× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Why Baloch female teacher suicide bomber?
google_news print-icon

বেলুচ নারী শিক্ষক কেন আত্মঘাতী হামলাকারী?

হামলা
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালান শারি বালুচ (ডানে)। ছবি: ভাইস
শারি বালুচ ছিলেন ৩০ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষক। প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর শারি পরে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বিষয়েও আরেকটি ডিগ্রি অর্জন করেন। বিএলএর প্রথম নারী কর্মী হিসেবে তিনি ২৬ এপ্রিল আত্মঘাতী বোমা হামলাটি চালান।

পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের বাইরে গত ২৬ এপ্রিল আত্মঘাতী বোমা হামলায় হামলাকারীসহ পাঁচজন প্রাণ হারান। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তারা বলছে, দুই সন্তানের জননী ও স্কুলশিক্ষক শারি বালুচ এ হামলা চালান। শারি আত্মঘাতী হামলা চালানো বিএলএর প্রথম নারী কর্মী। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সভিত্তিক সাইট ভাইসের প্রতিবেদন ভাষান্তর করেছেন সঞ্জয় দে।

দারুণ সুখী ও প্রাণবন্ত এক পরিবার। জন্মদিন উদযাপনের রঙিন বেলুনে সাজানো ঘর। হাসিখুশি স্বামী-স্ত্রীর হাতেও বেলুন। পেছন থেকে ভেসে আসছে উচ্ছ্বসিত শিশুর কণ্ঠ। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের দিকে তাকান গভীর আবেগে। হাতের বেলুন ফাটিয়ে চলতে থাকে উদযাপন।

কিছুক্ষণ পর উষ্ণ আলিঙ্গনে সন্তানসহ সেলফি তোলেন তারা।

এমন মধুর পারিবারিক বন্ধনে থাকা কেউ আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিজেকে উড়িয়ে দেবেন, ধারণা করাও কঠিন। তবে সেটাই ঘটেছে পাকিস্তানের করাচি শহরে।

জন্মদিন উদযাপনের ভিডিওতে থাকা নারী শারি বালুচ গত ২৬ এপ্রিল আত্মঘাতী হামলা চালান করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের বাইরে। এতে তিনিসহ মোট পাঁচজন প্রাণ হারান।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শারি তার হাতের একটি ব্যাগের ভেতরে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বহনকারী একটি মিনিভ্যান উড়িয়ে দেয়াই ছিল তার লক্ষ্য।

বিস্ফোরণে চীনা ভাষা প্রশিক্ষক ডিং মু পেং ও চেন সাই এবং কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক হুয়াং গুই পিং, ভ্যানের চালক পাকিস্তানি নাগরিক খালিদ নওয়াজ নিহত হন।

বেলুচ নারী শিক্ষক কেন আত্মঘাতী হামলাকারী?
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মঘাতী হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

ওই হামলার পর টুইটারে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে শারির আনন্দে মেতে থাকার ভিডিওটি প্রকাশ করেন তার স্বামী।

এই হামলা বহু পাকিস্তানিকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সঙ্গে জড়িত চীনারাও যে হামলার লক্ষ্য হতে পারেন, তা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত।

চীনা ভাষা ও সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র মুস্তাজাব হুসেন বলছিলেন, ‘আমি ভেঙে পড়েছি। তারা (নিহত ৩ চীনা নাগরিক) আমাদের দেশের অতিথি ছিলেন, আমাদের ভাষা প্রশিক্ষণ দিতেন। তারা ছিলেন আমাদের অভিভাবক। পাকিস্তান তাদের কাছে দ্বিতীয় বাড়ির মতো ছিল।’

আত্মঘাতী হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে ছিলেন মুস্তাজাব।

ভাষা প্রশিক্ষক চেন সাইয়ের ভক্ত ছিলেন মুস্তাজাব। এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘তিনি (চেন) একজন দুর্দান্ত শিক্ষক ছিলেন। আমাদের কাছে কোনো কিছু কঠিন ঠেকলেই তিনি সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। ক্লাসের বাঁধাধরা সময়ের দিকে তার কোনো খেয়াল থাকত না।

‘এমনকি রাতেও তিনি হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের জিজ্ঞাসার জবাব দিতেন। আর বাকিরাও ছিলেন তার মতোই দারুণ শিক্ষক। তারা আমাদের জন্য বন্ধুত্ব ও মর্যাদার পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন।’

মুস্তাজাব বলেন, ‘তিনজনের হৃদয়েই ছিল পাকিস্তানের প্রতি প্রবল ভালোবাসা। ইনস্টিটিউটের পরিচালক একবার আমাদের বলেছিলেন, তিনি যখনই পাকিস্তানের বিমানবন্দরে পৌঁছান, তখনই মনে হয় নিজের বাড়িতে ফিরেছেন।’

এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বিচ্ছিন্নতাবাদী এই গোষ্ঠী বেলুচিস্তান প্রদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। বেলুচিস্তান প্রচুর খনিজসমৃদ্ধ একটি প্রদেশ, তবে ইরান ও আফগান সীমান্তবর্তী অঞ্চলটি পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র এলাকা হিসেবেও পরিচিত।

বঞ্চনার শিকার বেলুচিস্তান প্রদেশের স্বাধীনতার জন্য দুই দশক ধরে সশস্ত্র লড়াই করছে বিএলএ। তাদেরকে এরই মধ্যে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

বেলুচ নারী শিক্ষক কেন আত্মঘাতী হামলাকারী?
হামলার পর করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায় পাকিস্তানে প্রায় ৬২ বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চীন। তবে বিএলএ মনে করছে এসব প্রকল্প বেলুচিস্তানে সম্পদের শোষণ ও বঞ্চনা আরও বাড়িয়ে দেবে। এ জন্য প্রকল্পগুলো ঠেকানোর কৌশল হিসেবে তারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা নাগরিকদের আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত করেছে। দিনে দিনে বাড়ছে হামলার মাত্রা।

বিএলএ ২০২০ সালে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে হামলার দায় স্বীকার করে, যাতে প্রাণ হারান সাতজন। এর আগের বছর বিএলএ বন্দুকধারীরা গোয়াদর শহরের একটি হোটেলে গুলি চালিয়ে আটজনকে হত্যা করে। সংগঠনটি ২০১৮ সালে চীনা কনস্যুলেটে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায়ও স্বীকার করেছিল, যাতে নিহত হন চারজন।

ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিতে জোর দিলেও বিএলএ সম্প্রতি ইসলামি উগ্রপন্থিদের মতোই আত্মঘাতী হামলার দিকে ঝুঁকছে। সংগঠনটি হুঁশিয়ার করে বলেছে, ‘চীনা শোষণ’ থেকে মুক্তির দাবি পূরণ না হলে তাদের শত শত ‘উচ্চ প্রশিক্ষিত’ পুরুষ ও নারী সদস্য আরও হামলার জন্য প্রস্তুত।

করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট লক্ষ করে পরিচালিত হামলা বিএলএর সঙ্গে বেলুচিস্তানের শিক্ষিত পেশাজীবীদের জড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। দলটি বলেছে, শারি বালুচ ছিলেন ৩০ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষক। প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর শারি পরে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বিষয়েও আরেকটি ডিগ্রি অর্জন করেন। বিএলএর প্রথম নারী কর্মী হিসেবে তিনি ২৬ এপ্রিল আত্মঘাতী বোমা হামলাটি চালান।

এক বিবৃতিতে বিএলএ বলেছে, শারি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় দুই বছর আগে সংগঠনের আত্মঘাতী শাখা মাজিদ ব্রিগেডে যোগ দেন। ‘আত্মত্যাগের মিশনে’ যুক্ত হওয়ায় সম্মতি দেয়ার পর সিদ্ধান্তটি ভেবে দেখতে তাকে সময় দেয়া হয়েছিল। তবে তিনি প্রতিজ্ঞা থেকে পিছু হটেননি। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালানোর বিষয়ে ছয় মাস আগে তিনি ফের নিজের সম্মতি জানান।

শারির স্বামী হাবিতান বশির বালুচ একজন দন্ত চিকিৎসক ও শিক্ষক। হামলার পরদিন তিনি জন্মদিন অনুষ্ঠানে শারির উচ্ছ্বসিত ভিডিওটি টুইট করেন। হাবিতান লেখেন, ‘শারি জান, তোমার আত্মোৎসর্গ আমাকে নির্বাক করে দিয়েছে, তবে আমিও আজ গর্বিত।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রিয় শারু, তোমার সঙ্গে কাটানো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টিকে আমি আজীবন লালন করব। তুমি সব সময় থাকবে আমার পাশে।’

অবশ্য পরে তদন্তকারীরা হাবিতানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রী ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ ছিলেন এবং নিয়মিত ওষুধ খেতেন।

দুই সন্তানের মা শারির পরিচিতদের কাছে ঘটনাটি এখনও অবিশ্বাস্য।

শারির চাচা বিশিষ্ট বেলুচ লেখক এবং অধিকার কর্মী গনি পারভেজ বলেন, ‘আমরা সবাই হতবাক, ওর বাবাও হতবাক। এমন কিছু ঘটবে আমরা কখনও কল্পনা করিনি। শারি ছিল অত্যন্ত সংবেদনশীল, কোমল হৃদয় ও বুদ্ধিমান মেয়ে। সব সময় সবার প্রতি ছিল যত্নশীল ও আন্তরিক। কখনও সে অন্যের বা নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবেনি।’

এ ঘটনায় পরিবার প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছেন বলে স্বীকার করেন পারভেজ। তবে একই সঙ্গে তিনি মনে করেন বেলুচিস্তানে ভয়াবহ বাস্তবতাই শারির মতো শিক্ষিত নারীকে উগ্রপন্থার দিকে প্ররোচিত করেছে। তিনি বলেন, ‘বেলুচিস্তানের অবস্থা খুবই খারাপ। আর তাই নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে অধিকারের জন্য লড়াই শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত সরকার এ বিষয়ে কোনো গা করছে না।

‘আমরা গুম, হত্যা, লাশের ওপর লাশ এবং নির্যাতন দেখেছি। এগুলোর পরিবর্তন ঘটানো জরুরি, বেলুচিস্তানের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা দরকার।’

ভূমির পরিমাণ বিবেচনায় বেলুচিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ। তবে এটিই দেশটির সবচেয়ে কম জনবহুল, স্বল্পোন্নত ও স্বল্প শিক্ষিত এলাকা। পুরো পাকিস্তানের বিদ্যুতের উৎপাদন এই প্রদেশের কয়লা ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। অথচ বেলুচিস্তানের এক কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির জোগান অনেকটাই সীমিত। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ, এমনকি স্বাস্থ্যসেবাও পাকিস্তানের বাকি অংশের চেয়ে অনেক কম।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, অর্থনৈতিক বঞ্চনা, রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এবং সহিংসতার ফলে তৈরি হওয়া ক্ষোভ বেলুচিস্তানের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের প্রতি তাদের সহানুভূতি দিনে দিনে জোরালো হচ্ছে। শারির আত্মঘাতী হামলা এই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।

বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনের নামে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মী বা জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে অপহরণ ও গুমের ঘটনা অজস্র। বিনা বিচারে বা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই অনেক অধিকার কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আটক রাখা হয়েছে। কেউ কেউ মাসের পর মাস বা বছর ধরে নির্যাতন সহ্য করছেন।

কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে হামলার পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা লাহোর শহর ও করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বেলুচ ছাত্রকে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অপহরণের নিন্দা করেছেন অধিকার কর্মীরা।

পারভেজ সতর্ক করে বলছেন, ‘এ অবস্থা পাকিস্তানের জন্য আরও সমস্যা তৈরি করছে। বৈষম্য এবং হত্যাকাণ্ড আমাদের অঞ্চলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে বাধ্য। এর অবসান হওয়া দরকার। এটি কেবল ঘৃণাই সৃষ্টি করছে। মানুষ, বিশেষ করে তরুণেরা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠছে।’

পাকিস্তানের সাবেক সিনেট চেয়ারম্যান রাজা রব্বানীও একই সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘চরম জাতীয়তাবাদী চেতনা এত প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে শিক্ষিত নারীরাও জীবন দিতে তৈরি। এর অর্থ হলো নিপীড়ন, দমন, বিচ্ছিন্নতা এবং বঞ্চনাবোধের বীজ অনেক গভীরে প্রোথিত। এ অবস্থা রাষ্ট্র ও এর কৌশলগত স্বার্থের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিক্রিয়াকে প্ররোচিত করছে।’

পাকিস্তানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলেছে, সবশেষ হামলাটির জন্য তারা বিএলএর দুই কমান্ডারের বিরুদ্ধে হত্যা ও সন্ত্রাসের অভিযোগ আনবে। পুলিশ কর্তারা বলছেন, তাদের বিশ্বাস পাকিস্তান ও চীনের সুসম্পর্ক নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এ হামলা, আর এতে মদদ দিয়েছে একটি ‘বিদেশি শত্রু সংস্থা’।

পাকিস্তান এর আগে অনেকবার বিএলএকে গোপনে অর্থায়ন ও সমর্থনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে দায়ী করেছে। তবে এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে ভারত।

অন্যদিকে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে’ পাকিস্তানের পদক্ষেপকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে বেইজিং। হামলায় জড়িতদের চরম মূল্য দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে তারা। ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় তল্লাশি করা হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে।

আরও পড়ুন:
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্ফোরণ, তিন চীনাসহ নিহত ৪
সৌদি যাচ্ছেন শাহবাজ, সঙ্গে নাতি-নাতনি
নতুন পাসপোর্ট পেলেন নওয়াজ শরিফ
পাকিস্তানের অস্বস্তি
ইমরান খানকে রাষ্ট্রীয় উপহার ফেরত দিতেই হবে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
We are ashamed to see the progress of Bangladesh Pakistan PM

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত
শাহবাজ শরিফ বলেন, “যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়।

দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

তিনি বলেছেন, “যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমি লজ্জিত হই। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনও অনেক পিছিয়ে আছে।”

সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে, কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গত বুধবার সিন্ধ সিএম হাউসে একটি মতবিনিময় সভা করেন শাহবাজ শরিফ।

সে সভায় মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শাহবাজ শরিফ বলেন, “আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম...তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।”

এদিকে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গেও ব্যবসাবিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সঙ্কটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

এ ছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার’ জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শাহবাজ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Free beer in India to attract polling booths
ভারতের লোকসভা নির্বাচন

ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’

ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’ প্রতীকী ছবি
ভোটারদের ভোটের মাঠে আকৃষ্ট করতে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে ব্যাঙ্গালুরুর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ভোট দেয়ার পুরস্কার হিসেবে সেখানে হোটেল, ট্যাক্সি পরিষেবা এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রণোদনা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। দেশের নাগরিকদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি।

দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে নাগরিকদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে অনেক কোম্পানি বিনামূল্যে খাবার থেকে শুরু করে ফ্রিতে ট্যাক্সি পর্যন্ত অফার করেছে।

প্রতিবারই কম ভোটার উপস্থিতির জন্য খবরের শিরোনাম হয় কর্ণাটক রাজ্যের শহর বেঙ্গালুরু। তাই ভোটারদের ভোটের মাঠে আকৃষ্ট করতে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ভোট দেয়ার পুরস্কার হিসেবে সেখানে হোটেল, ট্যাক্সি পরিষেবা এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রণোদনা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এসব সুবিধার মধ্যে ফ্রি বিয়ার, বিনামূল্যে ট্যাক্সি রাইড এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মতো সুবিধাকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করছে বিবিসি।

এছাড়া আঙুলে ভোটের কালি দেখাতে পারলে অনেক হোটেল ক্রেতাদের বিনামূল্যে খাবার খাওয়াবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।

বুধবার নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন না করার শর্তে স্থানীয় হোটেল মালিক সমিতিকে ফ্রিতে বা বিশেষ ছাড়ে খাবার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

এ বিষয়ে ব্যাঙ্গালুরুর হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি পিসি রাও ডেইলি মিররকে বলেন, ‘ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে হোটেলগুলো বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে। কেউ কেউ বিনামূল্যে কফি, ডোসা দেবে। আবার কেউ কেউ গরমে ভোটারদের জুস খাওয়াবে। কিছু হোটেল তো খাবারের ওপর বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।’

ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটক রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে দক্ষিণ ব্যাঙ্গালুরুতে। সেবার ওই নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারদের ৫৩.৭ শতাংশ নাগরিক ভোট দিয়েছিলেন।

ব্যাঙ্গালুরুর জনপ্রিয় পার্ক ‘ওয়ান্ডারলা’ ভোটারদের জন্য টিকিটে বিশেষ মূল্যছাড় দিয়েছে। অন্যদিকে ভোট দিয়ে আসা প্রথম পঞ্চাশ জন ক্রেতাকে বিনামূল্যে বিয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ‘ডেক অফ ব্রুস’ নামের একটি পানশালা।

স্থানীয় রাইড শেয়ার অ্যাপ ‘ব্লু-স্মার্ট’ ভোটকেন্দ্রের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোটারদের রাইডে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। এছাড়া ‘র‌্যাপিডো’ নামের ট্যাক্সি শেয়ারিং কোম্পানি ভোটারদের বিনামূল্যে রাইড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

মিস্টার ফিলি’স নামের একটি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ প্রথম ১০০ জন ভোটারকে বার্গার ও মিল্কশেকের ওপর ৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘এটি আসলে নাগরিকদের ভোটের গুরুত্ব বোঝানো এবং আমাদের গণতন্ত্র উদযাপনের উপায়।’

তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এই উদ্যোগটি ব্যাঙ্গালুরুর নাগরিকদের মধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও পরিবর্তন আনতে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।’

উল্লেখ্য, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম দফা নির্বাচনে সব রাজ্যে গড়ে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে।

দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হবে।

এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে সাত ধাপে, চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হবে আগামী ১ জুন এবং ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
173 Bangladeshis returned from Myanmar after serving their sentences

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি প্রিয়জনের উদ্দেশে তীর থেকে হাত নাড়ছে অপেক্ষায় স্বনজরা। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি দেশটির সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ফিরে যাবে।

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাহাজ ‘চিন ডুইন’ থেকে তাদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছায়।

প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছানোর পরপরই ঘাট থেকে গাড়িযোগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উদ্দেশে রওনা হয়, যেখানে বিজিবির অধীনে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য রয়েছেন। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।

এদিন বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

তিনি বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে ১৭৩ বাংলাদেশি ঘাটে এসে পৌঁছাতে পারেন। তারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার এবং একজন করে রয়েছেন খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভীড় করছেন তাদের স্বজনরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে ফেরত আসাদের গ্রহণ করে পুলিশে হস্তান্তর করবে বিজিবি। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

এদিকে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘চিন ডুইন’ জাহাজটি ১৭৩ বাংলাদেশিকে বহন করে মঙ্গলবার যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন।

মূলত বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটিই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবে।

মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।

মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নেন। এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ ও সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। সেখানেও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ সংরক্ষিত হতে পারে।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Biggest post election challenge in India Unemployment Survey

ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ

ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ ভারতের দিল্লিতে পণ্যবাহী গাড়ি টেনে নিচ্ছেন এক শ্রমিক। ছবি: রয়টার্স
গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬ জন অর্থনীতিবিদের ওপর জরিপ চালায় রয়টার্স, যাদের মধ্যে ১৫ জনই বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারের জন্য বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বেকারত্ব।

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসা সরকারের জন্য বেকারত্ব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

বার্তা সংস্থাটি অর্থনীতিবিদদের ওপর চালানো জরিপের ফল বুধবার এক প্রতিবেদনে তুলে ধরে।

জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদদের আশা, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বড় অর্থনীতিগুলোর ‍তুলনায় দ্রুততম গতিতে ভারতের প্রবৃদ্ধি হলেও বিপুল ও ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।

গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬ জন অর্থনীতিবিদের ওপর জরিপ চালায় রয়টার্স, যাদের মধ্যে ১৫ জনই বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারের জন্য বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বেকারত্ব।

অন্যদিকে আট অর্থনীতিবিদ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটির গ্রামাঞ্চলে ভোগকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন। অন্যদিকে দুজন অর্থনীতিবদ মূল্যস্ফীতি এবং একজন দারিদ্র্যকে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দল বিজেপি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল। চলতি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারে দলটি।

বিজেপির প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেকারত্বের হার পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন:
ভারতীয় পণ্য বর্জন বাস্তবসম্মত কি না, প্রশ্ন কাদেরের
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের সময় পাশে ছিল ভারত: কাদের
বিহারে নির্মাণাধীন সেতু ধসে একজন নিহত
দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার
গুজরাটে ‘তারাবির নামাজ পড়ায়’ হামলা, আহত ৫ বিদেশি ছাত্র

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Storm of criticism of Modi for taunting Congress with Muslims

মুসলিমদের জড়িয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ মোদির, সমালোচনার ঝড়

মুসলিমদের জড়িয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ মোদির, সমালোচনার ঝড় রোববার ভারতের ঝাড়খান্ডের একটি জনসভায় ভাষণ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
রোববার ঝাড়খান্ডের ওই ভাষণে ভারতের মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শেষ হতে না হতেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথম দফায় ভোটের হার আশানুরূপ না হওয়ায় তিনি সরাসরি ধর্মীয় মেরুকরণের পথে হাঁটছেন বলে মত বিরোধীদের।

বিজেপিবিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘ইন্ডিয়া’ভুক্ত দলগুলো বলছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট টানতে ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছেন মোদি।

বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য এখন পর্যন্ত এ অভিযোগের কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি।

রোববার রাজস্থানের একটি জনসভায় গিয়ে মোদি বলেন, ‘সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস বলেছিল, দেশের সম্পদের ওপর মুসলিমদের অধিকার সবার আগে। অর্থাৎ দেশের সম্পদ বণ্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেয়া হবে দেশের সম্পদ।’

তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের ইশতেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গহনার হিসাব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় বইছে ভারতজুড়ে।

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘প্রথম দফার ভোট শেষ হতেই হতাশ হয়ে পড়েছেন মোদি। তার মিথ্যাচারের মাত্রা এতটাই নিচে নেমেছে যে এখন মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছেন।’

রাহুল লিখেছেন, ‘কংগ্রেসের এবারের ইশতেহার বৈপ্লবিক। এ বিপ্লবের প্রতি বিপুল জনসমর্থন উঠতে শুরু করেছে। এবার মানুষ তার পরিবার, কর্মসংস্থান, ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভোট দেবে। অন্য ভাবনায় বিচ্যুত হবে না ভারতের জনগণ।’

আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘স্বৈরশাসকের আসল চেহারা আবারও উন্মোচিত হয়েছে। এটি জনগণের নেতৃত্ব নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নেয়া বাবা সাহেব আম্বেদকারের সংবিধানকে ধ্বংস করার আরেকটি পদক্ষেপ। আমি আবারও বলছি- এটা শুধু সরকার গঠনের নির্বাচন নয়, এটা দেশ বাঁচানোর নির্বাচন, সংবিধান রক্ষার নির্বাচন।’

মোদিকে তোপ দেগেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও।

তার কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী সরাসরি মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী বলেছেন। আসলে ২০০২ সাল থেকে মুসলিমদের নির্যাতন করেই ভোট পেয়ে আসছেন মোদি। আমরা যদি দেশের সম্পদের কথা বলি, তাহলে মোদি সরকারের আমলে দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার তার ধনকুবের বন্ধুদের।

‘ভারতের এক শতাংশ মানুষ আজ দেশের সম্পদের ৪০ শতাংশ খেয়ে ফেলছে। সাধারণ হিন্দুদের মুসলমানদের ভয় দেখানো হচ্ছে, অথচ সত্য এই যে, আপনার টাকায় অন্য কেউ ধনী হচ্ছে।’

এদিকে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে ২০০৬ সালে মনমোহন সিংয়ের বক্তব্যের একটি ভিডিওর ২২ সেকেন্ডের একটি ক্লিপ ছড়িয়ে দেয় বিজেপি। এর জবাবে পরে ওই ভাষণের ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের একটি ক্লিপ প্রচার করে কংগ্রেস।

কংগ্রেসের প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মনমোহন বলেছিলেন ক্ষমতায়নের কথা, অথচ মোদি বলেছেন মানুষের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেয়ার কথা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Out of 26000 teachers employees in Kolkata only one is left

চাকরি যাচ্ছে কলকাতার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর, থাকছে শুধু একজনের

চাকরি যাচ্ছে কলকাতার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর, থাকছে শুধু একজনের
প্রতিবেদন বলছে, গত তিন বছরে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা বিষয় নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলা। স্কুলে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে বহু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় স্কুলে শিক্ষক এবং কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনায় একটি বড় নিয়োগ বাতিল হচ্ছে।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দেয়া এ রায়ের ফলে সবমিলিয়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি হারাচ্ছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেছে। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রায় দেয় এ বেঞ্চ। শুধু একজনকে বিশেষ কারণে চাকরিচ্যুত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত।

প্রতিবেদন বলছে, গত তিন বছরে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা বিষয় নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলা। স্কুলে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে বহু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। টেট (প্রাথমিক স্কুল) এবং এসএসসির (মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক) দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে অভিযোগ। টেট মামলা আপাতত সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সোমবার এসএসসির চাকরি বাতিলের মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

রায় অনুযায়ী, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। সুদের হার হবে বছরে ১২ শতাংশ। চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দিতে বলেছে আদালত।

লোকসভা ভোটের মাঝে এসএসসি মামলার এই রায় রাজ্য সরকারের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনেক ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যে আপলোড করা হয়েছে। যেগুলো এখনও আপলোড করা হয়নি, সেগুলো দ্রুত আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

উত্তরপত্র জনগণ যাতে দেখতে পান, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে কমিশনকে। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির জন্য চাইলে সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

সবার চাকরি বাতিল করা হলেও একজনের চাকরি থাকছে। সোমা দাস নামের একজন ক্যানসারে আক্রান্ত। মানবিক কারণে তার চাকরি বাতিল করেনি হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।

গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলা। এই মামলায় প্রথমে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চেও সেই নির্দেশ বহাল থাকে।

এর পর মামলা গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে মামলাগুলি হাইকোর্টে আবার ফেরত পাঠানো হয়। মে মাসের মধ্যে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চকে শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণা করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত।

সাড়ে তিন মাসের মধ্যে শুনানি শেষ হয়ে যায়। সোমবার রায় ঘোষণা করল আদালত। ২৮১ পৃষ্ঠার রায় আদালতে পড়ে শোনান বিচারপতি বসাক।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Anti Indian Muijjur party wins big in Maldives elections

মালদ্বীপের নির্বাচনে ভারতবিরোধী মুইজ্জুর দলের বিশাল জয়

মালদ্বীপের নির্বাচনে ভারতবিরোধী মুইজ্জুর দলের বিশাল জয় মালদ্বীপে রোববার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু। ছবি: টুইটার
মালদ্বীপের পার্লামেন্টের ৯৩টি আসনের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩২৬ প্রার্থী। এতে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের দেশটির দুই লাখের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

মালদ্বীপে রোববার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে কট্টর অবস্থান নেয়া প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল পিপল’স ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)।

দ্বীপরাষ্ট্রটির রাজধানী মালেভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সান জানায়, ভোটে ক্ষমতাসীন পিএনসি পার্লামেন্টের ৬০টির বেশি আসনে জয়ী হয়।

মালদ্বীপের পার্লামেন্টের ৯৩টি আসনের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩২৬ প্রার্থী। এতে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের দেশটির দুই লাখের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পিএনসির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৯০ আসনে। এর বাইরে মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) ৮৯, দ্য ডেমোক্র্যাটসের ৩৯, জুমহুরি পার্টির (জেপি) ১০, মালদিভস ডেভেলপমেন্ট অ্যালায়েন্সের (এমডিএ) চার, আদালত পার্টির (এপি) চার, মালদিভস ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) দুই এবং স্বতন্ত্র থেকে দাঁড়ানো ১৩০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

প্রাথমিক ফলে দেখা যায়, দুই-তৃতীয়াংশ আসনে এককভাবে জয়ী হয় পিএনসি। এর বাইরে দলটির সমর্থনপুষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ক্ষমতাসীন জোটের দুই দল এমএনপি ও এমডিএর প্রার্থীরাও জয়ী হন।

এর আগে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তৎকালীন জোট এমডিপি ৬৪টি আসনে জয়ী হয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছিল।

আরও পড়ুন:
বিহারে নির্মাণাধীন সেতু ধসে একজন নিহত
দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার
গুজরাটে ‘তারাবির নামাজ পড়ায়’ হামলা, আহত ৫ বিদেশি ছাত্র
লোকসভা ভোটের দিন-তারিখ ঘোষণা
নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

p
উপরে