দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা নিজ ইতিহাসের অন্যতম দুঃসময় পার করছে। অর্থনৈতিক, জ্বালানি ও খাদ্যসহ নানাবিধ সংকটে নিমজ্জিত উপমহাদেশের দেশটি।
তবে দেশটির জন্য এমন সংকট নতুন নয়। ১৯৭৪ সালে একই ধরনের সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেবারও খাদ্য ও অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে নেমে এসেছিল বিপর্যয়। লঙ্কার ওই সংকট নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি বিশেষ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল ওই বছরের ১৩ মে। যার শিরোনাম ছিল ‘শ্রীলঙ্কা, খাদ্যের অভাবে ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি’।
প্রতিবেদনটিতে শ্রীলঙ্কার দুর্যোগের কারণগুলো বিশ্লেষণ করা হয়।
সে সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে স্বীকার করে নেন পরিস্থিতি। তিনি বলেন, ‘এ অর্থনৈতিক সংকট আমাদের শ্বাসরোধ করে রেখেছে। আমরা আক্ষরিক অর্থেও টিকে থাকার জন্য লড়াই করছি।’
ওই বছর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়া বন্দরনায়েকের সরকার তখন স্লোগান নির্ধারণ করে, ‘প্রোডিউস অর পেরিশ’, ‘উৎপাদন অথবা মৃত্যু’।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই সময় ১ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশটির জনগণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী ছিল। তাদের বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ ছিল বাড়তে থাকা খাদ্য আমদানির খরচ ও স্থির রপ্তানি আয়।
এর সঙ্গে যোগ হয় সরকারের কৃষিজমির অব্যবস্থাপনা, কৃষকদের স্বল্প প্রণোদনা, ভূমি সংস্কারের নামে ব্যক্তিগত জমি দখল। পাশাপাশি চা ও রাবার রপ্তানিকে খাদ্য উৎপাদনের চেয়ে গুরুত্ব দেয়ার মতো ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার মতো বিষয়গুলো সমৃদ্ধশীল এক দেশকে চাল ও গমের জন্য প্রায় ভিক্ষা করতে বাধ্য করে।
১৯৭৫ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার কাছে মাত্র দুই মাসের চাল মজুত ছিল। চীন থেকে ৪০ হাজার টনের একটি চালান তাদের সে সমূহ বিপদ থেকে সে সময় রক্ষা করে। সে সময় অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, সোভিয়েত ইউনিয়ন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি খাদ্য সমস্যায় থাকা ভারতও শ্রীলঙ্কার কাছে চাল বিক্রি করে।
খাদ্যসংকট নিয়ে এক লঙ্কান অর্থনীতিবিদ মন্তব্য করেন, ‘দেশে এখন প্রতি সপ্তাহের হিসাবে চলছে। এক সপ্তাহে কতটুকু খাবার এসেছে আর গ্রহণ করা হচ্ছে সেটা আমরা হিসাব করছি। এর বেশি আমাদের পক্ষে এ মুহূর্তে চিন্তা করা সম্ভব নয়।’
দুই বিলিয়ন ডলারের ঋণ
খাদ্যসংকটের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কাঁধে চেপেছিল বৈদেশিক ঋণের বোঝা। তাদের কাছে অন্যান্য দেশের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকে ও ক্রেডিট পজিশনের অবস্থা খারাপ থাকায় ক্রমবর্ধমান ঋণও তারা পাচ্ছিল না। ১৯৭৪ সালে দেশটি তার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, প্রায় ৩০ কোটি ডলার, চাল ও গম আমদানিতে ব্যয় করে। এ খরচ দুই বছরে বেড়ে তিন গুণ হয়েছে।
চা, রাবার ও নারিকেল রপ্তানি করে শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক মুদ্রার ৮০ শতাংশ আয় করত। এ মূল রপ্তানি পণ্যগুলোর উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় খাদ্য আমদানিতে টান পড়ে। চা, রাবার ও নারিকেল উৎপাদন ঘাটতির মূল কারণ ছিল সারের ঘাটতি, আমলাতান্ত্রিক বিধিনিষেধ ও নতুন সরঞ্জামে স্বল্প বিনিয়োগ।
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ওই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দেশটি রপ্তানির চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি আমদানি করছে। তারা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে কারণ তাদের খাদ্যের পেছনে অনেক বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। পেট্রোলিয়াম, সার ও ম্যানুফাকচারড প্রডাক্টের পেছনে ব্যয় করার জন্য তাদের হাতে বেশি অর্থ নেই।’
জনসংখ্যা বৃদ্ধি
শ্রীলঙ্কার মোট জনসংখ্যার অধিকাংশ করদাতা ছিল না সে সময়। এর পরও তাদের প্রতি সপ্তাহে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা ও খাদ্য প্রদানের বহু দশক পুরোনো ব্যবস্থা অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর প্রমাণিত হয়। দেশটির জনসংখ্যা ২৫ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। এ ছাড়া সরকার অবাস্তবভাবে হ্রাসকৃত মূল্যে গম, চিনি ও আটার ভর্তুকি দিয়েছে।
শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের ১৯৭৩ সালে ক্ষমতায় আসার পেছনে অন্যতম প্রতিজ্ঞা ছিল আরও বেশি পরিমাণে বিনা মূল্যে চাল বিতরণ করা।
দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক ছিল অনূর্ধ্ব ৩০। তাদের সবার জন্য ছিল বিনা মূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা। তবে দেশের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক হওয়ায় দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল প্রায় সাত লাখ। দেশটির অস্থিতিশীল অবস্থার অন্যতম কারণও ছিল এটি।
শ্রীলঙ্কায় সত্তরের দশকের শুরুতে বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগও একেবারে সীমাবদ্ধ ছিল। কোনো সংস্থাকে জাতীয়করণের পদক্ষেপকে সরকার উৎসাহিত করত। এ পদক্ষেপগুলোর কারণে কার্যত বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।
কর দেয়ার পর মাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ ডলারের আয়ের সীমা বেঁধে দেয়া ও ৫০ একর জমির বেশি মালিক না হতে দেয়ার সীমাবদ্ধতা বিনিয়োগ এবং উৎপাদনকে আরও হ্রাস করে।
হিন্দুত্ববাদী চক্র কর্তৃক মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট, গাজীপুরে আশামনি ধর্ষণ, খতিব মুহিবুল্লাহকে অপহরণ, চট্টগ্রামের আলিফ হত্যা সহ ইসকনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ‘মুসলিম শিক্ষার্থী’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে একই স্থানে সমবেত হন এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, ' পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইসকন নামক এই বিষফোঁড়া, ভারতের দালাল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অতিসত্বর এই বাংলাদেশ থেকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, ফ্যাসিস্ট আমলে ইসকন এদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো নিয়ন্ত্রণ করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা ইসকনদের জায়গা করে নিয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় থেকে একদম রুট-লেভেল পর্যন্ত ইসকন পরিকল্পিতভবে তাদের লোকদের ঢুকিয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে এই বাংলাদেশ থেকে ইসকন'কে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকনকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, এদেশের তাওহীদি জনতা এবং ছাত্র সমাজ কখনো মেনে নিবে না। 'জেন-জি' যদি একবার ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেঁটে-পড়ে তাহলে এই বাংলায় ইসকনের কবর রচিত হতে বাধ্য।'
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ‘ইসকন এই বিশ্বে ধর্ম প্রচার করছে না বরং তারা ধর্মের ছদ্মবেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদকে প্রচার এবং প্রসার করার জন্য মাঠে নেমেছে। মুসলিম মা বোনদের নিয়ে তামাশা করছে। ইসকনের মত সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। সিঙ্গাপুর আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে বলা হয়েছে ইসকন তাদের ধর্ম প্রচারের কোন সংগঠন না। তারা উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচার-প্রসারের জন্য এখানে আদা জল খেয়ে নেমেছে।’
আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের উপর দেশি-বিদেশি কোন চাপ নেই। তারা গণহত্যার জন্য এখনো ভুল স্বীকার করেনি।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ফ্রী ফেয়ার একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে সব দল একসাথে অংশগ্রহণ করবে।
বিগত শেখ হাসিনার সময়ের প্রতিটি নির্বাচনে তাদের পছন্দমত প্রার্থী কেনাবেচা হয়েছে। তাতে জনগণের কোন অংশগ্রহণ ছিল না।
শুক্রবার সকালে মাগুরা শহরের নবগঙ্গা পার্কে জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ পারভেজ।
তিনি আরও জানান, জুলাই সনদ বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ঐক্যমত পোষণ করেছে। যে কয়েকটি দল এখনো স্বাক্ষর করেনি, তাদেরও সম্মতি রয়েছে।
জাতীয় ঐক্যমতের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে বা পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এ বিষয়ে সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, “জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারিতে। আরপিওতে ‘না ভোট’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে একক প্রার্থী থাকলেও জনগণ প্রয়োজনে তাকে প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ পায়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ১৫% বাড়ী ভাড়া প্রজ্ঞাপণ জারী হওয়ায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ র্যালী করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোট পটুয়াখালী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকগণ।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শহরের পৌরসভা চত্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক আয়োজনে র্যালীটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে পটুয়াখালী সদর উপজেলা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট আহবায়ক মো. অহিদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেন এর সঞ্চালনায় ধন্যবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক এবং আনুষ্ঠানের সভাপতি সাইফুল মজিদ মোঃ বাহাউদ্দিন।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছোটবিঘাই মোক্তার ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ কামরূল আহসান, ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান, হাজীখালী আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোঃ ফারুকুজ্জামান, খাসেরহাট স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ রশির উদ্দিন,জেলা শাখার সমন্বয়ক মোঃ সাজেদুল ইসলাম বাহাদুর, আবদুল কাউয়ুম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,আলহামদুলিল্লাহ মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট শতকোটি শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই প্রিয় অধ্যক্ষ আজিজুল হক স্যারকে এবং পটুয়াখালী জেলার শিক্ষক ভাইদের যারা কষ্ট করে আমাদের আন্দোলন কে সফল করেছেন।যাদের নাম না বললেই নয়। সৈয়দ কাইয়ুম ভাই, বশির স্যার,শফিক স্যার,মুস্তাফিজ স্যার,অহিদ সারওয়ার স্যার,মাসুম ছোট ভাই সাখাওয়াত, মাসুদ, জলিল স্যার সহ অনেক অনেক স্যারদের।সবাই দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে শিক্ষকের যে কোন নায্য দাবি আদায় করতে সবাই একসাথে কাজ করতে পারি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনার ইমরান হায়দার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পাকিস্তানি হাইকমিশন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সাক্ষাৎকালে দু’দেশের সাম্প্রতিক যোগাযোগ ও মন্ত্রী পর্যায়ের সফরের প্রশংসা করেন উভয়পক্ষ। এর মধ্যে গত আগস্টে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।
গত এপ্রিলে রাজধানীতে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ সভা সফলভাবে হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। এছাড়া দীর্ঘ বিরতির পর আগামী ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠককেও স্বাগত জানান উভয় পক্ষ।
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, সম্প্রতি ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালুসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উভয় দেশ অগ্রগতি লাভ করেছে।
এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি একাধিক খাতে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।বাসস
চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তাধীন থাকায় আসামিরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য রমনা থানা থেকে সংশ্লিষ্ট সব বিমান ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়েছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে।
তাই কোনো আসামি যেন দেশ ছাড়তে না পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। তবে এতে দ্বিমত পোষণ করে সালমান শাহর পরিবার।
তাদের দাবি, সালমান শাহকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
দীর্ঘ ২৯ বছর পর অভিনেতা সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলা রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। গত ২০ অক্টোবর সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের নির্দেশ দেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম।
সালমান শাহ হত্যা মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য ১০ আসামিরা হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রিজভী আহমেদ ফরহাদ।
মন্তব্য