ভারতের ঐক্য মজবুত করতে বিদেশি ভাষা ইংরেজি সরিয়ে দেশীয় ভাষা হিন্দিকে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে এবং দুজন ভিন্ন ভাষার ভারতীয় কর্মীর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে হিন্দি ভাষাকে আরও বেশি ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ।
শুক্রবার দিল্লিতে আয়োজিত সংসদীয় সরকারি ভাষা কমিটির ৩৭তম বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ সরকারি কাজে হিন্দি ভাষা ব্যবহার করেন। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিক করেছেন, সরকারি কাজে সরকারি ভাষা ব্যবহার করতে হবে। এতে হিন্দি ভাষার গুরুত্ব বাড়বে। দেশের সংহতির কাজে সরকারি ভাষা ব্যবহারের সময় এসেছে।’
অমিত শাহ আরও বলেন, ‘যখন দুটি ভিন্ন ভাষার সরকারি কর্মী নিজেদের মধ্যে কথা বলবেন, তাদের ভাষা যেন এদেশীয় হয়, ইংরেজি নয়।’ একই সঙ্গে স্কুলে হিন্দি শেখানোর ওপর জোর দেয়ার কথা বলেন অমিত শাহ।
এরই মধ্যে অমিত শাহের মন্তব্য নিয়ে ভারতজুড়ে বিতর্ক ও নিন্দার ঝড় উঠেছে বিজেপি বিরোধীদের মাঝে।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি এক দেশ ও এক ভাষা নীতির কর্মসূচিকে কার্যকর করতে কেন্দ্র জোর করে হিন্দি ভাষাকে ভারতের মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে, যা তামিল, তেলেগু, উর্দু, বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার ওপর হিন্দি ভাষার আগ্রাসনের শামিল।
অমিত শাহের হিন্দি ভাষা নিয়ে এই মন্তব্যে একযোগে বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সিপিএম, ডিএমকেসহ একাধিক বিরোধী দল।
তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ‘হিন্দি ভাষাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। হিন্দি শিল্প-সাহিত্য, হিন্দিভাষী সাধারণ মানুষসহ সবাইকে আমরা ভালোবাসি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে ভাষা আগ্রাসনের ভয়ংকর ইঙ্গিত দিয়েছেন, তা আমরা সমর্থন করি না। বিরোধিতা করি। উনি ইংরেজি ভাষার বদলে হিন্দি ভাষা ব্যবহারের কথা বলেছেন। আরেকটি ভাষা ব্যবহার করেছেন, ল্যাঙ্গুয়েজ অফ ইন্ডিয়া। আমি সবিনয়ে মনে করে দিতে চাই, হিন্দি কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রভাষা নয়। আমাদের কোনো রাষ্ট্রভাষা নেই। এখানে বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য।’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মানুষ কোন ভাষায় কথা বলবে, সেটা ওরা ঠিক করে দিতে চায়। এর বিরুদ্ধে আমরা বামপন্থিরা লড়াই করছি।’
তবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি ভুল কী বলেছেন? এই তো নেদারল্যান্ডস থেকে ফিরলাম। ওখানে বিভিন্ন ভাষার ভারতীয়দের সঙ্গে কথা হলো। সবাই তো হিন্দিতে কথা বললেন।’
কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া টুইট করে বলেন, ‘কর্ণাটকের বাসিন্দা হিসেবে অমিত শাহের মন্তব্যের আমি তীব্র বিরোধিতা করছি। হিন্দি আমাদের জাতীয় ভাষা নয়। সেটা আমরা কোনো দিন হতে দেব না।’
পশ্চিমবঙ্গ থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘হিন্দি দিয়ে পেট ভরবে তো? মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বসহ সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে মুখ ঘোরাতে এখন হিন্দি নিয়ে পড়েছে ওরা।’
এর আগে বিজেপির ‘এক দেশ, এক ভাষা’ এজেন্ডা কার্যকর করার লক্ষ্যে একমাত্র হিন্দি ভাষাই দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে- অমিত শাহের এমন মন্তব্যে ২০১৯ সালেও দেশজুড়ে বিতর্ক প্রতিবাদের ঝড় বয়ে গিয়েছিল। পরে বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে সে সময় নতি স্বীকার করেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে মঙ্গলবার ভোরে দুই বাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
সদরের মল্লিকপুরে করিমপুর জোড়া সেতুর কাছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানান, ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে ছেড়ে আসা ঝিনাইদহগামী গ্রিন এক্সপ্রেস নামের বাসের সঙ্গে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে ছেড়ে আসা খাগড়াছড়ি পরিবহন বাসের সংঘর্ষ হয়।
নিহত লোকজনের সবাই খাগড়াছড়ি পরিবহনের যাত্রী।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যৌথভাবে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালায়।
দুর্ঘটনার শিকার বাস দুটি করিমপুর হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানান, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল ইস্কাটনের একটি ফ্ল্যাট থেকে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আব্দুর রাজ্জাককে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
সবশেষ সংসদে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর) আসন থেকে নির্বাচিত সদস্য ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে শেখ হাসিনার সবশেষ মন্ত্রিসভায় তার স্থান হয়নি।
আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএডিসি) একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০০১ সালে চাকরি জীবন শেষ করেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন এই কৃষিবিদ আমলা।
ছাত্র-জনতা হত্যার বিচারে তিন বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) পুনর্গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। চলতি মাসেই এ আদালত বিচার কার্যক্রম শুরু করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যার পর সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা এ কথা জানান।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে আমরা হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কাজ সম্পন্ন করেছি।
‘এই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন হাইকোর্টের আরেকজন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচার কাজ শুরুর ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যা করার ছিল, এর মাধ্যমে তার একটা বড় ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করবো খুব শিগগির বিচার কাজ শুরু হয়ে যাবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেল জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন এবং ভবন মেরামতের কাজও চলমান। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ দেয়া হলো।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের ৫০ জনের বেশি মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন:বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব অনিয়ম ও ব্যত্যয় ঘটেছে সেগুলো নির্বাচন কমিশন সংস্কার বিষয়ক কমিটি চিহ্নিত করবে। এসব নির্বাচনে ভালো কিছু হয়ে থাকলে সেগুলোও চিহ্নিত করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এ সময় তিনি কমিশনের অন্যান্য কার্যক্রমও তুলে ধরেন।
বদিউল আলম বলেন, ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়াটা একদিনের বিষয় নয়। এটি একটি সাইকেল। এই সাইকেল পর্যালোচনা করে ব্যত্যয় যা ঘটেছে তা চিহ্নিত করে আমরা সুপারিশ করব।’
নির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ থাকবে। তবে সে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আমরা কর্মকর্তা এবং কমিশনের বিষয়ও পর্যালোচনা করব।’
বদিউল আলম বলেন, ‘কমিটি নির্বাচনি আইন-কানুন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করছে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেজ হবে, ই-মেইল ঠিকানাও হবে।
‘সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ- এগুলো আমরা চাইব। ওয়েবসাইটটি ইসির ওয়েবসাইটের সাব-ডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব হয়ে যাবে।’
ওয়েবসাইটে কী বিষয়ে মতামত চাওয়া হবে, সংবিধান সংস্কার নিয়ে কী আলোচনা করা হয়েছে- এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা লাইন ধরে ধরে পর্যালোচনা করছি। সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু নয়। যেদিন আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাব, সেদিন এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।’
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ল।
‘এরপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন আছে। এগুলো পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে। কমিশনের নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার। সরকার যখন চাইবে আশা করি তখনই আমরা তাদের (উপদেষ্টা) একটা খসড়া দিতে পারব।’
‘না’ ভোট রাখার বিধানের বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছুই বিবেচনায় নেব। যত মতামত আসবে পর্যালোচনা করব। নির্বাচন বিষয়ে যে কেউ যে কোনো মতামত দিতে পারবেন। উন্মুক্ত মতামত নেয়া হবে।’
বদিউল আলম আরও বলেন, ‘আমরা তো নিশ্চিত করতে পারব না যে কেউ অপকর্ম করবে না। তবে আমরা গাইডলাইন তৈরি করব। সিঁড়ির পাশ দিয়ে যেমন ব্যারিয়ার থাকে। কেউ যেন পড়ে না যায়। কেউ যদি ঝাঁপ দিতে চায় তাহলে তো কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব এমন সব সুপারিশ করার, যেন একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত হয়।’
আরও পড়ুন:দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ও মতামত চেয়েছে দুদক সংস্কার কমিশন।
সোমবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনকে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত দুদক সংস্কার কমিশন সবার অভিজ্ঞতালব্ধ সুনির্দিষ্ট পরামর্শ জানতে আগ্রহী।
দুদক সংস্কারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দুদক সংস্কার কমিশনকে ই–মেইলের মাধ্যমে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
পরামর্শ পাঠানোর ই-মেইল ঠিকানা: [email protected]
প্লাস্টিক, পলিথিন কিংবা আধুনিক বর্জ্য থেকে পরিবেশ রক্ষায় রিসাইক্লিং, মনিটর ও সার্টিফাইড ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আন্তর্জাতিক ই-বর্জ্য দিবস উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ফরমাল ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্লাস্টিক শিল্পের জন্য পরিবেশ রক্ষায় খসড়া নীতি নির্ধারণ প্রয়োজন। পরিবেশে আধুনিক বর্জ্যের যে সমস্যা তা স্বীকার করতে হবে। ফলে আধুনিক বর্জ্য আইন ২০২১ বাস্তবায়ন করতে হবে।
‘আধুনিক বর্জ্য সংগ্রহ, অপসারণ ও আইনের ব্যবহারের জন্য দ্রুত স্টেকহোল্ডারদের কাজ করা প্রয়োজন। ই-বর্জ্য পুনরায় ব্যবহারের জন্য তত্ত্বাবধানসহ প্রচার চালাতে হবে, যাতে দ্রুত এর ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা যায়।’
পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, ‘পলিথিন শপিং ব্যাগের বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা নভেম্বর থেকে সারা দেশে কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। কিছু মার্কেট পলিথিনের বিকল্প ব্যাগ দিতে শুরু করেছে। মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টকে অনুরোধ করব পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ছাড়া যেন পরিবেশ দূষণের কোন প্রকার ব্যাগ কেউ ব্যবহার না করতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে।
‘প্লাস্টিক, পলিথিন রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো মনিটর ও সার্টিফাইডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে আগামীতে সমস্যাগুলো আর বৃদ্ধি না পায়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। এছাড়াও ডব্লিউইইই সোসাইটি-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাবির বক্তব্য দেন। বুয়েটের রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে নীতিনির্ধারক, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং শিল্প নেতৃবৃন্দ ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
বক্তারা অনানুষ্ঠানিক রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া, যেমন উন্মুক্ত স্থানে পোড়ানোর মাধ্যমে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের কারণে সৃষ্ট দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন:চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিংসহ নানারকম হয়রানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন থানায় মামলা করার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিংসহ নানারকম হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক মামলা দায়ের বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ।
এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি প্রদানসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’–এ অভিযোগ বা তথ্য আনানোর জন্য এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
মন্তব্য