টুইটারে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচিত ছিলেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এক পর্যায়ে ক্ষেপাটে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ।
সেই টুইটারের মালিকানা বদল হচ্ছে। টেসলার মালিক ইলন মাস্ক এটি কিনে নিচ্ছেন। এতে আশা জেগেছে নিজের অ্যাকাউন্ট হয়তো ফিরে পাবেন ট্রাম্প। তবে অভিমানী ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, টুইটারে আর ফিরছেন না তিনি। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালই ব্যবহার করবেন তিনি।
ফক্স নিউজকে ট্রাম্প জানান, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী সাত দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগ দেবেন তিনি।
মাস্কের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আশা করি ইলন টুইটার কিনছেন। কারণ তিনি মাধ্যমটির উন্নতি করবেন। তিনি একজন ভালো মানুষ। তবে আমি ট্রুথে থাকব।’
যুক্তরাষ্ট্রের গত জাতীয় নির্বাচনের ফলকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের উসকানিতে তার কিছু সমর্থক কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল হিল) হামলা চালায়। এ ঘটনায় টুইটারে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয় ট্রাম্পকে।
টুইটার কর্তৃপক্ষ সে সময়ে জানিয়েছিল, ট্রাম্পের টুইটগুলো পর্যবেক্ষণ করে অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তার টুইট সহিংসতাকে আরও উসকে দিতে পারে আশঙ্কার থেকেই এই সিদ্ধান্ত।
টুইটারের পাশাপাশি ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামেও নিষিদ্ধ হন ট্রাম্প। টুইটারে ৮ কোটি ৯০ লাখ, ফেসবুকে ৩ কোটি ৩০ লাখ ও ইনস্টাগ্রামে ২ কোটি ৪৫ লাখ অনুসারী ছিল ট্রাম্পের।
এসবে নিষিদ্ধ হয়ে ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ নামে নিজস্ব একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনার ঘোষণা দেন। ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ এই সামাজিক নেটওয়ার্ক পরিচালনার দায়িত্বে আছে।
আরও পড়ুন:ব্রিটিশ ইউটিউবার ও র্যাপার জেজে ওলাটুনজি, অনলাইনে যিনি কেএসআই নামে পরিচিত। দুটি ইউটিউব চ্যানেলে তার মোট ৪০ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। যেসব সেলিব্রেটি ক্রিপ্টোকারেন্সি টেরা (লুনা) হোল্ড করতেন, তার মধ্যে তিনিও একজন।
টুইটার পোস্টে গত ১২ মে কেএসআই নিজেই জানিয়েছিলেন, তার ২৮ লাখ ডলার সমমূল্যের লুনা এক দিনের মধ্যেই ১ হাজার ডলার হয়ে গেছে। তার টুইটার অনুসারীদের কয়েকজন বিষয়টি নিয়ে মজা করলেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে তিনি নিজেও টুইটের মধ্যে হাসির ইমোজি যুক্ত করে দিয়েছেন।
এদিকে বিটকয়েনের দাম কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সির অন্যান্য মুদ্রাতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এরই মধ্যে দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও আমেরিকার ওয়ালস্ট্রিটের তালিকাভুক্ত ক্রিপ্টো মুদ্রার কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কয়েনবেজ।
বিটকয়েন, ইথারিয়ামের মতো দাম হারিয়েছে অন্যান্য অল্টা কয়েনেরও। তবে সবচেয়ে বেশি দাম হারিয়েছে ক্রিপ্টো মুদ্রা টেরা (লুনা)। প্রতিশ্রুত মুদ্রা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া লুনা ৯৯ শতাংশ দাম হারিয়েছে মুহূর্তেই। গত মাসে ক্রিপ্টোকারেন্সির তালিকায় শীর্ষ ১০-এ থাকা ১২০ ডলার দামের লুনা গত ১২ মে এক দিনের মধ্যেই ১ ডলারের নিচে নেমে আসে।
ভবিষ্যতে দাম বাড়বে এই আশায় যারা লুনা আঁকড়ে ধরেছিলেন, তারা ব্যাপক মাত্রায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লুনা হোল্ডারদের হতাশা ব্যক্ত করতে দেখা যায়। এর মধ্যে একজন ব্রিটিশ ইউটিউবার কেএসআই।
কেএসআই বলছেন, তিনি লুনা ধরে রাখবেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, সহসা লুনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান প্রভাব ফেলেছে ক্রিপ্টোমুদ্রাতেও। ভার্চুয়াল সম্পদে আস্থা হারাচ্ছে মানুষ, এর বদলে দৃশ্যমান সম্পদ কিনতে চাইছে সবাই। ফলে দাম বাড়ছে সোনা ও ডলারের মতো মুদ্রার।
আরও পড়ুন:ছোট ভিডিও-শেয়ারিংয়ের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের #StitchKindness শীর্ষক রমজান ক্যাম্পেইন শেষ ঘোষণা দিয়েছে।
ক্যাম্পেইনটি রমজানের চেতনাকে ধারণ এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে দয়া ও দানের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে। রোজা ও ঈদ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রচারিত পাঁচটি হ্যাসট্যাগের ক্যাম্পেইনটি এরইমধ্যে ১৭০ কোটির বেশিবার দেখা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনটিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, প্রখ্যাত মেকআপ শিল্পী সুমাইয়া মীম, জনপ্রিয় টিকটক কনটেন্ট নির্মাতা শাহাত বিন সেলিম এবং সুনেহরা তাসনিম।
টিকটকের বিজ্ঞাপনটি প্রতীকী হলেও ব্যাপকভাবে প্রসংশিত হয়। বিনোদনের একটি মাধ্যম হলেও এর মাধ্যমে টিকটকের কমিউনিটির উন্নতি এবং বাংলাদেশিদের একত্রিত করার মনোভাব ফুটে উঠেছিল।
#StitchKindness হ্যাশট্যাগটি প্রায় ১০০ কোটিবার দেখা হয়েছে। ভিডিওগুলোতে তুলে ধরা হয়েছে নিঃস্বার্থ ও পরিশ্রমী মানুষদের, যারা রোজার সময় অন্যদের সাহায্য করেছেন এবং কঠিন পরিস্থিতিতেও তাদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
সারা দেশের কনটেন্ট নির্মাতারা এই ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে টিকটক বিজ্ঞাপনের সাথে তাদের ভিডিওগুলো স্টিচ করে একটি চেইন অব কাইন্ডনেস তৈরি করেছেন। ক্যাম্পেইনটি রমজান মাসে ‘আনসান হিরোদের’ প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করেছে।
আরেকটি হ্যাশট্যাগ, #MaheRamadan যা ৩ কোটি ১৯ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। টিকটক কমিউনিটির মধ্যে রজমান মাসের সারমর্ম ও চেতনা ছড়িয়ে দিতে ক্যাম্পেইনটি কাজ করেছে। এ ছাড়া #RojarDin উদ্যোগ টিকটক ব্যবহারকারীদের সেহরি এবং ইফতারের সময় স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিজের যত্ন সম্পর্কে জানান দিয়েছে। প্ল্যাটফর্মটিতে এটি ৩১৯.৯ মিলিয়নবার দেখা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা #RamadanRecipe হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে রমজানের প্রিয় খাবারের ভিডিওগুলোও শেয়ার করেছেন, যা ৮৫.৮ মিলিয়নেরও বেশি দেখা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনটি শেষ হয়েছে দেশের অন্যতম বড় উৎসব- ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের মধ্য দিয়ে। আনন্দময় এই উৎসবকে উদযাপন করতে টিকটক কমিউনিটি #KhushirEid হ্যাসট্যাগটি ব্যবহার করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে। হ্যাসট্যাগটি ও প্রায় ১৮৭.৩ মিলিয়নবার দেখা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে এক্সক্লুসিভ কিছু ফিল্টার ও ইন অ্যাপ ইফেক্ট চালু করেছিল টিকটক।
রমজান মাস সবসময়ই আত্মিক উন্নয়ন, উদযাপন ও জমায়েতের মাস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে, তা অনলাইনে হোক বা অফলাইনে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকটক পবিত্র রমজান মাসের চেতনা সারাবিশ্বের সকল কমিউনিটির সাথে উদযাপন করেছে। এ ছাড়া এর লক্ষ্য ছিল সৃজনশীলতাকে অনুপ্রাণিত করা এবং বিশ্বব্যাপী টিকটকের ক্রমবর্ধমান কমিউনিটির জন্য আনন্দ বয়ে আনা।
আরও পড়ুন:উৎক্ষেপণের চার বছর অতিক্রম করেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। উৎক্ষেপণের পর তিন বছরে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট থেকে ৩০০ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে। এখন দেশের বাজার থেকেই প্রতি মাসে আয় ১০ কোটি টাকার বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড।
দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: তিন বছর আয় করতে পারেনি, খরচ উঠবে কবে’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে সেটি সঠিক তথ্যভিত্তিক নয় বলেও অভিযোগ তুলেছে বিএসসিএল।
বিএসসিএল এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার দাবি করেছে, ‘প্রতিবেদনটিতে কোম্পানির প্রকৃত ব্যবসায়িক চিত্র প্রতিফলিত হয়নি, ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।’
২০১৮ সালের ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস স্যাটেলাইটটি তৈরি ও উৎক্ষেপণের দায়িত্বে ছিল। সব মিলিয়ে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠাতে বাংলাদেশের খরচ হয় ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএসসিএল জানায়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তিন বছরে কোনো আয় করতে পারেনি কথাটি সঠিক নয়, বরং তিন বছর ধরেই আয়ের ধারায় রয়েছে কোম্পানি।
কোম্পানি জানায়, বিএসসিএলের এখন পর্যন্ত আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বর্তমানে কোম্পানির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা, যার প্রায় পুরোটাই দেশীয় বাজার থেকে হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এই আয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
অবশ্য বিএসসিএল কোম্পানি গঠনের আগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে সাত বছরে এর খরচ উঠে আসবে। সাধারণত এমন স্যাটেলাইটের আয়ু ধরা হয় ১৫ বছর। তবে এখনকার আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে তা সম্ভব হবে না।
বিএসসিএলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং দেশের সব বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ ৩৯টি টিভি চ্যানেল এবং দেশের একমাত্র ডিটিএইচ অপারেটর আকাশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার করছে।
দেশের দুটি স্বনামধন্য ব্যাংক এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে তাদের এটিএম সেবা দেয়া শুরু করেছে। আরও অনেকগুলো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে, যারা অদূর ভবিষ্যতে চুক্তি স্বাক্ষর করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সেবার আওতায় আসবে বলে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন) বিএসসিএলের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী এবং ডিজিএফআই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সেবার আওতায় আসবে। বাহিনীগুলো সম্মিলিতভাবে তিনটি ট্রান্সপন্ডারের মাধ্যমে সেবা নেবে।
বাংলাদেশ সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে বিএসসিএল ৩১টি দুর্গম ও প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের ১১২টি স্থানে টেলিযোগাযোগ সেবা দিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশিসংখ্যক দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগণকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সেবার আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়।
জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে এবং অনেকের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। পর্যায়ক্রমে এই ব্যবসায়িক আলোচনা সফল হলে দেশীয় বাজারেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর বৃহৎ গ্রাহক তৈরি হবে এবং এর থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়ও সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটির সেবা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল নেপাল ও ফিলিপাইন। অবশ্য বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সে উদ্যোগে অনেকটাই ভাটা পড়ে।
চাহিদার তুলনায় বৈশ্বিক বাজারে স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথের সরবরাহ বেশি থাকায় এবং করোনার কারণে বিদেশের বাজারে বিপণন কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এখন সে উদ্যোগ পুরোদমে শুরু হয়েছে বলে জানায় বিএসসিএল।
এখন দেশের বাজারে এর বিপণন বাড়াতেও কাজ করা হচ্ছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার শুরুর মাধ্যমে বিএসসিএল বিদেশের বাজারেও ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করেছে। সামনে এটি আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা কোম্পানির।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জাতির উন্নয়ন ও গর্বের প্রতীক। এর ওপরে জাতির অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে যেকোনো নেতিবাচক সংবাদ জনগণকে বিভ্রান্ত ও মর্মাহত করে।
সরকারি মালিকানাধীন হলেও বিএসসিএল একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং প্রচলিত নিয়মকানুন মেনেই এটিকে সামনের দিকে এগোতে হবে। এটি বিবেচনায় রেখে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বা বিএসসিএলের অর্জনগুলোকে ইতিবাচকভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য সংবাদমাধ্যমগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:ইকমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর চট্টগ্রাম বিভাগের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যাত্রা শুরু দ্য চেঞ্জমেকার্স টিম।
ই-ক্যাবের স্থানীয় সদস্য রাফসান কমিউনিকেশনের স্বত্ত্বাধিকারী জহিরুল আলম, ব্যাচেলর ডটকমের সঞ্জয় চৌধুরীসহ চট্টগ্রামের ই-ক্যাব সদস্যরা এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
দ্য চেঞ্জমেকার্স টিমের সদস্য ওয়াসিম আলিম (বাংলামেডস), জিয়া আশরাফ (চালডাল), তাসদীখ হাবীব (ক্লিন ফোর্স লিমিটেড), জিসান কিংশুক হক (আরটিএস এন্টারপ্রাইজ), ফাতিমা বেগম (আদি বিডি), মোজাম্মেল হক মৃধা (কিনলে ডট কম), আবু সুফিয়ান নিলাভ (নিজল ক্রিয়েটিভ), বিপ্লব ঘোষ রাহুল (ই-কুরিয়ার) প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
টিমের সদস্য জিসান কিংশুক হক বলেন, 'চট্টগ্রামে আমরা ই-ক্যাবের একটি বিভাগীয় অফিস করতে চাই। সদস্য বান্ধব বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে এই শিল্প নগরীতে ই-ক্যাবকে আরও বিকশিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।'
তিনি বলেন, 'আমাদের পরকিল্পনা আছে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের ইক্যাব সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করার।'
এসব মতবিনিময় সভা থেকে উঠে আসা বিভিন্ন সুপারিশ ভবিষ্যতে তারা সদস্যদের কল্যাণে বাস্তবায়ন করতে চান বলেও জানান।
দেশের বাজারে নতুন দুটি স্মার্টফোন উন্মোচন করতে যাচ্ছে রিয়েলমি। আগামী ২২ মে ব্র্যান্ডটি দেশে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি ৯ ফোরজি এবং রিয়েলমি সি৩৫ উন্মোচন করবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, উদ্ভাবনী ডিজাইনের এন্ট্রি-লেভেলের রিয়েলমি সি৩৫ ডিভাইসটির ডিজাইন নজরকাড়া। অধিকাংশ এন্ট্রি-লেভেলের ডিভাইসে ফিচারে দেয়া হয়েছে গুরুত্ব।
রিয়েলমি সি৩৫ ফোনের ক্ষেত্রে ডিজাইন ও ফিচার দুটি বিষয়ের ওপরই গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এতে রয়েছে ফ্লোটিং গ্লোয়িং ডিজাইন, যা এন্ট্রি লেভেলের ডিভাইসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
চমৎকার ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা পেতে এ ডিভাইসটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা, ৬.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি প্লাসের ডিসপ্লে।
অন্যদিকে, ফ্ল্যাগশিপ ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেটআপ নিয়ে আসছে রিয়েলমি ৯ ফোরজি; যাতে থাকছে আইসোসেল এইচএম সিক্স সেন্সর। ফলে লো-লাইটেও চমৎকার ও ঝকঝকে ছবি তোলা যাবে ফোনটি দিয়ে।
ডিভাইসটিতে ৯০ হার্টজ সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেসহ পাওয়ার অ্যাফিশিয়েন্ট অত্যাধুনিক ৬ ন্যানোমিটারের স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।
চমৎকার অভিজ্ঞতা দিতে এতে রিয়েলমি ইউআই ৩.০ ও অ্যান্ড্রয়েড ১২ ফিচার রয়েছে। এই ডিভাইটি খুবই স্লিম মাত্র ৭.৯ মিলিমিটার এবং এতে রয়েছে দেশের প্রথম দুর্দান্ত রিপল হলোগ্রাফিক ডিজাইন।
আরও পড়ুন:মহাকাশ থেকে ইন্টারনেট সেবা সরবরাহের প্রতিষ্ঠান ইলন মাস্কের স্টারলিংক। বিশ্বের অনেক দেশের গ্রাহক এরই মধ্যে স্টারলিংকের রাউটারের ব্যবহার শুরু করেছে। গ্রাহকসংখ্যা এরই মধ্যে ১ লাখ ছাড়িয়েছে।
এবার স্টারলিংকের রাউটার কেনার জন্য আগাম অর্ডার করা যাবে বাংলাদেশ থেকেও। সম্প্রতি স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে ডিভাইসের অর্ডার নেয়া হচ্ছে। ৯৯ ডলার ডিপোজিট করে যে কেউ অর্ডার করতে পারবে।
বাংলাদেশে সার্ভিস দেয়ার ক্ষেত্রে স্টারলিংক আশা করছে ২০২৩ সালেই এখানে তারা সেবা চালু করতে পারবে। তবে যেহেতু বাংলাদেশে অনুমোদনের কিছু বিষয় আছে, সে ক্ষেত্রে তারা যদি সেবা চালু করতে না পরে তবে স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে ডিপোজিটের পুরো অর্থই গ্রাহক ফেরত পাবেন।
স্পেসএক্সের সহপ্রতিষ্ঠান স্টারলিংক পৃথিবীর দ্রুত বিকাশমান বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি, যাদের লক্ষ্য পৃথিবীর লো-অরবিটে থাকা স্যাটেলাইট থেকে বিশ্বব্যাপী লো লেটেন্সির ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা। স্টারলিংক তার বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে, খুব শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরিতে সক্ষম হবে।
ইউক্রেনে চলমান রুশ অভিযানে দেশটির ইন্টারনেট ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়লে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী মাইখাইলো ফ্রেডরক ইলন মাস্কের কাছে সাহায্য চান। তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউক্রেনের ইন্টারনেট সেবাকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে তিনি স্টারলিংক স্যাটেলাইট সক্রিয় করেন।
আরও পড়ুন:টানা তিন সপ্তাহের নাটকীয়তার পর ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কেনার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আপাতত তা স্থগিত করেছেন টেসলা সিইও ও স্পেসএক্সের প্রধান প্রকৌশলী ইলন মাস্ক।
শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তিনি নিজেই এ ঘোষণা দেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের স্প্যাম এবং ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে সর্বশেষ তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য অপেক্ষা করবেন মাস্ক।
এ সংক্রান্ত রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, টুইটার কেনা চুক্তি আপাতত স্থগিত করা হলো।
এরই মধ্যে শেয়ার বাজারে টুইটারের দাম পড়ে গেছে ২০ শতাংশ।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়নি টুইটার কর্তৃপক্ষ। মাস্কের পক্ষ থেকেও বিস্তারিত বক্তব্য আসেনি।
বেশ কিছু দিন ধরে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ঝুঁকির মুখে আছে বলে এর আগে জানিয়েছিল টুইটার।
গত ৪ এপ্রিল জানা যায়, টুইটারের প্রায় ৯.২ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইলন মাস্ক। যার জন্য তিনি খরচ করেছেন ২.৪ বিলিয়ন ডলার। সে সময় একক মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিক হলেও ১০ এপ্রিল টুইটার বোর্ডের মিটিংয়ে যোগ দিতে অস্বীকার করেন তিনি।
পরে ইলন মাস্ক তার পরিকল্পনা স্পষ্ট করেন যে, তিনি আসলে পুরো টুইটারই চান। ১৪ এপ্রিল ইলন মাস্ক টুইটারের বাকি শেয়ারগুলোর প্রতিটি ৫৪.২০ ডলারে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেন, যা আগের কেনা ৯.২ শতাংশ শেয়ারের থেকে ৩৮ শতাংশ বেশি।
ইলন মাস্কের বক্তব্য ছিল, কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য বাকস্বাধীনতা একটি সামাজিক বাধ্যবাধকতা। বর্তমান কাঠামোতে টুইটার তা দিতে পারবে না। পরে তিনি ‘সেরা ও চূড়ান্ত’ প্রস্তাব হিসেবে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কোম্পানিটিকে ব্যক্তিগতভাবে কিনে ফেলার প্রস্তাব দেন।
এর আগে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে টেডের এক সাক্ষাৎকারে দেয়া বক্তব্যে মাস্ক জানান, টুইটার থেকে আয়ের কোনো লক্ষ্য নেই তার।বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন বাকস্বাধীনতাই তার লক্ষ্য। এমনকি টুইটারের অভ্যন্তরীণ সব কিছু একজন ব্যবহারকারী যাতে জানতে পারে, তার জন্য টুইটারের অ্যালগরিদমও উন্মুক্ত করে দিতে চান তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য