× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Imran Khan is the new feather in the crown of Pakistan
google_news print-icon

পাকিস্তানের ‘মুকুটে’ নতুন পালক ইমরান খান

পাকিস্তানের-মুকুটে-নতুন-পালক-ইমরান-খান
কার্টুন: মামুন হোসাইন
পাকিস্তান জন্মের ৬৫ বছরে এ পর্যন্ত ৩০ জন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ বছর শাসন করা হয়নি কারও। যারাই সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন, শেষ মুহূর্তে নানা সমীকরণে তা আর হয়ে ওঠেনি।

উত্তরসূরিদের পথেই হাঁটতে হচ্ছে ইমরান খানকে। আগে ২৯টি সরকারের মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটারের সরকারেরও মেয়াদ পূর্তির আগেই সরে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরাজ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর একটি সরকারেরও পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণ করতে না পারাটা দেশটির দুর্বল রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রমাণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

ইমরান খানের ক্ষমতা থেকে যাওয়াটায় দেখা গেছে নাটকীয়তা। তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে দেশটির ডেপুটি স্পিকারের প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তে ভোটাভুটি হয়নি।

বিরোধীদের ক্ষোভ-প্রতিবাদের পর ইমরানের পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল আরও অবাক করার মতো। তিনি নিজেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে অনুরোধ করেন প্রেসিডেন্টকে। কিছুক্ষণ পরই রাষ্ট্রপ্রধান আরিফ আলভি সে অনুযায়ী কাজ করেন।

পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ায় আগামী তিন মাসের মধ্যেই ফের নির্বাচন হবে পাকিস্তানে।

ইমরানের এই চলে যাওয়াটা অপমানজনক হয়নি বলা চলে। তবে এর আগের সরকারপ্রধানদের ক্ষেত্রে কারও কারও গেছে জীবনও। কেউ কেউ বিপদ বুঝে সরে গেছেন স্বেচ্ছায়।

কেউ হত্যার শিকার হয়েছেন, কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে আবার কেউ হয়েছেন অভিশংসিত। মাঝেমধ্যে দেশটিতে সেনা অভ্যুথানও দেখা গেছে।

পাকিস্তান জন্মের ৬৫ বছরে এ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ৩০ জন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ বছর শাসন করা হয়নি কারও

এই প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে কম সময় শাসন করেছেন যিনি, তিনি ক্ষমতায় ছিলেন কেবল ১৩ দিন। আবার নওয়াজ শরিফ শাসন করেছেন সাত বছরের বেশি। তবে সব মিলিয়ে তিনি তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বেনজীর ভুট্টো দুইবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তবে তিনি মেয়াদ পূরণ করার কাছাকাছি যেতে পারেননি একবারও।

সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতা থাকা প্রধানমন্ত্রীরা

২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসা ইউসুফ রাজা গিলানি যখন মেয়াদ পূর্ণ করবেন বলে আলোচনা ওঠে, সে সময় আচমকা সরে যেতে হয় তাকে। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার পর ৪ বছর ৮৬ দিনের মাথায় তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়।

পাকিস্তানের ‘মুকুটে’ নতুন পালক ইমরান খান
পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইউসুফ রাজা গিলানি। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট যেদিন ভারত ভাগ হয় সেদিন পাকিস্তানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। ক্ষমতার চার বছর ৬৩ দিনের মাথায় ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান লিয়াকত আলী খান।

পাকিস্তানের ‘মুকুটে’ নতুন পালক ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান। ছবি: সংগৃহীত

জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭৩ সাল থেকে তিন বছর ৩২৫ দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৭ সালের ৫ জুলাই জেনারেল জিয়া-উল-হকের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী ভুট্টোকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

ভুট্টোর পর ক্ষমতায় আসেন মহম্মদ খান জুনেজো। তিনি তিন বছরের কিছু বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন। ১৯৯০ সালের নভেম্বরে তাকে সরিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট জিয়া-উল হক।

নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের দ্বাদশ প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট ইসহাক পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে পদ হারান তিনি। তিন বছর ১০ মাস ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।

পাকিস্তানের ‘মুকুটে’ নতুন পালক ইমরান খান
পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালে ফের ক্ষমতায় ফেরেন আগে দুইবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নওয়াজ শরিফ। তবে এই দফায়ও ক্ষমতা পূর্ণ করতে পারেননি। চার বছর ৫৩ দিনের মাথায় দুর্নীতির দায়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সুপ্রিম কোর্ট।

১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বেনজীর ভুট্টো ৩ বছর ১৭ দিন ক্ষমতায় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, হত্যার পরিকল্পনাসহ নানা অভিযোগ আনা হয়। প্রেসিডেন্ট ফারুক লেঘারি তার সরকার ভেঙে দেন।

পাকিস্তানের ‘মুকুটে’ নতুন পালক ইমরান খান
বেনজীর ভুট্টো ৩ বছর ১৭ দিন ক্ষমতায় ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত

২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়া শওকত আজিজ সেনাপ্রধান পারভেজ মোশারফের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিন বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০০৭ সালের নভেম্বরে নিজে থেকেই সরে যান আজিজ।

দুই বছর বা তার কম সময়ে ক্ষমতায় যারা ছিলেন

পাকিস্তানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো। প্রধানমন্ত্রী পদে প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে ১৯৯০ সালে নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি গোলাম ইসহাক খান তাকে বরখাস্ত করেন।

২০০২ সালের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসা জাফরুল্লাহ খান জামিলি প্রায় দুই বছর দেশ শাসন করেন। ২০০৪ সালের জুনে পদত্যাগ করেন তিনি। তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে একটি লম্বা বৈঠকের পর ক্ষমতা ছেড়ে দেন তিনি।

মোহাম্মদ আলী ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে দুই বছর ১১৭ দিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাসন করেন। তবে তার সঙ্গেও তৎকালীন গভর্নর-জেনারেল ইসকান্দার মির্জার বোঝাপড়া ভালো যাচ্ছিল না। ১৯৫৫ সালের আগস্টে ইস্তফা দেন তিনি।

পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল মালিক গোলামের কিছু ইস্যুতে মতবিরোধ ছিল। এ জন্য তাকে পদ ছাড়তে বলা হয়েছিল। তা না করায়, বিশেষ ক্ষমতায় নাজিমুদ্দিনকে ক্ষমতাচ্যুত করেন মালিক গোলাম।

পাকিস্তানের ‘মুকুটে’ নতুন পালক ইমরান খান
পাকিস্তানের বাঙালি চার প্রধানমন্ত্রী; (বাঁ থেকে) খাজা নাজিমুদ্দিন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মোহাম্মদ আলী এবং নুরুল আমীন। ছবি: সংগৃহীত।

১৯৫১ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে ১৯৫৩ সালের ১৭ আগস্ট এক বছর ১৮২ দিন ক্ষমতায় ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন।

পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি ১৯৫৬ থেকে শুরু করে এক বছর ৩৫ দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গভর্নর জেনারেল ইসকান্দারের চাপে তাকেও গদি ছাড়তে হয়।

১৯৫৫ সাল থেকে এক বছরের কিছু বেশি সময় পাকিস্তানের মসনদে ছিলেন চৌধুরী মোহম্মদ আলী। দলবিরোধী কাজকর্মের অভিযোগে ১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

সবচেয়ে কম সময় ছিলেন যারা

পাকিস্তানের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন সবচেয়ে স্বল্পমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী। মাত্র ১৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন নুরুল। পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে পদত্যাগ করেন তিনি।

সাবেক ক্রিকেটার মীর বালাখ শের মানজারি ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে ক্ষমতায় আসেন। এক মাসের কম সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

পাকিস্তানের ১৬তম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী সুজাত হোসেনের শাসনকাল ছিল ৫৭ দিনের। শওকত আজিজের হাতে ২০০৪ সালের আগস্টে নিজেই ক্ষমতা ছেড়ে দেন তিনি।

মাত্র দুই মাস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইব্রাহিম ইসমাইল চুন্দিরগার। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা কাল হয়েছিল তার। অনাস্থা ভোটে ১৯৫৭ সালের ডিসেম্বরে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

ফিরোজ খান নুনের শাসনকাল ছিল ২৯৫ দিনের। এই সময়ে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। বলা হয়ে থাকে এই আতঙ্কে তাকেও ক্ষমতাচ্যুত করেন গভর্নর ইসকান্দার।

মইন কুরাসী ক্ষমতা গ্রহণের তিন মাসের মাথায় পদ ছাড়েন। আরেক সাবেক ক্রিকেটার মালিক মেরাজ খালিদের মেয়াদও ছিল তিন মাসের কাছাকাছি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারক নাসির-উল মুল্ক ক্ষমতায় ছিলেন দুই মাসের কম সময়। ২০১৮ সালের জুনে দায়িত্ব নেয়ার প্রায় ৭৮ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি।

পাকিস্তানের উনিশতম প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ এক বছরের আগেই ক্ষমতা ছেড়ে দেন। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন ২৭৫ দিন। দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০১৩ সালে ২৪ মার্চ পদ ছাড়েন আশরাফ।

নওয়াজের পর ৩০৩ দিনের জন্য পাকিস্তানের দায়িত্ব সামলান শাহিদ খাকন আব্বাসী। তবে ২০১৮ সালে নির্বাচন ঘিরে পদ ছাড়তে হয় তাকে।

এই নির্বাচনে জয় পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান। সেনা সমর্থন থাকায় ধারণা করা হচ্ছিল, মেয়াদ পূর্ণ করে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন ইমরান। কিন্তু জোট সঙ্গীদের সমর্থন হারানোয় পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েন তিনি।

আরও পড়ুন:
পার্লামেন্ট ভেঙে নির্বাচন চাইলেন ইমরান
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ, টিকে রইলেন ইমরান
ইমরানের ভাগ্য নির্ধারণ আজ
‘চিঠিতে হুমকি’: যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ পাকিস্তানের
বুদ্ধি ও যোগ্যতা ছাড়া সবই আছে ইমরানের: সাবেক স্ত্রী রেহাম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The 8th death anniversary of national poet Kazi Nazrul Islam is celebrated in Faridpur

ফরিদপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ফরিদপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর নজরুল পরিষদের আয়োজনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর মুসলিম মিশন কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সমাজসেবক অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।

ফরিদপুর নজরুল পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে

আলোচনা সভায় দৈনিক ফতেহাবাদ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম সাত্তার, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক অধ্যাপক সিরাজুল হক, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সাংবাদিক মফিজ ইমাম মিলন, অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক খালিদুজ্জামান মিঠু সহ অন্যান্যরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফরিদপুর নজরুল পরিষদের সম্পাদক এ্যাডভোকেট আলমগীর ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ ও নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী লিয়াকত হোসেন, কবি নীলুফার ইয়াসমিন রুবী, শরীফ মাহমুদ সোহান ও বেলায়েত হোসেন।

অনুষ্টানে বক্তরা বলেন, জাতীয় কবির সৃষ্টিকর্ম থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করে তা জীবন ব্যবস্থায় প্রতিফলিত করতে হবে। নজরুলকে নিয়ে যতটা গবেষণা হওয়া উচিত ছিল, তা এখনো হয়নি। ‘গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের মাধ্যমেও কবি নজরুলের বিভিন্ন বিষয়- বিশেষ করে যেগুলো নিয়ে এখনো গবেষণা হয়নি, সেগুলো নিয়ে গবেষণা করে আমাদের জ্ঞানভাণ্ডরে যোগ করতে হবে।’

অনুষ্ঠান শেষে কবির আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Parents and siblings arrested in the murder of teenagers in Patuakhali

পটুয়াখালীতে কিশোরী উর্মী হত্যার ঘটনায় বাবা, মা ও ভগ্নিপতি গ্রেপ্তার

পটুয়াখালীতে কিশোরী উর্মী হত্যার ঘটনায় বাবা, মা ও ভগ্নিপতি গ্রেপ্তার

পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় উর্মী ইসলাম (১৫) নামের এক কিশোরীকে। হত্যার অভিযোগে নিহতের বাবা, মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নিহত কিশোরীর মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল বয়া‌তি ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেন ।

বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বাউফল থানায় প্রেস ব্রিফ করে জানান, নিহত উর্মী ইসলামের (১৫) সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা আমেনা বেগম (৪০), বাবা নজরুল বয়া‌তি (৪৫) ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেন (৩২) মিলে গত ২২ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর মরদেহ গোপন করতে তারা উর্মীর লাশ কুম্ভখালী খালে ফেলে দেয়।

পরে ২৩ আগস্ট সকালে কুম্ভখালী খাল থেকে উর্মীর ম’রদে’হ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে বাউফল থানা পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নামে। তদন্তে পরিবারের তিন সদস্যের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসলে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার, বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা।

মন্তব্য

ইকসু'র গঠনতন্ত্র প্রণয়নে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন

ইকসু'র গঠনতন্ত্র প্রণয়নে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ (ইকসু) গঠন এবং নির্বাচনের গঠনতন্ত্র বা সংবিধি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

বুধবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও সদস্য-সচিব হিসেবে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান দায়িত্ব পেয়েছেন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমান, দা'ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের

অধ্যাপক ড. শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ান, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. তোজাম্মেল হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজিবুল হক, আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ।

এছাড়া, বহিরাগত সদস্যবৃন্দ হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. একরামুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাফর উল্লাহ তালুকদার, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র এ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার ইমাম হোসেন সিডনী।

গঠিত কমিটির আহ্বায়ক হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি শুনেছি তবে এখনও চিঠি হাতে পাইনি। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হয়ে গেছে, আগামী শনিবারে বসে সবাইকে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Naogaons main road stuck in various complications

নানা জটিলতায় আটকে থাকা নওগাঁর প্রধান সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের উদ্যোগ

নানা জটিলতায় আটকে থাকা নওগাঁর প্রধান সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের উদ্যোগ

যানজট ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে অবশেষে নওগাঁ শহরের প্রধান সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রস্তাবিত প্রকল্প আবারও গতি পাচ্ছে। দীর্ঘদিন নানা জটিলতায় আটকে থাকা এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক স্টেকহোল্ডার সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউওালের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক।

সভায় জানানো হয়, নওগাঁ শহরের সান্তাহার মোড় থেকে চৌমাসিয়া চত্বর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নওগাঁ শহর যানজটমুক্ত হয়ে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্মসচিব নাজনীন ওয়ারেস, উপসচিব জাহিদুল ইসলাম, নওগাঁ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল হক রাসেল ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নূরে আলম সিদ্দিক। তাঁরা প্রকল্পের বিভিন্ন ধাপ, করণীয় ও সম্ভাব্য সুফল নিয়ে আলোচনা করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘নওগাঁ শহরের প্রধান সড়কটি দ্রুত চার লেনে উন্নীত করা হলে যানজট কমবে, শহর হবে আধুনিক। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘চার লেন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নওগাঁ হবে আধুনিক ও যানজটমুক্ত শহর। তিনি জানান, প্রকল্পটি অনুমোদন হয়ে খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। এজন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেন।’

সভায় রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ছাত্রসমাজ, গণমাধ্যমকর্মীসহ সুধীজন উপস্থিত থেকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

সভা শেষে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা। এ সময় নওগাঁ সড়ক বিভাগাধীন আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়কের অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রমও দেখা হয়।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Husband and mother in law escaped the body of the hospital

হাসপাতালে লাশ ফেলে পালালেন স্বামী ও শাশুড়ি

হাসপাতালে লাশ ফেলে পালালেন স্বামী ও শাশুড়ি

নওগাঁর বদলগাছীতে ওড়না পেচানো ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।

তরকারির স্বাদ কম হওয়ায় স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করায় অভিমানে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়।

বুধবার ২৭ আগষ্ট সকালে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের জগদ্বীশপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম ঝর্ণা খাতুন (২৫)। তিনি জগদ্বীশপুর গ্রামের আকাশ হোসেনের স্ত্রী। এঘটনায় স্বামী আকাশ পলাতক রয়েছে। তাদের ঘরে ৪-৫ বছরের দুটি জমজ ছেলে রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ২৬ শে আগস্ট রাত আনুমানিক ৯টার দিকে পরিবারের সবাই একসাথে রাতের খাবার খেতে বসে। কিন্তু তরকারির স্বাদ না হওয়ার কারণে স্বামী আকাশ হোসেন রেগে গিয়ে স্ত্রী ঝর্ণাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে মারধর করে। মারধর সহ্য না করতে পেরে বুধবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে আকাশের স্ত্রী ঝর্ণা বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে আকাশ তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি যেতে না দিলে এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। আবারো স্ত্রীকে গালিগালাজ ও মারধর করে স্বামী আকাশ। এদিকে মারধর এবং গালাগালাজ সহ্য করতে না পেরে আকাশের স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন এদিন সকাল সাড় ৬টার দিকে রাগ করে নিজ ঘরের ভিতর গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এবং ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগায়।

ফাঁস লাগানোর বিষয়টি স্বামী আকাশ এবং ঝর্ণার শাশুড়ি পেয়ারা বেগম দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে থাকা সাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওড়না কেটে নিচে নামায়। এ সময় ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন চলে আসে। সাথে সাথে ঝর্ণাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৯ টার দিকে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই কথা শুনে ঝর্ণার স্বামী আকাশ এবং শাশুড়ি পিয়ারা বেগম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে লাশ জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে মর্গে আছে বলে জানা যায়। খবর পেয়ে বদলগাছী থানার ওসি আনিসুর রহমান, তদন্ত ওসি সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এদিন বিকেল ৪ টার দিকে জানতে চাইলে বদলগাছী থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে আছে। এঘটনায় নিহতের শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Must maintain a peaceful environment not violence focusing on elections Sharmin S Murshid

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে: শারমীন এস মুরশিদ

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে: শারমীন এস মুরশিদ

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, "৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কারণেই আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েছি, আর ২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক ধারা আরও সুদৃঢ় হবে। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরের দুঃশাসন এক-দুই বছরে দূর করা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা একটি নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছি, তাই সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে—নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে। সহিংসতা হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে, গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনই আমাদের মূল লক্ষ্য।"

আজ (২৭.০৮.২৬) বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাসিরাবাদ গ্রামে নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নদীভাঙন প্রসঙ্গে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, "মেঘনা নদীর ভাঙনে শত শত পরিবার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও জীবিকার সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। মসজিদ, মাদ্রাসা ও বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।"

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মব জাস্টিস ও সাইবার অপরাধ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "মব জাস্টিসের পেছনে অন্যতম বড় কারণ হলো ভুল তথ্য ছড়ানো—আর এর জন্য মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের অপব্যবহার দায়ী। সাইবার অপরাধ একটি নতুন চ্যালেঞ্জ, এটি সরকার একা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তরুণ সমাজকে আইটি সেক্টরে দক্ষ হতে হবে এবং এই অপরাধ রোধে এগিয়ে আসতে হবে।"

অবৈধ বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রশাসনের একার পক্ষে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় জনগণকে বালুখেকোদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।"

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টার একান্ত সচিব তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (পূর্ব বিভাগ) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খাঁন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু মোছা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালেদ বিন মনসুর, নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম এবং নবীনগর প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
After the imprisonment in India 4 Bangladeshi teenagers returned home

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল বাংলাদেশি ১৭ কিশোর-কিশোরি

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল বাংলাদেশি ১৭ কিশোর-কিশোরি

ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অপরাধে তিন বছর কারাভোগ শেষে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১৭ জন বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরি।

বুধবার (২৭ আগষ্ট) সন্ধ্যার দিকে বেনাপোল সীমান্তের চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। কলকাতায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ও বিএসএফের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশের শার্শা উপজেলার এসিল্যান্ড, চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন, বিজিবি কর্মকর্তারা এবং তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

যারা দেশে ফিরেছেন তারা হলেন- মঈন খান, অবন্তি দাস, নূর আলম, হৃদয় মন্ডল, ইমরান শেখ, মেহেদী হাসান, নাহিদ মোড়ল ফয়সাল শেখ, রানা হাওলাদার, শামীমা আক্তার, শান্তা আক্তার, ইমু খাতুন মিথিলা রহমান, সাইম জমাদ্দার, কমল সর্দার ও নূরজাহান খাতুন। এরা দেশের পাবনা, গাজিপুর, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নরসিংদী, লক্ষিপুর, খুলনা, নড়াইল, লালমাটিয়া, বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি জানান, দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ১৭ জন বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরিকে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ফেরত আসাদের গত তিন বছর আগে ভারতীয় পুলিশ কলকাতা থেকে গ্রেফতার করে এবং পরে আদালতের নির্দেশে তাদের দেড় থেকে ৩ বছরের সাজা দেয়। সাজা শেষে তারা আজ দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরত আসা সবাই পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন শেল্টারহোমের হেফাজতে ছিল।

মন্তব্য

p
উপরে