পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করায় বেশির ভাগ পাকিস্তানি খুশি। ৫৭ শতাংশ বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছিল পিটিআই সরকার। অবশ্য ইমরানের সমর্থকও কম না। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ৪৩ শতাংশ।
ওয়াশিংটনভিত্তিক জরিপ ও তথ্য বিশ্লেষক সংস্থা গ্যালাপ পাকিস্তান এ জরিপ চালিয়েছে। রোববার মধ্যরাতের পর তারা শুরু করে কার্যক্রম। এর কয়েক ঘণ্টা আগে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান ইমরান খান।
ব্লুমবার্গ বলছে, গড়পড়তা নম্বরে কল করে পাকিস্তানের ১০০ জেলার এক হাজার নারী ও পুরুষের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়।
যারা সাবেক ক্রিকেট তারকার প্রস্থানকে ইতিবাচক বলেছেন তাদের যুক্তি, সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। আর ইমরানকে সরিয়ে দেয়ায় যারা অসন্তোষ জানিয়েছেন তারা বলছেন, ইমরান খান একজন সৎ মানুষ ছিলেন।
অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার জন্য ব্যাপক সমালোচনায় ছিল ইমরান খান নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। পাকিস্তানি রুপির বিপরীতে ডলারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়েছে।
তবে বিদেশি মদদে দেশের বিরোধী দলগুলো দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করছেন ইমরান খান। দ্রুত নির্বাচনের তাগিদও দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই পাঞ্জাবের সাবেক গভর্নর শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:Nation divided over issue of PTI govt dismissal. Significant majority of intermediate or better educated men and women are angry, resentment highest in KP and among new voters.
— Gallup Pakistan (@GallupPak) April 12, 2022
2/4 pic.twitter.com/qASXpB831p
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনাবাহিনীর আলাদা তিন অভিযানে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী প্রদেশের লাক্কি মারওয়াত, কারাক ও খাইবার জেলায় অভিযান চালায়।
এতে আরও বিবৃতিতে বলা হয়, লাক্কি মারওয়াতে অভিযানে ১৮ সন্ত্রাসী নিহত ও ছয়জন আহত হন। কারাক জেলায় আরও ৮ সন্ত্রাসী নিহত হন।
সেনাবাহিনী আরও বলেছে, তাদের তৃতীয় অভিযানটিতে গোষ্ঠীটির নেতাসহ ৪ সন্ত্রাসী নিহত ও দুজন আহত হন।
অভিযানে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
এলাকায় অন্য সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি নির্মূল করতে একটি ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হচ্ছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিপদ নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন:ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে ২৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে।
তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
পুলিশ জানায়, একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহকর্মীর কাজ করতেন ওই নারী। বৃহস্পতিবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
বাহিনীটি আরও জানায়, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা একটি নির্জন এলাকায় নারীর মৃতদেহ দেখতে পান। তারা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেন।
কর্ণাটক থেকে পিটিআই শনিবার এ খবর জানায়।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাণ হারানো নারী বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন।
তার কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তবে তার স্বামীর বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি মেডিক্যাল ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
ওই নারী বৃহস্পতিবার তার সহকর্মীকে বলেছিলেন, তার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং দেরি হতে পারে। তাই সহকর্মীকে বলেন তাকে ছাড়াই চলে যেতে। তবে বাড়ি ফিরতে নারীর দেরি হলে তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় অভিযোগ করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী স্বেচ্ছায় কোনো নির্জন জায়গায় গিয়েছিলেন পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করার জন্য। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার মাথায় গুরুতর জখমের চিহ্ন ছিল।
তথ্য পাওয়ার পর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পূর্ব বিভাগ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) দেবরাজ।
আরও পড়ুন:ভারতের মধ্যাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১২ মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।
নয়াদিল্লি মাওবাদীদের দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা দমনে পদক্ষেপ জোরদার করেছে। শুক্রবার পুলিশ এই খবর জানায়।
কয়েক দশকের মাওবাদী সহিংসতায় ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হন।
বিদ্রোহীদের দাবি, তারা প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সহিংসতার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছত্রিশগড়ের বিজাপুর জেলার বন-জঙ্গলে বৃহস্পতিবার এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সুন্দররাজ পি. এএফপিকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১২ মাওবাদী নিহত হয়েছে।’
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দুই শতাধিক মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হন।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সরকার আশা করছে ২০২৬ সালের মধ্যে বিদ্রোহীদের দমন করা সম্ভব হবে।
বিদ্রোহীরা গত কয়েক বছরে সরকারি সেনাদের টার্গেট করে বেশ কিছু প্রাণঘাতী হামলা চালায়।
চলতি মাসের গোডার দিকে রাস্তায় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ৯ ভারতীয় সেনা নিহত হন।
আরও পড়ুন:ভারতের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান।
স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাত আড়াইটায় একজন অনুপ্রবেশকারী বাসায় ঢুকে সাইফ আলীকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছে।
হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, সাইফ আলী খান এখন বিপদমুক্ত। রাতে তার নিউরো সার্জারি করা হয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারি চলছে।
এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, সাইফ আলী যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন একজন অনুপ্রবেশকারী চুপিসারে তার বাসায় ঢোকেন। এ সময়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাইফের হাতাহাতি হয়।
এরপর সাইফ আলী খানকে ছয়বারের বেশি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান অনুপ্রবেশকারী।
এক বিবৃতিতে লীলাবতী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছয়টি আঘাতের মধ্যে দুটি তার মেরুদণ্ডের কাছে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
এরই মধ্যে তার বাসার তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ও ভক্তদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে সাইফ আলী খান টিম।
এতে বলা হয়, ‘এটি এখন পুলিশের কাজ। আমরা আপনাদের হালানাগাদ তথ্য জানিয়ে দেব।’
কারিনা কাপুর খান টিমও একই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন।’
আরও পড়ুন:নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই শনিবার বলেছেন, তিনি তার জন্মভূমি পাকিস্তানে ফিরে আসতে পেরে ‘অভিভূত’ ও ‘আনন্দিত’।
ইসলামি বিশ্বে নারী শিক্ষাবিষয়ক বিশ্বব্যাপী এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।
ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ২০১২ সালে স্কুলছাত্রী মালালাকে পাকিস্তানি তালেবানরা গুলি করে এবং এরপর তিনি বিদেশে চলে যান। বিদেশে যাওয়ার পর মাত্র কয়েকবার তিনি দেশে আসেন।
রাজধানী ইসলামাবাদে সম্মেলনে পৌঁছে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে ফিরে আসতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত, অভিভূত ও আনন্দিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দুই দিনব্যাপী এ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন শনিবার সকালে। এতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা একত্রিত হবেন।
স্থানীয় সময় রোববার ইউসুফজাইয়ের সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম এক্সে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমি সকল মেয়ের স্কুলে যাওয়ার অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলব। আফগান নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কেন তালেবান নেতাদের জবাবদিহি করতে হবে, সে ব্যাপারেও বলব।'
দেশটির শিক্ষামন্ত্রী খালিদ মকবুল সিদ্দিকী এএফপিকে জানান, আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে এ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তালেবান ইসলামাবাদের এ আমন্ত্রণে কোনো সাড়া দেয়নি।
আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে মেয়ে ও নারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেতে বাধা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবান সরকার আফগানিস্তানে কঠোরভাবে ইসলামী আইন আরোপ করেছে। জাতিসংঘ একে ‘লিঙ্গ বর্ণবাদ’ বলে অভিহিত করেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তান তীব্র শিক্ষা সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। দেশটিতে দুই কোটি ৬০ লাখের বেশি শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে। তাদের অধিকাংশই দারিদ্র্যের কারণে স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রত্যন্ত সোয়াত উপত্যকার একটি স্কুল বাসে ২০১২ সালে পাকিস্তান তালেবান জঙ্গিদের হামলার পর ইউসুফজাই বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপর তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়।
পরবর্তী সময়ে তিনি নারী শিক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রবক্তা হয়ে ওঠেন। ১৭ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হন তিনি।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে আবারও মন্তব্য থেকে বিরত থেকেছে নয়াদিল্লি।
সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রত্যর্পণের বিষয়ে মন্তব্য করেননি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন যে, এক সপ্তাহ আগে আমি নিশ্চিত করেছিলাম যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছ থেকে আমাদের কাছে যোগাযোগ করা হয়েছে। এর বাইরে এ বিষয়ে আমার যোগ করার কিছু নেই।’
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গত রোববার বলেছিলেন, তারা শুনেছেন যে, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না ভারত।
‘আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো তারা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা তাকে (হাসিনা) ফেরত দেবে না। আমরা এমনটাই শুনছি।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে নয়াদিল্লির কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেলে নির্দিষ্ট সময় পর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেবে ঢাকা।
আরও পড়ুন:ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সই করা ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির স্থপতি হিসেবে পরিচিত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন, যার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাড়িতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়।
‘বাড়িতে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছিল। রাত আটটা ছয় মিনিটে তাকে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি এবং রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বয়সজনিত অসুস্থতা নিয়ে সিংয়ের চিকিৎসা চলছিল।’
একজন মৃদুভাষী টেকনোক্র্যাট মনমোহন সিং ১০ বছরের জন্য ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। দুর্দান্ত ব্যক্তিগত সততার মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সোনিয়া গান্ধী ২০০৪ সালে তাকে এ দায়িত্ব পালন করার জন্য বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত সিং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর ফলে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে কংগ্রেস পার্টির শোচনীয় পরাজয় হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর মনমোহন সিং সাধারণ জীবনযাপন শুরু করেন।
২০১৪ সালে মনমোহনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদি তাকে ভারতের অন্যতম ‘বিশিষ্ট নেতা’ বলে অভিহিত করেন, যিনি নম্র উৎস থেকে উঠে এসেছেন এবং বছরের পর বছর ধরে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিতে একটি শক্তিশালী ছাপ রেখে গেছেন।
সোশ্যাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মোদি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি (মনমোহন সিং) মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।’
তিনি আইনপ্রণেতা হিসেবে সংসদে মনমোহনের হস্তক্ষেপকে ‘অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য