× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Elections in Pakistans parliament are broken within 3 months
google_news print-icon

ভাঙল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট, নির্বাচন ৩ মাসের মধ্যে

ভাঙল-পাকিস্তানের-পার্লামেন্ট-নির্বাচন-৩-মাসের-মধ্যে-
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর পাকিস্তানের পার্লামেন্টে শুরু হয় হট্টেগাল। ছবি: জিও নিউজ
পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কিছু সময় আগেই ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্টে ভেঙে নতুন নির্বাচন দিতে চিঠি পাঠিয়েছে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তার সিদ্ধান্ত নেবে জনগণই।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

রোববার দুপুরে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিও নিউজ

কর্তৃপক্ষ একটি বিৃবতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই দেশে নতুন করে আবার নির্বাচন হবে।

সংবিধানের ৫৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী যদি পরামর্শ দেন, তাহলে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন। প্রেসিডেন্ট যদি পার্লামেন্ট ভেঙে না দেন, তবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা এমনিতেই ভেঙে যাবে। পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নতুন সরকার গঠন হবে।

পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কিছু সময় আগেই ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্টে ভেঙে নতুন নির্বাচন দিতে চিঠি পাঠিয়েছে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তার সিদ্ধান্ত নেবে জনগণই।

জনগণকে দুশ্চিন্তা না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সৃষ্টিকর্তা পাকিস্তানের ওপর নজর রাখছেন। এ সময় ক্ষমতা থেকে তাকে সরানোর জন্য বিদেশি চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইমরান খানের ক্ষমতায় টেকা-না টেকা নিয়ে বিরোধী পক্ষ জাতীয় পরিষদে যে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল, তা খারিজ হয়ে যায় এদিনই।

অধিবেশনের শুরুতে প্রস্তাব খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি। ব্যাপারটিকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ‘অসাংবিধানিক’ বলে। অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী ইমরান উপস্থিত ছিলেন না।

ষড়যন্ত্রের কারণে এই প্রস্তাব তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কাশিম সুরি। পরে অধিবেশন মুলতবি করেন তিনি। একপর্যায়ে বিরোধী দলগুলোর তোপের মুখে পড়তে হয় তাকে। স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা। হট্টগোল তৈরি হয়।

অধিবেশনের আগে সকালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশ শাসনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধী দলগুলো। এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটির জন্য অধিবেশন ডাকতে স্পিকার আসাদ কায়সারের প্রতি লিখিত আবেদন জানান তারা।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী লিখিত আবেদন জমার ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকারকে আলোচনার জন্য অধিবেশন ডাকতে হবে। সে অনুযায়ী ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা ছিল।

তবে ২২ মার্চ থেকে জাতীয় পরিষদে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হওয়ায় তা আর হয়নি। এরপরই অধিবেশনের তারিখ পেছায়। একপর্যায়ে তা রোববার এসে ঠেকে।

নিম্নকক্ষে ৩৪২ আসনের মধ্যে বিরোধীদের দখলে আছে ১৬৩টি। বাকি ১৭৯ আসন। এর মধ্যে ইমরানের দলের আছে ১৫৫টি, চার জোট সঙ্গীর ২০টি।

অনাস্থা প্রস্তাবে টিকে থাকতে হলে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ সদস্যের সমর্থন পেতে হতো। এরই মধ্যে তিন জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ) এবং বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন তারকা ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত তার সরকারের মেয়াদ রয়েছে।

এর আগে তিন বছরের মাথায় গত মার্চে অনাস্থা ভোট হয় ইমরানের বিরুদ্ধে। সেবার সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় অনায়াসেই উতরে গিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন:
সরানো হলো পাঞ্জাবের গভর্নরকে
অস্ট্রেলিয়াকে ধসিয়ে সিরিজ জিতল পাকিস্তান
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বন্ধের আহ্বান পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
In the six months of this year rape incidents are close to the last year
মহিলা পরিষদের প্রতিবেদন

চলতি বছরের ৬ মাসে ধর্ষণের ঘটনা গত বছরের কাছাকাছি

চলতি বছরের ৬ মাসে ধর্ষণের ঘটনা গত বছরের কাছাকাছি

নারী ও শিশু নির্যাতনের মধ্যে কিছু ধরনের অপরাধের ঘটনা গত বছর যা ছিল এবার চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই সেই সংখ্যার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ছাড়িয়ে গেছে। যেমন এ বছরের প্রথম ছয় মাসেই ধর্ষণের ঘটনা সংখ্যাগত দিক দিয়ে গত বছরের প্রায় সমান। আবার যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্তকরণ, বাল্যবিবাহ এবং যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনা গত বছরের চেয়ে এখনই বেশি।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নারী ও কন্যা নির্যাতন: ২০২৪ সমীক্ষা’ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আনোয়ারা বেগম মুনিরা খান মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

১৪টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সমীক্ষাটি করা হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েশিশু এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সী নারী—এভাবে বয়সভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এ সমীক্ষায় ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, গৃহকর্মী নির্যাতন ও সাইবার অপরাধ—এই আট অপরাধকে আলাদাভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সংখ্যার ভিত্তিতে মোট নির্যাতনের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে ২ হাজার ৯৩৭টি, ২০২৪ সালে ২ হাজার ৫২৫টি এবং চলতি বছরের ৬ মাসে ১ হাজার ৫৫৫টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

অনুষ্ঠানে সমীক্ষার বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন মহিলা পরিষদের জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কর্মকর্তা আফরুজা আরমান। তিনি জানান, চলতি বছরের ছয় মাসে সাইবার অপরাধ এবং গৃহকর্মী নির্যাতনের সংখ্যা কিছুটা কমলেও অন্যগুলো বেড়েছে।

১৮ বছরের কম বয়সি কন্যাশিশুরা ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহের মতো নির্যাতনের শিকার বেশি হচ্ছে বলে সমীক্ষার তথ্য বলছে। আরও বলা হয়, ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীরাই বেশির ভাগ অপরাধ করছেন। অর্থাৎ কম বয়সীরাই ভুক্তভোগী হচ্ছে আবার অভিযুক্তদের বয়সও কম।

সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৩৬৪ জন ধর্ষণের শিকার, এর মধ্যে ২২০ জন কন্যা ও ১৪৪ জন নারী। ১৪৮ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, যার মধ্যে ৪৯ জন কন্যা ও ৯৯ জন নারী। ১৩৪ জন কন্যা ও ৭৭ জন নারী ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন। যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্তকরণের শিকার ২২৪ জনের মধ্যে ১২৫ জন কন্যা। বাল্যবিবাহের শিকার ২০ জন কন্যা। যৌতুকের শিকার ৬৬ জন নারী ও ২ কন্যাশিশু। গৃহকর্মী নির্যাতনের মধ্যে ১৬ জন কন্যা ও ৮ জন নারী এবং সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন ২৬ জন কন্যা ও ৩ জন নারী।

সমীক্ষার তথ্য বলছে, ধর্ষণের ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ অভিযুক্ত ব্যক্তির বয়স ১১ থেকে ৩০ বছর, এর মধ্যে ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সির সংখ্যা বেশি। সাইবার অপরাধের ২৯টি ঘটনার মধ্যে ১৪টি ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সের। ২৪ শতাংশ শিক্ষক এবং ৩১ শতাংশ চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বখাটে নারী ও মেয়েশিশুদের উত্ত্যক্ত করেছে। দলবদ্ধ ধর্ষণের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ অভিযুক্ত ব্যক্তিই থাকে ভুক্তভোগীর অপরিচিত। উপজেলা পর্যায়ের নারী ও কন্যাশিশুর নির্যাতনের ঘটনাগুলো গণমাধ্যমে বেশি প্রকাশ পায়।

সমীক্ষা বলছে, ঘটনা ঘটার পর মামলা করার প্রবণতা বেড়েছে। ধর্ষণের পর ৬২ শতাংশ ক্ষেত্রেই মামলা হচ্ছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক নানা উদ্যোগও কিছুটা বেড়েছে।

সমীক্ষার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আফরুজা আরমান বলেন, গণমাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতনের সব তথ্য প্রকাশ পায় না। নির্যাতনের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার খবরগুলো কম প্রকাশিত হয়। ভুক্তভোগী নারীর বয়স, পেশা সেভাবে উল্লেখ থাকে না। আইনগত পদক্ষেপ, মামলা নিষ্পত্তিসহ ঘটনার ফলোআপ সংবাদগুলোও গণমাধ্যমে পাওয়া যায় না।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, দেশে নারী ও মেয়েশিশু নির্যাতনের ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতা বেড়েছে। সমীক্ষার তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কম বয়সিরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে আবার অভিযুক্তদের বয়সও কম। এটা উদ্বেগজনক। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় এসেছে, একই অপরাধী বারবার অপরাধ করতেই থাকে। এর পেছনে অপরাধীদের রাজনৈতিক এবং ক্ষমতাসীনদের মদদ দেওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত। ক্ষমতাসীনদেরও অনেকে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে।

ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি সমাজে নারীবিদ্বেষী আবহ তৈরি হয়েছে। কেন টিপ পরছে, কেন এমন জামা পরছে—এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। সমাজ থেকে নারীবিদ্বেষী আবহ বা সংস্কৃতি দূর করতে সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারী নির্যাতনের মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমাতে সমাজে সুশাসন নিশ্চিতের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ঘরে-বাইরে শিশুরা অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে—এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রশিক্ষণ ও গবেষণা পরিচালক শাহজাদী শামীমা আফজালী। মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার উপপরিষদের সম্পাদক রীনা আহমেদ, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক দীপ্তি শিকদার প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Vicarunnisas teacher is temporarily dismissed
হিজাব বিতর্কে

ভিকারুননিসার শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত

ভিকারুননিসার শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত

হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহারকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার প্রভাতী শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত রোববার। ওই দিন স্কুলের বসুন্ধরা শাখায় ষষ্ঠ শ্রেণির কিছু ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে আসে। অভিযোগ অনুযায়ী, ইংরেজি শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার তাদের ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মতো’ হিজাব পরে আসার জন্য বকাঝকা করেন এবং ক্লাস থেকে বের করে দেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান, তাদের সন্তানরা প্রতিদিনের মতোই হিজাব পরে স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু বাসায় ফিরে তারা জানায়, হিজাব পরার কারণে তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার দাবি, তিনি হিজাব পরতে নিষেধ করেননি। তিনি শুধুমাত্র সঠিকভাবে হিজাব পরার কথা বলেছিলেন এবং সে কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি আরও দাবি করেন, ‘জঙ্গি’ শব্দটি ব্যবহার করেননি তিনি, বরং বলেছিলেন যে এ ধরনের ওড়না সাধারণত মাদ্রাসার মেয়েরা পরে থাকে।

এ ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং এডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করে। একই সঙ্গে, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Three accused are still absconding with 3 militants the Inspector General of Kara

৯ জঙ্গিসহ এখনো ৭০০ আসামি পলাতক: কারা মহাপরিদর্শক

৯ জঙ্গিসহ এখনো ৭০০ আসামি পলাতক: কারা মহাপরিদর্শক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ২ হাজার ৭০০–এর বেশি বন্দি পালিয়ে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক বন্দি পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, পলাতকদের মধ্যে জঙ্গি আছেন ৯ জন। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আছেন ৬০ জন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় কারা অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মোতাহের হোসেন।

কারা মহাপরিদর্শক আরও বলেন, সে সময় লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯টি অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধার ও পলাতক বন্দিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।

কারাগারে বর্তমানে কতজন রাজনৈতিক বন্দি ও কতজন ভিআইপি বন্দি আছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, রাজনৈতিক বন্দি বলতে তাদের কাছে কেউ নেই। কারণ, রাজনৈতিক কোনো মামলায় গ্রেপ্তার কাউকে কারাগারে আনা হয়নি। কারাগারে যারা আছেন, তারা সবাই বন্দি হিসেবে আছেন। আর ভিআইপি বন্দি বলতেও কোনো শব্দ নেই।

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, কারাগারে বর্তমানে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি আছেন ১৬৩ জন। আরও ২৮ জন ডিভিশন পাওয়ার আবেদন করেছেন। তবে তারা অনুমোদন পাননি।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্যের কপি লিখিত আকারে দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, কারাগারকেন্দ্রিক সংশোধনের বিষয়টির ওপর অধিক গুরুত্বারোপের জন্য বাংলাদেশ জেলের নাম পরিবর্তন করে ‘কারেকশন সার্ভিসেস বাংলাদেশ’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, মাদকাসক্তির বিষয়ে জিরো টলারেন্স কঠোরনীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং গত এক বছরে মাদকসেবী ২৯ জন সদস্যকে মাদক বহন, গ্রহণ ও সরবরাহে জড়িত থাকার অপরাধে ফৌজদারি মামলায় কারাগারে পাঠানোসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এসংক্রান্ত সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারা সদর দপ্তর নিজস্ব ডোপ টেস্টিং মেশিন সংগ্রহ করেছে।

কারা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি এবং সব নিয়মবহির্ভূত বিষয়েও অধিদপ্তরের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলে জানান কারা মহাপরিদর্শক। তিনি বলেন, বিগত এক বছরে বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক অবসর, ৩৪ জনকে চাকরিচ্যুত, ৪৪০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ ১৭২ জনকে প্রশাসনিক কারণে বিভাগের বাইরে বদলি করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বন্দীদের খাবারের তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ স্বল্প পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে এবং তা যৌক্তিক পর্যায়ে বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। ইতোমধ্যে তার অনুমোদন পাওয়া গেছে। এছাড়া সকালের নাশতা এবং বিশেষ দিবসের জন্যও খাদ্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

বন্দিদের উৎপাদনমুখী করার জন্য সুবিধাজনক স্থানে ‘কারেকশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক।

মোতাহের হোসেন বলেন, প্রতি বছর ৫০ হাজারের মতো সক্ষম জনবল কারাগারে অবস্থান করে। এর মধ্যে ২০ থেকে ২৫ হাজার জনবলকে যদি উৎপাদনমুখী করা যায়, এতে একদিকে সরকারের যেমন রাজস্ব সাশ্রয় হবে, একইভাবে বন্দিদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, তারাও কারাগার থেকেই পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দিতে পারবেন।

বড় দুর্নীতির জায়গা ছিল কারা অধিদপ্তর এই তথ্য জানিয়ে মোতাহের হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে তারা এই বিষয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।

কারাগারে থেকেই গোপনে মুঠোফোন ব্যবহার, বন্দীদের চিকিৎসাসেবার অপ্রতুলতা এবং কারাগারে মাদকের ব্যবহারসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর তারা এক হাজারের বেশি অভিযান পরিচালনা করে বন্দিদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছেন।

কারাগারে বন্দিদের চিকিৎসাসেবায় নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, বর্তমানে কারাগারে ১৪১ জন চিকিৎসক আছেন। আর অস্থায়ী চিকিৎসা করেছেন ১০৩ জন। কারাবন্দি অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে সে ঘটনার তদন্ত হয়, ময়নাতদন্ত হয়। অবশেষে বিচার বিভাগীয় তদন্ত পর্যন্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, সব সেবাপ্রত্যাশী ও কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবার মান বৃদ্ধি পেলেও কারা হাসপাতালে প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ, কারাগারগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ, কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ আবাসন সমস্যা নিরসন, বেতন গ্রেড পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আশাব্যঞ্জক প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। তবে কারা বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় একত্র হয়ে এই যৌক্তিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Rizvi is the expectation of a fair election before Ramadan

রমজানের আগেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা রিজভীর

রমজানের আগেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা রিজভীর

আগামী রমজানের আগেই দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এতে ষোলো বছর পর দেশের ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতিহা পাঠ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

দেশের মানুষ এখনো নানাভাবে অধিকারবঞ্চিত উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের দিক থেকে আমরা এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের মধ্যে বাস করছি। আমাদের আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠা পায়নি। তবে আমাদের বিশ্বাস খুবই দ্রুত রমজানের আগেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তাতে এ দেশের ভোটাররা ষোলো বছর ধরে যে ভোট দিতে পারেননি, এবার তারা সেই ভোট দিতে পারবেন।’

‘পাশাপাশি গণতন্ত্রের আরও বিভিন্ন শর্ত, যেমন: এ দেশের মানুষের মনে নিরাপত্তাবোধ তৈরি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা— পূরণ করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘আদালত হতে হবে অসহায় মানুষের শেষ ভরসার স্থল। সেই ধরনের একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর এই লক্ষ্য পূরণে মানুষের অনুপ্রেরণা হচ্ছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন মানবতা, প্রেম ও দ্রোহের কবি। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম, স্বাধীনতার লড়াই, নব্বইয়ের গণআন্দোলন এবং বছরখানেক আগে যে দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, প্রতিটি জাতীয় অর্জন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যার গান ও কবিতা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে, দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছে, তার গান গাইতে গাইতে ও তার কবিতা আবৃত্তি করতে করতে আমরা রাজপথে নেমে আসতাম।’

রিজভী বলেন, ‘স্বৈরশাসনের তপ্ত বুলেটের সামনে নিঃশঙ্কচিত্তে দাঁড়াতেও দ্বিধা করিনি, কারণ আমাদের কণ্ঠে ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান ও কবিতা। যখনই এ দেশের মানুষ অধিকারহারা হয়, তখনই তাদের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ করে অত্যাচারীর শৃঙ্খল ভাঙার প্রত্যয় জেগে ওঠে যার কবিতা ও গানে, তিনি কাজী নজরুল ইসলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে তিনি (নজরুল) তার শানিত কলম চালাতে দ্বিধা করেননি। তার লেখা কবিতা, গান ও সৃষ্টির মধ্য দিয়ে যে চেতনা তিনি গোটা জাতিকে দিয়েছেন, তা ধারণ করেই আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সংগ্রাম করেছি, জুলাই আন্দোলনে যার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।’

মন্তব্য

আমতলীতে প্রভাব খাটিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শতাধিক গাছ কর্তন

আমতলীতে প্রভাব খাটিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শতাধিক গাছ কর্তন

বরগুনার আমতলী উপজেলার চুনাখালী বাজার স্লুইজগেট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশের মেহগনি, রেইন্ট্রি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির লাখ টাকা গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. রুবেল আহমেদের বিরুদ্ধে।

প্রভাবখাটিয়ে তিনি এ গাছ বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ রক্ষা করতে হলে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের।

জানাগেছে, ১৯৬৮ সালে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড আমতলী উপজেলার চুনাখালী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেছেন। ওই বাঁধের দুই পাশে তারা মেহগনি, রেইন্ট্রি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন । পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ রুবেল আহমেদ তার গ্রামের বাড়ী চুনাখালী বাজার স্লুইজগেট সংলগ্ন এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকশত গাছ জলিল বেপারীর কাছে এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। শনিবার জলিল বেপারী গাছ কাটা শুরু করেন। সোমবার রাতে তিনি ট্রাকে করে ওই গাছ নিয়ে গেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ গাছ কাটা ও বিক্রির বিষয়টি বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। গাছ কাটা ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত রুবেল আহমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, গত দুইদিন ধরে রুবেল আহমেদ ও জলিল বেপারী তারা ৫-৬ জন লোক দিয়ে বাঁধের দুই পাশের অনেক গাছ কেটে স্তুপ করছে। সোমবার রাতে বড় ট্রাকে করে ওই গাছ তিনি (জলিল) নিয়ে গেছেন। তারা আরো বলেন, বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত রুবেল আহমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের।

জলিল বেপারী বলেন, রুবেল আহমেদ আমার কাছে এক লাখ টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। ওই গাছের কিছু কলাপাড়া বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন, রুবেল আমার কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। অবশিষ্ট টাকা গাছ বিক্রি করে দেয়া হবে।

পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ রুবেল আহমেদ বলেন, সরকারী জমির গাছ কেটে বিক্রি করা আমার ভুল হয়েছে। ১৬ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করেছি। আর গাছ কাটা হবে না।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তারাই ব্যবস্থা নিবেন।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হান্নান প্রধান বলেন, লোক পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
For the first time in Rajshahi the National Talent Fest started 2021

রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো শুরু হলো ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট ২০২৫

রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো শুরু হলো ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশে ইউনাইটেড নেশনস ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব), রাজশাহী ডিভিশনের উদ্যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো “ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট ২০২৫”।

ইতোপূর্বে রাজশাহী ডিভিশনের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের, UNYSAB MUN এবং ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিটের আয়োজন করা ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশন আরো একবার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরী করতে চলেছে এই ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট এর মাধ্যমে।

দুই মাসব্যাপী এ প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এবারের আয়োজনে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার পুরস্কার থাকছে।

উৎসবে শিক্ষার্থীরা তিনটি ভিন্নধর্মী সেগমেন্টে অংশ নিতে পারবেন। এর মধ্যে বিজনেস কেস কম্পিটিশনে বিজয়ীদের জন্য থাকছে ১,১৫,০০০ টাকার পুরস্কার, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান উপস্থাপন করবেন।

লেখালেখিতে দক্ষ তরুণদের জন্য থাকছে “ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট রাইটিং” প্রতিযোগিতা, যার পুরস্কার ৫০,০০০ টাকা। এছাড়া বিজ্ঞাপন নির্মাণে আগ্রহীদের জন্য “প্রোমো অ্যাড মেকিং” সেগমেন্টে থাকছে আরও ৫০,০০০ টাকার পুরস্কার। প্রতিটি প্রতিযোগিতার জন্য নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি রয়েছে এবং ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর, ক্লাব পার্টনার ও কলেজ শিক্ষার্থীরা বিজনেস কেস কম্পিটিশনে বিশেষ ছাড় পাবেন।

অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং অফলাইন রেজিস্ট্রেশন ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি সেগমেন্টে অভিজ্ঞ বিচারক প্যানেল মূল্যায়ন করবেন। সকল অংশগ্রহণকারী পাবেন অনলাইন সার্টিফিকেট, আর ফাইনালিস্টদের জন্য থাকছে বিশেষ সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও অন্যান্য সুবিধা।

টাইটেল পার্টনার হিসেবে রয়েছে বায়ো-জিন (Bio-xin), সাসটেইনেবিলিটি পার্টনার চন্দ্রকলি ফাউন্ডেশন। এছাড়া Berlo Communication, SME Foundation, NIT Global Academy ও Bombay Sweets পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে।

ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশনের রিজিওনাল সেক্রেটারি মোঃ শিহাব মিয়া বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য দেশের প্রতিটি তরুণকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া, যেখানে তারা জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের দক্ষতা ও মেধা প্রদর্শন করতে পারবে।”

এছাড়াও এই প্রেস ব্রিফিং এ আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির ডেপুটি রিজিওনাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ বাঁধন এবং জারিন তাসনিম কেয়া।

বায়ো-জিন এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এর এক্সিকিউটিভ প্যানেল থেকে উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ হোসাইন সাগর এবং আবদুল্লাহ আল-মামুন

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
District Administration Warning Warning Message to Lift Sand Stone illegally

অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের চেষ্টা, সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসনের

অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের চেষ্টা, সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসনের

সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুনামগঞ্জে যেন কেউ বালু ও পাথর উত্তোলনের চেষ্টা না করে সে জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক থেকে এই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়।

সতর্ক বার্তায় বলা হয়, সম্প্রতি সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের চেষ্টা করছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী, অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দেশপ্রেমিক সাহসী জনতাকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কোন ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে সর্তক থাকতে এবং এ ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মন্তব্য

p
উপরে