× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Will the world survive without Russian oil and gas?
google_news print-icon

রাশিয়ার তেল-গ্যাস ছাড়া কি বিশ্বের চলবে?

রাশিয়ার-তেল-গ্যাস-ছাড়া-কি-বিশ্বের-চলবে?
ক্রমেই বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। ছবি: বিবিসি
তেল নিয়ে নিজেদের অবস্থান প্রসঙ্গে বরাবরের মতোই শক্ত কথা বলেছে রাশিয়া। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেন, রাশিয়ান তেলের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা বিশ্ববাজারে বিপর্যয়মূলক অবস্থা ডেকে আনবে।

রাশিয়ার নাম আসলেই আলোচনায় আসে তাদের জ্বালানি তেলের কথা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্ব নেতাদের ওপর প্রভাব খাটানোর যে চেষ্টা করেন; তার পেছনে বড় একটা কারণও এই তেল।

পুতিন হয়তো ভেবেই নিয়েছিলেন; তেল-গ্যাস-কয়লার কথা চিন্তা করে ইউক্রেনে তাদের চালানো হামলা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলবে না। তবে তা আর হয়নি। ইউক্রেন হামলা শুরুর পর দেশটির এসব পণ্যের ওপর এসেছে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা।

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করে রাশিয়া। প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিতেও দেশটির অবস্থান শীর্ষে। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, রাশিয়ার তেল ছাড়া কি বিশ্বের চলবে?

এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বুধবারের এক প্রতিবেদনে

রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়ার তেল-গ্যাস-কয়লার ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেনের প্রশাসন জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করবে না তারা।

এর আগে যুক্তরাজ্যও একই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। তারা বলছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়ান তেল পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, তারা গ্যাস আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনছে।

রাশিয়ার তেলের বিকল্প উৎস খোঁজার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

অবশ্য তেল নিয়ে নিজেদের অবস্থান প্রসঙ্গে বরবারের মতোই শক্ত কথা বলেছে রাশিয়া। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজ্যান্ডার নোভাক বলেন, রাশিয়ান তেলের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা বিশ্ববাজারে বিপর্যয়মূলক অবস্থা ডেকে আনবে।

সার্বিক পরিস্থিতিতে রাশিয়া তেল রপ্তানি বন্ধ করলে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে শুরু করবে বিশ্বজুড়ে। এরই মধ্যে এসব পণ্যের দাম হুহু করে বেড়ে ওঠায় তেমনই ইঙ্গিত মিলছে।

কী পরিমাণ তেল রপ্তানি করে রাশিয়া

তেল উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পর তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হলো রাশিয়া। প্রতিদিন দেশটি প্রায় ৫০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করে। এর অর্ধেকের বেশি যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাজ্যের চাহিদার ৮ ভাগ তেল রপ্তানি করে রাশিয়া।

এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের চেয়ে রাশিয়ার ওপর কিছুটা কম নির্ভরশীল। যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদার মোট ৩ ভাগ তেল আসে রাশিয়া থেকে।

ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, দিনে সাড়ে ১৬ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে সৌদি আরব করে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল, আর রাশিয়া করে ১০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেল। কানাডা ৫ দশমিক ১, ইরাক ৪ দশমিক ১, চীন ৩ দশমিক ৯ আর কুয়েত উৎপাদন করে ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন।

বিকল্প কী

জ্বালানি নীতি গবেষণা বিশ্লেষক বেন ম্যাকউইলিয়ামস বলেছেন, গ্যাসের চেয়ে বরং বিকল্প তেল সরবরাহকারী খুঁজে পাওয়া সহজ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে কিছু তেল আসছে। তবে অন্য দেশগুলো থেকেও এর প্রচুর চালান রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সৌদি আরবকে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বলা হচ্ছে। তবে তেলের দাম কমানোর জন্য উৎপাদন বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় সমর্থন নেই তাদের। সৌদির পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ প্রত্যখ্যান করা হয়েছে।

তেল রপ্তানিকারকদের সংগঠন ওপেকের বৃহত্তম উত্পাদক দেশ সৌদি আরব। এই সংগঠনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৬০ ভাগ বিক্রি করা হয়ে থাকে। তেলের দাম প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে ওপেকের মুখ্য ভূমিকা রয়েছে।

রাশিয়া ওপেকের অন্তর্ভুক্ত না হলেও উত্পাদকদের আয় বজায় রাখার জন্য ২০১৭ সাল থেকে এর সঙ্গে কাজ করছে রাশিয়া।

তেল নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র এখন তাকিয়ে আছে ভেনেজুয়েলার তেল নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার দিকে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান তেল সরবরাহকারী ছিল, কিন্তু সম্প্রতি তারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মূলত চীনের কাছে তাদের তেল বিক্রি করছে।

রাশিয়া গ্যাস না পাঠালে কী হবে

রাশিয়ার গ্যাস না পেলে পশ্চিম ইউরোপে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। এরই মধ্যে এসব দেশে দাম বাড়তে শুরু করেছে গ্যাসের, যা আরও বাড়বে।

ইউরোপে যে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি হয়, তার প্রায় ৪০ ভাগই আসে রাশিয়া থেকে। ইউক্রেন সংকটে এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশেষ করে সংকটে পড়বে ইতালি ও জার্মানির মতো দেশগুলো।

যুক্তরাজ্য ৫ শতাংশ গ্যাস আমদানি করে রাশিয়ায় থেকে। আর যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে কোনো গ্যাসই আমদানি করে না। এসব দেশে দাম বাড়ছে মূলত সরবরাহের ঘাটতির কারণে।

রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প আছে?

রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প এখনও সে রকম গড়ে ওঠেনি। তবে উপায় খুঁজছে অনেক দেশই।

বিশ্লেষক বেন ম্যাকউইলিয়ামস বলছেন, রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প খোঁজা কঠিন। রাশিয়ান গ্যাস ইউরোপে চলে যাচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপকে রাশিয়ান জ্বালানি মুক্ত করতে একটি পরিকল্পনা দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে তেল-গ্যাস আমদানি করা দেশগুলো অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভোক্তাদের খরচ বেড়েছে। শিগগিরই হয়তো তাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে এসব পণ্য কিনতে।

ইউক্রেন সীমান্তে টানা কয়েকদিন সেনা মোতায়েন করে রেখে অবশেষে গত ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া। পুতিন বাহিনীকে প্রতিরোধ করছে ইউক্রেনের সেনারাও।

এরই মধ্যে তিন দফা ইউক্রেন-রাশিয়ার বৈঠক হয়েছ; তবে কার্যত যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

ইউক্রেনে হামলা শুরুর আগেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্থির হতে শুরু করে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার অশোধিত তেল ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। ব্যারেল প্রতি দাম উঠেছে ১৩০ ডলারে। আর বিভিন্ন পাম্পে পেট্রলের দাম সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে প্রতি গ্যালন গড়ে ৪ দশমিক ১৭ ডলারে বিক্রি হয়।

আরও পড়ুন:
ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধে নামতে নাগরিকত্বের প্রলোভন
রুশ জ্বালানি ছাড়া জার্মানি থেমে যাবে: বেয়ারবক
তুরস্কের দূতিয়ালিতে যুদ্ধ বন্ধের পথ মিলবে?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The death of a patient in a hospital in India

ভারতে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ রোগীর মৃত্যু

ভারতে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ রোগীর মৃত্যু

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়পুরে সরকারি সাওয়াই মান সিং (এসএমএস) হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটজন গুরুতর রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার গভীর রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ট্রমা সেন্টারের ইনচার্জ ডা. অনুরাগ ধাক্কাদ জানিয়েছেন, আগুন লাগে ভবনের স্টোরেজ এলাকায়। সে সময় নিউরো আইসিইউতে ১১ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে গোটা তলায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। হাসপাতালে সংরক্ষিত নথি, আইসিইউ সরঞ্জাম ও রক্তের নমুনাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।

দমকল বাহিনী খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালের কর্মী ও রোগীর স্বজনরা আগুন লাগার পরপরই বিছানাসহ রোগীদের বাইরে সরিয়ে নেন।

ওয়ার্ডবয় বিকাশ পিটিআইকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে লোকজনকে বের করে আনি। অন্তত তিন-চারজন রোগীকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি, তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর আর ভেতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি।’

ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা, সংসদীয়বিষয়ক মন্ত্রী যোগরাম প্যাটেল এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জওহর সিং বেধাম। তারা ক্ষতিগ্রস্ত রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তবে দুই রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, আগুন লাগার সময় হাসপাতালের কর্মীরা পালিয়ে যান এবং রোগীদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি। তারা আরও জানান, আমরা ধোঁয়া দেখে কর্মীদের জানিয়েছিলাম, কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি।

এর মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Kim Jong Un visited the warship

যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করলেন কিম জং উন

যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করলেন কিম জং উন

যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। পাঁচ হাজার টন ওজনের ডেস্ট্রয়ারটি শত্রুদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রাগারে থাকা পাঁচ হাজার টন ওজনের দুটি ডেস্ট্রয়ারের মধ্যে ছো হিওন একটি। দুটি ডেস্ট্রয়ারই এই বছর চালু করা হয়েছে।

দেশটির নৌ সক্ষমতা বাড়াতে এটি কিম জং উনের প্রচেষ্টার একটি অংশ।

রোববার যুদ্ধজাহাজটি পরিদর্শনকালে কিম বলেন, যুদ্ধজাহাজটি ‘(উত্তর কোরিয়ার) সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের একটি স্পষ্ট প্রদর্শনী।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশাল সমুদ্রে আমাদের নৌবাহিনীর অসাধারণ ক্ষমতা প্রয়োগ করা উচিত, যাতে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে শত্রুর উস্কানিকে পুরোপুরি প্রতিহত করা ও শত্রুদের শাস্তি দেওয়া যায়।’

কিম আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে একই ধরনের তৃতীয় ডেস্ট্রয়ার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য হাজার হাজার উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েনের বিনিময়ে সম্ভবত রাশিয়ার সহায়তায় উত্তর কোরিয়া ছো হিওন তৈরি করেছে।’

কেসিএনএর ছবিতে দেখা গেছে, কিম জাহাজের ভেতরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ তদারকি করছেন এবং মনিটরগুলোতে কোরিয়ান উপদ্বীপের চারপাশের সমুদ্র দেখা যাচ্ছে।

আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, সামরিক জেনারেলদের সামনে একটি মানচিত্রের দিকে ইঙ্গিত করছেন কিম।

পরমাণু অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার সামরিক হুমকি প্রতিহত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫শ সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং গত মাসে দেশটির নিরাপত্তা মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে একটি যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছে।

পিয়ংইয়ং নিয়মিতভাবে এই ধরনের মহড়াকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে নিন্দা করে আসছে। অন্যদিকে মিত্ররা জোর দিয়ে দাবি করেছে যে, এগুলো প্রতিরক্ষামূলক মহড়া।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The threat of federal workers to trim the masses is the White House

ফেডারেল কর্মীদের গণহারে ছাঁটাইয়ের হুমকি হোয়াইট হাউসের

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন
ফেডারেল কর্মীদের গণহারে ছাঁটাইয়ের হুমকি হোয়াইট হাউসের

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ব্যাপক হারে ছাঁটাই করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি মনে করেন, আংশিক সরকারি শাটডাউন (অচলাবস্থা) থামাতে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটদলীয় সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি, তাহলে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

গত বুধবার থেকে শাটডাউন শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সদস্যরা আগের দিন মধ্যরাতের মধ্যে নতুন সরকারি ব্যয় বা অর্থায়ন পরিকল্পনায় একমত হতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন অবস্থা চলছে।

হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের পরিচালক কেভিন হাসেট সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে বলেন, তার বিশ্বাস ডেমোক্র্যাটরা এখনো তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারে। আর এর মধ্য দিয়ে একটি বড় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট এড়ানো সম্ভব হবে।

হাসেট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং রাস ভট (হোয়াইট হাউসের বাজেট পরিচালক) সবকিছু প্রস্তুত করছেন এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তৈরি। তবে তারা আশা করছেন, সেটা করতে হবে না। প্রেসিডেন্ট যদি সিদ্ধান্ত নেন, আলোচনা একেবারেই ফলপ্রসূ হচ্ছে না, তবে তখন ছাঁটাই শুরু হবে।’

গত রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প সম্ভাব্য চাকরিচ্যুতিকে ‘ডেমোক্র্যাট ছাঁটাই’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, কেউ যদি চাকরি হারায়, তবে মনে করতে হবে, সেটা ডেমোক্র্যাটদের কারণে হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অচলাবস্থা সত্ত্বেও রোববার ভার্জিনিয়ার নরফোকে মার্কিন নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন ট্রাম্প।

নরফোকের নেভাল স্টেশনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হোয়াইট হাউস থেকে নেভাল স্টেশনটির উদ্দেশে যাত্রা করার আগে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, যা কিছুই ঘটুক, শো অবশ্যই চলবে।’ তিনি এটিকে নৌবাহিনীর দক্ষতা ও শক্তিমত্তা প্রদর্শনের শো বলে উল্লেখ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারে আংশিক অচলাবস্থার জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তারা মার্কিন নৌবাহিনীর জন্মদিনের এই দারুণ উৎসবটাকে নষ্ট করতে চায়।

কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের সর্বশেষ বৈঠকের পর এখন পর্যন্ত কোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়নি।

সিনেটের সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সিবিএসের ফেস দ্য নেশন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নন। ট্রাম্প ও কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে নতুন আলোচনার মাধ্যমেই কেবল অচলাবস্থার অবসান সম্ভব।’

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের হিসাব অনুযায়ী, সরকারে আংশিক শাটডাউন চলার কারণে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ফেডারেল কর্মী বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রেখেছেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Throw shoes toward the Chief Justice of India in court

আদালতে ভারতের প্রধান বিচারপতির দিকে জুতা নিক্ষেপ

আদালতে ভারতের প্রধান বিচারপতির দিকে জুতা নিক্ষেপ

ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের দিকে জুতা ছুড়ে মেরেছেন ৭১ বছর বয়সি এক আইনজীবী। ঘটনাটি জানার পর দিল্লি পুলিশ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে জুতা মারার ঘটনায় প্রধান বিচারপতি বিচলিত না হয়ে আইনজীবীদের আদালতের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রাকেশ কিশোর নামের ওই আইনজীবী স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে কোর্ট নম্বর ১-এ শুনানি চলাকালে তাঁর স্পোর্টস শু খুলে প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের দিকে ছুড়ে মারেন।

একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তাকর্মীরা ওই আইনজীবীকে আটক করে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি ময়ূর বিহার এলাকার বাসিন্দা এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধিত সদস্য।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দির চত্বরে ‘ভগবান বিষ্ণু’র একটি মূর্তি পুনর্নির্মাণের আবেদন নিয়ে সাম্প্রতিক এক শুনানিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে ওই আইনজীবী ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, দিল্লি পুলিশ এখন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে সমন্বয় করছে। ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে নয়াদিল্লি জেলা পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

প্রধান বিচারপতি গাভাই দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা বিভাগের দেওয়া ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা পান।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রণের সঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চে সভাপতিত্ব করার সময় প্রধান বিচারপতি গাভাই মন্তব্যটি করেন। সে সময় তিনি খাজুরাহো মন্দির চত্বরের জাভরি মন্দিরে ৭ ফুট লম্বা জরাজীর্ণ ‘ভগবান বিষ্ণু’র মূর্তি পুনর্নির্মাণের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিলেন।

প্রধান বিচারপতি গাভাই আবেদনকারীকে বলেছিলেন, ‘এটি পুরোপুরি প্রচারের স্বার্থে করা মামলা। আপনি যান এবং দেবতাকে নিজেকেই কিছু করতে বলুন। আপনি যদি নিজেকে ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত বলে দাবি করেন, তবে প্রার্থনা করুন এবং কিছুটা ধ্যান করুন।’

পরে প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন, তিনি ‘সব ধর্মকে সম্মান করেন’। তিনি স্পষ্ট করেন, মূর্তিটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই)। এই পটভূমিতে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘আমি সব ধর্মে বিশ্বাস করি, আমি সব ধর্মকে সম্মান করি।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Frances Prime Ministers resignation at the head of the 20 days of appointment

নিয়োগের ২৬ দিনের মাথায় ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ

নিয়োগের ২৬ দিনের মাথায় ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ

নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণার পর ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি, তার আগেই পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লকর্নু। মাত্র ২৬ দিন আগে তিনি ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।

এলিসি প্রাসাদ থেকে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিন সকালে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে দেখা করতে এলিসি প্রাসাদে এসেছিলেন সেবাস্তিয়ান লকর্নু। তিনি প্রায় এক ঘণ্টা এলিসি প্রাসাদে অবস্থান করেন।

গত মাসে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ফ্রাঁসোয়া বাইরু। তাঁর পদচ্যুতির পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সেবাস্তিয়ান লকর্নু।

লকর্নু রোববার নতুন যে মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন, তা নিয়ে ফ্রান্সের পার্লামেন্টের বেশির ভাগ দলের পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি ওঠে। কারণ, লকর্নু তার পূর্বসূরি বাইরুর ভেঙে দেওয়া মন্ত্রিসভা প্রায় অক্ষত অবস্থায় ফেরত আনেন। এর সমালোচনা করে দলগুলো নতুন মন্ত্রিসভাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার হুমকি দেয়।

এখন কয়েকটি দল আগাম নির্বাচনের দাবি তুলছে, কেউ কেউ মাখোঁর পদত্যাগ দাবি করছে। মাখোঁর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তিনি পদত্যাগ করবেন না।

গত বছরের জুলাই থেকে ফ্রান্সের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। দেশটির সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে কোনো দল স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

এর ফলে কোনো প্রধানমন্ত্রীই বিল এবং বার্ষিক বাজেট পাস করানোর জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারছেন না।

ফ্রান্সে দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পথ বেছে নিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trumps hint to complete the first step of the Gaza plan next week

আগামী সপ্তাহেই গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ সম্পন্ন করার ইঙ্গিত ট্রাম্পের

আগামী সপ্তাহেই গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ সম্পন্ন করার ইঙ্গিত ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি সমাধানের জন্য তার পরিকল্পনার প্রথম ধাপ আগামী সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে। গত রোববার রাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

ট্রাম্প বলেন, ‘এই সপ্তাহান্তে হামাস এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের (আরব, মুসলিম এবং অন্য সকলের) সঙ্গে খুবই ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় যুদ্ধের অবসান - কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অবশেষে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করা হয়েছে। এই আলোচনা খুবই সফল হয়েছে এবং দ্রুত এগিয়ে চলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত বিশদ বিবরণ পরিষ্কার করার জন্য এবং কাজ করার জন্য কারিগরি দলগুলো সোমবার মিসরে আবার মিলিত হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, প্রথম পর্যায়টি এই সপ্তাহেই সম্পন্ন হওয়া উচিত। আমি সকলকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

ট্রাম্প উল্লেখ করেন, এ বিষিয়ে কোনো বিলম্ব হবে ‘ব্যাপক রক্তপাতের হুমকি আসবে - এটি এমন কিছু যা কেউ দেখতে চায় না।’

গত ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউস গাজা উপত্যকার সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে ট্রাম্পের ‘ব্যাপক পরিকল্পনা’ প্রকাশ করে। এই নথিতে ২০টি দফা রয়েছে এবং বিশেষ করে ফিলিস্তিনি অঞ্চলটিতে অস্থায়ী ‘বহিরাগত প্রশাসন’ প্রবর্তন। আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের কথাও বলা হয়েছে। ইসরায়েল এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
12 Israeli troops killed in the war of Gaza

গাজা যুদ্ধে ১১৫২ ইসরায়েলি সেনা নিহত

গাজা যুদ্ধে ১১৫২ ইসরায়েলি সেনা নিহত

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ১ হাজারেরও বেশি সেনাকে হারিয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ১ হাজার ১৫২ জন সামরিক সদস্য প্রাণ হারিয়েছে।

ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রকাশিত পরিসংখ্যানে গাজা উপত্যকা, অধিকৃত অঞ্চলের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চল এবং লেবাননের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে অবস্থানরত ইসরায়েলি নিরাপত্তা সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পার্সটুডে জানায়, দখলদার বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় প্রায় তিন বছর ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।

মন্তব্য

p
উপরে