প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া।
যুদ্ধের দশম দিনের সবশেষ পরিস্থিতি জানতে নিউজবাংলার সঙ্গে থাকুন।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
‘ইউরোপ রক্ষা করুন: ইউক্রেনকে বাঁচান’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মধ্য লন্ডনে প্রতিবাদ করেন তারা।
বিক্ষোভ হয়েছে প্যারিসেও। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
বেনেটের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে বৈঠকের বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
রুশ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে: জাতিসংঘ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, শহরে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে মস্কো।
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় পোলান্ডসহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া নাগরিকরা শিগগিরই দেশে ফিরতে পারবেন বলেও আশা জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে খুব শিগগিরই আমাদের লোকজনকে বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। তারা পোলান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে ফিরে আসতে পারবেন। আমি তাদের বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। আর কোনো ভয় নেই।’
পোলান্ডের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে যাওয়া বাস্তুচ্যুতদের কাছে কেউই জাতীয়তা, বিশ্বাস বা আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে জানতে চাইছে না। আসলে পোলান্ডের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সীমান্তও নেই।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে পোলান্ড।
তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অশ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মারিওপল ও ভলনোভাখার বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যেতে দিতে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে কথা বলতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেট থেকে জেলেনস্কিকে শনিবার জুমের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ ইউক্রেনীয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরের শহর চারনিহিভে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রুশ হামলায় এ শহরের ৪৭ জন বাসিন্দা মারা গেছে।
রাজধানী কিয়েভ থেকে শহরটির দূরত্ব ১৪৩ কিলোমিটার।
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিওপল ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। আটকে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য মানবিক করিডরের আহ্বান জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো।
শহরটিতে সাড়ে ৪ লাখ বাসিন্দার বাস। হামলার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি টমাস গ্রিনফিল্ড জানিয়েছেন, জাপোরিজ্জার পর রুশ সেনারা আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে এসেছে।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রুশ বাহিনীকে তাদের বিপজ্জনক আক্রমণ থেকে বিরত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তের কারণে আকাশপথে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আরও বাড়বে।’
ন্যাটোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করে ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে বোমা হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছে ন্যাটো। আজ থেকে ইউক্রেনে যারা মারা যাবে তারা আপনার (ন্যাটো) কারণে, আপনার দুর্বলতার কারণে, আপনার ঐক্যের অভাবে কারণে মারা যাবে।’
এর আগে ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোন প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব শিগগিরই তার বৈঠক হতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সত্যিই ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।
তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করেন যখন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আগামী দিনে সৌদি আরবে প্রাথমিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পাম বিচ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘সময় নির্ধারণ করা হয়নি, তবে খুব শিগগিরই তা হতে পারে।’
ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বার্ষিকী ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছে।
আগামী দিনে সৌদি আরবের রাজধানীতে রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় রুবিও একটি উচ্চস্তরের আমেরিকান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে উড্ডয়নের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, তার দল রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য’ আলোচনা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে তার রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ দলভুক্ত রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, উইটকফ সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন।
পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।’
পুতিন পুরো ইউক্রেন দখল করতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এটাই ছিল তার কাছে আমার প্রশ্ন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি তিনি চালিয়ে যেতে চান তাহলে আমার জন্য একটা বড় সমস্যা হতো।
‘আমি মনে করি তিনি এটি শেষ করতে চান এবং তারা দ্রুত এটি শেষ করতে চান।জেলেনস্কিও এটি শেষ করতে চান।’
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
‘ইউরোপ রক্ষা করুন: ইউক্রেনকে বাঁচান’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মধ্য লন্ডনে প্রতিবাদ করেন তারা।
বিক্ষোভ হয়েছে প্যারিসেও। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
বেনেটের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে বৈঠকের বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
রুশ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে: জাতিসংঘ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, শহরে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে মস্কো।
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় পোলান্ডসহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া নাগরিকরা শিগগিরই দেশে ফিরতে পারবেন বলেও আশা জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে খুব শিগগিরই আমাদের লোকজনকে বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। তারা পোলান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে ফিরে আসতে পারবেন। আমি তাদের বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। আর কোনো ভয় নেই।’
পোলান্ডের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে যাওয়া বাস্তুচ্যুতদের কাছে কেউই জাতীয়তা, বিশ্বাস বা আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে জানতে চাইছে না। আসলে পোলান্ডের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সীমান্তও নেই।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে পোলান্ড।
তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অশ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মারিওপল ও ভলনোভাখার বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যেতে দিতে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে কথা বলতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেট থেকে জেলেনস্কিকে শনিবার জুমের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ ইউক্রেনীয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরের শহর চারনিহিভে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রুশ হামলায় এ শহরের ৪৭ জন বাসিন্দা মারা গেছে।
রাজধানী কিয়েভ থেকে শহরটির দূরত্ব ১৪৩ কিলোমিটার।
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিওপল ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। আটকে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য মানবিক করিডরের আহ্বান জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো।
শহরটিতে সাড়ে ৪ লাখ বাসিন্দার বাস। হামলার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি টমাস গ্রিনফিল্ড জানিয়েছেন, জাপোরিজ্জার পর রুশ সেনারা আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে এসেছে।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রুশ বাহিনীকে তাদের বিপজ্জনক আক্রমণ থেকে বিরত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তের কারণে আকাশপথে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আরও বাড়বে।’
ন্যাটোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করে ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে বোমা হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছে ন্যাটো। আজ থেকে ইউক্রেনে যারা মারা যাবে তারা আপনার (ন্যাটো) কারণে, আপনার দুর্বলতার কারণে, আপনার ঐক্যের অভাবে কারণে মারা যাবে।’
এর আগে ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোন প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা দা সিলভা।
ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রেডিও ক্লাব ক্লুবাদো পারাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা পাল্টা পদক্ষেপের কথা জানান।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সব ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতা বহাল থাকবে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যদি ব্রাজিলের আমদানি করা ইস্পাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র কর আরোপ করে, তবে আমরা বাণিজ্যিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। আমাদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ দেব অথবা সেখান থেকে আমদানি করা পণ্যগুলোর ওপর কর আরোপ করব।’
এ সপ্তাহের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে সই করেন। এটি ব্রাজিলের ইস্পাত খাতকে প্রভাবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ডো অ্যালকমিন বলেন, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পণ্যের বাণিজ্য ‘ভারসাম্যপূর্ণ’।
তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য হলো সংলাপ, বোঝাপড়া ও বিকল্প খোঁজার পথ। সেটাই করা হবে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
‘ইউরোপ রক্ষা করুন: ইউক্রেনকে বাঁচান’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মধ্য লন্ডনে প্রতিবাদ করেন তারা।
বিক্ষোভ হয়েছে প্যারিসেও। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
বেনেটের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে বৈঠকের বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
রুশ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে: জাতিসংঘ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, শহরে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে মস্কো।
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় পোলান্ডসহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া নাগরিকরা শিগগিরই দেশে ফিরতে পারবেন বলেও আশা জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে খুব শিগগিরই আমাদের লোকজনকে বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। তারা পোলান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে ফিরে আসতে পারবেন। আমি তাদের বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। আর কোনো ভয় নেই।’
পোলান্ডের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে যাওয়া বাস্তুচ্যুতদের কাছে কেউই জাতীয়তা, বিশ্বাস বা আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে জানতে চাইছে না। আসলে পোলান্ডের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সীমান্তও নেই।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে পোলান্ড।
তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অশ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মারিওপল ও ভলনোভাখার বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যেতে দিতে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে কথা বলতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেট থেকে জেলেনস্কিকে শনিবার জুমের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ ইউক্রেনীয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরের শহর চারনিহিভে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রুশ হামলায় এ শহরের ৪৭ জন বাসিন্দা মারা গেছে।
রাজধানী কিয়েভ থেকে শহরটির দূরত্ব ১৪৩ কিলোমিটার।
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিওপল ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। আটকে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য মানবিক করিডরের আহ্বান জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো।
শহরটিতে সাড়ে ৪ লাখ বাসিন্দার বাস। হামলার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি টমাস গ্রিনফিল্ড জানিয়েছেন, জাপোরিজ্জার পর রুশ সেনারা আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে এসেছে।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রুশ বাহিনীকে তাদের বিপজ্জনক আক্রমণ থেকে বিরত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তের কারণে আকাশপথে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আরও বাড়বে।’
ন্যাটোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করে ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে বোমা হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছে ন্যাটো। আজ থেকে ইউক্রেনে যারা মারা যাবে তারা আপনার (ন্যাটো) কারণে, আপনার দুর্বলতার কারণে, আপনার ঐক্যের অভাবে কারণে মারা যাবে।’
এর আগে ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোন প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র।
‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের প্রখ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই, যার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শনিবার তার মৃত্যু হয়।
গত সপ্তাহ থেকেই এ শিল্পী হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই স্নায়ু এবং নাক-কান ও গলা বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা হয় তার।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, প্রতুলের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে শিল্পীর ফুসফুসেও সংক্রমণ দেখা দেয়। দ্রুতই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।
প্রতুলের গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান হলো ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার গানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। মমতার তত্ত্বাবধানেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে।
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাবা ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। শৈশব থেকেই গান লিখে তাতে সুর দিয়ে গাওয়ার ঝোঁক ছিল তার।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে পাদপ্রদীপের আলোয় আনে তার গাওয়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এ ছাড়া সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবির নেপথ্য শিল্পী ছিলেন তিনি।
তার মতে, সৃষ্টির মুহূর্তে লেখক-শিল্পীকে একা হতে হয়। তারপর সেই সৃষ্টিকে যদি মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কেবল তাহলেই সেই একাকিত্বের সার্থকতা। সেই একক সাধনা তখন সকলের হয়ে ওঠে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
‘ইউরোপ রক্ষা করুন: ইউক্রেনকে বাঁচান’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মধ্য লন্ডনে প্রতিবাদ করেন তারা।
বিক্ষোভ হয়েছে প্যারিসেও। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
বেনেটের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে বৈঠকের বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
রুশ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে: জাতিসংঘ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, শহরে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে মস্কো।
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় পোলান্ডসহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া নাগরিকরা শিগগিরই দেশে ফিরতে পারবেন বলেও আশা জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে খুব শিগগিরই আমাদের লোকজনকে বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। তারা পোলান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে ফিরে আসতে পারবেন। আমি তাদের বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। আর কোনো ভয় নেই।’
পোলান্ডের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে যাওয়া বাস্তুচ্যুতদের কাছে কেউই জাতীয়তা, বিশ্বাস বা আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে জানতে চাইছে না। আসলে পোলান্ডের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সীমান্তও নেই।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে পোলান্ড।
তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অশ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মারিওপল ও ভলনোভাখার বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যেতে দিতে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে কথা বলতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেট থেকে জেলেনস্কিকে শনিবার জুমের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ ইউক্রেনীয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরের শহর চারনিহিভে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রুশ হামলায় এ শহরের ৪৭ জন বাসিন্দা মারা গেছে।
রাজধানী কিয়েভ থেকে শহরটির দূরত্ব ১৪৩ কিলোমিটার।
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিওপল ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। আটকে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য মানবিক করিডরের আহ্বান জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো।
শহরটিতে সাড়ে ৪ লাখ বাসিন্দার বাস। হামলার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি টমাস গ্রিনফিল্ড জানিয়েছেন, জাপোরিজ্জার পর রুশ সেনারা আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে এসেছে।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রুশ বাহিনীকে তাদের বিপজ্জনক আক্রমণ থেকে বিরত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তের কারণে আকাশপথে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আরও বাড়বে।’
ন্যাটোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করে ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে বোমা হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছে ন্যাটো। আজ থেকে ইউক্রেনে যারা মারা যাবে তারা আপনার (ন্যাটো) কারণে, আপনার দুর্বলতার কারণে, আপনার ঐক্যের অভাবে কারণে মারা যাবে।’
এর আগে ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোন প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় হারনাই জেলায় শুক্রবার শ্রমিক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির কোয়েটা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা শাহজাদ জাহরি এএফপিকে জানান, হারনাই জেলায় এ বোমা বিস্ফোরণে ১০ খনিশ্রমিক নিহত হন।
একই জেলার আরেক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সেলিম তারিন এএফপিকে বলেন, ‘শ্রমিকরা কাজের জায়গা থেকে বাজারে কেনাকাটার জন্য যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই তাদের গাড়িটি আক্রমণের শিকার হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ছিল একটি আইইডি বিস্ফোরণ।আমরা হামলার তদন্ত করছি।’
হারনাই দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি জেলা।
কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে বেলুচ লিবারেশন আর্মি প্রায়ই অন্যান্য প্রদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বা পাকিস্তানিদের, বিশেষ করে বেলুচিস্তানের পাঞ্জাবিদের বিরুদ্ধে মারাত্মক হামলার দাবি করে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
‘ইউরোপ রক্ষা করুন: ইউক্রেনকে বাঁচান’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মধ্য লন্ডনে প্রতিবাদ করেন তারা।
বিক্ষোভ হয়েছে প্যারিসেও। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
বেনেটের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে বৈঠকের বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
রুশ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে: জাতিসংঘ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, শহরে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে মস্কো।
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় পোলান্ডসহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া নাগরিকরা শিগগিরই দেশে ফিরতে পারবেন বলেও আশা জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে খুব শিগগিরই আমাদের লোকজনকে বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। তারা পোলান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে ফিরে আসতে পারবেন। আমি তাদের বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। আর কোনো ভয় নেই।’
পোলান্ডের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে যাওয়া বাস্তুচ্যুতদের কাছে কেউই জাতীয়তা, বিশ্বাস বা আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে জানতে চাইছে না। আসলে পোলান্ডের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সীমান্তও নেই।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে পোলান্ড।
তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অশ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মারিওপল ও ভলনোভাখার বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যেতে দিতে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে কথা বলতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেট থেকে জেলেনস্কিকে শনিবার জুমের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ ইউক্রেনীয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরের শহর চারনিহিভে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রুশ হামলায় এ শহরের ৪৭ জন বাসিন্দা মারা গেছে।
রাজধানী কিয়েভ থেকে শহরটির দূরত্ব ১৪৩ কিলোমিটার।
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিওপল ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। আটকে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য মানবিক করিডরের আহ্বান জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো।
শহরটিতে সাড়ে ৪ লাখ বাসিন্দার বাস। হামলার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি টমাস গ্রিনফিল্ড জানিয়েছেন, জাপোরিজ্জার পর রুশ সেনারা আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে এসেছে।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রুশ বাহিনীকে তাদের বিপজ্জনক আক্রমণ থেকে বিরত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তের কারণে আকাশপথে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আরও বাড়বে।’
ন্যাটোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করে ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে বোমা হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছে ন্যাটো। আজ থেকে ইউক্রেনে যারা মারা যাবে তারা আপনার (ন্যাটো) কারণে, আপনার দুর্বলতার কারণে, আপনার ঐক্যের অভাবে কারণে মারা যাবে।’
এর আগে ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোন প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্যের ভার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ছেড়ে দিতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন দুই নেতা।
ওই সময় বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জড়িত ছিল। সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জুনিয়র সোরোসের (জর্জ সোরোসের ছেলে) বৈঠকও তা প্রমাণ করে। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?’
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে আমেরিকা বা আমেরিকান ডিপ স্টেটের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
‘এটি এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন; শত শত বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। তাই বিষয়টি (বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তর দেওয়ার বিষয়) আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতেই ছেড়ে দেব।’
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেননি ট্রাম্প। ওই সময় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আকর্ষণীয় বাণিজ্যচুক্তি হতে চলেছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অভিবাসন নীতির প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে দেশটিতে অবস্থানরত কয়েক হাজার অনথিভুক্ত ভারতীয় অভিবাসীকে মোদি সরকার ফিরিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
‘ইউরোপ রক্ষা করুন: ইউক্রেনকে বাঁচান’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মধ্য লন্ডনে প্রতিবাদ করেন তারা।
বিক্ষোভ হয়েছে প্যারিসেও। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
বেনেটের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে বৈঠকের বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
রুশ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে: জাতিসংঘ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, শহরে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে মস্কো।
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় পোলান্ডসহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া নাগরিকরা শিগগিরই দেশে ফিরতে পারবেন বলেও আশা জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে খুব শিগগিরই আমাদের লোকজনকে বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। তারা পোলান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে ফিরে আসতে পারবেন। আমি তাদের বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। আর কোনো ভয় নেই।’
পোলান্ডের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে যাওয়া বাস্তুচ্যুতদের কাছে কেউই জাতীয়তা, বিশ্বাস বা আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে জানতে চাইছে না। আসলে পোলান্ডের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সীমান্তও নেই।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে পোলান্ড।
তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অশ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মারিওপল ও ভলনোভাখার বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যেতে দিতে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে কথা বলতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেট থেকে জেলেনস্কিকে শনিবার জুমের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ ইউক্রেনীয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরের শহর চারনিহিভে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রুশ হামলায় এ শহরের ৪৭ জন বাসিন্দা মারা গেছে।
রাজধানী কিয়েভ থেকে শহরটির দূরত্ব ১৪৩ কিলোমিটার।
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিওপল ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। আটকে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য মানবিক করিডরের আহ্বান জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো।
শহরটিতে সাড়ে ৪ লাখ বাসিন্দার বাস। হামলার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি টমাস গ্রিনফিল্ড জানিয়েছেন, জাপোরিজ্জার পর রুশ সেনারা আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে এসেছে।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রুশ বাহিনীকে তাদের বিপজ্জনক আক্রমণ থেকে বিরত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তের কারণে আকাশপথে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আরও বাড়বে।’
ন্যাটোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করে ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে বোমা হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছে ন্যাটো। আজ থেকে ইউক্রেনে যারা মারা যাবে তারা আপনার (ন্যাটো) কারণে, আপনার দুর্বলতার কারণে, আপনার ঐক্যের অভাবে কারণে মারা যাবে।’
এর আগে ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোন প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সৌদি আরবে এ বৈঠক হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।
এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গেল তিন বছর ধরে চলা আমেরিকান নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছেন তিনি।
অ্যাসোসিয়েটে প্রেসের খবরে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বুধবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, ‘এ যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করতে পুতিন ও আমি একমত।’
এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা হবে বলে জানান ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনও সমানভাবে অংশীদার হবে কি না, সে বিষয়ে তার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা শান্তি অর্জনের পথে রয়েছি। আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও শান্তি চান।
‘আমিও শান্তি চাই। আমি কেবল দেখতে চাই, লোকজনের প্রাণহানি হচ্ছে না।’
পুতিনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জনগণ সত্যিকার অর্থে জানেন না। কিন্তু আমি মনে করি, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, তিনিও এ যুদ্ধের অবসান দেখতে চান। কাজেই সেটা ভালো এবং আমরা এ যুদ্ধ বন্ধের দিকে যাচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব।’
ওই সময় শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান ট্রাম্প। বৈঠকটি সৌদি আরবে হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার মাধ্যমে এ আভাসই দেওয়া হচ্ছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটন ও মস্কো একটি চুক্তি পৌঁছাতে একমত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিয়েভও যে পরিপূর্ণ একটি অংশীদার হবে বলে মনে করত জো বাইডেন প্রশাসন, সেখান থেকে সরে এসেছে ওয়াশিংটন।
ইউক্রেনও এ যুদ্ধের সমান অংশীদার হতে যাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘খুবই চমৎকার প্রশ্ন। আমি মনে করি তারাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান।’
এ ছাড়া ইউক্রেন যে পশ্চিমাদের সঙ্গে আরও ঘেঁষতে চাইছে, সে প্রত্যাশায় আরেকটি আঘাত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেট হেগসেথ।
ব্রাসেলসে ন্যাটোর প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সদস্য হওয়া বাস্তবসম্মত নয়।’
পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘হেগসেথ যে কথা বলেছেন, সেটিই সত্য বলে আমি মনে করি।’
ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা এ সামরিক জোটের সদস্য হওয়া অপরিহার্য।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
‘ইউরোপ রক্ষা করুন: ইউক্রেনকে বাঁচান’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মধ্য লন্ডনে প্রতিবাদ করেন তারা।
বিক্ষোভ হয়েছে প্যারিসেও। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
বেনেটের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে বৈঠকের বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
রুশ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে: জাতিসংঘ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, শহরে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে মস্কো।
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় পোলান্ডসহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া নাগরিকরা শিগগিরই দেশে ফিরতে পারবেন বলেও আশা জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে খুব শিগগিরই আমাদের লোকজনকে বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। তারা পোলান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে ফিরে আসতে পারবেন। আমি তাদের বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। আর কোনো ভয় নেই।’
পোলান্ডের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে যাওয়া বাস্তুচ্যুতদের কাছে কেউই জাতীয়তা, বিশ্বাস বা আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে জানতে চাইছে না। আসলে পোলান্ডের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সীমান্তও নেই।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে পোলান্ড।
তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অশ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মারিওপল ও ভলনোভাখার বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যেতে দিতে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে কথা বলতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেট থেকে জেলেনস্কিকে শনিবার জুমের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ ইউক্রেনীয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরের শহর চারনিহিভে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রুশ হামলায় এ শহরের ৪৭ জন বাসিন্দা মারা গেছে।
রাজধানী কিয়েভ থেকে শহরটির দূরত্ব ১৪৩ কিলোমিটার।
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিওপল ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। আটকে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য মানবিক করিডরের আহ্বান জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো।
শহরটিতে সাড়ে ৪ লাখ বাসিন্দার বাস। হামলার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি টমাস গ্রিনফিল্ড জানিয়েছেন, জাপোরিজ্জার পর রুশ সেনারা আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে এসেছে।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রুশ বাহিনীকে তাদের বিপজ্জনক আক্রমণ থেকে বিরত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তের কারণে আকাশপথে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আরও বাড়বে।’
ন্যাটোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করে ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে বোমা হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছে ন্যাটো। আজ থেকে ইউক্রেনে যারা মারা যাবে তারা আপনার (ন্যাটো) কারণে, আপনার দুর্বলতার কারণে, আপনার ঐক্যের অভাবে কারণে মারা যাবে।’
এর আগে ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোন প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের স্কটসডেল বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুটি বিমানের সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত ও অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার একাধিক সংবাদমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অবতরণের পর একটি লিয়ারজেট ৩৫এ বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ সময় অ্যারিজোনার স্কটসডেল মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরের র্যাম্পে গালফস্ট্রিম ২০০ বিজনেস জেটকে ধাক্কা দেয় এটি।’
দেশটিতে বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি জানায়, বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন, তা তারা এখনও নিশ্চিত নয়।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
‘ইউরোপ রক্ষা করুন: ইউক্রেনকে বাঁচান’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মধ্য লন্ডনে প্রতিবাদ করেন তারা।
বিক্ষোভ হয়েছে প্যারিসেও। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
বেনেটের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে বৈঠকের বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
রুশ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে: জাতিসংঘ
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, শহরে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে মস্কো।
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় পোলান্ডসহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়া নাগরিকরা শিগগিরই দেশে ফিরতে পারবেন বলেও আশা জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে খুব শিগগিরই আমাদের লোকজনকে বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। তারা পোলান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়াসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে ফিরে আসতে পারবেন। আমি তাদের বলতে পারব, বাড়ি ফিরে আসুন। আর কোনো ভয় নেই।’
পোলান্ডের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে যাওয়া বাস্তুচ্যুতদের কাছে কেউই জাতীয়তা, বিশ্বাস বা আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে জানতে চাইছে না। আসলে পোলান্ডের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সীমান্তও নেই।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে পোলান্ড।
তবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অশ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মারিওপল ও ভলনোভাখার বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যেতে দিতে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে কথা বলতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেট থেকে জেলেনস্কিকে শনিবার জুমের মাধ্যমে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ ইউক্রেনীয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরের শহর চারনিহিভে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রুশ হামলায় এ শহরের ৪৭ জন বাসিন্দা মারা গেছে।
রাজধানী কিয়েভ থেকে শহরটির দূরত্ব ১৪৩ কিলোমিটার।
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিওপল ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। আটকে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য মানবিক করিডরের আহ্বান জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো।
শহরটিতে সাড়ে ৪ লাখ বাসিন্দার বাস। হামলার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি টমাস গ্রিনফিল্ড জানিয়েছেন, জাপোরিজ্জার পর রুশ সেনারা আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে এসেছে।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রুশ বাহিনীকে তাদের বিপজ্জনক আক্রমণ থেকে বিরত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করায় ন্যাটোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তের কারণে আকাশপথে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আরও বাড়বে।’
ন্যাটোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করে ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে বোমা হামলার সবুজ সংকেত দিয়েছে ন্যাটো। আজ থেকে ইউক্রেনে যারা মারা যাবে তারা আপনার (ন্যাটো) কারণে, আপনার দুর্বলতার কারণে, আপনার ঐক্যের অভাবে কারণে মারা যাবে।’
এর আগে ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোন প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য