× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
The house where Bangabandhu was hiding was found in Srirampur
google_news print-icon

বঙ্গবন্ধুর আত্মগোপন করা বাড়ির খোঁজ মিলল শ্রীরামপুরে

বঙ্গবন্ধুর-আত্মগোপন-করা-বাড়ির-খোঁজ-মিলল-শ্রীরামপুরে
পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুরে বঙ্গবন্ধুর আত্মগোপন করা বাড়ির সন্ধান। ছবি: নিউজবাংলা
বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা আত্মজীবনী থেকে পাওয়া খুঁটিনাটি তথ্য মিলিয়ে শ্রীরামপুরের মসজিদ লেনের সে বাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

১৯৪৬ সালে মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে তৎকালীন নিখিল ভাতর মুসলিম লীগ যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল তাতে শুরু হয় মুসলিম-হিন্দুদের মধ্যে দাঙ্গা। একপর্যায়ে দাঙ্গার সময় কলকাতার একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান।

পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুরে ৭৬ বছর আগে যে বাড়িতে উঠিছেন বাংলাদেশের জাতীর পিতা সে বাড়ির সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশের দুটি গবেষণা দল।

বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা আত্মজীবনী থেকে পাওয়া খুঁটিনাটি তথ্য মিলিয়ে শ্রীরামপুরের মসজিদ লেনের সে বাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গবেষণামূলক সংস্থা ‘হাসুমনির পাঠশালা’ এবং ‘মুজিবুর রহমান গবেষণা সংস্থা’র কর্তা শামসুল হুদার নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল বাড়িটি চিহ্নিত করেছে।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য ডেরার খোঁজ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল সে বাড়ির খোঁজে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুরের ২/এ মসজিদ লেনের টিকিয়াপাড়ার যান। সেখানে পরে সে বাড়িটিকে চিহ্নিত করে।

বাড়িটিকে চিহ্নিত করতে পেরে উচ্ছ্বসিত শামসুল হুদা বলেন, ‘এ যেন ইতিহাসের পুনরুদ্ধার।’

বাংলাদেশের হাসুমনির পাঠশালার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলাগড় বিজয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়ে ওই বাড়ির খোঁজ শুরু করেন।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘শেওড়াফুলির রাজবাড়ির বংশধর আশীষ ঘোষের চেষ্টায় ওই বাড়ির খোঁজ মিলেছে। পুরনো ধাঁচের ইমারতের একাংশে আধুনিকতার ছোঁয়া পড়েছে বাড়িতে।’

তিনি বলেন, ‘এই বাড়িতেই দাঙ্গার সময় আত্মীয়-পরিজনদের খোঁজ নিতে এসে থেকেছিলেন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

স্থানীয়রা কেউ বিষয়টি বলতে না পারলেও সূত্র দিলেন মসজিদ লেনের বয়স্ক বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘মুজিবুর সাহেবকে আমার মনে নেই। তবে মসজিদের পাশের বাড়িটা সবুর মিয়ার ছিল। তিনি অভিজাত মানুষ ছিলেন। সে জমানায় বাড়িতে বন্দুক থাকত। অনেকে এসে থাকতেন। তখন খুব ছোট ছিলাম। একজন একটু খুঁড়িয়ে চলা মানুষও থাকতেন, পরে তাকে খুলনাতে দেখেছি। শুনেছি আন্দোলন করেছেন।’

মুজিবুর রহমান গবেষণা সংস্থার কর্তা শামসুল হুদা বলেন, ‘ওই খুঁড়িয়ে চলা ব্যক্তি নাসের শেখ। জাতির জনকের ভাই। পরে তিনি খুলনাতে বাস করতেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনিও খুন হয়েছিলেন। সব ইতিহাসই মিলে যাচ্ছে। অতি দ্রুত আমাদের সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রীসহ একটি প্রতিনিধিদল ভারতে আসবে।’

তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যখন পাকিস্তান রাষ্ট্র বাস্তবায়নের দাবিতে ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’ পালনের ঘোষণা দেন, এর পরিপ্রেক্ষিত শুরু হয় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা।

শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইতে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেছেন এভাবে-

‘‘হাশিম সাহেব আমাদের নিয়ে সভা করলেন। আমাদের বললেন, ‘তোমাদের মহল্লায় মহল্লায় যেতে হবে, হিন্দু মহল্লায়ও তোমরা যাবে। তোমরা বলবে, আমাদের এই সংগ্রাম হিন্দুদের বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, আসুন আমরা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে দিনটি পালন করি।’ আমরা গাড়িতে মাইক লাগিয়ে বের হয়ে পড়লাম। হিন্দু মহল্লায় ও মুসলমান মহল্লায় সমানে প্রোপাগান্ডা শুরু করলাম। অন্য কোন কথা নাই, ‘পাকিস্তান’ আমাদের দাবি। এই দাবি হিন্দুর বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। ফরোয়ার্ড ব্লকের কিছু নেতা আমাদের বক্তৃতা ও বিবৃতি শুনে মুসলিম লীগ অফিসে এলেন এবং এই দিনটা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হিন্দু মুসলমান এক হয়ে পালন করা যায় তার প্রস্তাব দিলেন। আমরা রাজি হলাম। কিন্তু হিন্দু মহাসভা ও কংগ্রেসের প্রোপাগান্ডার কাছে তারা টিকতে পারল না। হিন্দু সম্প্রদায়কে বুঝিয়ে দিল এটা হিন্দুদের বিরুদ্ধে।’’

সে সময় তরুণ নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও তার সহযোদ্ধাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল কলকাতায় আক্রান্তদের রক্ষা করার। সে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তখন একটা সময়ে আত্মগোপনে যেতে হয়েছিল তাকে।

আরও পড়ুন:
রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যর্পণ ঠেকিয়েছিল বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উচ্চফলনশীল জাতের ‘বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান’ চাষে সফলতা
অর্থায়ন জটিলতায় ‘বঙ্গবন্ধু হেলিপোর্ট’
‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ তথ্যচিত্র বানাচ্ছেন গৌতম ঘোষ
মুজিব কনসার্টে অংশ নেয়া শিল্পীদের করছাড়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Speaker and three MPs jumped from the third floor of the secretariat in India

ভারতে সচিবালয়ের তিনতলা থেকে স্পিকার ও তিন এমপির লাফ

ভারতে সচিবালয়ের তিনতলা থেকে স্পিকার ও তিন এমপির লাফ মহারাষ্ট্রে সচিবালয় ভবন থেকে লাফ দিয়ে নিচে জালের ওপর পড়া তিনজন উদ্ধার করছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
মহারাষ্ট্র রাজ্যের ধাঙড় গোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির অন্তর্ভুক্ত করার দাবির প্রতিবাদে ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল এবং অন্য তিনজন আদিবাসী সংসদ সদস্য সচিবালয়ের তিনতলা থেকে ঝাঁপ দেন।

ভারতের মহারাষ্ট্রে সচিবালয় ভবন থেকে লাফ দিয়েছেন রাজ্যটির ডেপুটি স্পিকারসহ তিনজন সংসদ সদস্য। শুক্রবার দুপুরের দিকে ভবনটির তিনতলা থেকে তারা লাফ দেন। তবে ভবনের নিচে জাল থাকায় তারা রক্ষা পেয়েছেন।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের ধাঙড় গোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির (এসটি) অন্তর্ভুক্ত করার দাবির প্রতিবাদে ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল এবং অন্য তিনজন আদিবাসী সংসদ সদস্য সচিবালয়ের তিনতলা থেকে ঝাঁপ দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ভবনটির নিচে থাকা জালের ওপর তারা। কারও তেমন কোনো আঘাত লাগেনি। তাদেরকে নিরাপদে জাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সচিবালয়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধের চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে এই জাল স্থাপন করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনজন এমপি জাল থেকে নেমে আবার সচিবালয় ভবনে উঠছেন। চলতি বছরের শেষে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এমন ঘটনা মহারাষ্ট্রে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পশ্চিম মহারাষ্ট্র ‌ও মরাঠাওয়াড়া অঞ্চলে ধাঙড় জনগোষ্ঠীর বসবাস। কয়েক বছর ধরেই তারা ভারত সরকারের কাছে জনজাতির স্বীকৃতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছে। গত মাসেই ধাঙড় গোষ্ঠীর এক নেতা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি পূরণ না হলে তাদেরও শিন্ডেকে প্রয়োজন নেই।

মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশসহ মন্ত্রিসভার অন্য কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার তফসিলি জনজাতি (এসটি) বিষয়ে বৈঠক করেন। এ সময় কয়েকজন আদিবাসী এমপি সচিবালয় কমপ্লেক্সে বিক্ষোভ করেন। ধাঙড় জনগোষ্ঠী বর্তমানে অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) বিভাগে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা এসটি বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Death toll rises to 193 in Nepal

নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩

নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩
নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত অবস্থায় ৯৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৩১ জন।

নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত অবস্থায় ৯৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৩১ জন।

সোমবার দেশটির পুলিশ জানায়, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী কাঠমান্ডু। শহরটিতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সূত্র: সিনহুয়া/ইউএনবি

নেপালের ৮০টি জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে ৪৭টি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ভৌত অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়।

এছাড়াও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সেচ সুবিধা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার আনুমানিক পরিমাণ তিন কোটি ২৬ লাখ ডলার।

জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শুক্র ও শনিবার টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগে জলবিদ্যুৎ ও সঞ্চালন প্রকল্পে আনুমানিক তিন বিলিয়ন রুপি (২২.৫ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে নদী নিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্পে আনুমানিক ১.৩৫ বিলিয়ন রুপি (১০.১ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতি হয়েছে।

কর্মকর্তা আরও জানান, বন্যায় ৬২৫.৯৬ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ১১টি চালু জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য চালু বিদ্যুৎকেন্দ্রও বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, যা দেশের চালু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট সক্ষমতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়াও নির্মাণাধীন ১৫টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।

তবে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজ দ্রুতগতিতে শুরু হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্যা ও ভূমিধসে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হবে এবং নিহতদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

উদ্ভূত দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে দেশের সব স্কুল-কলেজ তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Import export closed on October 9 12 in Benapole during Durga Puja

দুর্গাপূজায় বেনাপোলে ৯-১২ অক্টোবর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

দুর্গাপূজায় বেনাপোলে ৯-১২ অক্টোবর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ৯ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে বেনাপোল শুল্ক ভবন ও বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা চার দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে বেনাপোল শুল্ক ভবন ও বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘শারদীয় দূর্গাপূজার সরকারি ছুটির কারণে ৯ অক্টোবর বুধবার থেকে ১২ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তাই এ সময় বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে ইলিশের চালান গ্রহণ করা হবে। ১৩ অক্টোবর রোববার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘দুর্গাপূজার ছুটির কারণে চারদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পত্র দিয়ে আমাদেরকে অবহিত করেছে।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজীব নাজির বলেন, ‘দুর্গাপূজার ছুটির বিষয়টি ওপারের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এপারের বন্দরে পণ্য উঠানামা, খালাস ও পণ্যের শুল্কায়ন কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের পর ভারতীয় ট্রাক দেশে ফিরে যেতে পারবে।’

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ ভুইয়া বলেন, ‘পূজার ছুটিতে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময় দুদেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।’

আরও পড়ুন:
৫ অর্থবছর পর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
‘অতিরিক্ত শুল্ক আদায়’, বেনাপোলে আটকা পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক
ভাঙা কাঁচে কেটেছে হাত, বেনাপোলে যাত্রীদের পেটাল পুলিশ
বেনাপোল বন্দরে ৫ দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদের ছুটিতে বেনাপোলে যাত্রীর ভিড়, পেট্রাপোলে ভোগান্তি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The Indian High Commission has returned the passports of 20000 Bangladeshis

ভারতীয় হাইকমিশন ২০ হাজার বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে

ভারতীয় হাইকমিশন ২০ হাজার বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে রাজধানী ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ভিসা আবেদন কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। ওই সময়ের মধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করা বাংলাদেশিদের পাসপোর্টগুলো ভারতীয় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ছিল।

ভারত ভ্রমণে ভিসার জন্য জমা দেয়া ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ঢাকায় দেশটির হাইকমিশন।

সোমবার ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।

প্রতিবেদনে সূত্রের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে ভিসার দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং হুমকিমূলক ই-মেইল দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। ওই সময়ের মধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করা বাংলাদেশিদের পাসপোর্টগুলো ভারতীয় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ছিল।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসিনা সরকারের পতনের পর দু’দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় হাইকমিশন। অবশ্য উভয় দেশের সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।

ভিসা পরিষেবা স্থগিত করার পর এক পর্যায়ে সীমিতসংখ্যক জরুরি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াকরণ শুরু করে ভারতীয় হাইকমিশন। এর মধ্যে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি, স্টুডেন্ট এবং তৃতীয় দেশে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ডাবল-এন্ট্রি ভিসা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আর এ কারণে হতাশাগ্রস্ত আবেদনকারীদের অনেকেই ব্যাপকভাবে হাইকমিশনে ই-মেইল করছেন, এমনকি কিছু ই-মেইলে ভাঙচুরের হুমকিও রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভিসা আবেদন কেন্দ্রের সদস্যরা প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো জনগণের অসন্তোষ প্রকাশের স্থানে পরিণত হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, বাংলাদেশ ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিসা আবেদনকারী দেশ। শুধু ২০২৩ সালেই প্রায় ১৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা ইস্যু করে ভারত, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লাখ ভিসা ইস্যু হয়েছিল চিকিৎসার উদ্দেশ্যে।

তবে দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে সাবধানতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে হাইকমিশন। অস্থায়ী ভিসা প্রদানে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কারণ ভিসার অপব্যবহারের কিছু ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসা ভিসায় ভ্রমণকারীরা স্বাস্থ্যসেবার জন্য নয়, অন্য উদ্দেশ্যে ভারত ভ্রমণ করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক মিশনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। তাই বাংলাদেশিরা প্রায়ই ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে ভিসার জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল।

এদিকে দুর্গাপূজা ঘনিয়ে আসায় পশ্চিমবঙ্গে পূজা উৎসবে যোগ য়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভিসার আবেদন বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
এবার লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু
পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে ভারতের সঙ্গে বৈঠক শিগগিরই: রিজওয়ানা
আটক বিএসএফ জওয়ানকে পতাকা বৈঠক শেষে ফেরত
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ বাংলাদেশের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Bangladesh wants close relations with Maldives
মুইজ্জু-ইউনূস বৈঠক

মালদ্বীপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ

মালদ্বীপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ মালদ্বীপের একটি এলাকা। ছবি: এশিয়া ফাউন্ডেশন
দুই নেতা আলোচনার সময় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, সার্ক সক্রিয়করণ, জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণায় সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠকে দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

দুই নেতা আলোচনার সময় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, সার্ক সক্রিয়করণ, জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণায় সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা মালদ্বীপের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্কের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুতর প্রভাবসহ অনেক বিষয়ে মিল আছে।

জলবায়ু সংকটের কারণে উদ্ভূত বিপদের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের পুরো অস্তিত্বই ঝুঁকির মুখে।’

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট দেশের নির্মাণ ও পর্যটন খাতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

মোহাম্মদ মুইজু বলেন, উভয় দেশ পর্যটন, মৎস্যসম্পদ এবং জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণায় একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে তা দুই দেশের মানুষের জন্য উপকারী হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি সার্কের সক্রিয়তাকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ঘনিষ্ঠ সংহতকরণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখতে চান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা কাছাকাছি থাকব। আমাদের দূরে থাকা উচিত নয়।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও চামড়া খাতে বিনিয়োগ করতে চায় পাকিস্তান
বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারত্ব জোরদার চায় চীন
পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে ভারতের সঙ্গে বৈঠক শিগগিরই: রিজওয়ানা
বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক জোরদারে তৌহিদ ও মেলানির আলোচনা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
46 people drowned in religious festival in Bihar

বিহারে ধর্মীয় উৎসবে পানিতে ডুবে ৪৬ জনের মৃত্যু

বিহারে ধর্মীয় উৎসবে পানিতে ডুবে ৪৬ জনের মৃত্যু জীবিতপুত্রিকা উৎসবের অংশ হিসেবে লোকজন পবিত্র স্নান করতে বিহারজুড়ে নদী ও পুকুরে জড়ো হন। ছবি: ইউএনবি
বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বুধবার উৎসব চলাকালীন রাজ্যের ১৫টি জেলা থেকে এসব মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে ধর্মীয় উৎসবে স্নান করার সময় ডুবে গিয়ে ৩৭ শিশুসহ অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান।

জীবিতপুত্রিকা উৎসবের অংশ হিসেবে লোকজন পবিত্র স্নান করতে রাজ্যজুড়ে নদী ও পুকুরে জড়ো হন।

বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বুধবার উৎসব চলাকালীন রাজ্যের ১৫টি জেলা থেকে এসব মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
শেষ টেস্টে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
এবার লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু
পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে ভারতের সঙ্গে বৈঠক শিগগিরই: রিজওয়ানা
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ বাংলাদেশের

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The first shipment of hilsa export to India was 18 tons

ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু, প্রথম চালানে গেল ১৮ টন

ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু, প্রথম চালানে গেল ১৮ টন বেনাপোল বন্দরে বৃহস্পতিবার বিকেলে চালানের ইলিশের মান পরীক্ষা করা হচ্ছে (বাঁয়ে); রপ্তানি করা ইলিশ। ছবি ও কোলাজ: নিউজবাংলা
প্রথম চালানের ইলিশগুলো ছয়টি ট্রাকে করে পৌঁছে বেনাপোল বন্দরে। মান পরীক্ষার পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে চালানটি ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক হাজার ২০০ টাকা।

অবশেষে ভারতে গেল বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ। রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশের প্রথম চালানে ভারতের পথে ১৮ টন (১৮ হাজার কেজি) ইলিশ।

প্রথম চালানের ইলিশগুলো ছয়টি ট্রাকে করে পৌঁছে বেনাপোল বন্দরে। পরে এই মাছের মান পরীক্ষার পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।

প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য পড়ছে ১০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২০০ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২৪ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে দু’হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ টন করে ও একজনকে ২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়। এই অনুমতির মেয়াদ ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।

বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র নিয়ে ইলিশের চালান বন্দরে আসার পর মান নিয়ন্ত্রণ যাচাই করে ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়।

আজ প্রথম চালানে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ টন ইলিশ ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে যদি ইলিশবাহী আরও কোনো ট্রাক বন্দরে আসে তাদেরকেও ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।

বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, রপ্তানিকারকরা প্রতি কেজি ১০ ডলার মূল্যে ইলিশ সরবরাহ করছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার ২০০ টাকা। এ পর্যন্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠান ১৮ টন ইলিশ ছাড়করণের উদ্দেশ্যে তাদের কাগজপত্র বেনাপোল কাস্টম হাউজে জমা দিয়েছে। চালানের কাগজপত্র সঠিক পাওয়ায় আমাদের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, উৎসবের মৌসুমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২০১২ সাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশ রপ্তানি হয়ে এসেছে। আগের সরকারগুলো একে বলত ‘উপহারের ইলিশ’। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানো প্রশ্নে আগে দেশের চাহিদা পূরণের উল্লেখ করে কিছুটা কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করে। পরে অবশ্য অবস্থান পরিবর্তন করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ইলিশ ধরা-বিক্রি নিষিদ্ধ ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর
ভারতের অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন: উপদেষ্টা
সুনামগঞ্জ সীমান্তে আবারও ইলিশের চালান আটক
দুর্গাপূজা: ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন

মন্তব্য

p
উপরে