লাল হোসেন ভারত থেকে অবৈধ পথে চিনি ও অন্য পণ্য ওঠা-নামার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার রাত ৮টার দিকে তেঁতুলতলা সীমান্ত দিয়ে আসা চিনি নামানোর সময় বিএসএফের সদস্যরা গুলি করে তাকে। তার শরীরে ৩০টির মতো ছররা (ছোট গুলি) গুলি লাগে।
পরে বিল্লালকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। গুলিতে তার চোখ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন জানান, গুলিতে আহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। সীমান্তের ঘটনা সম্পর্কে বিজিবি বলতে পারবে।
বিজিবির সংকুচাইল বিওপির কামান্ডার ফারুক কামাল জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন:পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) বিপুল পরিমাণ টাকাসহ দুই উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া পুলিশ আসার খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যান ঠিকাদার রাজীব ও কনকসহ কয়েকজন। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তার কাছ থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পাবনা পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যায় তাদের পাবনা সদর থানা পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।
আটককৃতরা হলেন- দাপুনিয়া ইউনিয়নের টিকশাইল গ্রামের বাসিন্দা পাবনা পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ রানা এবং কুমিল্লার মেঘনা থানার শিবনগরের বাসিন্দা ও পাবনা পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মোশাররফ হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা পাউবোতে অনুসন্ধানে যান কয়েকজন সাংবাদিক। সেখানে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। কয়েকবার ধাক্কা দেয়ার পর মাসুদ রানা দরজা খোলেন। কক্ষে ঠিকাদার ও স্থানীয় কমিশনার আরিফুজ্জামান রাজিব ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোশাররফসহ কয়েকজনকে দেখা যায়। এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখতে পান সাংবাদিকরা। এরপরই আরেক ঠিকাদার কনক হাজির হন।
সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সঙ্গে বন্ধ কক্ষে কীসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে, তা জানতে চান সাংবাদিকরা, কিন্তু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন তারা। বিষয়টি সন্দেজনক মনে হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন ওই সাংবাদিকরা। পুলিশ এসে পৌঁছানোর আগেই দুই ঠিকাদার পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে দুই প্রকৌশলীকে আটক করে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) খবর দেয়।
তাদের সেখানেই দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করে দুদক ও পুলিশ। পরে সন্ধ্যার দিকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তানভীর আহমেদ দীপ নামের পাবনা পাউবোর এক ঠিকাদার বলেন, ‘আটক দুইজন হয়ত ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারে। কারণ তারা মাত্র কয়েকমাস এখানে এসেছেন। এত দ্রুত এসব টাকা লেনদেন করবে, এটা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। কোনো ঠিকাদার তাদের কাছ থেকে সুবিধামতো কাজ (প্রকল্প) না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়ত ফাঁসিয়েছে।’
আনিছুর রহমান মারুফ নামের আরেক ঠিকাদার বলেন, ‘প্রত্যেক অফিসের কাজে কর্মকর্তাদের বিশেষ কমিশন দিতে হয়। কাজের শুরু থেকে ধাপে ধাপে এসব টাকা দিতে হয়। না দেয়া হলে বিল আটকে দেয়া হয়।’
পাবনা পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছে। কোথাকার টাকা, কীভাবে লেনদেন হলো- সেসব বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ ফোন করে জানান যে সেখানে ঘুষের টাকা লেনদেন হচ্ছে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সত্যতা পেলে দুই প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে দুদককে অবহিত করা হয়েছে। তারা বিষয়টি অনুসন্ধান করবে।’
এ বিষয়ে দুদক, পাবনা শাখার কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বান্দরবানে যৌথ অভিযানে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আদালতে তোলা হলে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এএসএম এমরান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রুমা সদর ইউনিয়নের মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা লাল নুন নোয়াম বম, লাল দাভিদ বম, চমলিয়ান বম, লাল পেক লিয়ান বম, ভান মুন নোয়াম বম, লাল মিন বম ও বান্দরবান সদর লাইমি পাড়ার বাসিন্দা ভান বিয়াক লিয়ান বম।
তাদের মধ্যে ভান মুন নোয়াম বম রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সংগঠনবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলুয়ের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এর আগে সোমবার রুমা সদর ইউনিয়নের মুনলাইপাড়া থেকে ছয়জন এবং বান্দরবানের মিলনছড়ি পুলিশ চেকপোস্ট থেকে ভান বিয়াক লিয়ান বমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংক শাখায় ২ এপ্রিল রাতে ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, মসজিদে হামলা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচটি মামলা হয়।
পরদিন দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ডাকাতির ঘটনায় চারটি মামলা হয়।
নয়টি মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৫৬ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ফারহান আহমেদ জোভান অভিনীত ‘রূপান্তর’ নাটকের তিনিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রী ও পরিচালকসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ এ মামলাটি করেছেন।
ইউটিউব চ্যানেল একান্ন মিডিয়া থেকে নাটকটি সরিয়ে ফেলার পর এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তার মতে, দর্শকরা নাটকটির কনসেপ্ট হয়ত বোঝেননি।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই দেখছি, আসলে বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকরা নানান স্ট্যাটাস ও মন্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ‘পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এ নাটকটিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যুকে প্রমোট করা হয়েছে। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা জোভানকে অনলাইনে তুলোধুনা করছে নেটিজেনরা।
‘এছাড়া জোভান ও সামিরা খান মাহি দুজনের ফেসবুক পেজ গায়েব করে দেয়া হয়েছে। জোভানের ১৯ লাখের পেজ ও মাহির ২৪ লাখের লাইক-ফলো করা পেজটি আর ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
‘রূপান্তর’ নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। অসংখ্য পোস্ট ও লক্ষাধিক প্রতিক্রিয়া আসে নাটকটির বিরুদ্ধে। তীব্র সমালোচনায় পড়ে নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
জোভান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, নাটকটি নিয়ে কেন এমন সমালোচনা করা হচ্ছে! নাটকটির ভিউ হয়েছিল নব্বই হাজার। তাহলে বাকি মানুষ তো দেখেনি! আমার মনে হয়, তারা না দেখেই সমালোচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে!’
সমালোচনার মুখে জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দর্শক পছন্দ করেন না এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করবেন না। বলেন, ‘যেহেতু মানুষ পছন্দ করছে না সেহেতু এসব আর করা যাবে না। এরপর থেকে এগুলো আর করব না।’
নেটিজেনদের কিংবা নিজের অনুসারীদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে এটা নিয়ে জোভান দুঃখও প্রকাশ করেছেন।
জোভান ছাড়াও ‘রূপান্তর’ নাটকে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি। এতে আরও অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম ও সমাপ্তি মাসুক প্রমূখ।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা পদত্যাগ না করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। তিনি সাংবাদিকদের আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই আদেশের ফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইউপি চেয়ারম্যানদের পদত্যাগ করতে হবে না।
কুষ্টিয়া ও সিলেটের দুটি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রশ্নে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের আনা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এমন আদেশ দিল উচ্চ আদালত।
মন্তব্য