ভারতে বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কয়লার অভাব ও গ্রীষ্মের গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট, দিল্লি, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে কয়লার ঘাটতি দেখা গিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। এমনকি দিল্লিতে হাসপাতাল ও মেট্রো পরিচালনাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় কয়লাবাহী মালগাড়ি দ্রুত চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করেছে ভারতীয় রেল। তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে কয়লার জোগান স্বাভাবিক রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় রেলওয়ের নির্বাহী পরিচালক গৌরব কৃষ্ণ বনসাল বলেছেন, যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিলের এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আবার চালু হবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা স্থানান্তর করতে যে সময় লাগে তা কমানোরও চেষ্টা চলছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে রেলওয়ে তার বহরে আরও এক লাখ ওয়াগন যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে। সেখানে কয়লার মজুত ১৭ শতাংশ কমে গেছে।
এদিকে ভারতের অনেক অংশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। এরই মধ্যে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ তাপপ্রবাহ সতর্কতা জারি করেছে।
মার্চ মাসে ভারতের গড় তাপমাত্রা ছিল ৯২ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। ১৯০১ সাল থেকে ভারতের তাপমাত্রা পরিমাপ করার পর থেকে এবারই এক মাসে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড হলো।
আরও পড়ুন:গত কয়েকদিন ধরেই বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের আসাম রাজ্য। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এরইমধ্যে বন্যার পানির স্রোতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের অনেকগুলো বগির উল্টে যাওয়ার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে।
এনডিটিভি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আসামের ডিমা হাসাও জেলার হাফলংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ছবিতে দেখা যায়, বন্যায় ডুবে গেছে রেললাইন। সেখানে কাদা পানির স্রোত। এরই মধ্যে উল্টে আছে ট্রেনের কয়েকটি বগি।
ট্রেনের মধ্যে আটকে পড়েন দুই হাজারেরও বেশি যাত্রী। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর দুই ট্রেনের প্রায় ২ হাজার ৮০০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বন্যার কারণে রোববার থেকে হাফলং-এর সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধসের কারণে গত শনিবার থেকে লামডিং-বদরপুর রুটে ১৮টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে রেললাইন মেরামতের কাজ।
এখন পর্যন্ত রাজ্যটিতে বন্যা ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধসে সাতজন নিহত হয়েছেন।
টানা বৃষ্টিতে রাজ্যটির ২০ জেলার ২ লাখের বেশি মানুষ আটকা পড়েছেন।
আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (এএসডিএমএ) কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ আসামের কাছাড় জেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ডিমা হাসাও জেলায় চারজন এবং লখিমপুর জেলায় ভূমিধসে একজনের মৃত্যু হয়।
এখন পর্যন্ত কাছাড় জেলায় ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ে মঙ্গলবারও ভারী বর্ষণের কারণে সতর্ক রয়েছে রেলওয়ে। রেল যোগাযোগ রয়েছে বিচ্ছিন্ন।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা শঙ্কায় দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দুই দেশের যোগদানকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে।
এবার রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো সদস্য পদের আবেদনের বিরোধিতা করবে তুরস্ক। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, আঙ্কারাকে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে রাজি করাতে যেকোনো চেষ্টা নিষ্ফল হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আঙ্কারার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য চাপ দেয়া হবে। এর আগে ন্যাটোর জেনারেল মিরসিয়া জিওনা আশা প্রকাশ করেছিলেন যে তুরস্ককে এই ইস্যুতে রাজি করানো যাবে।
সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হেলসিংকি ও স্টকহোম থেকে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল তুরস্ক সফরে যাবে। যদিও এরদোয়ান প্রেসব্রিফিংয়ে আপস না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এ সপ্তাহেই সুইডেন ও ফিনল্যান্ড রাশিয়ার হুমকি সত্ত্বেও ন্যাটোতে যোগদানের আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও আগে থেকেই এরদোয়ান ফিনল্যান্ড ও সুইডেন সম্পর্কে বলেছেন, দুই দেশই তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি (পিকেকে) ও পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (ডিএইচকেপি/সি) এর নিরাপদ অতিথিশালা।
তুরস্ক এই দুই সংগঠনকেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
পশ্চিমা এই সামরিক জোটের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৩০। ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের যোগ দিতে হলে প্রতিটি দেশের সমর্থন লাগবে। কোনো একটি ন্যাটোভুক্ত দেশ ফিনল্যান্ডের যোগদানের বিষয়ে ভেটো প্রদান করলেই দেশটির ন্যাটোতে যোগদান স্থগিত হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে এরদোয়ানের এই ঘোষণা দুই দেশের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়টি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।
তুরস্কের বিরোধিতা সত্ত্বেও ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। ফিনল্যান্ড ও আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সিদ্ধান্ত আমাদের নিরাপত্তার সক্ষমতা এবং নরডিক দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে।’
সানা মারিন আশা করেন যে ফিনিশ পার্লামেন্টে ন্যাটোতে যোগদানের আবেদনের প্রস্তাব পাস হবে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে দুই নরডিক দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দুই দেশই নিরপেক্ষ ভূমিকা থেকে বেরিয়ে এসে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদিও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দুই দেশকেই সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিনল্যান্ডের এমন পদক্ষেপ রুশ-ফিনিশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি উত্তর ইউরোপের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ফলে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ফিনল্যান্ডকে নিরপেক্ষ দেশের ভূমিকায় থাকতে বাধ্য করার জন্য রাশিয়া সামরিক প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য বিকল্প উপায়ে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
তবে ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্তের কারণে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে মস্কো ঠিক কী কী পদক্ষেপ নেবে তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি দেশটির সাম্প্রতিক দেয়া বিবৃতিতে। এর আগে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যদি ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দেয়, তবে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে।
রুশ নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ এর আগে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, দুই দেশ যাতে বাস্তবতা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যথায় বাড়ির পাশে পরমাণু অস্ত্র ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বসবাস করতে হবে তাদের।
এ ছাড়া ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ন্যাটোর সম্প্রসারণ কীভাবে কার্যকর হয় এবং তা রুশ সীমান্তের কতটা কাছে চলে আসে, তার ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।’
ফিনল্যান্ডে এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান রাও নরডিক। যদিও বলা হচ্ছে, দেশটির ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্তের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি। পাওনা টাকা নিয়ে জটিলতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাও নরডিক।
তবে ফিনল্যান্ড বলছে, রাশিয়া দেশটির চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ফলে ফিনল্যান্ড বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ আনতে পারবে। এটি দেশটির জন্য খুব একটা চাপ নয়।
আরও পড়ুন:নানা সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় মাত্র এক দিন ব্যবহার করা যাবে, এ পরিমাণ পেট্রল মজুত রয়েছে।
দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে আর মাত্র এক দিনের পেট্রল মজুত আছে। আগামী কয়েক মাস আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে। আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নিতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
‘অল্প সময়ের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘জনগণের কাছে মিথ্যা বলার বা সত্য লুকানোর কোনো ইচ্ছা আমার নেই। পরিস্থিতি ভীতিকর, এটাই সত্য। তবে এই সময় দীর্ঘস্থায়ী হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলো আমাদের সহায়তা করবে। তারা এরই মধ্যে সাহায্য করা শুরু করেছে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।
‘আগামী তিন দিনের মধ্যে ১ হাজার ১৯০ স্টেশনে তেল সরবরাহ করা হবে। অনুরোধ করব তার আগে তেলের জন্য লম্বা লাইন না দিতে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। এই পদের জন্য কোনো অনুরোধ করিনি। দেশের সংকট উত্তরণে প্রেসিডেন্ট আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘কেরোসিন, গ্যাস, জ্বালানির লাইন থাকবে না- এমন একটি দেশ গড়ব আমরা। সেখানে কোনো অভাব থাকবে না। জনগণের জন্য এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি। কোনো ব্যক্তি, পরিবার বা দলকে রক্ষা করা আমার উদ্দেশ্য নয়। সবাই আমার পাশে থাকবেন।’
গত কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চরম মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, মুদ্রাস্ফীতিও আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।
এ অবস্থায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। এক পর্যায়ে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।
সরকারবিরোধী আন্দোলন সম্প্রতি আরও বড় রূপ ধারণ করে। আন্দোলনে বসা বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। এতে বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সরকারদলীয় এমপি, পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন নয়জন। আহত হন দুই শতাধিক।
আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
আরও পড়ুন:মারিওপোলে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতিরোধের সর্বশেষ অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় নিশ্চিত করেছে যে, মারিওপোলের অ্যাজোভস্টাল স্টিল কারখানায় আটকে থাকা সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেনারেল স্টাফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্যারিসন মারিওপোলে নির্ধারিত যুদ্ধ মিশন সম্পন্ন করেছে। সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ড যোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে অ্যাজোভস্টালে থাকা ইউক্রেনীয় কমান্ডারদের জন্য এ আদেশ (আত্মসমর্পণ) জারি করেছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী আনা মালিয়ার এবং ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে বন্দি হওয়া রুশ সেনাদের সঙ্গে বিনিময় করা হবে। তবে বিনিময়ের শর্ত এখনও ঠিক হয়নি।
ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিওপোল রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে এলে শুধু অ্যাজোভস্টাল স্টিল কারখানাতেই এত দিন ইউক্রেনীয় সেনারা নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল।
রুশ সেনারা সেখানে সর্বাত্মক অভিযান না চালালেও স্থানটি ঘিরে রাখে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সেনাদের আদেশ দেন, একটা মাছিও সেখান থেকে যেন বেরিয়ে যেতে না পারে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছিলেন, প্রায় ২ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় যোদ্ধা এখনও কারখানাটিতে রয়েছেন এবং সেখানে বিশাল ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার রয়েছে। এসব ইউক্রেনীয় যোদ্ধার মধ্যে মেরিন ও দেশটির জাতীয়তাবাদী আজভ ব্যাটালিয়নের সদস্য রয়েছেন। যদিও এর মধ্য থেকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কিছু বেসামরিক মানুষকে বের করে আনা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন:ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতণ্ডার পর এবার রাজ্যটির বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি দাবির পর সোমবার আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ ঘর (তাহখানা), অজুখানা এবং আশপাশের এলাকা সিল করে দিয়েছে প্রশাসন।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব দুই হাজার বছরের পুরোনো কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে গড়েন জ্ঞানবাপী মসজিদ।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার থেকে মসজিদের দুটি গম্বুজ, ভূগর্ভস্থ অংশ, পুকুরসহ সব জায়গার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা এবং ভিডিও করে সোমবার বারাণসীর আদালতে রিপোর্ট পেশ করা হয়।
এরপরই কয়েকটি এলাকা সিল করে সিআরপিএফ মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি সিআরপিএফের একজন কমান্ডান্ট (সুপার) স্তরের কর্মকর্তাকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন নগর-দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর।
আবেদনকারী হিন্দুত্ববাদী পক্ষের আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন সোমবার বলেন, ‘অজুখানার পুকুরে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব মেলার কারণেই আদালত এই পদক্ষেপ করেছে।’
আরেক আইনজীবী মদনমোহন যাদবের দাবি, মসজিদের পশ্চিমের দেয়ালের অদূরে অবস্থিত নন্দীমূর্তির মুখ রয়েছে শিবলিঙ্গের দিকে। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট সোমবার জানিয়েছে, জ্ঞানবাপীতে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফি বন্ধের দাবিতে করা আবেদনের শুনানি হবে মঙ্গলবার।
হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ যে জমিতে গড়ে উঠেছে, তা আসলে হিন্দুদের। সুতরাং সেই জমি হিন্দুদের ফিরিয়ে দেয়া হোক।
মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব দুই হাজার বছরের পুরোনো কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে মসজিদ গড়ে তোলেন দাবি তুলে সেখানে ‘হিন্দুত্বের ছাপ’ খুঁজতে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানানো হয় আদালতে।
অন্যদিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে ‘দেবদেবীর মূর্তি’ আছে দাবি করে সেগুলো পুজো করার অনুমতি চেয়ে ২০২১ সালে আদালতে একটি পৃথক আবেদন করেন পাঁচ নারী।
এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার বারাণসীর জেলা আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল।
সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়।
এর আগে ষোড়শ শতকে মোঘল সম্রাট বাবরের সময় তৈরি করা বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরে হিন্দুত্ববাদী ভিএইচপি, বিজেপি এবং শিবসেনা পার্টির সদস্যরা ধ্বংস করে দেন।
তাদের মতে, মসজিদের ওই জায়গাটি ছিল হিন্দুধর্মের অন্যতম আরাধ্য দেবতা রামের জন্মস্থান এবং সেখানে মসজিদ হওয়ার আগে একটি মন্দির ছিল।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে হওয়া দাঙ্গায় ভারতে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা যাযন। এরপরও অযোধ্যা ইস্যু নিয়ে ভারতে একাধিকবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রাণহানি হয়েছে বহু মানুষের।
২০২০ সালের নভেম্বরে বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানটিতে একটি হিন্দু মন্দির বানানোর পক্ষে রায় দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন:
অনাস্থা ভোটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানো ইমরান খানের নিরাপত্তায় ১৯৯ কর্মী মোতায়েন হচ্ছে। এর মধ্যে আছে পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যও।
ইমরানের প্রাণ নিয়ে শঙ্কার কথা সামনে আসার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই নির্দেশনা দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেয়ার পর ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান যখন তার বাসভবন বানি গালায় থাকবেন এবং কোনো রাজনৈতিক সমাবেশে যাবেন, তখন তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন ওই নিরাপত্তাকর্মীরা।
রেডিও পাকিস্তান বলছে, এসব নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও ইমরানের জন্য একজন প্রধান নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনিই সবকিছু দেখাশোনা করবেন।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা ইমরানের নিরাপত্তায় তার বাসভবনে নিয়োগ করা হবে ৯৪ জন কর্মী, এর মধ্যে ইসলামাবাদ থেকে আসবেন পুলিশের ২২ সদস্য আর বাকি ৭২ জন মোতায়েন হবে আধা সামরিক বাহিনী থেকে।
এর বাইরে ২৬ কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে। সেনাবাহিনীর ৯ সদস্যকেও নিয়োগ দেয়া হবে ইমরানের জন্য।
খাইবার পাখতুনখাওয়া পুলিশ তাদের ২৬ সদস্যকে নিয়োগ দেবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য। বেলুচিস্তান থেকে আসবে আরও ছয়জন।
এ ছাড়া ইমরান খান যখন কোনো কর্মসূচিতে যাবেন, তখন তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন শাহবাজ শরিফ।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ইমরান খান বাসা থেকে বের হলে তাকে ঘিরে থাকবে পুলিশের চারটি গাড়ি, যাতে সতর্ক অবস্থায় থাকবেন তাদের ২৩ জন। আরেকটি গাড়িতে থাকবে বিশেষ বাহিনীর পাঁচ সদস্য।
বিভিন্ন নাটকীয়তার পর গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতের অনাস্থা ভোটে ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান ঘটে। তিনি দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী।
পরে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে আবার ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ।
দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান। তার সরকারের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:গম রপ্তানির ওপর ভারত নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর বিশ্ববাজারে বেড়ে গেছে খাদ্যশস্যটির দাম।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বেঞ্চমার্ক ইনডেক্সে বিশ্বে গমের মূল্যসূচক বেড়ে গেছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পরের মাস মার্চে প্রচণ্ড গরম আর তাপদাহে ভারতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় গমের ফলন। এতে দেশটির অভ্যন্তরে প্রধান খাদ্যশস্যটির দাম বেড়ে যায় রেকর্ড পরিমাণ। এমন বাস্তবতায় গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি।
গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বিশ্ববাজারে গমের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এতে গম থেকে উৎপাদিত রুটি, নুডুলসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়।
গত শুক্রবার অভ্যন্তরীণ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।
দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যসংক্রান্ত সংস্থা (ডিজিএফটি) স্থানীয় সময় শুক্রবার এ ঘোষণা দেয়।
শুক্রবারের ঘোষণার আগে লেটার অফ ক্রেডিট (এলওসি) ইস্যু হয়েছে এমন সব রপ্তানির চালান সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠানো হবে। এর বাইরেও কোনো দেশের অনুরোধে গম রপ্তানি করা যাবে।
ডিজিএফটির ঘোষণায় আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক খাদ্যসংকট নিয়ন্ত্রণে নয়াদিল্লি গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিবেশী ও অন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে প্রয়োজনে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখবে ভারত।
চীনের পর গমের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ ভারত। তবে উৎপাদিত গমের অধিকাংশই ভারতকে ব্যবহার করতে হয় অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বে গমের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর ভারতের দ্বারস্থ হন ক্রেতারা।
ভারত সরকার জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আগে ইস্যু করা রপ্তানির আদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন দেশকে গম পাঠানো অব্যাহত রাখবে নয়াদিল্লি। আর যে সব দেশ তাদের খাদ্যনিরাপত্তার চাহিদা মেটাতে ভয়াবহ সংকটের মুখে রয়েছে, তারাও ভারতের গম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না।
ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তারাও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী নয় এবং এটি সংশোধন করা যেতে পারে।
তবে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত গ্রুপ অফ সেভেন-জি৭ভুক্ত দেশগুলোর বৈঠকে কৃষিমন্ত্রীরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন৷
জার্মান খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী সেম ওজদেমির বলেন, ‘ভারতের মতো অন্য দেশগুলো যদি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা বাজার বন্ধ করতে শুরু করে, তবে এই সংকট আরও তীব্রতর হয়ে দেখা দেবে।’
জি৭ হলো বিশ্বের সাতটি বৃহত্তম ও উন্নত অর্থনীতির একটি সংগঠন, যার আধিপত্য রয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায়। জি৭ভুক্ত দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক দেশ, তবে এটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ নয়। কারণ এর বেশির ভাগ উৎপাদিত শস্য অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটাতে ব্যবহৃত হয়।
এদিকে রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের গম রপ্তানিতে ধস নামে। খরা ও বন্যার হুমকিতে থাকা দেশগুলো নিজেদের খাদ্য ঘাটতি মেটাতে ভারতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে আছে।
নিষেধাজ্ঞা দেয়ার এক সপ্তাহ আগে, ভারত চলতি বছর রেকর্ড ১০ মিলিয়ন টন গম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বে গমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারত একাই তা মেটাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের সঙ্গে মিল রেখে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোটা বিশ্ববাসীকে খাবার সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারত।
তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মাধ্যমে নিজের অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে যায় নয়াদিল্লি, এমন মন্তব্য করেছেন সংবাদমাধ্যম বিবিসির ভারতবিষয়ক সম্পাদক ভিকাস পান্ডে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য